আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثلاث من الهجرة

غزوة أحد

خروج النبي صلى الله عليه وسلم بأصحابه في أثر أبي سفيان

পৃষ্ঠা - ২৭৩৫

কান্নাকাটি করছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : কিন্তু হামযার জন্যে কোন ক্রন্দনকারী নেই ৷ তিনি
হাময৷ (রা)এর জন্যে ইসৃতিগফারও করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর এই বক্তব্য শুনেছিলেন
হযরত সাদ ইবন ঘুআয, সাদ ইবন উবাদা, মুআয ইবন জাবাল এবং আবদ্যু;া৷হ্ ইবন রাওয়াহ৷ ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর একথা শুনে তারা নিজেদের মহল্লায় যান এবং মদীনায় সকল ক্রন্দনকারী
মহিলাকে একত্রিত করেন ৷ তারা মহিলাদেরকে বললেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর চাচা হামযা
(রা)এর জন্যে না কেদে তোমরা কোন শহীদের জন্যে র্কাদভ্রুব না ৷ কারণ, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন যে, মদীনায় হামযার জন্যে কাদার কেউ নেই ৷ ঐতিহাসিকদের ধারণা যে, ক্রন্দনকারী
মহিলাদেরকে একত্রিত করেছিলেন আবদৃল্লাহ্ ইবন রাওয়াহ৷ ৷ হযরা১ হাময৷ (রা ) এর জন্যে যখন
মহিলাগণ কান্নাকাটি করছিলেন তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ব্যপার কী ? আনসারগণ তাদের
মহিলাদেরকে একত্রিত করেছেন বলে তাকে জানানো হল ৷ তিনি আনসারদের জন্যে ইসতিগফার
করলেন এবং তাদের প্রশংসা করলেন ৷ তারপর তিনি বলাম্পো, আমি মুলত কথাটি এ উদ্দেশ্যে
বলিনি, আর আমি এরুপ কান্নাকাটি পসন্দ করি না ৷ বন্তুত তিনি এরুপ কান্নাকাটি নিষিদ্ধ করে
দিলেন ৷ ইবন লাহ্ইয়াহ্ আবুল আসওয়াদ সুত্রে উরওয়াহ্ ইবন যুবায়র থেকে অনুরুপ বর্ণনা
করেছেন

মুসা ইবন উকবা বলেন, মুসলমানদের কান্নাকাটি ও শোক প্রকাশের এ সময়ে মুনাফিকরা
নানা ষড়যগ্রে লিপ্ত হয় ৷ তারা মুসলমানদের দুঃখ ও হতাশা বৃদ্ধি এবং তাদেরকে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্যে জোর প্রচেষ্টা চালায় ৷ এ সময়ে ইয়াহ্রদীদের বিশ্বাসঘাতকতা ও শত্রুতা
প্রকাশ্য রুপ নেয় ৷ মুনাফিকদের অপপ্ৰচার ও উত্তেজনা সৃষ্টির ফলে মদীনা ফুটম্ভ কড়াইয়ের ন্যায়
টগবগ করতে থাকে ৷ ইয়াহুদীরা বলছিল যে, মুহাম্মাদ যদি নবী হতেন তবে শক্রপক্ষ তার উপর
জয়ী হতে পারতনা এবং তিনি এভাবে যখমপ্রাপ্ত ও বিপদ্যাস্ত হতেন না ৷ বরং তিনি ক্ষমতালোভী
(নাউযুৰিল্লাহ্) ৷ সকল ক্ষমতা করায়ত্ত করাই তার উদ্দেশ্য ৷ মুনাফিকর৷ ইয়াহুদীদের মত
উস্কানিমুলক প্রচারণা চালাচ্ছিল ৷ তারা মুসলমানদেৱকে বলতে লাগল যে , তোমরা যদি আমাদের
অনুসরণ করে ফিরে আসতে তবে এই বিপদেৱ সম্মুখীন হতেনা ৷ এ প্রেক্ষাপটে অনুগত
মুসলমানদের আনুগত্যের প্রশংসা, মুনাফিকদের অপকর্মের বিবরণ এবং শহীদ মুসলমানদের প্ৰতি

সাম্ভনা স্বরুপ আল্লাহ্ তা জানা এ আয়াত নাযিল করলেন : ;,,; এ্া ৷ ;,প্রু ন্ৰু,ছুছু ১া ,

ষ্ ,

৷ স্মরণ করুন ৷ যখন আপনি আপনার
পরিজনবশ্চেরি নিকট থেকে প্ৰ৩ ত্যুষে বের হয়ে যুদ্ধের জন্যে মু’মিনদেরকে ঘাটিতে স্থাপন
করছিলেন ৷ এবং আল্লাহ্ সর্বগ্রোতা, সর্বজ্ঞ (৩ আলে-ইমরান : ১ ২১) ৷ তাফসীর গ্রন্থে আমরা এ
বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷

আহত হওয়া সত্বেও রাসুলুল্লড়াহ্ (সা) ও সাহাবাগণের আবু সুফিয়ানের
পশ্চাদ্ধাবন

উহুদ যুদ্ধের বর্ণনা এবং সেখান থেকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মদীনায় প্রত্যাবর্তনের বিবরণ


[خُرُوجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَصْحَابِهِ فِي أَثَرِ أَبِي سُفْيَانَ] ذِكْرُ خُرُوجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَصْحَابِهِ عَلَى مَا بِهِمْ مِنَ الْقُرْحِ وَالْجِرَاحِ، فِي أَثَرِ أَبِي سُفْيَانَ ; إِرْهَابًا لَهُ وَلِأَصْحَابِهِ حَتَّى بَلَغَ حَمْرَاءَ الْأَسَدِ وَهِيَ عَلَى ثَمَانِيَةِ أَمْيَالٍ مِنَ الْمَدِينَةِ قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ بَعْدَ اقْتِصَاصِهِ وَقْعَةَ أُحُدٍ وَذِكْرِهِ رُجُوعَهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ إِلَى الْمَدِينَةِ: وَقَدِمَ رَجُلٌ مِنَ أَهْلِ مَكَّةَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهُ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ وَأَصْحَابِهِ، فَقَالَ: نَازَلْتُهُمْ فَسَمِعَتْهُمْ يَتَلَاوَمُونَ ; يَقُولُ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: لَمْ تَصْنَعُوا شَيْئًا ; أَصَبْتُمْ شَوْكَةَ الْقَوْمِ وَحْدَهُمْ، ثُمَّ تَرَكْتُمُوهُمْ، وَلَمْ تَبْتُرُوهُمْ، فَقَدْ بَقِيَ مِنْهُمْ رُءُوسٌ يَجْمَعُونَ لَكُمْ. فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصْحَابَهُ وَبِهِمْ أَشَدُّ الْقَرْحِ، بِطَلَبِ الْعَدُوِّ ; لِيَسْمَعُوا بِذَلِكَ، وَقَالَ: لَا يَنْطَلِقَنَّ مَعِي إِلَّا مَنْ شَهِدَ الْقِتَالَ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ أَنَا: رَاكِبٌ مَعَكَ. فَقَالَ: لَا، فَاسْتَجَابُوا لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ عَلَى الَّذِي بِهِمْ مِنَ الْبَلَاءِ، فَانْطَلَقُوا
পৃষ্ঠা - ২৭৩৬

দেয়ার পর মুসা ইবন উকবা বলেন যে, মক্কা থেকে আগত এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর নিকট
উপস্থিত হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে আবু সুফিয়ান ও তার সাথীদের অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞেস
করেন ৷ সে বলল, আমি তো ওদের নিকট যাত্রা বিরতি করেছিলাম ৷ আমি ওদেরকে শুনেছি যে
তারা একে অন্যকে ণ্দাষারােপ করছে এবং বলছে যে, তোমরা কিছুই করতে পারলে ন৷ ৷ শত্রু-
পক্ষের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদেরকে নাগালে পেয়েও€ তোমরা তাদেরকে (ছর্ভুণ্ড় দিলে ওদেরকে নির্মুল
করলে না ওদের নেতারা তো জীবিত রয়েছে ৷ ওরা আবার ৫ তামাদের বিরুদ্ধে সৈন্য সমাবেশ
ঘটাবে ৷ এ সংবাদ পেয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাহাবীপণকে শত্রুর খােজে মোঃ হওয়ার নির্দেশ ছিলেন ৷
তখনও সাহাবীগণ আঘাতে আঘাতে জর্জরিত ৷ তিনি আরো বললেন যে, যার! উছুদ ময়দানে যুদ্ধে
অংশ নিয়েছে শুধু তারাই ওই অভিযানে অংশ নিতে পারবে ৷ মুনাফিক আবদৃল্লাহ্ ইবন উবাই

লল , আমি আপনার সাথে যাব ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, না , তা হয়ে না ৷ সাহাবীগণ রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর নির্দেশ পেয়ে যখম ও আঘাত নিয়েই শত্রু অভিমুখে যাত্রা করলেন, এ প্রসংগে আল্লাহ্
তা আল৷ বুহ্বআন মব্জীদেইরশাদ করেছেনব্ল ৷
ণ্ং ন্াষ্; ,; ) ৷ , ণ্টুসুপ্রু ৷ ,১ ৷ ট্রু,ট্রু;এৰুহু fl ৷ ণ্পুছুা৷ “যখন হওয়ার পর যারা আল্লাহ্
ও রাসুলের ডাকে সাড়া দিয়েছে তাদের মধ্যে যারা সৎকার্য করে এবং তাকওয়৷ অবলম্বন করে
চলে তাদের জন্যে রয়েছে মহা পুরস্কার, (৩-আলে-ইমরান : ১৭২) ৷

বণনিাকারী বলেন, হযরত জাবির (রা)-এর পিতা তার কন্যাদের দেখা শোনার জন্যে জাবির
(রা) কে মদীনায় থাকতে বলেছিলেন শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে যুদ্ধে না গিয়ে মদীনায় থাকার
অনুমতি দিয়েছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তার সাথীদেরকে নিয়ে শত্রুর ৷পছু ধষ্ওয়া করে হামর৷ ৩ণ্া
আসাদ নামকন্থান পর্যন্ত এগিয়ে ণ্গলেন ৷ ইবন লাহ্য়া আ আবু সাসওয়াদ সুত্রে উরওয়৷ ইবন
যুবায়র (র) থেকে এরকমই বনাি করেছেন ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক৩ ৷র মাপাষী গ্রন্থে বলেছেন যে, উহুদ যুদ্ধের দিনটি ছিল শাওয়াল
মাসের ১৫ তারিখ শনিবার ৷ পরের দিন, শাওয়ালের ১৬ তারিখ রবিবার রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পক্ষ
থেকে এক ঘোষক শত্রুপক্ষের পিছু ধাওয়৷ করার ঘোষণা দিন ৷ এবং €ৰুৰুন্া৷যক এই ঘোষণাও দিল
যে , যারা গতকালের যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন আজ শুধু তারাই এ অভিযানে অংশ নিতে পারবেন ৷
হযরত জাবির (রা) তীর ব্যাপারটি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে অবহিত করার তিনি তাকে যাত্রার অনুমতি
দিলেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) এই অভিযানে বের হয়েছিলেন মুলতঃ শত্রুদের মনে
ভীতি সঞ্চার করার জন্যে এবং এটা বৃঝানোর জন্যে যে, এত আঘাতের পরও মৃসলমানগণ দুর্বল
ও হভােদ্যম হননি ৷ ইবন ইসহাক বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবন খারিজা ইবন যায়দ ইবন ছাবিত বর্ণনা
করেছেন, আইশা ৰিনৃত উছমান এর অযােদকৃত দাস আবু ছাইব’ থেকে যে, বনী আবৃদ আশহাল
গোত্রের র্জ্যনক ব্যক্তি বলেছেন, আমি এবং আমার এক ভাই দৃজনে উহুদ যুদ্ধে উপস্থিত ছিলাম ৷
যুদ্ধ শেষে আহত অবস্থায় আমরা ফিরে আসি ৷ এরপর শত্রুর পিছু যাওয়ার জন্যে যখন রাসুলুট্রুদ্বুস্রাহ্


فَقَالَ اللَّهُ فِي كِتَابِهِ الْعَزِيزِ {الَّذِينَ اسْتَجَابُوا لِلَّهِ وَالرَّسُولِ مِنْ بَعْدِ مَا أَصَابَهُمُ الْقَرْحُ لِلَّذِينَ أَحْسَنُوا مِنْهُمْ وَاتَّقَوْا أَجْرٌ عَظِيمٌ} [آل عمران: 172] قَالَ: وَأَذِنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ حِينَ ذَكَرَ أَنَّ أَبَاهُ أَمَرَهُ بِالْمُقَامِ فِي الْمَدِينَةِ عَلَى أَخَوَاتِهِ. قَالَ: وَطَلَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعَدُوَّ حَتَّى بَلَغَ حَمْرَاءَ الْأَسَدِ. وَهَكَذَا رَوَى ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ سَوَاءً. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: فِي " مَغَازِيهِ ": وَكَانَ يَوْمُ أُحُدٍ يَوْمَ السَّبْتِ النِّصْفَ مِنْ شَوَّالٍ، فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ مِنْ يَوْمِ الْأَحَدِ لِسِتَّ عَشْرَةَ لَيْلَةً مَضَتْ مِنْ شَوَّالٍ، أَذَّنَ مُؤَذِّنُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي النَّاسِ بِطَلَبِ الْعَدُوِّ، وَأَذَّنَ مُؤَذِّنُهُ أَلَّا يَخْرُجَنَّ أَحَدٌ إِلَّا مَنْ حَضَرَ يَوْمَنَا بِالْأَمْسِ. فَكَلَّمَهُ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ فَأَذِنَ لَهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَإِنَّمَا خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُرْهِبًا لِلْعَدُوِّ، وَلِيَبْلُغَهُمْ أَنَّهُ خَرَجَ فِي طَلَبِهِمْ ; لِيَظُنُّوا بِهِ قُوَّةً، وَأَنَّ الَّذِي أَصَابَهُمْ لَمْ يُوهِنْهُمْ عَنْ عَدُوِّهِمْ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ رَحِمَهُ اللَّهُ: فَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي السَّائِبِ مَوْلَى عَائِشَةَ بِنْتِ عُثْمَانَ أَنَّ رَجُلًا مِنْ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ قَالَ: شَهِدْتُ أُحُدًا أَنَا وَأَخٌ لِي فَرَجَعْنَا جَرِيحَيْنِ، فَلَمَّا أَذَّنَ مُؤَذِّنُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْخُرُوجِ فِي طَلَبِ الْعَدُوِّ، قُلْتُ لِأَخِي وَقَالَ لِي: أَتَفُوتُنَا غَزْوَةٌ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ وَاللَّهِ مَا لَنَا مِنْ دَابَّةٍ نَرْكَبُهَا، وَمَا مَنَّا إِلَّا جَرِيحٌ ثَقِيلٌ
পৃষ্ঠা - ২৭৩৭
فَخَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكُنْتُ أَيْسَرَ جُرْحًا مِنْهُ، فَكَانَ إِذَا غُلِبَ حَمَلْتُهُ عُقْبَةً وَمَشَى عُقْبَةً، حَتَّى انْتَهَيْنَا إِلَى مَا انْتَهَى إِلَيْهِ الْمُسْلِمُونَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى انْتَهَى إِلَى حَمْرَاءِ الْأَسَدِ وَهِيَ مِنَ الْمَدِينَةِ عَلَى ثَمَانِيَةِ أَمْيَالٍ، فَأَقَامَ بِهَا الْاثْنَيْنِ وَالثُّلَاثَاءَ وَالْأَرْبِعَاءَ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ. . قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَقَدْ كَانَ اسْتَعْمَلَ عَلَى الْمَدِينَةِ ابْنَ أُمِّ مَكْتُومٍ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ:، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ أَنَّ مَعْبَدَ بْنَ أَبِي مَعْبَدٍ الْخُزَاعِيَّ وَكَانَتْ خُزَاعَةُ مُسَلِمُهُمْ وَكَافِرُهُمْ عَيْبَةَ نُصْحٍ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِتِهَامَةَ، صَفْقُهُمْ مَعَهُ، لَا يُخْفُونَ عَنْهُ شَيْئًا كَانَ بِهَا وَمَعْبَدٌ يَوْمَئِذٍ مُشْرِكٌ، مَرَّ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُقِيمٌ بِحَمْرَاءِ الْأَسَدِ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ عَزَّ عَلَيْنَا مَا أَصَابَكَ فِي أَصْحَابِكَ، وَلَوَدِدْنَا أَنَّ اللَّهَ عَافَاكَ فِيهِمْ. ثُمَّ خَرَجَ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحَمْرَاءِ الْأَسَدِ، حَتَّى لَقِيَ أَبَا سُفْيَانَ بْنَ حَرْبٍ وَمَنْ مَعَهُ بِالرَّوْحَاءِ، وَقَدْ أَجْمَعُوا الرَّجْعَةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابِهِ، وَقَالُوا: أَصَبْنَا
পৃষ্ঠা - ২৭৩৮


(সা) পুনরায় আহ্বান জানালেন তখন আমি আমার ভাইকে বললাম, সেও আমাকে বলল যে
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাখী হয়ে আরেকটি যুদ্ধ করা থেকে আমরা কি বঞ্চিত হব ন্ আল্লাহ্র কসম ৷
আমাদের নিকট কোন সওয়ারী সেই রাতে চড়ে যুদ্ধে যাব , তদুপরি আমরা দুজনেই এখন আহত ৷
তবু আমরা দু’জন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে অভিযানে বের হলাম ৷ ভাইয়ের চেয়ে আমার
আঘাত কিছুটা কম ছিল ৷ হেটে হেটে ভইিঢি একেবারেই অচল হয়ে গেলে আমি কিছুক্ষণ তাকে
কাধে তুলে নিয়ে যেতাম ৷ আবার কিছুক্ষণ সে পায়ে হেটে যেত ৷ এভাবে মুসলমানগণ যেখানে
গিয়ে থামলেন, আমরাও সেখানে গিয়ে পৌছলাম ৷

ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) অভিযানে বের হলেন এবং হামরাউল আসাদ নামক
স্থানে গিয়ে পৌছলেন ৷ সেটি ছিল মদীনা থেকে ৮ মাইল দুরবর্তী একটি স্থান ৷ তিনি সোম, মঙ্গল
ও বুধবার সেখানে অবস্থান করলেন ৷ এরপর মদীনায় ফিরে এলেন ৷

ইবন হিশাম বলেন, ওই অভিযানের সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) মর্দীণ্া৷র শাসনভার ন্যস্ত করেছিলেন
ইবন উম্মি মাকতুমের হাতে ৷ ইবন ইসহাক বলেন, আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর বলেছেন, যে,
তিহামা অঞ্চলের খুযায়মা গোত্রের লোকজন তখন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর চুক্তিবদ্ধ মিত্র ছিল ৷
তিহামার (কান কিছুই তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে গোপন রাখত না, খুযাআ গোত্রের মাবাদ
ইবন আবু মাবাদ জুহার্নী নামক এক ব্যক্তি তখনও মুশরিক ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হামরা-উল
আসাদ এ অবস্থান করার সময় যে ওখানে গিয়েছিল ৷ সে সহানুভুতি প্রকাশ করে বললেন, হে
মুহাম্মাদ ! আপনার সাথিগণ সহ আপনারা যেভাবে আহত ও ৰিপদগ্রস্ত হয়েছেন তাতে আমরা
মর্মাহত ৷ আল্লাহ্ আপনাদেরকে নিরাপদ রাখুন আমরা তা কামনা করি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে
আলাপ শেষ করে সে পথে বের হল হামরা উল আসাদ ছেড়ে যাবার উদ্দেশ্যে ৷ রাওহা নামক
স্থানে তার সাথে আবু সুফিয়ান এবং তার সেনাবাহিনীর সাক্ষাত হয় ৷ তারা তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা )
ও তার সাহাবীপণকে পুনঃ আক্রমণ করার জন্যেও প্রস্তুতি নিচ্ছিল ৷ তারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি
করেছিল যে, মুহাহ্মাদের ওরুতুপুর্ণ ও নেতৃস্থানীয় সাথীদেরকে আমরা নাগালের মধ্যে পেয়েও
সমুলে উৎখাত করলাম না ৷ তাদেরকে রেখে ফিরে এলাম এ কেমন হল ? ওদের মধ্যে যারা
অবশিষ্ট আছে আমরা পুনরায় তাদেরকে আক্রমণ করব এবং সকলকে নিশ্চিহ্ন করে এ আপন
থেকে নিজেস্থদরকে রক্ষা করব ৷ মাবাদকে দেখে আবুসুফিয়ান বলল , হে মাবাদ, (তামার ছেড়ে
আসা পথের অবস্থা কেমন ! সে বলল, আমি দেখে এলাম মুহন্মোদকে ৷ তিনি বিশাল এক বাহিনী
নিয়ে আপনাদেরকে ধাওয়া করার জন্যে এগিয়ে আসছেন ৷ তার সাথে এত বিশাল বাহিনী
ইতিপুর্বে আমি কখনো দেখিনি ৷ অগ্নি রুপ ধারং করে এবং প্ৰতিগােধ্ ম্পৃহায় টান টান উত্তেজনা
নিয়ে তারা আপনাদের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন ৷ উহুদ ময়দানে আসার পথে যারা ফিরে গিয়েছিল
তারাও কৃতকর্মের জন্যে লজ্জিত হয়ে এই অভিযানে রাসুলুল্লাহ্ ৷ সা)ষ্এর সাথে যোগ দিয়েছে ৷
আপনাদের প্রতি তারা এত ক্ষ্যাপ৷ ও ক্ষুদ্ধ যা আমি কোন দিন দেখিনি ৷ আবু সুফিয়ান বলল, হয়ে,
এ তুমি কী বলহু ? মাবাদ বলল, আল্লাহর কসম, আমি একথা বলছি যে, আপনি যদি সম্মুখে
অগ্রসর হন তবে অসংখ্য তাদের ঘোড়ার উচু উচু মাথা দেখতে পাবেন ৷ আবু সৃফিয়ান বলল,
আমরা প্রস্তুত হয়েছিলাম তাদেরকে নির্মুল করার জন্যে তাদের উপর পুনআেক্রমণ করার জন্যে ৷


حَدَّ أَصْحَابِهِ وَقَادَتِهِمْ وَأَشْرَافِهِمْ، ثُمَّ نَرْجِعُ قَبْلَ أَنْ نَسْتَأْصِلَهُمْ؟ ! لَنَكُرَّنَّ عَلَى بَقِيَّتِهِمْ فَلْنَفْرُغَنَّ مِنْهُمْ. فَلَمَّا رَأَى أَبُو سُفْيَانَ مَعْبَدًا قَالَ: مَا وَرَاءَكَ يَا مَعْبَدُ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ قَدْ خَرَجَ فِي أَصْحَابِهِ، يَطْلُبُكُمْ فِي جَمْعٍ لَمْ أَرَ مِثْلَهُ قَطُّ ; يَتَحَرَّقُونَ عَلَيْكُمْ تَحَرُّقًا، قَدِ اجْتَمَعَ مَعَهُ مَنْ كَانَ تَخَلَّفَ عَنْهُ فِي يَوْمِكُمْ، وَنَدِمُوا عَلَى مَا صَنَعُوا، فِيهِمْ مِنَ الْحَنَقِ عَلَيْكُمْ شَيْءٌ لَمْ أَرَ مِثْلَهُ قَطُّ. قَالَ: وَيْلَكَ، مَا تَقُولُ؟ قَالَ: وَاللَّهِ مَا أَرَاكَ تَرْتَحِلُ حَتَّى تَرَى نَوَاصِيَ الْخَيْلِ. قَالَ: فَوَاللَّهِ لَقَدْ أَجْمَعْنَا الْكَرَّةَ عَلَيْهِمْ ; لِنَسْتَأْصِلَ شَأْفَتَهُمْ. قَالَ: فَإِنِّي أَنْهَاكَ عَنْ ذَلِكَ، وَوَاللَّهِ لَقَدْ حَمَلَنِي مَا رَأَيْتُ عَلَى أَنْ قُلْتُ فِيهِ أَبْيَاتًا مِنْ شِعْرٍ. قَالَ: وَمَا قُلْتَ؟ قَالَ: قُلْتُ: كَادَتْ تُهِدُّ مِنَ الْأَصْوَاتِ رَاحِلَتِي ... إِذْ سَالَتِ الْأَرْضُ بِالْجُرْدِ الْأَبَابِيلِ تَرْدَى بِأُسْدٍ كِرَامٍ لَا تَنَابِلَةٍ ... عِنْدَ اللِّقَاءِ وَلَا مِيلٍ مَعَازِيلِ فَظَلْتُ عَدُوًّا أَظُنُّ الْأَرْضَ مَائِلَةً ... لَمَّا سَمَوْا بِرَئِيسٍ غَيْرِ مَخْذُولِ
পৃষ্ঠা - ২৭৩৯

মাবাদ বলল, আমি আপনাকে ওই কাজ থেকে বারণ করছি ৷ সে আরো বলল যে, মুসলমানদের
সমবেত বাহিনী দেখে আমি কবিতা তার কয়েকটি প ৎক্তি আবৃত্তি করেছি ৷ আাবু সুফিয়ান বলল, ওই
পংাক্তগুলোতে তুমি কী বলেছ ? মা বাদ বলল, তা এইং

গ্রাএা;গ্লু,া পু১াৰুৰু

ওদের প্রচণ্ড শব্দে আমার সওয়ারী ধরাশায়ী হবার উপণ্ ম হয়েছিলা যখন দেখা গেল যে
ওদের অন ×খ্য অশ্বের পদচারণায় ভুমিওে তঅশ্বের বন্যা প্রবাহিত হভৈচহুা

;>) ণ্াপু,,র্ন্ত ১দ্বু ষ্নুএ্ এএষ্ধ্)ও

ওরা হামলা করে সাহসী সিংহের ন্যায়া শত্রুর মুখোমুখি হলে দৃর্বলও হয় না কোন দিকে প্াশ
কাটিয়েও যায় না

; শ্ শ্ ধ্ ষ্ ষ্ : শ্ ; ষু ,
’ শ্

আমি তো দৌড়ে পালিয়ে এলাম ৷ মনে হল পৃথিবীটা কাত হয়ে গিয়েছো যখন তারা বরেণ্য
এক নেতার পেছন পেছন চলছিল ৷

;ঢু১এএ্যা

আমি বললাম, তোমাদের মুখোমুখি হলে সুফিয়ান ইবন হাররের ধ্ব স অনিরার্যা যখন সাহসী
সন্তানদের পদভাবে, পৃথিবী টালমাটাল ৷

ষ্ ’ ৷ র্চ

আজকের এই পুর্বাহ্নে আমি আরবের সাহসী লোকদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছি, অমি সতর্ক
করে দিচ্ছি তাদের মধ্যে যারা বুদ্ধিমান ও দুরদৃষ্টি সম্পন্ন তাদেরকে ৷

এ)পু দ্বুর্দুা৮ রু;)ট্রটু;৷াঠুৰু এ্যাটুশু

ন্সামি সতর্ক করে দিচ্ছি আহমদ (সা) এর সেনাদল সম্পর্কে, যার তার শস্ত্র তোাতা নয়া আমি
যে বিষয়ে সতক করেছি তা কোন পাল গল্প বলা চলে না

রর্ণনাকারী বলেন, মাবাদের এই বর্ণনা আবু সুফিয়ান ও তার সাথীদেরকে অগ্রসর হওয়া
থেকে নিবৃত্ত করে দিল ৷৩ তার পাশ দিয়ে আবদুল কায়স গোত্রের কতক পথিক যাজ্যিা সে বলল
আপনারা কোথায় যাচ্ছেন ? ওরা বলল, মদীনায় যাচ্ছিা সে জিজ্ঞেস করল কী উদ্দেশ্যে ? তারা
বলল, খাদ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যো সে বলল, তোমরা কি আমাদের একটি সষ্ ×বাদ মৃহাম্মাদেরাব১ট
পৌছিয়ে দিতে পারবে ? বিনিময়ে আমরা পরের দিন উকায় মেলায় তোমাদের উটদেরকে প্রচুর
শুকনা আঙ্গুর খেতে দেব ৷ ওরা বলল, হী, পারবা সে বলল তবে এই সংবাদটি মুহাম্মাদ
(না)-কে পৌছাবে যে, আমরা তাদের দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্যে প্রস্তুত হয়ে আছিা তাদের যে
কয়জন অবশিষ্ট আছে সকলকে আমরা সমুলে ধ্বংস করবোা

রাসুলুল্লাহ্ (সা) হামরা-উল আসাঃদ অবস্থান করছিলেনা পথিকগণ তার নিকট আসে এবং
আবুসুফিয়ানের বার্তাটি তাকে পৌছিয়ে দেয়া রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন ং ; ) ৰুাাশু ট্রুছু


فَقُلْتُ وَيْلَ ابْنِ حَرْبٍ مِنْ لِقَائِكُمْ إِذَا تَغَطْمَطَتِ الْبَطْحَاءُ بِالْجِيلِ ... إِنِّي نَذِيرٌ لِأَهْلِ الْبَسْلِ ضَاحِيَةً لِكُلِّ ذِي إِرْبَةٍ مِنْهُمْ وَمَعْقُولِ ... مِنْ جَيْشِ أَحْمَدَ لَا وَخْشٍ قَنَابِلُهُ وَلَيْسَ يُوصَفُ مَا أَنْذَرْتُ بِالْقِيلِ قَالَ: فَثَنَى ذَلِكَ أَبَا سُفْيَانَ وَمَنْ مَعَهُ. وَمَرَّ بِهِ رَكْبٌ مِنْ عَبْدِ الْقَيْسِ فَقَالَ: أَيْنَ تُرِيدُونَ؟ قَالُوا: الْمَدِينَةَ. قَالَ: وَلِمَ؟ قَالُوا: نُرِيدُ الْمِيرَةَ. قَالَ: فَهَلْ أَنْتُمْ مُبَلِّغُونَ عَنِّي مُحَمَّدًا رِسَالَةً أُرْسِلُكُمْ بِهَا إِلَيْهِ وَأُحَمِّلُ لَكُمْ إِبِلَكُمْ هَذِهِ غَدًا زَبِيبًا بِعُكَاظٍ إِذَا وَافَيْتُمُوهَا؟ قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: فَإِذَا وَافَيْتُمُوهُ، فَأَخْبِرُوهُ أَنَّا قَدْ أَجْمَعْنَا السَّيْرَ إِلَيْهِ وَإِلَى أَصْحَابِهِ ; لِنَسْتَأْصِلَ بَقِيَّتَهُمْ. فَمَرَّ الرَّكْبُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِحَمْرَاءِ الْأَسَدِ فَأَخْبَرُوهُ بِالَّذِي قَالَ أَبُو سُفْيَانَ فَقَالَ: حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ. وَكَذَا قَالَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ.
পৃষ্ঠা - ২৭৪০
وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ أُرَاهُ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، عَنْ أَبِي حُصَيْنٍ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: «حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ، قَالَهَا إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ حِينَ أُلْقِيَ فِي النَّارِ، وَقَالَهَا مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ قَالُوا: {إِنَّ النَّاسَ قَدْ جَمَعُوا لَكُمْ فَاخْشَوْهُمْ فَزَادَهُمْ إِيمَانًا وَقَالُوا حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ} [آل عمران: 173] » [آلِ عِمْرَانَ: 173] تَفَرَّدَ بِرِوَايَتِهِ الْبُخَارِيُّ. وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَامٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: {الَّذِينَ اسْتَجَابُوا لِلَّهِ وَالرَّسُولِ مِنْ بَعْدِ مَا أَصَابَهُمُ الْقَرْحُ لِلَّذِينَ أَحْسَنُوا مِنْهُمْ وَاتَّقَوْا أَجْرٌ عَظِيمٌ} [آل عمران: 172] قَالَتْ لِعُرْوَةَ: يَا ابْنَ أُخْتِي، كَانَ أَبَوَاكَ مِنْهُمُ الزُّبَيْرُ وَأَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، لَمَّا أَصَابَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا أَصَابَ يَوْمَ أُحُدٍ وَانْصَرَفَ عَنْهُ الْمُشْرِكُونَ، خَافَ أَنْ يَرْجِعُوا، فَقَالَ: مَنْ يَذْهَبُ فِي إِثْرِهِمْ فَانْتَدَبَ مِنْهُمْ سَبْعُونَ رَجُلًا، فِيهِمْ أَبُو بَكْرٍ وَالزُّبَيْرُ. هَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، وَقَدْ رَوَاهُ
পৃষ্ঠা - ২৭৪১

ট্রুার্চু ন্নুট্রু ৷ আল্লাহ্ই আমাদের জন্যে যথেষ্ট এবং তিনি কত উত্তম কর্ম ৰিধায়ক ৷ ” হাসান বসরী
ার)এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম বুখারী (র) বলেন আহমদ ইবন ইউনুস ইবন আব্বাস
(রা) সুত্রে বর্ণনা করে যে, কথাটি হযরত ইব্রাহীম (আ)
বলেছিলেন যখন তাকে অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করা হয়েছিল ৷ আর মুহাম্মাদ (সা ) এ কথাটি উচ্চারণ
করেছিলেন যখন তাকে বলা হয়েছিল যে, শত্রুপক্ষ আপনাদের বিরুদ্ধে বিশাল বাহিনী প্রস্তুত করে
রেখেছে ওদেরকে ভয় করুন ! বস্তুতঃ এই বক্তব্য সাহাবীগণের ঈমান আরো বৃদ্ধি করে

দিয়েছিল ৷৩ র্তারা বলেছিলেন ট্রুা£ ৷ ৷ ণ্ট্রু;১ ৰুএা৷ র্চু১ছুহু ণ্াই বর্ণনা ইমাম বুখারী একাই
উদ্বুভে করেছেন ৷

ইমাম বুখারী ৷ যা) বলেছেন মুহাম্মাদ ইবন সালাম — — র্ত্যইিশা (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷
ণ্ ন্া; , ৷ ৷ , ৷ “যখম হওয়ার পর যারা আল্লাহ্ ও রাসৃলের তাকে সাড়া দিয়েছে তাদের

মধ্যে যারা সৎকর্ম করে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে চলে তাদের জন্যে মহাপুবস্কার রয়েছে ৷
(৩ আলে-ইমরান : ১৭২) ৷ আয়াত প্রসংগে তিনি উরওয়া (র)-কে লক্ষ্য করে বলেছিলেন,
ভাপ্নে ! তোমার পুর্ব পুরুষদের মধ্য থেকে দুজন উল্লিখিত দলে ছিলেন ৷ যে দুজন হলেন যুবায়র
(রা) ও আবু বকর (রা) ৷ উহুদ দিবসে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আহত হলেন ৷ মুশরিকগণ যুদ্ধস্থ ল ত্যাগ
করে মক্কা অতি ওমুখে যাত্রা করল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা ) আশংকা করলেন যে, ওরা হয়ত ফিরে
এসে পুনরায় আক্রমণ করতে পারে ৷ মুসলমানদের মধ্যে তিনি ঘোষণা ন্দলেন মুশব্রিকদেব পিছু
ধাওয়া করার জন্যে অভিযানে কে কে বের হবে ? ৭০ জন সাহাবী তীর সে আহ্বানে সাড়া
দিয়েছিলেন ৷ তাদের মধ্যে আবু বকর (বা) এবং হযরত যুবায়র (রা ) ও ছিলেন ৷ বুখরীি হাদীছঢি
এভাবেই উদ্ধৃত করেছেন ৷ মুসলিম (র) হিশাম (র ) থেকে বর্ণনা করেছেন সংক্ষিপ্ত আকারে ৷
সাঈদ ইবন মনসুর এবং আবু বকর হুমায়দী প্রমুখ সুফিয়ান ইবন উয়ায়ন৷ থেকে এরুপ বর্ণনা
করেছেন ৷ ইবন মজ্যে (র) ও হাকিম (র) হিশাম ইবন উরওয়া থেকে এটি বর্ণনা করেছেন ৷
হাকিম এ বর্ণনা সম্পর্কে স্পষ্ট মন্তব্য করেছেন যে, এটি সহীহ্ কিত্তু বুখন্রী ও মুসলিম এটি উদ্ধৃত
করেননি ৷ এ সনদটি একান্তই বিরল ৷ মাগাযী বিশেষজ্ঞগণের প্রসিদ্ধ বর্ণনা আছে যে, “হামরা-উল
আসাদ” অভিযানে উহুদ যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী সকলেই শরীক ছিলেন ৷ সং খ্যায় তারা ছিলেন
৭০০ জন ৷ ইতিপুর্বে তা উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এর মধ্যে ৭০ জন যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন এবং
অবশিষ্ট লোকজন হামরা-উল আসাদ অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন ৷

ইবন জারীর (র) আওফী সুত্রে ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলোহ্না,
উহুদ যুদ্ধের দিবসে আবু সুফিয়ান যা করেছিল বার তারপবই আল্লাহ্ তাআল৷ তার অত্তার ভীতিঃ
সঞ্চার করে দিয়েছিলেন ৷ ফলে সে মক্কায় ফিরে যায় ৷ উহুদ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল শাওয়াল
মাসে ৷ আরব ব্যবসায়িগণ প্রতি বছর যিলকাদ মাসে মদীনায় যেত এবং পাং৷ বদর আস-সুগরা
নামক স্থানে যাত্রা বিরতি করত ৷ এবারও তারা উহুদ যুদ্ধের পর এ পথে আগমন করল ৷ এই


مُسْلِمٌ مُخْتَصَرًا مِنْ أَوْجُهٍ، عَنْ هِشَامٍ. وَهَكَذَا رَوَاهُ سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَأَبُو بَكْرٍ الْحُمَيْدِيُّ جَمِيعًا، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ وَأَخْرَجَهُ ابْنُ مَاجَهْ مِنْ طَرِيقِهِ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ بِهِ، وَرَوَاهُ الْحَاكِمُ فِي " مُسْتَدْرَكِهِ " مِنْ طَرِيقِ أَبِي سَعِيدٍ الْمُؤَدِّبِ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ بِهِ، وَرَوَاهُ مِنْ حَدِيثِ الْبَهِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ وَقَالَ فِي كُلٍّ مِنْهُمَا: صَحِيحٌ، وَلَمْ يُخْرِجَاهُ. كَذَا قَالَ. وَهَذَا السِّيَاقُ غَرِيبٌ جِدًّا ; فَإِنَّ الْمَشْهُورَ عِنْدَ أَصْحَابِ الْمَغَازِي أَنَّ الَّذِينَ خَرَجُوا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى حَمْرَاءِ الْأَسَدِ كُلُّ مَنْ شَهِدَ أُحُدًا وَكَانُوا سَبْعَمِائَةٍ، كَمَا تَقَدَّمَ، قُتِلَ مِنْهُمْ سَبْعُونَ، وَبَقِيَ الْبَاقُونَ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ جَرِيرٍ مِنْ طَرِيقِ الْعَوْفِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ قَذَفَ فِي قَلْبِ أَبِي سُفْيَانَ الرُّعْبَ يَوْمَ أُحُدٍ بَعْدَ الَّذِي كَانَ مِنْهُ فَرَجَعَ إِلَى مَكَّةَ وَكَانَتْ وَقْعَةُ أُحُدٍ فِي شَوَّالٍ، وَكَانَ التُّجَّارُ يَقْدَمُونَ فِي ذِي الْقَعْدَةِ
পৃষ্ঠা - ২৭৪২

যুদ্ধে মুসলমানগণ ভীষণ বিপর্যস্ত হয়েছিলেন ৷ নিজেদের দুঃখ কষ্টের কথা র্তারা রাসুলুল্লাহ্
(না)-কে জানিয়েছিলেন ৷ কিন্তু এতদ্সব্লুত্ত্বও রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্তাদেরকে পুনরায় নতুন অভিযানে
বের হওয়ার আহ্বান জানালেন ৷ তিনি বললেন, এখনি তোমরা সম্মুখে অগ্রসর হবে এবং
শত্রুদেরকে পরাজিত করে হজ্জ সম্পাদন করবে ৷ অন্যথায় আগামী বছর ব্যতীত হজ্জ করা যাবে
না, ইরুতামধ্যে সেখানে শয়তান উপস্থিত হয় তার অনুসারীদেরকে সে নিহত হবার ভয় দেখাতে
থাকে ৷ সে বলে যে, শত্রুপক্ষ তোমাদের বিরুদ্ধে বিশাল সৈন্য সমাবেশ করেছে ৷ ফলে কতক
লোক রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর সাথে সম্মুখে অগ্রসর হতে অনীহা প্রকাশ করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, আমার সাথে যদি একজনও না যায়, তবু আমি একাই অগ্রসর হয় এরপর আবুরকর
(রা), উমর (রা), উছ মান (রা), আলী (রা), তালহা (রা), যুবায়র (রা), মাস (বা), আবদুর রহমান
ইবন আওফ (রা) , আবু উবায়দা (রা), ইবন মাসউদ (রা) ও হুযায়ফ৷ (বা ) সহ ৭০ জন লোক
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে বের হল ৷ তারা আবুসুফিয়ানের পশ্চাদ্ধাবন করে ৷ র্তীরা সাফরা নামক
স্থানে এসে পৌছেন ৷ এ প্রেক্ষিতে আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করেন :

০ন্গ্শ্শ্ষ্ শ্ন্নন্ন্


“প্লুা; ,হ্র৷ ৷ , ৷, হু;হুৰুস্থু
এই আয়াতটি নাযিল হয় ৷ এই বর্ণনাটি ৷তাম্ভ গরীব পর্যায়ের ৷
ইবন হিশাম বলেন, আবু উবায়দা বলেছেন যে উহুদ দিবসে আবু সুফিয়ান যুদ্ধ শেষে ফিরে
গিয়েছিল ৷ তখনি পুনরায় মদীনায় আসার পরিকল্পনা করে সাফওয়ান ইবন উমাইয়৷ তাকে রলেছিল
যে, তেমনটি করােনা ৷ কারণ মুসলমানগণ এখন ক্ষেপে আছে ৷ আমার ভয় হচ্ছে যদি এ যাত্রার
তারা না পুর্বের চাইতে অধিক কার্যকর যুদ্ধ পরিচালনা করে তোমরা বরং মক্কায় ফিরে যাও !
ফলে তারা মক্কায় ফিরে পেল ৷ হামরাউল আসাদ গিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন তাদের পুনঃ
আক্রমণ প্রভৃতির সংবাদ পেলেন তখন তিনি বললেন, একটি প্রকাণ্ড পাথর ওদের জন্যে প্রস্তুত
হয়েই ছিল ৷ ওরা যদি সে পথে অগ্রসর হত তবে ঐ পাথর চাপা পড়ে সকলেই ধ্বংস হয়ে যেত ৷
ওই অভিযানে মদীনায় ফিরে আসার পুর্বে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) মুআরিয়া ইবন মুগীরা ইবন আবুল
আস ইবন উমাইয়া ইবন আবৃদ শামৃস-কে পাকড়াও করেন ৷ যে ছিল আবদুল মালিক ইবন
মারওয়ানের নানা ৷ আবদুল মালিকের মা ছিলেন ষুআবিয়ার কন্যা আইশা ৷ একই অভিযানে তিনি
আবু আয়য৷ জুমাহীকেও পাকড়াও করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবু আযষা জুমাহীকে বদর যুদ্ধে বন্দী
করেছিলেন ৷ তারপর দয়াবশত বিনা মুক্তিপংণ ছেড়ে দিয়েছিলেন ৷ উহুদ যুদ্ধে সে পুনরায়
কাফিরদের পক্ষে যুদ্ধ করতে আসে ৷ এবার বন্দী হবার পর সে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ আমার ক্ষমা
করে দিন ৷ তিনি বললেন, না , তা হবে না ৷ মক্কায় ফিরে গিয়ে তুমি পালে হাত বুলিয়ে বলবে,
আমি মুহাম্মাদ (না)-কে দু দুবার ঠকিয়েছি, তোমাকে সে সুযোগ দেয়া হবে না ৷ তিনি নির্দেশ দিয়ে
বললেন হে যুবায়র ! ওর গর্দান উড়িয়ে দাও ৷ যুবায়র (বা) তা কার্যকর করেন ৷
ইবন হিশাম ইবন মৃসায়িৰুব সুত্রে উদ্ধৃত বর্ণনায় যুবাহ্ারের স্থলে আসিম ইবন ছাবিভের নাম রয়েছে ৷
ইবন হিশাম বলেন, হযরত উহ্লোঃন (বা) যুআবিয়া ইবন যুপীরার নিরাপত্তার দায়িত্ব


الْمَدِينَةَ فَيَنْزِلُونَ بِبَدْرٍ الصُّغْرَى فِي كُلِّ سَنَةٍ مَرَّةً، وَأَنَّهُمْ قَدِمُوا بَعْدَ وَقْعَةِ أُحُدٍ وَكَانَ أَصَابَ الْمُسْلِمِينَ الْقَرْحُ، وَاشْتَكَوْا ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاشْتَدَّ عَلَيْهِمُ الَّذِي أَصَابَهُمْ وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَدَبَ النَّاسَ لِيَنْطَلِقُوا مَعَهُ وَيَتَّبِعُوا مَا كَانُوا مُتَّبِعِينَ، وَقَالَ لَنَا: إِنَّمَا يَرْتَحِلُونَ الْآنَ فَيَأْتُونَ الْحَجَّ، وَلَا يَقْدِرُونَ عَلَى مِثْلِهَا حَتَّى عَامَ قَابِلٍ. فَجَاءَ الشَّيْطَانُ يُخَوِّفُ أَوْلِيَاءَهُ، فَقَالَ: إِنَّ النَّاسَ قَدْ جَمَعُوا لَكُمْ. فَأَبَى عَلَيْهِ النَّاسُ أَنْ يَتَّبِعُوهُ، فَقَالَ: إِنِّي ذَاهِبٌ، وَإِنْ لَمْ يَتَّبِعْنِي أَحَدٌ فَانْتَدَبَ مَعَهُ أَبُو بَكْرٍ، وَعُمَرُ، وَعُثْمَانُ وَعَلِيٌّ وَطَلْحَةُ، وَالزُّبَيْرُ، وَسَعْدٌ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ، وَأَبُو عُبَيْدَةَ، وَابْنُ مَسْعُودٍ، وَحُذَيْفَةُ فِي سَبْعِينَ رَجُلًا، فَسَارُوا فِي طَلَبِ أَبِي سُفْيَانَ حَتَّى بَلَغُوا الصَّفْرَاءَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ: {الَّذِينَ اسْتَجَابُوا لِلَّهِ وَالرَّسُولِ مِنْ بَعْدِ مَا أَصَابَهُمُ الْقَرْحُ لِلَّذِينَ أَحْسَنُوا مِنْهُمْ وَاتَّقَوْا أَجْرٌ عَظِيمٌ} [آل عمران: 172] وَهَذَا غَرِيبٌ أَيْضًا. وَقَالَ ابْنُ هِشَامٍ:، حَدَّثَنَا أَبُو عُبَيْدَةَ أَنَّ أَبَا سُفْيَانَ بْنَ حَرْبٍ لَمَّا انْصَرَفَ يَوْمَ أُحُدٍ أَرَادَ الرُّجُوعَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَقَالَ لَهُمْ صَفْوَانُ بْنُ أُمَيَّةَ: لَا تَفْعَلُوا ; فَإِنَّ الْقَوْمَ قَدْ حَرِبُوا، وَقَدْ خَشِينَا أَنْ يَكُونَ لَهُمْ قِتَالٌ غَيْرَ الَّذِي كَانَ، فَارْجِعُوا. فَرَجَعُوا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِحَمْرَاءِ الْأَسَدِ حِينَ بَلَغَهُ أَنَّهُمْ هَمُّوا بِالرَّجْعَةِ:
পৃষ্ঠা - ২৭৪৩
وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَقَدْ سُوِّمَتْ لَهُمْ حِجَارَةٌ، لَوْ صُبِّحُوا بِهَا لَكَانُوا كَأَمْسِ الذَّاهِبِ. قَالَ: وَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي وَجْهِهِ ذَلِكَ - قَبْلَ رُجُوعِهِ إِلَى الْمَدِينَةِ - مُعَاوِيَةَ بْنَ الْمُغِيرَةِ بْنِ أَبِي الْعَاصِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ جَدَّ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ لِأُمِّهِ عَائِشَةَ بِنْتِ مُعَاوِيَةَ وَأَبَا عَزَّةَ الْجُمَحِيَّ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَسَرَهُ بِبَدْرٍ ثُمَّ مَنَّ عَلَيْهِ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَقِلْنِي. فَقَالَ: لَا وَاللَّهِ، لَا تَمْسَحُ عَارِضَيْكَ بِمَكَّةَ تَقُولُ: خَدَعْتُ مُحَمَّدًا مَرَّتَيْنِ، اضْرِبْ عُنُقَهُ يَا زُبَيْرُ. فَضَرَبَ عُنُقَهُ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَبَلَغَنِي عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ الْمُؤْمِنَ لَا يُلْدَغُ مِنْ جُحْرٍ مَرَّتَيْنِ، اضْرِبْ عُنُقَهُ يَا عَاصِمَ بْنَ ثَابِتٍ فَضَرَبَ عُنُقَهُ. وَذَكَرَ ابْنُ هِشَامٍ أَنَّ مُعَاوِيَةَ بْنَ الْمُغِيرَةِ بْنِ أَبِي الْعَاصِ اسْتَأْمَنَ لَهُ عُثْمَانُ عَلَى أَنْ لَا يُقِيمَ بَعْدَ ثَلَاثٍ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَهَا زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ، وَعَمَّارَ بْنَ يَاسِرٍ وَقَالَ سَتَجِدَانِهِ فِي مَكَانِ كَذَا وَكَذَا فَاقْتُلَاهُ فَفَعَلَا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا.
পৃষ্ঠা - ২৭৪৪

নিয়েছিলেন এই শতে র্ড,যে যে তিন দিনের বেশী মদীনায় থাকবে না ৷ কিন্তু শর্ত ভঙ্গ করে সে

মমানায় থেকে যায় ৷ তিন দিন পর রাসুলুল্লাহ্ ৷ধ্সা) যায়দ ইবন হারিছাকে এবং আমার ইবন
ইয়াসিরকে পাঠিয়ে বললেন, তোমরা অমুক স্থানে গিয়ে তাকে দেখতে পারে ৷ সেখানে তোমরা
তাকে হত্যা করবে ৷ তারা দৃজনে তাই করেছিলেন ৷

ইবন ইসহ্াক বলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) অভিযান ৷শষে মদীনায় ফিরে গেলেন ৷ ষুহরী আমার
নিকট বর্ণনা করেছেন যে মদীনায় আবদুল্লাহ ইবন ৬রাইএ একটি নির্দিষ্ট স্থান ছিল ৷ প্রতি
জুা৷বার সে ওখানে র্দাড়াত ৷ তার ব্যক্তিত্ব এবং বশে মর্যাদার দরন সকলে তাকে সম্মান করত ৷
রাসুলুল্লা২ ৷ সা)জু মাবাষ্র খৃতর৷ দেয়ার জন্যে বললে আরদুল্পাহ্ ইবন ট্রবাই তা র ৷নির্দিষ্ট স্থানে ৷গযে
র্দাড়াত এবং বলত, হে লোক সকল ! এই যে আপনাদের সম্মুখে রাসৃলুল্লাহ্ (সা ) ৷ তার মাধ্যমে
আল্লাহ্ তাআলা আপনাদেরকে সম্মানিত ও মর্যাদাবান করোছনাঃ আপ্ব্বনার৷ তাকে সাং ৷য৷ ও সম্মান
করবেন ৷ তার নির্দেশ পালন করবেন ৷ এবং তার আনুগত্য করবেন ৷ এরপর সে বসে যেত ৷
উহুদ দিরসে তার অপকর্মঢি লোকজন ফেরার পর রাসুলুল্পাহ্ ৷সা৷ তার সাহাবীগণাক নিয়ে যখন
মদানাহ্৷ ফিরে এলেন তখন আরদুল্লাহ্ ইবনন্বট :বইি জুমাবাভ্রুর পুর্বের৩ মত তার নির্দিষ্ট স্থানে দাড়িয়ে
বক্তব্য দািত ৷গ্ারুয়ছিল ৷ কিন্তু মুসলমানগণ ৷>৷রিদিক থেকে তার জামা কাপড় টেনে ধরেন এবং
বনা;নন, ৷ ২ আল্লাহ্র দুশমন ! তুমি বসে পড়, তুমি এই কাজের যোগ৷ ন ও ! তুমি যে অপকর্ম
করেছ তা তাে করেছই ৷ যে মানুষের ঘাড় টপকািয় বেরিয়ে যেতে লাগল এবং বলতে লাগল
আল্লাহ্র কসম, আমি যেন খারাপ কথা বলেছি আমিও তা দাড়িয়েছিলাম তার কাজকর্ম সমর্থন
করতে, তাকে শক্তিশালী করতে ৷ বেরিয়ে যাওয়ার পথে মসজিদের দরজায় কতক এানসারী
সাহাবীর সাথে তার দেখা হয় ৷ তারা বললেন ব্যাপার কী কী হয়েছে ? সে রলল আমি
মুহাম্া৷দের ক ৷জ-কর্য সমর্থনও তা শক্তিশালী করার জন্যে দাড়িয়ােছনাম ৷ত তার ক শুক সাহাবী
এসে আমাকে টেনে নামিয়ে দিন এবং আমার সাথে কঠোর আচরণ করল ৷ আমি যেন মন্দ কথা
বলেছি মুলত সামি র্দাড়িয়েছিলাম তাকে সমর্থন করতে তাকে শক্তিশালী করতে ৷ আন সারী
সাহাবীগ ৷ণ বলানপ্ সর্বনাশ, ফিরে চলো, রাসৃলুল্লাহৃ (না) তোমার জন্যে দু আ করবেন ৷ সে
বলল, না , ভ্রা৷মার জন্যে তিনি দুআ করুন আমি তা চাইন৷ ৷

এরপর ইবন ইসভ্র ত্াক সুরা আসে ইমরানে উহদ যুদ্ধ সম্পর্কিত যে সব আয়াত রয়েছে
সেগুলো উল্লে র করেছেন ৷ অর্থাৎ ট্রু;,ট্রুৰুাছু ট্টা’

ইবন ইসহাক এ আয়াত গুলো সম্পর্কে র্টছু বক্তব্যও রেখেছেন ৷ এ বিষয়ে আমরা তাফসীর
গ্রন্থে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷ আগ্রহীদের জন্যে তাই যথেষ্ট ৷ এরপর ইবন ইসহাক তার
নীতি অনুযায়ী উহুদের শহীদগণের নাম, পিতার নাম ও গোত্রের উল্লেখসহ্ পরিচয় ও সংখ্যা বর্ণনা
করেছেন ৷ এ প্রসংপে তিনি : জন যুহাজির শহীদের নাম উল্লেখ করেছেন ৷ তারা হ্লেন হযরত
হ্যময৷ (রা), মুসআব ইবন উমায়র (রা) , আবদুল্লাহ ইবন জাহ্শ কো ও শাম্মাস ইবন উসমনৈ
৷ র৷ ) ৷ তিনি এ প্রসংগে ৬১ জন আনসারী সাহার্বীর নাম উল্লেখ করে শহীদ্যেহ সংখ্যা ৬৫ জন


قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمَّا رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ كَمَا حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ لَهُ مَقَامٌ يَقُومُهُ كُلَّ جُمُعَةٍ، لَا يُنْكَرُ لَهُ، شَرَفًا فِي نَفْسِهِ وَفِي قَوْمِهِ، وَكَانَ فِيهِ شَرِيفًا، إِذَا جَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَهُوَ يَخْطُبُ النَّاسَ، قَامَ فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، هَذَا رَسُولُ اللَّهِ بَيْنَ أَظْهُرِكُمْ، أَكْرَمَكُمُ اللَّهُ بِهِ، وَأَعَزَّكُمْ بِهِ، فَانْصُرُوهُ وَعَزِّرُوهُ وَاسْمَعُوا لَهُ وَأَطِيعُوا. ثُمَّ يَجْلِسُ حَتَّى إِذَا صَنَعَ يَوْمَ أُحُدٍ مَا صَنَعَ، وَرَجَعَ النَّاسُ، قَامَ يَفْعَلُ ذَلِكَ كَمَا كَانَ يَفْعَلُهُ، فَأَخَذَ الْمُسْلِمُونَ بِثِيَابِهِ مِنْ نَوَاحِيهِ، وَقَالُوا: اجْلِسْ أَيْ عَدُوَّ اللَّهِ، وَاللَّهِ لَسْتَ لِذَلِكَ بِأَهْلٍ، وَقَدْ صَنَعْتَ مَا صَنَعْتَ. فَخَرَجَ يَتَخَطَّى رِقَابَ النَّاسِ وَهُوَ يَقُولُ: وَاللَّهِ لَكَأَنَّمَا قُلْتُ بُجْرًا أَنْ قُمْتُ أُشَدِّدُ أَمْرَهُ. فَلَقِيَهُ رِجَالٌ مِنَ الْأَنْصَارِ بِبَابِ الْمَسْجِدِ فَقَالُوا: وَيْلَكَ، مَا لَكَ؟ قَالَ: قُمْتُ أُشَدِّدُ أَمْرَهُ فَوَثَبَ إِلَيَّ رِجَالٌ مِنْ أَصْحَابِهِ يَجْذِبُونَنِي وَيُعَنِّفُونَنِي، لَكَأَنَّمَا قُلْتُ بُجْرًا أَنْ قُمْتُ أُشَدِّدُ أَمْرَهُ. قَالُوا: وَيْلَكَ. ارْجِعْ يَسْتَغْفِرْ لَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: وَاللَّهِ مَا أَبْتَغِي أَنْ يَسْتَغْفِرَ لِي. ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ: مَا نَزَلَ مِنَ الْقُرْآنِ فِي قِصَّةِ أُحُدٍ مِنْ سُورَةِ آلِ
পৃষ্ঠা - ২৭৪৫
عِمْرَانَ عِنْدَ قَوْلِهِ: {وَإِذْ غَدَوْتَ مِنْ أَهْلِكَ تُبَوِّئُ الْمُؤْمِنِينَ مَقَاعِدَ لِلْقِتَالِ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ} [آل عمران: 121] قَالَ: إِلَى تَمَامِ سِتِّينَ آيَةً. وَتَكَلَّمَ عَلَيْهَا، وَقَدْ بَسَطْنَا الْكَلَامَ عَلَى ذَلِكَ فِي كِتَابِنَا " التَّفْسِيرِ " بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ. ثُمَّ شَرَعَ ابْنُ إِسْحَاقَ فِي ذِكْرِ شُهَدَاءِ أُحُدٍ وَتَعْدَادِهِمْ بِأَسْمَائِهِمْ وَأَسْمَاءِ آبَائِهِمْ عَلَى قَبَائِلِهِمْ، كَمَا جَرَتْ عَادَتُهُ، فَذَكَرَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ أَرْبَعَةً ; حَمْزَةَ، وَمُصْعَبَ بْنَ عُمَيْرٍ، وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ جَحْشٍ، وَشَمَّاسَ بْنَ عُثْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، وَمِنَ الْأَنْصَارِ إِلَى تَمَامِ خَمْسَةٍ وَسِتِّينَ رَجُلًا، وَاسْتَدْرَكَ عَلَيْهِ ابْنُ هِشَامٍ خَمْسَةً آخَرِينَ، فَصَارُوا سَبْعِينَ عَلَى قَوْلِ ابْنِ هِشَامٍ ثُمَّ سَمَّى ابْنُ إِسْحَاقَ مَنْ قُتِلَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ، وَهُمُ اثْنَانِ وَعِشْرُونَ رَجُلًا، عَلَى قَبَائِلِهِمْ أَيْضًا. قُلْتُ: وَلَمْ يُؤْسَرْ مِنَ الْمُشْرِكِينَ سِوَى أَبِي عَزَّةَ الْجُمَحِيِّ كَمَا ذَكَرَهُ الشَّافِعِيُّ وَغَيْرُهُ، وَقَتَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَبْرًا بَيْنَ يَدَيْهِ ; أَمَرَ الزُّبَيْرَ - وَيُقَالُ عَاصِمَ بْنَ ثَابِتِ بْنِ أَبِي الْأَقْلَحِ - فَضَرَبَ عُنُقَهُ.