আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثلاث من الهجرة

غزوة أحد

فصل في قتال أم عمارة نسيبة بنت كعب المازنية يوم أحد

পৃষ্ঠা - ২৬৯১


আমি বলি, হযরত হুযায়ফ৷ র ৷প৩ ৷ ইয়ামান নিহত হওয়ার পটভুমি এই যে ইয়ামান এবং
ছাবিত ইবন ওয়াক্শ দুজনে মহিলাদের সাথে টিলাব উপর অবস্থান করছিলেন ৷ বার্ধক্য ও দৃর্বলতার
প্রেক্ষিতে৩ ৷ ওখানে ছিলেন ৷ তারা বললেন, গাধার তৃষ্ণা (স্বল্প সময়) ব্যতীত আমাদের
জীবনেরণ্ডে ৷ কিছু অবশিষ্ট নেই ৷ একথা বলে তারা যুদ্ধের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লেন ৷ ঘটনাক্রমে
র্তারা বেরিয়েছিলেন মুশরিকদের নিকটস্থ পথে ৷ ফলে মুশরিকর৷ ছাবিত (রা)-কে হত্যা করে ৷
আর ভুলবশত মুসলমানগণ ইয়ামান (রা) (ক শহীদ করে :ফলেন ৷ হযরত হুযায়ফা( (বা)
মুসলমানদের বিরুদ্ধে তার পিতার রক্তপণের দাবী ক্ষমা করে সে ন ৷ গ্রহণযোগ্য ওযরের কারণে
ঘটনার সাথে জড়িত ক ৷উকে তিনি দােষারুপ করেননি ৷

কাতাদা ইবন নু’মানের চোখ পুনঃন্থাপন

ইবন ইসহাক বলেন, সেদিন কাতাদা ইবন নুমানের একটি চোখে আঘাত লেগেছিল ৷
চোখটি স্থানচ্যুত হয়ে তার মুখমণ্ডলে ঝুলে পড়ে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজ হাতে চােখটি যথাস্থানে
বসিয়ে দেন ৷ পরে দুই চোখের মধ্যে এটিই বেশী সুন্দর ও ত্তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সম্পন্ন হয়ে উঠে ৷ হযরত
জাবির (বা) থেকে হাদীছে বর্ণিত আছে যে, উহুদ দিবসে কাতাদা ইবন নু’মানের চোখে আঘাত
লাগে ৷ চাে ৷খটি তার মুখের উপর ঝুলে পড়ে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সেটি য়থান্থানে বসিয়ে দেন৷ পরে
দুচোখের মধ্যে সেটিই সুন্দর ও প্ৰখর দৃষ্টির অধিকারী হয় ৷ অন্য চোখ মাঝে মাঝে রেম্পোগ্নস্ত হত;
কিন্তু এটি কোন দিন বোপাক্রাত হত না ৷

দারাকুতনী স্বয়ং কাতাদার বরাতে এ বংনাি উদ্ধৃত করেছেন ৷ এতে তিনি বলেছেন, উহুদ
দিবসে আমার দুচােখেই আঘাত লাগে ৷ দুচোখ আমার পালের উপর ঝুলে পড়ে ৷ এ অবস্থায়
আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আসি ৷ তিনি চোখ দুটো যথান্থানে বসিয়ে দেন এবং একটু লালা
লাগিয়ে দেন ৷ ফলে দুটো ৷ই প্ৰখর দৃষ্টির অধিকারী হয় ৷

তবে তার একটি চোখে আঘাত লাগার প্রথম বংানাটি বিশুদ্ধত ৩র ৷ এজনােই উমার ইবন

আবদুল আযিয়ের শাসনামলে কাতাদার পুত্র যখন তার নিকট উপস্থিত হয় তখন তিনি বলেছিলেন,
আপনি (ক ? উত্তরে ছন্দাক ৷রে৩ তিনি বলেছিলেন :

ট্টটুা৷ দ্বু১ক্ট্র৷ ট্রু,ট্রু৷ ৷ঠুা
আমি সেই ব্যক্তির পুত্র যার চোখ ঝুলে৩ তার গানের উপর পড়েছিল ৷ এরপর মুস্তাফা (সা )
স্বহস্তে সুন্দরভ ৷বে সেটি যথান্থানে ত৷ ৷াপুনঃন্থ পন করেছিলেন ৷
র্দুাঠ্র্চু
এরপর সেটি হয়ে গেল তেমন যেমনটি ছিল ইতিপুর্বে ৷ বাহ্ ! কী চমৎকার ওই চোখ ! বাহ
কী চমৎকার ওই গন্ডদেশ ৷

তখন উমর ইবন আবদুল আযীয নিজেও কবিতার ছন্দে ঐ ঘটনার প্রশংসা করে সাদর
অভ্যর্থনা জানান এবং তাকে মুল্যবান উপচৌকন প্রদান করেন ৷


[فَصْلٌ فِي قِتَالِ أُمِّ عُمَارَةَ نَسِيبَةَ بِنْتِ كَعْبٍ الْمَازِنِيَّةِ يَوْمَ أُحُدٍ] فَصْلٌ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَقَاتَلَتْ أُمُّ عُمَارَةَ نَسِيبَةُ بِنْتُ كَعْبٍ الْمَازِنِيَّةُ يَوْمَ أُحُدٍ، فَذَكَرَ سَعِيدُ بْنُ أَبِي زَيْدٍ الْأَنْصَارِيُّ أَنَّ أُمَّ سَعْدٍ بِنْتَ سَعْدِ بْنِ الرَّبِيعِ كَانَتْ تَقُولُ: دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ عُمَارَةَ، فَقُلْتُ لَهَا: يَا خَالَةُ، أَخْبِرِينِي خَبَرَكِ. فَقَالَتْ: خَرَجْتُ أَوَّلَ النَّهَارِ أَنْظُرُ مَا يَصْنَعُ النَّاسُ وَمَعِي سِقَاءٌ فِيهِ مَاءٌ، فَانْتَهَيْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي أَصْحَابِهِ، وَالدَّوْلَةُ وَالرِّيحُ لِلْمُسْلِمِينَ، فَلَّمَا انْهَزَمَ الْمُسْلِمُونَ انْحَزْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُمْتُ أُبَاشِرُ الْقِتَالَ، وَأَذُبُّ عَنْهُ بِالسَّيْفِ، وَأَرْمِي عَنِ الْقَوْسِ، حَتَّى خَلَصَتِ الْجِرَاحُ إِلَيَّ. قَالَتْ: فَرَأَيْتُ عَلَى عَاتِقِهَا جُرْحًا أَجْوَفَ لَهُ غَوْرٌ، فَقُلْتُ لَهَا: مَنْ أَصَابَكِ بِهَذَا؟ قَالَتْ: ابْنُ قَمِئَةَ أَقْمَأَهُ اللَّهُ، لَمَّا وَلَّى النَّاسُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْبَلُ يَقُولُ: دُلُّونِي عَلَى مُحَمَّدٍ، لَا نَجَوْتُ إِنْ نَجَا. فَاعْتَرَضْتُ لَهُ أَنَا وَمُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ وَأُنَاسٌ مِمَّنْ ثَبَتَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَضَرَبَنِي هَذِهِ الضَّرْبَةَ، وَلَقَدْ ضَرَبْتُهُ عَلَى ذَلِكَ ضَرَبَاتٍ، وَلَكِنَّ عَدُوَّ اللَّهِ كَانَتْ عَلَيْهِ دِرْعَانِ.
পৃষ্ঠা - ২৬৯২

উহুদ যুদ্ধে উম্মে আমার প্রমুখের বীরত্ব প্রদশ্নি

ইবন হিশাম বলেন, উম্মু আমারা নাসীব৷ বিনৃত কাব মাযিনী (বা) উহুদ দিবসে যুদ্ধে অংশ
গ্রহণ করেন ৷ এ প্রসত্বুগ সাঈদ ইবন আবু যায়দ আনসারী বলেন যে উম্মু সাদ বিন্ত সাদ ৩ইবন
সম্পর্কে কিছু বলুন ৷ তিনি বললেন, ওই দিন আমি সকাবুলর দিকে বের হয়ে পড়ি ৷ লোকজন কী
করছে আমি তা দেখছিলাম ৷ আমার সাথে একটি পানি ভর্তি মশক ছিল ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর নিকট পর্যন্ত পৌছে যাই ৷ সেখানে তার সাহাবীগণ ছিলেন ৷ তখন মুসলমানদের
বিজয়ের পালা চলছিল ৷ কিন্তু পরবতীৰিত যখন মুসলমানগণ পরাজিত হলেন, তখন আমি
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর নিকট গিয়ে আশ্রয় নিলাম ৷ আমি তাবুক রক্ষা র জবুন৷ সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত
হই ৷ তরবারি পরিচালনা কবুর এবং তীর নিক্ষেপ করে শত্রুদেরকে দুরে তাড়িয়ে দিই ৷ এতে
আমি যখন হই ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আমি তবে কী ৷ধে যখমের চিহ্ন ৷দাখছি ৷ সেটি ছিল বৃত্তাকার
গভীর গত ৷ কে এই আঘাত করেছিলত ৷আমি তাবুক জিজ্ঞেস কবি ৷ ৷হুন্শুনি বললেন , ওই আঘাত
করেছিল অভিশপ্ত ইবন কামিয়া ৷ সাথিগণ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) থেকে দুরে চলে যাওয়ার পর সে এসে
বলল, মুহাম্মাদ কোথায় আমাকে দেখিয়ে দাও ৷ সে বেচে থাকলে আমার রক্ষা নেই ৷ আমি নিজে,
মুসআব ইবন উমায়র এবং অন্য কতক লোক রাসুলুল্লাহ্ (সা)-বুক রক্ষার জন্যে দাড়িয়ে গেলাম ৷
তখন সে আমার উপর এই আক্রমণ চালায় আমি তাকে পা ৷ল্ট৷ কয়েকবার আক্রমণ করি ; কিন্তু
আল্লাহর সেই দৃশমন দুটো ৷লৌহবর্ম পরিহিত ছিল যার কলেত তার গায়ে আঘাত লাগেনি ৷

ইবন ইসহাক বলেন , আবু দৃজানা নিজে ঢাল স্বরুপ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) — এর সম্মুখে দাড়িয়ে যান ৷
তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দিকে মুখ করে একটুখানি ঝুবুক অবস্থান (নন ৷ শত্রুর তীরগুলাে তার
পিঠে এসে বিধবুত থাকে ৷ তাতে করে বহু তীর তার পিঠে বিদ্ধ হয় ৷ ইবন ইসহাক বলেন,
আসিম ইবন উমর ইবন কাতাদা আমাকে জানিয়েছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) ত৷ র ধনুক দিয়ে তীর
নিক্ষেপ করেছিলেন ৷ এক পর্যায়ে ধ্নুবুকর মাথা দু ”টি ভেঙ্গে যায় ৷ কাত ৷দা ইবন নু মান ওই ধনুক
নিয়ে যান ৷ সেটিত ৷ব ৷নিকটই থাকত ৷

ইবন ইসহাক বলেন, বানু আদী ইবন নাজ্জার গোত্রের লোক কাসিম ইবন আবদুর রহমান
বলেছেন, আনাস ইবন মালিকের চাচা আনাস ইবন নাযর গিয়ে পৌছলেন উমর ইবন খাত্তাব ও
তালহ৷ ইবন উবায়দুল্লাহ্ সহ কতক মুহাজির ও আনসার সাহাবীর নিকট ৷ তারা সকলে তখন হাত
গুটিয়ে বসে রয়েছিলেন ৷ তিনি বললেন, আপনারা হাত গুটিয়ে বসে আছেন কেন ? তারা বললেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তো নিহত হয়েছেন ৷ তিনি বলেন, তাহলে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর অবর্তমাবুন
আপনাদের বেচে থাকার কী অর্থ ? বরং উঠুন, যুদ্ধ করুন যে জন্যে রাসুলুল্লাহ্ ( সা ) প্রাণ দিয়েছেন
আপন৷ ৷রাও সে উদ্দেবুশ্য প্রাণ বিসর্জন দিন ৷ এরপর তিনি শত্রুবুদর মুখোমুখি হলেন ৷ এবং যুদ্ধ
করবুত করতে শহীদ হলেন ৷ত তার নাম অনুসাবুরই আনাস ইবন মালিকের নাম রাখা হয় ৷ হুমায়দ
আততাবীল আমাকে জ লিখেছেন যে, আনাস ইবন মালিক বলেছেন, উহুদের দিবসে আমরা
আনাস ইবন নাযবুরর দেহে ৭০টি আঘাত দেখেছি ৷ একমাত্র তার বোন ব্যতীত অন্য কেউ তার
লাশ সনাক্ত করতে পারেনি ৷ তবে হাতের আঙ্গুল দেখে তিনি তাকে সনাক্ত করেছিলেন ৷ ইবন


قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَترَّسَ أَبُو دُجَانَةَ دُونَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَفْسِهِ، يَقَعُ النَّبْلُ فِي ظَهْرِهِ، وَهُوَ مُنْحَنٍ عَلَيْهِ، حَتَّى كَثُرَ فِيهِ النَّبْلُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَمَى عَنْ قَوْسِهِ حَتَّى انْدَقَّتْ سِيَتُهَا، فَأَخَذَهَا قَتَادَةُ بْنُ النُّعْمَانِ فَكَانَتْ عِنْدَهُ» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ رَافِعٍ أَخُو بَنِي عَدِيِّ بْنِ النَّجَّارِ قَالَ: انْتَهَى أَنَسُ بْنُ النَّضْرِ عَمُّ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَطَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ فِي رِجَالٍ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ، وَقَدْ أَلْقَوْا بِأَيْدِيهِمْ، فَقَالَ: فَمَا يُجْلِسُكُمْ؟ قَالُوا: قُتِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَمَا تَصْنَعُونَ بِالْحَيَاةِ بَعْدَهُ؟ ! قُومُوا فَمُوتُوا عَلَى مَا مَاتَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ اسْتَقْبَلَ الْقَوْمَ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، وَبِهِ سُمِّيَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ. فَحَدَّثَنِي حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: لَقَدْ وَجَدْنَا بِأَنَسِ بْنِ النَّضْرِ يَوْمَئِذٍ سَبْعِينَ ضَرْبَةً، فَمَا عَرَفَهُ إِلَّا أُخْتُهُ، عَرَفَتْهُ بِبَنَانِهِ.
পৃষ্ঠা - ২৬৯৩
قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ أُصِيبَ فُوهُ يَوْمَئِذٍ، فَهَتِمَ وَجُرِحَ عِشْرِينَ جِرَاحَةً أَوْ أَكْثَرَ، أَصَابَهُ بَعْضُهَا فِي رِجْلِهِ فَعَرَجَ. صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَمُتْ فِي أُحُدٍ] فَصْلٌ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ عَرَفَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بَعْدَ الْهَزِيمَةِ وَقَوْلِ النَّاسِ: قُتِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. كَمَا ذَكَرَ لِي الزُّهْرِيُّ - كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ: رَأَيْتُ عَيْنَيْهِ تُزْهِرَانِ مِنْ تَحْتِ الْمِغْفَرِ، فَنَادَيْتُ بِأَعْلَى صَوْتِي: يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ، أَبْشِرُوا هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَأَشَارَ إِلَيَّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أَنْصِتْ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا عَرَفَ الْمُسْلِمُونَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَضُوا بِهِ، وَنَهَضَ مَعَهُمْ نَحْوُ الشِّعْبِ، مَعَهُ أَبُو بَكْرٍ الصَّدِّيقُ، وَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَطِلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، وَالزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ، وَالْحَارِثُ بْنُ الصِّمَّةِ وَرَهْطٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَلَمَّا أُسْنِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الشِّعْبِ أَدْرَكَهُ أُبَيُّ
পৃষ্ঠা - ২৬৯৪

হিশাম বলেন, কেউ কেউ আমাকে জানিয়েছেন যে, আবদুর রহমান ইবন আউফ সেদিন মুখে
আঘাত পেয়েছিলেন ৷ তাতে তার র্দাত ভেঙ্গে গিয়েছিল ৷৩ তার দেহে কুড়িটির ও বেশী আঘাত
লেগেছিল ৷ তার কতক ছিল পায়ে ৷ ফলে তিনি খুড়িয়ে চলতেন ৷

অধ্যায় : ইবন ইসহাক বলেন, মুসলমানদের ছত্রভঙ্গ হওয়া এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিহত
হয়েছেন এই গুজব রটনার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে সর্বপ্রথম সনাক্ত করেন কাব ইবন মালিক
(বা) ৷ যুহরী বলেছেন যে, এ প্রসং গে কাব ইবন মালিক বলেচেন, আমি দেখতে পেলাম যে,
রাসুলুল্লাহ (সা ) এর শিরস্ত্রাণের নীচ দিয়ে তার চোখ দু’টি থেকে আলো ঠিকরে বােবাচ্ছে ৷ আমি
উচ্চস্বরে চীৎকার করে বলে উঠলাম, হে যুসলমানগণ! সৃসংবন্দে নিন, এই যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
এখানে আছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইশারায় আমাকে চুপ থাকতে বললেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, মুসলমানগণ রাসুলুল্লাহ্ (সা) (ক চিনতে ৷;পরে তাকে ধরে উঠালেন ৷
তিনি তাদের সাথে গিরিপথের দিকে রওয়ানা হলেন ৷ আবু বকর বাসদ্দকৈ (বা) উমার ইবন খাত্তাব
(রা), আ ৷লী ইবন আবুতা ৩ালিব (বা), তা ৩ালহ৷ ইবন উবায়দৃল্লাহ্ (রা), যুবায়র ইবন আওয়াম (রা) ,
হারিছ ইবন সাম্মাহ (রা ) ও একজন মুসলমান তখন তার সাথে ছিলেন ৷ তিনি বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ৷
এ সময় উবাই ইবন খালাফ সেখানে হাযির হয় ৷ ইবন ইসহাক বলেন, সালিহ ইবন কায়সান ইবন
আবদুর রহমান ইবন আওফ আমাকে জানিয়েছেন যে, মক্কায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে উব ই
ইবন খালাফের দেখ৷ হলে সে বলত হে মুহাম্মাদ! আমার একটি ওে ন্জী ঘোড়৷ আছে ৷ প্রতিদিন
আমি সেটিকে প্রায় ৮ সের তাজা ঘাস খেতে দেই ৷ ওই ঘোড়ার চড়ে আমি তোমাকে হত্যা
করব ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে বলতেন, বরং ইনশা-আল্লাহ্ আমি (তাকে হত্যা করব ৷
উহুদের যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাতে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে সে কুরায়শদের নিকট ফিরে যায় ৷ তার
ঘাড়ে আঘাত লেগেছিল ৷ সেটি খুব বড় ক্ষত ছিল না ৷ সেখানে রক্ত জমাট বেধেছিল ৷ তা
প্রবাহিত হয়নি ৷ সে তখন বলছিল, আল্লাহর কসম, মুহাম্মাদ (সা) তো আমাকে খুন করে
ফেলেছে ৷ তার সাথীরা বলল, আসলে এটি তোমার মনের ভয় ৷ আল্লাহর কসম, তোমার আঘাত
তো সামান্য মাত্র ৷ সে বলেছিল, মক্কাতে মুহাম্মাদ আমাকে বলেছিল যে সে আমাকে হত্যা
করবে ৷ এখন সে যদি আমার প্ৰতি ৩থুথুও নিক্ষেপ করত ৩তবু আমি মারা যেত ৷ম ৷ মক্কা ফেরার
পথে সারিক নামক স্থানে আল্লাহর এ দুশমনের মৃঙু তা হয় ৷ ইবন ইসহাক বলেন, এ প্রসংগে
হাসৃসান ইবন ছাবিত নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করেন :


সে তো তার পিতা উব ই থেকে উত্তরাধিকার সুত্রে এ ভ্রষ্টত ৷ পেয়েছে ৷ সেদিন রাসুলুল্লাহ্
(সা ) তার বিরুদ্ধে লড়াই করলেন ৷


,)টুছু,ঠু ন্
একটি পুরনো হাড় হাতে নিয়ে ঙুমিষ্ তার নিকট এসেছে ৷ তুমিত তাকে ভয় দেখাচ্ছিলে ৷ অথচ
তীর অবস্থান ও মর্যাদা সষ্পকে তুমি নিত ৷ম্ভই অজ্ঞ ৷


بْنُ خَلَفٍ. فَذَكَرَ قَتْلَهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أُبَيًّا كَمَا تَقَدَّمَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ أُبَيُّ بْنُ خَلَفٍ - كَمَا حَدَّثَنِي صَالِحُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ - يَلْقَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ فَيَقُولُ: يَا مُحَمَّدُ، إِنَّ عِنْدِي الْعَوْدَ ; فَرَسًا أَعْلِفُهُ كُلَّ يَوْمٍ فَرَقًا مِنْ ذُرَةٍ، أَقْتُلُكَ عَلَيْهِ. فَيَقُولُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بَلْ أَنَا أَقْتُلُكَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، فَلَّمَا رَجَعَ إِلَى قُرَيْشٍ وَقَدْ خَدَشَهُ فِي عُنُقِهِ خَدْشًا غَيْرَ كَبِيرٍ، فَاحْتَقَنَ الدَّمُ، فَقَالَ: قَتَلَنِي وَاللَّهِ مُحَمَّدٌ. فَقَالُوا لَهُ: ذَهَبَ وَاللَّهِ فُؤَادُكَ، وَاللَّهِ إِنَّ بِكَ بَأْسٌ. قَالَ: إِنَّهُ قَدْ كَانَ قَالَ لِي بِمَكَّةَ: أَنَا أَقْتُلُكَ. فَوَاللَّهِ لَوْ بَصَقَ عَلَيَّ لَقَتَلَنِي. فَمَاتَ عَدُوُّ اللَّهِ بِسَرِفٍ وَهُمْ قَافِلُونَ بِهِ إِلَى مَكَّةَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ: فِي ذَلِكَ: لَقَدْ وَرِثَ الضَّلَالَةَ عَنْ أَبِيهِ ... أُبَيٌّ يَوْمَ بَارَزَهُ الرَّسُولُ
পৃষ্ঠা - ২৬৯৫

’মোঃট্ট এ
বানু নাজ্জা র গোত্র তোমাদের থেকে উম ৷ইয়াকে হত্যা করেছে ৷ যখন ৫ ন ফবিয়াদ জানাচ্ছিল
আর বলছিলপৃ হে আকীল
রাবী আ এর দুপু এই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ৷ যখন তারা আবু জাহলের আনুগত্য করেছে ৷
ওদের মা তো ধ্বং সশীল৷ বটে ৷
’ ৷

হে হারিছ ! তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ এ কারণে যে, আমাদের সকলকে তোমরা যুদ্ধে ব্যস্ত
রেখেছিলে ৷ বস্তুত তার সম্প্রদায়ের লোকজন কমই ৷

হাসৃসান ইবন ছাবিত (বা ) আরো বলেছেন :

১া৷

কে আছে, আমার পক্ষ থেকে উবাইকে এ সংবাদ পৌছিয়ে দেবে যে হে উবাই তুমি তো
জাহান্ন৷ মের আগুনে নিক্ষিপ্ত হয়েছে ৷



তুমিব্ব তা সত্য থেকে বহু দুরের ভ্রান্তি কামনা কর ৷ তুমি যদি সক্ষম হও তবে এই
সতকর্তকারীর মুকাবিলায় টিকে থাক ৷

fl ’ fl

তোমার সকল কামনা বাসনা তো মিথ্যা ও অসত্যকে ঘিরে আবর্তিত ৷ কুফরী কথাবার্তা শেষ
পর্যন্ত প্ৰতারণায় পর্যবসিত হয় ৷
’ ঞ এে

প্রচণ্ড আত্মসম্মানবাে ধের অধিকারী নবী (সা) এর বর্শ৷ তোমাকে আঘাত করেছে ৷ তিনি স্ন্তুাম্ভ
ব ংশীয় ৷ অশ্লীলত৷ তাকে স্পর্শ করেনি ৷
সৎ গুণাবলী বিবেচনায় প্ৰশংসনীয় বিষয়গুলো ৷র মুল্যায়নে তিনি সকল মানুষের চাইতে শ্রেষ্ঠ ৷
ইবন ইসহাক বলেন, গিরিপথের প্রবেশ মুখে যাবার পর আলী (বা) তার ঢাল ভর্তি করে পানি
নিয়ে এলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তা পান করতে পেলেন ৷ কিন্তু তাতে দুর্গন্ধ পেলেন ৷ ফলে ওই


أَتَيْتَ إِلَيْهِ تَحْمِلُ رِمَّ عَظْمٍ ... وَتُوعِدُهُ وَأَنْتَ بِهِ جَهُولُ وَقَدْ قَتَلَتْ بَنُو النَّجَّارِ مِنْكُمْ ... أُمَيَّةَ إِذْ يُغَوِّثُ يَا عَقِيلُ وَتَبَّ ابْنَا رَبِيعَةَ إِذْ أَطَاعَا ... أَبَا جَهْلٍ لِأُمِّهِمَا الْهَبُولُ وَأَفْلَتَ حَارِثٌ لَمَّا شُغِلْنَا ... بِأَسْرِ الْقَوْمِ أُسْرَتُهُ فَلِيلُ وَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ أَيْضًا: أَلَا مَنْ مُبْلِغٌ عَنِّي أُبَيًّا ... فَقَدْ أُلْقِيتَ فِي سُحُقِ السَّعِيرِ تَمَنَّى بِالضَّلَالَةِ مِنْ بَعِيدٍ ... وَتُقْسِمُ إِنْ قَدَرْتَ مَعَ النُّذُورِ تَمَنِّيكَ الْأَمَانِي مِنْ بَعِيدٍ ... وَقَوْلُ الْكُفْرِ يَرْجِعُ فِي غُرُورِ فَقَدْ لَاقَتْكَ طَعْنَةُ ذِي حِفَاظٍ ... كَرِيمِ الْبَيْتِ لَيْسَ بِذِي فُجُورِ لَهُ فَضْلٌ عَلَى الْأَحْيَاءِ طُرًّا ... إِذَا نَابَتْ مُلِمَّاتُ الْأُمُورِ
পৃষ্ঠা - ২৬৯৬
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا انْتَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى فَمِ الشِّعْبِ، خَرَجَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ حَتَّى مَلَأَ دَرَقَتَهُ مَاءً مِنَ الْمِهْرَاسِ، فَجَاءَ بِهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيَشْرَبَ مِنْهُ، فَوَجَدَ لَهُ رِيحًا فَعَافَهُ وَلَمْ يَشْرَبْ مِنْهُ، وَغَسَلَ عَنْ وَجْهِهِ الدَّمَ، وَصَبَّ عَلَى رَأْسِهِ وَهُوَ يَقُولُ: " اشْتَدَّ غَضَبُ اللَّهِ عَلَى مَنْ دَمَّى وَجْهَ نَبِيَّهُ " وَقَدْ تَقَدَّمَ شَوَاهِدُ ذَلِكَ مِنَ الْأَحَادِيثِ الصَّحِيحَةِ بِمَا فِيهِ الْكِفَايَةُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَبَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الشِّعْبِ، مَعَهُ أُولَئِكَ النَّفَرُ مِنْ أَصْحَابِهِ، إِذْ عَلَتْ عَالِيَةٌ مِنْ قُرَيْشٍ الْجَبَلَ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ فِيهِمْ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اللَّهُمَّ إِنَّهُ لَا يَنْبَغِي لَهُمْ أَنْ يَعْلُونَا فَقَاتَلَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَرَهْطٌ مَعَهُ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ حَتَّى أَهْبَطُوهُمْ مِنَ الْجَبَلِ، وَنَهَضَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى صَخْرَةٍ مِنَ الْجَبَلِ لِيَعْلُوَهَا، وَقَدْ كَانَ بَدَّنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَظَاهَرَ بَيْنَ دِرْعَيْنِ، فَلَمَّا ذَهَبَ لِيَنْهَضَ لَمْ يَسْتَطِعْ، فَجَلَسَ تَحْتَهُ طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ فَنَهَضَ بِهِ حَتَّى اسْتَوَى عَلَيْهَا، فَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ الزُّبَيْرِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَوْمَئِذٍ: أَوْجَبَ طَلْحَةُ
পৃষ্ঠা - ২৬৯৭

পানি পান করলেন না ৷ সেটি দিয়ে রক্ত ধুয়ে নিলেন এবং মাথায় ঢাললেন ৷ তিনি তখন রলছিলেন ,
“যারা নবীর মুখমণ্ডল রক্তাক্ত করেছে তাদের উপর আল্লাহর অসন্তুষ্টি কঠোর হোক ! এ বিষয়ে
ইতিপুর্বে পযাপ্ত সংখ্যক সহীহ হাদীছ আমরা উল্লেখ করেছি ৷

ইবন ইসহাক বলেন , রাসুলুল্লাহ্ (সা) গিরি সংকটে অবস্থান করছিলেন ৷ তার সাথে উল্লিখিত
সাহাবীপণ ছিলেন ৷ কুরায়শের একটি দল তাদেরকে লক্ষ্য করে উপরে উঠতে লাগল ৷ ইবন
হিশাম বলেন, ওই দর্লে খালিদ ইবন ওলীদও ছিল ৷ ইবন ইসহাক বলেন, রড়াসুলুল্লাহ্ ( না) তখন
বললেন হে আল্লাহ্ ! ওরা আমাদের নিকট পর্যন্তও যেন না অত্যেতে পারে ৷

হযরত উমার (বা) ও কতক মুহাজির মুসলমান ওদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে
ওদেরকে পাহাড় থেকে নামিয়ে দিলেন ৷ রড়াসুলুল্লাহ্ (সা ) একটি পা থরে উঠতে প্রয়াস পেলেন ৷
কিন্তু তার পরিধানে দুটো লৌহবর্য ছিল ৷ ফলে তিনি পাথরের উপর উঠতে পারলেন না ৷ এ
অবস্থায় তালহা ইবন উবায়দুল্লাহ্ বসে পড়লেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) তার পিঠে উঠলেন ৷ তালহা
র্তাকে নিয়ে পাথরের উপরে উঠে এলেন ৷ ইয়াহ্য়া ইবন আব্বাদ — যুবায়র (বা) সুত্রে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন, সেদিন আমি শুনেছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জন্যে তালহা যা করেছিলেন তার
প্রেক্ষিতে তিনি বলছিলেন “তালহার জন্যে জান্নাত অবধারিত হয়ে গিয়েছে ৷

ইবন হিশাম বলেন, আফরার আযাদকৃত গোলাম উমর বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) শরীরে
আঘাত প্রাপ্ত হওয়ায় ওই দিন যুহরের নামায বসে বসে আদায় করেন ৷ মুসলমানপণও বসে বসে
নামায আদায় করেছিলেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন, আসিম ইবন উমর ইবন কাতাদা বলেছেন,
আমাদের মধ্যে জনৈক আগন্তুকের আগমন ঘটেছিল তার পরিচয় কারো নিকট জানা ছিল না ৷
তাকে কুযমান’ নামে ডাকা হচ্ছিল ৷ তার সম্পর্কে আলোচনা হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলতেন “ সে
অবশ্যই জড়াহান্নামী” ৷ উহুদ দিবসে মুসলমানদের সপক্ষে সে প্রচণ্ড যুদ্ধ করে ৷ ৭৮ জন
মুশরিককে সে একাই হত্যা করে ৷ যে খুব শক্তিশালী ছিল ৷ এক পর্যায়ে শত্রু পক্ষের আঘাতে
আঘাতে সে অচল হয়ে পড়ে ৷ বানু যফর গোত্রের এলাকায় তাকে বয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তার
সম্পর্কে মুসলমানপণ বলতে থাকেন যে, হে কুয়মান, তুমি আজকে ভীষণ কষ্ট ভোগ করেছ ৷ এর
বিনিময়ে পুরস্কারের সুসংবাদ গ্রহণ কর! সে বলল, কেমন সুসংবাদ নেব , আমি তো লড়াই করেছি
আমার সম্প্রদায়ের ইজ্জত রক্ষার্থে, তা নাহলে আমি আদৌ লড়াই করতাম না ৷ এক পর্যায়ে তার
ক্ষতস্থানে ভীষণ ব্যথা শুরু হয় ৷ নিজের ভুণ থেকে সে একটি তীর বের করে সেটি দ্বারা
আত্মহত্যা করে ৷ এ রকম একটি ঘটনা খায়বারের যুদ্ধেও ঘটেছিল, তার বিবরণ অবিলম্বে আসবে
ইনশাআল্লাহ্ ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন আবদুর রাঘৃযাক আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, আমরা রড়াসুলুল্পাহ্ (সা)-এর সাথে খায়বারের যুদ্ধে উপ ত ছিলাম ৷ ইসলাম
গ্রহণের দাবীদার এক লোকের দিকে ইঙ্গিত করে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এই লোকটি
জাহান্নামী’ ৷ যুদ্ধ শুরু হল, লোকটি প্রচণ্ড লড়াই করছিল ৷ এক পর্যায়ে সে আহত হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা)ষ্কে জানানো হল যে, যে ব্যক্তিকে আপনি জাহড়ান্নড়ামী বলেছিলেন সে তো প্রচণ্ড যুদ্ধ করেছে
আজ এবং আহত হয়ে মারা গেছে ৷ তিনি বললেন, যে জাহান্নড়ামীই বটে ৷ র্তার এ কথায় কারো

১ :

حِينَ صَنَعَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذَ مَا صَنَعَ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَذَكَرَ عُمَرُ مَوْلَى غُفْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الظَّهْرَ يَوْمَ أُحُدٍ قَاعِدًا مِنَ الْجِرَاحِ الَّتِي أَصَابَتْهُ، وَصَلَّى الْمُسْلِمُونَ خَلْفَهُ قُعُودًا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ قَالَ: كَانَ فِينَا رَجُلٌ أَتَى لَا يُدْرَى مَنْ هُوَ، يُقَالُ لَهُ: قُزْمَانُ. فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِذَا ذُكِرَ لَهُ: إِنَّهُ لَمِنْ أَهْلِ النَّارِ قَالَ: فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ أُحُدٍ قَاتَلَ قِتَالًا شَدِيدًا، فَقَتَلَ وَحْدَهُ ثَمَانِيَةً أَوْ سَبْعَةً مِنَ الْمُشْرِكِينَ، وَكَانَ ذَا بَأْسٍ، فَأَثْبَتَتْهُ الْجِرَاحَةُ، فَاحْتُمِلَ إِلَى دَارِ بَنِي ظَفَرٍ. قَالَ: فَجَعَلَ رِجَالٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَقُولُونَ لَهُ: وَاللَّهِ لَقَدْ أَبْلَيْتَ الْيَوْمَ يَا قُزْمَانُ فَأَبْشِرْ. قَالَ: بِمَاذَا أُبْشِرُ؟ فَوَاللَّهِ إِنْ قَاتَلْتُ إِلَّا عَنْ أَحْسَابِ قَوْمِي، وَلَوْلَا ذَلِكَ مَا قَاتَلْتُ. قَالَ: فَلَمَّا اشْتَدَّتْ عَلَيْهِ جِرَاحَتُهُ أَخَذَ سَهْمًا مِنْ كِنَانَتِهِ فَقَتَلَ بِهِ نَفْسَهُ. وَقَدْ وَرَدَ مِثْلُ قِصَّةِ هَذَا فِي غَزْوَةِ خَيْبَرَ كَمَا سَيَأْتِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ.
পৃষ্ঠা - ২৬৯৮
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «شَهِدْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ فَقَالَ لِرَجُلٍ مِمَّنْ يَدَّعِي الْإِسْلَامَ: هَذَا مِنْ أَهْلِ النَّارِ. فَلَمَّا حَضَرَ الْقِتَالُ قَاتَلَ الرَّجُلُ قِتَالًا شَدِيدًا، فَأَصَابَتْهُ جِرَاحَةٌ، فَقِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، الرَّجُلُ الَّذِي قُلْتَ: إِنَّهُ مِنْ أَهْلِ النَّارِ. قَاتَلَ الْيَوْمَ قِتَالًا شَدِيدًا، وَقَدْ مَاتَ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِلَى النَّارِ فَكَادَ بَعْضُ الْقَوْمِ يَرْتَابُ، فَبَيْنَمَا هُمْ عَلَى ذَلِكَ، إِذْ قِيلَ: فَإِنَّهُ لَمْ يَمُتْ، وَلَكِنْ بِهِ جِرَاحٌ شَدِيدَةٌ. فَلَمَّا كَانَ مِنَ اللَّيْلِ لَمْ يَصْبِرْ عَلَى الْجِرَاحِ، فَقَتَلَ نَفْسَهُ، فَأُخْبِرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ فَقَالَ: اللَّهُ أَكْبَرُ، أَشْهَدُ أَنِّي عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ. ثُمَّ أَمَرَ بِلَالًا فَنَادَى فِي النَّاسِ: أَنَّهُ لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلَّا نَفْسٌ مُسْلِمَةُ، وَأَنَّ اللَّهَ يُؤَيِّدُ هَذَا الدِّينَ بِالرَّجُلِ الْفَاجِرِ» . وَأَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ بِهِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ مِمَّنْ قُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ مُخَيْرِيقُ وَكَانَ أَحَدَ بَنِي ثَعْلَبَةَ بْنِ الْفِطْيَوْنَ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ أُحُدٍ قَالَ: يَا مَعْشَرَ يَهُودَ، وَاللَّهِ لَقَدْ عَلِمْتُمْ أَنَّ نَصْرَ مُحَمَّدٍ عَلَيْكُمْ لَحَقٌّ. قَالُوا: إِنَّ الْيَوْمَ يَوْمُ السَّبْتِ. قَالَ: لَا سَبْتَ لَكُمْ. فَأَخَذَ سَيْفَهُ وَعُدَّتَهُ وَقَالَ: إِنْ أُصِبْتُ فَمَالِي لِمُحَمَّدٍ يَصْنَعُ فِيهِ مَا شَاءَ. ثُمَّ غَدَا إِلَى
পৃষ্ঠা - ২৬৯৯


কারো সৎশয় সৃষ্টি হওয়ার উপক্রম হয় ৷ এ অবস্থায় খবর পাওয়া গেল যে ওই লোক মারা যায়নি ৷
ববং ভীষণভাবে আহত অবস্থায় রয়েছে ৷ ওই রাতে ক্ষত ও আঘাতের যন্ত্রণায় সে অস্থির হয়ে
উঠে ৷ শেষ পর্যন্ত অধৈর্য হয়ে সে আত্মহত্যা করে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে তা জানানো হলে তিনি
বলে উঠলেন, আল্লাহ আকবর, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি আল্লাহর বান্দ৷ ও রাসুল ৷ এরপর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত বিলাল (রা) কে নির্দেশ দিলেন ৷ নির্দেশক্রমে তিনি ঘোষণা দিলেন যে,
মুসলমান ব্যভীত কেউ জ ৷ন্নাতে যাবে না এবং পাপাচা ৷রী ব্যক্তি দ্বারা আৰু:াহ্ তা আনা এই দীনকে
সাহায্য করবেন ৷ ইমাম বুখারী ও মুসলিম (র)৩ তাদের সহীহ্ গ্রন্থে আবদুর রাযযাক সুত্রে এই
হাদীছটি উদ্ধৃত করেছেন ৷
ইবন হসহাক বলেন, ডহ্দ যুদ্ধে নিহ৩দের একজন ছিলেন মুখ্যয়রীক ৷ সে বানু ছালাব৷ ইবন

পীভুন গোত্রের লোক ছিল ৷ উহুদ দিবসে সে৩ার সম্প্রদায়কে ডেকে বলল, হে ইয়াহুদী সম্প্রদায়
আল্লাহর কসম, তোমরা তো জান যে, মুহাম্মাদ (সা) কে সাহায্য করা তোমাদের কর্তব্য ৷ তারা
বলল, আজ তো ৷শনিবার ৷ সে বলল, ৫৩ আমাদের কোন শনিবার নেই ৷ সে তার যুদ্ধ সরঞ্জাম ও

তরবারি নিয়ে বেরিয়ে পড়ল এবং বলল, আমি যুদ্ধে নিহত হলে আমার সকল ধন সম্পদ মুহাম্মাদ
(সা) এর জন্যে হয়ে যাবে ৷ তিনি ওই সম্পদে যা চান৩াই করবেন ৷ ভোরে সে রাসুলুল্লাহ্
(সা ) এর নিকট উপস্থিত হয় এবং তার পক্ষে যুদ্ধ করে শহীদ হয়, আমরা যা জেনেছি যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, মুখায়রীক হল শ্রেষ্ঠ ইয়াহুদী ৷ সুহায়লী বলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মুখায়রীকের সম্পদগুলো ৭টি বাগান মদীনায় আল্লাহর পথে ওয়াকফ করে দেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন
কা’ব বলেন, এটি ছিল মদীনায় প্রথম ওয়াক্ফ সম্পত্তি ৷ আবদুর আবদুর শ্



ইবন ইসহাক বলেন, হুসায়ন ইবন আবদুর রহমান — ৰু আবু হুরায়রা ( রা) থেকে বর্ণনা
করেন, তিনি বলতেন যে, আপনারা আমাকে এমন একজন লোকের নাম বলুন, যে জান্নাতে
প্রবেশ করেছে অথচ এক ওয়াক্ত নামাযও পড়েনি ৷ লোকজন উত্তর প্ৰদা নে অপারণ হয়ে বলত যে,
আপনি বরৎ৩ার পরিচয় বলে দিন ৷ তিনি বলতে ন, সে হল আবদ আশহাল গোত্রের আমর ইবন
ছাবিত ইবন ওয়াকশ ওরফে উসায়রিম ৷ হুসায়ন বলেন, আমি বলেছিলাম মাহমুদকে যে, উসায়রিম
(কমন লোক ছিল ৷ তিনি বললেন, ত ৷র সম্প্রদায়ের সাথে সেও ইসলাম গ্রহণে অস্বীকৃতি জান নাত ৷
কিভুই খ্হুদ দিবসে তার সুমতি ৩হয় ৷ সে ইসলাম গ্রহণ করে ৷ এরপর তরবারি হাতে যুদ্ধ ময়দানে
উপস্থিত হয় ৷ প্রচণ্ড যুদ্ধ চালিয়ে যায় সে ৷ এক পর্যায়ে সে আহত হয় ৷ বানু আবদুল আশহাল
গোত্রের লোকেরা৩ ৷ ৩াদের যুদ্ধের ময়দানে নিহত ব্যক্তিদের লাশ খুজছিল ৷ হঠ৷ ৷ৎ৩ তারা উসায়রিমকে
দেখতে পায় ৷ তারা বলে এ যে, উসায়রিম ৷ যে এখানে কেন এল ? আমরা তাে তাকে বাড়ীতে
রেখে এসেছি যে, সে ইসলাম গ্রহণে অস্বীকৃতিও জ্ঞাপন করেছিল ৷ তারা বলল, হে আমর ! তুমি
যুদ্ধের ময়দানে কেন এসেছে ? আপন সম্প্রদায়ের প্রতি বিরক্ত (হত,, না ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট
হয়ে ? তিনি বললেন বরং আমি এসেছি ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ৷ আমি আল্লাহ ও তার
রাসুলের প্রতি ঈমান এসেছি ৷ আমি ইসলাম গ্রহণ ৷করেছি ৷ তারপর তরবারি হাতে বেরিয়ে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে মিলিত হয়েছি ৷ এরপর আমি এমনকি আহত ও আঘা৩ প্রাপ্ত হয়েছি যা
এখনও আমার দেহে বিদ্যমান আছে ৷ এর অল্প কিছুক্ষণ ৷পরই তাদের চোখের সামনে তিনি শহীদ
হন ৷ তার কথা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে জ ৷নানে৷ হলে৩ তিনি বললেন, যে জ৷ ৷ন্নাভী ৷


رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَاتَلَ مَعَهُ حَتَّى قُتِلَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا بَلَغَنَا: مُخَيْرِيقُ خَيْرُ يَهُودَ قَالَ السُّهَيْلِيُّ: فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمْوَالَ مُخَيْرِيقَ - وَكَانَتْ سَبْعَ حَوَائِطَ - أَوْقَافًا بِالْمَدِينَةِ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ الْقُرَظِيُّ: وَكَانَتْ أَوَّلَ وَقْفٍ بِالْمَدِينَةِ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي الْحُصَيْنُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُمَرَ بْنِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ مَوْلَى ابْنِ أَبِي أَحْمَدَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: حَدِّثُونِي عَنْ رَجُلٍ دَخَلَ الْجَنَّةَ لَمْ يُصَلِّ قَطُّ. فَإِذَا لَمْ يَعْرِفْهُ النَّاسُ سَأَلُوهُ: مَنْ هُوَ؟ فَيَقُولُ: أُصَيْرِمُ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ، عَمْرُو بْنُ ثَابِتِ بْنِ وَقْشٍ. قَالَ: الْحُصَيْنُ: فَقُلْتُ لِمَحْمُودِ بْنُ لَبِيدٍ: كَيْفَ كَانَ شَأْنُ الْأُصَيْرِمِ؟ قَالَ: كَانَ يَأْبَى الْإِسْلَامَ عَلَى قَوْمِهِ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ أُحُدٍ بَدَا لَهُ، فَأَسْلَمَ ثُمَّ أَخَذَ سَيْفَهُ، فَغَدَا حَتَّى دَخَلَ فِي عَرْضِ النَّاسِ، فَقَاتَلَ حَتَّى أَثْبَتَتْهُ الْجِرَاحَةُ. قَالَ: فَبَيْنَمَا رِجَالٌ
পৃষ্ঠা - ২৭০০

ইবন ইসহাক বলেন, বানু সালাম৷ গোত্রের কতক শায়খ থেকে আমার পিত৷ বর্ণনা করেছেন
যে, আমর ইবন জামুহ ছিলেন একান্ত খোড়৷ এক লোক ৷ তার : পুত্র ছিলেন ৷ তারা সিংহের মত
সাহসী ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথী হয়ে৩ তারা বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে অংশ গ্রহণ করতে ন ৷ উহুদ দিবসে
তারা তাদের পিতা আমর ইবন জামুহকে ঘরে বসিয়ে রাখা র পক্ষপাতী ছিলেন ৷৩ তারা বলেছিলেন
যে, আল্লাহ তা জানা তো আপনাকে ওযরগ্রস্ত করেছেন ৷ তখন আমর রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর নিকট
এসে বললেন, আমার ছেলেরা এই যুক্তিতে আমাকে যুদ্ধ থেকে ধারণ করতে চায় ৷ অথচ আমি
চাই আমার এই খোড়৷ পায়ে ভয় করে জান্নাতে ৩প্ৰবেশ করি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, বস্তুতঃ
আল্লাহ তা আলা আপনাকে ওযরগ্নস্ত করেছেন, আপনার উপর জিহাদ বাধ্যতামুলক নয় ৷ তার
পুত্রদেরকে রাসুলুল্লাহ (না) বললেন যে, তোমরা তীকে ক্তিন্ ধ্াদোতে বাধ৷ ৷দিওন৷ ৷ কারণ
মন ও হতে পারে যে, আল্লাহ্ তা আলা তাকে শাহাদরু৩ তর ময়দাি দান করবেন ৷ আমর ইবন
জামুহ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে জিহাদে বের হলেন এবং ওই উহুদ ৷দবসে যুদ্ধে শহীদ হলেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন, হিনদ বিনৃত উতব৷ এবং তার সাথী মহিলারা সেদিন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
সাহাবীগ্যণর অঙ্গচ্ছেদ করতে শুরু করে ৷ তারা তাদের নাক কান ক টভৈ লাগল ৷ এক পর্যায়ে
হিনদ তার পায়ের মল নাকের দৃল এবং গলার হার খুলে ওয়াহ্শীকে দিয়ে দেয় এবং মুসলমানদের
নাক কান কেটে মালা ও মল বানিয়ে গলায় ও পায়ে পরিধান করে ৷ হযরত হাময৷ (রা)-এর
কলিজা কেটে এনে সে চিবাতে থাকে ৷ কিন্তু গিলতে পারলাে না ৷ অগত্যা যে তা ফেলে দিল ৷
মুসা ইবন উক্ব৷ বলেন, হযরত হাময৷ (রা)-এর কলিজা কেটে এনেছিল ওয়াহ্শী ৷ সেটি এনে সে
হিনদর হাত তুলে দেয় ৷ হিন্দে সেটি চিবাতে থাকে ৷ কিন্তু গিলতে পারেনি ৷ আল্লাহ্ই ভ
জানেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, এরপর হিন্দ একটি উচু পাথরে উঠে এবং উচ্চস্বরে চীৎকার করে
নিম্নের কবি৩ ৷গুলাে আবৃত্তি করে ং

# , fl , fl ×
,

আজ আমরা তোমাদের উপর বদর দিবসের প্ৰতিশোধ নিয়েছি ৷ এক যুদ্ধের পর আরেক যুদ্ধ
আরো তীব্র হয় ৷

উতব৷ নিহত হবার পর আমার ধৈর্য ধারণ করার অবস্থা ছিল না ৷ ড্ডাপ আমার তাই, তার চাচা
এবং বকরের হত্যাকাণ্ড আমাকে ভীষণ বিচলিত করেছিল ৷

০ : ,


এখন আমি শাস্তি পেয়েছি ৷ আমি আমার মানত পুর্ণ করেছি ৷ হে ওয়াহ্শী ! তুমি আমার
মনের (বদনার উপশম করে দিয়েছ ৷



مِنْ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ يَتَلَمَّسُونَ قَتْلَاهُمْ فِي الْمَعْرَكَةِ، إِذَا هُمْ بِهِ، فَقَالُوا: وَاللَّهِ إِنَّ هَذَا لَلْأُصَيْرِمُ، مَا جَاءَ بِهِ؟ ! لَقَدْ تَرَكْنَاهُ وَإِنَّهُ لِمُنْكِرٌ لِهَذَا الْحَدِيثِ! فَسَأَلُوهُ فَقَالُوا: مَا جَاءَ بِكَ يَا عَمْرُو ; أَحَدَبٌ عَلَى قَوْمِكَ، أَمْ رَغْبَةٌ فِي الْإِسْلَامِ؟ فَقَالَ: بَلْ رَغْبَةٌ فِي الْإِسْلَامِ، آمَنْتُ بِاللَّهِ وَبِرَسُولِهِ وَأَسْلَمْتُ، ثُمَّ أَخَذْتُ سَيْفِي وَغَدَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَاتَلْتُ حَتَّى أَصَابَنِي مَا أَصَابَنِي. فَلَمْ يَلْبَثْ أَنْ مَاتَ فِي أَيْدِيهِمْ، فَذَكَرُوهُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنَّهُ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَشْيَاخٍ مِنْ بَنِي سَلَمَةَ قَالُوا: كَانَ عَمْرُو بْنُ الْجَمُوحِ رَجُلًا أَعْرَجَ شَدِيدَ الْعَرَجِ، وَكَانَ لَهُ بَنُونَ أَرْبَعَةٌ مِثْلُ الْأُسْدِ، يَشْهَدُونَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَشَاهِدَ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ أُحُدٍ أَرَادُوا حَبْسَهُ، وَقَالُوا: إِنَّ اللَّهَ قَدْ عَذَرَكَ. فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: إِنَّ بَنِيَّ يُرِيدُونَ أَنْ يَحْبِسُونِي عَنْ هَذَا الْوَجْهِ وَالْخُرُوجِ مَعَكَ فِيهِ، فَوَاللَّهِ إِنِّي لَأَرْجُوَ أَنَّ أَطَأَ بِعَرْجَتِي هَذِهِ فِي الْجَنَّةِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَّا أَنْتَ فَقَدَ عَذَرَكَ اللَّهُ، فَلَا جِهَادَ عَلَيْكَ وَقَالَ لِبَنِيهِ مَا عَلَيْكُمْ أَنْ لَا تَمْنَعُوهُ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَرْزُقَهُ الشَّهَادَةَ فَخَرَجَ مَعَهُ فَقُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَوَقَعَتْ هِنْدُ بِنْتُ عُتْبَةَ - كَمَا حَدَّثَنِي صَالِحُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ২৭০১
كَيْسَانَ - وَالنِّسْوَةُ اللَّائِي مَعَهَا، يُمَثِّلْنَ بِالْقَتْلَى مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُجْدِعْنَ الْآذَانَ وَالْأُنُوفَ، حَتَّى اتَّخَذَتْ هِنْدُ مِنْ آذَانِ الرِّجَالِ وَأُنُوفِهِمْ خَدَمًا وَقَلَائِدَ، وَأَعْطَتْ خَدَمَهَا وَقَلَائِدَهَا وَقِرَطَتَهَا وَحْشِيًّا وَبَقَرَتْ عَنْ كَبِدِ حَمْزَةَ فَلَاكَتْهَا، فَلَمْ تَسْتَطِعْ أَنْ تُسِيغَهَا فَلَفَظَتْهَا. وَذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ أَنَّ الَّذِي بَقَرَ كَبِدَ حَمْزَةَ، وَحْشِيٌّ فَحَمَلَهَا إِلَى هِنْدٍ فَلَاكَتْهَا فَلَمْ تَسْتَطِعْ أَنْ تُسِيغَهَا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ عَلَتْ عَلَى صَخْرَةٍ مُشْرِفَةٍ، فَصَرَخَتْ بِأَعْلَى صَوْتِهَا فَقَالَتْ: نَحْنُ جَزَيْنَاكُمْ بِيَوْمِ بَدْرٍ ... وَالْحَرْبُ بَعْدَ الْحَرْبِ ذَاتُ سُعْرِ مَا كَانَ لِي عَنْ عُتْبَةَ مِنْ صَبْرِ ... وَلَا أَخِي وَعَمِّهِ وَبِكْرِي شَفَيْتُ نَفْسِي وَقَضَيْتُ نَذْرِي ... شَفَيْتَ وَحْشِيُّ غَلِيلَ صَدْرِي فَشُكْرُ وَحْشِيٍّ عَلَيَّ عُمْرِي ... حَتَّى تَرِمَّ أَعْظُمِي فِي قَبْرِي قَالَ: فَأَجَابَتْهَا هِنْدُ بِنْتُ أُثَاثَةَ بْنِ عَبَّادِ بْنِ الْمُطَّلِبِ فَقَالَتْ: خَزِيتِ فِي بَدْرٍ وَبَعْدَ بَدْرِ ... يَا بِنْتَ وَقَّاعٍ عَظِيمِ الْكُفْرِ
পৃষ্ঠা - ২৭০২

ওয়াহশীর প্ৰতি আমার জীবনভর কৃতজ্ঞ থাকতে হবে ৷ যতক্ষণ না কবরের মধ্যে আমার হাড়
নিশ্চিহ্ন হয় ৷

ইবন ইসহাক বলেন, হিন্দ বিনতে উতবার উপরোক্ত কবিতার প্রতুন্ডোর হিন্দ বিনৃত উছাছা
ইবন আব্বাছ ইবন মুত্তা ৷লিব নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন :

শ্শ্শ্শ্শ্শ্

হে জঘন্য কাফিরের কন্যা, তুমি বদর দিবসে ও অপমানিত হয়েছ বদর দিবসের পরেও
অপমানিত হয়েছ ৷


উজ্জ্বল ভোর বেলায় আল্লাহ তাআলা হাশিম বংশীয়দের পক্ষ থেকে (তামার জন্যে যেন
প্রস্তুত করে দেন —

৩ ; র্চ
এহ্রা

প্রতিটি তরবারি যা সুতীক্ষ্ণ ধার সম্পন্ন ও কর্তনশীল ৷ মনে রেখ, হামযা (বা) আমার সিংহ
এবং আলী (বা) আমার ঈপল ৷


তোমার পিতা আমার নিকট একজন ৰিশ্বাসঘাতক মাত্র ৷ যুবক আলী হামযা (বা) যখন তাকে
আক্রমণ করলেন তখন তারা তার বক্ষে রক্তের কলপ লাগিয়ে দিলেন তার বক্ষ রক্তে রঞ্জিত
করে দিলেন ৷

, ) :


তামার এই কদর্য মানত অতম্ভে মন্দ ও অকল্যাণকর মানত ৷ ইবন ইসহাক বলেন, তখন
হুলায়স ইবন যিয়ান ছিল সম্মিলিত বাহিনীর নেত তা ৷ সে বানু হাবিছ ইবন আবদ মানাত গোত্রের
লোক ৷ সে আবুসুফিয়ানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল ৷ আবুসুফিয়ান তখন তার বর্শার ফল৷ দিয়ে হযরত
হামযা (বা ) এর চােয়ালে ঘোচ৷ মারছিল, গুতে৷ দিচ্ছিল, আর বলছিল, হে আত্মীয়ত ৷ ছিন্নকারী
এখন মজা বুঝ ৷ এ অবস্থা দেখে হুলায়স বলল, হে কিনান৷ গোত্র ! দেখ দেখ এই কুরায়শী নেত
তার চাচাত ভাইয়ের লাশের সাথে কেমন আচরণ করছে ! আবু সুফিয়ান বলল, ধুত্তুরী এ ঘটনা
প্রকাশ করোনা, কারণ, তা একটি ভুল পদক্ষেপ ছিল ৷ ইবন ইসহাক বলেন, আবু সুফিয়ান যখন
উহুদ প্রাম্ভরে ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিল তখন সে পাহাড়ে উঠে চীৎক৷ ৷র করে বলল, আমি খুশী ৷ যুদ্ধ
হল বালতিব ন্যায় ৷ আজকের দিবস বদর দিবসের প্রতিশোধ ৷ হুবল দেবতার জয় হোক ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) উমর (রা) কে বললেন, উঠে দাড়াও এবং ওর উত্তর দাও ৷ এবং বল আল্লাহ্ই
সর্বোচ্চ সুমহান ৷ আমাদের শহীদগণ জান্নাতে যাবে ৷ তোমাদের নিহতগণ জাহান্নামে যাবে ৷ আবু
সুফিয়ানবলল, হে উমর এদিকে আলো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) উমর (রা) কে বললেন যান তার
অবস্থা দেখে আসুন ৷ উমর (রা ) এগিয়ে এলেন, আবু সুফিয়ান তাকে বলল, আল্লাহর দোহাই দিয়ে


صَبَّحَكِ اللَّهُ غَدَاةَ الْفَجْرِ ... مِلْهَاشِمِيِّينَ الطِّوَالِ الزُّهْرِ بِكُلِّ قَطَّاعٍ حُسَامٍ يَفْرِي ... حَمْزَةُ لَيْثِي وَعَلَيٌّ صَقْرِي إِذْ رَامَ شَيْبٌ وَأَبُوكِ غَدْرِي ... فَخَضَّبَا مِنْهُ ضَوَاحِيَ النَّحْرِ وَنَذْرُكِ السُّوءُ فَشَرُّ نَذْرِ . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ الْحُلَيْسُ بْنُ زَبَّانَ أَخُو بَنِي الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ مَنَاةَ وَهُوَ يَوْمَئِذٍ سَيِّدُ الْأَحَابِيشِ، مَرَّ بِأَبِي سُفْيَانَ وَهُوَ يَضْرِبُ فِي شِدْقِ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بِزُجِّ الرُّمْحِ وَيَقُولُ: ذُقْ عُقَقُ. فَقَالَ الْحُلَيْسُ: يَا بَنِي كِنَانَةَ هَذَا سَيِّدُ قُرَيْشٍ يَصْنَعُ بِابْنِ عَمِّهِ مَا تَرَوْنَ لَحْمًا. فَقَالَ: وَيْحَكَ! اكْتُمْهَا عَنِّي، فَإِنَّهَا كَانَتْ زَلَّةً. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ حِينَ أَرَادَ الِانْصِرَافَ، أَشْرَفَ عَلَى الْجَبَلِ، ثُمَّ صَرَخَ بِأَعْلَى صَوْتِهِ: أَنْعَمَتْ فَعَالِ، إِنَّ الْحَرْبَ سِجَالٌ، يَوْمٌ بِيَوْمِ
পৃষ্ঠা - ২৭০৩
بَدْرٍ اعْلُ هُبَلُ. أَيْ أَظْهِرْ دِينَكَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعُمَرَ: قُمْ يَا عُمَرُ فَأَجِبْهُ، فَقُلْ: اللَّهُ أَعْلَى وَأَجَلُّ، لَا سَوَاءَ، قَتْلَانَا فِي الْجَنَّةِ وَقَتْلَاكُمْ فِي النَّارِ. فَقَالَ لَهُ أَبُو سُفْيَانَ: هَلُمَّ إِلَيَّ يَا عُمَرُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعُمَرَ: ائْتِهِ فَانْظُرْ مَا شَأْنُهُ. فَجَاءَهُ فَقَالَ لَهُ أَبُو سُفْيَانَ: أَنْشُدُكَ اللَّهَ يَا عُمَرُ، أَقَتَلْنَا مُحَمَّدًا؟ فَقَالَ عُمُرُ اللَّهُمَّ لَا، وَإِنَّهُ لِيُسْمَعُ كَلَامَكَ الْآنَ. قَالَ: أَنْتَ عِنْدِي أَصْدَقُ مِنَ ابْنِ قَمِئَةَ وَأَبَرُّ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ نَادَى أَبُو سُفْيَانَ: إِنَّهُ قَدْ كَانَ فِي قَتْلَاكُمْ مَثْلٌ، وَاللَّهِ مَا رَضِيتُ وَمَا سَخِطْتُ، وَمَا نَهَيْتُ وَلَا أَمَرْتُ. قَالَ: وَلَمَّا انْصَرَفَ أَبُو سُفْيَانَ نَادَى: إِنَّ مَوْعِدَكُمْ بَدْرٌ الْعَامَ الْقَابِلَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِرَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِهِ: قُلْ: نَعَمْ. هُوَ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ مَوْعِدٌ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ: اخْرُجْ فِي آثَارِ الْقَوْمِ، فَانْظُرْ مَاذَا يَصْنَعُونَ وَمَا يُرِيدُونَ، فَإِنْ كَانُوا قَدْ جَنَّبُوا الْخَيْلَ وَامْتَطُوا الْإِبِلَ، فَإِنَّهُمْ يُرِيدُونَ مَكَّةَ وَإِنْ رَكِبُوا الْخَيْلَ وَسَاقُوا الْإِبِلَ، فَهُمْ يُرِيدُونَ الْمَدِينَةَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنْ أَرَادُوهَا، لَأَسِيرَنَّ إِلَيْهِمْ فِيهَا ثُمَّ لَأُنَاجِزَنَّهُمْ قَالَ عَلِيٌّ: فَخَرَجْتُ فِي أَثَرِهِمْ أَنْظُرُ مَاذَا يَصْنَعُونَ، فَجَنَّبُوا الْخَيْلَ وَامْتَطُوا الْإِبِلَ وَوَجَّهُوا إِلَى مَكَّةَ.