سنة ثلاث من الهجرة

غزوة أحد

পৃষ্ঠা - ২৬২২

রাসুলুল্লাহ (সা) এর নির্দেশে ৷বানু কুরায়যা যুদ্ধের দিনে মাহীসা (রা) তাকে হত্যা করেছিলেন ৷
তখন তার ভাই হুয়াইসা তাকে গালমন্দ করেছিল এবং মাহীসা (বা) প্রভু ৷ত্তরে উপরোক্ত কথা
বলেছিলেন ৷ ওই দিনই হুয়ইিসা ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন ৷ আল্লাহ্ই৷ ভ ল জ নেন ৷

জ্ঞাতব্যং বায়হাকী ও ইমাম বুখারী (র) কা ব ইবন আশরাফ হত্যা র ঘটনার পুর্বে বানুনাযীর
গোত্রের যুদ্ধের বর্ণনা উল্লেখ করেছেন ৷ এরৎত তা তারা বর্ণনা করোছন উহুদ যুদ্ধের বিবরণের
পুর্বে ৷ তবে বানুনাযীর যুদ্ধের বিবরণ উহুদ যুদ্ধের বিবরণের পর উল্লেখ করাই সঠিক ও সমীচীন ৷
ইবন ইসহাক প্রমুখ ইতিহাসবিদগণ তাই করেছেন ৷ এর প্রমাণ এই যে বড়ানু নাযীর গোত্রকে
অবরোধ করে রাখার সময়ে মদ হারাম হওয়ার বিধান নাযিল হয় ৷ অন্যদিকে সহীহ্ হাদীস দ্বারা

সাব্যস্ত যে, কতক মুজাহিদ মদ পান করা অবস্থায় উহুদের যুদ্ধে শহীদ হভৈয়ছেন ৷ তাতে বুঝা যায়

উহুদ যুদ্ধের সময় মদ পান হালাল ছিল ৷ সেটি হারাম হয়েছে পরে ৷ অতএব, সাব্যস্ত হল যে, বড়ানু
নাযীর গোত্রের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে উহুদ যুদ্ধের পর ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
আরেকটি জ্ঞাতব্যং

বড়ানু কড়ায়নুকা যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল বদর যুদ্ধের পর ৷ উপরে তা আলোচিত হয়েছে ৷ কাব
ইবন আশরাফ ইয়াহ্রদী আওস গোত্রের হাতে হত হয়েছিল বদর যুদ্ধের পর ৷ বড়ানু নাযীর গোত্রের
যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল উহুদ যুদ্ধের পর ৷ এই বিবরণ অচিরেই আসছে ৷ ইয়াহুদী ব্যবসায়ী আবু
রাফি এর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল খাযরাজ গোত্রের হাতে উহুদ যুদ্ধের পর ৷ ইয়াহ্রদী গোত্র

বড়ানু কুরায়যার বিরুদ্ধে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল আহযাব তথা খন্দকের যুদ্ধের পর ৷ পরে সেই
বিবরণ আসবে ৷

তৃতীয় হিজরীর শাওয়াল সালে সংঘটিত উহুদ যুদ্ধ

উহুদ নামকরণ প্রসৎগে প্রন্থকার বলেছেন যে, অন্যান্য পাহাড় থেকে এটি পৃথক ও একাকী
অবস্থিত বলে এটি উহুদ নামে পরিচিত ৷ সহীহ হাদীস গ্রন্থে আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (যা) বলেছেন,
ধ্<১ঠু , ৷;১ম্ পুিন্ ৷ উহুদ এমন এক পাহাড় যেটি আমাদেরকে ভালবাসে এবং আমরাও
সেটিকে ভালবাসি ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, এর অর্থ হল আমরা উহুদ পাহাড়ের আশ-পাশের
অধিবাসীদেরকে ভালবাসি আর তারা আমাদেরকে ভালবাসে ৷ আবার কেউ বলেছেন, এর ব্যাখ্যা
হল, সফর থেকে ফেরার পথে উহুদ পাহাড় দৃষ্টিগােচর হলে বুঝা যায় যে, বাড়ীর কাছে এসে

পৌছেছে ৷ উহুদ পাহাড় যেন মুসলিম মুসাফিরদেরকে তাদের বাড়ী-ঘরের নিকটবর্তী পৌছার
সুসং বাদ দেয় যেমন প্রিয়জন তার প্রিয়জনকে সুসৎবাদ প্রদান করে ৷ কেউ কেউ বলেন যে, হাদীস
তার প্রকৃত ও প্রকাশ্য মর্মই প্রকাশ করছে ৷ (অর্থাৎ প্রকৃতই উহুদ পর্বত মু ’মিনদেরকে ভালবাসে
তার নিজস্ব চেতনা ও অনুভুতি দিয়ে ৷) যেমন আল্লাহ্ তা আলার বা ৷ণী ট্রু, পু ষ্টু ঠু ৷হু৷ ৷ষ্ ষ্ ,
ৰুা৷ ৷ মোঃ এরৎ কতক পাথর এমন যা আল্লাহর ভয়ে ধ্বসে পড়ে ৷ (২-বাক বা ং ৭৪) ৷ হাদীছে
আছে, আবু

উহুদ পাহাড় আমাদেরকে ভালরাসে ৷ আমরাও


[غَزْوَةِ أُحُدٍ] [سَبَبُ تَسْمِيَتِهَا وَأَحْدَاثِهَا] ٍ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ ثَلَاثٍ فَائِدَةٌ ذَكَرَهَا الْمُؤَلِّفُ فِي تَسْمِيَةِ أُحُدٍ: قَالَ: سُمِّيَ أُحُدٌ أُحَدًا ; لِتَوَحُّدِهِ مِنْ بَيْنِ تِلْكَ الْجِبَالِ، وَفِي " الصَّحِيحِ ": «أُحُدٌ جَبَلٌ يُحِبُّنَا وَنُحِبُّهُ» قِيلَ مَعْنَاهُ أَهْلُهُ. وَقِيلَ: لِأَنَّهُ كَانَ يُبَشِّرُهُ بِقُرْبِ أَهْلِهِ إِذَا رَجَعَ مِنْ سَفَرِهِ، كَمَا يَفْعَلُ الْمُحِبُّ. وَقِيلَ: عَلَى ظَاهِرِهِ، كَقَوْلِهِ: {وَإِنَّ مِنْهَا لَمَا يَشَّقَّقُ فَيَخْرُجُ مِنْهُ الْمَاءُ وَإِنَّ مِنْهَا لَمَا يَهْبِطُ مِنْ خَشْيَةِ اللَّهِ} [البقرة: 74] . وَفِي الْحَدِيثِ عَنْ أَبِي عَبْسِ بْنِ جَبْرٍ: «أُحُدٌ يُحِبُّنَا وَنُحِبُّهُ، وَهُوَ عَلَى بَابِ الْجَنَّةِ، وَعَيْرٌ يُبْغِضُنَا وَنُبْغِضُهُ، وَهُوَ عَلَى بَابٍ مِنْ أَبْوَابِ النَّارِ» . قَالَ السُّهَيْلِيُّ: مُقَوِّيًا لِهَذَا الْحَدِيثِ: وَقَدْ ثَبَتَ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، قَالَ: «الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ» . وَهَذَا
পৃষ্ঠা - ২৬২৩


তাকে ভালবাসি ৷ সেটি জান্নাতের দরজায় অবস্থিত ৷ আযর পাহাড় আমাদের প্রতি বৈরিতা পোষণ
করে ৷ আমরাও তাকে ঘৃণা করি ৷ সেটি অবস্থিত জাহান্নামের দরজাসমুহের একটির উপর ৷

এই হাদীছের সমর্থনে সুহায়লী বলেন, বিশুদ্ধ বর্ণনায় এসেছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :
;; , ¢; £:£fi মানুষ তার সাথেই থাকবে যার সাথে তার বন্ধুভু রয়েছে ৷ এটি সুহায়লী এর
একটি বিরল উপস্থাপনা ৷ কারণ, এই হাদীছ দ্বারা মানুষের অবস্থান বুঝানো হয়েছে ৷ পাহাড়তো
মানুষের অন্তর্ভুক্ত নয় ৷

এই যুদ্ধ সংঘটিত হয় তৃতীয় হিজরীর শাওয়াল মাসে ৷ ইমাম যুহরী, কাতড়াদা, মুসা ইবন
উক্বা এবং মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক ও ইমাম মালিক প্রমুখ এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন ৷ ইবন
ইসহাক বলেন, এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে শাওয়াল মাসের মাঝামাঝি সময়ে, কাতাদা বলেন,
শাওয়াল মাসের ১১ তারিখ শনিবারে তা সংঘটিত হয় ৷ ইমাম মালিক বলেন, দিনের প্রথম ভাগে
তা সংঘটিত হয় ৷ এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা নাযিল করেছেন :

ন্;াহ্র হুছুন্ন্সু হুা৷ , ,ামোঃ হুৰুান্; ব্লু,; ;ৰু;চু৷ বু,বু,;’; ;া£১৷ পুন্,ৰু ১১১১ ,

“স্মরণ করুন, যখন আপনি আপনার পরিজনবর্গেব নিকট হতে প্রত্যুষে বের হয়ে যুদ্ধের
জন্যে মুমিনদেরকে মাটিতে স্থাপন করছিলেন ৷ ” আল্লাহ সর্বগ্রোতা, সর্বজ্ঞ ৷ যখন তোমাদের
মধ্যে দু গোত্রের সাহস হারানাের উপক্রম হয়েছিল এবং আল্লাহ উভয়ের সহায়ক ছিলেন ৷
আল্লাহর প্রতিই যেন মু’মিনগণ নির্ভর করে ৷ এবং বদরের যুদ্ধে যখন তোমরা হীনবল ছিলে
আল্লাহ তো তোমাদেরকে সাহায্য করেছিলেন ৷ সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যাতে
তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর ৷ স্মরণ করুন, যখন আপনি মুমিনদেরকে বলছিলেন এটা কি
তোমাদের জন্যে যথেষ্ট নয় যে, তোমাদের প্রতিপালক প্রেরিত তিন হাজার ফেরেশতা দ্বারা
তোমাদেরকে সহায়তা করবেন ? হী, নিশ্চয় যদি তোমরা ধৈর্য ধারণ কর এবং সাবধান হয়ে চল
তবে তারা দ্রুত গতিতে তোমাদের উপর আক্রমণ করলে আল্লাহ পাচ হাজার চিহ্নিত ফেরেশতা
দ্বারা তোমাদের সাহায্য করবেন ৷ এটি তো কেবল তোমাদের জন্যে সুসংবাদ ও তোমাদের চিত্ত
প্রশাস্তি হেতৃ আল্লাহ করেছেন ৷ এবং সাহায্য শুধু পরাক্রাস্ত প্রজ্ঞাময় আল্লাহর নিকট হতেই হয় ৷
কাফিরদের এক অংশকে নিশ্চিহ্ন করার অথবা লাঞ্ছিত করার জন্যে ৷ ফলে তারা যেন নিরাশ হয়ে
ফিরে যায় ৷ তিনি তাদের প্রতি ক্ষমাশীল হবেন অথবা তাদেরকে শাস্তি দেবেন এ বিষয়ে আপনার
করণীয় কিছুই নেই ৷ কারণ, তারা যড়ালিম ৷ আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে সমস্ত আল্লাহ্রই ৷
তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন এবং মাঝে ইচ্ছা শাস্তি দান করেন ৷ আল্লাহ ক্ষমাশীল , পরম দয়ালু ৷
(৩-আলে ইমরান : ১ ২১ ১ ২৯)

অসৎকে সৎ হতে পৃথক না করা পর্যন্ত তোমরা যে অবস্থায় রয়েছ আল্লাহ মু’মিনপণকে সে
অবস্থায় ছেড়ে দিতে পারেন না ৷ অদৃশ্য সম্পর্কে আল্লাহ তোমাদেরকে অবহিত করার নন, তবে
আল্লাহ তার রাসুলগণের মধ্যে যাকে ইচ্ছা মনোনীত করেন ৷ সুতরাং তোমরা আল্লাহ ও তার
রাসুলদের প্রতি ঈমান আনবে ৷ তোমরা ঈমান আনলে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে চললে
তোমাদের জন্যে মহাপুরস্কার রয়েছে ৷ (৩-আলে ইমরান : ১৭৯) ৷ এ সকল আঘাতের বিশদ


مِنْ غَرِيبِ صُنْعِ السُّهَيْلِيِّ ; فَإِنَّ هَذَا الْحَدِيثَ إِنَّمَا يُرَادُ بِهِ النَّاسُ، وَلَا يُسَمَّى الْجَبَلُ امْرَأً. وَكَانَتْ هَذِهِ الْغَزْوَةُ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ ثَلَاثٍ. قَالَهُ الزُّهْرِيُّ، وَقَتَادَةُ، وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، وَمَالِكٌ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: لِلنِّصْفِ مِنْ شَوَّالٍ. وَقَالَ قَتَادَةُ: يَوْمَ السَّبْتِ الْحَادِي عَشَرَ مِنْهُ. قَالَ مَالِكٌ: وَكَانَتِ الْوَقْعَةُ فِي أَوَّلِ النَّهَارِ. وَهِيَ عَلَى الْمَشْهُورِ الَّتِي أَنْزَلَ اللَّهُ فِيهَا قَوْلَهُ تَعَالَى: {وَإِذْ غَدَوْتَ مِنْ أَهْلِكَ تُبَوِّئُ الْمُؤْمِنِينَ مَقَاعِدَ لِلْقِتَالِ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ إِذْ هَمَّتْ طَائِفَتَانِ مِنْكُمْ أَنْ تَفْشَلَا وَاللَّهُ وَلِيُّهُمَا وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ وَلَقَدْ نَصَرَكُمُ اللَّهُ بِبَدْرٍ وَأَنْتُمْ أَذِلَّةٌ فَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ إِذْ تَقُولُ لِلْمُؤْمِنِينَ أَلَنْ يَكْفِيَكُمْ أَنْ يُمِدَّكُمْ رَبُّكُمْ بِثَلَاثَةِ آلَافٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ مُنْزَلِينَ بَلَى إِنْ تَصْبِرُوا وَتَتَّقُوا وَيَأْتُوكُمْ مِنْ فَوْرِهِمْ هَذَا يُمْدِدْكُمْ رَبُّكُمْ بِخَمْسَةِ آلَافٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ مُسَوِّمِينَ} [آل عمران: 121] الْآيَاتِ وَمَا بَعْدَهَا إِلَى قَوْلِهِ: {مَا كَانَ اللَّهُ لِيَذَرَ الْمُؤْمِنِينَ عَلَى مَا أَنْتُمْ عَلَيْهِ حَتَّى يَمِيزَ الْخَبِيثَ مِنَ الطَّيِّبِ وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُطْلِعَكُمْ عَلَى الْغَيْبِ} [آل عمران: 179] [آلِ عِمْرَانَ: 121 - 179] . وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى تَفَاصِيلِ ذَلِكَ كُلِّهِ فِي كِتَابِنَا " التَّفْسِيرِ " بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
পৃষ্ঠা - ২৬২৪

ব্যাখ্যা আমরা আমাদের তাফসীর গ্রন্থে উল্লেখ করেছি ৷ সকল প্রশংসা আল্লাহ্ তাআলার ৷ এখানে
আমরা উক্ত ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ পেশ করব ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক প্রমুখ আলিমগণ যা বর্ণনা
করেছেন তার আলােকেই আমরা বিবরণ পেশ করব ৷ এ বিষয়ে হাদীছে বর্ণিত আছে মুহাম্মাদ
ইবন মুসলিম যুহরী, মুহাম্মাদ ইবন ইয়াহয়া ইবন হিবৃবান, আসিম ইবন উমার ইবন কাতাদ৷ ,
হুসায়ন ইবন আবদুর রহমান ইবন অড়ামর ইবন সাদ ইবন মুআয (র) প্রমুখ থেকে ৷ তারা
প্রত্যেকে উহুদ দিবসের কিছু কিছু ঘটনা উল্লেখ করেছেন ৷ তাদের সকলের বর্ণনার সমন্বিত রুপ
এই : তারা সকলে কিত্বা র্তাদের কেউ কেউ বলেছেন, বদরের যুদ্ধে কুরায়শী কাফিরদের
নেতৃস্থানীয় লোকজন নিহত হয়েছিল এবং তাদের মৃতদেহগুলোকে কুয়ােতে নিক্ষেপ করা
হয়েছিল ৷৩ তাদের পরাজিত সৈনিকগণ মক্কায় ফিরে গিয়েছিল ৷ অন্যদিকে ব্যবসায়ী কাব্লুফল৷ নিয়ে
আবু সুফিয়ানও মক্কায় এসে পৌছেছিল ৷ তখন আবদুল্লাহ ইবন আবু রবী আ , ইকরামা ইবন আবু
জাহ্ল , সাফওয়ান ইবন উমাইয়াসহ কৃরায়শী নেতাগণ যাদের পিতৃবর্প সন্তানাদি ভাইয়েরা বদরের
যুদ্ধে নিহত হয়েছিল তারা আবু সুফিয়ানের নিকট উপস্থিত হয় ৷ তারা আবু সুফিয়ানের সাথে এবং
ওই ব্যবসায়ী কাফেলায় যাদের মালামাল ছিল তাদের সাথে কথা বলে ৷ তারা বলেছিল, হে
কুরায়শ সম্প্রদায় ! মুহাম্মাদ তো তোমাদের আপনজনদেরকে হত্যা করেছে এবং তোমাদের শ্রেষ্ঠ
ণ্লাকদেরকে খুন করেছে এখন এই ব্যবসায়ী কাফেলায় ধন-সম্পদ দ্বারা তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে
তোমরা আমাদেরকে সাহায্য কর ৷ আমরা আশা করছি যে, তাহলে আমরা তার থেকে প্রতিশোধ
নিতে পারব ৷ ওরা তাই করল ৷

ইবন ইসহাক বলেন, কারো কারো মতে নিম্নোক্ত আয়াত ওদেরকে উপলক্ষ্য করে নাযিল
হয় ৷ আল্লাহ তা আলা বলেন, ,ন্ ;,; ৷টুৰুৰুঠুশুঠু৷ ণ্ধ্পু ৷ ৷ ধোব্লুএঠু ৷ঠু,এ্ৰু )ন্ এ ৷

ণ্ ; : ¢ ;

ঠো

;;,;:;; আল্লাহর পথ থেকে লোককে নিবৃত্ত করার উদ্দেশ্যে কাফিরর৷ তাদের ধন সম্পদ
ব্যয় করে , তারা ধন-সম্পদ ব্যয় করতেই থাকবে, অতঃপর সেটি তাদের অনুতাপের কারণ হবে,
এরপর তারা পরাভুত হবে এবং যারা কুফরী করে তাদেরকে জাহান্নামে একত্র করা হবে ৷) (৮-
আনফাল : ৩৬)

ঐতিহাসিকগণ বলেন, আবু সুফিয়ান ও কাফেলায় সদস্যগণ কিনান৷ গোত্র ও তিহামাহ্-
বাসীদেরকে নিয়ে এরুপ পরামর্শ করার পর কুরায়শরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার
জন্যে সম্পুর্ণ প্রস্তুত ও একমত হয়ে যায় ৷ তাদের মধ্যে একজন ছিল আবু ইজ্জাহ্ আমর ইবন
আবদুল্লাহ জুমাহী ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার প্রতি দয়া করেছিলেন বদর দিবসে ৷ সে ছিল একজন
ছাপোযা দরিদ্র লোক ৷ বদর দিবসে মুসলমানদের হাতে সে বন্দী হয়েছিল ৷ যুদ্ধ প্রন্তুতির এই
ক্রান্তিকালে সাফওয়ান ইবন উমাইয়া তাকে বলেছিল, তমি তো করি মানুষ ৷ তুমি আমাদের সাথে
চল, আমাদেরকে কবিতা শুনিয়ে সাহায্য করবে ৷ সে বলল, মুহাম্মাদ (সা) আমার প্রতি দয়া
দেখিয়েছেন আমাকে অনুগ্রহ করেছেন৩ তার বিরুদ্ধে যেতে আমি রাযী নই ৷ সাফওয়ান বলল, তা
ঠিক বটে ৷ তবে তুমি শুধু আমাদের সাথে থাকবে, আমাদের সংখ্যা বাড়াবে ৷ আল্লাহ্কে সাক্ষ্য


وَلْنَذْكُرْ هَاهُنَا مُلَخَّصَ الْوَقْعَةِ مِمَّا سَاقَهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ مِنْ عُلَمَاءِ هَذَا الشَّأْنِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ رَحِمَهُ اللَّهُ: وَكَانَ مِنْ حَدِيثِ أُحُدٍ كَمَا حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمٍ الزُّهْرِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ حِبَّانَ، وَعَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، وَالْحُصَيْنُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ وَغَيْرُهُمْ مِنْ عُلَمَائِنَا، كُلُّهُمْ قَدْ حَدَّثَ بِبَعْضِ هَذَا الْحَدِيثِ عَنْ يَوْمِ أُحُدٍ وَقَدِ اجْتَمَعَ حَدِيثُهُمْ كُلُّهُمْ فِيمَا سُقْتُ، قَالُوا - أَوْ مَنْ قَالَ مِنْهُمْ -: لَمَّا أُصِيبَ يَوْمَ بِدْرٍ مِنْ كُفَّارِ قُرَيْشٍ أَصْحَابُ الْقَلِيبِ وَرَجَعَ فَلُّهُمْ إِلَى مَكَّةَ، وَرَجَعَ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ بِعِيرِهِ، مَشَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي رَبِيعَةَ، وَعِكْرِمَةُ بْنُ أَبِي جَهِلٍ، وَصَفْوَانُ بْنُ أُمَيَّةَ فِي رِجَالٍ مِنْ قُرَيْشٍ مِمَّنْ أُصِيبَ آبَاؤُهُمْ وَأَبْنَاؤُهُمْ وَإِخْوَانُهُمْ يَوْمَ بَدْرٍ، فَكَلَّمُوا أَبَا سُفْيَانَ وَمَنْ كَانَتْ لَهُ تِلْكَ الْعِيرُ مِنْ قُرَيْشٍ تِجَارَةٌ، فَقَالُوا: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، إِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ وَتَرَكُمْ وَقَتَلَ خِيَارَكُمْ ; فَأَعِينُونَا بِهَذَا الْمَالِ عَلَى حَرْبِهِ، لَعَلَّنَا نُدْرِكُ مِنْهُ ثَأْرَنَا. فَفَعَلُوا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَفِيهِمْ كَمَا ذَكَرَ لِي بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {كُنْتُمْ تَكْفُرُونَ إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا يُنْفِقُونَ أَمْوَالَهُمْ لِيَصُدُّوا عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ فَسَيُنْفِقُونَهَا ثُمَّ تَكُونُ عَلَيْهِمْ حَسْرَةً ثُمَّ يُغْلَبُونَ وَالَّذِينَ كَفَرُوا إِلَى جَهَنَّمَ يُحْشَرُونَ} [الأنفال: 35] . قَالُوا: فَأَجْمَعَتْ قُرَيْشٌ لِحَرْبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حِينَ فَعَلَ ذَلِكَ أَبُو سُفْيَانَ وَأَصْحَابُ الْعِيرِ بِأَحَابِيشِهَا وَمَنْ أَطَاعَهَا مِنْ قَبَائِلِ كِنَانَةَ وَأَهْلِ تِهَامَةَ، وَكَانَ أَبُو عَزَّةَ عَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْجُمَحِيُّ قَدْ مَنَّ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ بَدْرٍ وَكَانَ فَقِيرًا ذَا عِيَالٍ وَحَاجَةٍ، وَكَانَ فِي الْأُسَارَى، فَقَالَ لَهُ صَفْوَانُ بْنُ أُمَيَّةَ يَا أَبَا عَزَّةَ، إِنَّكَ امْرُؤٌ شَاعِرٌ، فَأَعِنَّا بِلِسَانِكَ وَاخْرُجْ مَعَنَا. فَقَالَ: إِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ مَنَّ عَلَيَّ، فَلَا أُرِيدُ أَنْ أُظَاهِرَ عَلَيْهِ. قَالَ: بَلَى فَأَعِنَّا بِنَفْسِكَ، فَلَكَ اللَّهُ إِنْ رَجَعْتَ أَنْ أُعِيَنَكَ، وَإِنْ قُتِلْتَ أَنْ أَجْعَلَ بَنَاتِكَ مَعَ بَنَاتِي، يُصِيبُهُنَّ مَا أَصَابَهُنَّ مِنْ عُسْرٍ وَيُسْرٍ. فَخَرَجَ أَبُو عَزَّةَ يَسِيرُ فِي تِهَامَةَ وَيَدْعُو بَنِي كِنَانَةَ وَيَقُولُ: أَيَا بَنِي عَبْدِ مَنَاةَ الرُّزَّامْ ... أَنْتُمْ حُمَاةٌ وَأَبُوكُمْ حَامْ لَا يَعْدُونِي نَصْرُكُمْ بَعْدَ الْعَامْ ... لَا تُسَلِمُونِي لَا يَحِلُّ إِسْلَامْ
পৃষ্ঠা - ২৬২৫
قَالَ: وَخَرَجَ مُسَافِعُ بْنُ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ وَهَبِ بْنِ حُذَافَةَ بْنِ جُمَحَ إِلَى بَنِي مَالِكِ بْنِ كِنَانَةَ يُحَرِّضُهُمْ وَيَقُولُ: يَا مَالِ مَالِ الْحَسَبِ الْمُقَدَّمِ ... أَنْشُدُ ذَا الْقُرْبَى وَذَا التَّذَمُّمِ مَنْ كَانَ ذَا رَحْمٍ وَمَنْ لَمْ يَرْحُمِ ... الْحِلْفَ وَسْطَ الْبَلَدِ الْمُحَرَّمِ عِنْدَ حَطِيمِ الْكَعْبَةِ الْمُعَظَّمِ قَالَ: وَدَعَا جُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ غُلَامًا لَهُ حَبَشِيًّا، يُقَالُ لَهُ: وَحْشِيٌّ. يَقْذِفُ بِحَرْبَةٍ لَهُ قَذْفَ الْحَبَشَةِ، قَلَّمَا يُخْطِئُ بِهَا، فَقَالَ لَهُ: اخْرُجْ مَعَ النَّاسِ، فَإِنْ أَنْتَ قَتَلْتَ حَمْزَةَ عَمَّ مُحَمَّدٍ بِعَمِّي طُعَيْمَةَ بْنِ عَدِيٍّ فَأَنْتَ عَتِيقٌ. فَخَرَجَتْ قُرَيْشٌ بِحَدِّهَا وَحَدِيدِهَا وَجَدِّهَا وَأَحَابِيشِهَا، وَمَنْ تَابَعَهَا مِنْ بَنِي كِنَانَةَ وَأَهْلِ تِهَامَةَ وَخَرَجُوا مَعَهُمْ بِالظُّعُنِ ; الْتِمَاسَ الْحَفِيظَةِ وَأَنْ لَا يَفِرُّوا، وَخَرَجَ أَبُو سُفْيَانَ صَخْرُ بْنُ حَرْبٍ وَهُوَ قَائِدُ النَّاسِ، وَمَعَهُ زَوْجَتُهُ هِنْدُ بِنْتُ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، وَخَرَجَ عِكْرِمَةُ بْنُ أَبِي جَهِلٍ بِزَوْجَتِهِ ابْنَةِ عَمِّهِ أُمِّ حَكِيمٍ بِنْتِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامِ
পৃষ্ঠা - ২৬২৬

রেখে বলছি যদি তুমি যুদ্ধ শেষে বাড়ী ফিরে আন তরে৫ তামাকে বিত্তরান করে দেবাে ৷ আর তু
যদি যুদ্ধে নিহত হও তাহলে তোমার কন্যাদেরকে আমি আমার কন্যাদের সাথে যুক্ত করে নেবাে ৷
সুথে দুঃখে আমার মেয়েদের যে অবস্থা হবে৩ নদেরও সে অবস্থা হবে ৷ শেষ পর্যন্ত আবুইজ্জাহ্

কাফিরদের সাথী হয়ে যুদ্ধে যেতে রাজী হল ৷ সে তিহামা অধিবাসীদের সাথে বের হয়ে বানু
কিনান৷ গোত্রকে যুদ্ধের আহ্বান জানিয়ে বলল :

শ্ শ্ ণ্

হে আবৃদ মানাতের বং শধরপণ তোমরা তো প্রচণ্ড শক্তিশালী ও যুদ্ধ ক্ষেত্রে অবিচল ৷
তোমরা নিজেরা রক্ষক এবং€ তামাদের পি৩ তৃপুরুষ ও রক্ষক ছিল ৷

তোমাদের সাহায্য যেন এ বছরের পর আমার জন্যে প্রয়োজন না হয় ৷ তোমরা আমাকে এ
অবস্থায় ঠেলে দিওনা যে, ইসলাম আমার মধ্যে প্রবেশের সুযোগ পায় ৷

বর্ণনাকারী বলেন, অন্য দিকে বানুমালিক গোত্রের নিকট গেল নাফি ইবন আবদ মানাফ

ইবন ওয়াহ্ব ইবন হুযাফা ইবন জুমাহ্ ৷ সে ৰানু মালিক গোত্রকে যুদ্ধের জন্যে নিম্নের কবিতা
আবৃত্তির মাধ্যমে প্ররােচিত করে :

ণ্ৰুখুার্দু৷ ৷

হে মালিক গোত্রের লোকজন! তোমরা তো সুপ্রাচীনকাল থেকে আভিজাত্য ও মর্যাদার
অধিকারী ৷ আমি এখানে তোমাদের আত্মীয়দের এবং দায়িত্শীলদের দোহাই দিচ্ছি ৷

ব্লুষ্টু’১’দ্বু ৷

যারা ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আর যারা ঘনিষ্ঠ আত্মীয় নয় তাদের সকলের দোহাই দিয়ে আমি
তােমাদেরকে ওই চুক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যা সম্মানিত নগরী হারাম শরীফের
মধ্যবর্তীস্থানে সম্পাদিত হয়েছিল ৷ ট্রর্দুৰুট্রুঠুন্ট্রু ৷ ব্লু ঠুধু:৷ ৷ ট্রান্ণ্া: যা সম্পাদিত হয়েছিল
কাবাগৃহের হাতীমের নিকট ৷

এদিকে জুবায়র ইবন মুতইম তার এক হাবশী ক্রীতদ৷ ৷সকে ডেকে অড়ানল ৷ তার নাম ছিল
ওযাহ্শী ৷ হাবশী কৌশলে যে বর্শা নিক্ষেপ করত, সেটি খুব কম লক্ষ্যভ্রষ্ট হত ৷ জুবায়র ইবন
মুতইম তার হাবশী ক্রীতদাস ওয়ড়াহ্শীকে নির্দেশ দিয়ে বলল, তুমি লোকজনের সাথে যুদ্ধাভিযানে
বেরিয়ে পড় ৷ বদর যুদ্ধে নিহত আমার চাচা তৃ আয়মা ইবন আদীর প্রতিশোধ হিসেবে তুমি যদি
মুহাম্মাদ (না)-এর চাচা হামযাকে হত্যা করতে পার, তবে তুমি স্বাধীন হয়ে যাবে ৷ যুদ্ধ উন্মাদনা,
প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র এবং তাদের অনুসারী ৰানু কিনানা ও তিহামা অঞ্চলের লোকজন সহ কৃরায়শের

সম্মিলিত বাহিনী যুদ্ধ অভিযানে যাত্রা করে ৷ তাদের সাথে ছিল কতক মহিলা ৷ উদ্দেশ্য পুরুষদের
মনােবল চাঙ্গা রাখা, তাদেরকে যুদ্ধ উন্মাদনায় সজীব রাখা এবং পলায়ন থেকে রক্ষা করা ৷


بْنِ الْمُغِيرَةِ، وَخَرَجَ عَمُّهُ الْحَارِثُ بْنُ هِشَامٍ بِزَوْجَتِهِ فَاطِمَةَ بِنْتِ الْوَلِيدِ بْنِ الْمُغِيرَةِ وَخَرَجَ صَفْوَانُ بْنُ أُمَيَّةَ بِبَرْزَةَ بِنْتِ مَسْعُودِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عُمَيْرٍ الثَّقَفِيَّةِ وَخَرَجَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ بِرَيْطَةَ بِنْتِ مُنَبِّهِ بْنِ الْحَجَّاجِ وَهِيَ أَمُّ ابْنِهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو. وَذَكَرَ غَيْرَهُمْ مِمَّنْ خَرَجَ بِامْرَأَتِهِ، قَالَ: وَكَانَ وَحْشِيُّ كُلَّمَا مَرَّ بِهِنْدِ بِنْتِ عُتْبَةَ أَوْ مَرَّتْ بِهِ، تَقُولُ وَيْهًا أَبَا دَسْمَةَ اشْفِ وَاشْتَفِ - يَعْنِي تُحَرِّضُهُ عَلَى قَتْلِ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ - قَالَ: فَأَقْبَلُوا حَتَّى نَزَلُوا بِعَيْنَيْنِ بِجَبَلٍ بِبَطْنِ السَّبْخَةِ مِنْ قَنَاةٍ عَلَى شَفِيرِ الْوَادِي مُقَابِلَ الْمَدِينَةِ، فَلَمَّا سَمِعَ بِهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْمُسْلِمُونَ، قَالَ لَهُمْ: «إِنِّي قَدْ رَأَيْتُ وَاللَّهِ خَيْرًا، رَأَيْتُ بَقَرًا تُذْبَحُ، وَرَأَيْتُ فِي ذُبَابِ سَيْفِي ثَلْمًا، وَرَأَيْتُ أَنِّي أَدْخَلْتُ يَدِي فِي دِرْعٍ حَصِينَةٍ، فَأَوَّلْتُهَا الْمَدِينَةَ.» وَهَذَا الْحَدِيثُ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، وَمُسْلِمٌ جَمِيعًا، عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ، عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «رَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ أَنِّي أُهَاجِرُ
পৃষ্ঠা - ২৬২৭

সেনাবাহিনীর মুল নেতৃত্বে ছিল আবু সুফিয়ান সাখর ইবন হড়ারব ৷ সে তার শ্রী হিন্দ বিনৃত উতবা
ইবন রাবীআঃক সাথে নিয়ে যেরিয়েজ্যি ৷ ইকরামা ইবন আবুজাহ্লও তার শ্রী ও চাচাত বোন উম্মু
হার্কীম বিনৃত হারিছ ইবন হিশাম ইবন মুগীরাকে নিয়ে বের হয়েছিল ৷ ইকরামার চাচা হারিছ ইবন
হিশাম-এর সাথে ছিল তার শ্রী ফাতিমা বিনৃত ওলীদ ইবন মুগীরা ৷ সাফওয়ান ইবন উমাইয়ার
সাথে ছিল বারযা বিনৃত মাসউদ ইবন আমর ইবন উমায়র ছাকাফিয়ব্রুাহ; ৷ আমর ইবন আস-এর
সাথে ছিল রীত৷ বিনৃত মুনাবৃবিহ ইবন হাজ্জাজ ৷ রীতা হল আমরের পুত্র আবদুল্লাহ-এর মা ৷ আরো
যারা নিজ নিজ শ্রীদেরকে সাথে নিয়ে বেরিয়েছিল কেউ কেউ তাদের তালিকা প্রস্তুত করেছেন ৷
যাত্রাপথে ওয়াহ্শী এবং হিন্দ কাছাকাছি এলে ওয়াহ্শীকে লক্ষ্য করে হিন্দ বলত, ওহ্ আবু
দাছামা ৷ তুমি আমাদেরকে মুক্তি দাও তুমি নিজেও মুক্তি লাভ কর ৷ এ কথ দ্বারা সে ওয়াহ্শীকে
উত্তেজিত করছিল হামযা (রা)-কে হত্যা করার জন্যে ৷ বন্তুত তারা মদীনায় নিকটবর্তী হল ৷
মদীনায় উপকণ্ঠে খালের তীরে বাতনুসৃ সাবাখা’ পাহাড়ের কাছাকাছি আইনায়ন নামক স্থানে তারা
র্তাবু ফেলল ৷ তাদের আগমন সংবাদ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও মুসলমানদের নিকট পৌছে যায় ৷ তিনি
মুসলমানদের উদ্দেশ্যে বললেন যে, আমি একটি ভাল স্বপ্ন দেখেছি ৷ আমি দেখেছি যে, একটি
পাভী জবাই করা হচ্ছে ৷ আমি আরো দেখলাম যে, আমার তরবারির ধারের মধ্যে ভাঙ্গার চিহ্ন ৷
আমি এও দেখলাম যে, একটি মজবুত লৌহ বর্মে আমি আমার হাত ঢুকিয়েছি ৷ আমি মনে করি,
ওই মজবুত লৌহ বর্ম হল মদীনা নগরী ৷ এই হাদীছটি ইমাম বুখারী ও মুসলিম দুজনেই আবু
কুরায়র — আবুমুসা আশআয়ী (রা)-এর বরাতে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) থেকে উদ্ধৃত করেছেন ৷
রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন :

আমি স্বপ্নে দেখেছিলাম যে, আমি মক্কা থেকে হিজরত করে একটি খেজুর বাগান বিদিষ্টি
স্থানে যাচ্ছি ৷ আমি মনে করেছিলাম ওই স্থানটি ইয়ামামা কিৎবা হাজর ৷ পরে দেখলাম যে , সেটি
ইয়াছরিব মদীনা ৷ আমার এই স্বপ্নে আমি দেখলাম যে, আমি আমার তরবারি নাড়া দিলাম সেটি
মাঝখান থেকে ভেঙ্গে গেল ৷ এটি হল উহুদ যুদ্ধে মুসলমানদের উপর আপতিত বিপদের ইঙ্গিত ৷
আমি পুনরায় তরবারি নাড়া দিলাম ৷ সেটি পুর্বের চেয়েও অধিক সুন্দর রুপ নিল ৷ এটি হল ওই
যুদ্ধে পুনরায় মুসলমানদের একত্রিত হওয়া এবং আল্পাহ্ প্রদত্ত বিজয়ের ইঙ্গিত ৷ আমি স্বপ্নে
দেখলাম, কতকগুলো গরু জবাই করা হচ্ছে ৷ কল্যাণ আল্লাহর নিকটই ৷ তা ছিল উহুদ যুদ্ধের
শহীদদের প্রতি ইঙ্গিত ৷ আর কল্যাণ হল বদরের যুদ্ধের পর থেকে আল্লাহ্ তাআলা আমাদেরকে
যে সকল বিজয় ও বিনিময় দান করেছেন যে গুলো ৷

বায়হাকী বলেন, আবুআবদৃল্লাহ্ হাফিয ইবন আব্বাস (রা ) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেছেন, বদরের যুদ্ধের গনীমত হিসেবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার যুলফিকার তরবারিটি
পেয়েছিলেন ৷ ওই তরবারিটিই তিনি উহুদ যুদ্ধের দিনে স্বপ্নে দেখেছিলেন ৷ বন্তুত যুদ্ধের উদ্দেশ্যে
মুশরিকগণ যখন মদীনায় উপকষ্ঠে এসে পৌছল তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর ইচ্ছা ছিল মদীনায়
অবস্থান করেই ওদের মুকাবিলা করা ৷ বদরের যুদ্ধে ছিলেন না এমন কতক সড়াহাবী বললেন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ ! আমরা মদীনা থেকে বের হব এবং উহুদ প্রাম্ভরে গিয়ে ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব ৷
বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী মুজাহিদগণ যে ফযীলত ও সম্মান লাভ করেছেন তা লাভ করাই ছিল


مِنْ مَكَّةَ إِلَى أَرْضٍ بِهَا نَخْلٌ، فَذَهَبَ وَهَلَى إِلَى أَنَّهَا الْيَمَامَةُ أَوْ هَجَرُ، فَإِذَا هِيَ الْمَدِينَةُ يَثْرِبُ، وَرَأَيْتُ فِي رُؤْيَايَ هَذِهِ أَنِّي هَزَزْتُ سَيْفًا فَانْقَطَعَ صَدْرُهُ، فَإِذَا هُوَ مَا أُصِيبَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ أُحُدٍ، ثُمَّ هَزَزْتُهُ أُخْرَى، فَعَادَ أَحْسَنَ مَا كَانَ، فَإِذَا هُوَ مَا جَاءَ اللَّهُ بِهِ مِنَ الْفَتْحِ وَاجْتِمَاعِ الْمُؤْمِنِينَ، وَرَأَيْتُ فِيهَا أَيْضًا بَقَرًا، وَاللَّهُ خَيْرٌ، فَإِذَا هُمُ النَّفَرُ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ أُحُدٍ، وَإِذَا الْخَيْرُ مَا جَاءَ اللَّهُ بِهِ مِنَ الْخَيْرِ وَثَوَابِ الصِّدْقِ الَّذِي آتَانَا اللَّهُ بَعْدَ يَوْمِ بَدْرٍ.» وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَخْبَرَنَا الْأَصَمُّ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ «عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: تَنَفَّلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَيْفَهُ ذَا الْفَقَارِ يَوْمَ بَدْرٍ. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: وَهُوَ الَّذِي رَأَى فِيهِ الرُّؤْيَا يَوْمَ أُحُدٍ، وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا جَاءَهُ الْمُشْرِكُونَ يَوْمَ أُحُدٍ
পৃষ্ঠা - ২৬২৮
كَانَ رَأْيُهُ أَنْ يُقِيمَ بِالْمَدِينَةِ فَيُقَاتِلُهُمْ فِيهَا، فَقَالَ لَهُ نَاسٌ لَمْ يَكُونُوا شَهِدُوا بَدْرًا: تَخْرُجُ بِنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِلَيْهِمْ نُقَاتِلُهُمْ بِأُحُدٍ. وَرَجَوْا أَنْ يُصِيبَهُمْ مِنَ الْفَضِيلَةِ مَا أَصَابَ أَهْلَ بَدْرٍ فَمَا زَالُوا بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى لَبِسَ أَدَاتَهُ، ثُمَّ نَدِمُوا وَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَقِمْ، فَالرَّأْيُ رَأْيُكَ. فَقَالَ لَهُمْ: مَا يَنْبَغِي لِنَبِيٍّ أَنْ يَضَعَ أَدَاتَهُ بَعْدَ مَا لَبِسَهَا، حَتَّى يَحْكُمَ اللَّهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ عَدُوِّهِ. قَالَ: وَكَانَ قَالَ لَهُمْ يَوْمَئِذٍ قَبْلَ أَنْ يَلْبَسَ الْأَدَاةَ: إِنِّي رَأَيْتُ أَنِّي فِي دِرْعٍ حَصِينَةٍ، فَأَوَّلَتُهَا الْمَدِينَةَ، وَأَنِّي مُرْدِفٌ كَبْشًا، فَأَوَّلْتُهُ كَبْشَ الْكَتِيبَةِ، وَرَأَيْتُ أَنَّ سَيْفَيِ ذَا الْفَقَارِ فُلَّ، فَأَوَّلْتُهُ فَلًّا فِيكُمْ، وَرَأَيْتُ بَقَرًا تُذْبَحُ، فَبَقْرٌ. وَاللَّهُ خَيْرٌ» . وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، وَابْنُ مَاجَهَ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ بِهِ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ: مِنْ طَرِيقِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ
পৃষ্ঠা - ২৬২৯

তাদের উদ্দেশ্যে ৷ এ বিষয়ে তারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে পীড়াপীড়ি করছিলেন ৷ শেষে রাসুলুল্লাহ্
(সা) যুদ্ধাস্ত্র ও যুদ্ধ পােশাকে সজ্জিত ৩হলেন ৷ এবার ওই সাহাবীগণ নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে
অনুতপ্ত হলেন ৷ তারা আরব করলেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ! মদীনাতে ই অবস্থান করুন ৷ আপনার
সিদ্ধাম্ভই আমাদের সিদ্ধান্ত ৷ তিনি বললেন, কোন নবী যদি যুদ্ধ পোশড়াক পরিধান করেন তবে
শত্রুর বিরুদ্ধে ফায়সালা না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ পোশাক খুলে ফেলা৩ তার জন্যে শোভনীয় নয় ৷
বর্ণনাকারী বলেন, সেদিন যুদ্ধ পোশাক পরিধান করার পুর্বে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাহাবীগণকে
বলেছিলেন, আমিাপ্নে দেখেছি যে, আমি একটি মযবুত লৌহবর্মে আমার হাত ঢুকিয়েছি ৷ আমি
তার ব্যাখ্যা করেছি যে, সেটি হল সুরক্ষিত মদীনা নগরী ৷ আমি দেরুহছি যে, আমি একটি বকরী
পাল তাড়া করছি ৷ বন্তুতঃ এর ব্যাখ্যা হচ্ছে শত্রু সেনাবাহিনী ৷ আমি দেখেছি, আমার তরবারি
যুলফিকারের ধারের মধ্যে ভাঙ্গা-চিহ্ন ৷ আমি এর ব্যাখ্যা করেছি যে, তোমরা আঘাত প্রাপ্ত হবে ৷
আমি দেখেছি, একটি গরু জবাই করা হচ্ছে ৷ বন্তুতঃ সকল কল্যাণ আল্লাহ্রই হাতে ৷ ইমাম
তিরমিযী ও ইবন মাজা উক্ত হাদীছটি আবদুর রহমান ইবন আবুয যিনাদ সুত্রে উদ্ধৃত করেছেন ৷

বাযহাকী (র) হাম্মড়াদ ইবন সালামা আনাস (বা) থেকে মারকু রুপে বর্ণনা করেছেন
যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, আমিাপ্নে দেখলাম যে, আমার পেছনে কতকগুলো মেষ ৷ আমার
তরবারির ধার অংশে ভাঙ্গার চিহ্ন ৷ আমিাপ্নের এই ব্যাখ্যা করেছি যে, আমি শত্রু পক্ষের
সৈন্যদেরকে হত্যা করব ৷ আর আমার তরবারির ধার ভেঙ্গে যাওয়ার ব্যাখ্যা হল, আমার বা শের
কারো নিহত হওয়া ৷ ওই যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর চাচা হাময৷ (বা) শহীদ হন এবং রাসুলুল্লাহ্
(সা) শত্রু পক্ষের পতাকাবাহী তালহাকে হত্যাকরেন ৷

মুসা ইবন উকবা (র) বলেন, কুরায়শরা পুনরায় প্রস্তুতি গ্রহণ করল ৷ তাদের অনুগত আরবের
মুশরিকদেরকেও সাথে নিল ৷ আবু সুফিয়ান কুরা ৷য়শের এক বিশাল বাহিনী নিয়ে যাত্রা ৷করল ৷ এটি
ছিল বদরের যুদ্ধের পরের বছর শাওয়াল মাসের ঘটনা, উহুদ পাহাড়ের মুখোমুখি হতে নওয়াদীতে
এসে তারা অবস্থান নিল ৷ কতক মুসলমান বদরের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে পারেননি ৷ ফলে
সম্মান মর্যাদা ও ছাওয়াব অর্জনে বঞ্চিত হয়ে৩ তারা অনৃতপ্ত হয়েছিলেন ৷৩ তাই শত্রুর মুখোমুখি
হবার জন্যে তাদের মধ্যে প্রবল আগ্রহ ছিল ৷ যাতে বদরী সাহাবীগণের ন্যায় তারা পরীক্ষার সম্মুখীন
হতে পারেন ৷ আবু সুফিয়ান ও মুশরিকগণ উহুদ প্রাম্ভরে এসেছে শুনে ওই সা ড়াহাবীগণ আনন্দিত
হলেন ৷ তারা বলেন, শত্রুর মুকাবিলা করার আমাদের আগ্রহ পুর্ণ করার জন্যে মহান আল্লাহ এ
সুযোগ এনে দিয়েছেন ৷

জুমুআর রাতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) একটিাপ্ন দেখলেন ৷ সকালে সাহাবীদেবকে ডেকে তিনি
বললেন, গতরড়াতে আমিাপ্নে দেখলাম যে, একটি গরু জবাই করা হচ্ছে ৷ কল্যাণ আল্লাহর
নিকট ৷ আমি আরো দেখলাম আমার তরবারি যুলফিকার বারের স্থানে ভেঙ্গে গিয়েছে ৷ অন্য
বর্ণনায় আছে তাতে তা ৷ঙ্গার চিহ্ন দেখা গিয়েছে ৷ এইাপ্ন দেখে আমি দুঃখ পেয়েছি, মুলত ও
দুটো বিপদের পুর্বাভাস, আমি আরো দেখেছি যে, একটি সুরক্ষিত লৌহ বর্মে আমি আমার হাত
ঢুকিয়েছি এবং আমি একটি মেয তাড়া করছি ৷াপ্নের কথা শোনার পর সাহাবা ই কিরাম (বা)
বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! আপনি নিজে ওইাপ্নের কী ব্যাখ্যা করেছেন ? তিনি বললেন, গরু



مَرْفُوعًا «قَالَ: رَأَيْتُ فِيمَا يَرَى النَّائِمُ كَأَنِّيَ مُرْدِفٌ كَبْشًا، وَكَأَنَّ ظُبَةَ سَيْفِي انْكَسَرَتْ، فَأَوَّلْتُ أَنِّي أَقْتُلُ كَبْشَ الْقَوْمِ، وَأَوَّلْتُ كَسْرَ ظُبَةِ سَيْفِي قَتْلَ رَجُلٍ مِنْ عِتْرَتَيْ. فَقُتِلَ حَمْزَةُ، وَقَتَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَلْحَةَ وَكَانَ صَاحِبَ اللِّوَاءِ.» وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: وَرَجَعَتْ قُرَيْشٌ فَاسْتَجْلَبُوا مَنْ أَطَاعَهُمْ مِنْ مُشْرِكِي الْعَرَبِ، وَسَارَّ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ فِي جَمْعِ قُرَيْشٍ وَذَلِكَ فِي شَوَّالٍ مِنَ السَّنَةِ الْمُقْبِلَةِ مِنْ وَقْعَةِ بَدْرٍ حَتَّى نَزَلُوا بِبَطْنِ الْوَادِي الَّذِي قَبْلَ أُحُدٍ وَكَانَ رِجَالٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ لَمْ يَشْهَدُوا بَدْرًا قَدْ نَدِمُوا عَلَى مَا فَاتَهُمْ مِنَ السَّابِقَةِ، وَتَمَنَّوْا لِقَاءَ الْعَدُوِّ ; لِيُبْلُوَا مَا أَبْلَى إِخْوَانُهُمْ يَوْمَ بَدْرٍ، فَلَمَّا نَزَلَ أَبُو سُفْيَانَ وَالْمُشْرِكُونَ بِأَصْلِ أُحُدٍ فَرِحَ الْمُسْلِمُونَ الَّذِينَ لَمَّ يَشْهَدُوا بَدْرًا بِقُدُومِ الْعَدُوِّ عَلَيْهِمْ، وَقَالُوا: قَدْ سَاقَ اللَّهُ عَلَيْنَا أُمْنِيَّتَنَا. ثُمَّ «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُرِيَ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ رُؤْيَا فَأَصْبَحَ، فَجَاءَهُ نَفَرٌ مِنْ أَصْحَابِهِ فَقَالَ لَهُمْ: رَأَيْتُ الْبَارِحَةَ فِي مَنَامِي بَقَرًا تُذْبَحُ، وَاللَّهُ خَيْرٌ، وَرَأَيْتُ سَيْفِي ذَا الْفَقَارِ انْقَصَمَ مِنْ عِنْدِ ظُبَّتِهِ - أَوْ قَالَ: بِهِ فُلُولٌ - فَكَرِهْتُهُ، وَهُمَا مُصِيبَتَانِ، وَرَأَيْتُ أَنِّيَ فِي
পৃষ্ঠা - ২৬৩০

যবাইয়ের যোপ্ন দেখেছি তা হল আমাদের পক্ষের এবং শত্রু পক্ষের কিছু লোক নিহত হবে ৷
তা আরাতরবাবি ভাঙ্গার বিষয়টি আমার নিকট খুবই বষ্টিদায়ক ৷ কারো কারো মন্তব্য এই যে, তরবারি
তাঙ্গা বিষয়ে রা সুলুল্লাহ্ (সা) যা দেখেছেন তা হল উহুদ দিবসে তার মুখমণ্ডলে আপতিত আঘাত
সেদিন তার চেহারা মুবা রকে আঘাত করেছিল ৷ তারা তার দাত শহীদ করে দিয়েছিল ৷৩ তার ঠোট
যখন করেছিল ৷ ঐতিহাসিকদের ধারণা, উত বা ইবন আবু ওয়াক্কাস ইার প্রতি বর্শা নিক্ষেপ
করেছিল,াপ্নে দেখা গরু যবাই এর ব্যাখ্যা হলো সেই দিনে শাহাদাত বরণকারী মুসলিমপণ,
রাসুলুল্লাহ্ (যা) বলেছেন যে, মেষ এর ব্যাখ্যা আমার মতে শত্রু পক্ষের সৈন্য ৷ মুসলিমগণ
তাদেরকে হত্যা করবেন ৷ মযবুত লৌহ বর্মের ব্যাখ্যা হল মদীনা নগরী ৷ মুজাহিদদেরকে নির্দেশ
দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তোমরা মদীনাতেই অবস্থান কর এবং নারী ও শিশুদেরকে দুর্গের
মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়ে দাও ৷ শত্রুরা যদি আমাদের এলাকায় প্রবেশ করে তবে আমরা
ওদের মুকাবিলা করব যুদ্ধ করব আর দুর্গের মধ্যে থাকা লোকজন ওদের প্রতি পাথর নিক্ষেপ
করবে ৷ মদীনাবাসীগণ মদীনার গলিপথ ও রাস্তা গুলোকে ঘর বাড়ী বানিয়ে আরো সংকীর্ণ করে
তুলেছিল ৷ ফলে পুরো মদীনা নগরী দুর্গের ন্যায় হয়ে উঠেছিল ৷ যারা বদরের যুদ্ধে অ শ গ্রহণ
করতে পারেননি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রভাব শুনে তারা বললেন, আমরা এমন একটি দিনের
আকাত্খায় ছিলাম ৷ মুখোমুখি জিহাদের একটি দিন আমাদেরকে দেয়ার জন্যে আমরা আল্লাহ্র
নিকট দুআ করতাম ৷ আল্লাহ তাআলা আজ আমাদেরকে তেমন দিন দিয়েছেন এবং এর দুরত্ও
কম ৷ জনৈক আনসারী বলে উঠলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমাদের বাড়ীর কাছে ওরা এসে
পড়েছে ৷ এখন যদি আমরা ওদের সাথে মুখোমুখি যুদ্ধ না করি তবে আর করে তা করব ? কতক
লোক বলল, ওদের পশুপ্রাণীগুলোাতো আমাদের ফসল খেয়ে দলিত মথিত করে দিচ্ছে ৷ আমরা
যদি ওই ফসল রক্ষা করতে না পারিত তবে কি আর রক্ষা করব ? অন্য কতক লোক পুর্ববর্তীদের
সমর্থনে কথা বললেন ৷ তাদের একজন হযরত হামযা (রা) ৷ তিনি বললেন, যে মহান আল্লাহ্
আপনার প্রতি কিতাব নাযিল কবেছেন৩ তার কসম করে বলছি আমরা ওদের মুকাবিলা করবই ৷
বানু সালিম গোত্রের নুআয়ম ইবন মালিক ইবন ছালাবা বললেন, হে অাল্লাহ্র নবী ! আমাদেরকে
জান্নাত থেকে বঞ্চিত করবেন না, যার হাতে আমার প্রাণ ! সেই মহান সত্তার কসম, আমি অবশ্যই
জান্নাতে প্রবেশ করব ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তুমি কেমন করে জান্নাতে যাবে ? তিনি বললেন,
কারণ আমি আল্লাহ্কে ও তীর রাসুলকে ভালবাসি এবং জিহাদের দিলে আমি ময়দান ছেড়ে
পালাবনা , রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে বললেন, তুমি ঠিকই বলেছ ৷ সত্যি সত্যি সেদিন নুআয়ম (রা)
শাহাদাত বরণ করেন ৷ বহুলোক সেদিন বাইরে এসে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর প্রস্তাবে তারা সন্তুষ্ট হননি ৷ তার প্রস্তাব যদি তারা মেনে নিতেন তবে তা তাদের জন্য
অনেক ভাল হত ৷ কিন্তু তাল্লাহ্র নির্ধারিত ফায়সালা ই প্রাধান্য পেল ৷ বাইরে গিয়ে যুদ্ধ করার
প্রস্তাব যারা দিয়েছিলেন তাদের অধিকাৎশই বদর যুদ্ধে অনুপ ত ছিলেন, বদর যুদ্ধে অংশ
গ্রহণকারীদের মাহা ত্ম্য সম্পর্কে তারা জ্ঞাত ছিলেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) জুমু আর নামায আদায় করছিলেন ৷ তিনি তাদেরকে উপদেশ দিলেন ৷
নসীহত করলেন ৷ এবং সাধ্য মত জিহাদের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিলেন ৷ যথা নিয়মে খুতবা ও
নামায শেষ করলেন ৷ তারপর যুদ্ধ পোশাক আনয়নের নির্দেশ নিলেন ৷ তিনি যুদ্ধ পোশাক


دِرْعٍ حَصِينَةٍ، وَأَنِّيَ مُرْدِفٌ كَبْشًا. فَلَمَّا أَخْبَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرُؤْيَاهُ، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَاذَا أَوَّلْتَ رُؤْيَاكَ؟ قَالَ: أَوَّلْتُ الْبَقْرَ الَّذِي رَأَيْتُ نَفَرًا فِينَا وَفِي الْقَوْمِ، وَكَرِهْتُ مَا رَأَيْتُ بِسَيْفِي: وَيَقُولُ رِجَالٌ: كَانَ الَّذِي رَأَى بِسَيْفِهِ، الَّذِي أَصَابَ وَجْهَهُ ; فَإِنَّ الْعَدُوَّ أَصَابَ وَجْهَهُ يَوْمَئِذٍ، وَقَصَمُوا رَبَاعِيَتَهُ وَخَرَقُوا شَفَتَهُ، يَزْعُمُونَ أَنَّ الَّذِي رَمَاهُ عُتْبَةُ بْنُ أَبِي وَقَاصٍّ، وَكَانَ الْبَقْرُ مَنْ قُتِلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَوْمَئِذٍ. وَقَالَ: أَوَّلْتُ الْكَبْشَ أَنَّهُ كَبْشُ كَتِيبَةِ الْعَدُوِّ يَقْتُلُهُ اللَّهُ، وَأَوَّلْتُ الدِّرْعَ الْحَصِينَةَ الْمَدِينَةَ، فَامْكُثُوا وَاجْعَلُوا الذَّرَارِيَّ فِي الْآطَامِ، فَإِنْ دَخَلَ عَلَيْنَا الْقَوْمُ فِي الْأَزِقَّةِ، قَاتَلْنَاهُمْ وَرُمُوا مِنْ فَوْقِ الْبُيُوتِ، وَكَانُوا قَدْ سَكُّوا أَزِقَّةَ الْمَدِينَةِ بِالْبُنْيَانِ حَتَّى صَارَتْ كَالْحِصْنِ. فَقَالَ الَّذِينَ لَمْ يَشْهَدُوا بَدْرًا: كُنَّا نَتَمَنَّى هَذَا الْيَوْمَ وَنَدْعُو اللَّهَ، فَقَدْ سَاقَهُ اللَّهُ إِلَيْنَا وَقَرَّبَ الْمَسِيرَ. وَقَالَ رِجَالٌ مِنَ الْأَنْصَارِ: مَتَى نُقَاتِلُهُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذَا لَمْ نُقَاتِلْهُمْ عِنْدَ شِعَبِنَا؟ وَقَالَ رِجَالٌ: مَاذَا نَمْنَعُ إِذَا لَمْ تَمْنَعُ الْحَرْثَ يُزْرَعُ؟
পৃষ্ঠা - ২৬৩১
وَقَالَ رِجَالٌ: قَوْلًا صَدَقُوا بِهِ وَمَضَوْا عَلَيْهِ، مِنْهُمْ حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، قَالَ: وَالَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ لَنُجَالِدَنَّهُمْ. وَقَالَ نُعْمَانُ بْنُ مَالِكِ بْنِ ثَعْلَبَةَ، وَهُوَ أَحَدُ بَنِي سَالِمٍ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، لَا تَحْرِمْنَا الْجَنَّةَ، فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَأَدْخُلَنَّهَا. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بِمَ؟ . قَالَ: بِأَنِّي أَحَبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، وَلَا أَفِرُّ يَوْمَ الزَّحْفِ. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: صَدَقْتَ. وَاسْتُشْهِدَ يَوْمَئِذٍ. وَأَبَى كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ إِلَّا الْخُرُوجَ إِلَى الْعَدُوِّ، وَلَمْ يَتَنَاهَوْا إِلَى قَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَأْيِهِ، وَلَوْ رَضُوا بِالَّذِي أَمَرَهُمْ كَانَ ذَلِكَ، وَلَكِنْ غَلَبَ الْقَضَاءُ وَالْقَدَرُ، وَعَامَّةُ مَنْ أَشَارَ عَلَيْهِ بِالْخُرُوجِ رِجَالٌ لَمْ يَشْهَدُوا بَدْرًا، قَدْ عَلِمُوا الَّذِي سَبَقَ لِأَصْحَابِ بِدْرٍ مِنَ الْفَضِيلَةِ، فَلَّمَا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْجُمُعَةَ، وَعَظَ النَّاسَ وَذَكَّرَهُمْ وَأَمَرَهُمْ بِالْجِدِّ وَالْجِهَادِ، ثُمَّ انْصَرَفَ مِنْ خُطْبَتِهِ وَصِلَاتِهِ، فَدَعَا بِلَأْمَتِهِ فَلَبِسَهَا، ثُمَّ أَذَّنَ فِي النَّاسِ بِالْخُرُوجِ، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ رِجَالٌ مِنْ ذَوِي الرَّأْيِ، قَالُوا: أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَمْكُثَ بِالْمَدِينَةِ وَهُوَ أَعْلَمُ بِاللَّهِ وَمَا يُرِيدُ، وَيَأْتِيهِ الْوَحْيُ مِنَ السَّمَاءِ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، امْكُثْ كَمَا أَمَرْتَنَا. فَقَالَ: مَا يَنْبَغِي لِنَبِيٍّ إِذَا أَخَذَ لَأْمَةَ الْحَرْبِ وَأَذَّنَ بِالْخُرُوجِ إِلَى الْعَدُوِّ، أَنْ يَرْجِعَ حَتَّى يُقَاتِلَ، وَقَدْ دَعَوْتُكُمْ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ فَأَبَيْتُمْ إِلَّا الْخُرُوجَ، فَعَلَيْكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ وَالصَّبْرِ عِنْدَ الْبَأْسِ إِذَا لَقِيتُمُ الْعَدُوَّ، وَانْظُرُوا مَاذَا آمُرُكُمْ بِهِ فَافْعَلُوهُ» . قَالَ: فَخَرَجَ
পৃষ্ঠা - ২৬৩২

পরিধান করলেন ৷ তারপর লোকজনকে যুদ্ধ অভিযানে বের হবার নির্দেশ দিলেন ৷ এ অবস্থা দেখে
বিচক্ষণ সাহাবিপণ বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তো আমাদেরকে মদীনায় অবস্থান করতে বলে-
ছিলেন ৷ আল্লাহ্র ইচ্ছা সম্পর্কে তিনিই তো ভাল জানেন ৷ উর্ধ্বাকাশ থেকে তার নিকট ওহী
আসে ৷ শেষে তারা বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! আপনি যেমনটি নির্দেশ দিয়েছিলেন আপনি
মদীনাতেই থাকুন, আমরাও তাই কবি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, যুদ্ধ পোশাক পরিধান করা
এবং যুদ্ধ অভিযানে বের হবার ঘোষণা দেয়ার পর যুদ্ধ না করে ফিরে আসা কো ন নবীর জন্যে
শোভনীয় নয় ৷ আমি তো তে ৷মাদেরকে এই প্রস্তাব দিয়েছিলামৰু; কিভু তে ৷মরা অভিযানে বের
হওয়া ব্যতীত ৩তকিছুরু রাজী হলে না ৷ এখন তোমাদের দাযিতৃ হল তাকওয়৷ অবলম্বন করাও

যুদ্ধের সময় ধৈর্য ধারণ করা ৷ আর তোমরা অপেক্ষায় থাক, আল্লাহ্ কী নির্দেশ দেন ৷ নির্দেশ
গেলে তা পালন করবে ৷

রাসুলুল্লাহ্ (সা) এবং মুসলমানগণ অভিযানে বের হলেন ৷ বাদাই-এর পথে তারা অগ্নসর
হলেন, তাদের সং খ্যা ছিল এক হাজার ৷ আর মুশরিকদের সং খ্যা ছিল তিন হাজার ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) তার অনুসারীপণকে নিয়ে উহুদ পাহাড়ের পাদদেশেত তাবু ফেললেন ৷ কিছুদুর গিয়ে আবদুল্লাহ
ইবন উবায় ইবন সালুল তার তিন শ অনুসারীকে নিয়ে মদীনায় ফিরে আসে ৷ অবশিষ্ট সাত শ জন
নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) অগ্রসর হলেন ৷ বায়হাকী (র ) বলেন, যুদ্ধ ইতিহাস বিশেষজ্ঞদের মতে
এটিই প্রসিদ্ধ কথা যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাত শ’ জন মুজাহিদ নিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন ৷
তবে যুহরী বলেন, প্রসিদ্ধ কথা হল শেষ পর্যন্ত চার শ’ জন সাহাবী রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর সাথে
ছিলেন ৷ এটি বর্ণনা করেছেন ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান যুহরী থেকে ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, সাত
শ জন মুজাহিদ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে অবশিষ্ট ছিলেন ইমাম যুহরী থেকে এমন একটি
বর্ণনাও রয়েছে ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

মুসা ইবন উকব৷ বলেন, ঘুশরিকদের অশ্ববাহিনীর নেতৃতৃ ছিল খালিদ ইবন ওয়ালীদের
হাতে ৷ তাদের সাথে ছিল একশ’টি অশ্ব ৷ তাদের পতাকা ছিল উছমান ইবন তালহার হাতে ৷
বর্ণনাকারী বলেন মুসলমানদের নিকট একটি অশ্বও ছিলনা ৷৩ তারপর তিনি বিস্তারিত ঘটনা বর্ণনা
করেছেন যার বিবরণ অচিরেই আসবে ইনৃশাআ ৷ল্লাহ্ ৷

মুহ হাম্মাদ ইবন ইসহড়াক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার স্বপ্নের কথা সাহাবিগণের নিকট প্রকাশ
করলেন, তারপর তিনি বললেন, তোমরা যদি এ অভিমত দাও যে, তোমরা মদীনায় অবস্থান
করবে এবং ওদেরকে ওদের স্থানে ছেড়ে দেবে ৷ ওরা যদি ওদের স্থানে অবস্থান করে তাতে তারা
একটি মন্দ স্থানে অবস্থান করবে ৷ আর যদি তারা আমাদের এলাকায় প্রবেশ করে তবে মদীনার
ভেতরেই আমরা ওদের মুকাবিল৷ করব ৷ মদীনা থেকে বেরিয়ে ওদের মুখোমুখি না হওয়ার
প্রস্তাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে একমত পোষণ করেছিল আবদুল্লাহ ইবন উবাই ইবন সালুল;
বিক্ষ্ম কতক মুসলমান যারা বদরের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে পারেননি এবং পরে ওই দিনই উহুদ
ময়দানে শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করেছিলেন তারা বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! আমাদেরকে
শত্রুপক্ষের নিকট নিয়ে চলুন ৷ তারা যেন এটা মনে না করে যে, আমরা সাহসহারা এবং দুর্বল হয়ে

পড়েছি ৷ আবদুল্লাহ ইবন উবাই বলল, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ ! শত্রু পক্ষের নিকট যাবেন না, আল্লাহর


رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْمُسْلِمُونَ، فَسَلَكُوا عَلَى الْبَدَائِعِ، وَهُمْ أَلْفُ رَجُلٍ، وَالْمُشْرِكُونَ ثَلَاثَةُ آلَافٍ، فَمَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى نَزَلَ بِأُحِدٍ وَرَجَعَ عَنْهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيِّ بْنِ سَلُولَ فِي ثَلَاثِمِائَةٍ، فَبَقِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي سَبْعِمِائَةٍ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: هَذَا هُوَ الْمَشْهُورُ عِنْدَ أَهْلِ الْمَغَازِي ; أَنَّهُمْ بَقُوا فِي سَبْعِمِائَةِ مُقَاتِلٍ. قَالَ: وَالْمَشْهُورُ عَنِ الزُّهْرِيِّ أَنَّهُمْ بَقُوا فِي أَرْبَعِمِائَةِ مُقَاتِلٍ، كَذَلِكَ رَوَاهُ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، عَنْ أَصْبَغَ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ. وَقِيلَ عَنْهُ بِهَذَا الْإِسْنَادِ: سَبْعُمِائَةٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: وَكَانَ عَلَى خَيْلِ الْمُشْرِكِينَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ، وَكَانَ مَعَهُمْ مِائَةُ فَرَسٍ، وَكَانَ لِوَاؤُهُ مَعَ طَلْحَةَ بْنِ عُثْمَانَ. قَالَ: وَلَمْ يَكُنْ مَعَ الْمُسْلِمِينَ فَرَسٌ وَاحِدَةٌ. ثُمَّ ذَكَرَ الْوَقْعَةَ كَمَا سَيَأْتِي تَفْصِيلُهَا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ لَمَّا قَصَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رُؤْيَاهُ عَلَى أَصْحَابِهِ قَالَ لَهُمْ: إِنْ رَأَيْتُمْ أَنْ تُقِيمُوا بِالْمَدِينَةِ وَتَدَعُوهُمْ حَيْثُ نَزَلُوا، فَإِنْ أَقَامُوا أَقَامُوا بَشَرِّ مُقَامٍ، وَإِنْ هُمْ دَخَلُوا عَلَيْنَا قَاتَلْنَاهُمْ فِيهَا. وَكَانَ رَأْيُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيِّ بْنِ
পৃষ্ঠা - ২৬৩৩

কসম, ইতিপুর্বে আমরা যখনই মদীনা থেকে বেরিয়ে শত্রুর মুখোমুখি হয়েছি ততবারই পরাজিত
ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি ৷ আর যখনই শত্রুপক্ষ মদীনায় প্রবেশ করেছে তখনই আমরা বিজয় লাভ
করেছি ৷ সবাই এভাবে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট নিজ নিজ বক্তব্য পেশ করছিল ৷ এক সময়
তিনি হুজরায় প্রবেশ করলেন ৷ তার যুদ্ধ পোশাক পরিধান করলেন ৷ সেদিন ছিল জুম আর দিন
জুম আ র নামায শেষে তিনি এসব করলেন ৷ সেদিন বানু নাহার গোত্রের জনৈক লোকের মৃত্যু
হয়েছিল ৷৩ তার নাম ছিল মালিক ইবন আমর ৷ যুদ্ধ পােশাকে তিনি ওই ব্যক্তির জানড়াযা আদায়
করলেন তারপর মুসলমানদের সম্মুখে উপস্থিত ৩হলেন ৷ নিজেদের ভুল বুঝতে পাের লোকজন
লজ্জিত হল ৷ তারা বলল হায়, আমরা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে বের করে এসেছি এটিভো
আমাদের মোটেই উচিত হয়নি ৷ তিনি যখন তাদের সম্মুখে এলেন, তখন তারা বললেন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্! আপনি চাইলে মদীনাং৩ই থাকুন ৷ তিনি বললেন, যুদ্ধ পোশাক পরিধান করার পর যুদ্ধ
না করে ওই পোশাক খোলা কোন নবীর শান নয় ৷ এক হাজার সাহাবী নিয়ে তিনি যাত্রা করলেন ৷
ইবন হিশাম বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখনকার জন্যে মদীনায় শাসনকর্তা নিযুক্ত করেছিলেন
আবদুল্লাহ ইবন উম্মু মাকতুম (রা ) কে ৷

ইবন ইসহাক বলেন, মদীনা ও উহুদের মধ্যবর্তী শাওত নামক স্থানে আসার পর এক
তৃতীয়াৎশ লোক নিয়ে আবদুল্লাহ ইবন উবাই দল ত্যাগ করল ৷ সে বলল, হে লোক সকল!
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওদের কথা শুনেছেন আর আমাদের কথা প্রত্যাখ্যান করেছেন ৷ তাহলে কিসের
জন্যে আমরা নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দেব তা বুঝে আসছে না ৷ তার সম্প্রদায়ের মুন৷ ৷ফিকগণ
তাকে অনুসরণ করে ফিরে যায় ৷ হযরত ৩জাবির (রা) এ-য় পি৩ ৷ আবদৃল্লাহ্ ইবন আমর ইবন
হারাম সুলামী ওদের পিছু পিছু গেলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে থাকার জন্যে ওদেরকে
ডেকে ডেকে বললেন, হে আমার সম্প্রদায়! আমি তে ৷মাদেরকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে
দিচ্ছি ৷ শত্রুর মুখোমুখি হওয়া অবস্থায় তোমরা তোমাদের সম্প্রদায়কে এবং তোমাদের নবীকে
ছেড়ে যেয়োনা ৷ মুনাফিকগণ বলল, আমরা যদি মনে করতাম যে, তোমরা সত্যিই জিহাদে হচ্ছে
তবে আমরা তোমাদের কথা মানতাম; কিন্তু জিহাদ সংঘটিত হবার কোন আলাম৩ ই আমরা
দেখছি না ৷৩ তার অনুরোধ উপরোধে তারা যখন সাড়া দিলনা তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহ্র
শত্রুরা, আল্লাহ তোমাদেরকে তার রহমত থেকে সরিয়ে দিন অতি ৩সত্র আল্লাহ্ তা আলা তার
নবীকো তামাদের সাহায্য প্রার্থী হওয়া থেকে রক্ষা করবেন ৷ আমি বলি আল্লাহ তাঅ লার নিম্নোক্ত
বাণীতে ওই মুন৷ ফিাকদের কথাই বুঝা নো হয়েছে ৷ আল্লাহ্ তা আলা বলেন :

া,াট্র



এবং মুনাফিকদেরকে জানবার জন্যে ৷ এবং তাদেরকে বলা হয়েছিল আস, তোমরা
আল্লাহর পথে যুদ্ধ কর অথবা প্রতিরোধ কর ৷৩ তারা বলেছিল “যদি একে যুদ্ধ বলে জানতাম তবে
নিশ্চিতভাবে তোমাদের অনুসরণ কর৩ তাম ৷ সেদিন তারা ঈমানের চেয়ে কুফরীর নিকটতর ছিল ৷


سَلُولَ مَعَ رَأْيِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَنْ لَا يَخْرُجَ إِلَيْهِمْ، فَقَالَ رِجَالٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ مِمَّنْ أَكْرَمَ اللَّهُ بِالشَّهَادَةِ يَوْمَ أُحُدٍ وَغَيْرُهُمْ مِمَّنْ كَانَ فَاتَهُ بَدْرٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، اخْرُجْ بِنَا إِلَى أَعْدَائِنَا، لَا يَرَوْنَ أَنَّا جَبُنَّا عَنْهُمْ وَضَعُفْنَا. فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَا تَخْرُجْ إِلَيْهِمْ، فَوَاللَّهِ مَا خَرَجْنَا مِنْهَا إِلَى عَدُوٍّ قَطُّ إِلَّا أَصَابَ مِنَّا، وَلَا دَخَلَهَا عَلَيْنَا إِلَّا أَصَبْنَا مِنْهُ. فَلَمْ يَزَلِ النَّاسُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى دَخَلَ فَلَبِسَ لَأْمَتَهُ، وَذَلِكَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ حِينَ فَرَغَ مِنَ الصَّلَاةِ، وَقَدْ مَاتَ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ رَجُلٌ مِنْ بَنِي النَّجَّارِ يُقَالُ لَهُ: مَالِكُ بْنُ عَمْرٍو. فَصَلَّى عَلَيْهِ ثُمَّ خَرَجَ عَلَيْهِمْ، وَقَدْ نَدِمَ النَّاسُ، وَقَالُوا: اسْتَكْرَهْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمْ يَكُنْ لَنَا ذَلِكَ. فَلَمَّا خَرَجَ عَلَيْهِمْ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنْ شِئْتَ فَاقْعُدْ. فَقَالَ: مَا يَنْبَغِي لِنَبِيٍّ إِذَا لَبِسَ لَأْمَتَهُ أَنْ يَضَعَهَا حَتَّى يُقَاتِلَ. فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَلْفٍ مِنْ أَصْحَابِهِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَاسْتَعْمَلَ عَلَى الْمَدِينَةِ ابْنَ أُمِّ مَكْتُومٍ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَتَّى إِذَا كَانَ بِالشَّوْطِ بَيْنَ الْمَدِينَةِ وَأُحُدٍ انْخَزَلَ عَنْهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ بِثُلْثِ النَّاسِ، وَقَالَ: أَطَاعَهُمْ وَعَصَانِي، مَا نَدْرِي عَلَامَ نَقْتُلُ أَنْفُسَنَا هَاهُنَا أَيُّهَا النَّاسُ؟ فَرَجَعَ بِمَنِ اتَّبَعَهُ مِنْ قَوْمِهِ مِنْ أَهْلِ النِّفَاقِ وَالرَّيْبِ، وَاتَّبَعَهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ حَرَامٍ السُّلَمِيُّ، وَالِدُ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ: يَا قَوْمِ، أُذَكِّرُكُمُ اللَّهَ أَنْ لَا تَخْذُلُوا قَوْمَكُمْ وَنَبِيَّكُمْ عِنْدَ مَا حَضَرَ مِنْ عَدُوِّهِمْ.
পৃষ্ঠা - ২৬৩৪
قَالُوا: لَوْ نَعْلَمُ أَنَّكُمْ تُقَاتِلُونَ لَمَا أَسْلَمْنَاكُمْ، وَلَكِّنَّا لَا نَرَى أَنْ يَكُونَ قِتَالٌ فَلَمَّا اسْتَعْصُوا عَلَيْهِ وَأَبَوْا إِلَّا الِانْصِرَافَ، قَالَ أَبْعَدَكُمُ اللَّهُ أَعْدَاءَ اللَّهِ، فَسَيُغْنِي اللَّهُ عَنْكُمْ نَبِيَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قُلْتُ: وَهَؤُلَاءِ الْقَوْمُ هُمُ الْمُرَادُونَ بِقَوْلِهِ تَعَالَى: {وَلِيَعْلَمَ الَّذِينَ نَافَقُوا وَقِيلَ لَهُمْ تَعَالَوْا قَاتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَوِ ادْفَعُوا قَالُوا لَوْ نَعْلَمُ قِتَالًا لَاتَّبَعْنَاكُمْ هُمْ لِلْكُفْرِ يَوْمَئِذٍ أَقْرَبُ مِنْهُمْ لِلْإِيمَانِ يَقُولُونَ بِأَفْوَاهِهِمْ مَا لَيْسَ فِي قُلُوبِهِمْ وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا يَكْتُمُونَ} [آل عمران: 167] . يَعْنِي، أَنَّهُمْ كَاذِبُونَ فِي قَوْلِهِمْ: لَوْ نَعْلَمُ قِتَالًا لَاتَّبَعْنَاكُمْ. وَذَلِكَ لِأَنَّ وُقُوعَ الْقِتَالِ أَمْرُهُ ظَاهِرٌ بَيِّنٌ وَاضِحٌ، لَا خَفَاءَ وَلَا شَكَّ فِيهِ، وَهُمُ الَّذِينَ أَنْزَلَ اللَّهُ فِيهِمْ: {فَمَا لَكُمْ فِي الْمُنَافِقِينَ فِئَتَيْنِ وَاللَّهُ أَرْكَسَهُمْ بِمَا كَسَبُوا} [النساء: 88] الْآيَةَ [النِّسَاءِ: 88] . وَذَلِكَ أَنَّ طَائِفَةً قَالَتْ: نُقَاتِلُهُمْ. وَقَالَ آخَرُونَ: لَا نُقَاتِلُهُمْ. كَمَا ثَبَتَ وَبُيِّنَ فِي " الصَّحِيحِ ". وَذَكَرَ الزُّهْرِيُّ أَنَّ الْأَنْصَارَ اسْتَأْذَنُوا حِينَئِذٍ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الِاسْتِعَانَةِ بِحُلَفَائِهِمْ مِنْ يَهُودِ الْمَدِينَةِ فَقَالَ: لَا حَاجَةَ لَنَا فِيهِمْ. وَذَكَرَ عُرْوَةُ، وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ أَنَّ بَنِي سَلِمَةَ وَبَنِي حَارِثَةَ لَمَّا رَجَعَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ وَأَصْحَابُهُ، هَمَّتَا
পৃষ্ঠা - ২৬৩৫

যা তাদের অম্ভরে নেই তারা তা মুখে বলে, তারা বা গোপন রাখে আল্লাহ তা বিশেষভাবে
অবহিত ৷ (৩-আলে ইমরান : ১৬৭) ৷ অর্থাৎ তারা যে বলেছে “যদি যুদ্ধ হবে জানতাম তবে
নিশ্চিতভাবে তোমাদের অনুসরণ করতাম” এই রক্তবাে তারা মিথ্যাবাদী ৷ কারণ, যুদ্ধ যে সে
সময়ে সংঘটিত হয়ে তা ছিল নিশ্চিত ৷ তাতে কোন অস্পষ্টতা ও সন্দেহ ছিলনা ৷ এই সকল
মুনাফিক লোকদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা নাযিল করেছেন :

তোমাদের হল কী যে, তোমরা মুনাফিকদের সম্বন্ধে দৃ’ দলে বিভক্ত হয়ে গেলে? তাদেরকে
আল্লাহ তাদের কৃতকর্যের জন্যে পুৰ্বাবন্থায় ফিরিয়ে দিয়েছেন ৷ ( : নিসা : ৮৮) ৷ এ মুনড়াফিকদের
সম্বন্ধে সাহড়াবাগণ দু ধরণের অভিমত পাওয়া যায় ৷ একদল বলে যে, আমরা এই মুনাফিকদের

বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি ৷ অপর দল বলেন আমরা ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব না ৷ সহীহ হাদীস গ্রন্থে এ
বিষয়ে হাদীস বর্ণিত আছে ৷

যুহরী বলেন, উহুদের যুদ্ধের প্রাক্কালে আনসারগণ মদীনায় অবস্থান কারী মিত্রশক্তি ইয়াহ্রদীদের
সাহায্য নেয়ার জন্য রাসুলুল্লাহ (সা)-এর অনুমতি চেয়েছিলেন ৷ উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ওদের
সাহায্যে আমাদের প্রয়োজন নেই ৷ উরওয়া ইবন মুসা ইবন উক্বা বলেছেন যে, আবদুল্লাহ ইবন
উবইি মুনাফিক ও তার সাথীগণ দলত্যাগ করে চলে যাওয়ার পর বানু সালিমা ও বানু হারিছা
গোত্রদ্বয় ও ভগ্ন হৃদয় হয়ে দলত্যাগ করার কথা ভেবেছিল ৷ কিন্তু আল্লাহ তড়াআলা তাদেরকে
অবিচল রেখেছিলেন ৷ এ সম্পর্কে আল্লাহ্ তাআলা বলেন :

ন্ধ্রণ্শ্ষ্ংশ্ ৩ন্শ্ :
১;ন্প্ন্ন্ন্ “;ত্র ৷
যখন তোমাদের মধ্যে দু গোত্রের সাহস হারানাের উপক্রম হয়েছিল এবং আল্লাহ উভয়ের
সহায়ক ছিলেন, আল্লাহর প্রতিই যেন মু’মিনগণ নির্ভর করে ৷ (৩আলে ইমরান : ১২২) ৷ জাবির
ইবন আবদুল্লাহ (রা) বলেন, এই আয়াত নাযিল হওয়াটাই ছিল আমাদের কামা ৷ কারণ, আল্লাহ

তাআলা বলেছেন : ,,ট্রুৰুন্া , ৰু৷ , আল্লাহ ওই দু দলের সাহায্যকারী ৷ সহীহ বুখারী ও সহীহ
মুসলিমে হযরত জাবির (রা) থেকে এরুপ বর্ণিত আছে ৷

ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) সম্মুখে অগ্রসর হতে লাগলেন, বানু হারিছা গোত্রের
পাথুরে অঞ্চল অতিক্রম করার সময় একটি ঘোড়া তার লেজ নাড়ল তা’ জনৈক মুজড়াহিদের
তরবারির র্বীটের সাথে লাগার তরবারি খাপ থেকে খসে পড়ে ৷ তরবারিধারী সাহাবীকে রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, তরবারি আপাততঃ কোষবদ্ধ করে রাথ , আমি দেখতে পাচ্ছি যে, আজ অচিরেই
তরবারিগুলো খোলা হবে ৷

রাসুলুল্লাহ (সা) সাহাবীদের উদ্দেশ্যে বললেন, এমন কেউ আছে কি যে, আমাদেরকে
সংক্ষিপ্ত পথে শত্রুদের নিকট নিয়ে যাবে তবে একেবারে শত্রুদের মুখোমুখি নয় ৷ বানু হারিছা
গোত্রের আবু থায়ছামা (রা) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমি প্রস্তুত রয়েছি ৷ এরপর তিনি


أَنْ تَفْشَلَا، فَثَبَّتَهُمَا اللَّهُ تَعَالَى. وَلِهَذَا قَالَ: {إِذْ هَمَّتْ طَائِفَتَانِ مِنْكُمْ أَنْ تَفْشَلَا وَاللَّهُ وَلِيُّهُمَا وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ} [آل عمران: 122] قَالَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ: مَا أُحِبُّ أَنَّهَا لَمْ تَنْزِلْ، وَاللَّهُ يَقُولُ: {وَاللَّهُ وَلِيُّهُمَا} [آل عمران: 122] كَمَا هُوَ ثَابِتٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَمَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى سَلَكَ فِي حَرَّةِ بَنِي حَارِثَةَ فَذَبَّ فَرَسٌ بِذَنَبِهِ، فَأَصَابَ كُلَّابَ سَيْفٍ فَاسْتَلَّهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِصَاحِبِ السَّيْفِ: شِمْ سَيْفَكَ - أَيْ أَغْمِدْهُ - فَإِنِّي أُرَى السُّيُوفَ سُتُسَلُّ الْيَوْمَ. ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَصْحَابِهِ: مَنْ رَجُلٌ يَخْرُجُ بِنَا عَلَى الْقَوْمِ مِنْ كَثَبٍ - أَيْ مِنْ قَرِيبٍ - مِنْ طَرِيقٍ لَا يَمُرُّ بِنَا عَلَيْهِمْ؟ فَقَالَ أَبُو خَيْثَمَةَ أَخُو بَنِي حَارِثَةَ بْنِ الْحَارِثِ: أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَنَفَذَ بِهِ فِي حَرَّةِ بَنِي حَارِثَةَ وَبَيْنَ أَمْوَالِهِمْ، حَتَّى سَلَكَ بِهِ فِي مَالٍ لِمِرْبَعِ بْنِ قَيْظِيٍّ، وَكَانَ رَجُلًا مُنَافِقًا ضَرِيرَ الْبَصَرِ، فَلَّمَا سَمِعَ حِسَّ رَسُولِ اللَّهِ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، قَامَ يَحْثِي فِي وُجُوهِهِمُ التُّرَابَ وَيَقُولُ: إِنْ كُنْتَ رَسُولَ اللَّهِ، فَإِنِّي لَا أُحِلُّ لَكَ أَنْ تَدْخُلَ فِي حَائِطِي. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ ذُكِرَ لِي أَنَّهُ أَخَذَ حَفْنَةً مِنْ تُرَابٍ فِي يَدِهِ، ثُمَّ قَالَ: وَاللَّهِ لَوْ أَعْلَمُ أَنِّي لَا أُصِيبُ بِهَا غَيْرَكَ يَا مُحَمَّدُ لَضَرَبْتُ بِهَا وَجْهَكَ.
পৃষ্ঠা - ২৬৩৬

সুলুল্লাহ্ (না)-কে পথ দেখিয়ে বানুহারিছা গোত্রের শিলাভুমি ও ধন-সম্পদ (ক্ষত-ফসলের মধ্য
য়ে নিয়ে চলল ৷ যেতে যেতে তারা মিরবা ইবন কায়যী নামের জনৈক ব্যক্তির বাগানে গিয়ে
টীছলেন ৷ ওই লোকটি ছিল মুনাফিক এবং দৃষ্টিশক্তিহীন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও মুসলমানদের
াগমন আচ করতে পেরে সে উঠে র্দাড়াল এবং মুজাহিদদেরকে লক্ষ্য করে ধুলো নিক্ষেপ করতে
গল ৷ সে বলছিল, তুমি যদি আল্লাহর রাসুল হও তবে আমার বাগানে প্ৰবেশে তোমার জন্যে
নুমতি নেই ৷ ইবন ইসহাক বলেন, আমি জানতে পেয়েছি যে, সে এক মুষ্টি ধুলো হাতে নিয়ে
লছিল , আল্লাহর কসম , হে মুহাম্মাদ ! আমি যদি নিশ্চিত হতে পারতাম যে আমার নিক্ষিপ্ত মাটি
মি ছাড়া অন্য কারো পায়ে পড়বে না তবে আমি শুধু তোমার মুখমণ্ডল লক্ষ্য করে এ ধুলাে
ক্ষেপ করতাম ৷ তার এ উদ্ধত্য দেখে লোকজন দ্রুত তাকে হত্যা করার জন্যে এগিয়ে
লেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর বললেন, না, ওকে যেরােনা ৷ এই ব্যক্তিটি চোখ এবং অন্তর উভয়
ক থেকেই অন্ধ ৷ রসুলুল্লাহ্ (সা) বারণ করার পুর্বেই বানু আবদুল আশহাল ণ্পুপাত্রের সাদ ইবন
য়দ মুনাফিকটির নিকট পৌছে যান এবং ধনুক দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন ৷ তাতে তার
বা যখম হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) অগ্রসর হয়ে অবস্থান নিলো ৷ উহুদ প্রাত্তরের উপত্যকায় সমতল
রতে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) উহুদ পাহাড়কে পেছনে রেখে অবস্থান নিলেন ৷ তার সেনাবাহিনী ও তার
াছনের দিকে ছিল ৷ তিনি নির্দেশ দিলেন যে, তার আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত কেউ যেন যুদ্ধ শুরু
করেন ৷ কুরড়ায়শগণ তাদের সশস্ত্র বাহন ত্তস্থে গুলো ঘাস খাওয়ার জন্যে ছেড়ে দিয়েছিল খালের
ারে শ্যামল শস্যক্ষেত্রে ৷ ওই শস্যক্ষেত্রটি ছিল মুসলমানদের ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আপাততঃ যুদ্ধ
াকে বারণ করার পর জনৈক আনসারী বলে উঠলেন, এ কেমন কথা বানু কীলা গোত্রের ক্ষেত
মারে পশু চরানাে হচ্ছে অথচ আমরা তা তাড়াব না ৷

রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুদ্ধের প্রস্তুতি নিলেন ৷ তখন তার সাথে মুজাহিদের সংখ্যা ছিল সাত শ’
ন ৷ ভীরন্দাজ বাহিনীর প্রধান রুপে বানু আমার ইবন আওফ গোত্রের হযরত আবদৃল্লাহ্ ইবন
বায়র (রা)-কে মনোনীত করেন ৷ তিনি ছিলেন সাদা পোশাক পরিহিত ৷ তীরন্দাজ বাহিনী
রুথ্যায় ছিলেন পঞ্চাশ জন ৷ তিনি বললেন, তীর নিক্ষেপ করে তোমরা শত্রুপক্ষের অশ্বারোহী
হিনীকে প্রতিরোধ করবে ৷ তারা যেন আমাদের পেছনের দিক থেকে আসতে না পারে ৷ যুদ্ধের
লাফল আমাদের পক্ষে হোক কিত্বা বিপক্ষে তোমরা ওই পিরিপথে অবিচল থাকবে ৷ কোন
বন্থাতেই যেন আমরা পেছনের দিক থেকে ওদের দ্বারা আক্রান্ত না হই ৷ সহীহ বুখারী ও মুসলিম
:ন্থ এ বিষয়ক হাদীছ রয়েছে ৷ সে গুলোর উদ্ধৃতি অচিরেই আসবে ইন্শাআল্লাহ্ ৷

ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) দুটো যুদ্ধ-বর্ম পরিধান করে মাঠে নেমেছিলেন ৷ অর্থাৎ
কটির উপর আরেকটি বর্ম তিনি পরেছিলেন ৷ পতাকা দিয়েছিলেন মুসআব ইবন উমায়রের
তে ৷ তিনি ছিলেন বানুআবদিদ দার গোত্রের লোক ৷

আমি বলি, সেদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) কতক অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালককে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ থেকে
চরত পাঠিয়েছিলেন ৷ তাদের এ নাবালকত্বের কারণে তারা উহুদের যুদ্ধে অংশ নিতে পারেননি ৷
াদের মধ্যে ছিলেন আবদুল্লাহ্ ইবন উমার (বা) ৷ সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম গ্রন্থে আছে যে ,
ড়াবদৃল্লাহ্ ইবন উমার (রা ) বলেছেন, উহুদের যুদ্ধে অংশ নেয়ার অভিপ্রায়ে আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)


فَابْتَدَرَهُ الْقَوْمُ لِيَقْتُلُوهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا تَقْتُلُوهُ، فَهَذَا الْأَعْمَى أَعْمَى الْقَلْبِ أَعْمَى الْبَصَرِ. وَقَدْ بَدَرَ إِلَيْهِ سَعْدُ بْنُ زَيْدٍ أَخُو بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ قَبْلَ نَهْيِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَضَرَبَهُ بِالْقَوْسِ فِي رَأْسِهِ فَشَجَّهُ وَمَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى نَزَلَ الشِّعْبَ مِنْ أُحُدٍ فِي عُدْوَةِ الْوَادِي إِلَى الْجَبَلِ، وَجَعَلَ ظَهْرَهُ وَعَسْكَرَهُ إِلَى أُحُدٍ، وَقَالَ: لَا يُقَاتِلَنَّ أَحَدٌ حَتَّى نَأْمُرَهُ بِالْقِتَالِ وَقَدْ سَرَّحَتْ قُرَيْشٌ الظَّهْرَ وَالْكُرَاعَ فِي زُرُوعٍ كَانَتْ بِالصَّمْغَةِ مِنْ قَنَاةٍ لِلْمُسْلِمِينَ، فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ حِينَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْقِتَالِ: أَتُرْعَى زُرُوعُ بَنِيَ قَيْلَةَ وَلَمَّا نُضَارِبْ؟ وَتَعَبَّأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْقِتَالِ، وَهُوَ فِي سَبْعِمِائَةِ رَجُلٍ، وَأَمَّرَ عَلَى الرُّمَاةِ يَوْمَئِذٍ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ جُبَيْرٍ أَخَا بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ وَهُوَ مُعَلَّمٌ يَوْمَئِذَ بِثِيَابٍ بِيضٍ، وَالرُّمَاةُ خَمْسُونَ رَجُلًا، فَقَالَ: انْضَحِ الْخَيْلَ عَنَّا بِالنَّبْلِ، لَا يَأْتُونَا مِنْ خَلْفِنَا، إِنْ كَانَتْ لَنَا أَوْ عَلَيْنَا فَاثْبُتْ مَكَانَكَ، لَا نُؤْتَيَنَّ مِنْ قِبَلِكَ. وَسَيَأْتِي شَاهِدُ هَذَا فِي " الصَّحِيحَيْنِ " إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَظَاهَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ دِرْعَيْنِ - يَعْنِي لَبِسَ دِرْعًا فَوْقَ دِرْعٍ - وَدَفَعَ اللِّوَاءَ إِلَى مُصْعَبِ بْنِ عُمَيْرٍ أَخِي بَنِي عَبْدِ الدَّارِ. قُلْتُ: وَقَدْ رَدَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَمَاعَةً مِنَ الْغِلْمَانِ يَوْمَ أُحُدٍ فَلَمْ يُمَكِّنْهُمْ مِنْ حُضُورِ الْحَرْبِ لِصِغَرِهِمْ ; مِنْهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ كَمَا ثَبَتَ فِي
পৃষ্ঠা - ২৬৩৭
" الصَّحِيحَيْنِ " قَالَ: عُرِضْتُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أُحُدٍ فِلَمْ يُجِزْنِي، وَعُرِضْتُ عَلَيْهِ يَوْمَ الْخَنْدَقِ وَأَنَا ابْنُ خَمْسَ عَشْرَةَ، فَأَجَازَنِي. وَكَذَلِكَ رَدَّ يَوْمَئِذٍ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ، وَزَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ، وَالْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ، وَأُسَيْدَ بْنَ ظُهَيْرٍ، وَعَرَابَةَ بْنَ أَوْسِ بْنِ قَيْظِيٍّ، ذَكَرَهُ ابْنُ قُتَيْبَةَ فِي الْمَعَارِفِ، وَأَوْرَدَهُ السُّهَيْلِيُّ. قَالَ: وَهُوَ الَّذِي يَقُولُ فِيهِ الشَّمَّاخُ إِذَا مَا رَايَةٌ رُفِعَتْ لِمَجْدٍ ... تَلَقَّاهَا عَرَابَةُ بِالْيَمِينِ وَمِنْهُمْ سَعْدُ ابْنُ حَبْتَةَ، ذَكَرَهُ السُّهَيْلِيُّ أَيْضًا، وَأَجَازَهُمْ كُلَّهُمْ يَوْمَ الْخَنْدَقِ وَكَانَ قَدْ رَدَّ يَوْمَئِذٍ سَمُرَةَ بْنَ جُنْدُبٍ، وَرَافِعَ بْنَ خَدِيجٍ، وَهُمَا ابْنَا خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً، فَقِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ رَافِعًا رَامٍ. فَأَجَازَهُ. فَقِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَإِنَّ سَمُرَةَ يَصْرَعُ رَافِعًا فَأَجَازَهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ رَحِمَهُ اللَّهُ: وَتَعَبَّأَتْ قُرَيْشٌ وَهْمُ ثَلَاثَةُ آلَافٍ، وَمَعَهُمْ مِائَتَا فَرَسٍ قَدْ جَنَبُوهَا، فَجَعَلُوا عَلَى مَيْمَنَةِ الْخَيْلِ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ وَعَلَى
পৃষ্ঠা - ২৬৩৮

এর সম্মুখে উপস্তি ত হই ৷ তিনি আমাকে অনুমতি দিলেন না ৷ পরবর্তীতে খন্দকের যুদ্ধে অংশ
নেয়ার জন্যে আমি রাসৃলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট উপস্থিত হই ৷ তখন আমার বয়স ১৫ বছর এবার
তিনি আমাকে অনুমতি দিলেন ৷ আরো যারা উহদ যুদ্ধে অংশ নেয়ার অনুমতি পাননি তাদের মধ্যে
ছিলেন উসাম৷ ইবন্ ৷ যায়দ, যায়দ ইবন ছাবিত , বারা ইবন আযিব, উসায়দ ইবন যুহায়র , আরাবা
ইবন আওস ইবন ফীযী ৷ ইবন কুতায়বা ও সৃহায়লী আরাবার নাম উল্লেখ করেছেন ৷ তার সম্পর্কে
করি শামৃমাখ বলেন চ


মর্যাদার ঝাণ্ডা যখনই উত্তোলিত হয়েছে, তখনই আরাবা সেটিকে তার দক্ষিণ হাতে ধারণ
করেছে ৷

অনুমতি-বঞ্চিতদের মধ্যে ছিলেন ইবন সাঈদ ইবন খায়ছামাভ্রদু ৷ তার কথাও উল্লেখ করেছেন
সুহায়লী ৷ খন্দক যুদ্ধের সময় ভীর৷ সকলেই তাতে অংশ নেয়ার অনুমতি পেয়েছিলেন ৷ উহুদ
দিবসে রাসুলুল্লাহ ( সা ) সামুরা ইবন জুনদৃব এবং বাকি ইবন খাদীজকেও ফেরত পাঠিয়ে দিলেন,
তখন তাদের বয়স ছিল পরের বছর ৷ বলা হল যে, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! রাফি (তা ভাল তীরন্দায় ৷
ফলে তিনি রাফি কে অনুমতি দিলেন ৷ আবার বলা হল সামুরা৩ তা কুস্তিতে ব ফি কে পরাস্ত
করতে পারে ৷ তিনি তখন সাযুরাকেও যুদ্ধে অং শ্৷ নেয়ার অনুমতি দিলেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, অন্যদিকে কুরায়শরা যুদ্ধ সাজে সজ্জিত হল ৷ তারা সং খ্যায় ছিল তিন
হাজার ৷ তাদের অশ্ব সং থ্যা ছিল দুই শ ৷ অশ্ব গুলােকে তারা দৃপাশে সাবিবদ্ধ করল ৷ তারা
তাদের অশ্বারােহী বাহিনীর ডান বাহুর নে , হুখালিদ ইবন ওলীদকে এবং বাম বাহুর নেতৃতু
ইকরাম৷ ইবন আবু জা হ্লকে অর্পণ করে ৷

রাসুলুল্লাহ্ (সা একটি তরবারি উচিয়ে ঘোষণা দিলেন, প্রকৃত হক আদায় করার সংকল্প নিয়ে
এ তরবারিটি (ক ৷নবে ? অনেক মুজাহিদ তা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করলেন ৷ তিনি তাদের
কাউফেই তা দিলে ৷ না ৷ এবার এলেন বানু সাইদাহ্ গোত্রের আবু দুজান৷ সিমাক ইবন খারাশা ৷
তিনি বললেন ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! এই রতবাবির হক কী রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন, তা হল এটি
বো,ক না যাওয়া ম্ভে শত্রুর উপর অ নবব৩ আঘাত হেনে যাওয়া ৷ আবু দৃজ না (বা ) বললেন, ওই
হক আদায়ের সংকাং নিয়ে আ ৷মি সেটি গ্রহণ করব ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! তিনি তরবারি হলো তার হাতে
তুলে দিলেন ৷ ইবন ইসহাক বিচ্ছিন্ন সনদে এরুপ বর্ণনা ৷কবেছেন ৷ ইবন আহমদ (র ) বলেন,
ইয়াযীদ ছাবিত থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, উহুদ দিবসে রাসুলুল্লাহ্ (সা) একটি
তরবারি উচিয়ে বললেন, এই নবারি নেয়ার মত কে আছে ? কতক লোক তা নিতে আগ্রহী
হল ৷ তিনি তাদের দিকে তাকা সেন এবং বললেন, এটির হক আদায় করে গ্রহণ করার মত কে
আছে ? এবার সবাই চুপ হয়ে গেলেন ৷ আবু দৃজানা সিমাক বললেন, আমি সেটির হক আদায়ের
ত্কল্প নিয়ে গ্রহণ করব ৷ আবু দুজান৷ তা ৷তেহ৷ ৩নিলেন এবং সেটির আঘাতে ৩বহু মুশরিকের
মাথার খুলি উড়িয়ে দিলেন ৷ ইমাম মুসলিম (র ) এই হাদীছ আবু বকর সুত্রে আফ্ফান থেকে
উদ্ধৃত করেছেন ৷


مَيْسَرَتِهَا عِكْرِمَةَ بْنَ أَبِي جَهِلِ بْنِ هِشَامٍ. وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ يَأْخُذُ هَذَا السَّيْفَ بِحَقِّهِ؟ فَقَامَ إِلَيْهِ رِجَالٌ، فَأَمْسَكُهُ عَنْهُمْ، حَتَّى قَامَ إِلَيْهِ أَبُو دُجَانَةَ سِمَاكُ بْنُ خَرَشَةَ، أَخُو بَنِي سَاعِدَةَ، فَقَالَ: وَمَا حَقُّهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: أَنْ تَضْرِبَ بِهِ فِي الْعَدُوِّ حَتَّى يَنْحَنِيَ قَالَ: أَنَا آخُذُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ بِحَقِّهِ، فَأَعْطَاهُ إِيَّاهُ» . هَكَذَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ مُنْقَطِعًا. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، وَعَفَّانُ قَالَا: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، هُوَ ابْنُ سَلَمَةَ، أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَ سَيْفًا يَوْمَ أُحُدٍ فَقَالَ: مَنْ يَأْخُذَ هَذَا السَّيْفَ؟ فَأَخَذَهُ قَوْمٌ فَجَعَلُوا يَنْظُرُونَ إِلَيْهِ، فَقَالَ: مَنْ يَأْخُذُهُ بِحَقِّهِ؟ فَأَحْجَمَ الْقَوْمُ، فَقَالَ أَبُو دُجَانَةَ سِمَاكٌ: أَنَا آخُذُهُ بِحَقِّهِ. فَأَخَذَهُ فَفَلَقَ بِهِ هَامَ الْمُشْرِكِينَ.» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَفَّانَ بِهِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ أَبُو دُجَانَةَ رَجُلًا شُجَاعًا يَخْتَالُ عِنْدَ الْحَرْبِ، وَكَانَ لَهُ عِصَابَةٌ حَمْرَاءُ يُعْلَمُ بِهَا عِنْدَ الْحَرْبِ، يَعْتَصِبُ بِهَا فَيَعْلَمُ النَّاسُ أَنَّهُ سَيُقَاتِلُ. قَالَ: فَلَمَّا أَخَذَ السَّيْفَ مِنْ يَدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْرَجَ عِصَابَتَهُ تِلْكَ فَاعْتَصَبَ بِهَا، ثُمَّ جَعَلَ يَتَبَخْتَرُ بَيْنَ الصَّفَّيْنِ. قَالَ: فَحَدَّثَنِي جَعْفَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَسْلَمَ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ২৬৩৯


ইবন ইসহাক বলেন আবু দৃজান৷ ছিলেন একজন বীর যোদ্ধা ৷ যুদ্ধকালে বিভিন্ন কৌশল

অবলম্বনে৩ তিনি ছিলেন পারদশী ৷৩ তার একটি লাল পাগডী ছিল ৷ যুদ্ধের সময়ও তিনি তা মাথায়
বাধাতন ৷ এটি ছিল তার পরিচিতি চিহ্ন ৷ এই পাগডী পরিধান করলেই বুঝা যেত যে তিনি
অবিলম্বে যুদ্ধ শুরু করবেন ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা) এর হাত থেকে তরবারিটি নিয়ে আবু দৃজান৷ তার
লাল পাপ ৷ড়ি মাথায় বাধলেন ৷ তারপর উভয় পক্ষের সারির মাঝখানে গিয়ে প্রচণ্ড বীরত্বের সাথে
পর্ব প্রকাশ করতে লাগলেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, জাফর ইবন আবদুল্লাহ্ বানু সালামার
গোত্রের জনৈক আনসারী থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আবু দৃজানার ওই পর্ব প্রদর্শনের মহড়া
দেখে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এটি এমন এক চলার ভঙ্গি সাধারণত যা আল্লাহ্ পসন্দ করেন না ৷
তবে এই ধরনের পরিস্থিতিতে অর্থাৎ যুদ্ধের ময়দানে তা আল্লাহ্ তা জানা পসন্দ করেন ৷

ইব ন ইসহাক বলেন, বানুআবদুদ দার গোত্রের পতাকাবাহী লোকদের মধ্যে যুদ্ধ উন্মাদনা
সৃষ্টির উদ্দেশ্যে শত্রু সেনাপতি আবু সুফিয়ান বলেছিল, হে আবদৃদ দার গোত্রের লোকজন! বদর
দিবসে আমাদের পতাকা তোমাদের দায়িত্বে ছিল ৷ সেদিন আমরা যে গ্নানি ভোগ করেছি ত
তোমরা দেখেছ ৷ পতাকার উপর সৈনিকদের মনােবল ও সাহস নির্ভর করে ৷ পতাকার পতন হলে
সৈন্যদলের পতন হয় ৷ এই যুদ্ধে তোমরা যদি পতাকা সমুন্নত রাখতে পার তবে ভাল ৷ আর যদি
তা না পার, তবে পতাকা আমাদের নিকট হস্তান্তর কর, আমরা ওই দায়িতু থেকে তােমাদেরকে
অব্যাহতি দেবাে ৷ এ কথা শুনে প্রতিশ্রুতি প্রদানের আঙ্গিকে তারা বলল, আমরা আমাদের পতাকা
আপনার হাতে সােপর্দ করব ? আপামীক ল যুদ্ধের ময়দানে মুসলিম সৈন্যদের মুখোমুখি হলে
আপনি দেখবেন আমরা কেমনতর ভুমিকা পালনকা রী ৷ আবু সৃফিয়ানের ইচ্ছাও ছিল ওদের পক্ষ
থেকে এরুপ সাহসিকতাপুর্ণ উত্তর শ্রবণ করা ৷

উহুদ দিবসে উভয় পক্ষের সৈনিকগণ মুখোমুখি হলে, হিন্দ বিনৃত উতরা তার সঙ্গিনীদেরকে
নিয়ে মুশরিক পুরুষদের পেছনে দাড়িয়ে গেল এবং সকল মহিলা মিলে দফ বাজাতে লাগল ৷
কুরায়শ যোদ্ধাদেরকে উৎসা ত করে হিন্দ বাদ্যের তালে তালে আবৃত্তি করছিল :
শুৰুধ্

ওহে বানু আবদৃদ দার গোত্র ওহে দেশ রক্ষাক৷ ৷রী সৈনিকপণ! প্রচণ্ডভাবে তরবারি চালিয়ে
যাও ৷


তোমরা যদি এগিয়ে যাও সন্মুখপানে তবে আমরা তােমাদেরকে আলিঙ্গন করব এবং
তোমাদের জন্যে ভালবাসার বিছান৷ পেতে দেব ৷

ন্:ন্;, ৷ ’,
আর তোমরা যদি পশ্চাতে ফিরে আল পালিয়ে আস তবে আমরা তােমাদেরকে চিরদিনের
জন্যে পরিত্যাগ করব কোন দিন আর তোমাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করব না ৷


رَجُلٍ مِنَ الْأَنْصَارِ مِنْ بَنِي سَلَمَةَ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ رَأَى أَبَا دُجَانَةَ يَتَبَخْتَرُ: إِنَّهَا لَمِشْيَةٌ يُبَغِضُهَا اللَّهُ إِلَّا فِي مِثْلِ هَذَا الْمَوْطِنِ.» قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ قَالَ أَبُو سُفْيَانَ لِأَصْحَابِ اللِّوَاءِ مِنْ بَنِي عَبْدِ الدَّارِ يُحَرِّضُهُمْ عَلَى الْقِتَالِ: يَا بَنِي عَبْدِ الدَّارِ، قَدْ وُلِّيتُمْ لِوَاءَنَا يَوْمَ بَدْرٍ فَأَصَابَنَا مَا قَدْ رَأَيْتُمْ، وَإِنَّمَا يُؤْتَى النَّاسُ مِنْ قِبَلِ رَايَاتِهِمْ، إِذَا زَالَتْ زَالُوا، فَإِمَّا أَنْ تَكْفُونَا لِوَاءَنَا، وَإِمَّا أَنْ تُخَلُّوا بَيْنَنَا وَبَيْنَهُ فَنَكْفِيكُمُوهُ. فَهَمُّوا بِهِ وَتَوَاعَدُوهُ، وَقَالُوا: نَحْنُ نُسْلِمُ إِلَيْكَ لِوَاءَنَا! سَتَعْلَمُ غَدًا إِذَا الْتَقَيْنَا كَيْفَ نَصْنَعُ. وَذَلِكَ الَّذِي أَرَادَ أَبُو سُفْيَانَ. قَالَ: فَلَمَّا الْتَقَى النَّاسُ، وَدَنَا بَعْضُهُمْ مِنْ بَعْضٍ، قَامَتْ هِنْدُ بِنْتُ عُتْبَةَ فِي النِّسْوَةِ اللَّاتِي مَعَهَا، وَأَخَذْنَ الدُّفُوفَ يَضْرِبْنَ بِهَا خَلْفَ الرِّجَالِ، وَيُحَرِّضْنَ عَلَى الْقِتَالِ، فَقَالَتْ هِنْدُ فِيمَا تَقُولُ وَيْهًا بَنِي عَبْدِ الدَّارْ ... وَيْهًا حُمَاةَ الْأَدْبَارْ ضَرْبًا بِكُلِّ بَتَّارْ وَتَقُولُ أَيْضًا: إِنْ تُقْبِلُوا نُعَانِقْ ... وَنَفْرِشِ النَّمَارِقْ أَوْ تُدْبِرُوا نُفَارِقْ ... فِرَاقَ غَيْرِ وَامِقْ
পৃষ্ঠা - ২৬৪০
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، أَنَّ أَبَا عَامِرٍ عَبْدَ عَمْرِو بْنَ صَيْفِيِّ بْنِ مَالِكِ بْنِ النُّعْمَانِ أَحَدَ بَنِي ضُبَيْعَةَ، وَكَانَ قَدْ خَرَجَ إِلَى مَكَّةَ مُبَاعِدًا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَهُ خَمْسُونَ غُلَامًا مِنَ الْأَوْسِ وَبَعْضُ النَّاسِ يَقُولُ: كَانُوا خَمْسَةَ عَشَرَ. وَكَانَ يَعِدُ قُرَيْشًا أَنْ لَوْ قَدْ لَقِيَ قَوْمَهُ، لَمْ يَخْتَلِفْ عَلَيْهِ مِنْهُمْ رَجُلَانِ. فَلَمَّا الْتَقَى النَّاسُ، كَانَ أَوَّلَ مَنْ لَقِيَهُمْ أَبُو عَامِرٍ فِي الْأَحَابِيشِ وَعُبْدَانِ أَهْلِ مَكَّةَ فَنَادَى: يَا مَعْشَرَ الْأَوْسِ، أَنَا أَبُو عَامِرٍ. قَالُوا: فَلَا أَنْعَمَ اللَّهُ بِكَ عَيْنًا يَا فَاسِقُ. وَكَانَ يُسَمَّى فِي الْجَاهِلِيَّةِ الرَّاهِبَ، فَسَمَّاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْفَاسِقَ. فَلَمَّا سَمِعَ رَدَّهُمْ عَلَيْهِ قَالَ: لَقَدْ أَصَابَ قَوْمِي بَعْدِي شَرٌّ. ثُمَّ قَاتَلَهُمْ قِتَالًا شَدِيدًا، ثُمَّ رَاضَخَهُمْ بِالْحِجَارَةِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَاقْتَتَلَ النَّاسُ حَتَّى حَمِيَتِ الْحَرْبُ، وَقَاتَلَ أَبُو دُجَانَةَ حَتَّى أَمْعَنَ فِي النَّاسِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَحَدَّثَنِي غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ، أَنَّ الزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ قَالَ: وَجَدْتُ فِي نَفْسِي حِينَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ السَّيْفَ فَمَنَعَنِيهِ وَأَعْطَاهُ أَبَا دُجَانَةَ، وَقُلْتُ: أَنَا ابْنُ صَفِيَّةَ عَمَّتِهِ، وَمِنْ قُرَيْشٍ، وَقَدْ قُمْتُ إِلَيْهِ فَسَأَلْتُهُ إِيَّاهُ قَبْلَهُ، فَأَعْطَاهُ أَبَا دُجَانَةَ وَتَرَكَنِي، وَاللَّهِ لَأَنْظُرَنَّ مَا يَصْنَعُ. فَاتَّبَعْتُهُ فَأَخْرَجَ عِصَابَةً
পৃষ্ঠা - ২৬৪১

ইবন ইসহাক বলেন, আলিম ইবন উমার ইবন কাতাদা বলেছেন, আবু আমির ছিল আমর
ইবন সায়ফী ইবন মালিক ইবন নু মানের ক্রী৩ দাস ৷ আমর ইবন সায়ফী বানু যাবীআ গোত্রের
লোক ৷ আবু আমির রাসুলুল্লাহ্ ( সা) এর সঙ্গ ত্যাগ করে ৫০ জন ক্রী৩ তদাসসহ মক্কার পালিয়ে
যায় ৷ কারো কারো মতে মক্কা ৷গামী ক্রীতদাসেব স খ্যা ছিল পনের ৷ কুরায়শদেরকে সে প্রতিশ্রুতি
দিয়েছিল যে , সে তার আপন সম্প্রদায়ের মুখোমুখি হলে সকলে তার দলের অন্তর্ভুক্ত হবে ৷
কেউই৩ার বিরোধিতা করবে না ৷ উহুদ দিবসে সর্বপ্রথম মুসলমানদের মুখোমুখি হয় ওই
দেশত্যাগী ক্রী৩ দাস আবু আমির ৷ তার সাথে ছিল তার দলবল ও মক্কার কতক ক্রীতদাস ৷
মদীনাবাসীদেরকে ডেকে ডেকে সে বলছিল ! হে আ ওস সম্প্রদায় ! আমি আবু আমির ৷
মুসলমানগণ বললেন, হে ফাসিক (পাপাচারী) ৷ আল্লাহ ভোর অকল্যাণ করুন ! জাহেলী যুগে সে
রাহিব বা যাজক নামে প্রসিদ্ধ ছিল ৷ শেষে রাসুলুল্লাহ্ (না) তার নাম দিয়েছিলেন ফাসিক পাপিষ্ঠ ৷
মুসলমানদের উত্তর শুনে সে বলল হায়, আমার দেশ ত্যাগের পর আমার সম্প্রদায় এতটা মন্দ ও
অকল্যাণে নিমজ্জিত হয়েছে তারপর সে মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড লড়াই শুরু করে ৷ সে
তাদের প্রতি পাথর ছুড়তে থাকে ৷

ইবন ইসহাক বলেন, এর সাথে সাথেই উভয়পক্ষ মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ৷ যুদ্ধ উষ্মাদনা
শুরু হয় ৷ আবু দুজানা তরবারি চালাতে থাকেন ৷ শত্রুপক্ষের ব্যুহ ভেদ করে তিনি তাদের
একেবারে ভেতরে ঢুকে পড়েন ৷

ইবন হিশাম বলেন, একাধিক আলিম আমাকে জানিয়েছেন যে, যুবায়র ইবন আওয়াম
বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিবল্ট তরবারিটি চেয়েছিলাম ৷ তিনি আমাকে না দিয়ে সেটি
দিলেন আবু দুজানাকে ৷ তাতে আমার মনে কিছুটা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল ৷ আমি মনে মনে
বললাম, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ফুফাত ভইি ৷ আমি তার ফুফু সাফিয়্যার পুত্র ৷ আমি একজন
কুরায়শী ৷ আমি আবুদৃজানার পুর্বে তার নিকট তরবারি চেয়ে আবেদন করি ৷ অথচ তিনি আমাকে
বাদ দিয়ে তাকেই তরবারি দিলেন ৷ আল্লাহর কসম , আমি অবশ্যই দেখব আবু দুজানা ৷কী ভুমিকা
পালন করে ? অতঃপর আমি তার পেছনে পেছনে গেলাম ৷ তিনি একটি লাল পাগড়ী বের
করলেন ৷ সেটি মাথায় বীধলেন ৷ তা দেখে আনসারীগণ বলে উঠলেন এই যে, আবু দুজানা
তিনি মৃত্যু পরওয়ানা পাগড়ী বের করেছেন ৷৩ তারা এরুপ বলছিলেন ৷ ইতোমধ্যে আবু দুজানা
পাগড়ী মাথায় বাধলেন এবং এই কবিতা আবৃত্তি করতে করতে বেরিয়ে পড়লেন ;;

৷ ৷ৰুা
আমি সেই ব্যক্তি আমার বন্ধু মুহাম্মাদ (সা) যাকে প্রতিশ্রুতিতে আবদ্ধ করেছেন ৷ খেজুর
বীথিকার নিকট আমরা এখন রক্তের বন্যা বইয়ে দেব ৷

,)টুঠুটু৷ ৷এ ধ্৷ ৷ মোঃ ’,পৌট্রু;ণ্া এট্রুট্রু ব্রা ৷ং ১ এ এ ৷ ণ্, ৷ ১াটু,
তিনি আমার প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন যে আমি যেন কখনো পেছনের সারিতে না থাকি ৷ আর
আল্লাহ ও রাসুলের তরবারি দ্বারা শক্রপক্ষকে আক্রমণ করতে থাকি ৷ আর আল্লাহ ও রাসুলের
তরবারি দ্বারা শত্রুপক্ষকে আক্রমণ করতে থাকি ৷



لَهُ حَمْرَاءَ، فَعَصَبَ بِهَا رَأْسَهُ، فَقَالَتِ الْأَنْصَارُ: أَخْرَجَ أَبُو دُجَانَةَ عِصَابَةَ الْمَوْتِ. وَهَكَذَا كَانَتْ تَقُولُ لَهُ إِذَا تَعَصَّبَ، فَخَرَجَ وَهُوَ يَقُولُ: أَنَا الَّذِي عَاهَدَنِي خَلِيلِي ... وَنَحْنُ بِالسَّفْحِ لَدَى النَّخِيلِ أَنْ لَا أَقُومَ الدَّهْرَ فِي الْكَيُّولِ ... أَضْرِبْ بِسَيْفِ اللَّهِ وَالرَّسُولِ وَقَالَ الْأُمَوِيُّ: حَدَّثَنِي أَبُو عُبَيْدٍ فِي حَدِيثِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ; أَنَّ رَجُلًا أَتَاهُ وَهُوَ يُقَاتِلُ، فَسَأَلَهُ سَيْفًا يُقَاتِلُ بِهِ، فَقَالَ: لَعَلَّكَ إِنْ أَعْطَيْتُكَ، تُقَاتِلْ فِي الْكَيُّولِ؟ قَالَ: لَا. فَأَعْطَاهُ سَيْفًا، فَجَعَلَ يَرْتَجِزُ وَيَقُولُ: أَنَا الَّذِي عَاهَدَنِي خَلِيلِي ... أَنْ لَا أَقُومَ الدَّهْرَ فِي الْكَيُّولِ وَهَذَا حَدِيثٌ يُرْوَى عَنْ شُعْبَةَ وَرَوَاهُ إِسْرَائِيلُ، كِلَاهُمَا عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ هِنْدِ بِنْتِ خَالِدٍ أَوْ غَيْرِهِ يَرْفَعُهُ. الْكَيُّولُ يَعْنِي مُؤَخَّرَ الصُّفُوفِ، سَمِعْتُهُ مِنْ عِدَّةٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ، وَلَمْ أَسْمَعْ هَذَا الْحَرْفَ إِلَّا فِي هَذَا الْحَدِيثِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَجَعَلَ لَا يَلْقَى أَحَدًا إِلَّا قَتَلَهُ، وَكَانَ فِي الْمُشْرِكِينَ رَجُلٌ لَا يَدَعُ جَرِيحًا إِلَّا ذَفَفَ عَلَيْهِ، فَجَعَلَ كُلٌّ مِنْهُمَا يَدْنُو مِنْ صَاحِبِهِ
পৃষ্ঠা - ২৬৪২

উমাভী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাদীস বর্ণনা প্রসংপে আবুউবায়দ আমাকে বলেছেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এরবারি হাতে যুদ্ধ করছিলেন ৷ তখন একজন লোক তার নিকট উপস্থিত হয় এবং
তরবারি থানা চায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমি যদি তোমাকে তরবারি দিই তাহলে তুমি কি
পেছনের সারিতে অবস্থান করে যুদ্ধ করবে ? যে ব্যক্তি বলল, জী না, তা নয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তাকে একটি তরবারি দিলেন ৷ যে ব্যক্তি তখন এ বণসঙ্গীত গেয়ে পেয়ে এগিয়ে পেল :

ষ্টুাঠুগুাহু ৰু;১র্দু৷ ৷ ৷ঠুা
আমি এমন এক ব্যক্তি যে, আমার বন্ধু রাসুলুল্লাহ্ (না) আমার অঙ্গীকার নিয়েছেন যে, আমি
যেন জীবনে কােনদিন পেছনের সারিতে থেকে যুদ্ধ না করি ৷

এই হাদীছটি শুবা থেকেও বর্ণিত আছে ৷ ইসরাঈলও এটি বর্ণনা করেছেন ৷ তারা দৃ’জনে
আবু ইসহাক সুত্রে হিন্দ বিন্ত খালিদ থেকে কিত্বা অন্য কারো সুত্রে মারফু পদ্ধতিতে বর্ণনা
করেছেন ৷

টুঠু হ্র ৷ শব্দের অর্থ সারিগুলোর পেছনে ৷ একাধিক বিজ্ঞজনের নিকট আমি এ ব্যাখ্যা
শুনেছি ৷ এই হড়াদীছ ব্যতীত অন্য কোন হাদীছে আমি এ শব্দটি পাইনি ৷

ইবন হিশাম বলেন, এরপর অগ্রসরমান আবু দৃজানা যাবেইি সামনে পাচ্ছিলেন তাকেই হত্যা
করছিলেন ৷ মুশরিকদের দলে একজন লোক ছিল আহত ব্যক্তি পেলেই সে তার সেরা করছিল
ক্ষতন্থান ব্যান্ডেজ করছিল ৷ ইতোমধ্যে আবু দৃজানা এবং ওই ব্যক্তি কাছাকাছি, হয়ে গেল ৷ যুবায়র
(ব) বললেন, আমি আল্পাহ্র নিকট প্রার্থনা করছিলাম যেন এরা দুজনে সংঘর্ষ লেগে যায় ৷
অবিলম্বে তারা দুজন মুখোমুখি হয়ে গেল এবং উত্তরে তরবারি পরিচালনা করল ৷ মুশরিক লোকটি
আবু দুজানড়ার উপর তরবারির আঘাত হান ব্ ৷ ঢাল দিয়ে আবু দৃজানা তা প্রতিহত করলেন ৷
মুশরিক লোকটির তরবারি ভৌতা হয়ে গেল ৷ এবার আবু দৃজানা তার উপর আক্রমণ চালিয়ে
তাকে হত্যা করে ফেললেন ৷

এরপর আমি দেখলাম আবুদৃজানা তরবারি উঠালেন হিন্দ বিনৃত উতবার মাথা বরাবর ৷ কিভৃ
অবিলম্বে তরবারি সরিয়ে নিলেন ৷ আমি বললাম, এর রহস্য কি তা আল্লাহ্ এবং তার রাসুলই ভাল
জানেন ৷ বায়হাকী (র ) আদ দালাইল গ্রন্থে হিশাম ইবন উরওয়৷ সুত্রে তিনি তার পিতা থেকে
এবং তিনি যুবড়ায়র ইবন আওয়াম থেকে এ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন, আবু
দৃজানা বলেছেন যে, আমি একটি লোক দেখলাম যে মুশরিক সৈন্যদেরকে খুব সাহস দিচ্ছে এবং
উত্তেজিত করছে ৷ আমি তার উদ্দেশ্যে এগিয়ে পেলাম ৷ আমি যখন তার মাথার উপর তরবারি
উঠালাম তখন সে অনুনয় বিনয় শুরু করল ৷ তখন আমি দেখতে পেলাম যে সে একজন মহিলা ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর তরবারির সম্মানার্থে ওই মহিলাটির উপর তরবারির আঘাত করিনি ৷

মুসা ইবন উক্বা বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন এই তরবারিটি হস্তান্তরের প্রস্তাব করেছিলেন
তখন উমর (রা)-ও তরবারি পাওয়ার জন্যে আবেদন জানিয়েছিলেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) তাকে
তরবারি দেননি ৷ এরপর যুবড়ায়র (রা)-তরবারিটি পাওয়ার আবেদন করেছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তড়াকেও তরবারিটি দেননি ৷ এতে র্তারা মনক্ষুগ্ন হয়েছিলেন, তিনি তৃতীয়বার প্রস্তাব করলেন ৷


فَدَعَوْتُ اللَّهَ أَنْ يَجْمَعَ بَيْنَهُمَا، فَالْتَقَيَا، فَاخْتَلَفَا ضَرْبَتَيْنِ، فَضَرَبَ الْمُشْرِكُ أَبَا دُجَانَةَ فَاتَّقَاهُ بِدَرَقَتِهِ فَعَضَّتْ بِسَيْفِهِ، وَضَرَبَهُ أَبُو دُجَانَةَ فَقَتَلَهُ، ثُمَّ رَأَيْتُهُ قَدْ حَمَلَ السَّيْفَ عَلَى مَفْرِقِ رَأْسِ هِنْدِ بِنْتِ عُتْبَةَ ثُمَّ عَدَلَ السَّيْفَ عَنْهَا. قَالَ الزُّبَيْرُ: فَقُلْتُ: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ " مِنْ طَرِيقِ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ بِذَلِكَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: قَالَ أَبُو دُجَانَةَ: رَأَيْتُ إِنْسَانًا يَحْمِشُ النَّاسَ حَمْشًا شَدِيدًا، فَصَمَدْتُ لَهُ، فَلَّمَا حَمَلْتُ عَلَيْهِ السَّيْفَ وَلْوَلَ، فَاذَا امْرَأَةٌ، فَأَكْرَمْتُ سَيْفَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أَضْرِبَ بِهِ امْرَأَةً. وَذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا عَرَضَهُ، طَلَبَهُ مِنْهُ عُمَرُ فَأَعْرَضَ عَنْهُ، ثُمَّ طَلَبَهُ مِنْهُ الزُّبَيْرُ فَأَعْرَضَ عَنْهُ، فَوَجَدَا فِي أَنْفُسِهِمَا مِنْ ذَلِكَ، ثُمَّ عَرَضَهُ الثَّالِثَةَ، فَطَلَبَهُ أَبُو دُجَانَةَ فَدَفَعَهُ إِلَيْهِ، فَأَعْطَى السَّيْفَ حَقَّهُ. قَالَ: فَزَعَمُوا أَنَّ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ قَالَ: كُنْتُ فِيمَنْ جُرِحَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَلَمَّا رَأَيْتُ
পৃষ্ঠা - ২৬৪৩
مَثْلَ الْمُشْرِكِينَ بِقَتْلَى الْمُسْلِمِينَ قُمْتُ فَتَجَاوَزْتُ، فَإِذَا رَجُلٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ جِمْعُ اللَّأْمَةِ يَحُوزُ الْمُسْلِمِينَ، وَهُوَ يَقُولُ: اسْتَوْسِقُوا كَمَا اسْتَوْسَقَتْ جَزَرُ الْغَنَمِ. قَالَ: وَإِذَا رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَنْتَظِرُهُ وَعَلَيْهِ لَأْمَتُهُ، فَمَضَيْتُ حَتَّى كُنْتُ مِنْ وَرَائِهِ، ثُمَّ قُمْتُ أَقْدُرُ الْمُسْلِمَ وَالْكَافِرَ بِبَصَرِي، فَإِذَا الْكَافِرُ أَفْضَلُهُمَا عُدَّةً وَهَيْئَةً. قَالَ: فَلَمْ أَزَلْ أَنْتَظِرُهُمَا حَتَّى الْتَقَيَا، فَضَرَبَ الْمُسْلِمُ الْكَافِرَ عَلَى حَبْلِ عَاتِقِهِ ضَرْبَةً بِالسَّيْفِ فَبَلَغَتْ وَرِكَهُ، وَتَفَرَّقَ فِرْقَتَيْنِ، ثُمَّ كَشَفَ الْمُسْلِمُ عَنْ وَجْهِهِ وَقَالَ: كَيْفَ تَرَى يَا كَعْبُ؟ أَنَا أَبُو دُجَانَةَ.
পৃষ্ঠা - ২৬৪৪

এবার তরবারি পাওয়ার আবেদন জানালেন আবু দৃজ না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তরবাবিটি তাকেই
দিলেন ৷ অ বু দৃজানা শেষ পর্যন্ত তরবারির হক আদায় করেছিলেন ৷

সীরাতঅভিজ্ঞদের ধারণা যে, কাব ইবন মালিক বলেছেন, আমি যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী
মুসলমানদের মধ্যে ছিলাম ৷ আমি যখন দেখলাম যে মুশবিকদের সংখ্যা মুসলমানদের দ্বিগুণ
তখন আমি এক পাশে সরে র্দাড়ালাম ৷ আমি দেখলাম জনৈক মুশবিক সৈন্য পুর্ণভাবে অস্ত্র
সজ্জিত ৷ সে দ্রুতবেগে মুসলমানদের ব্যুহ ভেদ করে এগিয়ে যাচ্ছে ৷ সে বলছিল , পালাও ৷
পালাও ! ৷ যেমন যবেহ করার ভয়ে বকরী দল পালায় ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আমি আরো দেখতে
পেলাম , একজন মুসলিম সৈনিক ওই মুশবিকের অপেক্ষায় আছে ৷ সেও পুর্ণভাবে অস্ত্র সজ্জিত
আমি গিয়ে মুসলিম সৈনিকের পেছনে র্দাড়ালাম ৷ আমি উভয় সৈনিকের অবস্থা পর্যবেক্ষণ
করছিলাম ৷ আমি বুঝে নিলাম যে, শড়ারিরীক ও অস্ত্র শস্তের দিক থােক মুশবিকটি অধিকতর
শক্তিশালী ৷ আমি অপলক নেত্রে তাদের দৃজনকে দেখছিলাম ৷ এক সময় তারা দুজন মুখোমুখি
হল ৷ মুসলিম সৈনিকটি তরবাবির আঘাত হানল মুশরিকেরড়া ঘা ড় বরাবর ৷ প্রচণ্ড আঘাতে তার
তরবারি মুশবিকের ঘাড় ণ্ত ভদ করে সোজা নিতম্ব অতিক্রম করে গেল ৷ লোকটি দুভাপে বিভক্ত
হয়ে মাটিতে নেতিয়ে পড়ল ৷ এবার মুসলিম সৈনিকটি তার মুখের পর্দা সরাল এবং বলল, হে
কাব ৷ কেমন দেখলেন ? আমি আবু দৃজানা ৷

হযরত হামযা (রা)-এর শাহাদাতবরণ

ইবন ইসহাক বলেন, হযরত হামযা লড়াই করে যাচ্ছিলেন ৷ এক সময় তিনি আরতাত ইবন
শুরাহ্বীল ইবন হাশিম ইবন আবৃদ মনাফ ইবন আবদুদ্দার কে হত্যা করলেন ৷ আরতাত ছিল
শত্রুপক্ষের অন্যতম পতাক ধা৷রী ৷ তিনি ওদের পতাকাবাহী উছমান ইবন আবু তালহড়াকেও হত্যা
করলেন ৷ তখন উছমান ইবন তালহ৷ বলছিলং :


পতড়াকাবাহীর কর্তব্য হল বল্লমকে রক্তে রঞ্জিত করা অথবা নিজে র্টুকর৷ হয়ে যাওয়া ৷
ইত্যবসরে হযরত হামযা (রা ) তার উপর আক্রমণ চালালেন ৷ এবং তাকে হত্যা করলেন ৷ তার
পাশ দিয়ে যাচ্ছিল সিবা ইবন আবদুল উঘৃযা গুবশানী ৷ তার উপনাম ছিল আবু নাইয়ার ৷ তার
উদ্দেশ্যে হযরত হামযা (রা) বললেন, হে খতনাকারিণী মহিলার ছেলে, এদিকে আয় ৷ তার যা হল
উন্মু আনসার ৷ শুরায়ক ইবন আমর ইবন ওয়াহব ছাকাফীর আযাদকৃত ক্রীতদাসী ৷ মক্কায় সে
খাতন৷ পেশায় নিয়োজিত ছিল ৷ দুজনে মুখোমুখি হল ৷ হযরত হামযা তাকে আক্রমণ করে হত্যা
করলেন ৷ জুবায়র ইবন মুতইমের ক্রীতদাস ওয়াহ্শী বলে, আল্লাহর কসম, আমি দেখছিলাম
হামযড়াকে তিনি তরবারি দ্বারা প্রতিপক্ষের লোকজনকে কেটেই যাচ্ছিলেন ৷ তাকে ধুসর রঙের
উটের ন্যায় দেখাচ্ছিল ৷ আমার আগে সিবা গিয়ে হামযার নিকট পৌছল ৷ হামযা বললেন, হে
খতনাকাবিণীর ছেলে এদিকে আয় ৷ হামযা তার উপর আক্রমণ করলেন ৷ তবে সম্ভবত; তার
মাথায় আঘাত করতে পারেননি ৷ আমি আমার বর্শাত ৷ক করলাম ৷ সুনিশ্চিত ভাবে লক্ষ্যস্থির করে
আমি হামযার দিকে বর্শা ছুড়লাম ৷ বর্শা গিয়ে পড়লত তার নাভিমুলে ৷ নাভি ভেদ করে দৃপায়ের


[مَقْتَلُ حَمْزَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَاتَلَ حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ حَتَّى قَتَلَ أَرْطَاةَ بْنَ عَبْدِ شُرَحْبِيلَ بْنِ هَاشِمِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ عَبْدِ الدَّارِ، وَكَانَ أَحَدَ النَّفَرِ الَّذِينَ يَحْمِلُونَ اللِّوَاءَ. وَكَذَلِكَ قَتَلَ عُثْمَانَ بْنَ أَبِي طَلْحَةَ وَهُوَ حَامِلُ اللِّوَاءِ، وَهُوَ يَقُولُ: إِنَّ عَلَى أَهْلِ اللِّوَاءِ حَقًّا ... أَنْ يَخْضِبُوا الصَّعْدَةَ أَوْ تَنْدَقَّا فَحَمَلَ عَلَيْهِ حَمْزَةُ فَقَتْلَهُ، ثُمَّ مَرَّ بِهِ سِبَاعُ بْنُ عَبْدِ الْعُزَّى الْغُبْشَانِيُّ، وَكَانَ يُكَنَّى بِأَبِي نِيَارٍ فَقَالَ حَمْزَةُ: هَلُمَّ إِلَيَّ يَا ابْنَ مُقَطِّعَةِ الْبُظُورِ. وَكَانَتْ أُمُّهُ أُمُّ أَنْمَارٍ مُوَلَّاةَ شَرِيقِ بْنِ عَمْرِو بْنِ وَهْبٍ الثَّقَفِيِّ، وَكَانَتْ خَتَّانَةً بِمَكَّةَ، فَلَمَّا الْتَقَيَا ضَرَبَهُ حَمْزَةُ فَقَتَلَهُ، فَقَالَ وَحْشِيٌّ غُلَامُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ: وَاللَّهِ إِنِّي لَأَنْظُرُ إِلَى حَمْزَةَ يَهُدُّ النَّاسَ بِسَيْفِهِ مَا يُلِيقُ شَيْئًا، يَمُرُّ بِهِ مِثْلَ الْجَمَلِ الْأَوْرَقِ، إِذْ قَدْ تَقَدَّمَنِي إِلَيْهِ سِبَاعٌ فَقَالَ حَمْزَةُ: هَلُمَّ يَا ابْنَ مُقَطِّعَةِ الْبُظُورِ. فَضَرَبَهُ ضَرْبَةً فَكَأَنَّمَا أَخْطَأَ رَأْسَهُ، وَهَزَزْتُ حَرْبَتِي، حَتَّى إِذَا رَضِيتُ مِنْهَا دَفَعْتُهَا عَلَيْهِ، فَوَقَعَتْ فِي
পৃষ্ঠা - ২৬৪৫

মাঝখান দিয়ে সেটি বেরিয়ে এল ৷ আমাকে আক্রমণ করার জন্যে তিনি আমার দিকে আসতে
উদ্যত ৩,হলেন কিন্তু তার পুর্বেই নিস্তেজ হয়ে গেলেন, এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন ৷ আমি এবন্টু
অপেক্ষা করলাম,ত তার মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত ৩হওয়ার পর আমি তার নিকট এলাম ৷ আমার বর্শা
খুলে নিলাম ৷ তারপর স্বগােত্রীয় সৈনিকদের নিকট ফিরে গেলাম ৷ আমার এর অতিরিক্ত কিছুর
দরকার ছিল না ৷

ইবন ইসহাক বলেন, আবদুল্লাহ ইবন ফযল ইবন আইয়াশ ইবন রাবীআ ইবন হড়ারিছ বর্ণনা
করেছেন, সুলায়মান ইবন ইয়াসার সুত্রে জাফর ইবন আমর ইবন উমাইয়া দিমারী থেকে ৷ তিনি
বলেছেন আমি নিজে এবং উবায়দৃল্লাহ্ ইবন আদী ইবন খিয়ার একবার এক সফরে বের হয়ে-
ছিলাম ৷ উবায়দৃল্লাহ্ ছিল বানু না ওফল ইবন আবদ মানাফ গোত্রের লোক তখন মুআবিয়৷ (রা )
এর শাসনকাল ৷ যেতে যেতে আমরা হিমৃস অঞ্চলে গিয়ে পৌছলাম ৷ জুবায়রের ক্রী৩ দাস ওয়াহ্শী
ওখানেই অবস্থান করছিল ৷ আমরা ওখানে পৌছার পর উবায়দৃল্লাহ্ ইবন আদী আমাকে বলল,
আমরা যদি ওয়ড়াহ্শীর নিকট গিয়ে হযরত হামযার (রা ) হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করি
তাতে তোমার কি কোন আপত্তি আছে ? আমি বললাম , তুমি যদি যাও, তবে আমিও বার এবং
তার কাছে ওই বিষয়ে জানতে চাইব ৷ বন্তুতঃ ওয়াহ্শীর খোজে আমরা বের হলাম ৷ লোকজনকে
তার অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছিলাম ৷ একজন লোক আমাদেরকে বলল, তোমরা তাকে তার
বাড়ির আঙ্গিনায় পাবে ৷ এমনও হতে পারে যে, মদের নেশা তাকে খুদ করে রেখেছে ৷ যদি
তোমরা তাকে এ অবস্থায় পাও যে তিনি চীৎকার করছেন তবে তোমাদের উদ্দেশ্য পুরণ হতে
পারে ৷ অর্থাৎ তার নিকট থেকে কা ত্খিত উত্তর পেতে পার ৷ আর যদি এ অবস্থায় পাও যে, মদের
সামান্য নেশা তার মধ্যে রয়েছে তবে কিছু জিজ্ঞেস না করে তাকে ছেড়ে চলে আসবে ৷

বর্ণনড়াকারী বলেন, আমরা যাত্রা করেও তার নিকট এসে পৌছলড়াম ৷ তিনি তার বাড়ীর আঙ্গিনায়

এক বিছানড়ায় উপবিষ্ট ছিলেন ৷ তিনি তখন বয়োবৃদ্ধ ৷ বুগাছ পাথীর ন্যায় সাদা কালো মিশ্রিত
গায়ের রং ৷ তিনি ডেকে ডেকে বলছিলেন যে, তার কোন অসুবিধা নেই ৷ আমরা তার নিকট
গিয়ে উপস্থিত হল ৷ম ৷ তাকে সালাম দিলাম ৷ তিনি ওবায়দৃল্লাহ্ ইবন আদীর দিকে চোখ তুলে
তড়াকালেন ৷ তাকে লক্ষ্য করে বললেন, তুমি কি আদী ইবন খিয়ার এর পুত্র ? ওবায়দৃল্লাহ্ বলল,
জী হী, তাই ৷ ওয়াহ্শী বললেন, আল্লাহ্র কসম, তোমার দুধ মা সাদিয়্যা তোমকে ঘু-তৃওয়া
নামক স্থানে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে আমি আর তোমাকে দেখিনি ৷ আমি সেদিন তোমাকে তার
হাতে তুলে দিয়েছিলাম ৷ তখন সে ছিল উটের উপর ৷ আমি তেড়ামার দু পাজর চেপে ধরে
তামাকে উটের পিঠে তুলে দিয়েছিলাম ৷ তোমার পা দুটো তখন আমার নজরে পড়ে এরপরে
আজ তুমি আমার নিকট এসেছ ৷ আমি তোমার পা দুটো দেখেই তোমাকে সনাক্ত করেছি ৷
বর্গনাকারী বলেন, আমরা দৃজনে তার নিকট বসলাম ৷ আমরা বললাম, আপনি হযরত হাময৷ ৷(র৷ ৷)
কে কীভাবে হ৩ ত্যা করেছিলেন তা জানতে এবং সে বিষয়ে আলোচনা করতে আমরা আপনার
নিকট এসেছি ৷ ওয়াহ্শী বললেন, এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন ৷
ঘটনাটি আমি তাকে যেভাবে জানিয়েছি তােমাদেরকেও সেভাবে জানার ৷ আমি জুবায়র ইবন
ঘুতইম-এর গোলাম ছিলাম ৷ তার চাচা তৃআয়মা ইবন আদী বদর যুদ্ধে নিহত হয় ৷ কুরায়শরা


ثُنَّتِهِ حَتَّى خَرَجَتْ مِنْ بَيْنِ رِجْلَيْهِ، فَأَقْبَلَ نَحْوِي، فَغُلِبَ فَوَقَعَ، وَأَمْهَلْتُهُ حَتَّى إِذَا مَاتَ جِئْتُ فَأَخَذْتُ حَرْبَتِي، ثُمَّ تَنَحَّيْتُ إِلَى الْعَسْكَرِ، وَلَمْ يَكُنْ لِي بِشَيْءٍ حَاجَةٌ غَيْرُهُ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي عَاصِمٍ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ نَجْدَةَ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنْ بَحِيرٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ أَبِي بِلَالٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّائِبِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَوْمَ الشِّعْبِ آخِرَ أَصْحَابِهِ، وَلَمْ يَكُنْ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْعَدُوِّ غَيْرُ حَمْزَةَ يُقَاتِلُ الْعَدُوَّ، فَرَصَدَهُ وَحْشِيُّ فَقَتَلَهُ، وَقَدْ قَتَلَ اللَّهُ بِيَدِ حَمْزَةَ مِنَ الْكُفَّارِ أَحَدًا وَثَلَاثِينَ، وَكَانَ يُدْعَى أَسَدَ اللَّهِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ২৬৪৬
الْحَارِثِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ الضَّمْرِيِّ قَالَ: خَرَجْتُ أَنَا وَعَبِيدُ اللَّهِ بْنُ عَدِيِّ بْنِ الْخِيَارِ أَحَدُ بَنِي نَوْفَلِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ فِي زَمَانِ مُعَاوِيَةَ فَأَدْرَبْنَا، مَعَ النَّاسِ، فَلَمَّا مَرَرْنَا بِحِمْصَ وَكَانَ وَحْشِيُّ مَوْلَى جُبَيْرٍ قَدْ سَكَنَهَا وَأَقَامَ بِهَا، فَلَمَّا قَدِمْنَاهَا قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَدِيٍّ: هَلْ لَكَ فِي أَنْ نَأْتِيَ وَحْشِيًّا فَنَسْأَلُهُ عَنْ قَتْلِ حَمْزَةَ كَيْفَ قَتَلَهُ؟ قَالَ: قُلْتُ لَهُ: إِنْ شِئْتَ. فَخَرَجْنَا نَسْأَلُ عَنْهُ بِحِمْصَ فَقَالَ لَنَا رَجُلٌ وَنَحْنُ نَسْأَلُ عَنْهُ: إِنَّكُمَا سَتَجِدَانِهِ بِفِنَاءِ دَارِهِ، وَهُوَ رَجُلٌ قَدْ غَلَبَتْ عَلَيْهِ الْخَمْرُ، فَإِنْ تَجِدَاهُ صَاحِيًا تَجِدَا رَجُلًا عَرَبِيًّا، وَتَجِدَا عِنْدَهُ بَعْضَ مَا تُرِيدَانِ وَتُصِيبَا عِنْدَهُ مَا شِئْتُمَا مِنْ حَدِيثٍ تَسْأَلَانِهِ عَنْهُ، وَإِنْ تَجِدَاهُ وَبِهِ بَعْضُ مَا يَكُونُ بِهِ، فَانْصَرِفَا عَنْهُ وَدَعَاهُ. قَالَ فَخَرَجْنَا نَمْشِي حَتَّى جِئْنَاهُ، فَإِذَا هُوَ بِفَنَاءِ دَارِهِ عَلَى طِنْفِسَةٍ لَهُ، وَإِذَا شَيْخٌ كَبِيرٌ مِثْلُ الْبُغَاثِ، وَإِذَا هُوَ صَاحٍ لَا بَأْسَ بِهِ فَلَمَّا انْتَهَيْنَا إِلَيْهِ سَلَّمْنَا عَلَيْهِ، فَرَفَعَ رَأْسَهُ إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَدِيٍّ فَقَالَ: ابْنٌ لِعُدَيِّ بْنِ الْخِيَارِ أَنْتَ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: أَمَا وَاللَّهِ مَا رَأَيْتُكَ مُنْذُ نَاوَلْتُكَ أُمَّكَ السَّعْدِيَّةَ الَّتِي أَرْضَعَتْكَ بِذِي طَوًى، فَإِنِّي نَاوَلْتُكَهَا وَهِيَ عَلَى بَعِيرِهَا، فَأَخَذَتْكَ بِعُرْضَيْكَ، فَلَمَعَتْ لِي قَدَمَاكَ حِينَ
পৃষ্ঠা - ২৬৪৭

পরবর্তী বছর উহুদের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ৷ তখন আমার মালিক জুবায়র আমাকে বলেছিলেন যে,
তুমি যদি আমার নিহত চাচার প্রতিশোধ হিসেবে মুহাম্মাদুদব (সা) চাচা হামযাকে হত্যা করতে পার
তবে তুমি মুক্তি পাবে ৷ কুরায়শী সৈন্যদের সাথে আমি যাত্রা করি ৷ আমি মুলতঃ হাবশী বংশোদ্ভুত
লোক ৷ হাবশী কৌশলে আমি বর্শা নিক্ষেপ করতে পারি যা খুব কমই লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয় ৷ উহুদ
ময়দানে উভয় পক্ষ মুখোমুখি হয় ৷ আমি হামযার খোজে বের হলাম ৷ হঠাৎ আমি তাকে
দুলাকজদুনর মাঝে দেখতে পেলাম ৷ তিনি যেন একটি ধুসর বর্ণের উট ৷৩ তরবারির আঘাতে
শত্রুপদুক্ষর দুলাকজনদুক কেটে কেটে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন ৷ দুকট্টই ৩াদুক প্রতিরোধ করতে
পারছে না ৷ আল্লাহর কসম, আমি তার জন্যে প্রস্তুত হচ্ছিলাম ৷ আমার একমাত্র লক্ষ্য ছিলেন
তিনি ৷ একটি পাথর কিৎবা বৃক্ষের আড়ালে লুকিয়ে ছিলাম আমি ৷ অপেক্ষা করছিলাম যাতে তিনি
আমার নাগালের মধ্যে আসেন ৷ ইদু৩ ৷মধ্যে সিবা ইবন আবদুল উয্যা তার সম্মুখে গিয়ে
পৌছলেন ৷ তাকে দেখে হু ংকার দুছড়ে হামযা বললেন ও,দুহ খতনাকাবিণীর দুছদুল ৷ এদিকে আয় ৷
অবিলম্বে হাময৷ তাকে আক্রমণ করলেন; বিতু৷ তার মাথায় আঘাত করতে সক্ষম হলেন না ৷
ওয়াহ্শী বলেন, আমি আমার বর্শা তাক করলাম ৷ নিশ্চিত ভাবে লক্ষ্য স্থির করে আমি বর্শা
ছুড়লাম ৷ বর্শা তার নাভিমুলে গিয়ে পড়ল ৷ নাভি ভেদ করে সেটি তার দৃপাদুয়র মাঝখান ভেদ
করে বেরিয়ে পড়ে ৷ তিনি আমাকে আক্রমণ করার জন্যে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেন ৷ বিক্ষ্ম
তাতে সক্ষম হননি ৷ কিছুক্ষণ আমি অপেক্ষা করি ৷ বর্শাবিদ্ধ অবস্থায় তাকে থাকতে দিই ৷
অবশেষে তিনি মারা যান ৷ এরপর আমি তার নিকট আ সি এবং আমার বর্শাটি খুলে নেই ৷ পরে
আমি স্বগােত্রীয় সৈন্যদের সাথে মিলিত হই ৷ সেখানে বিশ্রাম গ্রহণ করি ৷ আমার অন্য কোন দায়-
দায়িতৃ ছিল না ৷ আমি তাকে হত্যা করেছিলাম যাতে আমি দাসতু থেকে মুক্তি লাভ করতে পারি ৷
যুদ্ধ শেষে মক্কায় আসার পর আমি মুক্তি লাভ করি , এবং সেখানে অবস্থান করতে থাকি ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন মক্কা জয় করেন তখন আমি তাদুয়দুফ পালিয়ে যাই ৷ সেখানেই আমি
অবস্থান করছিলাম ৷ তাদুয়দুফব লোকজন যখন ইসলাম গ্রহণের জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
উদ্দেশ্যে যাত্রা করল তখন আমি সংকটাপন্ন হয়ে পড়লাম ৷ আমার বসবাসের স্থান সংকুচিত হয়ে
এল ৷ আমি সিদ্ধান্ত নিলাম সিরিয়া কিত্বা ইয়ামান কিৎবা অন্য কোন দেশে চলে যাওয়ার ৷ আমি
এমন চিন্তাভাবনায় ছিলাম এমন সময় একজন লোক আমাকে বলল, আল্লাহ্র কসম , মুহাম্মাদ
(সা) তাে তার দীন গ্রহণকারী এবং সত্যের সাক্ষ্যদানকারী কাউকে হত্যা করেন না ৷ এ সংবাদ
অবগত হয়ে আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে সাক্ষাতের জন্যে যাত্রা করি ৷ আমি মদীনায় তার
নিকট পৌছি ৷৩ তার নিকট র্দাড়িদুয় আমি সত্যের সাক্ষ্য দিচ্ছি এটা দেখে রাসুলুল্লাহ্ (সা) হতচকিত
হয়ে পড়লেন ৷ তিনি আমাকে বললেন, “তুমি কি ওয়াহ্শী ? আমি বললাম জী ইা,৩ তাই ইয়া
রাসুলাল্লাহ্! তিনি বললেন, তবে আমার নিকট বস এবং হামযা (রা) কে তুমি কীভাবে হত্যা
করেছ তা ৷আমার নিকট খুলে বল! আমি এখন তোমাদের নিকট যা বললাম রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
নিকটও ঠিক তাই বলেছিলাম ৷ আমার বর্ণনা শেষ হওয়ার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে
বলেছিলেন, তোমার মুখমণ্ডল তুমি আমার দৃষ্টি থেকে আড়ালে রাখদুব ৷ আমি যেন তোমার
মুখমণ্ডল দেখতে না পাই ৷ তখন থেকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) দুযখড়াদুনই থাকদু৩ ন সেখানে আমি
মুখমণ্ডল ঢেকে রাখতন্নে যাতে আমার চেহারা তার নজরে না পড়ে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ইনতি-


رَفَعْتُكَ إِلَيْهَا، فَوَاللَّهِ مَا هُوَ إِلَّا أَنْ وَقَفْتَ عَلَيَّ فَعَرَفْتُهُمَا. قَالَ: فَجَلَسْنَا إِلَيْهِ فَقُلْنَا: جِئْنَاكَ لِتَحَدِّثَنَا عَنْ قَتْلِكَ حَمْزَةَ كَيْفَ قَتَلْتَهُ؟ . فَقَالَ: أَمَا إِنِّي سَأُحَدِّثُكُمَا كَمَا حَدَّثْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ سَأَلَنِي عَنْ ذَلِكَ ; كُنْتُ غُلَامًا لِجُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ وَكَانَ عَمُّهُ طُعَيْمَةُ بْنُ عَدِيٍّ قَدْ أُصِيبَ يَوْمَ بَدْرٍ فَلَمَّا سَارَتْ قُرَيْشٌ إِلَى أُحُدٍ قَالَ لِي جُبَيْرٌ: إِنْ قَتَلْتَ حَمْزَةَ عَمَّ مُحَمَّدٍ بِعَمِّي، فَأَنْتَ عَتِيقٌ. قَالَ: فَخَرَجْتُ مَعَ النَّاسِ، وَكُنْتُ رَجُلًا حَبَشِيًّا أَقْذِفُ بِالْحَرْبَةِ قَذْفَ الْحَبَشَةِ، قَلَّمَا أُخْطِئُ بِهَا شَيْئًا، فَلَمَّا الْتَقَى النَّاسُ خَرَجْتُ أَنْظُرُ حَمْزَةَ وَأَتَبَصَّرُهُ، حَتَّى رَأَيْتُهُ فِي عَرْضِ النَّاسِ كَأَنَّهُ الْجَمَلُ الْأَوْرَقُ، يَهُدُّ النَّاسَ بِسَيْفِهِ هَذَا مَا يَقُومُ لَهُ شَيْءٌ، فَوَاللَّهِ إِنِّي لَأَتَهَيَّأُ لَهُ، أُرِيدُهُ وَأَسْتَتِرُ مِنْهُ بِشَجَرَةٍ أَوْ بِحَجَرٍ لِيَدْنُوَ مِنِّي، إِذْ تَقَدَّمَنِي إِلَيْهِ سِبَاعُ بْنُ عَبْدِ الْعُزَّى فَلَمَّا رَآهُ حَمْزَةُ قَالَ: هَلُمَّ إِلَيَّ يَا ابْنَ مُقَطِّعَةِ الْبُظُورِ. قَالَ: فَضَرَبَهُ ضَرْبَةً كَأَنَّمَا أَخْطَأَ رَأْسَهُ. قَالَ: وَهَزَزْتُ حَرْبَتِي، حَتَّى إِذَا رَضِيتُ مِنْهَا دَفَعْتُهَا عَلَيْهِ، فَوَقَعَتْ فِي ثُنَّتِهِ حَتَّى خَرَجَتْ مِنْ بَيْنِ رِجْلَيْهِ، وَذَهَبَ لِيَنُوءَ نَحْوِي فَغُلِبَ، وَتَرَكْتُهُ وَإِيَّاهَا حَتَّى مَاتَ، ثُمَّ أَتَيْتُهُ فَأَخَذْتُ حَرْبَتِي، ثُمَّ رَجَعْتُ إِلَى الْعَسْكَرِ، وَقَعَدْتُ فِيهِ، وَلَمْ يَكُنْ لِي بِغَيْرِهِ حَاجَةٌ، إِنَّمَا قَتَلْتُهُ لَأُعْتَقَ، فَلَمَّا قَدِمْتُ مَكَّةَ عُتِقْتُ ثُمَّ أَقَمْتُ، حَتَّى إِذَا افْتَتَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ هَرَبْتُ إِلَى الطَّائِفِ فَكُنْتُ بِهَا، فَلَمَّا خَرَجَ وَفْدُ الطَّائِفِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ২৬৪৮
لِيُسَلِمُوا، تَعَيَّتْ عَلَيَّ الْمَذَاهِبُ، فَقُلْتُ: أَلْحَقُ بِالشَّامِ أَوْ بِالْيَمَنِ أَوْ بِبَعْضِ الْبِلَادِ. فَوَاللَّهِ إِنِّي لَفِي ذَلِكَ مِنْ هَمِّي، إِذْ قَالَ لِي رَجُلٌ: وَيْحَكَ! إِنَّهُ وَاللَّهِ مَا يَقْتُلُ أَحَدًا مِنَ النَّاسِ دَخَلَ فِي دِينِهِ وَشَهِدَ شَهَادَةَ الْحَقِّ. قَالَ: فَلَمَّا قَالَ لِي ذَلِكَ، خَرَجْتُ حَتَّى قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ فَلَمْ يَرُعْهُ إِلَّا بِي قَائِمًا عَلَى رَأْسِهِ أَشْهَدُ شَهَادَةَ الْحَقِّ، فَلَمَّا رَآنِي قَالَ: أَوَحْشِيٌّ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ اقْعُدْ فَحَدِّثْنِي كَيْفَ قَتَلْتَ حَمْزَةَ. قَالَ: فَحَدَّثْتُهُ كَمَا حَدَّثْتُكُمَا، فَلَّمَا فَرَغْتُ مِنْ حَدِيثِي قَالَ: وَيْحَكَ! غَيِّبْ عَنِّي وَجْهَكَ فَلَا أَرَيَنَّكَ. قَالَ: فَكُنْتُ أَتَنَكَّبُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَيْثُ كَانَ ; لِئَلَّا يَرَانِي، حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، فَلَمَّا خَرَجَ الْمُسْلِمُونَ إِلَى مُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابِ صَاحِبِ الْيَمَامَةِ خَرَجْتُ مَعَهُمْ، وَأَخَذْتُ حَرْبَتِي الَّتِي قَتَلْتُ بِهَا حَمْزَةَ، فَلَمَّا الْتَقَى النَّاسُ وَرَأَيْتُ مُسَيْلِمَةَ قَائِمًا وَبِيَدِهِ السَّيْفُ، وَمَا أَعْرِفُهُ، فَتَهَيَّأْتُ لَهُ، وَتَهَيَّأَ لَهُ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ مِنَ النَّاحِيَةِ الْأُخْرَى، كِلَانَا يُرِيدُهُ، فَهَزَزْتُ حَرْبَتِي، حَتَّى إِذَا رَضِيتُ مِنْهَا، دَفَعَتُهَا عَلَيْهِ، فَوَقَعَتْ فِيهِ، وَشَدَّ عَلَيْهِ الْأَنْصَارِيُّ بِالسَّيْفِ، فَرَبُّكَ أَعْلَمُ أَيُّنَا قَتَلَهُ، فَإِنْ كُنْتُ قَتَلْتُهُ، فَقَدْ قَتَلْتُ خَيْرَ النَّاسِ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَتَلْتُ شَرَّ النَّاسِ. قُلْتُ: الْأَنْصَارِيُّ هُوَ أَبُو دُجَانَةَ سِمَاكُ بْنُ خَرَشَةَ كَمَا سَيَأْتِي فِي مَقْتَلِ أَهْلِ الْيَمَامَةَ، وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ فِي الرِّدَّةِ: هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدِ
পৃষ্ঠা - ২৬৪৯

কাল পর্যন্ত আমি এরুপ করেছি ৷ হযরত আবু বকর (রা)-এর যুগে ভণ্ড নবী-মিথ্যাবাদী ঘুসায়লামা
র বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে মুসলমানপণ যখন ইয়ামামার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে তখন আমিও
তাদের সাথে যাত্রা করি ৷ যে বর্শ৷ দ্বারা আমি হযরত হামযা (রা)-কে হত্যা করেছিলাম ওই বর্শাটি
আমি সঙ্গে নিই ৷ উভয় পক্ষ মুখোমুখি হওয়ার পর আমি মুসায়লামাকে র্দাড়ানে৷ অবস্থায় ৫দখোত
পাই ৷ তার হাতে ছিল তরবারি ৷ আরো কিছু চিহ্ন ছিল যা দ্বারা আমি তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত
হই ৷ ডাকে আক্রমণ করার জন্যে আমি প্রস্তুত হই ৷ অন্য দিক থেকে একজন আনসারী লোকও
তার উপর আক্রমণ করার জন্যে প্রস্তুত হয় ৷ আমাদের উভয়ের লক্ষ্য ছিল সে ই ৷ আমি আমার
বর্শা তাক করলাম ৷ নিশ্চিতভাবে লক্ষ্যস্থির করে আমি বর্শ৷ নিক্ষেপ করলাম ৷ বর্শা গিয়ে তাকে
আঘাত করে ৷ আনসারী লোকটিও তার উপর তরবারির আক্রমণ চালায় ৷ আমাদের দুজনের মধ্যে
কে তাকে হত্যা করেছে তা আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ বন্তুত অ৩ামিই যদি তাকে হত্যা করে থাকি
তবে একদিকে আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর পর সর্বোত্তম ব্যক্তি অর্থাৎ হযরত হামযা (রা) কে হত্যা
করেছি আর জগতের নিকৃষ্ট ব্যক্তি অর্থাৎ মুসায়লামাকে হত্যা করেছি ৷

আমি মনে করি , আনসারী লোকটি ছিলেন আবুদুজানা সিমাক ইবন খারাশা ৷ ইয়ামামার যুদ্ধে
ওই বিবরণ আসবে ৷ মুরতাদ ও ধর্মতা৷পীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাভিযান পর্বে ওয়াকিদী উল্লেখ করেছেন
যে, আনসারী লোকটি ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন যায়দ ইবন আসিম মাযানী ৷ সায়ফ ইবন আমর
বলেন, ওই আনসারী লোক হলেন আদী ইবন সাহ্ল ৷ বন্তুত: আদী ইবন সাহল নিম্নের কবিতা
আবৃত্তি করেছিল :

স্পো
তুমি কি জাননা যে, আমি এবং ওয়াহ্শী হত্যা করেছি অভিশাপগ্রস্ত মুসায়লামাকে ৷
,
লোকে আমাকে জিজ্ঞেস করে যে, আমি কিভাবে তাকে হত্যা করেছি ৷ তখন আমি বলি যে,
আমি তাকে আঘাত করেছি ৷ আর এটি হল সেই বর্শ৷ ৷

প্রসিদ্ধ অভিমত এই যে, ওয়াহ্শীই প্রথম মুসায়লামাকে আঘাত করেন এবং আবু দুজানা তার
উপর চুড়ান্ত আঘাত হানেন ৷ এ বিষয়ে ইবন ইসহাক বর্ণনা করেছেন, আবদুল্লাহ ইবন ফযল
আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা ) থেকে ৷ তিনি বলেছেন, ইয়ামামার যুদ্ধের দিন আমি জনৈক
চীৎকারকারীকে শুনেছি সে চীৎকার করে বলছিল যে, এক কালো ক্রীতদাস তাকে হত্যা করেছে ৷
ইমাম বুখারী (র) হযরত হামযা (রা)-এর শাহাদাতের ঘটনা বর্ণনা করেছেন আবদ্বণ আযীয ইবন
আবদুল্লাহ জাফর ইবন উমাইয়া দিসারী থেকে ৷ তিনি বলেছেনু আবদুল্লাহ ইবন আদী
ইবন খিয়ারের সাথে আমি সফরে বের হয়েছিলাম ৷ এরপর পুর্বোল্লিখিত বিবরণ উল্লেখ করেছেন ৷
ওই বর্ণনায় আছে যে , উবায়দুল্লাহ্ ইবন আদী ইবন খিয়ার যখন ওয়াহ্শীর নিকট উপস্থিত হন তখন
তার সমগ্র মুখমণ্ডল পাগড়ীতে ঢাকা ছিল তার দুটো চক্ষু আর দুখানা পা ব্যতীত অন্য কিছুই
ওয়াহ্শীর দৃষ্টিগােচর হচ্ছিল না ৷ এরপর ওয়হ্শী ভীকে যেভাবে চিনলেন তার বর্ণনা রয়েছে ৷ এটি
একটি গভীর পর্যবেক্ষণ ও বিচক্ষণত৷ বটে ৷ অনুরুপ বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছিলেন মৃজায্যায


بْنِ عَاصِمٍ الْمَازِنِيِّ وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ: هُوَ عَدِيُّ بْنُ سَهْلٍ وَهُوَ الْقَائِلُ: أَلَمْ تَرَ أَنِّي وَوَحْشِيَّهُمْ ... قَتَلْتُ مُسَيْلِمَةَ الْمُفْتَتَنْ وَيَسْأَلُنِي النَّاسُ عَنْ قَتْلِهِ ... فَقُلْتُ ضَرَبْتُ وَهَذَا طَعَنْ وَالْمَشْهُورُ أَنَّ وَحْشِيًّا هُوَ الَّذِي بَدَرَهُ بِالضَّرْبَةِ، وَذَفَّفَ عَلَيْهِ أَبُو دُجَانَةَ ; لِمَا رَوَى ابْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: سَمِعْتُ صَارِخًا يَوْمَ الْيَمَامَةِ يَقُولُ: قَتَلَهُ الْعَبْدُ الْأَسْوَدُ. وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ قِصَّةَ مَقْتَلِ حَمْزَةَ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ الْمَاجِشُونَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ الضَّمْرِيِّ. قَالَ: خَرَجْتُ مَعَ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ الْخِيَارِ. فَذَكَرَ الْقِصَّةَ كَمَا تَقَدَّمَ. وَذَكَرَ أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَدِيٍّ كَانَ مُعْتَجِرًا عِمَامَةً، لَا يَرَى مِنْهُ وَحْشِيٌّ إِلَّا عَيْنَيْهِ وَرِجْلَيْهِ، فَذَكَرَ مِنْ مَعْرِفَتِهِ لَهُ مَا تَقَدَّمَ، وَهَذِهِ قِيَافَةٌ عَظِيمَةٌ - كَمَا عَرَفَ مُجَزِّزٌ الْمُدْلِجِيُّ أَقْدَامَ زَيْدٍ وَابْنِهِ أُسَامَةَ مَعَ اخْتِلَافِ أَلْوَانِهِمَا - وَقَالَ فِي سِيَاقَتِهِ: فَلَمَّا أَنَّ صُفَّ النَّاسُ لِلْقِتَالِ، خَرَجَ
পৃষ্ঠা - ২৬৫০
سِبَاعٌ فَقَالَ: هَلْ مِنْ مُبَارِزٍ؟ فَخَرَجَ إِلَيْهِ حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمَطَّلِبِ فَقَالَ لَهُ: يَا سِبَاعُ، يَا ابْنَ أُمِّ أَنْمَارٍ مُقَطِّعَةِ الْبُظُورِ، أَتُحَادُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ؟ ثُمَّ شَدَّ عَلَيْهِ، فَكَانَ كَأَمْسِ الذَّاهِبِ. قَالَ: وَكَمَنْتُ لِحَمْزَةَ تَحْتَ صَخْرَةٍ، فَلَمَّا دَنَا مِنِّي رَمَيْتُهُ بِحَرْبَتِي، فَأَضَعُهَا فِي ثُنَّتِهِ حَتَّى خَرَجْتُ مِنْ بَيْنِ وِرْكَيْهِ. قَالَ: فَكَانَ ذَلِكَ آخِرَ الْعَهْدِ بِهِ. إِلَى أَنْ قَالَ: فَلَمَّا قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَخَرَجَ مُسَيْلِمَةُ الْكَذَّابُ قُلْتُ: لَأَخْرُجُ إِلَى مُسَيْلِمَةَ لَعَلِّي أَقْتُلُهُ فَأُكَافِئُ بِهِ حَمْزَةَ. قَالَ: فَخَرَجْتُ مَعَ النَّاسِ، فَكَانَ مِنْ أَمْرِهِ مَا كَانَ. قَالَ: فَإِذَا رَجُلٌ قَائِمٌ فِي ثُلْمَةِ جِدَارٍ، كَأَنَّهُ جَمَلٌ أَوْرَقُ، ثَائِرُ الرَّأْسِ. قَالَ فَرَمَيْتُهُ بِحَرْبَتِي، فَأَضَعُهَا بَيْنَ ثَدْيَيْهِ حَتَّى خَرَجَتْ مِنْ كَتِفَيْهِ. قَالَ: وَوَثَبَ إِلَيْهِ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ فَضَرَبَهُ بِالسَّيْفِ عَلَى هَامَتِهِ. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْفَضْلِ: فَأَخْبَرَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ يَسَارٍ أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ يَقُولُ: فَقَالَتْ جَارِيَةٌ عَلَى ظَهْرِ الْبَيْتِ: وَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ قَتَلَهُ الْعَبْدُ الْأَسْوَدُ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: فَبَلَغَنِي أَنَّ وَحْشِيًّا لَمْ يَزَلْ يُحَدُّ فِي الْخَمْرِ حَتَّى خُلِعَ مِنَ الدِّيوَانِ، فَكَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَقُولُ: قَدْ عَلِمْتُ أَنَّ اللَّهَ لَمْ يَكُنْ
পৃষ্ঠা - ২৬৫১

মুদলিজী ৷ হযরত হায়দ ওত তার পুত্র উসামার (রা ) দেহের রং ভিন্ন ভিন্ন হওয়া সত্বেও মুজায্যায
মুদলিজী উসামার (রা ) পা দেখে বলেছিলেন যে, এ হচ্ছে য়ায়দের পুত্র ৷

ইমাম বুখারীর উদ্ধৃত বর্ণনায় আছে যে, ওয়াহ্শী বলেছেন, লোকজন যখন যুদ্ধের জন্যে
সারিবদ্ধ হল তখন সিবা ময়দানে বেরিয়ে আসে ৷ সে বলল , আমার বিরুদ্ধে লড়াই করার কেউ
আছ কি ? তখন হানযা ইবন আবদুল মুত্তালিব বেরিয়ে এলেন ৷ হুৎকার ছেড়ে৩ তিনি বললেন, ওহে
সিবা ওহে খৎনাবারীর পুত্র, তুইাক আল্লাহ ও তার রাসুলকে চ্যালেঞ্জ করছিল ? একথা বলেই
তিনি সিবা কে আহ্ৰুাষ্মণ করলেন ৷ সাথে সাথে সে অতীতে তর ইতিহাসে পরিণত ৩হল ৷ ওয়াহুশী
বলেন, হামযাকে তাক করে একটি পাথরের আড়ালে আমি লুকিয়ে রয়েছিলাম ৷ তিনি আমার
নিকটবর্তী হলেন ৷ আমি তাকে লক্ষ্য করে, বর্শা ছুড়ি ৷ বর্শাটি ঠিক তার নাভিতে গিয়ে পহ্ব,ড় ৷
তারপর তা তার ভু নিতন্বের মাঝখান দিয়ে বের হয়ে আসে ৷ এই ছিল তার অন্তিম অবস্থা ৷
ওয়াহ্শী এও বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ওফাতের পর খোন ভণ্ড নবী মুসায়লামার আবির্ভাব
ঘটল তখন আমি বললাম , সম্ভবত আমিই তাকে হত্যা করতে পারব যাতে করে হযরত হামযা
(বা ) কে শহীদ করার দায় থেকে আমি মুক্ত হতে পারি ৷ মুসায়লামার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে
যারা যাচ্ছিল আমি তাদের সাথী হলাম ৷ এরপর যা হবার হল ৷ আমি দেখতে পেলাম যে, এক
ব্যক্তি একটি ভগ্ন প্রাচীরের কাছে দাড়িয়ে আছে ৷ তার মাথায় চুল এলােমেলাে ৷ দেখতে ধুসর
উটের মত ৷ তাকে লক্ষ্য করে আমি আমার বর্শা নিক্ষেপ করলাম ৷ সেটি গিয়ে তার বুকভেদ
করে তার দৃ’ কারুষ্প্র মাঝ দিয়ে বেরিয়ে গেল ৷ একজন আনসারীও তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে
ছিলেন, নিজের৩ তর স্থারি দিয়ে তিনি মুসায়লামার মাথায় আঘাত করেছিলেন ৷

আবদুল্লাহ ইবন ফযল বলেন সুলায়মান ইবন ইয়াসার বলেছেন যে, তিনি আবদুল্লাহ ইবন
উমার (বা ) কে বলতে শুনেছেন, তিনি বলছিলেন তখন জনৈকা ক্রী দাসী ঘরের ছাদে উঠে
বলছিল , হায় আমীরুল মু ’মিনীন ! তার জন্যে দুঃখ হয় ৷ একজন কালো ক্রীতদাস তাকে হত্যা
করেছে ’

ইবন হিশাম বলেন, আমার নিকট বর্ণনা পৌছেছে যে, ওয়াহ্শী মদপানে অভ্যস্ত ছিলো ৷ এ
জন্যে তাকে সরকারী চাকুরী থেকে বরখস্তে করা হয় ৷ হযরত উমার ইবন খাত্তাব (রা ) বলতেন
যে হযরত হামযা র (বা ) হত্যাকারীকে আল্লাহ ছাড়বেন না ৷

ওয়াহ্শী ইবন হারব আবু দাসামা ম৩ান্তরে আবু হারব এর ওফাত হয় হিমৃসে ৷ তিনিই
সর্বপ্রথম ইগ্রি করা <পাশা ক পরিধান করেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে আড়াল করে মুসআব ইবন উমায়র যুদ্ধ করে
যাচ্ছিলেনৰু শেষ পর্যন্ত তিনি শহীদ হলেন ৷ ইবন কামিয়া লায়ন্থীাকে হত্যা করেছিল ৷ যে
মুল সআব (রা)-কে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বলে ধারণা করেছিল ৷ ফলে সে কুরায়শদের নিকট গিয়ে
বলল, আমি মুহাম্মাদকে হত্যা করেছি ৷

মুসা ইবন উক্বা তীর মাপাযী গ্রন্থে সাঈদ ইবন মুসাব্যির থেকে বর্ণনা করেছেন যে, উবাই
ইবন খালফ ই হযরত ঘৃসআর (রা) কে হা করেছিল ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
১ বিশুদ্ধ উচ্চারণ হচ্ছে মুসায়লিমা ৷




لِيَدَعَ قَاتِلَ حَمْزَةَ. قُلْتُ: وَتُوُفِّيَ وَحْشِيُّ بْنُ حَرْبٍ أَبُو دَسْمَةَ - وَيُقَالُ: أَبُو حَرْبٍ - بِحِمْصَ وَكَانَ أَوَّلُ مَنْ لَبِسَ الثِّيَابَ الْمَدْلُوكَةَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَاتَلَ مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ دُونَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى قُتِلَ، وَكَانَ الَّذِي قَتَلَهُ ابْنُ قَمِئَةَ اللِّيثِيُّ وَهُوَ يَظُنُّ أَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَرَجَعَ إِلَى قُرَيْشٍ فَقَالَ: قَتَلْتُ مُحَمَّدًا. قُلْتُ: وَذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ فِي " مَغَازِيهِ "، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ الَّذِي قَتَلَ مُصْعَبًا هُوَ أُبَيُّ بْنُ خَلَفٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا قُتِلَ مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ أَعْطَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اللِّوَاءَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ: كَانَ اللِّوَاءُ أَوَّلًا مَعَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فَلَمَّا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِوَاءَ الْمُشْرِكِينَ مَعَ بَنِي عَبْدِ الدَّارِ قَالَ: نَحْنُ أَحَقُّ بِالْوَفَاءِ مِنْهُمْ أَخَذَ اللِّوَاءَ مِنْ عَلِيٍّ، فَدَفَعَهُ إِلَى مُصْعَبِ بْنِ عُمَيْرٍ، فَلَمَّا قُتِلَ مُصْعَبٌ أَعْطَى اللِّوَاءَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ.، قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَاتَلَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَرِجَالٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ.
পৃষ্ঠা - ২৬৫২
قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَحَدَّثَنِي مَسْلَمَةُ بْنُ عَلْقَمَةَ الْمَازِنِيُّ قَالَ: «لَمَّا اشْتَدَّ الْقِتَالُ يَوْمَ أُحُدٍ جَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَحْتَ رَايَةِ الْأَنْصَارِ، وَأَرْسَلَ إِلَى عَلِيٍّ أَنْ قَدِّمَ الرَّايَةَ، فَتَقَدَّمَ عَلِيٌّ وَهُوَ يَقُولُ: أَنَا أَبُو الْقُصَمِ. فَنَادَاهُ أَبُو سَعْدِ بْنُ أَبِي طَلْحَةَ - وَهُوَ صَاحِبُ لِوَاءِ الْمُشْرِكِينَ - هَلْ لَكَ يَا أَبَا الْقُصَمِ فِي الْبِرَازِ مِنْ حَاجَةٍ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَبَرَزَا بَيْنَ الصَّفَّيْنِ، فَاخْتَلَفَا ضَرْبَتَيْنِ، فَضَرَبَهُ عَلِيٌّ فَصَرَعَهُ، ثُمَّ انْصَرَفَ وَلَمْ يُجْهِزْ عَلَيْهِ، فَقَالَ لَهُ بَعْضُ أَصْحَابِهِ: أَفَلَا أَجْهَزْتَ عَلَيْهِ؟ فَقَالَ: إِنَّهُ اسْتَقْبَلَنِي بِعَوْرَتِهِ، فَعَطَفَتْنِي عَلَيْهِ الرَّحِمُ، وَعَرَفْتُ أَنَّ اللَّهَ قَدْ قَتَلَهُ» . وَقَدْ فَعَلَ ذَلِكَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَوْمَ صِفِّينَ مَعَ بُسْرِ بْنِ أَبِي أَرْطَأَةَ لَمَّا حَمَلَ عَلَيْهِ لِيَقْتُلَهُ، أَبْدَى لَهُ عَنْ عَوْرَتِهِ فَرَجَعَ عَنْهُ، وَكَذَلِكَ فَعَلَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ حِينَ حَمَلَ عَلَيْهِ فِي بَعْضِ أَيَّامِ صِفِّينَ أَبْدَى عَنْ عَوْرَتِهِ فَرَجَعَ عَلِيٌّ أَيْضًا. فَفِي ذَلِكَ يَقُولُ الْحَارِثُ بْنُ النَّضْرِ: أَفِي كُلِّ يَوْمٍ فَارِسٌ غَيْرُ مُنْتَهٍ ... وَعَوْرَتُهُ وَسْطَ الْعَجَاجَةِ بَادِيَهْ يَكُفُّ لَهَا عَنْهُ عَلَيٌّ سِنَانَهُ ... وَيَضْحَكُ مِنْهَا فِي الْخَلَاءِ مُعَاوِيَهْ
পৃষ্ঠা - ২৬৫৩
৪৮ : ণ্ আল্বিাদ্ায়া ওয়ান নিহায়া

ইবন ইসহাক বলেন, মুসআব ইবন উমায়র (রা ) নিহত হবার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত
আলী ইবন অড়াবী তড়ালিবেয় হাতে পতাক অর্পণ করেন ৷ তবে ইবন ইসহাকের উদ্ধৃতি দিয়ে
ইউনুস ইবন বুকায়র বলেছেন ৷ প্রথম থেকেই পতাকা ছিল হযরত আলীর হাতে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা )
যখন দেখলেন যে, মুশরিকদের পতাকা বহন করছে আবদুদ্দার গোত্রের লোকেরা ৷ তখন তিনি
বললেন, প্রতিশ্রুতি পুরণের আমরাই ওদের চেয়ে অধিক চর হকদার ৷ তখন তিনি আলী (রড়া) এর
হাত থেকে নিয়ে পতাকা মুসআব ইবন উমায়রের হারে অর্পণ করলেন ৷ হযরত মুসআব শহীদ
হওয়ার পর আবার পতাকা আলী (রা)-এর হাতে তুলে দেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, হযরত আলী (রা ) এবং অপর কতক মুসলিম যোদ্ধা বীর বিক্রমে যুদ্ধ
চালিয়ে যেতে লাগলেন ৷

ইবন হিশাম বলেন, মাসলামা ইবন আল কামা আল-মুযিনী আমাকে বলেছেন যে, উহুদ
প্রাতরে যখন যুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করল তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) আনসারীদের পতাকার নীচে
বললেন ৷ হযরত আলী (রা ) বলে পাঠালেন যে , পতাকা এগিয়ে নিয়ে যাও ৷ হযরত আলী পতাকা
নিয়ে এগিয়ে গেলেন ৷ তিনি বলছিলেন আমি আবুল ক ৷সাম কতনিকারীর পিতা ৷ তার ঘোষণার
উত্তরে মুশরিকদের পতাকা বহনকারী আবু সাদ ইবন আবু তড়ালহা বলল, হে আবুল কাসাম ! দ্বন্দ্ব
যুদ্ধে অবতীর্ণ হবে ৷ হযরত আলী (রা ) বলাত্বলন, অবশ্যই ৷ দুজন উভয় পক্ষের ম ধ্যখানে দ্বন্দ্ব যুদ্ধে
অবতীর্ণ হলেন ৷ হযরত আলী (বা) তার উপর আক্রমণ করলেন ৷ সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল ৷
তাকে দ্বিখণ্ডিত না করেই তিনি ফিরে এলেন ৷ কেউ কেউ তাকে জিজ্ঞেস করল, আপনি ওকে
হত্যা না করে ফিরে এলেন কেন ? তিনি জবাবে বলেন যে বিবস্ত্র হয়ে পড়ায় তার প্রতি আমার
করুণার উদ্রেক হয় ৷ তবে বুঝে নিয়েছি যে তার মৃত্যু অবধারিত ৷ এরকম একটি ঘটনা
ঘটিয়েছিলেন হযরত আলী (রা) সিফফীনের যুদ্ধেও ৷ সেটি ছিল বুসর ইবন আবু আরতাতের
সঙ্গে ৷ তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে হযরত আলী (বা) তার উপর আক্রমণ চালিয়েছিলেন ৷ সে
তখন তার সম্মুখে নিজের লজ্জাস্থান উন্মুক্ত করে দেয় ৷ হযরত আলী (রা) তাকে ছেড়ে চলে
আসেন ৷ আমর ইবন আস ও সিফফীনের যুদ্ধে একবার তেমনটি করেছিলেন ৷ একদিন হযরত
আলী (বা) আমরের উপর আক্রমণ করেছিলেন ৷ তখন আমর নিজের লজ্জাস্থান উন্মুক্ত করে দেন ৷
হযরত আলী (বা ) তাকে ছেড়ে ফিরে যান ৷ এ সম্পর্কে হ্যরিছ ইবন নযর বলেন :

০ — ব্লু !

ন্পুাস্থু স্ট্টগ্ মোঃ এও ,স্র্দ্রা
তিনি প্রতিদিন এমন সব অশ্বারোহীর মুখোমুখি হন যারা নিজেদের সতর উন্মুক্ত করে রাখে ৷
ষ্
তা দেখে হযরত আলী তার উপর থেকে নিজের তরবারি ফিরিয়ে আনেন ৷ আর তা দেখে
নিজনে হাসতে থাকেন মুআবিয়া (রা) ৷


ইউনুস উল্লেখ করেছেন ইবন ইসহাক থেকে যে মুন্ারিকদের পতাকা বহনকারী তড়ালহা ইবন
আবু তালহা আবদারী সেদিন যুদ্ধ করার জন্যে ময়দানে হাযির হয়ে দ্বন্দ্ব যুদ্ধের আহবান জানাচ্ছিল ৷
মুসলিম সৈন্যগণ তার নিকট থেকে সরে থাকছিলেনঃ ৷ তখন ঘুবাযর ইবন আওয়াম তার


وَذَكَرَ يُونُسُ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ أَنَّ طَلْحَةَ بْنَ أَبِي طَلْحَةَ الْعَبْدَرِيَّ حَامِلَ لِوَاءِ الْمُشْرِكِينَ يَوْمَئِذٍ دَعَا إِلَى الْبِرَازِ، فَأَحْجَمَ عَنْهُ النَّاسُ، فَبَرَزَ إِلَيْهِ الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ فَوَثَبَ حَتَّى صَارَ مَعَهُ عَلَى جَمَلِهِ، ثُمَّ اقْتَحَمَ بِهِ الْأَرْضَ، فَأَلْقَاهُ عَنْهُ وَذَبَحَهُ بِسَيْفِهِ، فَأَثْنَى عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ لِكُلِّ نَبِيٍّ حِوَارِيًّا، وَحِوَارِيِّ الزُّبَيْرُ. وَقَالَ: لَوْ لَمْ يَبْرُزْ إِلَيْهِ، لَبَرَزْتُ أَنَا إِلَيْهِ ; لِمَا رَأَيْتُ مِنْ إِحْجَامِ النَّاسِ عَنْهُ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: قَتَلَ أَبَا سَعْدِ بْنَ أَبِي طَلْحَةَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ، وَقَاتَلَ عَاصِمُ بْنُ ثَابِتِ بْنِ أَبِي الْأَقْلَحِ فَقَتَلَ مُسَافِعَ بْنَ أَبِي طَلْحَةَ وَأَخَاهُ الْجُلَاسَ، كِلَاهُمَا يُشْعِرُهُ سَهْمًا، فَيَأْتِي أُمَّهُ سُلَافَةَ فَيَضَعُ رَأْسَهُ فِي حِجْرِهَا، فَتَقُولُ: يَا بُنَيَّ، مَنْ أَصَابَكَ؟ فَيَقُولُ: سَمِعْتُ رَجُلًا حِينَ رَمَانِي وَهُوَ يَقُولُ: خُذْهَا وَأَنَا ابْنُ أَبَى الْأَقْلَحِ. فَنَذَرَتْ إِنْ أَمْكَنَهَا اللَّهُ مِنْ رَأْسِ عَاصِمٍ أَنْ تَشْرَبَ فِيهِ الْخَمْرَ، وَكَانَ عَاصِمٌ قَدْ عَاهَدَ اللَّهَ أَنْ لَا يَمَسَّ مُشْرِكًا أَبَدًا، وَلَا يَمَسَّهُ. وَلِهَذَا حَمَاهُ اللَّهُ مِنْهُمْ يَوْمَ الرَّجِيعِ كَمَا سَيَأْتِي. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَالْتَقَى حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي عَامِرٍ وَاسْمُهُ عَمْرٌو
পৃষ্ঠা - ২৬৫৪
، وَيُقَالُ: عَبْدُ عَمْرِو بْنُ صَيْفِيٍّ. وَكَانَ يُقَالُ لِأَبِي عَامِرٍ فِي الْجَاهِلِيَّةِ: الرَّاهِبُ. لِكَثْرَةِ عِبَادَتِهِ، فَسَمَّاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْفَاسِقُ ; لَمَّا خَالَفَ الْحَقَّ وَأَهْلَهُ، وَخَرَجَ مِنَ الْمَدِينَةِ هَرَبًا مِنَ الْإِسْلَامِ، وَمُخَالَفَةً لِلرَّسُولِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ وَحَنْظَلَةُ الَّذِي يُعْرَفُ بِحَنْظَلَةَ الْغَسِيلِ ; لِأَنَّهُ غَسَّلَتْهُ الْمَلَائِكَةُ، كَمَا سَيَأْتِي - هُوَ وَأَبُو سُفْيَانَ صَخْرُ بْنُ حَرْبٍ، فَلَمَّا عَلَاهُ حَنْظَلَةُ رَآهُ شَدَّادُ بْنُ الْأَوْسِ، وَهُوَ الَّذِي يُقَالُ لَهُ: ابْنُ شَعُوبٍ، فَضَرَبَهُ شَدَّادٌ فَقَتَلَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ صَاحِبَكُمْ لُتُغَسِّلُهُ الْمَلَائِكَةُ، فَاسْأَلُوا أَهْلَهُ مَا شَأْنُهُ فَسُئِلَتْ صَاحِبَتُهُ - قَالَ الْوَاقِدِيُّ: هِيَ جَمِيلَةُ بِنْتُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيِّ ابْنِ سَلُولَ، وَكَانَتْ عَرُوسًا عَلَيْهِ تِلْكَ اللَّيْلَةَ - فَقَالَتْ: خَرَجَ وَهُوَ جُنُبٌ حِينَ سَمِعَ الْهَاتِفَةَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لِذَلِكَ غَسَّلَتْهُ الْمَلَائِكَةُ. وَقَدْ ذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ أَنَّ أَبَاهُ ضَرَبَ بِرِجْلِهِ فِي صَدْرِهِ، وَقَالَ: ذَنْبَانِ أَصَبْتَهُمَا، وَلَقَدْ نَهَيْتُكَ عَنْ مَصْرَعِكَ هَذَا، وَلَقَدْ وَاللَّهِ كُنْتَ وُصُولًا لِلرَّحِمِ، بَرًّا بِالْوَالِدِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ شَدَّادُ بْنُ الْأَسْوَدِ فِي قَتْلِهِ حَنْظَلَةَ:
পৃষ্ঠা - ২৬৫৫

মুকা ৷বিলায় এগিয়ে গেলেন ৷ তিনি তার উপর বাপিয়ে পড়লেন ৷ এক সময়৩ তিনি তার উটের উপর
চড়ে বসেন ৷ তিনি তাকে ধরাশায়ী করে ফেলেন এবং নিজ তরবারি দিয়ে তাকে জব ই করে
ফেলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত যুবায়র (রা)-এর এ বীরত্বের প্রশংসা করে বললেন, প্রতোক
নবীর হাওয়ারী ও সাহায্যকারী থাকে, আমার হাওয়ারী হল যুরায়র ( বা ) ৷ তিনি আরো বললেন,
আমি যখন দেখলাম মসলিম সৈন্যগণ৩ তালহ৷ থেকে সরে থাকছে তখন যুবায়র যদি বেরিয়ে না
আসত তবে আমি নিজেই ৩ ৷র বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হতাম ৷

ইবন ইসহাক বলেন, সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা) সেদিন আবু সা দ ইবন আবু তালহাকে
হত্যা করেছিলেন ৷ দ্বন্দু যুদ্ধে নেমেছিলেন আসিম ইবন ছাবিত ইবন আবু আফলাহ, ৷ তিনি নাফি
ইবন আবুতালহা ও তার ভাই জিলাসকে হত্যা করেন৷ তাদের উভয়েই তার প্ৰতি তীর নিক্ষেপ
করছিল ৷ সে৩ তার মায়ের নিকট আসত এবং তার কোলে মাথা রাখত ৷ তার মা বলত বৎসা
তোমাকে কে আঘাত করলো ? সে বলত মা , আমার প্রতি ৩ ৷র নিক্ষেপ করার সময় আমি এক
ব্যক্তিকে বলতে শুনেছি, সে বলছিল , এটি গ্রহণ কর, আমি আবুআফলাহ্ এর পুত্র ৷ তখন তার মা
মানত করেছিল যে, যদি কোনদিন সে আসিম ( রা)-এর মাথা হাতে তে পারে তবে ওই মাথার
থুলিতে শরাব পান করবে ৷ হযরত আসিম (রা ) ও আল্লাহ্র সাথে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হয়েছিলেন যেন
তিনি কোনদিন কোন মুশরিককে স্পর্শ না করেন এবং কোন মুশরিক ও তাকে স্পর্শ করতে না
পারে ৷ এজন্যে “রাজী দিবসের ঘটনায় কোন মুশরিকের স্পর্শ থেকে আল্লাহ্ তাআল৷ তার
লাশকে রক্ষা করেছিলেন ৷ রাজী দিবসের ঘটনা অবিলম্বে বর্ণনা করা হবে ৷

ইবন ইসহাক বলেন, হানযাল৷ ইবন আবু আমির মুখোমুখি হলেন আবু সুফিয়ানেয় ৷
হানযালার পিতা আবু আমিরের নাম ছিল আমর ৷ তাকে আবদ আমর ইবন সায়ফীও বলা হত ৷
জাহেলী যুগে সে রাহিব অর্থাৎ ধর্ম যাজক উপাধি পেরু২ ছিল ৷ এটি হয়েছিল তার প্রচুর ইবাদত
বন্দেগীর প্রেক্ষিতে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে ফাসিক তথা পাপাচারী নামে আখ্যায়িত করেছিলেন ৷
কারণ ইসলামী যুগে সে সত্য ও মত ৷পন্থীদের অর্থাৎ ইসলাম ও মুসলমানদের বিরোধিতা
করেছিল ৷ সে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর বিরোধিতা করতে গিয়ে এবং ইসলাম গ্রহণ থেকে দুরে
থাকার উদ্দেশ্যে মদীনা ছেড়ে মক্কায় পালিয়ে গিয়েছিল ৷ আলোচ্য হানযাল৷ হলেন ফেরেশতাদের
গোসল প্রাপ্ত হানযাল৷ ৷ ফেরেশতাপণ তাকে গোসল দিয়েছিলেন ৷ ওই ঘটনা পরে উল্লেখ করা
হবে ৷ বস্তুতঃ হানযাল৷ এবং আবু সুফিয়ান সাখর ইবন ;হ্ারব পরস্পর মুখোমুখি হলেন ৷ হানযালা
যখন আবু সুফিয়ানকে পরাস্ত করছিলেন এবং তার ববুকের উপর উঠে বসেন তখন শাদ্দাদ ইবন
আওস ওরফে ইবন শাউব তাকে দেখে ফেলে এবং তার উপর আক্রমণ করে তাকে হত্যা করে ৷
তার সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন “তোমাদের স৷ ৷থী হানযালাকে এখন ফেরেশতাগণ
গোসল দিচ্ছে, তার পরিবারকে জিজ্ঞেস করে দেখ তো ব্যাপার কী ৷৩ তার ত্রীকে এ বিষয়ে
জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ৷ ওয়াকিদী বলেন, তার শ্রী হলেন জামীলা বিনত উবাই ইবন সালুল ৷ মাত্র
ওই রাতেই তিনি নববধুরুপে হানযালার গৃহে আগমন করেছিলেন ৷ তিনি জানালেন, হানযালার
গোসল ফরয হয়েছিল ৷ যুদ্ধের অহ্বান শুনে গোসলন্ না করেই তিনি জিহাদে বেরিয়ে পড়েন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন, এজন্যেই ফেরেশতাগণ তাকে গোসল দিয়েছেন ৷



لَأَحْمِيَنَّ صَاحِبِي وَنَفْسِي ... بِطَعْنَةٍ مِثْلِ شُعَاعِ الشَّمْسِ وَقَالَ ابْنُ شَعُوبٍ: وَلَوْلَا دِفَاعِي يَا بْنَ حَرْبٍ وَمَشْهَدِي ... لَأُلْفِيتَ يَوْمَ النَّعْفِ غَيْرَ مُجِيبِ وَلَوْلَا مَكَرِّي الْمُهْرَ بِالنَّعْفِ قَرْقَرَتْ ... عَلَيْهِ ضِبَاعٌ أَوْ ضِرَاءُ كَلِيبِ وَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: وَلَوْ شِئْتُ نَجَّتْنِي كُمَيْتٌ طِمِرَّةٌ ... وَلَمْ أَحْمِلِ النَّعْمَاءَ لِابْنِ شَعُوبِ وَمَا زَالَ مُهْرِي مَزْجَرَ الْكَلْبِ مِنْهُمُ ... لَدُنْ غُدْوَةٍ حَتَّى دَنَتْ لِغُرُوبِ أُقَاتِلُهُمْ وَأَدَّعِي يَا لِغَالِبٍ ... وَأَدْفَعُهُمْ عَنِّي بِرُكْنِ صَلِيبِ فَبَكِّي وَلَا تَرْعَيْ مَقَالَةَ عَاذِلٍ ... وَلَا تَسْأَمِي مِنْ عَبْرَةٍ وَنَحِيبِ أَبَاكِ وَإِخْوَانًا لَهُ قَدْ تَتَابَعُوا ... وَحُقَّ لَهُمْ مِنْ عَبْرَةٍ بِنَصِيبِ وَسَلِي الَّذِي قَدْ كَانَ فِي النَّفْسِ إِنَّنِي ... قَتَلْتُ مِنَ النَّجَّارِ كُلَّ نَجِيبِ
পৃষ্ঠা - ২৬৫৬
وَمِنْ هَاشِمٍ قَرْمًا كَرِيمًا وَمُصْعَبًا ... وَكَانَ لَدَى الْهَيْجَاءِ غَيْرَ هَيُوبِ فَلَوْ أَنَّنِي لَمْ أَشْفِ نَفْسِي مِنْهُمُ ... لَكَانَتْ شَجًى فِي الْقَلْبِ ذَاتَ نُدُوبِ فَآبُوا وَقَدْ أَوْدَى الْجَلَابِيبُ مِنْهُمُ ... بِهَمْ خَدَبٌ مِنْ مُغْبَطٍ وَكَئِيبِ أَصَابَهُمْ مَنْ لَمْ يَكُنْ لِدِمَائِهِمْ ... كِفَاءً وَلَا فِي خُطَّةٍ بِضَرِيبِ فَأَجَابَهُ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ: ذَكَرْتَ الْقُرُومَ الصِّيدَ مِنْ آلِ هَاشِمٍ ... وَلَسْتَ لِزُورٍ قُلْتَهُ بِمُصِيبِ أَتَعْجَبُ أَنْ أَقْصَدْتَ حَمْزَةَ مِنْهُمُ ... نَجِيبًا وَقَدْ سَمَّيْتَهُ بِنَجِيبِ أَلَمْ يَقْتُلُوا عَمَرًا، وَعُتْبَةَ وَابْنَهُ ... وَشَيْبَةَ، وَالْحَجَّاجَ، وَابْنَ حَبِيبِ غَدَاةَ دَعَا الْعَاصِي عَلِيًّا فَرَاعَهُ ... بِضَرْبَةِ عَضْبٍ بَلَّهُ بِخَضِيبِ
পৃষ্ঠা - ২৬৫৭

মুসা ইবন উকবা উল্লেখ করেছেন যে ; হানযাল৷ (রা)-এর পিতা তার বুকে পদাঘাত করেছিল
এবং রলেছিল , তুই দুটো অপরাধ করেছিল ৷ এখানে আসতে আমি তােকে নিষেধ করেছিলাম ৷
আল্লাহর কসম , তৃইতাে আত্মীয় রৎসল এবং পিতৃভক্ত ছিলি ৷

ইবন ইসহাক বলেন এ সম্পর্কে ইবন শ্ ৷৷উব রলেছিল-



আমি অবশ্যই রক্ষা করব আমার সাথীকে এবং আমার নিজেকে সৃয় কিরণ তুলা একটি বর্শা
দ্বারা ৷ ইবন শাউব বলেন :


ণ্হ ইবন হারর আ মি ৷যদি প্ৰাতরোধ করতাম এবং উপন্থিত৷ না থাকতাম তবে তুমি যুদ্ধের
দিন কা ৷উকে তোমার ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্যে ৫পতেন৷ ৷

এ প্রস গে আবু সুফিয়ান ও একটি দীর্ঘ কবিত তা আবৃত্তি করেছিল ৷ আর হাসৃসান ইবন ছাবিত
প্রতুত্তেরে আরেকটি কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন ৷

উহুদ যুদ্ধের শেষ পর্যড়ায়ও ফলাফল

ইবন হল হ৷ ক বলেন এরপর আলাহ্ তা আল৷ মুসলমানদের প্ৰতি তার সাহায্য অবতীর্ণ
ক রে ন ; তিনি : র ওয়াদ ৷ পুরণ করেন ৷ মুসলমানগণ শত্রুপক্ষকে অবিরত হত্যা করতে থাকেন
এবং ওদেরকে ছত্রড়ঙ্গ করে যেনলন ৷ কাফিরদের পরাজয় সুনিশ্চিত হয়ে উঠে ৷ ইয়াহ্য়৷ ইবন
আ ররাদ তীর পিতা আব্বাদ ইবন আরদুল্লাহ্ইবন যুরায়র থেকে এবং তিনি যুবায়র (রা) থেকে
বর্ণন৷ করেছেন যে , তিনি বলেছেন, ওই সময় হিনৃদৃ বিন্ত উতবার নুপুরের দিকে আমার নজর
পড়ে ৷ সে এবং তার সঙ্গিনী কুরায়শী মহিলারা পায়ের কাপড় গুটিয়ে দৌড়ে পালাচ্ছিল ৷ শত্রুপক্ষ
তাদের মালপত্র ছেড়ে ময়দান থেকে পালিয়ে যাওয়া র পর আমাদের তীরন্দাজ বাহিনী ওদের মাল-
পত্র সংগ্রহে বা৷ পািয় পড়ে ৷ আমাদের পশ্চাতের ণিবি পথ তারা শত্রুপক্ষের অশ্বারোহী বাহিনীর
জন্যে অবারিত করে দয় ৷ ফলে র ৷ পেছনের দিক থেকে এসে আমাদের উপর আক্রমণ
চালায় ৷ তখন জনৈক £ৰুষ্ট্ট৷ ৷ষক ঘোষণা দো ন্ যে , মুহাম্মাদ নিহত হয়েছেন ৷ এ অবস্থায় আমরা আবার র
পাল্টা আক্রমণ করলাম ৷ ওরা’ও আক্রমণ করল ৷ ওদের পতাকাবাহী নিহত হল ৷ কিন্তু ওদের
পাক্ষর কেউই পতাকাটি তুলে নিতে এগিয়ে আসছিল না ৷ জনৈক বিজ্ঞ ব্যক্তির বরাতে ইবন
ইসহাক যে, পতাকাটি দী ৷র্ঘক্ষণ মাটিতে পড়েই ছিল ৷ শেষে বনু হারিছ পােত্রীয় উমরা বিনৃত
ন্সালকাম৷ এসে তা লেতু নিল ৷ সে পতাকাটি কুরায়শদের নিকট নিয়ে পেল ৷ তারা পুনরায় সেটি
দৃঢ়ভাবে উত্তোলন করল ৷ ওদের ওই পতাকাটি ছিল বানু আবু তালহ৷ গোত্রের হারশী বালক
সাওয়াবেব হাতে ৷ সে ছিল ওদের শেষ পতাকবােহী ! পতাকা নিয়েই সে যুদ্ধ করছিল এক সময়
তার হাত দুটি কাটা গেল ৷ তারপর সে উপুড় হয়ে বলে তার বুক ঘাড় দিয়ে পতাকাটি ধরে রাখে ৷
শেষ পর্যন্ত পতাকা রক্ষার প্রা:চষ্টারত অবস্থায়ই নিহ্তয় হয় ৷ সে তখন বলছিল, হে আল্লাহ! আপনি
কি আমার ওমর ও অক্ষৰুঘত৷ গ্রহণ হস্-রেছেনঃ এ প্রেক্ষিতে হযরত হাসৃসান ইবন ছাবিত বলেছেন :


[فَصْلٌ فِي أَنْزَلَ اللَّهُ نَصْرَهُ عَلَى الْمُسْلِمِينَ] فَصْلٌ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ أَنْزَلَ اللَّهُ نَصْرَهُ عَلَى الْمُسْلِمِينَ، وَصَدَقَهُمْ وَعْدَهُ فَحَسُّوهُمْ بِالسُّيُوفِ حَتَّى كَشَفُوهُمْ عَنِ الْعَسْكَرِ، وَكَانَتِ الْهَزِيمَةُ لَا شَكَّ فِيهَا، وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ أَبِيهِ عَبَّادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنِ الزُّبَيْرِ قَالَ: وَاللَّهِ لَقَدْ رَأَيْتُنِي أَنْظُرُ إِلَى خَدَمِ هِنْدِ بِنْتِ عُتْبَةَ وَصَوَاحِبِهَا ; مُشَمِّرَاتٍ هَوَارِبَ، مَا دُونَ أَخْذِهِنَّ قَلِيلٌ وَلَا كَثِيرٌ، إِذْ مَالَتِ الرُّمَاةُ عَلَى الْعَسْكَرِ حِينَ كَشَفْنَا الْقَوْمَ عَنْهُ، وَخَلَّوْا ظُهُورَنَا لِلْخَيْلِ، فَأُتِينَا مِنْ خَلْفِنَا، وَصَرَخَ صَارِخٌ: أَلَا إِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ قُتِلَ. فَانْكَفَأْنَا وَانْكَفَأَ الْقَوْمُ عَلَيْنَا بَعْدَ أَنْ أَصَبْنَا أَصْحَابَ اللِّوَاءِ، حَتَّى مَا يَدْنُو مِنْهُ أَحَدٌ مِنْهُمْ. قَالَ: فَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ، أَنَّ اللِّوَاءَ لَمْ يَزَلْ صَرِيعًا حَتَّى أَخَذَتْهُ عَمْرَةُ بِنْتُ عَلْقَمَةَ الْحَارِثِيَّةُ فَرَفْعَتْهُ لِقُرَيْشٍ فَلَاثُوا بِهِ، وَكَانَ اللِّوَاءُ مَعَ صُؤَابٍ غُلَامٍ لِبَنِي أَبِي طَلْحَةَ حَبَشِيٍّ، وَكَانَ آخِرَ مَنْ أَخَذَهُ مِنْهُمْ، فَقَاتَلَ بِهِ حَتَّى قُطِعَتْ يَدَاهُ، ثُمَّ بَرَكَ عَلَيْهِ، فَأَخَذَ اللِّوَاءَ بِصَدْرِهِ وَعُنُقِهِ حَتَّى قُتِلَ عَلَيْهِ، وَهُوَ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ২৬৫৮

শ্া,ষ্টুৰু১
পতাকা নিয়ে তোমরা গৌরব করে থাক ৷ পতাকা বিষয়ে সবচেয়ে বেশী নিন্দনীয় ঘটনা ঘটল
যখন সেটি সাওয়াব ক্রীতদাসের হাতে দেয়৷ হল ৷



পতাকা বিষয়ক গৌরব তোমরা রেখে দিয়েছিরুল ল একজন গোলাম ও একজন বাদীর জন্যে ৷
সে মাটি মাড়িয়ে যায় ৷

ষ্ষ্ষ্ষ্ষ্

া, ৷ ৷ fl ৷ টু,ণ্ এা১ “;,৷ ঢুখু, ষ্ন্ধ্রঞান্ণ্ flা৷, স্পো

তোমরা ধারণা করেছিলে আর মুর্থ লোকেরা তো অনেক কিছুই অনুমান করে থাকে ৷ কিন্তু
তা তো ৷য়থার্থছিল ৷

এটুৰুণ্ত্র৷ ১১১ ণ্ৰুণ্ণ্’

আমাদের যোদ্ধার৷ যেদিন মক্কায় তোমাদের মুখোমুখি হবে সেদিন তােমাদেরকে তারা
রক্তরঞ্জিত করবে না এ ধারণাটি ছিল ভ্রান্ত ৷

,দ্বুা

তার দৃহাত রওাক্ত হওয়া র দৃশ্যে আমি চোখ জুড়িয়েছি ৷ রক্তের খিযাবওে তা৷কে লাপাতেই
হবো

আমরা বিনৃত আলকামা ভুলুষ্ঠিত পতাকা তুলে নিয়েছিল সে বিষয়েও হযরত হাসৃসান (বা)
একটি কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, মসলমানগণ ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন ৷ তাদের কতক শত্রুর আক্রমণে
জখম হন ৷ সে দিনটি ছিল মুসলমানদের জন্যে বিপদ ও পরীক্ষার দিন ৷ কতক মুসলমানকে
আল্লাহ তাআলা শহীদের মর্যাদা দান করেন ৷ শেষ পর্যন্ত শত্রুরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর একেবারে
কাছা ৷কাছি এসে পড়ে ৷৩ তার প্রতি তারা পাথর নিক্ষেপ করে ৷ সেটি তার মুখের এক পাশে আঘাত
করে ৷ তার সম্মুখের একটি দাত শহীদ হয় ৷ মুখমণ্ডল রক্তাক্ত হয় ৷৩ তার ঠোট কেটে যায় ৷
আঘাতক৷ ৷রী হতভাপাটি ছিল উতব৷ ইবন আবু ওয়াক্কাস ৷ হুমায়দ আ৩ তাবীল হযরত আনাস (বা)
সুত্রে বংনাি কবেভ্রুঢ ন যে উহুদ দিবসে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর সম্মুখের দাত ভেঙ্গে যায় ৷ তার
মুখমণ্ডল রক্তাক্ত হয়ে যায় ৷ তিনি রক্ত মুছতে মুছতে বলছিলেন “ যে জাতি তাদের নবীর চেহারা
রক্তাক্ত করে দেয় এ অপরাধে যে, তাদেরকে তিনি আল্লাহ্র দিকে আহ্বান করেন ওই জাতি কী
করে সফলতা লাভ করবে ? এই প্ৰস গে আল্লাহ তা জানা না ৷যিল করলেন :

তা ত্থাল্লাহ্ তাদের প্রতি ক্ষমাশীল হবেন নাকি৩ তাদেরকে শাস্তি দিবেন এই বিষয়ে আপনার করণীয়
কিইে নেই ৷ কারণ , তারা যালিম ৷ (৩আলে ইমরানষ্ ১২৮) ৷


اللَّهُمَّ هَلْ أَعْزَرْتُ؟ يَعْنِي اللَّهُمَّ هَلْ أَعْذَرْتُ؟ فَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ فِي ذَلِكَ: فَخَرْتُمْ بِاللِّوَاءِ وَشَرُّ فَخْرٍ ... لِوَاءٌ حِينَ رُدَّ إلى صُؤَابِ جَعَلْتُمْ فَخْرَكُمْ فِيهِ لِعَبْدٍ ... وَأَلْأَمِ مَنْ يَطَا عَفْرَ التُّرَابِ ظَنَنْتُمْ وَالسَّفِيهُ لَهُ ظُنُونٌ ... وَمَا إِنْ ذَاكَ مِنْ أَمْرِ الصَّوَابِ بِأَنَّ جِلَادَنَا يَوْمَ الْتَقَيْنَا ... بِمَكَّةَ بَيْعُكُمْ حُمْرَ الْعِيَابِ أَقَرَّ الْعَيْنَ أَنْ عُصِبَتْ يَدَاهُ ... وَمَا إِنْ تُعْصَبَانِ عَلَى خِضَابِ وَقَالَ حَسَّانٌ أَيْضًا فِي رَفْعِ عَمْرَةَ بِنْتِ عَلْقَمَةَ اللِّوَاءَ لَهُمْ: إِذَا عَضَلٌ سِيقَتْ إِلَيْنَا كَأَنَّهَا ... جَدَايَةُ شِرْكٍ مُعْلَمَاتِ الْحَوَاجِبِ أَقَمْنَا لَهُمْ طَعْنًا مُبِيرًا مُنَكِّلًا ... وَحُزْنَاهُمُ بِالضَّرْبِ مِنْ كُلِّ جَانِبِ
পৃষ্ঠা - ২৬৫৯
فَلَوْلَا لِوَاءُ الْحَارِثِيَّةِ أَصْبَحُوا ... يُبَاعُونَ فِي الْأَسْوَاقِ بَيْعَ الْجَلَائِبِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَانْكَشَفَ الْمُسْلِمُونَ، وَأَصَابَ مِنْهُمُ الْعَدُوُّ، وَكَانَ يَوْمَ بَلَاءٍ وَتَمْحِيصٍ، أَكْرَمَ اللَّهُ فِيهِ مَنْ أَكْرَمَ بِالشَّهَادَةِ، حَتَّى خَلَصَ الْعَدُوُّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَدُثَّ بِالْحِجَارَةِ حَتَّى وَقَعَ لِشِقِّهِ، فَأُصِيبَتْ رَبَاعِيَتُهُ، وَشُجَّ فِي وَجْهِهِ، وَكُلِمَتْ شَفَتُهُ، وَكَانَ الَّذِي أَصَابَهُ عُتْبَةُ بْنُ أَبِي وَقَاصٍّ، فَحَدَّثَنِي حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: كُسِرَتْ رَبَاعِيَةُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أُحُدٍ وَشُجَّ فِي وَجْهِهِ، وَجَعَلَ الدَّمُ يَسِيلُ فِي وَجْهِهِ فَجَعَلَ يَمْسَحُ الدَّمَ وَيَقُولُ: «كَيْفَ يُفْلِحُ قَوْمٌ خَضَّبُوا وَجْهَ نَبِيِّهِمْ وَهُوَ يَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ؟ فَأَنْزَلُ اللَّهُ: {لَيْسَ لَكَ مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ فَإِنَّهُمْ ظَالِمُونَ} [آل عمران: 128] » قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ فِي " تَارِيخِهِ ": حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحُسَيْنِ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا أَسْبَاطٌ، عَنِ السُّدِّيِّ قَالَ: أَتَى ابْنُ قَمِئَةَ الْحَارِثِيُّ فَرَمَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحَجَرٍ، فَكَسَرَ أَنْفَهُ وَرَبَاعِيَتَهُ، وَشَجَّهُ فِي وَجْهِهِ فَأَثْقَلَهُ، وَتَفَرَّقَ
পৃষ্ঠা - ২৬৬০

ইবন জা ৷রীর তার ইতিহাস গ্রন্থে লিখেছেন, মুহাম্মাদ ইবন হুসায়ন সুদ্দী সুত্রে বর্ণনা
করেন, ইবন ক ৷সিয়৷ হারেহী ময়দানে উপস্থিত হল এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) ৫ক লক্ষ্য করে একটি
পাথর নিক্ষেপ করল ৷ ফলে৩ তার একটি সম্মুখের র্দাত শহীদ হল তার নাক ফেটে ৫পল এবং
পবিত্র মুখমওল রক্তাক্ত হয়ে গেল ৷ তিনি প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলেন ৷ তার সাহাবীগণ ছত্রতঙ্গ
হয়ে পড়লেন ৷ কেউ কেউ মদীনায় ফিরে গেলেন ৷ কেউ কেউ পাহাড়ের উপর পাথরের আড়ালে
আশ্রয় নিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাহাবীদের ডেকে ডেকে বলছিলেন ৷৷’ ,এ ৷ @) ছুচু; প্রু’ ৷
থুা৷ আল্লাহর বান্দাগণ, এদিকে আমার নিকটে এসো ৷ আল্লাহর বা দাগণ, ৷ ৷ দবে আমার নিকট
এসো! ৩০ জন মুজাহিদ তার নিকট জমায়েত হলেন ৷ তারা রাসুলুল্লাহ্ ( সা ) এর আগে আগে
চলছি৫লন ৷ ইতিপুর্বে৩ তালহা ও সাহ্ল ইবন হ নীযন্ ছ ৷ড়া ৫কউই৩ার পক্রো ছিলন৷ ৷ হযরত তালহা
রাসুলুল্পাহ্ (সা ) ৫ক নিজ ৫দহদ্বার৷ আড়াল করে ৫রখেছিলেন ৷ হঠাৎ শত্রুপক্ষের একটি তীর এসে
তার হাতে বিদ্ধ হয় ৷ ওই হাত অসাড় হয়ে যায় ৷ উবাই ইবন খালড়াফ জ্বমাহী রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
দিকে অগ্রসর হয় ৷ সে শপথ করেছিল যে, অবশ্যই যে রাসুলুল্লাহ্ (সা ৫ক হত্যা করবে ৷
রাসুলুল্পাহ্ (সা ) বলেছিলেন না, আমিই বরং৩ তাকে হত্যা করব ৷ তিনি বললেন, ও৫হ্ মিথুাক তুই
যাবি কোথায় ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে আক্রমণ করলেন এবং লৌহ বর্মের ফাকে আঘাত
করলেন ৷ যে সামান্য যখমী হল ৷ কিন্তু তার ব্যথায় জর্জরিত হয়ে সে ষাড়ের ম৩ চীৎকার করতে
ল্যাংল ৷ তার সাথীর৷ তাকে তুলে নিয়ে ৫গল ৷ তারা বলল, তোমার দেহে তো তেমন কোন যখম
৫নই,ত তাহলে তুমি এত অস্থির হচ্ছ ৫কন ? সে বলল, মুহাম্মাদ (সা)৫৩ তা বলেছেন যে তিনি
আমাকে অবশ্যই হত্যা করবেন ৷ এক্ষাণ যদি রাবীআ ও মুদার উভয় গোত্রও একত্রিত হত তবে
মুহাম্মাদ (সা) তাদের সকলকে হত্যা করতেন ৷ ওই সামান্য ক্ষ৫৩ র পবিণতিতে একদিন কিৎবা
তারও কম সময়ের ব্যবধানে তার মৃত্যু হয় ৷ ৫লাকজ৫নর মধ্যে গুজব র৫ট যায় যে , রাসুলুল্লাহ্
(সা) শহীদ হয়ে গিয়েছেন ৷ তখন পাহাড়ের উপরে পাথরের আড়ালে লুকিয়ে থাকা সাহাবীগণ
বললেন যে আমরা যদি একজন দুত ৫পতাম তাহলে আবদুল্লাহ ইবন উবাইর মাধ্যমে আবু
সুফিয়ানের নিকট নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন পাঠা তাম ৷ যে আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে দিত ৷
তারা আরো বললেন হে লোকজন ! মুহাম্মাদ ( সা) ৫তা শহীদ হয়েছেন ৷ মুশরিকর৷ তোমাদের
নিকট এসে ৫তামাদেরকে হত্যা করার পুর্বে ৫তামরা৫ তামাদের সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে যাও ৷
আনাস ইবন নযর বললেন, হে লোকজন! মুহাম্মাদ (সা) যদি শহীদ হয়েও থাকেন তবে মুহাম্মা৫দর
(সা) প্ৰতিপালক ৫তা নিহত হননি ৷ সুতরাং মুহাম্মাদ (সা) যে উদ্দেশ্যে যুদ্ধ করেছেন তােমরাও
সে উদ্দেশ্য যুদ্ধ করে যাও ৷ আনাস (বা) আরো বললেন ৫হ আল্লাহ ৷ ওরা যা বলেছে সে বিষয়ে
আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তারা বা করেছেত তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক
নেই ৷ এরপর তিনি তরবারি হা৫ত যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হয়ে গেলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তা
সাহাবীগণ৫ক আহ্বান করতে করতে পাথরের আড়ালে আশ্রয় গ্রহণকারীদের নিকট পৌছে
গেলেন ৷ তাকে চিনতে না পেরে জনৈক সাহাবী তার প্রতি তীর নিক্ষেপের জন্যে ধনুকে তীর তাক
করেন ৷ তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল! রাসুলুল্লাহ্ (সা) ৫ক পেয়ে তার সকলে পরম
আনন্দিত হন ৷ তিনি যখন দেখলেন যে, তার সাহাবীদের মধ্যে এখনও অনেক লোক আছেন যারা
তার নিরাপত্তা রক্ষা করতে ৩সচেষ্ট রয়েছেন, তখন তিনি আনন্দিত হলেন ৷ তারা সবাই একত্রিত


عَنْهُ أَصْحَابُهُ، وَدَخَلَ بَعْضُهُمُ الْمَدِينَةَ وَانْطَلَقَ طَائِفَةٌ فَوْقَ الْجَبَلِ إِلَى الصَّخْرَةِ، وَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُو النَّاسَ: إِلَيَّ عِبَادَ اللَّهِ، إِلَيَّ عِبَادَ اللَّهِ. فَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ ثَلَاثُونَ رَجُلًا، فَجَعَلُوا يَسِيرُونَ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَلَمْ يَقِفْ أَحَدٌ إِلَّا طَلْحَةُ، وَسَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ فَحَمَاهُ طَلْحَةُ فَرُمِيَ بِسَهْمٍ فِي يَدِهِ فَيَبُسَتْ يَدُهُ، وَأَقْبَلَ أُبَيُّ بْنُ خَلَفٍ الْجُمَحِيُّ، وَقَدْ حَلَفَ لَيَقْتُلَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: بَلْ أَنَا أَقْتُلُهُ. فَقَالَ: يَا كَذَّابُ، أَيْنَ تَفِرُّ؟ فَحَمَلَ عَلَيْهِ، فَطَعَنَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي جَيْبِ الدِّرْعِ، فَجُرِحَ جَرْحًا خَفِيفًا، فَوَقَعَ يَخُورُ خُوَارَ الثَّوْرِ، فَاحْتَمَلُوهُ، وَقَالُوا: لَيْسَ بِكَ جِرَاحَةٌ، فَمَا يُجْزِعُكَ؟ قَالَ: أَلَيْسَ قَالَ: لَأَقْتُلَنَّكَ؟ لَوْ كَانَتْ بِجَمِيعِ رَبِيعَةَ وَمُضَرَ لَقَتَلَتْهُمْ. فَلَمْ يَلْبَثْ إِلَّا يَوْمًا أَوْ بَعْضَ يَوْمٍ حَتَّى مَاتَ مِنْ ذَلِكَ الْجُرْحِ، وَفَشَا فِي النَّاسِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ قُتِلَ، فَقَالَ: بَعَضُ أَصْحَابِ الصَّخْرَةِ: لَيْتَ لَنَا رَسُولًا إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيٍّ فَيَأْخُذُ لَنَا أَمَنَةً مِنْ أَبِي سُفْيَانَ، يَا قَوْمُ، إِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ قُتِلَ، فَارْجِعُوا إِلَى قَوْمِكُمْ قَبْلَ أَنْ يَأْتُوكُمْ فَيَقْتُلُوكُمْ. فَقَالَ أَنَسُ بْنُ النَّضْرِ: يَا قَوْمُ، إِنْ كَانَ مُحَمَّدٌ قَدْ قُتِلَ، فَإِنَّ رَبَّ مُحَمَّدٍ لَمْ يُقْتَلْ، فَقَاتِلُوا عَلَى مَا قَاتَلَ عَلَيْهِ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَعْتَذِرُ إِلَيْكَ مِمَّا يَقُولُ هَؤُلَاءِ، وَأَبْرَأُ إِلَيْكَ مِمَّا جَاءَ بِهِ هَؤُلَاءِ. ثُمَّ شَدَّ بِسَيْفِهِ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، وَانْطَلَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُو النَّاسَ، حَتَّى انْتَهَى إِلَى أَصْحَابِ الصَّخْرَةِ، فَلَمَّا رَأَوْهُ وَضَعَ رَجُلٌ سَهْمًا فِي قَوْسِهِ، فَأَرَادَ أَنْ يَرْمِيَهُ، فَقَالَ: أَنَا رَسُولُ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ২৬৬১
فَفَرِحُوا بِذَلِكَ حِينَ وَجَدُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَفَرِحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ رَأَى أَنَّ فِي أَصْحَابِهِ مَنْ يَمْتَنِعُ بِهِ، فَلَمَّا اجْتَمَعُوا وَفِيهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ذَهَبَ عَنْهُمُ الْحُزْنُ، فَأَقْبَلُوا يَذْكُرُونَ الْفَتْحَ وَمَا فَاتَهُمْ مِنْهُ، وَيَذْكُرُونَ أَصْحَابَهُمُ الَّذِينَ قُتِلُوا، فَقَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، فِي الَّذِينَ قَالُوا: إِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ قُتِلَ فَارْجِعُوا إِلَى قَوْمِكُمْ: {وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ} [آل عمران: 144] الْآيَةَ [آلِ عِمْرَانَ: 144] فَأَقْبَلَ أَبُو سُفْيَانَ حَتَّى أَشْرَفَ عَلَيْهِمْ، فَلَمَّا نَظَرُوا إِلَيْهِ نَسُوا ذَلِكَ الَّذِي كَانُوا عَلَيْهِ، وَهَمَّهُمْ أَبُو سُفْيَانَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْسَ لَهُمْ أَنْ يَعْلُونَا، اللَّهُمَّ إِنْ تُقْتَلْ هَذِهِ الْعِصَابَةُ، لَا تُعْبَدْ فِي الْأَرْضِ» ثُمَّ نَدَبَ أَصْحَابَهُ فَرَمَوْهُمْ بِالْحِجَارَةِ حَتَّى أَنْزَلُوهُمْ، فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ يَوْمَئِذٍ: اعْلُ هُبْلَ، حَنْظَلَةُ بِحَنْظَلَةَ وَيَوْمُ أُحُدٍ بِيَوْمِ بَدْرٍ. وَذَكَرَ تَمَامَ الْقِصَّةِ. وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا، وَفِي بَعْضِهِ نَكَارَةٌ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَزَعَمَ رُبَيْحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ أَنَّ عُتْبَةَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ «رَمَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَسَرَ رَبَاعِيَتَهُ الْيُمْنَى السُّفْلَى، وَجَرَحَ شِفَتَهُ السُّفْلَى، وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ شِهَابٍ الزُّهْرِيَّ شَجَّهُ فِي جَبْهَتِهِ، وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَمِئَةَ جَرَحَ وَجْنَتَهُ، فَدَخَلَتْ حَلْقَتَانِ مِنْ حَلَقِ
পৃষ্ঠা - ২৬৬২

হলেন ৷ নিজেদের মধ্যে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে ফিরে পেয়ে তাদের সকল দুঃখ-কষ্ট দুর হয়ে গেল ৷
এবার তারা জয়-পরাজয় ও পাওয়া না পাওয়া সম্পর্কে আলোচনায় মশগুল হলেন, কারা শহীদ
হয়েছেন তা নির্ণয় ও আলোচনা করতে লাগলেন ৷ যায়৷ বলেছিল যে “মুহাম্মাদ (স ) নিহত হয়েছে
সুতরাং তোমরা নিজ সম্প্রদায়ের লোকজনের নিকট ফিরে যাও ৷ ” তাদের সম্পর্কে আল্লাহ
তা আল৷ নাযিল করলেন ৷গ্র

মুহাম্মাদ একজন রাসুলমাত্র ৷ তার পুর্বে বহু রাসুল গত হয়েছেন ৷ (৩-আলে ইমরান ;;

রাসুলুল্লাহ্ (সা ) ও তার সাথীদেরকে আক্রমণ করার জন্যে আবু সুফিয়ান পাহাড়ে আরোহণ
করল ৷ তাকে দেখে মুসলমানগণ পুর্বেকার সকল দুঃখ বেদনা ভুলে প্রতা৷ঘাতের জন্যে প্রস্তুত
হলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ ৷সা) বললেন, ওরা আমাদের উপর বিজয়ী হতে পারবে না ৷ তিনি এই দৃআ
পাঠ করলেন : রুঠুা৷ ং১১ ট্রু)ট্রুব্লুক্ট্রৰুগ্লু ৷ ন্ট্রু,পুা৷

হে আল্লাহ ! মুসলমানদের এই দল যদি নিহত হয় তবে পৃথিবীতে আপনার ইবাদত করার
কেউ থাকবে না ৷ এবার তিনি সাহাবীগণকে যুদ্ধের জন্যে আহ্বান জানাং লেন ৷ তারা শত্রুপক্ষকে
পাথর নিক্ষেপ করে পাহাড় থেকে নেমে যেতে বাধ্য করলেন ৷ আবু সুফিয়ান বলল ”হুবল
দেবতার জয় হোক ! হানযালার প্রতিশোধে হানযলাকে খুন করেছি, বদর দিবসের প্রতিশোধ উহুদ
দিবসে নিয়েছি ৷ এভাবে ইবন জারীর পুর্ণ ঘটনা উল্লেখ করেছেন ৷ এটি একটি গবীর পর্যায়ের
(একক) বর্ণনা এতে অনেক অগ্রহণযোপ্যতা রয়েছে ৷

ইবন হিশাম বলেন রুবায়হ্ ইবন আবদুর রহমান৩ তার পিতা, তার দাদা ৷আবু সাঈদ সুত্রে
বর্ণনা করেছেন যে , উ ষ্ বা ইবন আবু ওয়াক্কাস রাসুলুল্লাহ্ (সা ) কে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছিল
এবং তাতে তার সামনে নীচের সারির ডান দিকের র্দাত ভেঙ্গে গিয়েছিল এবং তার নীচের ঠোট
জখম হয়েছিল ৷ আর আবদুল্লাহ ইবন শিহাব (যুহবী) তার কপাল ফাটিয়ে দিয়েছিল ৷ আবদুল্লাহ
ইবন কামিয়া তার মখমণ্ডল যখম করে দিয়েছিল ৷৩ নব শিরস্ত্রাণের দুটো কড়া তার কপালের পাশে
ঢুকে গিয়েছিল, তিনি একটি গর্ভে পড়ে মনে ৷ মুসলমানপণ যেন যুদ্ধ করার সময় গর্ভে পড়ে যায়
সেজন্যে আবু আমির পুর্বেই ওইসব গর্ত খুড়ে রেখেছিল ৷ তখন হযরত আলী( (রা) রাসুলুল্লাহ্
(সা ) এর হাত ধরলেন ৷ আবুতালহ৷ (বা) তবে টেনে তুললেন ৷ তিনি সোজা হয়ে দাড়ালেন,
আৰু সাঈদের পিতা মালিক ইবন সিনান রাসুলুল্লাহ্ (না) এর চেহারা মুবাবক থেকে রক্ত চুষে নিয়ে
গিলে ফেললেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) বললেন, যার রক্তের সাথে আমার রক্ত মিশেছে জাহান্নামের
আগুন কোন দিন ত ৷কে স্পর্শ করবে না ৷

কাতাদা উল্লেখ করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ ( সা ) যখন কাত হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন তখন তিনি
অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন ৷ আবু হুয়ায়ফার আযাদকৃত দাস সালিম সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে
তুলে বসালেন এবং মুখমণ্ডলের রক্ত মুছে দিলেন ৷ চেতনা ৷ফিরে আসলে তিনি বলছিলেন,
নিজেদের নবী যাদেরকে আল্লাহর পথে ডাকেন আর এ অবস্থায়৩ তারা নবীর প্ৰতি এ আচরণ করে
সে সম্প্রদায় সফলতা অর্জন করবে কেমন করে ? এ প্রেক্ষিতে আল্লাহ্ তা অ ৷ল৷ নাযিল করলেন :


الْمِغْفَرِ فِي وَجْنَتِهِ، وَوَقَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حُفْرَةٍ مِنَ الْحُفَرِ الَّتِي عَمِلَ أَبُو عَامِرٍ ; لِيَقَعَ فِيهَا الْمُسْلِمُونَ وَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ، فَأَخَذَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ بِيَدِهِ، وَرَفَعَهُ طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ حَتَّى اسْتَوَى قَائِمًا، وَمَصَّ مَالِكُ بْنُ سِنَانٍ، أَبُو أَبِي سَعِيدٍ الدَّمَ مِنْ وَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ ازْدَرَدَهُ، فَقَالَ: مَنْ مَسَّ دَمُهُ دَمِي لَمْ تُصِبْهُ النَّارُ» . قُلْتُ: وَذَكَرَ قَتَادَةُ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا وَقَعَ لِشِقِّهِ أُغْمِيَ عَلَيْهِ، فَمَرَّ بِهِ سَالِمٌ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ فَأَجْلَسَهُ وَمَسَحَ الدَّمَ عَنْ وَجْهِهِ، فَأَفَاقَ وَهُوَ يَقُولُ: كَيْفَ يُفْلِحُ قَوْمٌ فَعَلُوا هَذَا بِنَبِيِّهِمْ وَهُوَ يَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ؟ فَأَنْزَلُ اللَّهُ: {لَيْسَ لَكَ مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ} [آل عمران: 128] الْآيَةَ» . رَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ وَهُوَ مُرْسَلٌ، وَسَيَأْتِي بَسْطُ هَذَا فِي فَصْلٍ وَحْدَهُ. قُلْتُ: كَانَ أَوَّلُ النَّهَارِ لِلْمُسْلِمِينَ عَلَى الْكُفَّارِ، كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَلَقَدْ صَدَقَكُمُ اللَّهُ وَعْدَهُ إِذْ تَحُسُّونَهُمْ بِإِذْنِهِ حَتَّى إِذَا فَشِلْتُمْ وَتَنَازَعْتُمْ فِي الْأَمْرِ وَعَصَيْتُمْ مِنْ بَعْدِ مَا أَرَاكُمْ مَا تُحِبُّونَ مِنْكُمْ مَنْ يُرِيدُ الدُّنْيَا وَمِنْكُمْ مَنْ يُرِيدُ الْآخِرَةَ ثُمَّ صَرَفَكُمْ عَنْهُمْ لِيَبْتَلِيَكُمْ وَلَقَدْ عَفَا عَنْكُمْ وَاللَّهُ ذُو فَضْلٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ إِذْ تُصْعِدُونَ وَلَا تَلْوُونَ عَلَى أَحَدٍ وَالرَّسُولُ يَدْعُوكُمْ فِي أُخْرَاكُمْ فَأَثَابَكُمْ غَمًّا بِغَمٍّ لِكَيْلَا تَحْزَنُوا} [آل عمران: 152] الْآيَةَ [آلِ عِمْرَانَ: 152، 153] . قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ: مَا نَصَرَ اللَّهُ فِي مَوْطِنٍ كَمَا نَصَرَ يَوْمَ أُحُدٍ. قَالَ: فَأَنْكَرْنَا ذَلِكَ، فَقَالَ: بَيْنِي وَبَيْنَ مَنْ أَنْكَرَ ذَاكَ كِتَابُ اللَّهِ، إِنَّ اللَّهَ يَقُولُ فِي يَوْمِ أُحُدٍ: {وَلَقَدْ صَدَقَكُمُ اللَّهُ وَعْدَهُ إِذْ تَحُسُّونَهُمْ بِإِذْنِهِ} [آل عمران: 152] يَقُولُ ابْنُ عَبَّاسٍ: وَالْحَسُّ الْقَتْلُ. {حَتَّى إِذَا فَشِلْتُمْ} [آل عمران: 152] إِلَى قَوْلِهِ: {وَلَقَدْ عَفَا عَنْكُمْ وَاللَّهُ ذُو فَضْلٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ} [آل عمران: 152] وَإِنَّمَا عَنَى بِهَذَا الرُّمَاةَ، وَذَلِكَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقَامَهُمْ فِي مَوْضِعٍ، ثُمَّ قَالَ: «احْمُوا ظُهُورَنَا، فَإِنْ رَأَيْتُمُونَا نُقْتَلُ فَلَا تَنْصُرُونَا، وَإِنْ رَأَيْتُمُونَا نَغْنَمُ فَلَا تُشْرِكُونَا» . فَلَمَّا غَنِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبَاحُوا عَسْكَرَ الْمُشْرِكِينَ، أَكَبَّ الرُّمَاةُ جَمِيعًا، فَدَخَلُوا فِي الْعَسْكَرِ يَنْهَبُونَ، وَقَدِ الْتَقَتْ صُفُوفُ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَهُمْ هَكَذَا - وَشَبَّكَ بَيْنَ أَصَابِعِ يَدَيْهِ - وَالْتَبَسُوا، فَلَمَّا أَخَلَّ الرُّمَاةُ تِلْكَ الْخَلَّةَ الَّتِي كَانُوا فِيهَا، دَخَلَتِ الْخَيْلُ مِنْ ذَلِكَ الْمَوْضِعِ عَلَى أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَضَرَبَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا فَالْتَبَسُوا، وَقُتِلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ نَاسٌ كَثِيرٌ، وَقَدْ كَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ وَأَصْحَابِهِ أَوَّلُ النَّهَارِ، حَتَّى قُتِلَ مِنْ أَصْحَابِ لِوَاءِ
পৃষ্ঠা - ২৬৬৩


(ব্প্রুছু; এর্দু০রু৷ ! ট্রুএ০া এ৷ (৩-আলে-ইমরান : ১২৮) ৷ ইবন জারীর এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
এটি একটি মুরসাল বর্ণনা ৷ এ বিষয়ে বিস্তারিত বনাি একটি আলাদা অধ্যায়ে আসবে ৷

বর্ণনাকারী বলেন, আমার মতে ওই দিবসের প্রথমভাগে মুসলমানদের বিজয় হচ্ছিল ৷ ঐ
সময়ে তারা ক ৷ফিরদেরকে পরা স্ত করেই যাচ্ছিলেন ৷ এ বিষয়ে অ ৷ল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ

৩ ১ শ্ ৩ ’



১৷ এ ;এ এ এ


আল্লাহ তোমাদের সাথে তার প্রতিশ্রুতি পুর্ণ করেছিলেন যখন তোমরা আল্লাহ্র
অনুমতিত্রুমে তাদেরকে বিনাশ করছিলে যে পর্যন্ত না তোমরা সাহস হারালে এবং নির্দেশ সম্বন্ধে
মতভেদ সৃষ্টি করলে এবং যা তোমরা ভালবাস তা তোমাদেরকে দেখাবার পর তোমরা অবাধ্য
হলে ৷ তোমাদের কতক ইহকাল চাচ্ছিলে এবং কতক পরকাল চাচ্ছিলে ৷ এরপর তিনি পরীক্ষা
করার জন্যে £তামাদেরকে তাদের থেকে ফিরিয়ে দিলেন ৷ অবশ্য তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা
করলেন এবং আল্লাহ্ মু’মিনদের প্ৰতি অনুগ্নহশীল ৷ স্মরণ কর , যখন (তামরা উপরের দিকে
ছুটছিলে এবং পেছনে ফিরে কা রাে ৷প্রতি ৩লক্ষ্য করছিলে না ৷ আর রাসুল তোমাদেরকে পেছন দিক
থেকে আহ্বান করছিলেন ৷ ফলে তিনিও তামাদেরকে বিপদের উপর বিপদ দিলেন যাতে তোমরা
যা হারিয়েছ অথবা যে বিপদণ্ তামাদের উপর এস্যেছত তার জন্যে দুঃখিত না হও ৷ তোমরা যা কর
আল্লাহ্ তা বিশেষভাবে অবহিত ৷ ( ৩ আলে-ইমরা ৷ংন : ১ ৫২ ১৫৩)

ইমাম আহমদ (র) বলেন, আব্দুল্লাহ — ইবন আব্বাস (রা)-এর বরাতে বলেছেন,
আল্লাহ তাআলা উহুদ দিবসে আমাদেরকে যেমন সাহায্য করেছিলেন অন্য কোন সময় তেমনটি
করেননি ৷ বর্ণনাকারী বলেন , তাতে আপত্তি উঠলে তিনি বললেন, যারা আমার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান
করে তাদের ও আমার মাঝে মীমাৎসাক৷ রী হল আল্লাহ্র কিতাব ৷ উহুদ দিবস সম্পর্কে আল্লাহ


তা ৷আল৷ ৷নিজেই বলেছেনং : এ

আল্লাহ্ তোমাদেরকে দেয়৷ প্রতিশ্রতি পুর্ণ করেছেন যখন তোমরা তার অনুমতিক্রমে
ওদেরকে বিনাশ করছিলে ৷ :,; শব্দের ব্যাথ্যায় ইবন আব্বাস (রা) বলেন ) অর্থ হত্যা
করা
( এ ০এ০দ্বু৷ (৩ আলে ইমরানং ১৫২) এটি! দ্বারা পিরিপথে নিয়োজিত তারন্দাজ বাহিনীকে)
বুঝানো হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) গিরিপথে তীরন্দাজদের নিয়োজিত করেছিলেন ৷ তিনি
বলেছিলেন, তোমরা আমাদের পশ্চাৎদিক রক্ষা করবে ৷ তোমরা যদি আমাদেরকে দেখ যে,
আমরা সবাই নিহত হচ্ছি তবু তোমরা ৷ঐ পথ ছেড়ে আমাদের সাহায্যের জন্যে আসবে না ৷ আর
যদি দেখ যে, আমরা বিজয়ী হয়ে গনীমভ্রু তব মাল সংগ্রহ করছি তবু তোমরা আমাদের সাথে যোগ
দিবে না ৷ পরবত্তীচ্চিত রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন পনীমতের মাল সংগ্রহ করছিলেন এবং মুশরিকদের


الْمُشْرِكِينَ سَبْعَةٌ أَوْ تِسْعَةٌ، وَجَالَ الْمُسْلِمُونَ جَوْلَةً نَحْوَ الْجَبَلِ، وَلَمْ يَبْلُغُوا - حَيْثُ يَقُولُ النَّاسُ - الْغَارَ، إِنَّمَا كَانَ تَحْتَ الْمِهْرَاسِ، وَصَاحَ الشَّيْطَانُ: قُتِلَ مُحَمَّدٌ. فَلَمْ يَشُكَّ فِيهِ أَنَّهُ حَقٌّ، فَمَا زِلْنَا كَذَلِكَ مَا نَشُكُّ أَنَّهُ حَقٌّ، حَتَّى طَلَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ السَّعْدَيْنِ، نَعْرِفُهُ بِتَكَفُّئِهِ إِذَا مَشَى. قَالَ: فَفَرِحْنَا كَأَنَّهُ لَمْ يُصِبْنَا مَا أَصَابَنَا. قَالَ: فَرَقِيَ نَحْوَنَا وَهُوَ يَقُولُ: «اشْتَدَّ غَضَبُ اللَّهِ عَلَى قَوْمٍ دَمَّوْا وَجْهَ رَسُولِ اللَّهِ» وَيَقُولُ مَرَّةً أُخْرَى: «اللَّهُمَّ إِنَّهُ لَيْسَ لَهُمْ أَنْ يَعْلُونَا» حَتَّى انْتَهَى إِلَيْنَا فَمَكَثَ سَاعَةً، فَإِذَا أَبُو سُفْيَانَ يَصِيحُ فِي أَسْفَلِ الْجَبَلِ: اعْلُ هُبْلُ - مَرَّتَيْنِ؛ يَعْنِي آلِهَتَهُ - أَيْنَ ابْنُ أَبِي كَبْشَةَ؟ أَيْنَ ابْنُ أَبِي قُحَافَةَ؟ أَيْنَ ابْنُ الْخَطَّابِ؟ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: أَلَا أُجِيبُهُ؟ قَالَ: بَلَى. قَالَ فَلَمَّا قَالَ: اعْلُ هُبَلَ. قَالَ: اللَّهُ أَعْلَى وَأَجَلُّ، فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: يَا ابْنَ الْخَطَّابِ، قَدْ أَنْعَمَتْ عَيْنُهَا، فَعَادِ عَنْهَا. أَوْ: فَعَالِ عَنْهَا.
পৃষ্ঠা - ২৬৬৪
فَقَالَ: أَيْنَ ابْنُ أَبِي كَبْشَةَ؟ أَيْنَ ابْنُ أَبِي قُحَافَةَ؟ أَيْنَ ابْنُ الْخَطَّابِ؟ فَقَالَ عُمَرُ: هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهَذَا أَبُو بَكْرٍ وَهَا أَنَا ذَا عُمَرُ. قَالَ: فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: يَوْمٌ بِيَوْمِ بَدْرٍ، الْأَيَّامُ دُوَلٌ، وَإِنَّ الْحَرْبَ سِجَالٌ. قَالَ: فَقَالَ: عُمَرُ: لَا سَوَاءَ، قَتْلَانَا فِي الْجَنَّةِ وَقَتْلَاكُمْ فِي النَّارِ. قَالَ: إِنَّكُمْ لَتَزْعُمُونَ ذَلِكَ، لَقَدْ خِبْنَا إِذَنْ وَخَسِرْنَا. ثُمَّ قَالَ أَبُو سُفْيَانَ: أَمَا إِنَّكُمْ سَوْفَ تَجِدُونَ فِي قَتْلَاكُمْ مَثْلًا، وَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ عَنْ رَأْيِ سَرَاتِنَا. قَالَ: ثُمَّ أَدْرَكَتْهُ حَمِيَّةُ الْجَاهِلِيَّةِ. فَقَالَ: أَمَا إِنَّهُ إِنْ كَانَ ذَلِكَ لَمْ نَكْرَهْهُ. وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، وَالْحَاكِمُ فِي " مُسْتَدْرَكِهِ " وَالْبَيْهَقِيُّ فِي الدَّلَائِلِ مِنْ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ الْهَاشِمِيِّ بِهِ. وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ، وَهُوَ مِنْ مُرْسَلَاتِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَلَهُ شَوَاهِدٌ مِنْ وُجُوهٍ كَثِيرَةٍ، سَنَذْكُرُ مِنْهَا مَا تَيَسَّرَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَبِهِ الثِّقَةُ وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ، وَهُوَ الْمُسْتَعَانُ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي
পৃষ্ঠা - ২৬৬৫


জান মাল দখলকে যখন বৈধ ঘোষণা করলেন তখন গিবিপথে প্ৰহরারত৩ ৩তীবন্দাজগ ণ হুমড়ি খেয়ে
নীচে নেমে এলেন ; তারপর তার শত্রু সৈন্যদের মধে৷ ঢুকে গিয়ে গনীমত সং গ্রহে ব্যস্ত হয়ে
পড়েন ৷ সাহাবীগণের সাবিগুলাে পরস্পর মিলে মিশে যায় ৷ বংনািকরী তার দুহাতের আঙ্গুলগুলাে
একটির ফাকে আরেকটি ঢুকিয়ে দেখান যে, তাদের সারি এমনিভ ৷বে সংলগ্ন হয়ে গিয়েছিল ৷

তীরন্দাজগণ গিরিপথ খালি করে দেয়ায় শত্রু বাহিনীর অশ্বারোহী সৈন্যরা ঐ পথে এসে সে
পশ্চাৎদিক থেকে মুসলমানদের উপর আক্রমণ করে ৷ অকম্মাৎ আক্রান্ত হয়ে সাহাবিগণ একে
অন্যকে চিনতে না€ পরে পরস্পরকে আক্রমণ করতে যাবেন ৷ এভাবেই বহু মুসলমান নিহত হন ৷
ঐ দিবসের প্রথম ভাগ রাসুলুল্লাহ (সা) ও তার সাহাবীগণের প ক্ষ ছিল ৷ ফলে তখন মুশরিকদের
সাত মতাম্ভরে নয় জন পতাকা ৷বাহী সৈন্য মুসলমানদের হাতে নিহত হয় ৷ পরবর্তীতে শত্রুদের
আক্রমণে হতভম্ব হয়ে মুসলমানগণ পাহাড়ের দিকে ছুটতে থাকেন ৷ কিন্তু যেখানে গুহ৷ আছে
বলে ধারণা ছিল সেখান পর্যম্ভ৩ ৷রা পৌছতে পারেননি ৷ এসময়ে শয়তান চীৎকা ৷র দিয়ে বলেছিল,
“মুহাম্মাদ নিহত হয়েছেন ৷ এই ঘোষণা র সত্যতা র কেউ সন্দেহ করেননি ৷ বনািকা রী বলেন , ঐ
ঘোষণা সত্য বলে আমরা তাই বিশ্বাস করে যাচ্ছিলাম ৷ হঠাৎ দেখি রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) দুই সাদের
মাঝখানে র্দাড়িয়ে মাথা তুলেছেন ৷ হাটার সময়ে তিনি একটু ঝুকে হাটতেন তা দেখে আমরা
তাকে চিনে ফেলি ৷ তাকে দেখে আমরা এত খুশী হলাম যে, আমরা আমাদের নিহত আহতদের
কথা ভুলেই গোলাম ৷ আমরা এমন হয়ে যাই যেন আমাদের কিছুই হয়নি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আমাদের দিকে উঠে এলেন ৷ তিনি বলছিলেন “ঐ সম্প্রদায়ের উপর আল্লাহর প্রবল পষব ও
অসন্তুষ্টি কঠিনভাবে নেমে আসুক , যারা আল্লাহর রাসুলের মুখমণ্ডল রক্তে রঞ্জিত করেছে ৷ আবার
তিনি বললেন :

হে আল্লাহ! ওরা যেন আমাদের উপর বিজয়ী হতে না পারে ৷ এসব বলতে বলতে রাসুলুল্লাহ্
(সা) আমাদের নিকট এসে পৌছলেন ৷ তিনি কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলেন ৷ তখন শোনা গেল যে,
পাহাড়ের পাদদেশ থেকে আবু সুফিয়ান চীৎকা ৷র করে বলছে “হুবলের জয় হোক ৷ হুবল দেবতার
জয় হোক ৷ আবুকাবাশার পুত্র (রাসুলুল্লাহ্) কো ৷থায় ? আবুকুহাফ৷ র পুত্র (আবু বকর ছিদ্দীক (বা)
কোথায় ? খাত্তাবের পুত্র (উমর রা কোথায় ? উমর (রা) বললেন, আমরা কি ওর কথার জবাব
দেবাে না ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হা ৷ আবুসুফিয়ান বলল, হুবল দেবতার জয় হোক ৷ জবাবে
উমর (রা) বললেন, আল্লাহ সর্বোচ্চ ও সুমহান ৷ আবু সুফিয়ান বলল, হে খাত্তারের পুত্র ! আজকের
কর্মকান্ডে হুবলের চোখ জুড়িয়েছে ৷ এখন ভুমি পারলে তাকে অতিক্রম করে যাও ৷ আবু সুফিয়ান
বলল, আবুকাবাশার পুত্র কোথায় ? আবুকুহাফার পুত্র কোথায় এবং খাত্তাবের পুত্র কোথায় ?
উমর (রা) বললেন, এই যে, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা), এই আবু বকর (রা ) এবং এই যে, এখানে আমি
উমর ৷ আবু সুফিয়ান বলল, আজকের দিন হল বদর দিবসের প্ৰতিশোধের দিন ৷ যুগ ৷আবর্তাশীল ৷
যুদ্ধ বা ৷লতির ন্যায় পালাক্রমে হা৩ বদল হয় ৷ উমর (রা) বললেন, উভয় পক্ষে সমান সমান নয় ৷
আমাদের নিহত ব্যক্তিগণ থাকবে জান্নাতে আর তোমাদের নিহতর৷ থাকবে জ হান্নামে ৷ আবু
সুফিয়ান বলল, তোমরা কি৩ ৷ই বিশ্বাস কর, তবে তে তা আমরা ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত ৷ এরপর আবু
সুফিয়ান বলল, তোমরা চামাদের পক্ষে নিহত লোকদের মধ্যে কতক লোককে কর্তিত অঙ্গ


إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ: لَقِيَنَا الْمُشْرِكِينَ يَوْمَئِذٍ وَأَجْلَسَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَيْشًا مِنَ الرُّمَاةِ، وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جُبَيْرٍ وَقَالَ: لَا تَبْرَحُوا ; إِنْ رَأَيْتُمُونَا ظَهَرْنَا عَلَيْهِمْ فَلَا تَبْرَحُوا، وَإِنْ رَأَيْتُمُوهُمْ ظَهَرُوا عَلَيْنَا فَلَا تُعَيِّنُونَا فَلَّمَا لَقِينَاهُمْ هَرَبُوا، حَتَّى رَأَيْتُ النِّسَاءَ يَشْتَدِدْنَ فِي الْجَبَلِ، رَفَعْنَ عَنْ سُوقِهِنَّ قَدْ بَدَتْ خَلَاخِلُهُنَّ فَأَخَذُوا يَقُولُونَ: الْغَنِيمَةَ الْغَنِيمَةَ. فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: عَهِدَ إِلَيَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ لَا تَبْرَحُوا. فَأَبَوْا، فَلَمَّا أَبَوْا صُرِفَتْ وُجُوهُهُمْ، فَأُصِيبُ سَبْعُونَ قَتِيلًا، وَأَشْرَفَ أَبُو سُفْيَانَ فَقَالَ: أَفِي الْقَوْمِ مُحَمَّدٌ؟ . فَقَالَ: لَا تُجِيبُوهُ. فَقَالَ: أَفِي الْقَوْمِ ابْنُ أَبِي قُحَافَةَ؟ فَقَالَ: لَا تُجِيبُوهُ. فَقَالَ: أَفِي الْقَوْمِ ابْنُ الْخَطَّابِ؟ فَقَالَ: إِنَّ هَؤُلَاءِ قُتِلُوا، فَلَوْ كَانُوا أَحْيَاءً لَأَجَابُوا. فَلَمْ يَمْلِكْ عُمَرُ نَفْسَهُ، فَقَالَ: كَذَبْتَ يَا عَدُوَّ اللَّهِ، أَبْقَى اللَّهُ عَلَيْكَ مَا يُحْزِنُكَ. فَقَالَ: أَبُو سُفْيَانَ اعْلُ هُبَلُ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَجِيبُوهُ. قَالُوا: مَا نَقُولُ؟ قَالَ: قُولُوا: اللَّهُ أَعْلَى وَأَجَلُّ. فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: لَنَا الْعُزَّى وَلَا عُزَّى لَكُمْ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَجِيبُوهُ. قَالُوا: مَا نَقُولُ؟ قَالَ: قُولُوا: اللَّهُ مَوْلَانَا وَلَا مَوْلَى لَكُمْ. قَالَ أَبُو سُفْيَانَ: يَوْمٌ بِيَوْمِ بَدْرٍ وَالْحَرْبُ سِجَالٌ، وَتَجِدُونَ مُثْلَةً لَمْ آمُرْ بِهَا وَلَمْ تَسُؤْنِي. وَهَذَا مِنْ إِفْرَادِ الْبُخَارِيِّ دُونَ مُسْلِمٍ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو
পৃষ্ঠা - ২৬৬৬
إِسْحَاقَ أَنَّ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ قَالَ: جَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الرُّمَاةِ يَوْمَ أُحُدٍ - وَكَانُوا خَمْسِينَ رَجُلًا - عَبْدَ اللَّهِ بْنَ جُبَيْرٍ. قَالَ: وَوَضَعَهُمْ مَوْضِعًا. وَقَالَ: «إِنْ رَأَيْتُمُونَا تَخْطَفُنَا الطَّيْرُ فَلَا تَبْرَحُوا، حَتَّى أُرْسِلَ إِلَيْكُمْ، وَإِنْ رَأَيْتُمُونَا ظَهَرْنَا عَلَى الْعَدُوِّ وَأَوْطَأْنَاهُمْ، فَلَا تَبْرَحُوا حَتَّى أُرْسِلَ إِلَيْكُمْ» . قَالَ: فَهَزَمُوهُمْ. قَالَ: فَأَنَا وَاللَّهِ رَأَيْتُ النِّسَاءَ يَشْتَدِدْنَ عَلَى الْجَبَلِ، وَقَدْ بَدَتْ أَسُوقُهُنَّ وَخَلَاخِلُهُنَّ رَافِعَاتٍ ثِيَابِهِنَّ. فَقَالَ: أَصْحَابُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جُبَيْرٍ: الْغَنِيمَةَ، أَيْ قَوْمُ، الْغَنِيمَةَ، ظَهْرَ أَصْحَابُكُمْ فَمَا تَنْظُرُونَ؟ قَالَ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جُبَيْرٍ: أَنْسَيْتُمْ مَا قَالَ لَكُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالُوا: إِنَّا وَاللَّهِ لِنَأْتِيَنَّ النَّاسَ فَلْنُصِيبَنَّ مِنَ الْغَنِيمَةِ. فَلَمَّا أَتَوْهُمْ صُرِفَتْ وُجُوهُهُمْ، فَأَقْبَلُوا مُنْهَزِمِينَ، فَذَلِكَ الَّذِي يَدْعُوهُمُ الرَّسُولُ فِي أُخْرَاهُمْ، فَلَمْ يَبْقَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَيْرُ اثْنَيْ عَشَرَ رَجُلًا، فَأَصَابُوا مِنَّا سَبْعِينَ رَجُلًا، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ أَصَابُوا مِنَ الْمُشْرِكِينَ يَوْمَ بِدْرٍ أَرْبَعِينَ وَمِائَةً ; سَبْعِينَ أَسِيرًا وَسَبْعِينَ قَتِيلًا، فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: أَفِي الْقَوْمِ مُحَمَّدٌ؟ أَفِي الْقَوْمِ مُحَمَّدٌ؟ أَفِي الْقَوْمِ مُحَمَّدٌ؟ ثَلَاثًا، فَنَهَاهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُجِيبُوهُ، ثُمَّ قَالَ: أَفِي الْقَوْمِ ابْنُ أَبِي قُحَافَةَ؟ أَفِي الْقَوْمِ ابْنُ أَبِي قُحَافَةَ؟ أَفِي الْقَوْمِ ابْنُ أَبِي قُحَافَةَ؟ أَفِي الْقَوْمِ ابْنُ الْخَطَّابِ؟ أَفِي الْقَوْمِ ابْنُ الْخَطَّابِ؟ أَفِي الْقَوْمِ ابْنُ الْخَطَّابِ؟ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى أَصْحَابِهِ، فَقَالَ: أَمَّا هَؤُلَاءِ فَقَدْ قُتِلُوا وَقَدْ
পৃষ্ঠা - ২৬৬৭


পাবে ৷ আমরা নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা কিন্তু ঐ রকম কাজ করার সিদ্ধান্ত দেইনি ৷ এ সময় তার মধ্যে
জাহিলিয়া৷তের অহমিকা জেগে উঠল ৷ সে বলল, ঐ অঙ্গ কর্তনের যে ঘটনা ঘটেছে তাতে অবশ্য
আমরা অসন্তুষ্টও নই ৷ এই বর্ণনা করেন ইবন আবু হাতিম ৷ আরো মুসতাদরাক হাকিম এবং
বায়হাকী (র ) এর আদ দাল ৷ইল গ্রন্থের ৷৩ তারা বর্ণনা করেছেন, সুলায়মান ইবন দাউদের বরাতে ৷
এটি একটি গরীব পর্যায়ের বর্ণনা ৷ এটি ইবন আব্বাস (না)-এর ৰুরস ল বণনাগুলাের একটি ৷
এটির সমর্থনে অন্যান্য বর্ণনা রয়েছে ৷ সাধ্যমত আমরা সেগুলো উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ ৷
ইমাম বুখারী (র ) বলেন, উবায়দুল্লাহ্ ইবন মুসা ধারা (যা) এর বরাতে বলেন যে, বরাতে উহুদ
যুদ্ধের বর্ণনা দিতে গিয়ে অতিরিক্ত বলেছেন, উহুদের দিন আমরা সেনাপতি আব্দুল্লাহ তার
র্তীরন্দাজদের ঘাটি ত্যাগ করতে দেখে বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা) তো আমাদের অঙ্গীকার নিয়েছেন
যে, আমরা যেন এই ন্থ ন ত্যাগ না করি ৷ কিন্তু তারা তার কথা মানেননি ৷ ফলে যুদ্ধের অবস্থা
পরিবর্তিত হয়ে যায় ৷ ৭০ জন সাহাবী তাতে নিহত তহন ৷ আবু সুফিয়ান তখ্যা বেরিয়ে আসে এবং
বলে, তোমাদের মধ্যে কি মুহাম্মাদ (সা) আছেন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তোমরা তার কথার
কোন উত্তর দিও৷ না ৷ সে বলল, ৫৩ামাদের মধ্যে কি আবুকুহড়াফার পুত্র আছে ? রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, কো ন উত্তর দিবে না ৷ সে বলল, তোমাদের মধ্যে কি থাত্তা ৷বের পুত্র আছে ? কোন উত্তর
না পেয়ে সে বলল, ওরা সবাই নিশ্চয়ই নিহত ৩হয়েছে ৷ জীবিত থাকলে অবশ্যই উত্তর দিত ৷
হযরত উমর (রা) নিজেকে সংযত রাখতে পারলেন না ৷ তিনি বললেন, (হ আল্লাহর দৃশমনা
তার কথা মিথ্যা, যাতে তই দৃশ্চিভাগ্রস্ত থাকিস এজন্যে আল্লাহ তা আলা তাদেরকে বহাল
তাবয়তে রেখেছেন ৷ আবুসুাফয়ান বলল, হুবল দেবতার জয় হোক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,
ওর কথার জবাব দাও ! সাহাবিগণ বললেন, কী জবাব দিব ? রাসৃলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তোমরা
বল, “আল্লাহ সর্বোচ্চ আল্লাহ সুমহান ৷ আবু সুফিয়ান বলল, আমাদের উঘৃয৷ আছে, তোমাদের
উঘৃয৷ নেই ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ওর কথার জবাব দাও ৷ সাহাবাগণ (রা ) বললেন, কী জবাব
দিব ? তিনি বললেন যে, তোমরা বল “আল্লাহ আমাদের মাওল৷ ও প্রভু তোমাদের প্রভু নেই ৷
আবু সুফিয়ান বলল, আজকের এই দিবস বদর দিবসের বাংলা ও প্রতিশোধ , আর যুদ্ধ হল বালতির
ন্যায় হাত বদলের ব্যাপার ৷ তোমাদের নিহতদের মধ্যে তোমরা অঙ্গকর্ভিত লোক খুজে পাবে ৷
আমি কিন্তু তা করার নির্দেশ দিইনিত ৷ তবে আমি তাতে অখুশীও নই ৷ এই হাদীছ ইমাম বুখারী
(র)-এর একক বর্ণনা ৷
ইমাম আহমদ ও মুসা বারা ইবন আযিব (বা) সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ তাতে
একথা ও আছে আব্দুল্লাহ ইবন জুবায়র (বা ) এর নিয়স্ত্রণাধীন সৈন্যগণ বললেন (হ সাথিগণ
পনীমতের মাল ৷ তোমাদের সাথিগণ ওে ৷ যুদ্ধের ময়দানে বিজয়ী ৷ আর অপেক্ষা কিসের ?
আব্দুল্লাহ ইবন জুবায়র (বা) বললেন৪ রাসুলুল্লাহ্ (সা)৫ত তােমাদেরকে কী বলে দিয়েছিলেন তা কি
তামরা ভুলে গিয়েছ ? তারা বললেন, “আল্লাহর কসম আমরা ওদের নিকট যাব এবং গনীমতের
অংশ নিব ৷ ওরা যখন গিরিপথ ছেড়ে ময়দানে নেমে এলেন তখন তাদের অবস্থার পরিবর্তন
ঘটল ৷ যুদ্ধের মোড় পাল্টে গেল ৷ত তারা বিজয়ের পর এবার পরাজিত হলেন ৷ এটি হচ্ছে (কুরআন
বর্ণিত) রাসুলুল্লাহ্ (সা)ত তাদেরকে পেছন থেকে ডাকা মাত্র ১২ জন ছাড়া কেউ সেখানে ছিলেন
না ৷ সেদিন আমাদের ৭০ জন লোক শহীদ হন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তার সাথিগণ বদর দিবসে


كُفَيْتُمُوهُمْ، فَمَا مَلَكَ عُمَرُ نَفْسَهُ أَنْ قَالَ: كَذَبْتَ وَاللَّهِ يَا عَدُوَّ اللَّهِ، إِنَّ الَّذِينَ عَدَدْتَ لَأَحْيَاءٌ كُلُّهُمْ، وَقَدْ بَقِيَ لَكَ مَا يَسُوءُكَ. فَقَالَ: يَوْمٌ بِيَوْمِ بَدْرٍ، وَالْحَرْبُ سِجَالٌ، إِنَّكُمْ سَتَجِدُونَ فِي الْقَوْمِ مُثْلَةً لَمْ آمُرْ بِهَا وَلَمْ تَسُؤْنِي. ثُمَّ أَخَذَ يَرْتَجِزُ اعْلُ هُبَلُ، اعْلُ هُبَلُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَلَا تُجِيبُونَهُ؟ قَالُوا: يا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا نَقُولُ؟ قَالَ: قُولُوا: اللَّهُ أَعْلَى وَأَجَلُّ. قَالَ: إِنَّ الْعُزَّى لَنَا، وَلَا عُزَّى لَكُمْ. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَلَا تُجِيبُونَهُ؟ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا نَقُولُ؟ قَالَ: قُولُوا: اللَّهُ مَوْلَانَا، وَلَا مَوْلَى لَكُمْ. وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ زُهَيْرٍ، وَهُوَ ابْنُ مُعَاوِيَةَ مُخْتَصَرًا، وَقَدْ تَقَدَّمَ رِوَايَتُهُ لَهُ مُطَوَّلَةً مِنْ طَرِيقِ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ، وَعَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ «أَنَّ الْمُشْرِكِينَ لَمَّا رَهِقُوا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي سَبْعَةٍ مِنَ الْأَنْصَارِ وَرَجُلَيْنِ مِنْ قُرَيْشٍ قَالَ: مَنْ يَرُدُّهُمْ عَنَّا وَهُوَ رَفِيقِي فِي الْجَنَّةِ؟ فَجَاءَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، فَلَمَّا رَهِقُوهُ أَيْضًا قَالَ: مَنْ يَرُدُّهُمْ عَنَّا وَهُوَ رَفِيقِي فِي الْجَنَّةِ؟ حَتَّى قُتِلَ السَّبْعَةُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ২৬৬৮


মৃশরিকদের ১৪০ জন লোককে নিহত ও বন্দী করেছিলেন ৷ তন্মধ্যে ৭০ জন নিহত হয়েছিল আর
৭০ জন বন্দী হয়েছিল ৷

তারপর এ রিওয়ায়াংতও পুর্বোল্লিখিত আবু সুফিয়ান ও উমর (রা)-এর মধ্যকার বাক্য
বিনিময়ের বর্ণনা রয়েছে ৷ এ বর্ণনাটি ইমাম বুখারী (ব) যুহড়ায়র ইবন মুআবিয়া থেকে সংক্ষিপ্ত
আকারে উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইসরাঈল সুত্রে আবুইসহাক থেকে তার একটি দীর্ঘ বর্ণনা ইতিপুর্বে
উল্লিখিত হয়েছে ৷

ইমাম আহমদ বলেন, আফফান আনাস ইবন মালিক (রা ) থেকে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, উহুদ দিবসে মুশরিকগণ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর উপর প্রচন্ড আক্রমণ চালিয়েছিল ৷
এক পর্যায়ে তার সাথে মাত্র ৭ জন আনসারী সাহাবী এবং একজন কৃরায়শী সাহাবী ছিলেন ৷ তিনি
বললেন, কেউ যদি কাফির শত্রুদেরকে আমার নিকট থেকে সরিয়ে দিতে পারে তবে সে জান্নাতে
আমার সাথী হতে পারবে ৷ একথা শুনে একজন আনসারী সাহাবী এগিয়ে এলেন এবং
কাফিরদেরকে সরিয়ে দেয়ার লক্ষে যুদ্ধ শুরু করলেন এবং শেষ পর্যন্ত শহীদ হলেন ৷ শত্রুগণ
দ্বিতীয়বার রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে ঘিরে ফেলল ৷ তিনি বললেন, “যে ব্যক্তি ওদেরকে সরিয়ে দিয়ে
সে জান্নড়াতে আমার সাথী হবে ৷ এ ঘোষণা শুনে অন্য একজন সাহাবী এগিয়ে এলেন এবং যুদ্ধ
করে শহীদ হলেন ৷ এভাবে ৭ জন সাহাবীই শহীদ হয়ে গেলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন, আমার
এ সাহাবীগণের প্রতি সুবিচার করা হয়নি ৷

মুসলিম (র) এই হাদীছ হুদবা ইবন খালিদ সুত্রে হাম্মাদ ইবন সালড়ামা থেকে বর্ণনা করেছেন ৷
বায়হাকী তার দালাইল’ গ্রন্থে তার সনদে উমারা ইবন গুয্রা সুত্রে আবু যুবায়র থেকে বর্ণনা
করেছেন যে , জাবির (রা ) বলেছেন, উহুদ দিবসে মুসলিম সৈন্যগণ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে ছেড়ে
ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় ৷ মাত্র ১ ১জন আনসারী সাহাবী এবং তালহা ইবন উবায়দুল্লাহ্ তার সাথে ছিলেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন পাহাড়ে আরোহণ করছিলেন ৷ ইতেড়ামধ্যে মুশরিকগণ তাদের কাছাকাছি
এসে পৌছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, ওদেরকে প্রতিরোধ করার কি কেউ নেই ন্ হযরত তালহা
(রা ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমি আছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে তালহা ! তুমি যেমন
আছ তেমন থাক ৷ তখন একজন আনসারী সাহাবী বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমি আছি ৷ এ
কথা বলে তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রতিরক্ষার্থে যুদ্ধ শুরু করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তার অন্য
সাথিগণ উপরের দিকে উঠে গেলেন ৷ ইতোমধ্যে উক্ত আনসারী সাহাবী শহীদ হলেন এবং
শত্রুগণ রাসুলুল্লাহ্ ( সা)-এর কাছাকাছি পৌছে গেল ৷ তিনি বললেন , ওদেরকে প্রতিরোধ করার কি
কেউ নেই ? হযরত তালহা (বা ) পুর্বের ন্যায় বললেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্তাকে পুর্বের ন্যায় উত্তর
দিলেন, তখন একজন আনসারী সাহাবী বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমি আছি ৷ এ বলে তিনি যুদ্ধ
শুরু করলেন ৷ ইতোমধ্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তার অবশিষ্ট সাহাবীগণ আরো উপরে উঠে গেলেন ৷
কিছুক্ষ্যণর মধ্যে আনসারী সাহাবী শহীদ হয়ে গেলেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) একাধিকবার
পুর্বের মত আহ্বান করলেন ৷ হযরত তালহা (বা) তার প্রভৃতির কথা জানালেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তাকে বিরত রাখলেন ৷ অন্য একজন আনসারী সাহাবী অনুমতি চাইলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
অনুমতি দিলেন ৷ তারা একের পর এক যুদ্ধ করে শহীদ হয়ে গেলেন ৷ শেষ পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ্



صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِصَاحِبَيْهِ: مَا أَنْصَفْنَا أَصْحَابَنَا» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ هُدْبَةَ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ بِهِ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: فِي " الدَّلَائِلِ " بِإِسْنَادِهِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «انْهَزَمَ النَّاسُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أُحُدٍ وَبَقِيَ مَعَهُ أَحَدَ عَشَرَ رَجُلًا مِنَ الْأَنْصَارِ وَطَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ وَهُوَ يَصْعَدُ فِي الْجَبَلِ، فَلَحِقَهُمُ الْمُشْرِكُونَ فَقَالَ: أَلَا أَحَدٌ لِهَؤُلَاءِ؟ فَقَالَ طَلْحَةُ: أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَقَالَ: كَمَا أَنْتَ يَا طَلْحَةُ. فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ: فَأَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَقَاتَلَ عَنْهُ، وَصَعِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَنْ بَقِيَ مَعَهُ، ثُمَّ قُتِلَ الْأَنْصَارِيُّ فَلَحِقُوهُ، فَقَالَ: أَلَا رَجُلٌ لِهَؤُلَاءِ؟ فَقَالَ طَلْحَةُ مِثْلَ قَوْلِهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مِثْلَ قَوْلِهِ، فَقَالَ: رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ: فَأَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَأَذِنَ لَهُ. فَقَاتَلَ مِثْلَ قِتَالِهِ وَقِتَالِ صَاحِبِهِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ يَصْعَدُونَ، ثُمَّ قُتِلَ فَلَحِقُوهُ، فَلَمْ يَزَلْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مِثْلَ قَوْلِهِ الْأَوَّلِ، وَيَقُولُ طَلْحَةُ: أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَيَحْبِسُهُ فَيَسْتَأْذِنُهُ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ لِلْقِتَالِ
পৃষ্ঠা - ২৬৬৯
فَيَأْذَنُ لَهُ فَيُقَاتِلُ مِثْلَ مَنْ كَانَ قَبْلَهُ، حَتَّى لَمْ يَبْقَ مَعَهُ إِلَّا طَلْحَةُ فَغَشُوهُمَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ لِهَؤُلَاءِ؟ فَقَالَ طَلْحَةُ: أَنَا. فَقَاتَلَ مِثْلَ قِتَالِ جَمِيعِ مَنْ كَانَ قَبْلَهُ وَأُصِيبَتْ أَنَامِلُهُ، فَقَالَ: حَسِّ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَوْ قُلْتَ: بِسْمِ اللَّهِ. أَوْ ذَكَرْتَ اسْمَ اللَّهِ ; لَرَفَعَتْكَ الْمَلَائِكَةُ وَالنَّاسُ يَنْظُرُونَ إِلَيْكَ، حَتَّى تَلِجَ بِكَ فِي جَوِّ السَّمَاءِ ثُمَّ صَعِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَصْحَابِهِ، وَهُمْ مُجْتَمِعُونَ» . وَرَوَى الْبُخَارِيُّ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ قَالَ: رَأَيْتُ يَدَ طَلْحَةَ شَلَّاءَ ; وَقَى بِهَا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أُحُدٍ. وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ مُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ قَالَ: لَمْ يَبْقَ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَعْضِ تِلْكَ الْأَيَّامِ الَّتِي قَاتَلَ فِيهِنَّ غَيْرُ طَلْحَةَ، وَسَعْدٍ عَنْ حَدِيثِهِمَا. وَقَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ: حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ هَاشِمِ بْنِ هَاشِمٍ
পৃষ্ঠা - ২৬৭০


(না)-এর সাথে তালহা (রা ) ব্যতীত কেউই রইলেন না ৷ শত্রুপণ এসে তাদের দুজনকে ঘিরে
ফেলল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন, ওদেরকে প্রতিরোধ করবে কে ? তালহা (রা ) বললেন ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমি প্রতিরোধ করব ৷ তার পুর্বের সাহাবীগণের ন্যায় তিনি যুদ্ধ শুরু করলেন ৷
তার হাতের আঙ্গুলগুলাে কেটে গেল ৷ তিনি বললেন আহ্ ! রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন, তুমি যদি
আহ্ না বলে বিসৃমিল্লাহ বলতে তবে ফেরেশতাপণ তোমাকে আকাশে তুলে নিতেন ৷ লোকজন
তোমার দিকে তাকিয়ে দেখত ৷ ওরা তোমাকে নিয়ে আসমান উঠে যো:তন ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্
(সা) পাহাড়ের উপরে অবস্থানরত তার অন্যান্য সাহাবীদের নিকট গিয়ে পৌছলেন ৷

ইমাম বুখারী (র ) আব্দুল্লাহ্ ইবন আবু শায়বা কায়স ইবন আবু হাযিম থেকে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেছেন যে, আমি দেখেছি আবু তালহা (বা ) এর হাত অব” হয়ে রয়েছে ৷ সে হাত
দ্বারা তিনি উহুদ দিবসে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) কে রক্ষা করেছিলেন ৷ সহীহ্ বুখারী ও মুসলিম গ্রন্থে মুসা
ইবন ইসমাঈল ৷

আবুউছমান নাহ্দী থেকে বর্ণনা করেন যে , তিনি বলেছেন, যে দিবস গুলোতে যুদ্ধ
হয়েছে সেগুলোর একটিতে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে অবস্থা ও সাদ (রা) ব্যতীত কেউ ছিলেন
না ৷ তারা নিজেরা এটি বর্ণনা করেছেন ৷

হাসান ইবন আরাফা বলেন, — সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা ) উহুদ দিবসে তার ভীরের খনি থেকে আমাকে তীর বের করে
দিয়েছিলেন এবং আমাকে বলেছিলেন আমার পিতা-মাতা তোমার জন্যে কুররানী হোক ! তুমি
তীর ছুড়তে থাক ৷ ইমাম বুখারী (র ) আন্দুল্লাহ্ ইবন মুহাম্মাদ সুত্রে মারওয়ান থেকে এটি উদ্ধৃত
করেছেন ৷

সহীহ্ বুখাবী গ্রন্থে আন্দুল্লাহ্ ইবন শাদ্দাদ সুত্রে আলী ইবন আবু তালিব (রা ) থেকে বর্ণিত ৷
তিনি বলেন, সাদ ইবন মালিক (আবু ওয়াক্কাস) ব্যতীত অন্য কারো ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার
পিতা-মাতা দু’জন কুরবড়ান হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন বলে আমি শুনিনি ৷ উহুদ দিবসে আমি
শুনেছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলছিলেন, হে সাদ ! তুমি তীর ছুড়তে থাকে৷ ৷ আমার পিতা-মাতা
তোমার জন্যে কুরবানী হোন ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, সালিহ ইবন কায়সন সাদ (রা)-এর পরিবারের জনৈক
সদস্যের সুত্রে সাদ (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে , তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে রক্ষায় তীর নিক্ষেপ
করেছেন ৷ সাদ (রা) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে দেখেছি যে, তিনি আমাকে ভীরের
যোগান দিয়ে যাচ্ছিলেন এবং বলছিলেন , আমার পিতা-মাতা তোমার জন্যে কুরবানী হোক ! তু
তীর ছুড়তে থাকে৷ ৷ কখনো কখনো তিনি আমাকে ফলকবিহীন তীর দিয়েছেন আমি তা নিক্ষেপ
করছিলাম ৷

সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ মুসলিমে ইব্রাহীম ইবন সাদ সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস
(রা)-এর বরাতে বলেছেন, আমি উহুদের দিবসে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ডানে ও বামে দুজন লোক
দেখেছিলাম তাদের পরিধানে ছিল সাদা পোশাক ৷ তারা দৃজনে এত প্রচন্ড যুদ্ধ করেছেন যে , এমন
যুদ্ধ আমি তার আগেও দেখিনি পরেও দেখিনি ৷ তিনি তাতে জিবরাঈল ও মীকাঈল (আ)-কে
বুঝিয়েছেন ৷


الزُّهْرِيِّ: سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ يَقُولُ: سَمِعْتُ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ يَقُولُ: «نَثَلَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كِنَانَتَهُ يَوْمَ أُحُدٍ وَقَالَ: ارْمِ، فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي» وَأَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ مَرْوَانَ بِهِ. وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: «مَا سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَمَعَ أَبَوَيْهِ لِأَحَدٍ إِلَّا لِسَعْدِ بْنِ مَالِكٍ، فَإِنِّي سَمِعْتُهُ يَقُولُ يَوْمَ أُحُدٍ: يَا سَعْدُ، ارْمِ فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي» وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ، عَنْ بَعْضِ آلِ سَعْدٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ «أَنَّهُ رَمَى يَوْمَ أُحُدٍ دُونَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ سَعْدٌ: فَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُنَاوِلُنِي النَّبْلَ، وَيَقُولُ: ارْمِ، فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي. حَتَّى إِنَّهُ لَيُنَاوِلُنِي السَّهْمَ لَيْسَ لَهُ نَصْلٌ فَأَرْمِي بِهِ» . وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ ": مِنْ حَدِيثِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: «رَأَيْتُ يَوْمَ أُحُدٍ عَنْ يَمِينِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَنْ يَسَارِهِ رَجُلَيْنِ عَلَيْهِمَا
পৃষ্ঠা - ২৬৭১
ثِيَابٌ بِيضٌ، يُقَاتِلَانِ أَشَدَّ الْقِتَالِ، مَا رَأَيْتُهُمَا قَبْلَ ذَلِكَ وَلَا بَعْدَهُ. يَعْنِي جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ» . وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ أَنَّ أَبَا طَلْحَةَ كَانَ يَرْمِي بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أُحُدٍ وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَلْفَهُ يَتَتَرَّسُ بِهِ، وَكَانَ رَامِيًا، وَكَانَ إِذَا رَمَى رَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَخْصَهُ يَنْظُرُ أَيْنَ يَقَعُ سَهْمُهُ، وَيَرْفَعُ أَبُو طَلْحَةَ صَدْرَهُ، وَيَقُولُ: هَكَذَا بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَا يُصِيبُكَ سَهْمٌ، نَحْرِي دُونَ نَحْرِكَ. وَكَانَ أَبُو طَلْحَةَ يَشُورُ نَفْسَهُ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَقُولُ: إِنِّي جَلْدٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَوَجِّهْنِي فِي حَوَائِجِكَ، وَمُرْنِي بِمَا شِئْتَ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ عَنْ أَنَسٍ قَالَ: لَمَّا كَانَ يَوْمُ أُحُدٍ انْهَزَمَ النَّاسُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو طَلْحَةَ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُجَوِّبٌ عَلَيْهِ بِحَجَفَةٍ لَهُ، وَكَانَ أَبُو طَلْحَةَ
পৃষ্ঠা - ২৬৭২

ইমাম আহমদ বলেন, আফ্ফান আমাকে জানিয়েছেন আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে যে
উহুদ দিবসে আবৃত তালহা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সম্মুখে অবস্থান নিয়ে তীর নিক্ষেপ করছিলেন ৷ নবী
করীম (সা) তার পেছনে দাড়িয়ে নিজেকে আড়াল করছিলেন ৷ আবু তালহা (বা) দক্ষ তীরন্দাজ
ছিলেন ৷ তিনি যখন তীর নিক্ষেপ করতেন তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা ) মাথা তুলে দেখতেন যে, তীরটি
কােথায়গ্ গিয়ে পড়ছে ৷ আর আবু তালহা তখন তার ঘাড় উভু করে দিতেন এবং বলতে তন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমার পিতা-মাতাআপনার জন্যে কুরবানী হোন, শত্রুর নিক্ষিপ্ত কোন তীর যেন
আপনার শরীরে না লাগে ৷ আমার বক্ষ আপনার বক্ষের জন্য ঢালারুপ রইল ৷ আবু তালহা (রা)
রাসুলুল্পাহ্ (সা)-এর সম্মুখে দাড়াতেন এবং বলতেন, ইয়া রাসৃলাবুব্রাহ্ (সা) ৷ আমি শক্ত সামর্থ
লোক বটে , যে কোন প্রয়োজনে আপনি আমাকে যে কোন স্থানে পা-স্রাতে পারেন এবং যে কোন
কাজের নির্দেশ দিতে পারেন !

ইমাম বুথারী (বা) বলেন, আবু আমার আনায (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেছেন, উহুদ দিবসে যুসলমানগণ রাসুলুল্লাহ্ (সা )কে রেখে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান; কিন্তু আবুতালহা
(বা) তার ঢাল নিয়ে প্রাচীর রুপে রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর সম্মুখে দাড়িয়ে থাকেন ৷ তিনি দ্রুত ও দক্ষ
তীরন্দাজ ছিলেন ৷ সেদিন তার হাতে ২ থেকে ৩টি ধনুক ভেঙ্গে যায় ৷ কোন সৈনিক তৃণীর নিয়ে
সেখান দিয়ে যেতে থাকলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলতেন, তোমার তীরগুলাে আবু তালহা (রা)ষ্কে
দিয়ে দাও ৷ মাঝে মাঝে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মাথা উচিয়ে তাকাতেন এবং ময়দানের লোকজনের
অবস্থা দেখতেন ৷ তখন আবুতালহা বলতেন, আমার পিতা-মাতা আপনার জন্যে কুরবানী হোন,
আপনি মাথা তুলবেন না নতুন শত্রুপক্ষের তীর আপনার পায়ে লাগতে পারে ৷ আমার বক্ষ আপনার
বক্ষের জন্য ঢালরুপে রইল, আমি আইশা (রা) ও উম্মু সুলায়মকে দেখেছিলাম সেদিন যে, তারা
পায়ের গোছার উপর কাপড় গুটিয়ে ছুটোছুটি করছেন যে, আমি তাদের পায়ের গোছা দেখতে
পাচ্ছিলাম ৷ তারা পিঠে করে পানির মশক বহন করছিলেন এবং আহতদেরকে পানি পান
করাচ্ছিলেন ৷ তারপর ফিরে যেতেন এবং পানি ভরে এনে পুনরায় পান করাতেন ৷

ওই দিন আবু তালহা (রা) এর হাত থেকে দুবার কিৎবা তিনবারত তরবারি পড়ে গিয়েছিল ৷

বুখারী (রা) আবুতালহা (রা) এর বরাতে বলেছেন উহুদ দিবসে যারাত তন্দ্রামপ্ন হয়েছিলেন
আমি ছিলাম তাদের একজন ৷ আমার হাত থেকে কয়েকবার তরবারি পড়ে গিয়েছিল ৷ আমি সেটি
উঠাই আবার সেটি পড়ে যায় ৷ আবার উঠাই আবার পড়ে যায় ৷ বুথারী (র) এভাবে সনদ
বিহীনভাবে নিশ্চয়তা জ্ঞাপক ভাষায় এটি বর্ণনা করেছেন ৷ কুরআন মজীদের আয়াত তার বর্ণনা
সমর্থন করে ৷ আল্লাহ তা আলা ণ্ট্রু

া ন্


-এরপর দুংখের পর তিনি তে তামাদেরকে প্রদান করলেন প্ৰশান্তি তন্দ্র রুপে যা তোমাদের
একদলকে আচ্ছন্ন করেছিল ৷ এবং একদল জাহেলী যুগের অজ্ঞের ন্যায় আল্লাহ সম্বন্ধে অবাস্তব
ধারণা করে নিজেরাই নিজেদেরকে উদ্বিপ্ন করেছিল এ বলে যে, আমাদের কি কোন অধিকার
আছে ’ বলুন, সমস্ত বিষয় আাল্লাহ্রই ইখতিয়ারে ৷ যা তারা আপনার নিকট প্রকাশ করে না তারা
তাদের অম্ভরে তা গোপন করে রাখে ৷ আর বলে, এই ব্যাপারে আমাদের কোন ইখতিয়ার


رَجُلًا رَامِيًا شَدِيدَ النَّزْعِ، كَسَرَ يَوْمَئِذٍ قَوْسَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا، وَكَانَ الرَّجُلُ يَمُرُّ مَعَهُ بِجَعْبَةٍ مِنَ النَّبْلِ فَيَقُولُ: انْثُرْهَا لِأَبِي طَلْحَةَ. قَالَ: وَيُشْرِفُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْظُرُ إِلَى الْقَوْمِ، فَيَقُولُ أَبُو طَلْحَةَ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّيٌّ لَا تُشْرِفُ يُصِبْكَ سَهْمٌ مِنْ سِهَامِ الْقَوْمِ، نَحْرِي دُونَ نَحْرِكَ، وَلَقَدْ رَأَيْتُ عَائِشَةَ بِنْتَ أَبِي بَكْرٍ وَأُمَّ سُلَيْمٍ وَإِنَّهُمَا لَمُشَمِّرَتَانِ، أَرَى خَدَمَ سُوقِهِمَا، تُنْقِزَانِ الْقِرَبَ عَلَى مُتُونِهِمَا، تُفْرِغَانِهِ فِي أَفْوَاهِ الْقَوْمِ، ثُمَّ تَرْجِعَانِ فَتَمْلَآنِهَا، ثُمَّ تَجِيئَانِ فَتُفْرِغَانِهِ فِي أَفْوَاهِ الْقَوْمِ، وَلَقَدْ وَقَعَ السَّيْفُ مِنْ يَدَيْ أَبِي طَلْحَةَ إِمَّا مَرَّتَيْنِ وَإِمَّا ثَلَاثًا. قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ لِي خَلِيفَةُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ عَنْ أَبِي طَلْحَةَ قَالَ: كُنْتُ فِيمَنْ تَغَشَّاهُ النُّعَاسُ يَوْمَ أُحُدٍ حَتَّى سَقَطَ سَيْفِي مِنْ يَدِي مِرَارًا، يَسْقُطُ وَآخُذُهُ، وَيَسْقُطُ فَآخُذُهُ. هَكَذَا ذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ مُعَلَّقًا بِصِيغَةِ الْجَزْمِ، وَيَشْهَدُ لَهُ قَوْلُهُ تَعَالَى {ثُمَّ أَنْزَلَ عَلَيْكُمْ مِنْ بَعْدِ الْغَمِّ أَمَنَةً نُعَاسًا يَغْشَى طَائِفَةً مِنْكُمْ وَطَائِفَةٌ قَدْ أَهَمَّتْهُمْ أَنْفُسُهُمْ يَظُنُّونَ بِاللَّهِ غَيْرَ الْحَقِّ ظَنَّ الْجَاهِلِيَّةِ يَقُولُونَ هَلْ لَنَا مِنَ الْأَمْرِ مِنْ شَيْءٍ قُلْ
পৃষ্ঠা - ২৬৭৩

থাকলে আমরা এই স্থানে নিহত হতাম না ৷ বলুন, যদি তোমরা তোমাদের নিজ বাড়ীতে অবস্থান
করতে তবু নিহত হওয়া যাদের অবধারিত ছিল তারা নিজেদের মৃতৃব্রুস্থানে বের হত; তা এজন্যে
যে, আল্লাহ তোমাদের অম্ভরে যা আছে তা পরিশোধ করেন ৷ অম্ভা;র যা আছে আল্লাহ সে
সম্পর্কে বিশেষ অবহিত ৷

যে দিন দৃদল পরস্পরের সম্মুখীন হয়েছিল সেদিন তোমাদের মধ্য হতে যারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন
করেছিল তাদের কোন কৃতকর্মের কারণেই শয়তান তাদের পদস্থালন ঘটিয়েছিল ৷ অবশ্য আল্লাহ
তাদেরকে ক্ষমা করেছেন ৷ আল্লাহ ক্ষমা পরায়ণ ও পরম সহনশীল ৷ (৩ আলে ইমরান :
১৫৪ ১ ৫৫ ) ৷

বুখারী বলেন, আবদান উছমান ইবন মাওহিব সুত্রে বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি হভ্রুজ্জর
উদ্দেশে বায়তুল্লাহ্ শরীফে এসেছিল ৷ সে দেখতে পেল যে, কতক লোক বসে আছে ৷ সে
বলল, বসে থাকা লোকদের পরিচয় কী ? একজন উত্তর দিল, এরা কুরায়শ বংশের লোক ৷ সে
বলল, ওদের শায়খ কে ? উত্তর এল, ইবন উমার (রা) ৷ সে ইবন উমর (রা)-এর নিকট এসে
বলল, আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করব, আপনি উত্তর দিবেন তো ? এরপর প্রশ্ন আকারে সে বলল,
আল্লাহর ঘরের কসম , আপনি কি জানেন যে, উহুদ দিবসে উছমান (রা ) যুদ্ধের ময়দান থেকে
পালিয়ে গিয়েছিলেন ? তিনি উত্তর দিলেন, হা ৷ এবার সে বলল, তাহলে আপনি এও জানেন যে,
তিনি বদর দিবসে অনুপস্থিত ছিলেন, যুদ্ধে অংশ নেননি ? ইবন উমার (রা ) বললেন হা জানি ৷ সে
বলল, তিনি যে, বায়আত-ই-রিযওয়ান অনুষ্ঠানে উপ ত ছিলেন না তা কি আপনি জানেন ? ইবন
উমার (রা ) বললেন, হা , জানি বটে ৷ ইবন উমার (বা) এর উত্তর শুনে সে আনন্দে তকবীর ধ্বনি
দিয়ে উঠল ৷ ইবন উমার (রা) তাকে বললেন, এদিকে আস ! তুমি আমাকে যে বিষয়ে জিজ্ঞেস
করেছ সেগুলো সম্পর্কে আমি তোমাকে ব্যাখ্যা শুনাই ৷ বন্তুতঃ হযরত উছমান (বা ) উহুদের
ময়দান থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন সে সম্পর্কে আমি আল্লাহকে সাক্ষ্য রেখে বলছি যে, আল্লাহ
তাআলা নিজে ওই দোষ ক্ষমা করে দিয়েছেন ৷ বদর যুদ্ধে তিনি এজনাে অনুপ ত ছিলেন যে,
রাসুলুল্পাহ (সা )-এর কন্যা ছিলেন তার শ্রী ৷ তিনি ছিলেন অসুস্থ ৷ শ্ৰীর সেবার জন্যে ঘরে থাকার
অনুমতি দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে বলেছিলেন একজন লোক বদরের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে যে
ছাওয়াব পারে তুমি ঘরে থেকেও সে ছাওয়ড়াব এবং গনীমতের অংশও পাবে ৷ আর বায়অড়াত-ই
রিযওয়ানে তিনি অনুপ ত ছিলেন এজন্যে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে মক্কায় পাঠিয়েছিলেন তার
নিজের প্রতিনিধিরুপে ৷ মক্কা নগরীতে দ্বিতীয় কেউ যদি হযরত উছমান অপেক্ষা অধিক
সন্মানযোগ্য হত তবে রাসুলুল্লাহ (সা) তাকে না পাঠিয়ে সেই লোকটিকেই পাঠাতেন ৷ বন্তুতঃ
রাসুলুল্লাহ (সা) তাকেই পাঠিয়েছিলেন ৷ হযরত উছমান (রা) মক্কায় যাওয়ার পর বায়আত-ই
-রিযওয়ান অনুষ্ঠিত হয় ৷ ওই অনুষ্ঠানে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার জ্ঞান হাতের দিকে ইঙ্গিত করে
বলেছিলেন, এটি উছমানের হাত ৷ এরপর বাম হাতে ডান হাত রেখে বলেছিলেন এটি উছমানের
(রা) পক্ষে শপথ! হে আগন্তুক , এ ব্যাখ্যা নিয়ে তুমি দেশে ফিরে যাও ৷ ইমাম বুখারী (র) এই
হাদীছটি অন্য জায়গায় ও উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইমাম তিরমিযী এটি উদ্ধৃত করেছেন আবু আওয়ানা
সুত্রে উছমান ইবন আবদুল্লাহ ইবন মাওহিব সুত্রে ৷


إِنَّ الْأَمْرَ كُلَّهُ لِلَّهِ يُخْفُونَ فِي أَنْفُسِهِمْ مَا لَا يُبْدُونَ لَكَ يَقُولُونَ لَوْ كَانَ لَنَا مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ مَا قُتِلْنَا هَا هُنَا قُلْ لَوْ كُنْتُمْ فِي بُيُوتِكُمْ لَبَرَزَ الَّذِينَ كُتِبَ عَلَيْهِمُ الْقَتْلُ إِلَى مَضَاجِعِهِمْ وَلِيَبْتَلِيَ اللَّهُ مَا فِي صُدُورِكُمْ وَلِيُمَحِّصَ مَا فِي قُلُوبِكُمْ وَاللَّهُ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ} [آل عمران: 154] [آلِ عِمْرَانَ: 154، 155] قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، أَخْبَرَنَا أَبُو حَمْزَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ مَوْهَبٍ. قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ حَجَّ الْبَيْتَ فَرَأَى قَوْمًا جُلُوسًا، فَقَالَ: مَنْ هَؤُلَاءِ الْقُعُودُ؟ قَالُوا: هَؤُلَاءِ قُرَيْشٌ. قَالَ: مَنِ الشَّيْخُ؟ قَالُوا: ابْنُ عُمَرَ. فَأَتَاهُ فَقَالَ: إِنِّي سَائِلُكَ عَنْ شَيْءٍ أَتُحَدِّثُنِي؟ قَالَ: أَنْشُدُكَ بِحُرْمَةِ هَذَا الْبَيْتِ، أَتَعْلَمُ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ فَرَّ يَوْمَ أُحِدٍ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَتَعْلَمُهُ تَغِّيبَ عَنْ بِدْرٍ فَلَمْ يَشْهَدْهَا؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَتَعْلَمُ أَنَّهُ تَخَلَّفَ عَنْ بَيْعَةِ الرِّضْوَانِ فَلَمْ يَشْهَدْهَا؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَكَبَّرَ. قَالَ ابْنُ عُمَرَ: تَعَالَ، لِأُخْبِرَكَ وَلِأُبَيِّنَ لَكَ عَمَّا سَأَلْتَنِي عَنْهُ ; أَمَّا فِرَارُهُ يَوْمَ أُحُدٍ فَأَشْهَدُ أَنَّ اللَّهَ عَفَا عَنْهُ، وَأَمَّا تَغَيُّبُهُ عَنْ بَدْرٍ ; فَإِنَّهُ كَانَ تَحْتَهُ بِنْتُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَتْ مَرِيضَةٌ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ لَكَ أَجْرَ رَجُلٍ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا وَسَهْمَهُ، وَأَمَّا تَغَيُّبُهُ عَنْ بَيْعَةِ الرِّضْوَانِ ; فَإِنَّهُ لَوْ كَانَ أَحَدٌ أَعَزَّ
পৃষ্ঠা - ২৬৭৪
بِبَطْنِ مَكَّةَ مِنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ لَبَعَثَهُ مَكَانَهُ، فَبَعَثَ عُثْمَانَ وَكَانَتْ بَيْعَةُ الرِّضْوَانِ بَعْدَ مَا ذَهَبَ عُثْمَانُ إِلَى مَكَّةَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ الْيُمْنَى: «هَذِهِ يَدُ عُثْمَانَ فَضَرَبَ بِهَا عَلَى يَدِهِ، فَقَالَ هَذِهِ لِعُثْمَانَ اذْهَبْ بِهَذَا الْآنَ مَعَكَ» وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ: أَيْضًا فِي مَوْضِعٍ آخَرَ وَالتِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي عِوَانَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ بِهِ. وَقَالَ الْأُمَوِيُّ فِي " مَغَازِيهِ " عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبَّادٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «أَوْجَبَ طَلْحَةُ. حِينَ صَنَعَ مَا صَنَعَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ كَانَ النَّاسُ انْهَزَمُوا عَنْهُ حَتَّى بَلَغَ بَعْضُهُمْ إِلَى الْمُنَقَّى دُونَ الْأَعْوَصِ وَفَرَّ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، وَسَعْدُ بْنُ عُثْمَانَ، وَعُقْبَةُ بْنُ عُثْمَانَ - رَجُلَانِ مِنَ الْأَنْصَارِ - حَتَّى بَلَغُوا الْجَلَعْبَ ; جَبَلٌ بِنَاحِيَةِ الْمَدِينَةِ مِمَّا يَلِي الْأَعْوَصِ فَأَقَامُوا ثَلَاثًا ثُمَّ رَجَعُوا، فَزَعَمُوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ২৬৭৫

উমাবী বর্ণনা করেছেন, তার মাগাযী গ্রন্থে ইবন ইসহাক থেকে ৷ তিনি বলেছেন যে, ইয়াহয়া
ইবন আব্বাদ আমার নিকট বর্ণনা করেছেন ৷ তার পি৩ ৷ থেকে, তিনি তার দাদা থেকে ৷ তিনি
বলেন যে, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে শুনেছি যে, উহুদ দিবসে লোকজন তাকে ছেড়ে
ছত্রভঙ্গ হয়ে গিয়েছিলেন ৷ তাদের কেউ কেউ আওয়াস পাহাড়ের ঘিষ্ন্ারীতে অবস্থিত সুবাক্কায় গিয়ে
উঠেছিল ৷ উছমান ইবন আফফান এবং সাদ ইবন উছমান আনসারীগিয়ে উঠেছিলেন মদীনায়
নিকটবর্তী আওয়াস পাহাড়ের লাগোয়া জালআবে ৷ তারা সেখানে তিনদিন ছিলেন ৷ তারপর ফিরে
এসেছিলেন ৷ ঐতিহাসিকগণ মনে করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)এদের সম্পর্কে বলেছিলেন,
“ তোমরা তো পাহাড় অতিক্রম করে মদীনায় কাছ কাছি গিয়ে পৌছে ছিলে ৷”

মােদ্দা কথা, বদর যুদ্ধে যা যা ঘটেছিল তার কিছু কিছু উহুদ যুদ্ধেও ঘটেছিল ৷ যেমন যুদ্ধ
চলাকালে তন্দ্রাভাব সৃষ্টি হওয়া ৷ এটি হল আল্লাহর সাহায্য ও সহায়৩ ৷র প্রেক্ষিতে অম্ভরের

প্ৰতিপুর্ণ নির্ভরশীল ও তাওয়াক্কুলকা ৷রী ৷ বদর যুদ্ধ প্রসঙ্গে নাবিলবৃন্রুন্থশ্ আল্লাহ তা আলাব বাণী ; ৷
(ইট্রু ৷ ;,া,৷ ৷ ণ্ব্লু; (৮ আনফালঘ্র ১ ১ ) এর বা৷থ্যায় আমরা এ বিষয়ে আলোচনা
করেছি ৷ উহুদ যুদ্ধ সম্পর্কে আল্লাহ তা আলা বলেছেন ৷ দ্রছু৷ ৷ :-,; ণ্হ্রা; , ,; ৷ ,ও
( ণ্কুট্রু রুন্;াট্রুাং র্ত্য;;ষ্ট্র ৷ট্রুটুট্রু; — এরপর দুঃখের পর তিনি তােমার্দেরকে প্রদান করলেন
প্রশান্তি তন্দ্রারুপে যা ৫৬ ৷মাদের একদলকে আচ্ছন্ন করেছিল ৷ (৩ আলে ইমরান ং১৫৪ ) ৷
অথ৷ ৷ৎ ঈম৷ ৷ানদ রদের ওই৩ তন্দ্র৷ আচ্ছন্ন করে ফেলেছিল ৷ ইবন মাসউদ (রা) প্রমুখ জ্ঞা ৷ন বিশা ৷রদগণ

তা বলেছেন ৷ তারা বলেছেন যে, যুদ্ধের সময় তন্দ্র৷ ৷ভাব সৃষ্টি হওয়া ছিল ঈমানের নিদর্শন আর
নামাযে তন্দ্র৷ সৃষ্টি হওয়া ঘুনাফিকীর পরিচায়ক ৷ এজন্যেই উক্ত আয়াতে তন্দ্র৷ বিষয়ক আলোচনার

পর বলা হয়েছে (ণ্ট্রু;ৰু৷ ণ্ধ্ণ্,ন্গ্রা ৷ ণ্াং , আর একদল জাহেলী যুগে র অজ্ঞের ন্যায়
আল্লাহ সম্বন্ধে অবাস্তব ধারণা করে নিজেরাই নিজেদেরকে উদ্বিপ্ন করেছিল ৷)

উহুদের যুদ্ধের সাথে বদরের যুদ্ধের আরেকটি সামঞ্জস্য এই ছিল যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বদরের যুদ্ধে যেমন আল্লাহর সাহায্য কামনা করেছিলেন উহুাদর যুদ্ধেও৩ তিনি আল্লাহর সাহায্য
কামনা করেছিলেন ৷ বদরের যুদ্ধে৩ তিনি বলেছিলেন (;,;১, ১৷ ৷ ১ ং ট্রু ১৷ ৰু;;১ ;,া

-হে আল্লাহ ! আপনি যদি ইচ্ছা করেন যে, দুনিয়াতে আপনার ইবাদত আর না হোক ,তবে
আর আপনার ইবাদত করা হবে না) ৷ উহুদের যুদ্ধে তার সাহায্য কামনা সম্পর্কে ইমাম আহমদ
বলেছেন যে , আবদুস সামাদ আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) উহুদ
দিবসে বলছিলেন :

(;,; , ১৷ ৷ ১ ; ১৷ ৷;, ৷ এ্ ৷ ন্া ৷ — হে আল্লাহ! আপনি যদি চান যে, দুনিয়াতে
আপনার ইবাদ৩ না হোক তবে তাই হয়ে) ৷ ইমাম মুসলিম (ব ) হাজ্জাজ হাষ্মাদ ইবন
সালাম৷ (রা) সুত্রে এটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ বুখারী (রা) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ
জাবির ইবন আবদৃল্লাহ্ (বা) সুত্রে বলেছেন যে, এক ব্যক্তি উহুদ দিবসে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে
বলেছিল যে, আমি যদি যুদ্ধে নিহত হই তবে আমার স্থান কোথায় হবে ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,
তোমার স্থান হবে জান্নাতে ৷ একথা শুনে সেই ব্যক্তি তার হাতে থাকা থেজুরগুলাে ফেলে দিয়ে


قَالَ لَهُمْ: لَقَدْ ذَهَبْتُمْ فِيهَا عَرِيضَةً» . وَالْمَقْصُودُ أَنَّ أُحُدًا وَقَعَ فِيهَا أَشْيَاءُ مِمَّا وَقَعَ فِي بَدْرٍ مِنْهَا ; حُصُولُ النُّعَاسِ حَالَ الْتِحَامِ الْحَرْبِ، وَهَذَا دَلِيلٌ عَلَى طُمَأْنِينَةِ الْقُلُوبِ بِنَصْرِ اللَّهِ وَتَأْيِيدِهِ وَتَمَامِ تَوَكُّلِهَا عَلَى خَالِقِهَا وَبَارِئِهَا. وَقَدْ تَقَدَّمَ الْكَلَامُ عَلَى قَوْلِهِ تَعَالَى فِي غَزْوَةِ بَدْرٍ: {إِذْ يُغَشِّيكُمُ النُّعَاسَ أَمَنَةً مِنْهُ} [الأنفال: 11] الْآيَةَ [الْأَنْفَالِ: 11] وَقَالَ هَاهُنَا: {ثُمَّ أَنْزَلَ عَلَيْكُمْ مِنْ بَعْدِ الْغَمِّ أَمَنَةً نُعَاسًا يَغْشَى طَائِفَةً مِنْكُمْ} [آل عمران: 154] يَعْنِي الْمُؤْمِنِينَ الْكُمَّلَ، كَمَا قَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ وَغَيْرُهُ مِنَ السَّلَفِ: النُّعَاسُ فِي الْحَرْبِ مِنَ الْإِيمَانِ وَالنُّعَاسُ فِي الصَّلَاةِ مِنَ النِّفَاقِ. وَلِهَذَا قَالَ بَعْدَ هَذَا: {وَطَائِفَةٌ قَدْ أَهَمَّتْهُمْ أَنْفُسُهُمْ} [آل عمران: 154] الْآيَةَ [آلِ عِمْرَانَ: 154] . وَمِنْ ذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَنْصَرَ يَوْمَ أُحُدٍ كَمَا اسْتَنْصَرَ يَوْمَ بِدْرٍ بِقَوْلِهِ: «إِنْ تَشَأْ لَا تُعْبَدُ فِي الْأَرْضِ» كَمَا قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، وَعَفَّانُ قَالَا: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «كَانَ يَقُولُ يَوْمَ أُحُدٍ: اللَّهُمَّ إِنَّكَ إِنْ تَشَأْ لَا تُعْبَدُ فِي الْأَرْضِ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ الشَّاعِرِ، عَنْ عَبْدِ الصَّمَدِ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ২৬৭৬
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «قَالَ رَجُلٌ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أُحُدٍ: أَرَأَيْتَ إِنْ قُتِلْتُ فَأَيْنَ أَنَا؟ قَالَ: فِي الْجَنَّةِ فَأَلْقَى تَمَرَاتٍ فِي يَدِهِ ثُمَّ قَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ بِهِ، وَهَذَا شَبِيهٌ بِقِصَّةِ عُمَيْرِ بْنِ الْحُمَامِ الَّتِي تَقَدَّمَتْ فِي غَزْوَةِ بَدْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا وَأَرْضَاهُمَا
পৃষ্ঠা - ২৬৭৭

যুদ্ধে শরীক হন এবং যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হয়ে যান ৷ মুসলিম (র) এবং নাসাঈ (র) এই
হাদীছ বর্ণনা করেছেন সুফিয়ান ইবন উয়ায়না থেকে ৷ বদরের যুদ্ধ বিষয়ক আলোচনায় উল্লিখিত
উমায়র ইবন হাম্মামের ঘটনার সাথে এই ঘটনার মিল রয়েছে ৷

উহুদ দিবসে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আহত হওয়া প্রসঙ্গ
বুখাবী (র) “উহুদ দিবসে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর যখম হওয়া” প্রসঙ্গে লিখেন ইসহাক ইবন
নাসর আবুহুরায়রা (বা) এর বর৷ তে বলেন যে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বলেছেন০ :

এ ৷ পুএ এ৷ ৷ এ্,ঠু, সেই জন সমষ্টির উপর অ ল্লাহব পয় ৷ কঠিনতর হোক যায়া
আল্লাহ্ট্রুৰু নবীর সাথে এ আচরণ করেছে ৷ একথা বলার সময় তিনি৩ তার সম্মুখে শহীদ হওয়া
দাতের দিকে ইঙ্গিত করেন ৷ তিনি আরো বলেছেন, আল্লাহ্র গযব কঠিনতর হোক সেই ব্যক্তির
প্রতি আল্লাহর পথে রাসুলুল্লাহ্ (সা) স্বহস্তে যাকে হত্যা করেছেন ৷ মুসলিম (র ) আব্দুর রায্যাক
সুত্রে এই মর্মে হাদীস বংনাি করেছেন ৷

তবে তার শেযাৎশে রয়েছে যারা বাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পবিত্র মুখমণ্ডল রক্তাক্ত করেছে তাদের
প্রতি আল্লাহর গযব তীব্রতর হোক ৷

ইমাম আহমদ বলেন, আফ্ফান আনাস (র৷ ) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা )
উহুদ ৷দরসে তার পবিত্র মুখমণ্ডল থেকে রক্ত মুছতে মুছতে বলছিলেন “সেই সম্প্রদায় কেমন
করে সফলকাম হয়ে যারা তাদের নবীর মুখ যখম করে দিয়েছে এবং তার দাত ভেঙ্গে দিয়েছে ৷
একথা বলার সময় তিনি আল্লাহর দরবারে দুঅ৷ করছিলেন ৷ ওই পরিস্থিতিতে আল্লাহ্ তাআলা
নাযিল করলেন :


(ও আলে-ইনরান হু; ১২৮) ৷ মুসলিম (র) কানবী সুত্রে হাম্মাদ ইবন সালাম৷ থেকে উক্ত
হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) হুশায়ম আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, উহুদের যুদ্ধে
রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর সম্মুখেব একটি দাত শহীদ করে দেয়৷ হয় এবং তার পবিত্র মুখমওল যখম
করে দেয়৷ হয়, তার মুখণ্ডল রেয়ে রক্ত পড়ছিল ৷ এ অবস্থায় তিনি বলছিলেন, যে নবী তাদেরকে
আল্লাহর পথে ডাকছেন যারা সে নবীর প্রতি এ অমানবিক আচরণ করে তারা (কমন করে
সফলকাম হবো তফা আল্লাহ তা জানা তার প্রতি নাযিল করলেন (ৰু :,,;: ,; ১ন্ ৷ ট্রু,ন্ষ্ এ , )

ইমাম বুখারী বলেন, কুত৷ য়বা আবু হাযিম থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি সাহ্ল ইবন
সাদকে বলতে শুনেছেন যখন তাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর আঘাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হচ্ছিল ৷
উত্তরে তিনি বলছিলেন যে, আল্লাহর কলম রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর ক্ষতন্থ ন কে ধুয়ে দিচ্ছিলেন, কে
পানি ঢেলেছিলেন এবং তাকে কী চিকিৎসা দেয়৷ হয়েছিলত ৷ও আমি জানি ৷ নবী কন্যা ফাতিমা
ক্ষতস্থান ধুয়ে দিচ্ছিলেন ৷ ঢালে করে পানি ঢেলে দিচ্ছিলেন হযরত ৩আলী (বা ) ৷ হযরত ফাতিমা
যখন দেখলেন যে, পানিতে রক্ত ঝর৷ বন্ধ হচ্ছে না বরং তা রেড়েই চলেছে তখন তিনি এক


[فَصْلٌ فِيمَا لَقِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ قَبَّحَهُمُ اللَّهُ] قَالَ الْبُخَارِيُّ: مَا أَصَابَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْجِرَاحِ يَوْمَ أُحُدٍ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اشْتَدَّ غَضَبُ اللَّهِ عَلَى قَوْمٍ فَعَلُوًا بِنَبِيِّهِ - يُشِيرُ إِلَى رَبَاعِيَتِهِ - اشْتَدَّ غَضَبُ اللَّهِ عَلَى رَجُلٍ يَقْتُلُهُ رَسُولُ اللَّهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ. حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ مَالِكٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْأُمَوِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: اشْتَدَّ غَضَبُ اللَّهِ عَلَى مَنْ قَتَلَهُ النَّبِيُّ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، اشْتَدَّ غَضَبُ اللَّهِ عَلَى قَوْمٍ دَمَّوْا وَجْهَ نَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «قَالَ يَوْمَ أُحُدٍ وَهُوَ يَسْلُتُ الدَّمَ عَنْ وَجْهِهِ، وَهُوَ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ২৬৭৮

টুকরা চাটাই পুড়িয়ে ক্ষতস্থানে ছাই লাগিয়ে দেন ৷ তাতে রক্ত বন্ধ হল ৷ সেদিন তার সম্মুখের
নীচের একটি দাত শহীদ হয়ে যায় ৷ পবিত্র মুখমণ্ডল যখন হয় ৷ শিরস্ত্রম্পো ভেঙ্গে মাথায় ঢুকে যায় ৷

আবু দাউদ তায়ালিসী তার মুসনাদ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, ইবনুল মুবারক — — — — হযরত
আইশা (রা) থেকে বংনাি করেন যে , তিনি বলেছেন, আবু বকর (রা ) এর নিকট উহুদ দিবসের
কথা আলোচনা করা হলে তিনি বলতেন, সেদিনের যতটুকু কল্যাণ ও ইতিবাচক দিক রয়েছে তার
সবটাই তাল্হার প্রাপ্য ৷ তারপর তিনি বলতেন, বিপর্যয়ের পর দ্ নরায় আমিই সর্বপ্রথম উহুদ
ময়দানে ফিরে আসি ৷ আমি দেখলাম, তখনও জনৈক লোক রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে আড়ালে রেখে
প্রচন্ড যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ৷ আমি মনে মনে বললাম, ওই লোকটি যেন তালহা-ই-হয় ৷ তাহলে
আমি যা থেকে বঞ্চিত হলাম ওই দুঃখ কিছুটা মােচন হবে ৷ আমি মনে মনে বললাম , লোকটা
যদি আমার স্বগােত্রের হয় তবে কতটা না ভাল হয় ৷ তখন আমি আমার ও মুশরিকদের ম ধ্যখানে
একজন লোককে দেখতে পেলাম যাকে আমি চিনতে পারছিলান না ৷ আমার অবস্থান তখন তার
তুলনায় রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর কাছাকাছি ৷ ওই লোকটি খুব দ্রুত হাটছিল যা আমি পারছিলাম না ৷
হঠাৎ দেখি, তিনি আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ্ ৷ আমরা দৃজনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট পৌছি ৷
তখন তার সামনের দাত শহীদ হয়ে গেছে মুখমণ্ডল ক্ষত বিক্ষত ৷ শিরস্ত্রষ্ণেণর দুটো কড়া তার
কপালের মধ্যে ঢুকে গিয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তালহা (রা)-এর দিকে ইঙ্গিত করে বললেন,
তোমরা দুজনে তোমাদের এই সাথীকে বাচাও ৷ প্রচুর রক্তক্ষরণের ফলে তখন তালহা (রা ) ভীষণ
দুর্বল হয়ে পড়েছেন ৷ যে দিকে ড্ড খেয়াল না করে আমি তার মুখমন্ডল থেকে শিরস্ত্রড়াণের কড়া
খুলতে গেলাম ৷

আবু উবায়দা আমাকে বললেন দােহাই আল্লাহর , আপনি আমাকে ওই কড়া দুটি খোলার
সুযোগ দিন ৷ আমি সরে গিয়ে তাকে সুযোগ দিলাম ৷ হাতে খুলতে পেলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ব্যথা
পারেন এ আশংকায় আবু উবায়দা দাত দিয়ে তা খোলার চেষ্টা করলেন ৷ দাতে কামড়ে তিনি কড়া
খুলে আনলেন ৷ সাথে সাথে তারও সম্মুখের একটি দাত ভেঙ্গে পড়ে গেল ৷ আবু বকর (রা)
বলেন, তিনি যা করেছেন আমিও তা করে অপর কড়াটি খুলতে পেলাম, তিনি আমাকে পুর্বের মত
কলম দিলেন ৷ এরপর তিনি প্রথম বারের মত দ্বিতীয় কড়াটিও খুলে আনলেন ৷ এক সাথে তার
সম্মুখের আরেকটি দাত ভেঙ্গে পড়ে গেল ৷ বন্তুত৪ ভাঙ্গা দাতের লোকদের মধ্যে আবু উবায়দা
ছিলেন সর্বাধিক সুদর্শন পুরুষ ৷ আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সেবাযতু করে তাকে সুস্থ করে
তুংালাম ৷ এরপর আমরা তালহা (রা)-এর নিকট এলাম ৷ তখনও তিনি দুর্বল নিঃসঙ্গ ৷ আমরা
দেখলাম তীর, তরবারি ও বর্শার আঘাত মিলিয়ে তার দেহে ৭০-এর অধিক ক্ষতচিহ্ন ৷ তার
আঙ্গুলও কর্তিত ৷ আমরা তাকেও সেবাযতু করে সুস্থ করে তৃললাম ৷

ওয়াকিদী বলেন, ইবন আবু সাবুরা নাফি ইবন জুবায়র (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেন, আমি জনৈক মুহাজির ব্যক্তিকে শুনেছি, তিনি বলছিলেন, “আমি উহুদ যুদ্ধে অংশ
নিয়েছিলাম ৷ সেদিন আমি দেখলাম, চারিদিক থেকে তীর ছুটে আসছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মাঝখানে দাড়িয়ে আছেন ৷ তিনিই ছিলেন ভীরগুলাের লক্ষ্যন্থল ৷ তবে ভীরগুলাে প্রতিহত করা
হচ্ছিল ৷ সেদিন আমি আব্দুল্লাহ ইবন শিহাব (যুহরীকে ) বলতে শুনেছিলাম ৷ “মুহাম্মাদ কোথায়


كَيْفَ يُفْلِحُ قَوْمٌ شَجُّوا نَبِيَّهُمْ وَكَسَرُوا رَبَاعِيَتَهُ، وَهُوَ يَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ: {لَيْسَ لَكَ مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ فَإِنَّهُمْ ظَالِمُونَ} [آل عمران: 128] » [آلِ عِمْرَانَ: 128] وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنِ الْقَعْنَبِيِّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ بِهِ. وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ هُشَيْمٍ، وَيَزِيدَ بْنِ هَارُونَ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُسِرَتْ رَبَاعِيَتُهُ يَوْمَ أُحُدٍ وَشُجَّ فِي جَبْهَتِهِ حَتَّى سَالَ الدَّمُ عَلَى وَجْهِهِ، فَقَالَ: «كَيْفَ يُفْلِحُ قَوْمٌ فَعَلُوا هَذَا بِنَبِيِّهِمْ وَهُوَ يَدْعُوهُمْ إِلَى رَبِّهِمْ؟ ! فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {لَيْسَ لَكَ مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ} [آل عمران: 128] » الْآيَةَ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ أَنَّهُ سَمِعَ سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ وَهُوَ يَسْأَلُ عَنْ جُرْحِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ «: أَمَا وَاللَّهِ إِنِّي لَأَعْرِفُ مَنْ كَانَ يَغْسِلُ جُرْحَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَنْ كَانَ يَسْكُبُ الْمَاءَ، وَبِمَا دُووِيَ. قَالَ: كَانَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَغْسِلُهُ، وَعَلَيٌّ يَسْكُبُ الْمَاءَ بِالْمِجَنِّ، فَلَمَّا رَأَتْ فَاطِمَةُ أَنَّ الْمَاءَ لَا يُزِيدُ الدَّمَ إِلَّا كَثْرَةً أَخَذَتْ قِطْعَةً مِنْ حَصِيرٍ، فَأَحْرَقَتْهَا وَأَلْصَقَتْهَا، فَاسْتَمْسَكَ الدَّمُ، وَكُسِرَتْ رَبَاعِيَتُهُ يَوْمَئِذٍ
পৃষ্ঠা - ২৬৭৯
وَجُرِحَ وَجْهُهُ، وَكُسِرَتِ الْبَيْضَةُ عَلَى رَأْسِهِ.» وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ فِي " مُسْنَدِهِ ": حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ إِسْحَاقَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي عِيسَى بْنُ طَلْحَةَ، عَنْ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ أَبُو بَكْرٍ إِذَا ذُكِرَ يَوْمُ أُحُدٍ بَكَى ثُمَّ قَالَ: ذَاكَ يَوْمٌ كُلُّهُ لِطَلْحَةَ. ثُمَّ أَنْشَأَ يُحَدِّثُ. قَالَ: كُنْتُ أَوَّلَ مَنْ فَاءَ يَوْمَ أُحُدٍ فَرَأَيْتُ رَجُلًا يُقَاتِلُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دُونَهُ. وَأَرَاهُ قَالَ: يَحْمِيهِ. قَالَ: فَقُلْتُ: كُنْ طَلْحَةَ. حَيْثُ فَاتَنِي مَا فَاتَنِي، فَقُلْتُ: يَكُونُ رَجُلًا مِنْ قَوْمِي أَحَبَّ إِلَيَّ، وَبَيْنِي وَبَيْنَ الْمَشْرِقِ رَجُلٌ لَا أَعْرِفُهُ، وَأَنَا أَقْرَبُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهُ، وَهُوَ يَخْطِفُ الْمَشْيَ خَطْفًا لَا أَخْطِفُهُ، فَإِذَا هُوَ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجِرَاحِ فَانْتَهَيْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ كُسِرَتْ رَبَاعِيَتُهُ، وَشُجَّ فِي وَجْهِهِ، وَقَدْ دَخَلَ فِي وَجْنَتَيْهِ حَلْقَتَانِ مِنْ حَلَقِ الْمِغْفَرِ. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عَلَيْكُمَا صَاحَبَكُمَا يُرِيدُ طَلْحَةَ وَقَدْ نَزَفَ فَلَمْ نَلْتَفِتْ إِلَى قَوْلِهِ، قَالَ: وَذَهَبَتْ لِأَنْزِعَ ذَاكَ مِنْ وَجْهِهِ، فَقَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ: أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ بِحَقِّي
পৃষ্ঠা - ২৬৮০

আমাকে দেখিয়ে দাও ! মুহাম্মাদ জীবিত থাকলে আমার স্বস্তি নেই ৷ ” রাসুলুল্লাহ্ (সা ) কিন্তু তার
নিকটেই একাকী ছিলেন ৷ তার সাথে কেউ ছিল না ৷ কিন্তু সে র ৷সুলুল্লাহ্ (সা) কে অতিক্রম করে
যায় ৷ এ জন্যে সাফওয়ান ইবন উমাইয়া তাকে তিরস্কার করেছিল ৷ আবদুল্লাহ বলেছিল, আল্লাহর
কসম, আমি তাকে দেখিনি ৷ আল্লাহর কসম ! তিনি আমাদের আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত ছিলেন ৷
আমরা চারজন তাকে হত তা৷ করবার জন্যে প্রতিজ্ঞা করে ময়দানে এসেছিলাম ৷ কিন্তু আমরা তার
নিকটে যেষতে পারেনি ৷ ওই সুযোগ পাইনি ৷

ওয়াকিদী বলেন, আমার নিকট প্রমাণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কপালে পাথর
যেরেছিল ইবন ক মিযা ৷৩ ৩ার ৫ঠাটে পাথর মেরে তার দাত শহীদ করেছিল উতব৷ ইবন আবু
ওয়াক্কাস ৷ ইতিপুর্বে ইবন ইসহাক থেকেও অনুরুপ মন্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে যে, যে র্দাতঢি
ভেঙ্গে ছিল সেটি হল নীচের সারির মধ্যখানের ডান দিকের দাত

ইবন ইসহাক বলেন, না ৷লিহ ইবন কায়সান সা ৷দ ইবন আবু ওয়াক্কাস থেকে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন, (আমার৩ তাই) উতব৷ ইবন আবু ওয়াক্কাসকে হ৩ তা৷ করার জন্যে আমি যত
উৎসাহী ছিলাম অন্য কারো ব্যাপারে ততট৷ ছিলাম না ৷৩ তার দৃশ্চরিত্রের কারণে আপন সম্প্রদায়ের
মধ্যে (স ঘৃণ্য ছিল তা নয়; বরং তাকে হত্যার জন্যে আমার জন্যে এতটুকুই যথেষ্ট ছিল যে, তার
সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন “যে ব্যক্তি আল্লাহর রাসুলের মুখমণ্ডল রক্তাক্ত করেছে তার
উপর আল্লাহর ক্রোধ ত্তীব্রেতর হোক ৷ ”

আব্দুর রাযযাক বলেন, মামার মিকসাম সুত্রে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) উতব৷ ইবন
আবু ওয়াক্কাসের জন্যে বদ দৃঅ৷ করেছিলেন যখন সে তার র্দাত ভেঙ্গে দিয়েছিল এবং মুখমণ্ডল
রক্তাক্ত করে দিয়েছিল ৷ তিনি সে বছর পুর্ণ হওয়ার আগেই যেন কাফির হিসেবে তার মৃত্যু হয়
তা ৷কামনা করেছিলেন এবং বাস্তবেও তাই ঘটেছিল ৷ আবু সুলায়মান জুযাযানী বলেন, মুহাম্মাদ
ইবন হাসান আবু উমাম৷ ইবন সাহ্ল ইবন হুনায়ফ থেকে বর্ণনা করেন যে উহুদ দিবসে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) পুরনো হাড় দিয়ে তার মুখমণ্ডলের চিকিৎসা করেছিলেন ৷ এটি একটি একক
বর্ণনা৷ উমামী রচিত আল মাগাযী গ্রন্থের “উহুদ যুদ্ধ” শিরোনামের মধ্যে আমি তা পেয়েছি ৷
আবদুল্লাহ ইবন কামিয়৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে আহত করে ফিরে যায় এবং চীৎকার করে বলে, আমি
মুহাম্মাদকে হত্যা করেছি ৷ সেদিন আকাবার আযুব নামক শয়তান চীৎকার করে বলে উঠে, শুনে
রেখো, মুহাম্মাদ নিহত ৷ এতে মুসলমানগণ হত বিহ্বল হয়ে পড়েন ৷৩ তাদের অনেকেই একথা
সত্য বলে বিশ্বাস করে ফেলেন এবং ইসলাম রক্ষায় শেষ পর্যন্ত লড়৷ ৷ই চালিয়ে যাওয়ার জন্যে
প্ৰতিজ্ঞাবদ্ধ হন এবং দৃপ্ত শপথ গ্রহণ করেন যে, রাসুলুল্লা ৷হ্ (সা) যেপথে জীবন দিয়েছেন তারাও
সে পথে জীবন উৎসর্গ করবেন ৷ এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আনাস ইবন নাযর (রা) প্রমুখ ৷
তাদের আলোচনা অবিলম্বে আসবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যদি নিহতও হতেন তবু তা মুসলমানদের
জন্যে সাহস হারাবার কারণ হতে পারে না বলে আশ্বস্ত করে আল্লাহ্ তাআল৷ নাযিল করলেন :

১ ঐ চার হতভাগা ছিল (১ ) আব্দুল্লাহ ইবন শিহাব (২) উতব৷ ইবন আৰু ওয়াক্কাস , (৩) ইবন কামিয়৷ ও
(৪ ) উবাই ইবন খালাফ ৷ সম্পাদক




لَمَا تَرَكْتَنِي فَتَرَكْتُهُ، فَكَرِهَ أَنْ يَتَنَاوَلَهَا بِيَدِهِ، فَيُؤْذَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَزَمَ عَلَيْهِمَا بِفِيهِ، فَاسْتَخْرَجَ إِحْدَى الْحَلْقَتَيْنِ، وَوَقَعَتْ ثَنِيَّتُهُ مَعَ الْحَلْقَةِ، وَذَهَبْتُ لِأَصْنَعَ مَا صَنَعَ، فَقَالَ: أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ بِحَقِّي لَمَا تَرَكْتَنِي. قَالَ: فَفَعَلَ مِثْلَ مَا فَعَلَ فِي الْمَرَّةِ الْأُولَى، فَوَقَعَتْ ثَنِيَّتُهُ الْأُخْرَى مَعَ الْحَلْقَةِ، فَكَانَ أَبُو عُبَيْدَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ هَتْمًا، فَأَصْلَحْنَا مِنْ شَأْنِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ أَتَيْنَا طَلْحَةَ فِي بَعْضِ تِلْكَ الْجِفَارِ، فَإِذَا بِهِ بِضْعٌ وَسَبْعُونَ مِنْ بَيْنِ طَعْنَةٍ وَرَمْيَةٍ وَضَرْبَةٍ، وَإِذَا قَدْ قُطِعَتْ أُصْبُعُهُ، فَأَصْلَحْنَا مِنْ شَأْنِهِ. وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ: عَنِ ابْنِ أَبِي سَبْرَةَ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِيِ فَرْوَةَ، عَنْ أَبِي الْحُوَيْرِثِ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَجُلًا مِنَ الْمُهَاجِرِينَ يَقُولُ: شَهِدْتُ أُحُدًا فَنَظَرْتُ إِلَى النَّبْلِ تَأْتِي مِنْ كُلِّ نَاحِيَةٍ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسْطَهَا، كُلُّ ذَلِكَ يَصْرِفُ عَنْهُ، وَلَقَدْ رَأَيْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ شِهَابٍ الزُّهْرِيَّ يَقُولُ يَوْمَئِذٍ: دُلُّونِي عَلَى مُحَمَّدٍ لَا نَجَوْتُ إِنْ نَجَا. وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى جَنْبِهِ مَا مَعَهُ أَحَدٌ ثُمَّ جَاوَزَهُ، فَعَاتَبَهُ فِي ذَلِكَ صَفْوَانُ بْنُ أُمَيَّةَ فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا رَأَيْتُهُ، أَحْلِفُ بِاللَّهِ إِنَّهُ مِنَّا مَمْنُوعٌ، خَرَجْنَا أَرْبَعَةٌ، فَتَعَاهَدْنَا وَتَعَاقَدْنَا عَلَى قَتْلِهِ، فَلَمْ نَخْلُصْ إِلَيْهِ.
পৃষ্ঠা - ২৬৮১
قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَالثَّابِتُ عِنْدَنَا أَنَّ الَّذِي رَمَى فِي وَجْنَتَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ابْنُ قَمِئَةَ وَالَّذِي رَمَى فِي شَفَتِهِ وَأَصَابَ رَبَاعِيَتَهُ عُتْبَةُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ - وَقَدْ تَقَدَّمَ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ نَحْوُ هَذَا - وَأَنَّ الرَبَاعِيَةَ الَّتِي كُسِرَتْ لَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، هِيَ الْيُمْنَى السُّفْلَى. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ عَمَّنْ حَدَّثَهُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ: مَا حَرَصْتُ عَلَى قَتْلِ أَحَدٍ قَطُّ مَا حَرَصْتُ عَلَى قَتْلِ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ وَإِنْ كَانَ مَا عَلِمْتُ لِسَيِّءَ الْخُلُقِ، مُبَغَّضًا فِي قَوْمِهِ، وَلَقَدْ كَفَانِي فِيهِ قَوْلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اشْتَدَّ غَضَبُ اللَّهِ عَلَى مَنْ دَمَّى وَجْهَ رَسُولِهِ.» وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ وَعَنْ عُثْمَانَ الْجَزَرِيِّ، عَنْ مِقْسَمٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَا عَلَى عُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ يَوْمَ أُحُدٍ حِينَ كَسَرَ رَبَاعِيَتَهُ، وَدَمَّى وَجْهَهُ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ لَا تُحِلْ عَلَيْهِ الْحَوْلَ
পৃষ্ঠা - ২৬৮২

রুাপ্রুপ্রু ১৷ ৷ মোঃ ঢ়ট্রু
এএ্র্চুা১ ৷ ৷ হেএ;ষ্টুৰু ;,ট্রুপু প্রু (মুহাম্মাদ একজন রাসুল বৈ নন ৷ তার পৃর্বেও বহু রাসুল গত
হয়েছেন ৷ সুতরাং যদি তিনি মারা যান অথবা নিহত হন তবে (তা মর৷ কি পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে ?
কেউ যদি পৃষ্ঠ প্রদশ্নি করেও তবে সে আল্লাহর কোন ক্ষতি ৩কররে না ৷ বরং আল্লাহ শীঘ্রই
কৃতজ্ঞদেরকে পুরস্কৃত ধ্ম্মশ্নেং৷ ৷ গ্রাগ্লাহুগ্ অণুমাত ধ্৩৩ ণ্যা ব্লে মৃতুৰু হতে পারে না তার
মেয়াদ সুনিধারিত ৷ কেউ পার্থিব পুরস্কার চাইলে আমি তাকে তার কিছু দিই এবং যে পরকালের
পুরস্কার চাইরে তাকে তা থেকে দান করি এবং শীঘ্রই আমি কৃতজ্ঞা;দরকে পুরস্কৃত করব ৷ এবং
কত নবী যুদ্ধ করেছেন তাদের সাথে বহু আল্লাহ্ওয়ালা ছিল ৷ আল্লাহর পথে তাদের যে বির্পযয়
ঘটেছিল তাতে তারা হীনবল হয়নি দুর্বল হয়নি এবং নত হয়নি ৷ আল্লাহ ধৈর্যশীলদেরকে
ভালবাসেন ৷ এ কথা ব্যতীত তাদের আর কোন কথা ছিল না “হে আমাদের প্ৰতিপালক ৷
আমাদের পাপ এবং আমাদের কা যে সীমা ৎঘন আপনি ক্ষমা করুন এবং আমাদের পা সুদৃঢ় বাফুৰ
এবং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন ৷ ” এরপর আল্লাহ তাদেরকে পার্থিব
পুরস্কার এবং উত্তম পারলৌকিক পুরস্কার দান করেন ৷ আল্লাহ সৎকর্ম পরায়ণদেরকে ভালবাসেন ৷
হে মুমিনপণ! যদি তোমরা ক ফিবদেব আনুগত্য কর তবে তার ৷ আমাদেরকে বিপরীত দিকে
ফিরিয়ে দেবে এবং( তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে ৷ আল্লাহ্ই তো তোমাদের অভিভাবক এবং
তিনি শ্রেষ্ঠ সাহায্যকারী ৷ আমি অবিলম্বে কাফিরদের হৃদয়ে ডীতি সঞ্চার করব, যেহেতু তারা
আল্লাহর শরীক করেছে যার সপক্ষে আল্লাহ কোন সনদ পাঠাননি ৷ জাহান্নাম তাদের আবাস ৷ কত
নিকৃষ্ট আবাসস্থল যালিমদের ৷ (৩ আলে-ইমরান : ১ : ৪ ১৫ ১ ) ৷ আমাদের তাফসীর গ্রন্থে
আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷ সকল প্রশংসা আল্লাহর ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর ইনতিকালের পর হযরত ছিদ্দিক-ই-আকবর (বা ) প্রথম যে ভাষণ দেন
তাতে তিনি বলেছিলেন৪ হে লোক সকল ! যারা মৃহাম্মাদের (সা) ইবাদত করতে মুহাম্মাদ (সা)
তা ইনতিক৷ ৷ল করেছেনই, আর যারা আল্লাহর ইবাদত করতে তবে আল্লাহ চিরঞ্জীব তার মৃত্যু
চুনই, এরপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করলেন ং



ৰুাটুর্দুট্রু ৰু৷ ৷ মোঃ চুৰুড়ু
বর্ণনাকারী বলেন, এতে লোকজন সন্বিৎ ফিরে পেল ৷ তারা যেন এ আয়াত ইতিপুর্বে কোন
দিন শুনেনি ৷ এবার সব৷ ৷ই আয়াত ন্টি তিলাওয়াত করতে লাগলেন ৷

বায়হাকী (র) তার “দালাইল আন নৃবুওয়াহ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, ইবন আবু নাজীহ্
তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, উহুদ দিবসে জনৈক ঘুহাজির ব্যক্তি একজন আনসারী ব্যক্তির
পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ আনসারী ল্যেকটি ছিলেন রক্তাক্ত অবস্থায় ৷ ঘুহাজির সহসা বললেন, তুমি
কি জান যে, মুহাম্মাদ (সা) নিহত হয়েছেন ? আনসারী বললেনং মুহাম্মাদ (সা) যদি নিহত হন ই
তরে৩ তিনি বিনা ৷লাতের বাণী পৌছে দিয়েছেন এখন ভোমরা তার দীন রক্ষায় লড়৷ ৷ই চ৷ ৷লিয়ে যাও ৷



حَتَّى يَمُوتَ كَافِرًا.» فَمَا حَالَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ حَتَّى مَاتَ كَافِرًا إِلَى النَّارِ. وَقَالَ أَبُو سُلَيْمَانَ الْجُوزَجَانِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنِي ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «دَاوَى وَجْهَهُ يَوْمَ أُحُدٍ بِعَظْمٍ بَالٍ» . هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ رَأَيْتُهُ فِي أَثْنَاءِ كِتَابِ " الْمَغَازِي " لِلْأُمَوِيِّ فِي وَقْعَةِ أُحُدٍ. وَلَمَّا نَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ قَمِئَةَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا نَالَ، رَجَعَ وَهُوَ يَقُولُ: قَتَلْتُ مُحَمَّدًا. وَصَرَخَ الشَّيْطَانُ أَزَبُّ الْعَقَبَةِ يَوْمَئِذٍ بِأَبْعَدِ صَوْتٍ: أَلَا إِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ قُتِلَ. فَحَصَلَ بَهْتَةٌ عَظِيمَةٌ فِي الْمُسْلِمِينَ، وَاعْتَقَدَ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ ذَلِكَ، وَصَمَّمُوا عَلَى الْقِتَالِ عَنْ حَوْزَةِ الْإِسْلَامِ حَتَّى يَمُوتُوا عَلَى مَا مَاتَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مِنْهُمْ أَنَسُ بْنُ النَّضْرِ وَغَيْرُهُ مِمَّنْ سَيَأْتِي ذِكْرُهُ، وَقَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى التَّسْلِيَةَ فِي ذَلِكَ عَلَى تَقْدِيرِ وُقُوعِهِ فَقَالَ تَعَالَى: {وَأَنْتُمْ تَنْظُرُونَ - وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ أَفَإِنْ مَاتَ أَوْ قُتِلَ انْقَلَبْتُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ وَمَنْ يَنْقَلِبْ عَلَى عَقِبَيْهِ فَلَنْ يَضُرَّ اللَّهَ شَيْئًا وَسَيَجْزِي اللَّهُ الشَّاكِرِينَ - وَمَا كَانَ لِنَفْسٍ أَنْ تَمُوتَ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ كِتَابًا مُؤَجَّلًا وَمَنْ يُرِدْ ثَوَابَ الدُّنْيَا نُؤْتِهِ مِنْهَا وَمَنْ يُرِدْ ثَوَابَ الْآخِرَةِ نُؤْتِهِ مِنْهَا وَسَنَجْزِي الشَّاكِرِينَ - وَكَأَيِّنْ مِنْ نَبِيٍّ قَاتَلَ مَعَهُ رِبِّيُّونَ كَثِيرٌ فَمَا وَهَنُوا لِمَا أَصَابَهُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَمَا ضَعُفُوا وَمَا اسْتَكَانُوا وَاللَّهُ يُحِبُّ الصَّابِرِينَ - وَمَا كَانَ قَوْلَهُمْ إِلَّا أَنْ قَالُوا رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ - فَآتَاهُمُ اللَّهُ ثَوَابَ الدُّنْيَا وَحُسْنَ ثَوَابِ الْآخِرَةِ وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ - يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنْ تُطِيعُوا الَّذِينَ كَفَرُوا يَرُدُّوكُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ فَتَنْقَلِبُوا خَاسِرِينَ - بَلِ اللَّهُ مَوْلَاكُمْ وَهُوَ خَيْرُ النَّاصِرِينَ - سَنُلْقِي فِي قُلُوبِ الَّذِينَ كَفَرُوا الرُّعْبَ بِمَا أَشْرَكُوا بِاللَّهِ مَا لَمْ يُنَزِّلْ بِهِ سُلْطَانًا وَمَأْوَاهُمُ النَّارُ وَبِئْسَ مَثْوَى الظَّالِمِينَ} [آل عمران: 143 - 151] [آلِ عِمْرَانَ: 144 - 151] . وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى ذَلِكَ مُسْتَقْصًى فِي كِتَابِنَا التَّفْسِيرِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَقَدْ خَطَبَ الصَّدِّيقُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي أَوَّلِ مَقَامٍ قَامَهُ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَنْ كَانَ يَعْبُدُ مُحَمَّدًا فَإِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ مَاتَ، وَمَنْ كَانَ يَعْبُدُ اللَّهَ فَإِنَّ اللَّهَ حَيٌّ لَا يَمُوتُ. ثُمَّ تَلَا هَذِهِ الْآيَةَ: {وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ أَفَإِنْ مَاتَ أَوْ قُتِلَ انْقَلَبْتُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ} [آل عمران: 144] الْآيَةَ قَالَ: فَكَأَنَّ النَّاسَ لَمْ يَسْمَعُوهَا قَبْلَ ذَلِكَ، فَمَا مِنَ النَّاسِ أَحَدٌ إِلَّا يَتْلُوهَا. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ: فِي " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ " مِنْ طَرِيقِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ أَبِيهِ. قَالَ: مَرَّ رَجُلٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ يَوْمَ أُحُدٍ عَلَى رَجُلٍ مِنَ الْأَنْصَارِ وَهُوَ يَتَشَحَّطُ فِي
পৃষ্ঠা - ২৬৮৩

এ প্রসংগে নাযিল হল (’াণু ট্রু৷ ৷ ধ্ও ও ঠুও ;াও ওও ¢;;) ৰু৷ ৷ মোঃ ; ) আনসারী
লোকটি সম্ভবত ছিলেন আনা স ইবন৷ না যর (রা) ৷ তিনি আনাস ইবন মালিকের চাচা ৷

ইমাম আহমদ বলেন, ইয়াযীদ আনাস (বা) সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, চাচা বদরের
যুদ্ধে অনুপস্থিত ছিলেন ৷ তাই বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুশরিকদের বিরুদ্ধে প্রথম যে যুদ্ধ
করলেন আমি তাতে অনুপস্থিত ছিলাম ৷ আল্লাহ তাআল৷ যদি আমাকে অন্য কোন যুদ্ধে অংশ
গ্রহণের সুযোগ করে দেন তবে আমি দেখিয়ে দেব যে আমি কী করতে পারি ৷ এরপর উহুদ
দিবসে এক সময় ঘুসলমানপণ ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলেন ৷ তিনি বললেন, <হআল্লাহ্! এরা যা করেছে
অর্থাৎ সাথীর৷ যা করেছে তার ব্যাপারে আমি আপনার দরবারে ওয়র খাহী করছি ৷ আর মুশরিক যা
করেছে তার সাথে আমি আমার সম্পর্কহীনতা ঘোষণা করছি ৷ তারপর তিনি এগিয়ে গেলেন ৷
উহুদেব পাদদেশে (তার) সাদ (রা)-এর ইবন মুআয-এর সাথে দেখা হল সাদ (বা ) বললেন,
আমি তোমার সাথে আছি ৷ সাদ (বা) আরো বলেছেন, যে আনাস ইবন নাযর যা করেছেন আমি
তা করতে পারিনি ৷ তার শরীরে ৮০ এর উপর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া ৷৷ন্র্টায়েছিল ৷ সেগুলো ৷ছিল
তরবারি, বশা ও ভীরের আঘাত ৷ তার সম্পর্কে এবং তার সাথীদের সম্পর্কে এ আয়াত নাযিল
হয়েছে বলে আমরা বলাবলি কবতামং ( ,া ন্ওওও ণ্ট্রুৰুটুওও
তাদের কেউ কেউ শাহাদাতব বরণ করেছে এবং কেউ কেউ প্ৰতীক্ষা ৷য় রয়েছে ৷ (৩৩, আহযাবং :
২৩) ৷ এই হাদীস তিরমিযী (ব ) থেকে এবং ইমাম ন সাঈ বর্ণনা করেছেন ৷ তিরমিযী মন্তব্য
করেছেন যে, এটি হ সান ৷ আমি বলি, যে এর সনদ ও মুসলিম (র) এর শতে উত্তীর্ণ ৷

ইমাম আহমদ বলেন, বাহস ও হ শিম আনাস (না)-এর বরাতে অন্ব্লুরুপ হাদীছ বংনাি
করেছেন যে, তিনি বলেন, তাতে অতিরিক্ত আছে : এক পর্যায়ে তিনি সাদ ইবন মুআয (না)-এর
মুখোমুখি হলেন ৷ আনাস (রা ) তাকে বললেন, হে আবু আমর ! কোথায় যাচ্ছেন ? বাহ্ চমৎকার
আমি উহুদ পাহাভৈড়র দিক থেকে জান্নাতের সুবাস পাচ্ছি ৷ এরপর তিনি লড়াই শুরু করলেন ৷
অবশেষে শহীদ হলেন ৷ তার দেহে তরবারি, বশা ও ভীরের আঘাত মিলিয়ে ৮০-এর উপরে
আঘাতের চিহ্ন পাওয়া ৷পিয়েছিল ৷ বর্ণনাক৷ রী আনাস ইবন মালিক বলেন, তার বোন আমার ফুফু
রাবী বিনত নাযর বলেছেন “একমাত্র আঙ্গুলের অগ্রভাগ দেখেই আমি আমার৩ ৷ইয়ের লাশ
সনাক্ত করেছি ৷ আল্লাহ্ত )

০ ! ণ্া

(
মুমিনদের মধ্যে কতক আল্লাহর সাথে তাদের কৃত অঙ্গীকার পুর্ণ করেছে, ওদের কেউ কেউ
শাহাদাত বরণ করেছে এবং কেউ কেউ অপেক্ষায় রয়েছে ৷ তারা তাদের অৎগীকারে কোন
পরিবতন করেনি ৷ (৩৩, আহযাবষ্ক ২৩) ৷ সাহারা-ই কিরাম মনে করতে তন যে, এই আয়াত
আনাস ইবন নাযর ও তার সাথীদের সম্পর্কে না ৷ষিল হয়েছে ৷

মুসলিম (র) তিরমিযী ও নাসাঈ ও আবু দাউদ ভিন্ন ভিন্ন সনদে এটি বর্ণনা করেছেন ৷
তিরমিযী এটি হাসান ও সহীহ্ হাদীছ বলে মন্তব্য করেছেন ৷

আবুল আসওয়াদ বংনাি করেছেন, উরওয়৷ ইবন যুবায়র থেকে ৷ তিনি বলেছেন, উবায় ইবন


دَمِهِ. فَقَالَ لَهُ: يَا فُلَانُ، أَشْعَرْتَ أَنَّ مُحَمَّدًا قَدْ قُتِلَ؟ فَقَالَ الْأَنْصَارِيُّ: إِنْ كَانَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ قُتِلَ فَقَدْ بَلَّغَ الرِّسَالَةَ، فَقَاتِلُوا عَنْ دِينِكُمْ. فَنَزَلَ {وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ} [آل عمران: 144] الْآيَةَ. وَلَعَلَّ هَذَا الْأَنْصَارِيَّ هُوَ أَنَسُ بْنُ النَّضْرِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَهُوَ عَمُّ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ عَمَّهُ غَابَ عَنْ قِتَالِ بِدْرٍ فَقَالَ: غِبْتُ عَنْ أَوَّلِ قِتَالٍ قَاتَلَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْمُشْرِكِينَ، لَئِنْ أَشْهَدَنِي اللَّهُ قِتَالًا لِلْمُشْرِكِينَ لَيَرَيَنَّ مَا أَصْنَعُ. فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ أُحُدٍ انْكَشَفَ الْمُسْلِمُونَ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَعْتَذِرُ إِلَيْكَ عَمَّا صَنَعَ هَؤُلَاءِ - يَعْنِي أَصْحَابَهُ - وَأَبْرَأُ إِلَيْكَ مِمَّا جَاءَ بِهِ هَؤُلَاءِ - يَعْنِي الْمُشْرِكِينَ - ثُمَّ تَقَدَّمَ فَلَقِيَهُ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ دُونَ أُحُدٍ فَقَالَ سَعْدٌ: أَنَا مَعَكَ. قَالَ سَعْدٌ: فَلَمْ أَسْتَطِعْ أَصْنَعُ مَا صَنَعَ. فَوُجِدَ فِيهِ بِضْعٌ وَثَمَانُونَ مِنْ بَيْنِ ضَرْبَةٍ بِسَيْفٍ، وَطَعْنَةٍ بِرُمْحٍ، وَرَمْيَةٍ بِسَهْمٍ. قَالَ: فَكُنَّا نَقُولُ: فِيهِ وَفِي أَصْحَابِهِ نَزَلَتْ: {فَمِنْهُمْ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ وَمِنْهُمْ مَنْ يَنْتَظِرُ} [الأحزاب: 23] وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، عَنْ عَبْدِ بْنِ حُمَيْدٍ. وَالنَّسَائِيُّ، عَنْ إِسْحَاقَ ابْنِ رَاهْوَيْهِ، كِلَاهُمَا عَنْ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ بِهِ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ. قُلْتُ: بَلْ عَلَى شَرْطِ الصَّحِيحَيْنِ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.
পৃষ্ঠা - ২৬৮৪
وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا بَهْزٌ، وَحَدَّثَنَا هَاشِمٌ، قَالَا: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ قَالَ قَالَ أَنَسٌ: عَمِّي - قَالَ هَاشِمٌ: أَنَسُ بْنُ النَّضْرِ - سُمِّيتُ بِهِ، وَلَمْ يَشْهَدْ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ بِدْرٍ. قَالَ: فَشَقَّ عَلَيْهِ، وَقَالَ: أَوَّلُ مَشْهَدٍ شَهِدَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غِبْتُ عَنْهُ! لَئِنْ أَرَانِي اللَّهُ مَشْهَدًا فِيمَا بَعْدُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيَرَيَنَّ اللَّهُ مَا أَصْنَعُ. قَالَ: فَهَابَ أَنْ يَقُولَ غَيْرَهَا، فَشَهِدَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أُحُدٍ. قَالَ: فَاسْتَقْبَلَ سَعْدَ بْنَ مُعَاذٍ فَقَالَ لَهُ أَنَسٌ: يَا أَبَا عَمْرٍو أَيْنَ؟ وَاهًا لِرِيحِ الْجَنَّةِ، أَجِدُهُ دُونَ أُحُدٍ. قَالَ: فَقَاتَلَهُمْ حَتَّى قُتِلَ، فَوُجِدَ فِي جَسَدِهِ بِضْعٌ وَثَمَانُونَ مِنْ ضَرْبَةٍ وَطَعْنَةٍ وَرَمْيَةٍ. قَالَ: فَقَالَتْ أُخْتُهُ عَمَّتِي الرُّبَيِّعُ بِنْتُ النَّضْرِ: فَمَا عَرَفْتُ أَخِي إِلَّا بِبَنَانِهِ وَنَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ {مِنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمِنْهُمْ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ وَمِنْهُمْ مَنْ يَنْتَظِرُ وَمَا بَدَّلُوا تَبْدِيلًا} [الأحزاب: 23] . قَالَ: فَكَانُوا يَرَوْنَ أَنَّهَا نَزَلَتْ فِيهِ وَفِي أَصْحَابِهِ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ حَاتِمٍ، عَنْ بَهْزِ بْنِ أَسَدٍ. وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ، وَزَادَ النَّسَائِيُّ: وَأَبُو دَاوُدَ، وَحَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ. أَرْبَعَتُهُمْ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ بِهِ. وَقَالَ
পৃষ্ঠা - ২৬৮৫

খালুফ জুমাহী মক্কায় অবস্থানকালে শপথ করে রলেছিল যে, সে অবশ্যই রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে
হত্যা করবে ৷ তার শপথের সংবাদ রাসুলুল্লাহ্ (সা) অবহিত হয়েছিলেন ৷ তিনি বলেছিলেন যে,
বরং আমিই তাকে হত্যা করব ইনশাআল্লাহ্ ৷ উহুদ দিবসে উবাই লৌহ বর্মে আবৃত হয়ে যুদ্ধের
ময়দানে উপস্থিত হয় ৷ সে বলছিল যে, “মুহাম্মাদ বেচে থাকলে আমার রক্ষা (নই ৷ ” রাসুলুল্লাহ্
(সা)-কে হত্যার উদ্দেশ্যে সে তার উপর আক্রমণ চালায় ৷ সামনে এগিয়ে আসেন হযরত মুসআব
ইবন উমায়র (রা) ৷ তিনি ছিলেন আবদুদদার গোত্রের লোক ৷ তিনি অগ্রসর হয়েছিলেন রাসুলুল্লাহ্
(সা) কে আক্রমণ থেকে বাচড়ানাের জন্যে ৷ কিন্তু শত্রুর আঘারুত তিনি শাহাদাত বরণ করেন ৷
উবাইর বর্মের ফীক দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার বক্ষদেশ দেখতে পেলেন ৷ ধর্ম ও শিরস্ত্রন্তেণর ফীক
লক্ষ্য করে তিনি বশা নিক্ষেপ করলেন ৷ সে ঘোড়া থেকে মাটিতে পড়ে যায় ৷ ওই আঘাতে তার
রক্ত ক্ষরণ হয়নি ৷ তার সঙ্গীরা এসে তাকে উঠিয়ে নিয়ে যায় ৷ তখন সে যাড়ের মত চীৎকার
করছিল ৷ তারা বলল, তোমার হল কী ? এতো সামান্য ক্ষ্ম;রুধ্ন্ত্র :তাত্র ৷ সে তখন তার সম্পর্কে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উক্তি “আমি উবাইকে হত্যা করব” ওদেরকে স্মরণ করিয়ে দিল ৷ তারপর সে
বলল, যার হাতে আমার প্রাণ তার শপথ, আমি যতটুকু আঘাত পেয়েছি যুল মাজায অঞ্চলের
সকলে মিলে যদি ততটুকু আঘাত (পত তবে তাদের সকলেরই মৃত্যু হত ৷ তারপর উবাই মারা
যায় ৷ “ধ্বংস জাহান্নামীদের জন্যে ৷ ” মুসা ইবন উক্বা তার মাপাযী গ্রন্থে যুহরীর বরাতে সাঈদ
ইবন ঘুসাব্যিব থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন পাহাড়ী পথে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তখন উবাই ইবন
খড়ালাফ তাকে দেখতে পায় ৷ সে তখন বলছিল, মুহাম্মাদ বেচে থাকলে আমার রক্ষা (নই ৷
সাহাবিগণ আরয় করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) আমাদের কেউ কি তাকে প্রতিহত করবে ?
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, না তাকে বরং আসতে দাও ৷ সে কাছাকাছি আসার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
হারিছ ইবন সাম্মাহ্ থেকে বশা চেয়ে নেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, তখন আমরা উট পা ঝড়ো
দিলে যেমন লোম উড়তে থাকে আমরা তেমনি তা থেকে দুরে সরে পড়লাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তার সম্মুখে গেলেন এবং বর্শা দ্বারা তার ঘাড়ে আঘাত করলেন ৷ এক আঘাতে সে ঘোড়া থেকে
পড়ে পড়াগড়ি যেতে থাকে ৷ ওয়াকিদী অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ওয়াকিদী বলেন, যে ইবন উমার
(রা) বলতেন , উবাই ইবন খালাফ-এর মৃত্যু হয় বাতন-ই-রাবিগ অঞ্চলে ৷ তিনি আরো বলেছেন্
যে, রাতের কিছু অংশ অতিবাহিত হওয়ার পর একদিন আমি বাতন-ই-রাবিগ এলাকাহু
হীটছিলাম ৷ হঠাৎ আমি দেখতে পাই যে, এক জায়গায় ভীবণভারে আগুন জ্বলছে ৷ তখন আমি তা
পেয়ে যাই ৷ তখন দেখি, ওই আগুন থেকে একটি লোক বের হচ্ছে ৷ সে শিকলে বাধা ৷ পিপাসায়
সে হাপাচ্ছে ৷ তখন একজন লোক বলছিল যে, একে পানি দেবেন না কারণ, সে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর হাতে নিহত হয়েছে ৷ সে উবাই ইবন খালাফ ৷

সহীহ বুখারী ও সহীহ ঘুসলিমে আবদুর রাযযাক আবু হুরায়রা সুত্রে বর্ণিত আছে যে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, যে পােককে আল্লাহর পথে রাসুপুপ্লাহু (সা) স্বহস্তে হত্য৷ করেছেন তার
প্রতি আল্লাহর ক্রোধ ভীব্রেতর হোক ! বুখারী ভিন্ন সনদেও এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷

বুখারী বলেন, আবুল ওয়ালীদ জাবির (রা) থেকে রংনাি করেন, তিনি বলেছেন,




التِّرْمِذِيُّ حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَالَ أَبُو الْأَسْوَدِ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ: كَانَ أُبَيُّ بْنُ خَلَفٍ أَخُو بَنِي جُمَحَ قَدْ حَلَفَ وَهُوَ بِمَكَّةَ لِيَقْتُلْنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا بَلَغَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَلْفَتُهُ قَالَ: بَلْ أَنَا أَقْتُلُهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ أُحُدٍ أَقْبَلَ أُبَيٌّ فِي الْحَدِيدِ مُقَنَّعًا، وَهُوَ يَقُولُ: لَا نَجَوْتُ إِنْ نَجَا مُحَمَّدٌ. فَحَمَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُرِيدُ قَتْلَهُ، فَاسْتَقْبَلَهُ مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ أَخُو بَنِي عَبْدِ الدَّارِ يَقِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَفْسِهِ، فَقُتِلَ مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ وَأَبْصَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَرْقُوَةَ أُبَيِّ بْنِ خَلَفٍ مِنْ فُرْجَةٍ بَيْنَ سَابِغَةِ الدِّرْعِ وَالْبَيْضَةِ، فَطَعَنَهُ فِيهَا بِحَرْبَتِهِ، فَوَقَعَ إِلَى الْأَرْضِ عَنْ فَرَسِهِ، وَلَمْ يَخْرُجْ مِنْ طَعْنَتِهِ دَمٌ، فَأَتَاهُ أَصْحَابُهُ فَاحْتَمَلُوهُ، وَهُوَ يَخُورُ خُوَارَ الثَّوْرِ، فَقَالُوا لَهُ: مَا أَجْزَعَكَ! إِنَّمَا هُوَ خَدْشٌ. فَذَكَرَ لَهُمْ قَوْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنَا أَقْتُلُ أُبَيًّا ثُمَّ قَالَ: وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ كَانَ هَذَا الَّذِي بِي بِأَهْلِ ذِي الْمَجَازِ لَمَاتُوا أَجْمَعُونَ. فَمَاتَ إِلَى النَّارِ، فَسُحْقًا لِأَصْحَابِ السَّعِيرِ. وَقَدْ رَوَاهُ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ فِي " مَغَازِيهِ " عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ نَحْوَهُ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: لَمَّا أَسْنَدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الشِّعْبِ، أَدْرَكَهُ أُبَيُّ بْنُ خَلَفٍ وَهُوَ يَقُولُ: لَا نَجَوْتُ إِنْ نَجَوْتَ. فَقَالَ الْقَوْمُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، يَعْطِفُ
পৃষ্ঠা - ২৬৮৬
عَلَيْهِ رَجُلٌ مِنَّا؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: دَعُوهُ. فَلَمَّا دَنَا تَنَاوَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحَرْبَةَ مِنَ الْحَارِثِ بْنِ الصِّمَّةِ فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ كَمَا ذُكِرَ لِي: فَلَمَّا أَخَذَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْتَفَضَ بِهَا انْتِفَاضَةً، تَطَايَرْنَا عَنْهُ تَطَايُرَ الشَّعْرِ عَنْ ظَهْرِ الْبَعِيرِ إِذَا انْتَفَضَ، ثُمَّ اسْتَقْبَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَطَعَنَهُ فِي عُنُقِهِ طَعْنَةً تَدَأْدَأَ مِنْهَا عَنْ فَرَسِهِ مِرَارًا. وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ، عَنْ يُونُسَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ نَحْوَ ذَلِكَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَقُولُ: مَاتَ أُبَيُّ بْنُ خَلَفٍ بِبَطْنِ رَابِغٍ، فَإِنِّي لَأَسِيرُ بِبَطْنِ رَابِغٍ بَعْدَ هَوِيٍّ مِنَ اللَّيْلِ، فَإِذَا أَنَا بِنَارٍ تَأَجَّجُ، فَهِبْتُهَا، وَإِذَا رَجُلٌ يَخْرُجُ مِنْهَا فِي سِلْسِلَةٍ يَجْتَذِبُهَا يُهَيِّجُهُ الْعَطَشُ، فَإِذَا رَجُلٌ يَقُولُ: لَا تَسْقِهِ ; فَإِنَّهُ قَتِيلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذَا أُبَيُّ بْنُ خَلَفٍ. وَقَدْ ثَبَتَ فِي الصَّحِيحَيْنِ كَمَا تَقَدَّمَ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ২৬৮৭

আমার পিতা যখন শহীদ হন তখন আমি কাদতে থাকি ৷ তার চেহারা থেকে কাপড় সরিয়ে তার
মুখ দেখতে থাকি ৷ সাহাবীগণ (বা) আমাকে তা থেকে রাবণ করতে থাকেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বার ণ করেননি ৷ তিনি বললেন, তার জন্যে কেদোন৷ অথবা তিনি বলেছেন যে, তার জন্যে কাদার
কী আছে ? ফেরেশতাগণ তো সব সময় তাকে ডানা দ্বারা ছায়া দিয়ে যাচ্ছেন ৷ এভাবে তাকে
উর্ধ্বাকাশে তুলে নেয়া হয়েছে ৷ এখানে এই হাদীছটি সনদহীনভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে ৷ তবে
জানাযা অধ্যায়ে সনদসহ তা বর্ণিত হয়েছে ৷ ইমাম মুসলিম এবং নাসাঈ ও শুবা থেকে এটি
উদ্ধৃত করেছেন ৷

বুথারী বলেন, আবদান — ইবরাহীম থেকে বর্ণিত যে, আবদুর রহমান ইবন আওফের
(রা ) নিকট কিছু খাদ্য উপস্থিত করা হয়েছিল ৷ তিনি তখন রোযা অবস্থায় ছিলেন ৷ তিনি বললেন,
মুসআব ইবন উমায়র শহীদ হয়েছেন ৷ তিনি আমার চাইতে উত্তম ছিলেন ৷ তাকে একটি মাত্র
চাদয়ে কাফন দেয়া হয়েছিল ৷ চাদরটি খাটো ছিল ৷ চাদর দ্বারা তার মাথা ঢাকলে পা দুটো বেরিয়ে
যেত ৷ আর পা ঢাকতে পেলে মাথা বের হয়ে যেত ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আমার যতদুর মনে পড়ে
তিনি এও বলেছিলেন যে, হামযা (রা) শহীদ হয়েছেন, তিনি আমার চাইতে উত্তম ছিলেন ৷
তারপর দুনিয়ার সুখ স্বাচ্ছন্দা ও স্বচ্ছলতা আমাদের জন্যে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে ৷ তাতে
আমাদের আশংকা হচ্ছে আমাদের সৎকর্মের প্রতিদান দৃনিয়াতেই নগদ দিয়ে দেয়া হচ্ছে কি না !
তারপর তিনি কাদতে শুরু করলেন ৷ তার বাবার ঠাণ্ডা হয়ে গেল ৷ এই হাদীছ বুথারী একা উদ্ধৃত
করেছেন ৷ বুথারী আহমদ ইবন ইউনুস — খাব্বার ইবন আরত সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে হিজরত করেছি ৷ আমাদের উদ্দেশ্য ছিল আল্লাহর
সন্তুষ্টি অর্জন ৷ আল্লাহর নিকট আমাদের প্রতিদান মঞ্জুর হয়েছে ৷ এরপর আমাদের কেউ কেউ
চলে গিয়েছে ওই প্ৰতিদানের কিছুই দৃনিয়াতে ভোগ করেনি ৷ তাদের মধ্যে আছেন মুসআব ইবন
উমায়র ৷ তিনি উহুদ দিবসে শহীদ হন ৷ একটি চাদর ব্যতীত কিছু রেখে যাননি ৷ কাফন হিসেবে
ওই চাদয়ে পা ঢাকতে গেলে তার মাথা বের হয়ে যেত আর মাথা ঢাকতে গেলে পা বের হয়ে
যেত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদেরকে বললেন, চাদর দ্বারা তার মাথা ঢেকে দাও আর ইযখির ঘাস
দিয়ে পা ঢেকে দাও ৷ বর্ণনাকারী খাব্বার (রা) আরো বলেন যে, আমাদের কতকের ফল থেকে
গিয়েছে এখ্যা যে তা ভোগ করছে ৷ ইবন মজােহ ব্যতীত অন্য সকলে এই হাদীছ আমাশ থেকে
বিভিন্ন সনদে উদ্ধৃত করেছেন ৷

বুথারী বলেন, উবায়দুল্লাহ্ ইবন সাঈদ — — আইশা (রা) থেকে বংনাি করেন ৷ তিনি
বলেছেন, উহুদ দিবসে প্রথম দিকে মুশরিকরা পরাজিত হয়েছিল ৷ তখন অভিশপ্ত ইবলীস চীৎকার
দিয়ে বলে হে আল্লাহর খস্পোগণ! (আমাদেরকে তো পেছন থেকে আক্রমণ করা হচ্ছে ৷ ফলে
মুসলমানদের সম্মুখ সারির লোকজন পেছনের দিকে ফিরে যায় এবং নিজেদেরই সম্মুখ সারি ও
পেছনের সারি পরস্পরের উপর তরবারি চালাতে থাকে ৷ হঠাৎ হুযায়ফ দেখতে পেলেন তার পিতা
ইয়ামানকে আক্রমণ করা হচ্ছে ৷ তিনি চীৎকার করে বললেন, হে আল্লাহর বান্দাগণ! তিনি তো
আমার পিতা, তিনি আমার পিতা, কিন্তু তার শেষ রক্ষা হয়নি ৷ শেষ পর্যন্ত মুসলমানদের
আঘাতে তার মৃত্যু হয় ৷ হুযায়ফা বললেন, আল্লাহ্ আপনাদেরকে ক্ষমা করুন ৷ উরওয়া বলেন,
আল্লাহর কসম ! মৃত্যু পর্যন্ত হুযায়ফা ওই দুঃখ তুলতে পারেননি ৷




مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اشْتَدَّ غَضَبُ اللَّهِ عَلَى رَجُلٍ يَقْتُلُهُ رَسُولُ اللَّهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ طَرِيقِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: اشْتَدَّ غَضَبُ اللَّهِ عَلَى مَنْ قَتَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ بِيَدِهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ أَبُو الْوَلِيدِ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ، سَمِعْتُ جَابِرًا قَالَ: «لِمَّا قُتِلَ أَبِي جَعَلْتُ أَبْكِي وَأَكْشِفُ الثَّوْبَ عَنْ وَجْهِهِ، فَجَعَلَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْهَوْنَنِي، وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَنْهَ. وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا تَبْكِهِ - أَوْ مَا تَبْكِيهِ - مَا زَالَتِ الْمَلَائِكَةُ تُظِلُّهُ بِأَجْنِحَتِهَا حَتَّى رُفِعَ» هَكَذَا ذُكِرَ هَذَا الْحَدِيثُ هَاهُنَا مُعَلَّقًا، وَقَدْ أَسْنَدَهُ فِي الْجَنَائِزِ، عَنْ بُنْدَارٍ، عَنْ غُنْدَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، وَالنَّسَائِيُّ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ شُعْبَةَ بِهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِيهِ إِبْرَاهِيمَ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ أُتِيَ بِطَعَامٍ، وَكَانَ صَائِمًا، فَقَالَ: قُتِلَ مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ وَهُوَ خَيْرٌ مِنِّي، كُفِّنَ فِي بُرْدَةٍ إِنْ غُطِّيَ رَأْسُهُ بَدَتْ رِجْلَاهُ، وَإِنْ غُطِّي رِجْلَاهُ بَدَا رَأَسُهُ - وَأُرَاهُ قَالَ: وَقُتِلَ حَمْزَةُ
পৃষ্ঠা - ২৬৮৮
هُوَ خَيْرٌ مِنِّي - ثُمَّ بُسِطَ لَنَا مِنَ الدُّنْيَا مَا بُسِطَ - أَوْ قَالَ: أُعْطِينَا مِنَ الدُّنْيَا مَا أُعْطِينَا - وَقَدْ خَشِينَا أَنْ تَكُونَ حَسَنَاتُنَا عُجِّلَتْ لَنَا. ثُمَّ جَعَلَ يَبْكِي حَتَّى تَرَكَ الطَّعَامَ. انْفَرَدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ خَبَّابِ بْنِ الْأَرَتِّ قَالَ: «هَاجَرْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَبْتَغِي وَجْهَ اللَّهِ، فَوَجَبَ أَجْرُنَا عَلَى اللَّهِ، فَمِنَّا مَنْ مَضَى - أَوْ ذَهَبَ - لَمْ يَأْكُلْ مِنْ أَجْرِهِ شَيْئًا ; كَانَ مِنْهُمْ مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ قُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ لَمْ يَتْرُكْ إِلَّا نَمِرَةً، كُنَّا إِذَا غَطَّيْنَا بِهَا رَأْسَهُ خَرَجَتْ رِجْلَاهُ، وَإِذَا غُطِّيَ بِهَا رِجْلَاهُ خَرَجَ رَأْسُهُ، فَقَالَ لَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: غَطُّوا بِهَا رَأْسَهُ، وَاجْعَلُوا عَلَى رِجْلِهِ الْإِذْخِرَ. وَمِنَّا مَنْ أَيْنَعَتْ لَهُ ثَمَرَتُهُ فَهُوَ يَهْدِبُهَا» . وَأَخْرَجَهُ بَقِيَّةُ الْجَمَاعَةِ إِلَّا ابْنَ مَاجَهْ مِنْ طُرُقٍ عَنِ الْأَعْمَشِ بِهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ. قَالَتْ: لَمَّا كَانَ يَوْمُ أُحُدٍ هُزِمَ الْمُشْرِكُونَ، فَصَرَخَ إِبْلِيسُ، لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَيْهِ: أَيْ عِبَادَ اللَّهِ أُخْرَاكُمْ. فَرَجَعَتْ أُولَاهُمْ
পৃষ্ঠা - ২৬৮৯
فَاجْتَلَدَتْ هِيَ وَأُخْرَاهُمْ، فَبَصُرَ حُذَيْفَةُ، فَإِذَا هُوَ بِأَبِيهِ الْيَمَانِ فَقَالَ: أَيْ عِبَادَ اللَّهِ، أَبِي أَبِي. قَالَ: قَالَتْ: فَوَاللَّهِ مَا احْتَجَزُوا حَتَّى قَتَلُوهُ. فَقَالَ حُذَيْفَةُ: يَغْفِرُ اللَّهُ لَكُمْ. قَالَ عُرْوَةُ: فَوَاللَّهِ مَا زَالَ فِي حُذَيْفَةَ بَقِيَّةُ خَيْرٍ حَتَّى لَقِيَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قُلْتُ: كَانَ سَبَبُ ذَلِكَ ; أَنَّ الْيَمَانَ، وَثَابِتَ بْنَ وَقْشٍ كَانَا فِي الْآطَامِ مَعَ النِّسَاءِ ; لِكِبَرِهِمَا وَضَعْفِهِمَا، فَقَالَا: إِنَّهُ لَمْ يَبْقَ مِنْ آجَالِنَا إِلَّا ظِمْءُ حِمَارٍ فَنَزَلَا لِيَحْضُرَا الْحَرْبَ، فَجَاءَ طَرِيقُهُمَا نَاحِيَةَ الْمُشْرِكِينَ ; فَأَمَّا ثَابِتٌ فَقَتَلَهُ الْمُشْرِكُونَ، وَأَمَّا الْيَمَانُ فَقَتَلَهُ الْمُسْلِمُونَ خَطَأً، وَتَصَدَّقَ حُذَيْفَةُ بِدِيَةِ أَبِيهِ عَلَى الْمُسْلِمِينَ، وَلَمْ يُعَاتِبْ أَحَدًا مِنْهُمْ ; لِظُهُورِ الْعُذْرِ فِي ذَلِكَ. [فَصْلٌ فِي إِصَابَةِ عَيْنِ قَتَادَةَ بْنِ النُّعْمَانِ وَرَدِّ الرَّسُولِ عَلَيْهِ السَّلَامُ لَهَا] فَصْلٌ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَأُصِيبَ يَوْمَئِذٍ عَيْنُ قَتَادَةَ بْنِ النُّعْمَانِ حَتَّى سَقَطَتْ عَلَى وَجْنَتِهِ، فَرَدَّهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ، فَكَانَتْ أَحْسَنَ عَيْنَيْهِ وَأَحَدَّهُمَا. وَفِي الْحَدِيثِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ «أَنَّ قَتَادَةَ بْنَ النُّعْمَانِ أُصِيبَتْ عَيْنُهُ يَوْمَ
পৃষ্ঠা - ২৬৯০
أُحُدٍ حَتَّى سَالَتْ عَلَى خَدِّهِ، فَرَدَّهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَانَهَا، فَكَانَتْ أَحْسَنَ عَيْنَيْهِ وَأَحَدَّهُمَا، وَكَانَتْ لَا تَرْمِدُ إِذَا رَمَدَتِ الْأُخْرَى» وَرَوَى الدَّارَقُطْنِيُّ: بِإِسْنَادٍ غَرِيبٍ عَنْ مَالِكٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَخِيهِ قَتَادَةَ بْنِ النُّعْمَانِ قَالَ: «أُصِيبَتْ عَيْنَايَ يَوْمَ أُحُدٍ فَسَقَطَتَا عَلَى وَجْنَتِي، فَأَتَيْتُ بِهِمَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعَادَهُمَا مَكَانَهُمَا، وَبَصَقَ فِيهِمَا فَعَادَتَا تَبْرُقَانِ» . وَالْمَشْهُورُ الْأَوَّلُ ; أَنَّهُ أُصِيبَتْ إِنَّمَا عَيْنُهُ الْوَاحِدَةُ. وَلِهَذَا لَمَّا وَفَدَ وَلَدُهُ عَلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ لَهُ: مَنْ أَنْتَ؟ فَقَالَ لَهُ مُرْتَجِلًا: أَنَا ابْنُ الَّذِي سَالَتْ عَلَى الْخَدِّ عَيْنُهُ ... فَرَدَّتْ بِكَفِّ الْمُصْطَفَى أَحْسَنَ الرَّدِّ فَعَادَتْ كَمَا كَانَتْ لِأَوَّلِ أَمْرِهَا ... فَيَا حُسْنَ مَا عَيْنٍ وَيَا حَسَنَ مَا خَدِّ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ عِنْدَ ذَلِكَ: تِلْكَ الْمَكَارِمُ لَا قَعْبَاَنِ مِنْ لَبَنٍ ... شِيبًا بِمَاءٍ فَعَادَا بَعْدُ أَبْوَالَا ثُمَّ وَصَلَهُ فَأَحْسَنَ جَائِزَتَهُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
পৃষ্ঠা - ২৬৯১


আমি বলি, হযরত হুযায়ফ৷ র ৷প৩ ৷ ইয়ামান নিহত হওয়ার পটভুমি এই যে ইয়ামান এবং
ছাবিত ইবন ওয়াক্শ দুজনে মহিলাদের সাথে টিলাব উপর অবস্থান করছিলেন ৷ বার্ধক্য ও দৃর্বলতার
প্রেক্ষিতে৩ ৷ ওখানে ছিলেন ৷ তারা বললেন, গাধার তৃষ্ণা (স্বল্প সময়) ব্যতীত আমাদের
জীবনেরণ্ডে ৷ কিছু অবশিষ্ট নেই ৷ একথা বলে তারা যুদ্ধের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লেন ৷ ঘটনাক্রমে
র্তারা বেরিয়েছিলেন মুশরিকদের নিকটস্থ পথে ৷ ফলে মুশরিকর৷ ছাবিত (রা)-কে হত্যা করে ৷
আর ভুলবশত মুসলমানগণ ইয়ামান (রা) (ক শহীদ করে :ফলেন ৷ হযরত হুযায়ফা( (বা)
মুসলমানদের বিরুদ্ধে তার পিতার রক্তপণের দাবী ক্ষমা করে সে ন ৷ গ্রহণযোগ্য ওযরের কারণে
ঘটনার সাথে জড়িত ক ৷উকে তিনি দােষারুপ করেননি ৷

কাতাদা ইবন নু’মানের চোখ পুনঃন্থাপন

ইবন ইসহাক বলেন, সেদিন কাতাদা ইবন নুমানের একটি চোখে আঘাত লেগেছিল ৷
চোখটি স্থানচ্যুত হয়ে তার মুখমণ্ডলে ঝুলে পড়ে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজ হাতে চােখটি যথাস্থানে
বসিয়ে দেন ৷ পরে দুই চোখের মধ্যে এটিই বেশী সুন্দর ও ত্তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সম্পন্ন হয়ে উঠে ৷ হযরত
জাবির (বা) থেকে হাদীছে বর্ণিত আছে যে, উহুদ দিবসে কাতাদা ইবন নু’মানের চোখে আঘাত
লাগে ৷ চাে ৷খটি তার মুখের উপর ঝুলে পড়ে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সেটি য়থান্থানে বসিয়ে দেন৷ পরে
দুচোখের মধ্যে সেটিই সুন্দর ও প্ৰখর দৃষ্টির অধিকারী হয় ৷ অন্য চোখ মাঝে মাঝে রেম্পোগ্নস্ত হত;
কিন্তু এটি কোন দিন বোপাক্রাত হত না ৷

দারাকুতনী স্বয়ং কাতাদার বরাতে এ বংনাি উদ্ধৃত করেছেন ৷ এতে তিনি বলেছেন, উহুদ
দিবসে আমার দুচােখেই আঘাত লাগে ৷ দুচোখ আমার পালের উপর ঝুলে পড়ে ৷ এ অবস্থায়
আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আসি ৷ তিনি চোখ দুটো যথান্থানে বসিয়ে দেন এবং একটু লালা
লাগিয়ে দেন ৷ ফলে দুটো ৷ই প্ৰখর দৃষ্টির অধিকারী হয় ৷

তবে তার একটি চোখে আঘাত লাগার প্রথম বংানাটি বিশুদ্ধত ৩র ৷ এজনােই উমার ইবন

আবদুল আযিয়ের শাসনামলে কাতাদার পুত্র যখন তার নিকট উপস্থিত হয় তখন তিনি বলেছিলেন,
আপনি (ক ? উত্তরে ছন্দাক ৷রে৩ তিনি বলেছিলেন :

ট্টটুা৷ দ্বু১ক্ট্র৷ ট্রু,ট্রু৷ ৷ঠুা
আমি সেই ব্যক্তির পুত্র যার চোখ ঝুলে৩ তার গানের উপর পড়েছিল ৷ এরপর মুস্তাফা (সা )
স্বহস্তে সুন্দরভ ৷বে সেটি যথান্থানে ত৷ ৷াপুনঃন্থ পন করেছিলেন ৷
র্দুাঠ্র্চু
এরপর সেটি হয়ে গেল তেমন যেমনটি ছিল ইতিপুর্বে ৷ বাহ্ ! কী চমৎকার ওই চোখ ! বাহ
কী চমৎকার ওই গন্ডদেশ ৷

তখন উমর ইবন আবদুল আযীয নিজেও কবিতার ছন্দে ঐ ঘটনার প্রশংসা করে সাদর
অভ্যর্থনা জানান এবং তাকে মুল্যবান উপচৌকন প্রদান করেন ৷


[فَصْلٌ فِي قِتَالِ أُمِّ عُمَارَةَ نَسِيبَةَ بِنْتِ كَعْبٍ الْمَازِنِيَّةِ يَوْمَ أُحُدٍ] فَصْلٌ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَقَاتَلَتْ أُمُّ عُمَارَةَ نَسِيبَةُ بِنْتُ كَعْبٍ الْمَازِنِيَّةُ يَوْمَ أُحُدٍ، فَذَكَرَ سَعِيدُ بْنُ أَبِي زَيْدٍ الْأَنْصَارِيُّ أَنَّ أُمَّ سَعْدٍ بِنْتَ سَعْدِ بْنِ الرَّبِيعِ كَانَتْ تَقُولُ: دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ عُمَارَةَ، فَقُلْتُ لَهَا: يَا خَالَةُ، أَخْبِرِينِي خَبَرَكِ. فَقَالَتْ: خَرَجْتُ أَوَّلَ النَّهَارِ أَنْظُرُ مَا يَصْنَعُ النَّاسُ وَمَعِي سِقَاءٌ فِيهِ مَاءٌ، فَانْتَهَيْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي أَصْحَابِهِ، وَالدَّوْلَةُ وَالرِّيحُ لِلْمُسْلِمِينَ، فَلَّمَا انْهَزَمَ الْمُسْلِمُونَ انْحَزْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُمْتُ أُبَاشِرُ الْقِتَالَ، وَأَذُبُّ عَنْهُ بِالسَّيْفِ، وَأَرْمِي عَنِ الْقَوْسِ، حَتَّى خَلَصَتِ الْجِرَاحُ إِلَيَّ. قَالَتْ: فَرَأَيْتُ عَلَى عَاتِقِهَا جُرْحًا أَجْوَفَ لَهُ غَوْرٌ، فَقُلْتُ لَهَا: مَنْ أَصَابَكِ بِهَذَا؟ قَالَتْ: ابْنُ قَمِئَةَ أَقْمَأَهُ اللَّهُ، لَمَّا وَلَّى النَّاسُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْبَلُ يَقُولُ: دُلُّونِي عَلَى مُحَمَّدٍ، لَا نَجَوْتُ إِنْ نَجَا. فَاعْتَرَضْتُ لَهُ أَنَا وَمُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ وَأُنَاسٌ مِمَّنْ ثَبَتَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَضَرَبَنِي هَذِهِ الضَّرْبَةَ، وَلَقَدْ ضَرَبْتُهُ عَلَى ذَلِكَ ضَرَبَاتٍ، وَلَكِنَّ عَدُوَّ اللَّهِ كَانَتْ عَلَيْهِ دِرْعَانِ.
পৃষ্ঠা - ২৬৯২

উহুদ যুদ্ধে উম্মে আমার প্রমুখের বীরত্ব প্রদশ্নি

ইবন হিশাম বলেন, উম্মু আমারা নাসীব৷ বিনৃত কাব মাযিনী (বা) উহুদ দিবসে যুদ্ধে অংশ
গ্রহণ করেন ৷ এ প্রসত্বুগ সাঈদ ইবন আবু যায়দ আনসারী বলেন যে উম্মু সাদ বিন্ত সাদ ৩ইবন
সম্পর্কে কিছু বলুন ৷ তিনি বললেন, ওই দিন আমি সকাবুলর দিকে বের হয়ে পড়ি ৷ লোকজন কী
করছে আমি তা দেখছিলাম ৷ আমার সাথে একটি পানি ভর্তি মশক ছিল ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর নিকট পর্যন্ত পৌছে যাই ৷ সেখানে তার সাহাবীগণ ছিলেন ৷ তখন মুসলমানদের
বিজয়ের পালা চলছিল ৷ কিন্তু পরবতীৰিত যখন মুসলমানগণ পরাজিত হলেন, তখন আমি
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর নিকট গিয়ে আশ্রয় নিলাম ৷ আমি তাবুক রক্ষা র জবুন৷ সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত
হই ৷ তরবারি পরিচালনা কবুর এবং তীর নিক্ষেপ করে শত্রুদেরকে দুরে তাড়িয়ে দিই ৷ এতে
আমি যখন হই ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আমি তবে কী ৷ধে যখমের চিহ্ন ৷দাখছি ৷ সেটি ছিল বৃত্তাকার
গভীর গত ৷ কে এই আঘাত করেছিলত ৷আমি তাবুক জিজ্ঞেস কবি ৷ ৷হুন্শুনি বললেন , ওই আঘাত
করেছিল অভিশপ্ত ইবন কামিয়া ৷ সাথিগণ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) থেকে দুরে চলে যাওয়ার পর সে এসে
বলল, মুহাম্মাদ কোথায় আমাকে দেখিয়ে দাও ৷ সে বেচে থাকলে আমার রক্ষা নেই ৷ আমি নিজে,
মুসআব ইবন উমায়র এবং অন্য কতক লোক রাসুলুল্লাহ্ (সা)-বুক রক্ষার জন্যে দাড়িয়ে গেলাম ৷
তখন সে আমার উপর এই আক্রমণ চালায় আমি তাকে পা ৷ল্ট৷ কয়েকবার আক্রমণ করি ; কিন্তু
আল্লাহর সেই দৃশমন দুটো ৷লৌহবর্ম পরিহিত ছিল যার কলেত তার গায়ে আঘাত লাগেনি ৷

ইবন ইসহাক বলেন , আবু দৃজানা নিজে ঢাল স্বরুপ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) — এর সম্মুখে দাড়িয়ে যান ৷
তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দিকে মুখ করে একটুখানি ঝুবুক অবস্থান (নন ৷ শত্রুর তীরগুলাে তার
পিঠে এসে বিধবুত থাকে ৷ তাতে করে বহু তীর তার পিঠে বিদ্ধ হয় ৷ ইবন ইসহাক বলেন,
আসিম ইবন উমর ইবন কাতাদা আমাকে জানিয়েছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) ত৷ র ধনুক দিয়ে তীর
নিক্ষেপ করেছিলেন ৷ এক পর্যায়ে ধ্নুবুকর মাথা দু ”টি ভেঙ্গে যায় ৷ কাত ৷দা ইবন নু মান ওই ধনুক
নিয়ে যান ৷ সেটিত ৷ব ৷নিকটই থাকত ৷

ইবন ইসহাক বলেন, বানু আদী ইবন নাজ্জার গোত্রের লোক কাসিম ইবন আবদুর রহমান
বলেছেন, আনাস ইবন মালিকের চাচা আনাস ইবন নাযর গিয়ে পৌছলেন উমর ইবন খাত্তাব ও
তালহ৷ ইবন উবায়দুল্লাহ্ সহ কতক মুহাজির ও আনসার সাহাবীর নিকট ৷ তারা সকলে তখন হাত
গুটিয়ে বসে রয়েছিলেন ৷ তিনি বললেন, আপনারা হাত গুটিয়ে বসে আছেন কেন ? তারা বললেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তো নিহত হয়েছেন ৷ তিনি বলেন, তাহলে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর অবর্তমাবুন
আপনাদের বেচে থাকার কী অর্থ ? বরং উঠুন, যুদ্ধ করুন যে জন্যে রাসুলুল্লাহ্ ( সা ) প্রাণ দিয়েছেন
আপন৷ ৷রাও সে উদ্দেবুশ্য প্রাণ বিসর্জন দিন ৷ এরপর তিনি শত্রুবুদর মুখোমুখি হলেন ৷ এবং যুদ্ধ
করবুত করতে শহীদ হলেন ৷ত তার নাম অনুসাবুরই আনাস ইবন মালিকের নাম রাখা হয় ৷ হুমায়দ
আততাবীল আমাকে জ লিখেছেন যে, আনাস ইবন মালিক বলেছেন, উহুদের দিবসে আমরা
আনাস ইবন নাযবুরর দেহে ৭০টি আঘাত দেখেছি ৷ একমাত্র তার বোন ব্যতীত অন্য কেউ তার
লাশ সনাক্ত করতে পারেনি ৷ তবে হাতের আঙ্গুল দেখে তিনি তাকে সনাক্ত করেছিলেন ৷ ইবন


قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَترَّسَ أَبُو دُجَانَةَ دُونَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَفْسِهِ، يَقَعُ النَّبْلُ فِي ظَهْرِهِ، وَهُوَ مُنْحَنٍ عَلَيْهِ، حَتَّى كَثُرَ فِيهِ النَّبْلُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَمَى عَنْ قَوْسِهِ حَتَّى انْدَقَّتْ سِيَتُهَا، فَأَخَذَهَا قَتَادَةُ بْنُ النُّعْمَانِ فَكَانَتْ عِنْدَهُ» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ رَافِعٍ أَخُو بَنِي عَدِيِّ بْنِ النَّجَّارِ قَالَ: انْتَهَى أَنَسُ بْنُ النَّضْرِ عَمُّ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَطَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ فِي رِجَالٍ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ، وَقَدْ أَلْقَوْا بِأَيْدِيهِمْ، فَقَالَ: فَمَا يُجْلِسُكُمْ؟ قَالُوا: قُتِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَمَا تَصْنَعُونَ بِالْحَيَاةِ بَعْدَهُ؟ ! قُومُوا فَمُوتُوا عَلَى مَا مَاتَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ اسْتَقْبَلَ الْقَوْمَ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، وَبِهِ سُمِّيَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ. فَحَدَّثَنِي حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: لَقَدْ وَجَدْنَا بِأَنَسِ بْنِ النَّضْرِ يَوْمَئِذٍ سَبْعِينَ ضَرْبَةً، فَمَا عَرَفَهُ إِلَّا أُخْتُهُ، عَرَفَتْهُ بِبَنَانِهِ.
পৃষ্ঠা - ২৬৯৩
قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ أُصِيبَ فُوهُ يَوْمَئِذٍ، فَهَتِمَ وَجُرِحَ عِشْرِينَ جِرَاحَةً أَوْ أَكْثَرَ، أَصَابَهُ بَعْضُهَا فِي رِجْلِهِ فَعَرَجَ. صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَمُتْ فِي أُحُدٍ] فَصْلٌ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ عَرَفَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بَعْدَ الْهَزِيمَةِ وَقَوْلِ النَّاسِ: قُتِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. كَمَا ذَكَرَ لِي الزُّهْرِيُّ - كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ: رَأَيْتُ عَيْنَيْهِ تُزْهِرَانِ مِنْ تَحْتِ الْمِغْفَرِ، فَنَادَيْتُ بِأَعْلَى صَوْتِي: يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ، أَبْشِرُوا هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَأَشَارَ إِلَيَّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أَنْصِتْ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا عَرَفَ الْمُسْلِمُونَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَضُوا بِهِ، وَنَهَضَ مَعَهُمْ نَحْوُ الشِّعْبِ، مَعَهُ أَبُو بَكْرٍ الصَّدِّيقُ، وَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَطِلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، وَالزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ، وَالْحَارِثُ بْنُ الصِّمَّةِ وَرَهْطٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَلَمَّا أُسْنِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الشِّعْبِ أَدْرَكَهُ أُبَيُّ
পৃষ্ঠা - ২৬৯৪

হিশাম বলেন, কেউ কেউ আমাকে জানিয়েছেন যে, আবদুর রহমান ইবন আউফ সেদিন মুখে
আঘাত পেয়েছিলেন ৷ তাতে তার র্দাত ভেঙ্গে গিয়েছিল ৷৩ তার দেহে কুড়িটির ও বেশী আঘাত
লেগেছিল ৷ তার কতক ছিল পায়ে ৷ ফলে তিনি খুড়িয়ে চলতেন ৷

অধ্যায় : ইবন ইসহাক বলেন, মুসলমানদের ছত্রভঙ্গ হওয়া এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিহত
হয়েছেন এই গুজব রটনার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে সর্বপ্রথম সনাক্ত করেন কাব ইবন মালিক
(বা) ৷ যুহরী বলেছেন যে, এ প্রসং গে কাব ইবন মালিক বলেচেন, আমি দেখতে পেলাম যে,
রাসুলুল্লাহ (সা ) এর শিরস্ত্রাণের নীচ দিয়ে তার চোখ দু’টি থেকে আলো ঠিকরে বােবাচ্ছে ৷ আমি
উচ্চস্বরে চীৎকার করে বলে উঠলাম, হে যুসলমানগণ! সৃসংবন্দে নিন, এই যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
এখানে আছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইশারায় আমাকে চুপ থাকতে বললেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, মুসলমানগণ রাসুলুল্লাহ্ (সা) (ক চিনতে ৷;পরে তাকে ধরে উঠালেন ৷
তিনি তাদের সাথে গিরিপথের দিকে রওয়ানা হলেন ৷ আবু বকর বাসদ্দকৈ (বা) উমার ইবন খাত্তাব
(রা), আ ৷লী ইবন আবুতা ৩ালিব (বা), তা ৩ালহ৷ ইবন উবায়দৃল্লাহ্ (রা), যুবায়র ইবন আওয়াম (রা) ,
হারিছ ইবন সাম্মাহ (রা ) ও একজন মুসলমান তখন তার সাথে ছিলেন ৷ তিনি বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ৷
এ সময় উবাই ইবন খালাফ সেখানে হাযির হয় ৷ ইবন ইসহাক বলেন, সালিহ ইবন কায়সান ইবন
আবদুর রহমান ইবন আওফ আমাকে জানিয়েছেন যে, মক্কায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে উব ই
ইবন খালাফের দেখ৷ হলে সে বলত হে মুহাম্মাদ! আমার একটি ওে ন্জী ঘোড়৷ আছে ৷ প্রতিদিন
আমি সেটিকে প্রায় ৮ সের তাজা ঘাস খেতে দেই ৷ ওই ঘোড়ার চড়ে আমি তোমাকে হত্যা
করব ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে বলতেন, বরং ইনশা-আল্লাহ্ আমি (তাকে হত্যা করব ৷
উহুদের যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাতে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে সে কুরায়শদের নিকট ফিরে যায় ৷ তার
ঘাড়ে আঘাত লেগেছিল ৷ সেটি খুব বড় ক্ষত ছিল না ৷ সেখানে রক্ত জমাট বেধেছিল ৷ তা
প্রবাহিত হয়নি ৷ সে তখন বলছিল, আল্লাহর কসম, মুহাম্মাদ (সা) তো আমাকে খুন করে
ফেলেছে ৷ তার সাথীরা বলল, আসলে এটি তোমার মনের ভয় ৷ আল্লাহর কসম, তোমার আঘাত
তো সামান্য মাত্র ৷ সে বলেছিল, মক্কাতে মুহাম্মাদ আমাকে বলেছিল যে সে আমাকে হত্যা
করবে ৷ এখন সে যদি আমার প্ৰতি ৩থুথুও নিক্ষেপ করত ৩তবু আমি মারা যেত ৷ম ৷ মক্কা ফেরার
পথে সারিক নামক স্থানে আল্লাহর এ দুশমনের মৃঙু তা হয় ৷ ইবন ইসহাক বলেন, এ প্রসংগে
হাসৃসান ইবন ছাবিত নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করেন :


সে তো তার পিতা উব ই থেকে উত্তরাধিকার সুত্রে এ ভ্রষ্টত ৷ পেয়েছে ৷ সেদিন রাসুলুল্লাহ্
(সা ) তার বিরুদ্ধে লড়াই করলেন ৷


,)টুছু,ঠু ন্
একটি পুরনো হাড় হাতে নিয়ে ঙুমিষ্ তার নিকট এসেছে ৷ তুমিত তাকে ভয় দেখাচ্ছিলে ৷ অথচ
তীর অবস্থান ও মর্যাদা সষ্পকে তুমি নিত ৷ম্ভই অজ্ঞ ৷


بْنُ خَلَفٍ. فَذَكَرَ قَتْلَهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أُبَيًّا كَمَا تَقَدَّمَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ أُبَيُّ بْنُ خَلَفٍ - كَمَا حَدَّثَنِي صَالِحُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ - يَلْقَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ فَيَقُولُ: يَا مُحَمَّدُ، إِنَّ عِنْدِي الْعَوْدَ ; فَرَسًا أَعْلِفُهُ كُلَّ يَوْمٍ فَرَقًا مِنْ ذُرَةٍ، أَقْتُلُكَ عَلَيْهِ. فَيَقُولُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بَلْ أَنَا أَقْتُلُكَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، فَلَّمَا رَجَعَ إِلَى قُرَيْشٍ وَقَدْ خَدَشَهُ فِي عُنُقِهِ خَدْشًا غَيْرَ كَبِيرٍ، فَاحْتَقَنَ الدَّمُ، فَقَالَ: قَتَلَنِي وَاللَّهِ مُحَمَّدٌ. فَقَالُوا لَهُ: ذَهَبَ وَاللَّهِ فُؤَادُكَ، وَاللَّهِ إِنَّ بِكَ بَأْسٌ. قَالَ: إِنَّهُ قَدْ كَانَ قَالَ لِي بِمَكَّةَ: أَنَا أَقْتُلُكَ. فَوَاللَّهِ لَوْ بَصَقَ عَلَيَّ لَقَتَلَنِي. فَمَاتَ عَدُوُّ اللَّهِ بِسَرِفٍ وَهُمْ قَافِلُونَ بِهِ إِلَى مَكَّةَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ: فِي ذَلِكَ: لَقَدْ وَرِثَ الضَّلَالَةَ عَنْ أَبِيهِ ... أُبَيٌّ يَوْمَ بَارَزَهُ الرَّسُولُ
পৃষ্ঠা - ২৬৯৫

’মোঃট্ট এ
বানু নাজ্জা র গোত্র তোমাদের থেকে উম ৷ইয়াকে হত্যা করেছে ৷ যখন ৫ ন ফবিয়াদ জানাচ্ছিল
আর বলছিলপৃ হে আকীল
রাবী আ এর দুপু এই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ৷ যখন তারা আবু জাহলের আনুগত্য করেছে ৷
ওদের মা তো ধ্বং সশীল৷ বটে ৷
’ ৷

হে হারিছ ! তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ এ কারণে যে, আমাদের সকলকে তোমরা যুদ্ধে ব্যস্ত
রেখেছিলে ৷ বস্তুত তার সম্প্রদায়ের লোকজন কমই ৷

হাসৃসান ইবন ছাবিত (বা ) আরো বলেছেন :

১া৷

কে আছে, আমার পক্ষ থেকে উবাইকে এ সংবাদ পৌছিয়ে দেবে যে হে উবাই তুমি তো
জাহান্ন৷ মের আগুনে নিক্ষিপ্ত হয়েছে ৷



তুমিব্ব তা সত্য থেকে বহু দুরের ভ্রান্তি কামনা কর ৷ তুমি যদি সক্ষম হও তবে এই
সতকর্তকারীর মুকাবিলায় টিকে থাক ৷

fl ’ fl

তোমার সকল কামনা বাসনা তো মিথ্যা ও অসত্যকে ঘিরে আবর্তিত ৷ কুফরী কথাবার্তা শেষ
পর্যন্ত প্ৰতারণায় পর্যবসিত হয় ৷
’ ঞ এে

প্রচণ্ড আত্মসম্মানবাে ধের অধিকারী নবী (সা) এর বর্শ৷ তোমাকে আঘাত করেছে ৷ তিনি স্ন্তুাম্ভ
ব ংশীয় ৷ অশ্লীলত৷ তাকে স্পর্শ করেনি ৷
সৎ গুণাবলী বিবেচনায় প্ৰশংসনীয় বিষয়গুলো ৷র মুল্যায়নে তিনি সকল মানুষের চাইতে শ্রেষ্ঠ ৷
ইবন ইসহাক বলেন, গিরিপথের প্রবেশ মুখে যাবার পর আলী (বা) তার ঢাল ভর্তি করে পানি
নিয়ে এলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তা পান করতে পেলেন ৷ কিন্তু তাতে দুর্গন্ধ পেলেন ৷ ফলে ওই


أَتَيْتَ إِلَيْهِ تَحْمِلُ رِمَّ عَظْمٍ ... وَتُوعِدُهُ وَأَنْتَ بِهِ جَهُولُ وَقَدْ قَتَلَتْ بَنُو النَّجَّارِ مِنْكُمْ ... أُمَيَّةَ إِذْ يُغَوِّثُ يَا عَقِيلُ وَتَبَّ ابْنَا رَبِيعَةَ إِذْ أَطَاعَا ... أَبَا جَهْلٍ لِأُمِّهِمَا الْهَبُولُ وَأَفْلَتَ حَارِثٌ لَمَّا شُغِلْنَا ... بِأَسْرِ الْقَوْمِ أُسْرَتُهُ فَلِيلُ وَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ أَيْضًا: أَلَا مَنْ مُبْلِغٌ عَنِّي أُبَيًّا ... فَقَدْ أُلْقِيتَ فِي سُحُقِ السَّعِيرِ تَمَنَّى بِالضَّلَالَةِ مِنْ بَعِيدٍ ... وَتُقْسِمُ إِنْ قَدَرْتَ مَعَ النُّذُورِ تَمَنِّيكَ الْأَمَانِي مِنْ بَعِيدٍ ... وَقَوْلُ الْكُفْرِ يَرْجِعُ فِي غُرُورِ فَقَدْ لَاقَتْكَ طَعْنَةُ ذِي حِفَاظٍ ... كَرِيمِ الْبَيْتِ لَيْسَ بِذِي فُجُورِ لَهُ فَضْلٌ عَلَى الْأَحْيَاءِ طُرًّا ... إِذَا نَابَتْ مُلِمَّاتُ الْأُمُورِ
পৃষ্ঠা - ২৬৯৬
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا انْتَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى فَمِ الشِّعْبِ، خَرَجَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ حَتَّى مَلَأَ دَرَقَتَهُ مَاءً مِنَ الْمِهْرَاسِ، فَجَاءَ بِهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيَشْرَبَ مِنْهُ، فَوَجَدَ لَهُ رِيحًا فَعَافَهُ وَلَمْ يَشْرَبْ مِنْهُ، وَغَسَلَ عَنْ وَجْهِهِ الدَّمَ، وَصَبَّ عَلَى رَأْسِهِ وَهُوَ يَقُولُ: " اشْتَدَّ غَضَبُ اللَّهِ عَلَى مَنْ دَمَّى وَجْهَ نَبِيَّهُ " وَقَدْ تَقَدَّمَ شَوَاهِدُ ذَلِكَ مِنَ الْأَحَادِيثِ الصَّحِيحَةِ بِمَا فِيهِ الْكِفَايَةُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَبَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الشِّعْبِ، مَعَهُ أُولَئِكَ النَّفَرُ مِنْ أَصْحَابِهِ، إِذْ عَلَتْ عَالِيَةٌ مِنْ قُرَيْشٍ الْجَبَلَ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ فِيهِمْ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اللَّهُمَّ إِنَّهُ لَا يَنْبَغِي لَهُمْ أَنْ يَعْلُونَا فَقَاتَلَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَرَهْطٌ مَعَهُ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ حَتَّى أَهْبَطُوهُمْ مِنَ الْجَبَلِ، وَنَهَضَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى صَخْرَةٍ مِنَ الْجَبَلِ لِيَعْلُوَهَا، وَقَدْ كَانَ بَدَّنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَظَاهَرَ بَيْنَ دِرْعَيْنِ، فَلَمَّا ذَهَبَ لِيَنْهَضَ لَمْ يَسْتَطِعْ، فَجَلَسَ تَحْتَهُ طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ فَنَهَضَ بِهِ حَتَّى اسْتَوَى عَلَيْهَا، فَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ الزُّبَيْرِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَوْمَئِذٍ: أَوْجَبَ طَلْحَةُ
পৃষ্ঠা - ২৬৯৭

পানি পান করলেন না ৷ সেটি দিয়ে রক্ত ধুয়ে নিলেন এবং মাথায় ঢাললেন ৷ তিনি তখন রলছিলেন ,
“যারা নবীর মুখমণ্ডল রক্তাক্ত করেছে তাদের উপর আল্লাহর অসন্তুষ্টি কঠোর হোক ! এ বিষয়ে
ইতিপুর্বে পযাপ্ত সংখ্যক সহীহ হাদীছ আমরা উল্লেখ করেছি ৷

ইবন ইসহাক বলেন , রাসুলুল্লাহ্ (সা) গিরি সংকটে অবস্থান করছিলেন ৷ তার সাথে উল্লিখিত
সাহাবীপণ ছিলেন ৷ কুরায়শের একটি দল তাদেরকে লক্ষ্য করে উপরে উঠতে লাগল ৷ ইবন
হিশাম বলেন, ওই দর্লে খালিদ ইবন ওলীদও ছিল ৷ ইবন ইসহাক বলেন, রড়াসুলুল্লাহ্ ( না) তখন
বললেন হে আল্লাহ্ ! ওরা আমাদের নিকট পর্যন্তও যেন না অত্যেতে পারে ৷

হযরত উমার (বা) ও কতক মুহাজির মুসলমান ওদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে
ওদেরকে পাহাড় থেকে নামিয়ে দিলেন ৷ রড়াসুলুল্লাহ্ (সা ) একটি পা থরে উঠতে প্রয়াস পেলেন ৷
কিন্তু তার পরিধানে দুটো লৌহবর্য ছিল ৷ ফলে তিনি পাথরের উপর উঠতে পারলেন না ৷ এ
অবস্থায় তালহা ইবন উবায়দুল্লাহ্ বসে পড়লেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) তার পিঠে উঠলেন ৷ তালহা
র্তাকে নিয়ে পাথরের উপরে উঠে এলেন ৷ ইয়াহ্য়া ইবন আব্বাদ — যুবায়র (বা) সুত্রে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন, সেদিন আমি শুনেছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জন্যে তালহা যা করেছিলেন তার
প্রেক্ষিতে তিনি বলছিলেন “তালহার জন্যে জান্নাত অবধারিত হয়ে গিয়েছে ৷

ইবন হিশাম বলেন, আফরার আযাদকৃত গোলাম উমর বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) শরীরে
আঘাত প্রাপ্ত হওয়ায় ওই দিন যুহরের নামায বসে বসে আদায় করেন ৷ মুসলমানপণও বসে বসে
নামায আদায় করেছিলেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন, আসিম ইবন উমর ইবন কাতাদা বলেছেন,
আমাদের মধ্যে জনৈক আগন্তুকের আগমন ঘটেছিল তার পরিচয় কারো নিকট জানা ছিল না ৷
তাকে কুযমান’ নামে ডাকা হচ্ছিল ৷ তার সম্পর্কে আলোচনা হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলতেন “ সে
অবশ্যই জড়াহান্নামী” ৷ উহুদ দিবসে মুসলমানদের সপক্ষে সে প্রচণ্ড যুদ্ধ করে ৷ ৭৮ জন
মুশরিককে সে একাই হত্যা করে ৷ যে খুব শক্তিশালী ছিল ৷ এক পর্যায়ে শত্রু পক্ষের আঘাতে
আঘাতে সে অচল হয়ে পড়ে ৷ বানু যফর গোত্রের এলাকায় তাকে বয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তার
সম্পর্কে মুসলমানপণ বলতে থাকেন যে, হে কুয়মান, তুমি আজকে ভীষণ কষ্ট ভোগ করেছ ৷ এর
বিনিময়ে পুরস্কারের সুসংবাদ গ্রহণ কর! সে বলল, কেমন সুসংবাদ নেব , আমি তো লড়াই করেছি
আমার সম্প্রদায়ের ইজ্জত রক্ষার্থে, তা নাহলে আমি আদৌ লড়াই করতাম না ৷ এক পর্যায়ে তার
ক্ষতস্থানে ভীষণ ব্যথা শুরু হয় ৷ নিজের ভুণ থেকে সে একটি তীর বের করে সেটি দ্বারা
আত্মহত্যা করে ৷ এ রকম একটি ঘটনা খায়বারের যুদ্ধেও ঘটেছিল, তার বিবরণ অবিলম্বে আসবে
ইনশাআল্লাহ্ ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন আবদুর রাঘৃযাক আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, আমরা রড়াসুলুল্পাহ্ (সা)-এর সাথে খায়বারের যুদ্ধে উপ ত ছিলাম ৷ ইসলাম
গ্রহণের দাবীদার এক লোকের দিকে ইঙ্গিত করে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এই লোকটি
জাহান্নামী’ ৷ যুদ্ধ শুরু হল, লোকটি প্রচণ্ড লড়াই করছিল ৷ এক পর্যায়ে সে আহত হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা)ষ্কে জানানো হল যে, যে ব্যক্তিকে আপনি জাহড়ান্নড়ামী বলেছিলেন সে তো প্রচণ্ড যুদ্ধ করেছে
আজ এবং আহত হয়ে মারা গেছে ৷ তিনি বললেন, যে জাহান্নড়ামীই বটে ৷ র্তার এ কথায় কারো

১ :

حِينَ صَنَعَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذَ مَا صَنَعَ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَذَكَرَ عُمَرُ مَوْلَى غُفْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الظَّهْرَ يَوْمَ أُحُدٍ قَاعِدًا مِنَ الْجِرَاحِ الَّتِي أَصَابَتْهُ، وَصَلَّى الْمُسْلِمُونَ خَلْفَهُ قُعُودًا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ قَالَ: كَانَ فِينَا رَجُلٌ أَتَى لَا يُدْرَى مَنْ هُوَ، يُقَالُ لَهُ: قُزْمَانُ. فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِذَا ذُكِرَ لَهُ: إِنَّهُ لَمِنْ أَهْلِ النَّارِ قَالَ: فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ أُحُدٍ قَاتَلَ قِتَالًا شَدِيدًا، فَقَتَلَ وَحْدَهُ ثَمَانِيَةً أَوْ سَبْعَةً مِنَ الْمُشْرِكِينَ، وَكَانَ ذَا بَأْسٍ، فَأَثْبَتَتْهُ الْجِرَاحَةُ، فَاحْتُمِلَ إِلَى دَارِ بَنِي ظَفَرٍ. قَالَ: فَجَعَلَ رِجَالٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَقُولُونَ لَهُ: وَاللَّهِ لَقَدْ أَبْلَيْتَ الْيَوْمَ يَا قُزْمَانُ فَأَبْشِرْ. قَالَ: بِمَاذَا أُبْشِرُ؟ فَوَاللَّهِ إِنْ قَاتَلْتُ إِلَّا عَنْ أَحْسَابِ قَوْمِي، وَلَوْلَا ذَلِكَ مَا قَاتَلْتُ. قَالَ: فَلَمَّا اشْتَدَّتْ عَلَيْهِ جِرَاحَتُهُ أَخَذَ سَهْمًا مِنْ كِنَانَتِهِ فَقَتَلَ بِهِ نَفْسَهُ. وَقَدْ وَرَدَ مِثْلُ قِصَّةِ هَذَا فِي غَزْوَةِ خَيْبَرَ كَمَا سَيَأْتِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ.
পৃষ্ঠা - ২৬৯৮
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «شَهِدْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ فَقَالَ لِرَجُلٍ مِمَّنْ يَدَّعِي الْإِسْلَامَ: هَذَا مِنْ أَهْلِ النَّارِ. فَلَمَّا حَضَرَ الْقِتَالُ قَاتَلَ الرَّجُلُ قِتَالًا شَدِيدًا، فَأَصَابَتْهُ جِرَاحَةٌ، فَقِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، الرَّجُلُ الَّذِي قُلْتَ: إِنَّهُ مِنْ أَهْلِ النَّارِ. قَاتَلَ الْيَوْمَ قِتَالًا شَدِيدًا، وَقَدْ مَاتَ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِلَى النَّارِ فَكَادَ بَعْضُ الْقَوْمِ يَرْتَابُ، فَبَيْنَمَا هُمْ عَلَى ذَلِكَ، إِذْ قِيلَ: فَإِنَّهُ لَمْ يَمُتْ، وَلَكِنْ بِهِ جِرَاحٌ شَدِيدَةٌ. فَلَمَّا كَانَ مِنَ اللَّيْلِ لَمْ يَصْبِرْ عَلَى الْجِرَاحِ، فَقَتَلَ نَفْسَهُ، فَأُخْبِرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ فَقَالَ: اللَّهُ أَكْبَرُ، أَشْهَدُ أَنِّي عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ. ثُمَّ أَمَرَ بِلَالًا فَنَادَى فِي النَّاسِ: أَنَّهُ لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلَّا نَفْسٌ مُسْلِمَةُ، وَأَنَّ اللَّهَ يُؤَيِّدُ هَذَا الدِّينَ بِالرَّجُلِ الْفَاجِرِ» . وَأَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ بِهِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ مِمَّنْ قُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ مُخَيْرِيقُ وَكَانَ أَحَدَ بَنِي ثَعْلَبَةَ بْنِ الْفِطْيَوْنَ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ أُحُدٍ قَالَ: يَا مَعْشَرَ يَهُودَ، وَاللَّهِ لَقَدْ عَلِمْتُمْ أَنَّ نَصْرَ مُحَمَّدٍ عَلَيْكُمْ لَحَقٌّ. قَالُوا: إِنَّ الْيَوْمَ يَوْمُ السَّبْتِ. قَالَ: لَا سَبْتَ لَكُمْ. فَأَخَذَ سَيْفَهُ وَعُدَّتَهُ وَقَالَ: إِنْ أُصِبْتُ فَمَالِي لِمُحَمَّدٍ يَصْنَعُ فِيهِ مَا شَاءَ. ثُمَّ غَدَا إِلَى
পৃষ্ঠা - ২৬৯৯


কারো সৎশয় সৃষ্টি হওয়ার উপক্রম হয় ৷ এ অবস্থায় খবর পাওয়া গেল যে ওই লোক মারা যায়নি ৷
ববং ভীষণভাবে আহত অবস্থায় রয়েছে ৷ ওই রাতে ক্ষত ও আঘাতের যন্ত্রণায় সে অস্থির হয়ে
উঠে ৷ শেষ পর্যন্ত অধৈর্য হয়ে সে আত্মহত্যা করে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে তা জানানো হলে তিনি
বলে উঠলেন, আল্লাহ আকবর, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি আল্লাহর বান্দ৷ ও রাসুল ৷ এরপর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত বিলাল (রা) কে নির্দেশ দিলেন ৷ নির্দেশক্রমে তিনি ঘোষণা দিলেন যে,
মুসলমান ব্যভীত কেউ জ ৷ন্নাতে যাবে না এবং পাপাচা ৷রী ব্যক্তি দ্বারা আৰু:াহ্ তা আনা এই দীনকে
সাহায্য করবেন ৷ ইমাম বুখারী ও মুসলিম (র)৩ তাদের সহীহ্ গ্রন্থে আবদুর রাযযাক সুত্রে এই
হাদীছটি উদ্ধৃত করেছেন ৷
ইবন হসহাক বলেন, ডহ্দ যুদ্ধে নিহ৩দের একজন ছিলেন মুখ্যয়রীক ৷ সে বানু ছালাব৷ ইবন

পীভুন গোত্রের লোক ছিল ৷ উহুদ দিবসে সে৩ার সম্প্রদায়কে ডেকে বলল, হে ইয়াহুদী সম্প্রদায়
আল্লাহর কসম, তোমরা তো জান যে, মুহাম্মাদ (সা) কে সাহায্য করা তোমাদের কর্তব্য ৷ তারা
বলল, আজ তো ৷শনিবার ৷ সে বলল, ৫৩ আমাদের কোন শনিবার নেই ৷ সে তার যুদ্ধ সরঞ্জাম ও

তরবারি নিয়ে বেরিয়ে পড়ল এবং বলল, আমি যুদ্ধে নিহত হলে আমার সকল ধন সম্পদ মুহাম্মাদ
(সা) এর জন্যে হয়ে যাবে ৷ তিনি ওই সম্পদে যা চান৩াই করবেন ৷ ভোরে সে রাসুলুল্লাহ্
(সা ) এর নিকট উপস্থিত হয় এবং তার পক্ষে যুদ্ধ করে শহীদ হয়, আমরা যা জেনেছি যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, মুখায়রীক হল শ্রেষ্ঠ ইয়াহুদী ৷ সুহায়লী বলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মুখায়রীকের সম্পদগুলো ৭টি বাগান মদীনায় আল্লাহর পথে ওয়াকফ করে দেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন
কা’ব বলেন, এটি ছিল মদীনায় প্রথম ওয়াক্ফ সম্পত্তি ৷ আবদুর আবদুর শ্



ইবন ইসহাক বলেন, হুসায়ন ইবন আবদুর রহমান — ৰু আবু হুরায়রা ( রা) থেকে বর্ণনা
করেন, তিনি বলতেন যে, আপনারা আমাকে এমন একজন লোকের নাম বলুন, যে জান্নাতে
প্রবেশ করেছে অথচ এক ওয়াক্ত নামাযও পড়েনি ৷ লোকজন উত্তর প্ৰদা নে অপারণ হয়ে বলত যে,
আপনি বরৎ৩ার পরিচয় বলে দিন ৷ তিনি বলতে ন, সে হল আবদ আশহাল গোত্রের আমর ইবন
ছাবিত ইবন ওয়াকশ ওরফে উসায়রিম ৷ হুসায়ন বলেন, আমি বলেছিলাম মাহমুদকে যে, উসায়রিম
(কমন লোক ছিল ৷ তিনি বললেন, ত ৷র সম্প্রদায়ের সাথে সেও ইসলাম গ্রহণে অস্বীকৃতি জান নাত ৷
কিভুই খ্হুদ দিবসে তার সুমতি ৩হয় ৷ সে ইসলাম গ্রহণ করে ৷ এরপর তরবারি হাতে যুদ্ধ ময়দানে
উপস্থিত হয় ৷ প্রচণ্ড যুদ্ধ চালিয়ে যায় সে ৷ এক পর্যায়ে সে আহত হয় ৷ বানু আবদুল আশহাল
গোত্রের লোকেরা৩ ৷ ৩াদের যুদ্ধের ময়দানে নিহত ব্যক্তিদের লাশ খুজছিল ৷ হঠ৷ ৷ৎ৩ তারা উসায়রিমকে
দেখতে পায় ৷ তারা বলে এ যে, উসায়রিম ৷ যে এখানে কেন এল ? আমরা তাে তাকে বাড়ীতে
রেখে এসেছি যে, সে ইসলাম গ্রহণে অস্বীকৃতিও জ্ঞাপন করেছিল ৷ তারা বলল, হে আমর ! তুমি
যুদ্ধের ময়দানে কেন এসেছে ? আপন সম্প্রদায়ের প্রতি বিরক্ত (হত,, না ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট
হয়ে ? তিনি বললেন বরং আমি এসেছি ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ৷ আমি আল্লাহ ও তার
রাসুলের প্রতি ঈমান এসেছি ৷ আমি ইসলাম গ্রহণ ৷করেছি ৷ তারপর তরবারি হাতে বেরিয়ে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে মিলিত হয়েছি ৷ এরপর আমি এমনকি আহত ও আঘা৩ প্রাপ্ত হয়েছি যা
এখনও আমার দেহে বিদ্যমান আছে ৷ এর অল্প কিছুক্ষণ ৷পরই তাদের চোখের সামনে তিনি শহীদ
হন ৷ তার কথা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে জ ৷নানে৷ হলে৩ তিনি বললেন, যে জ৷ ৷ন্নাভী ৷


رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَاتَلَ مَعَهُ حَتَّى قُتِلَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا بَلَغَنَا: مُخَيْرِيقُ خَيْرُ يَهُودَ قَالَ السُّهَيْلِيُّ: فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمْوَالَ مُخَيْرِيقَ - وَكَانَتْ سَبْعَ حَوَائِطَ - أَوْقَافًا بِالْمَدِينَةِ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ الْقُرَظِيُّ: وَكَانَتْ أَوَّلَ وَقْفٍ بِالْمَدِينَةِ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي الْحُصَيْنُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُمَرَ بْنِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ مَوْلَى ابْنِ أَبِي أَحْمَدَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: حَدِّثُونِي عَنْ رَجُلٍ دَخَلَ الْجَنَّةَ لَمْ يُصَلِّ قَطُّ. فَإِذَا لَمْ يَعْرِفْهُ النَّاسُ سَأَلُوهُ: مَنْ هُوَ؟ فَيَقُولُ: أُصَيْرِمُ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ، عَمْرُو بْنُ ثَابِتِ بْنِ وَقْشٍ. قَالَ: الْحُصَيْنُ: فَقُلْتُ لِمَحْمُودِ بْنُ لَبِيدٍ: كَيْفَ كَانَ شَأْنُ الْأُصَيْرِمِ؟ قَالَ: كَانَ يَأْبَى الْإِسْلَامَ عَلَى قَوْمِهِ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ أُحُدٍ بَدَا لَهُ، فَأَسْلَمَ ثُمَّ أَخَذَ سَيْفَهُ، فَغَدَا حَتَّى دَخَلَ فِي عَرْضِ النَّاسِ، فَقَاتَلَ حَتَّى أَثْبَتَتْهُ الْجِرَاحَةُ. قَالَ: فَبَيْنَمَا رِجَالٌ
পৃষ্ঠা - ২৭০০

ইবন ইসহাক বলেন, বানু সালাম৷ গোত্রের কতক শায়খ থেকে আমার পিত৷ বর্ণনা করেছেন
যে, আমর ইবন জামুহ ছিলেন একান্ত খোড়৷ এক লোক ৷ তার : পুত্র ছিলেন ৷ তারা সিংহের মত
সাহসী ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথী হয়ে৩ তারা বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে অংশ গ্রহণ করতে ন ৷ উহুদ দিবসে
তারা তাদের পিতা আমর ইবন জামুহকে ঘরে বসিয়ে রাখা র পক্ষপাতী ছিলেন ৷৩ তারা বলেছিলেন
যে, আল্লাহ তা জানা তো আপনাকে ওযরগ্রস্ত করেছেন ৷ তখন আমর রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর নিকট
এসে বললেন, আমার ছেলেরা এই যুক্তিতে আমাকে যুদ্ধ থেকে ধারণ করতে চায় ৷ অথচ আমি
চাই আমার এই খোড়৷ পায়ে ভয় করে জান্নাতে ৩প্ৰবেশ করি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, বস্তুতঃ
আল্লাহ তা আলা আপনাকে ওযরগ্নস্ত করেছেন, আপনার উপর জিহাদ বাধ্যতামুলক নয় ৷ তার
পুত্রদেরকে রাসুলুল্লাহ (না) বললেন যে, তোমরা তীকে ক্তিন্ ধ্াদোতে বাধ৷ ৷দিওন৷ ৷ কারণ
মন ও হতে পারে যে, আল্লাহ্ তা আলা তাকে শাহাদরু৩ তর ময়দাি দান করবেন ৷ আমর ইবন
জামুহ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে জিহাদে বের হলেন এবং ওই উহুদ ৷দবসে যুদ্ধে শহীদ হলেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন, হিনদ বিনৃত উতব৷ এবং তার সাথী মহিলারা সেদিন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
সাহাবীগ্যণর অঙ্গচ্ছেদ করতে শুরু করে ৷ তারা তাদের নাক কান ক টভৈ লাগল ৷ এক পর্যায়ে
হিনদ তার পায়ের মল নাকের দৃল এবং গলার হার খুলে ওয়াহ্শীকে দিয়ে দেয় এবং মুসলমানদের
নাক কান কেটে মালা ও মল বানিয়ে গলায় ও পায়ে পরিধান করে ৷ হযরত হাময৷ (রা)-এর
কলিজা কেটে এনে সে চিবাতে থাকে ৷ কিন্তু গিলতে পারলাে না ৷ অগত্যা যে তা ফেলে দিল ৷
মুসা ইবন উক্ব৷ বলেন, হযরত হাময৷ (রা)-এর কলিজা কেটে এনেছিল ওয়াহ্শী ৷ সেটি এনে সে
হিনদর হাত তুলে দেয় ৷ হিন্দে সেটি চিবাতে থাকে ৷ কিন্তু গিলতে পারেনি ৷ আল্লাহ্ই ভ
জানেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, এরপর হিন্দ একটি উচু পাথরে উঠে এবং উচ্চস্বরে চীৎকার করে
নিম্নের কবি৩ ৷গুলাে আবৃত্তি করে ং

# , fl , fl ×
,

আজ আমরা তোমাদের উপর বদর দিবসের প্ৰতিশোধ নিয়েছি ৷ এক যুদ্ধের পর আরেক যুদ্ধ
আরো তীব্র হয় ৷

উতব৷ নিহত হবার পর আমার ধৈর্য ধারণ করার অবস্থা ছিল না ৷ ড্ডাপ আমার তাই, তার চাচা
এবং বকরের হত্যাকাণ্ড আমাকে ভীষণ বিচলিত করেছিল ৷

০ : ,


এখন আমি শাস্তি পেয়েছি ৷ আমি আমার মানত পুর্ণ করেছি ৷ হে ওয়াহ্শী ! তুমি আমার
মনের (বদনার উপশম করে দিয়েছ ৷



مِنْ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ يَتَلَمَّسُونَ قَتْلَاهُمْ فِي الْمَعْرَكَةِ، إِذَا هُمْ بِهِ، فَقَالُوا: وَاللَّهِ إِنَّ هَذَا لَلْأُصَيْرِمُ، مَا جَاءَ بِهِ؟ ! لَقَدْ تَرَكْنَاهُ وَإِنَّهُ لِمُنْكِرٌ لِهَذَا الْحَدِيثِ! فَسَأَلُوهُ فَقَالُوا: مَا جَاءَ بِكَ يَا عَمْرُو ; أَحَدَبٌ عَلَى قَوْمِكَ، أَمْ رَغْبَةٌ فِي الْإِسْلَامِ؟ فَقَالَ: بَلْ رَغْبَةٌ فِي الْإِسْلَامِ، آمَنْتُ بِاللَّهِ وَبِرَسُولِهِ وَأَسْلَمْتُ، ثُمَّ أَخَذْتُ سَيْفِي وَغَدَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَاتَلْتُ حَتَّى أَصَابَنِي مَا أَصَابَنِي. فَلَمْ يَلْبَثْ أَنْ مَاتَ فِي أَيْدِيهِمْ، فَذَكَرُوهُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنَّهُ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَشْيَاخٍ مِنْ بَنِي سَلَمَةَ قَالُوا: كَانَ عَمْرُو بْنُ الْجَمُوحِ رَجُلًا أَعْرَجَ شَدِيدَ الْعَرَجِ، وَكَانَ لَهُ بَنُونَ أَرْبَعَةٌ مِثْلُ الْأُسْدِ، يَشْهَدُونَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَشَاهِدَ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ أُحُدٍ أَرَادُوا حَبْسَهُ، وَقَالُوا: إِنَّ اللَّهَ قَدْ عَذَرَكَ. فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: إِنَّ بَنِيَّ يُرِيدُونَ أَنْ يَحْبِسُونِي عَنْ هَذَا الْوَجْهِ وَالْخُرُوجِ مَعَكَ فِيهِ، فَوَاللَّهِ إِنِّي لَأَرْجُوَ أَنَّ أَطَأَ بِعَرْجَتِي هَذِهِ فِي الْجَنَّةِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَّا أَنْتَ فَقَدَ عَذَرَكَ اللَّهُ، فَلَا جِهَادَ عَلَيْكَ وَقَالَ لِبَنِيهِ مَا عَلَيْكُمْ أَنْ لَا تَمْنَعُوهُ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَرْزُقَهُ الشَّهَادَةَ فَخَرَجَ مَعَهُ فَقُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَوَقَعَتْ هِنْدُ بِنْتُ عُتْبَةَ - كَمَا حَدَّثَنِي صَالِحُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ২৭০১
كَيْسَانَ - وَالنِّسْوَةُ اللَّائِي مَعَهَا، يُمَثِّلْنَ بِالْقَتْلَى مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُجْدِعْنَ الْآذَانَ وَالْأُنُوفَ، حَتَّى اتَّخَذَتْ هِنْدُ مِنْ آذَانِ الرِّجَالِ وَأُنُوفِهِمْ خَدَمًا وَقَلَائِدَ، وَأَعْطَتْ خَدَمَهَا وَقَلَائِدَهَا وَقِرَطَتَهَا وَحْشِيًّا وَبَقَرَتْ عَنْ كَبِدِ حَمْزَةَ فَلَاكَتْهَا، فَلَمْ تَسْتَطِعْ أَنْ تُسِيغَهَا فَلَفَظَتْهَا. وَذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ أَنَّ الَّذِي بَقَرَ كَبِدَ حَمْزَةَ، وَحْشِيٌّ فَحَمَلَهَا إِلَى هِنْدٍ فَلَاكَتْهَا فَلَمْ تَسْتَطِعْ أَنْ تُسِيغَهَا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ عَلَتْ عَلَى صَخْرَةٍ مُشْرِفَةٍ، فَصَرَخَتْ بِأَعْلَى صَوْتِهَا فَقَالَتْ: نَحْنُ جَزَيْنَاكُمْ بِيَوْمِ بَدْرٍ ... وَالْحَرْبُ بَعْدَ الْحَرْبِ ذَاتُ سُعْرِ مَا كَانَ لِي عَنْ عُتْبَةَ مِنْ صَبْرِ ... وَلَا أَخِي وَعَمِّهِ وَبِكْرِي شَفَيْتُ نَفْسِي وَقَضَيْتُ نَذْرِي ... شَفَيْتَ وَحْشِيُّ غَلِيلَ صَدْرِي فَشُكْرُ وَحْشِيٍّ عَلَيَّ عُمْرِي ... حَتَّى تَرِمَّ أَعْظُمِي فِي قَبْرِي قَالَ: فَأَجَابَتْهَا هِنْدُ بِنْتُ أُثَاثَةَ بْنِ عَبَّادِ بْنِ الْمُطَّلِبِ فَقَالَتْ: خَزِيتِ فِي بَدْرٍ وَبَعْدَ بَدْرِ ... يَا بِنْتَ وَقَّاعٍ عَظِيمِ الْكُفْرِ
পৃষ্ঠা - ২৭০২

ওয়াহশীর প্ৰতি আমার জীবনভর কৃতজ্ঞ থাকতে হবে ৷ যতক্ষণ না কবরের মধ্যে আমার হাড়
নিশ্চিহ্ন হয় ৷

ইবন ইসহাক বলেন, হিন্দ বিনতে উতবার উপরোক্ত কবিতার প্রতুন্ডোর হিন্দ বিনৃত উছাছা
ইবন আব্বাছ ইবন মুত্তা ৷লিব নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন :

শ্শ্শ্শ্শ্শ্

হে জঘন্য কাফিরের কন্যা, তুমি বদর দিবসে ও অপমানিত হয়েছ বদর দিবসের পরেও
অপমানিত হয়েছ ৷


উজ্জ্বল ভোর বেলায় আল্লাহ তাআলা হাশিম বংশীয়দের পক্ষ থেকে (তামার জন্যে যেন
প্রস্তুত করে দেন —

৩ ; র্চ
এহ্রা

প্রতিটি তরবারি যা সুতীক্ষ্ণ ধার সম্পন্ন ও কর্তনশীল ৷ মনে রেখ, হামযা (বা) আমার সিংহ
এবং আলী (বা) আমার ঈপল ৷


তোমার পিতা আমার নিকট একজন ৰিশ্বাসঘাতক মাত্র ৷ যুবক আলী হামযা (বা) যখন তাকে
আক্রমণ করলেন তখন তারা তার বক্ষে রক্তের কলপ লাগিয়ে দিলেন তার বক্ষ রক্তে রঞ্জিত
করে দিলেন ৷

, ) :


তামার এই কদর্য মানত অতম্ভে মন্দ ও অকল্যাণকর মানত ৷ ইবন ইসহাক বলেন, তখন
হুলায়স ইবন যিয়ান ছিল সম্মিলিত বাহিনীর নেত তা ৷ সে বানু হাবিছ ইবন আবদ মানাত গোত্রের
লোক ৷ সে আবুসুফিয়ানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল ৷ আবুসুফিয়ান তখন তার বর্শার ফল৷ দিয়ে হযরত
হামযা (বা ) এর চােয়ালে ঘোচ৷ মারছিল, গুতে৷ দিচ্ছিল, আর বলছিল, হে আত্মীয়ত ৷ ছিন্নকারী
এখন মজা বুঝ ৷ এ অবস্থা দেখে হুলায়স বলল, হে কিনান৷ গোত্র ! দেখ দেখ এই কুরায়শী নেত
তার চাচাত ভাইয়ের লাশের সাথে কেমন আচরণ করছে ! আবু সুফিয়ান বলল, ধুত্তুরী এ ঘটনা
প্রকাশ করোনা, কারণ, তা একটি ভুল পদক্ষেপ ছিল ৷ ইবন ইসহাক বলেন, আবু সুফিয়ান যখন
উহুদ প্রাম্ভরে ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিল তখন সে পাহাড়ে উঠে চীৎক৷ ৷র করে বলল, আমি খুশী ৷ যুদ্ধ
হল বালতিব ন্যায় ৷ আজকের দিবস বদর দিবসের প্রতিশোধ ৷ হুবল দেবতার জয় হোক ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) উমর (রা) কে বললেন, উঠে দাড়াও এবং ওর উত্তর দাও ৷ এবং বল আল্লাহ্ই
সর্বোচ্চ সুমহান ৷ আমাদের শহীদগণ জান্নাতে যাবে ৷ তোমাদের নিহতগণ জাহান্নামে যাবে ৷ আবু
সুফিয়ানবলল, হে উমর এদিকে আলো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) উমর (রা) কে বললেন যান তার
অবস্থা দেখে আসুন ৷ উমর (রা ) এগিয়ে এলেন, আবু সুফিয়ান তাকে বলল, আল্লাহর দোহাই দিয়ে


صَبَّحَكِ اللَّهُ غَدَاةَ الْفَجْرِ ... مِلْهَاشِمِيِّينَ الطِّوَالِ الزُّهْرِ بِكُلِّ قَطَّاعٍ حُسَامٍ يَفْرِي ... حَمْزَةُ لَيْثِي وَعَلَيٌّ صَقْرِي إِذْ رَامَ شَيْبٌ وَأَبُوكِ غَدْرِي ... فَخَضَّبَا مِنْهُ ضَوَاحِيَ النَّحْرِ وَنَذْرُكِ السُّوءُ فَشَرُّ نَذْرِ . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ الْحُلَيْسُ بْنُ زَبَّانَ أَخُو بَنِي الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ مَنَاةَ وَهُوَ يَوْمَئِذٍ سَيِّدُ الْأَحَابِيشِ، مَرَّ بِأَبِي سُفْيَانَ وَهُوَ يَضْرِبُ فِي شِدْقِ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بِزُجِّ الرُّمْحِ وَيَقُولُ: ذُقْ عُقَقُ. فَقَالَ الْحُلَيْسُ: يَا بَنِي كِنَانَةَ هَذَا سَيِّدُ قُرَيْشٍ يَصْنَعُ بِابْنِ عَمِّهِ مَا تَرَوْنَ لَحْمًا. فَقَالَ: وَيْحَكَ! اكْتُمْهَا عَنِّي، فَإِنَّهَا كَانَتْ زَلَّةً. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ حِينَ أَرَادَ الِانْصِرَافَ، أَشْرَفَ عَلَى الْجَبَلِ، ثُمَّ صَرَخَ بِأَعْلَى صَوْتِهِ: أَنْعَمَتْ فَعَالِ، إِنَّ الْحَرْبَ سِجَالٌ، يَوْمٌ بِيَوْمِ
পৃষ্ঠা - ২৭০৩
بَدْرٍ اعْلُ هُبَلُ. أَيْ أَظْهِرْ دِينَكَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعُمَرَ: قُمْ يَا عُمَرُ فَأَجِبْهُ، فَقُلْ: اللَّهُ أَعْلَى وَأَجَلُّ، لَا سَوَاءَ، قَتْلَانَا فِي الْجَنَّةِ وَقَتْلَاكُمْ فِي النَّارِ. فَقَالَ لَهُ أَبُو سُفْيَانَ: هَلُمَّ إِلَيَّ يَا عُمَرُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعُمَرَ: ائْتِهِ فَانْظُرْ مَا شَأْنُهُ. فَجَاءَهُ فَقَالَ لَهُ أَبُو سُفْيَانَ: أَنْشُدُكَ اللَّهَ يَا عُمَرُ، أَقَتَلْنَا مُحَمَّدًا؟ فَقَالَ عُمُرُ اللَّهُمَّ لَا، وَإِنَّهُ لِيُسْمَعُ كَلَامَكَ الْآنَ. قَالَ: أَنْتَ عِنْدِي أَصْدَقُ مِنَ ابْنِ قَمِئَةَ وَأَبَرُّ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ نَادَى أَبُو سُفْيَانَ: إِنَّهُ قَدْ كَانَ فِي قَتْلَاكُمْ مَثْلٌ، وَاللَّهِ مَا رَضِيتُ وَمَا سَخِطْتُ، وَمَا نَهَيْتُ وَلَا أَمَرْتُ. قَالَ: وَلَمَّا انْصَرَفَ أَبُو سُفْيَانَ نَادَى: إِنَّ مَوْعِدَكُمْ بَدْرٌ الْعَامَ الْقَابِلَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِرَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِهِ: قُلْ: نَعَمْ. هُوَ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ مَوْعِدٌ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ: اخْرُجْ فِي آثَارِ الْقَوْمِ، فَانْظُرْ مَاذَا يَصْنَعُونَ وَمَا يُرِيدُونَ، فَإِنْ كَانُوا قَدْ جَنَّبُوا الْخَيْلَ وَامْتَطُوا الْإِبِلَ، فَإِنَّهُمْ يُرِيدُونَ مَكَّةَ وَإِنْ رَكِبُوا الْخَيْلَ وَسَاقُوا الْإِبِلَ، فَهُمْ يُرِيدُونَ الْمَدِينَةَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنْ أَرَادُوهَا، لَأَسِيرَنَّ إِلَيْهِمْ فِيهَا ثُمَّ لَأُنَاجِزَنَّهُمْ قَالَ عَلِيٌّ: فَخَرَجْتُ فِي أَثَرِهِمْ أَنْظُرُ مَاذَا يَصْنَعُونَ، فَجَنَّبُوا الْخَيْلَ وَامْتَطُوا الْإِبِلَ وَوَجَّهُوا إِلَى مَكَّةَ.
পৃষ্ঠা - ২৭০৪


বলছি, হে উমর ! আমরা কি মুহাম্মাদ (না)-(ক মেরে ফেলেছি ? উমর (রা) বললেন, তা তো
নয়ই তিনি বরং এখন তোমার বক্তব্য শুনছেন ৷ সে বলল, আপনি আমার নিকট ইবন কড়ামিয়া
অপেক্ষা অধিক সতবােদী ও পুণ্যবান ৷

ইবন ইসহাক বলেন, এরপর আবু সুফিয়ান ডেকে ডেকে বলল, তোমাদের নিহতদের
অঙ্গহানি করা হয়েছে ৷ আল্লাহর কসম , তাতে আমি খুশীও নই, দুঃখিতও নই ৷ আমরা অঙ্গ
কর্তনের নির্দেশও দেইনি, তা নিয়েধ্ও করিনি ৷ যাওয়ার প্রাক্কালে আবু সুফিয়ান বলল, আগামী বছর
আবার বদর প্রান্তরে শক্তি পরীক্ষার প্রতিশ্রুতি রইল ৷ রাসুলুল্লাহ্ ৷দুসশু ) জনৈক সাহাবীকে বললেন,
তুমি বলে দাও, হী আমাদের আর তোমাদের মাঝে ওই প্রতিশ্রুতি রইল ৷

ইবন ইসহাক বলেন, এ পর্যায়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত আলী ( রা)-কে পাঠালেন এবং
বললেন, তুমি গিয়ে দেখ, কাফিরগণ কী করে এবং কী চায় ৰু তারা যদি ঘোড়া বাদ দিয়ে উটে
আরোহণ করে তাহলে বুঝবে যে, তারা মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করোছ ৷ আর যদি দেখ যে, তারা
উট বাদ দিয়ে ঘোড়ার পিঠে চড়েছে আর উটকে তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে তবে তারা বুঝবে যে,
তারা মদীনা অভিমুখে যাত্রা করেছে ৷ যে মহান সত্তার হাতে আমার প্রাণ, তার কসম , তারা যদি

মদীনায় উদ্দেশ্যে যাত্রা করে তবে আমরা তাদেরকে ধাওয়া করব এবং তাদেরকে অতিক্রম করে
এগিয়ে যাব ৷

হযরত আলী (বা) বললেন, আমি ওদের পেছন পেছন গেলাম ৷ আমি দেখছিলাম ওরা কী
করছে ৷ আমি দেখতে পেলাম যে, তারা ঘোড়া ছেড়ে উটের পিঠে আরোহণ করেছে এবং মক্কার
উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে ৷

উহুদ দিবসে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দৃআ

ইমাম আহমদ (ব) বলেন, মারওয়ান ইবন মুআবিয়াহ ফাযারী — — ইবন রিফাআ তার
পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, উহুদ দিবসে মুসলমানদের আক্রমণের মুখে
মুশরিকরা যখন ছত্রভঙ্গ হয়ে ময়দান ছেড়ে পালিয়ে গেল তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুসলমানদের
উদ্দেশে বললেন, সকলে প্রস্তুত হও! আমি আমার প্রতিপালকের গুণ পান করব ৷ সকলে তার
পেছনে সারিবদ্ধ হলেন, তিনি বলতে লাগলেন :
ৰুাট্রু স্পোা৷
ৰু;এ্া ষ্টু
ৰু৷ ট্রু;;ার্দু৷ ৷ ; টু টু ঠুান্াহু)ঠু




[ذِكْرُ دُعَاءِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أُحُدٍ] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْفَزَارِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ أَيْمَنَ الْمَكِّيُّ، عَنِ ابْنِ رِفَاعَةَ الزُّرَقِيُّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «لَمَّا كَانَ يَوْمُ أُحُدٍ وَانْكَفَأَ الْمُشْرِكُونَ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اسْتَوُوا حَتَّى أُثْنِيَ عَلَى رَبِّي، عَزَّ وَجَلَّ. فَصَارُوا خَلْفَهُ صُفُوفًا، فَقَالَ: اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ كُلُّهُ، اللَّهُمَّ لَا قَابِضَ لِمَا بَسَطْتَ، وَلَا بَاسِطَ لِمَا قَبَضْتَ، وَلَا هَادِيَ لِمَنْ أَضْلَلْتَ، وَلَا مُضِلَّ لِمَنْ هَدَيْتَ، وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلَا مُقَرِّبَ لِمَا بَاعَدْتَ، وَلَا مُبْعِدَ لِمَا قَرَّبْتَ، اللَّهُمَّ ابْسُطْ عَلَيْنَا مِنْ بَرَكَاتِكَ وَرَحْمَتِكَ وَفَضْلِكَ وَرِزْقِكَ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ النَّعِيمَ الْمُقِيمَ الَّذِي لَا يَحُولُ وَلَا يَزُولُ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ النَّعِيمَ
পৃষ্ঠা - ২৭০৫

ওদু১শ্০ঞার্বুর্ণি টুা১১ন্এ’ ১ >ষ্ওাংন্৷ ৷১ছুণ্ত্রাস্ওস্-১ন্ন্াএদুৰুওশু১;১চ্ণ্র্দ্রৰুন্হ্নণ্
ন্০ হু! শ্ণ্শ্া)০)ষ্টুশ্)শ্ষ্ব্লু, শ্ন্শ্০ শ্ন্াঢু শ্০ ষ্;া৷ষ্ ন্ ন্শ্ শ্০শ্
ষ্ঠাং র্দুর্চুএ
র্চদ্বু:>ং৷ ৷ র্দুৰুং৷ ষ্প্রুএে ৷
“হে আল্লাহ্ ! সকল প্রশংসা আপনার ৷ হে আল্লাহ্ ৷ আপনি যা প্রসারিত করেন তা কেউ
সংকুচিত করতে পাংর না ৷ আপনি যা সংকুচিত করেন, কেউ তা প্রসারিত করতে পারে না ৷
আপনি যাকে গুমরাহ করেন, কেউ তাকে সৎপথ দেখাতে পারে না ৰু আপনি যাকে সৎপথ দেখান,
কেউ তাকে গুমরাহ করতে পারে না ৷ আপনি যা দান করেন, কেউ তা রুখতে পারে না ৷ আপনি
যা আটক করে রাখেন কেউ তা দান করতে পাবেনা ৷ আপনি যা নিকটবর্তী করে দেন কেউ তা
দুরে সরাতে পারে না ৷ আপনি যা দুরে সরিয়ে দেন, কেউ তা কাছে আনতে পাবেনা ৷ হে আল্লাহ্া
আপনার বরকত, রহমত, অনুগ্রহ ও রিয্ক আমাদের জন্যে সম্প্রসারিত করে দিন! হে আল্লাহ্
আমি আপনার নিকট চিরস্থায়ী নে’মত কামনা করছি যা পরিবর্তন ও বিনড়াশ হয়না ৷ হে আল্লাহ্ ৷
আমি ওই অভাবের দিবসের জন্যে আপনার নিআমত কামনা করছি ৷ ভয়ের দিবসের জন্যে
কামনা করছি নিরাপত্তা ৷ হে আল্লাহ্ ! আপনি আমাদেরকে যা দান করেছেন তার অকল্যাণ থেকে
এবং যা দান করে নি তার অকল্যাণ থেকে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি ৷ হে আল্লাহ্
ঈমানকে আমাদের নিকট প্রিয় করে দিন এবং আমাদের অম্ভরে সেটিকে আকর্ষণীয় করে দিন;

কুফরী পাপাচার ও অবাধ্যতড়াকে আমাদের নিকট ঘৃণা করে দিন ; আমাদেরকে হিদায়াতপ্রাপ্তদের
অন্তর্ভুক্ত করে দিন ৷

হে আল্লাহ্ ! আমাদেরকে মৃ৩দ্দু দিবেন মুসলমান অবস্থায়, জীবিত রাখবেন মুসলমান অবস্থায়
এবং আমাদেরকে সৎ কর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত করে দিন ৷ আমাদের লাঞ্ছিত ও বিপদগ্রস্ত করবেন
না ৷ হে আল্লাহ্ ! কাফিরদেরকে ধ্বংস করুন যারা আপনার রাসুলদেরকে অস্বীকার করে এবং
৷পনার পথ থেকে লোকদেরকে বাধা দেয় ৷ আপনার আযাব ও শান্তি তাদের জন্যে অবধারিত
করে দিন ৷ হে আল্লাহ্! সত্য মা’বুদ! কিতাব প্রাপ্ত লোকদের মধ্যে যারা কুফরী করে আপনি
তাদেরকে ধ্বংস করে দিন ৷ ইমাম নাসাঈ (র) এই হাদী যিয়াদ ইবন আইয়ুব — — — — রিফাআ
সুত্রে আল ইয়াওম ওয়াল লায়লাহ’ অধ্যায়ে উদ্ধৃত করেছেন ৷

সা’দ ইবন রবী’র শাহাদত ও হযরত হামযার অঙ্গচ্ছেদ

ইবন ইসহাক বলেন,এক পর্যায়ে লোকজন নিজেদের নিহত ব্যক্তিদেরকে খুজতে শুরু করে ৷
বানুনাজ্জার গোত্রের মুহাম্মাদ ইবন আবদৃল্লাহ্ ইবন আবদুর রহমান মাযিনী আমাকে জানিয়েছেন
যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমার পক্ষে কে গিয়ে সা’দ ইবন রাবী এর খোজ নেবে সে কি
জীবিত আছে নাকি মারা গেছে ? জনৈক আনসারী বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমি যাব তার খোজ


يَوْمَ الْعَيْلَةِ، وَالْأَمْنَ يَوْمَ الْخَوْفِ، اللَّهُمَّ إِنِّي عَائِذٌ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا أَعْطَيْتَنَا وَشَرِّ مَا مَنَعْتَنَا، اللَّهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا الْإِيمَانَ وَزَيِّنْهُ فِي قُلُوبِنَا، وَكَرِّهِ إِلَيْنَا الْكُفْرَ وَالْفُسُوقَ وَالْعِصْيَانَ، وَاجْعَلْنَا مِنَ الرَّاشِدِينَ، اللَّهُمَّ تُوفَّنَا مُسْلِمِينَ، وَأَحْيِنَا مُسْلِمِينَ، وَأَلْحِقْنَا بِالصَّالِحِينَ، غَيْرَ خَزَايَا وَلَا مَفْتُونِينَ، اللَّهُمَّ قَاتِلِ الْكَفَرَةَ الَّذِينَ يُكَذِّبُونَ رُسُلَكَ وَيَصُدُّونَ عَنْ سَبِيلِكَ، وَاجْعَلْ عَلَيْهِمْ رِجْزَكَ وَعَذَابَكَ، اللَّهُمَّ قَاتِلِ الْكَفَرَةَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَّابَ إِلَهَ الْحَقِّ.» وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ، عَنْ زِيَادِ بْنِ أَيُّوبَ، عَنْ مَرْوَانَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ أَيْمَنَ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ رِفَاعَةَ عَنْ أَبِيهِ بِهِ. [وَفَرَغَ النَّاسُ لِقَتْلَاهُمْ] فَصْلٌ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَفَرَغَ النَّاسُ لِقَتْلَاهُمْ، فَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ الْمَازِنِيُّ، أَخُو بَنِي النَّجَّارِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ رَجُلٌ يَنْظُرُ لِي مَا فَعَلَ سَعْدُ بْنُ الرَّبِيعِ؟ أَفِي الْأَحْيَاءِ هُوَ أَمْ فِي الْأَمْوَاتِ؟ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ: أَنَا، فَنَظَرَ فَوَجَدَهُ جَرِيحًا فِي الْقَتْلَى وَبِهِ رَمَقٌ، قَالَ: فَقُلْتُ لَهُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَنِي أَنْ أَنْظُرَ، أَفِي الْأَحْيَاءِ أَنْتَ أَمْ
পৃষ্ঠা - ২৭০৬
فِي الْأَمْوَاتِ. فَقَالَ: إِنَّا فِي الْأَمْوَاتِ، فَأَبْلِغْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِّي السَّلَامَ، وَقُلْ لَهُ: إِنَّ سَعْدَ بْنَ الرَّبِيعِ يَقُولُ لَكَ: جَزَاكَ اللَّهُ عَنَّا خَيْرَ مَا جَزَى نَبِيًّا عَنْ أُمَّتِهِ. وَأَبْلِغْ قَوْمَكَ عَنِّي السَّلَامَ، وَقُلْ لَهُمْ: إِنَّ سَعْدَ بْنَ الرَّبِيعِ يَقُولُ لَكُمْ: إِنَّهُ لَا عُذْرَ لَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ إِنْ خُلِصَ إِلَى نَبِيِّكُمْ، وَمِنْكُمْ عَيْنٌ تَطْرِفُ. قَالَ: ثُمَّ لَمْ أَبْرَحْ حَتَّى مَاتَ. قَالَ: فَجِئْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ خَبَرَهُ» . قُلْتُ: كَانَ الرَّجُلُ الَّذِي الْتَمَسَ سَعْدًا فِي الْقَتْلَى مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ فِيمَا ذَكَرَهُ مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ الْوَاقِدِيُّ، وَذَكَرَ أَنَّهُ نَادَاهُ مَرَّتَيْنِ فَلَمْ يُجِبْهُ، فَلَمَّا قَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ أَمَرَنِي أَنْ أَنْظُرَ خَبَرَكَ. أَجَابَهُ بِصَوْتٍ ضَعِيفٍ، وَذَكَرَهُ. وَقَالَ الشَّيْخُ أَبُو عُمَرَ فِي " الِاسْتِيعَابِ ": كَانَ الرَّجُلُ الَّذِي الْتَمَسَ سَعْدًا أُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَكَانَ سَعْدُ بْنُ الرَّبِيعِ مِنَ النُّقَبَاءِ لَيْلَةَ الْعَقَبَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَهُوَ الَّذِي آخَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِيمَا بَلَغَنِي - يَلْتَمِسُ حَمْزَةَ بْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَوَجَدَهُ بِبَطْنِ الْوَادِي، قَدْ بُقِرَ بَطْنُهُ عَنْ كَبِدِهِ، وَمُثِّلَ بِهِ ;
পৃষ্ঠা - ২৭০৭


নিতে ৷ তিনি খুজতে খুজতে সা’দ ইবন রাবীকে নিহত ব্যক্তিদের মাঝে মুমুর্বু অবস্থায় পেলেন ৷
ঐ আনসারটি সা’দকে বললেন, আপনি জীবিত আছেন নাকি মারা গেছেন তা জানার জন্যে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে পাঠিয়েছেন ৷ সাদ বললেন, আমি এখন বলতে গেলে মৃতদের দলে ৷
আপনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে আমার সালাম বলবেন এবং বলবেন যে সা’দ ইবন রাবী আপনার
উদ্দেশ্যে বলেছেন “উম্মতের পক্ষ থেকে নবীকে যে প্রতিদান প্রদান করা হয় আল্লাহ তাআলা যেন
আমাদের পক্ষ থেকে তার সর্বোত্তম প্ৰতিদান প্রদান করেন ৷ আর আপনার সম্প্রদায়ের
€লাকজনকে আমার সালাম বলবেন, আর ৩াপেরওে বলরেন যে, সন্দ ইবন রাবী (আমাদের
উদ্দেশে বলেছে তোমাদের চক্ষু দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন ও সচল থাকা অবস্থায় কাফিরেরা যদি
তোমাদের নবীর কাছে ঘেষতে পারে র্তাকে আক্রমণ করতে পারে , তবে আল্লাহ্র দরবারে
তোমাদের কোন ওযর-আ পত্তি চলবে না ৷ আনসারী বলেন, একথা বলতে বলতে তিনি মৃত্যুর
কোলে চলে পড়লেন ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর নিকট ফিরে ণ্হ্রসে র্দীকে এই সংবাদ জানাই ৷

আমি বলি , নিহত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে যিনি সাদ (রা)-কে খুজে বের করেছিলেন তিনি
হলেন মুহাম্মাদ ইবন সালামা ৷ মুহাম্মাদ ইবন সালামা ৷ মুহাম্মাদ ইবন উমর আল-ওয়াকিদী তাই
বলো;ছন ৷ তিনি এও বলেছেন যে, আনসারী লোকটি হযরত সাদ (রা)-কে প্রথমে দু’বার
ডেকেছিলেন ৷ কিন্তু তিনি কোন উত্তর দেননি ৷ শেষে তিনি যখন বললেন যে, আপনার খবর
নেয়ার জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে পাঠিয়েছেন তখন তিনি অত্যন্ত ক্ষীণ স্বরে উত্তর দিলেন
এবং উপরোক্ত কথাগুলো বললেন ৷



আল-ইসভীআব গ্রন্থে শড়ায়খ আবু উমর বলেছেন যে, উবাই ইবন কাব (বা ) ই হযরত সাদ
(রা)-এর খোজ নিয়েছিলেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

সাদ ইবন রাবী ছিলেন, আকাবার শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যতম নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাদ (রা) ও আবদুর রহমান ইবন আওকের (বা ) মধ্যে ভ্রাতৃতৃ সম্পর্ক স্থাপন করে
দিয়েছিলেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, আমি জানতে পেরেছি যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজে হযরত হামযা
(রা)-এর খোজে বের হয়েছিলেন ৷ বাতন আল ওয়াদী’তে তিনি তার লাশ খুজে পান ৷ তার পেট
চিরে কলিজা বের করে নেয়া হয়েছিল ৷ তার অঙ্গচ্ছেদ করা হয়েছিল, নাক ও কান দুটো কেটে
ফেলা হয়েছিল ৷ মুহাম্মাদ ইবন জাফর ইবন যুবায়র আমাকে জানিয়েছেন যে, হযরত হামযা
(রা)এর এ অবস্থা দেখে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, সাফিয়্যা দুঃখ পারেন আর আমার
পরবভীকািলের জন্যে এটি যদি রেওয়াজে পরিণত হতে পারে এ আশঙ্কা না থাকলে আমি হামযা
(রা)-এর লাশ এভাবেই ফেলে রাখতাম তিনি পশু পাখীর থােরাক হতেন ৷ কোন স্থানে আল্লাহ
যদি আমাকে কুরায়শদের বিরুদ্ধে বিজয় দেন তবে ওদের ৩০ জনের আমি অঙ্গচ্ছেদ করে দেব,
নাককড়ান কেটে দেব ৷ হযরত হাময৷ (রা)-এর প্ৰতি এই অমানবিক আচরণের প্রেক্ষিতে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দুঃখ ও ক্রোধ লক্ষ্য করে উপস্থিত মুসলমানগণ বললেন, আল্লাহর কসম ,
কােনদিন যদি আল্লাহ্ তাআলা ওদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে বিজয়ী করেন তবে আমরা ওদের


এমন অঙ্গহানি-অঙ্গকতন করব যা কোন আরব কখনো করেনি ৷ ইবন ইসহাক বলেন, বুরায়দা


فَجُدِعَ أَنْفُهُ وَأُذُنَاهُ، فَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ حِينَ رَأَى مَا رَأَى: لَوْلَا أَنْ تَحْزَنَ صَفِيَّةُ وَتَكُونَ سُنَّةً مِنْ بَعْدِي، لَتَرَكْتُهُ حَتَّى يَكُونَ فِي بُطُونِ السِّبَاعِ وَحَوَاصِلِ الطَّيْرِ، وَلَئِنْ أَظْهَرَنِي اللَّهُ عَلَى قُرَيْشٍ فِي مَوْطِنٍ مِنَ الْمَوَاطِنِ لَأُمَثِّلَنَّ بِثَلَاثِينَ رَجُلًا مِنْهُمْ. فَلَمَّا رَأَى الْمُسْلِمُونَ حُزْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَغَيْظَهُ عَلَى مَنْ فَعَلَ بِعَمِّهِ مَا فَعَلَ، قَالُوا: وَاللَّهِ لَئِنْ أَظْفَرَنَا اللَّهُ بِهِمْ يَوْمًا مِنَ الدَّهْرِ لَنُمَثِّلَنَّ بِهِمْ مُثْلَةً لَمْ يُمَثِّلْهَا أَحَدٌ مِنَ الْعَرَبِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي بُرَيْدَةُ بْنُ سُفْيَانَ بْنِ فَرْوَةَ الْأَسْلَمِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ وَحَدَّثَنِي مَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ أَنْزَلَ فِي ذَلِكَ: {وَإِنْ عَاقَبْتُمْ فَعَاقِبُوا بِمِثْلِ مَا عُوقِبْتُمْ بِهِ، وَلَئِنْ صَبَرْتُمْ لَهُوَ خَيْرٌ لِلصَّابِرِينَ وَاصْبِرْ وَمَا صَبْرُكَ إِلَّا بِاللَّهِ} [النحل: 126] الْآيَةَ. [النَّحْلِ: 127، 126] قَالَ: فَعَفَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَبَرَ وَنَهَى عَنِ الْمُثْلَةِ. قُلْتُ: هَذِهِ الْآيَةُ مَكِّيَّةٌ، وَقِصَّةُ أُحُدٍ بَعْدَ الْهِجْرَةِ بِثَلَاثِ سِنِينَ، فَكَيْفَ يَلْتَئِمُ مَعَ هَذَا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ قَالَ: «مَا قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَقَامٍ قَطُّ فَفَارَقَهُ حَتَّى يَأْمُرَ بِالصَّدَقَةِ، وَيَنْهَى عَنِ
পৃষ্ঠা - ২৭০৮
الْمُثْلَةِ» . وَقَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَلَمَّا وَقَفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى حَمْزَةَ «قَالَ: لَنْ أُصَابَ بِمِثْلِكَ أَبَدًا، مَا وَقَفْتُ مَوْقِفًا قَطُّ أَغْيَظَ إِلَيَّ مِنْ هَذَا. ثُمَّ قَالَ: جَاءَنِي جِبْرِيلُ فَأَخْبَرَنِي أَنَّ حَمْزَةَ مَكْتُوبٌ فِي أَهْلِ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ: حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ أَسَدُ اللَّهِ وَأَسَدُ رَسُولِهِ» . قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَكَانَ حَمْزَةُ، وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الْأَسَدِ أَخَوَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الرَّضَاعَةِ ; أَرْضَعَتْهُمْ ثَلَاثَتَهُمْ ثُوَيْبَةُ مَوْلَاةُ أَبِي لَهَبٍ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْهَاشِمِيُّ أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، يَعْنِي ابْنَ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ عُرْوَةَ قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبِي الزُّبَيْرِ «أَنَّهُ لَمَّا كَانَ يَوْمُ أُحُدٍ أَقْبَلَتِ امْرَأَةٌ تَسْعَى، حَتَّى إِذَا كَادَتْ أَنْ تُشْرِفَ عَلَى الْقَتْلَى. قَالَ: فَكَرِهَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تَرَاهُمْ، فَقَالَ: " الْمَرْأَةَ الْمَرْأَةَ ". قَالَ الزُّبَيْرُ: فَتَوَسَّمْتُ أَنَّهَا أُمِّي صَفِيَّةُ، قَالَ: فَخَرَجْتُ أَسْعَى إِلَيْهَا، فَأَدْرَكْتُهَا قَبْلَ أَنْ تَنْتَهِيَ إِلَى الْقَتْلَى. قَالَ: فَلَدَمَتْ فِي صَدْرِي، وَكَانَتِ امْرَأَةً جَلْدَةً، قَالَتْ: إِلَيْكَ، لَا أَرْضَ لَكَ. قَالَ: فَقُلْتُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَزَمَ
পৃষ্ঠা - ২৭০৯
عَلَيْكِ. قَالَ: فَوَقَفَتْ، وَأَخْرَجَتْ ثَوْبَيْنِ مَعَهَا، فَقَالَتْ: هَذَانِ ثَوْبَانِ جِئْتُ بِهِمَا لِأَخِي حَمْزَةَ، فَقَدْ بَلَغَنِي مَقْتَلُهُ، فَكَفِّنُوهُ فِيهِمَا. قَالَ: فَجِئْنَا بِالثَّوْبَيْنِ لِنُكَفِّنَ فِيهِمَا حَمْزَةَ، فَإِذَا إِلَى جَنْبِهِ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ قَتِيلٌ، قَدْ فُعِلَ بِهِ كَمَا فُعِلَ بِحَمْزَةَ. قَالَ: فَوَجَدْنَا غَضَاضَةً وَحَيَاءً أَنْ نُكَفِّنَ حَمْزَةَ فِي ثَوْبَيْنِ وَالْأَنْصَارِيُّ لَا كَفَنَ لَهُ، فَقُلْنَا: لِحَمْزَةَ ثَوْبٌ وَلِلْأَنْصَارِيِّ ثَوْبٌ. فَقَدَّرْنَاهُمَا فَكَانَ أَحَدُهُمَا أَكْبَرُ مِنَ الْآخَرِ، فَأَقْرَعْنَا بَيْنَهُمَا، فَكَفَّنَّا كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا فِي الثَّوْبِ الَّذِي طَارَ لَهُ.»
পৃষ্ঠা - ২৭১০


ইবন সুফিয়ান ইবন ফারওয়৷ আসলামী ইবন আব্বাস (রা ) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, এই
প্রেক্ষিতে ই আল্লাহ তাআলা ন৷ ৷যিল করলেন :

১ :
যদিও ওে ৷মর৷ প্ৰনিশো ধ গ্রহণ কর, তবে ঠিক ৩৩খানি করবে যতখানি অন্যায় তোমাদের

প্ৰতি ৩করা হয়েছে তবে তোমরা ধৈর্য ধারণ করলে ধৈর্যশীলদের জন্যে তা-ই উত্তম ( ১৬ নাহল :
১২৬) ৷

আয়াতটি নাযিল হওয়ার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওদেরকে ক্ষমা করে দেন, ধৈর্য অবলম্বন করেন
এবং শত্রুপক্ষের অঙ্গক৩ ন নিষে ধ করে দেন ৷

আমি বলি এ আয়াত মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে আর উহুদ য্দ্ব সংঘটিত হয়েছে মদীনায়
হিজররু৩ র তিন বছর পর ৷৩ তাহলে উপরোক্ত মন্তব্য যুক্তিসঙ্গত হয় কীভাবে ? আল্লাহ্ইভ
জানেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, হুমায়দ আততাবীল বর্ণনা করেছেন হাসান সুত্রে সামুরা থেকে ৷ তিনি
বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যে স্থানেই অবস্থান করেও তা ত্যাগ করেছেন ৷ সেখানেই সাদকার
নির্দেশ দিয়েছেন এবং অঙ্গকর্তন থেকে লোকজনকে বারণ করেছেন ৷ ইবন হিশাম বলেন, হামযা
(বা) এর লাশেব নিকট দা ৷ড়িয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, আপনার মত ৩আঘাত কােনদিন কেউ
করেনি এবং এর চাইতে অধিক দুঃখজনক কোন স্থানে আমি কােনদিন দাড়াইনি ৷৩ তারপর তিনি
বললেন, জিবরাঈল (আ) এসে আমাকে বলে গেলেন, সাত আসমানে হামযা (রা)-এর পরিচয়
এভাবে লেখা হয়েছে যে, আবদুল মুত্তালিবের পুত্র হামযা, আল্লাহর সিত্হ এবং তার রাসুলের
সিংহ ৷ ইবন হিশাম বলেন, হামযা (রা ) এবং আবু সালামা ইবন আবদুল আসাদ দুজন ছিলেন
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দুধভইি ৷ আবু লাহাবের দাসী ছুওয়াইবা র্তাদের তিনজনকে দুধ পান
করিয়েছিলেন ৷

হযরত হামযা ও উহুদ যুদ্ধের শহীদগণের জানাযার নামায

ইবন ২পহাক র লেন , আহা৩াজন জৰুনক ব্যক্তি মিকসাম সুত্রে ইবন আব্বাস (বা) থেকে
বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নির্দেশে হযরত হামযা (রা)-কে একটি
চাদর দ্বারা কাফন পরানাে হল, তিনি তার জ নাযা পড়ালেন ৷ তাতে তিনি সাতবার তাকবীর
বললেন ৷ তারপর এক একজন শহীদ এনে৩ ৷তর পাশে রাখা হচ্ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওই শহীদের
নামায আদায় করছিলেন সাথে হযরত হামযা (রা)-এর নামায ও হচ্ছিল ৷ শেষ পর্যন্ত হযরত হামযা
(বা)-এর জানাযার নামাঘের সংখ্যা র্দাড়িয়েছিল ৭২-এ , এটি একটি একক বর্ণনা এটির সনদ
দুর্বল ৷ সুহায়লী বলেন, দেশ বিদেশের কোন উল্লেখযোগ্য আলিম এই বক্তব্য সমর্থন করেননি ৷
ইমাম আহমদ বলেন, আফ্ফান ইবন মাসউদ (রা) থেকে বংনাি করলেন ৷ তিনি বলেছেন,
মুসলিম মহিলাপণ উহুদ দিবসে মুসলিম পুরুষদের পেছনে অবস্থা ন করছিলেন ৷৩ তারা মৃশরিকদের
আক্রমণে আহত মুজাহিদদের সেবা শুশ্রাষা করছিলেন ৷ আমি যদি তখন আল্লাহর কসম করে




[ذِكْرُ الصَّلَاةِ عَلَى حَمْزَةَ وَقَتْلَى أُحُدٍ] وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي مَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحَمْزَةَ فَسُجِّيَ بِبُرْدَةٍ، ثُمَّ صَلَّى عَلَيْهِ فَكَبَّرَ سَبْعَ تَكْبِيرَاتٍ، ثُمَّ أَتَى بِالْقَتْلَى يُوضَعُونَ إِلَى حَمْزَةَ فَصَلَّى عَلَيْهِمْ وَعَلَيْهِ مَعَهُمْ، حَتَّى صَلَّى عَلَيْهِ ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ صَلَاةً.» وَهَذَا غَرِيبٌ وَسَنَدُهُ ضَعِيفٌ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَلَمْ يَقُلْ بِهِ أَحَدٌ مِنْ عُلَمَاءِ الْأَمْصَارِ. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: إِنَّ النِّسَاءَ كُنَّ يَوْمَ أُحُدٍ خَلْفَ الْمُسْلِمِينَ يُجْهِزْنَ عَلَى جَرْحَى الْمُشْرِكِينَ، فَلَوْ حَلَفْتُ يَوْمَئِذٍ رَجَوْتُ أَنْ أَبَرَّ: إِنَّهُ لَيْسَ أَحَدٌ مِنَّا يُرِيدُ الدُّنْيَا حَتَّى أَنْزَلَ اللَّهُ: {مِنْكُمْ مَنْ يُرِيدُ الدُّنْيَا وَمِنْكُمْ مَنْ يُرِيدُ الْآخِرَةَ ثُمَّ صَرَفَكُمْ عَنْهُمْ لِيَبْتَلِيَكُمْ} [آل عمران: 152] فَلَمَّا خَالَفَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَصَوْا مَا أُمِرُوا بِهِ، أُفْرِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي تِسْعَةٍ ; سَبْعَةٌ مِنَ الْأَنْصَارِ وَاثْنَيْنِ مِنْ قُرَيْشٍ وَهُوَ عَاشِرُهُمْ، فَلَمَّا رَهِقُوهُ قَالَ: رَحِمَ اللَّهُ رَجُلًا رَدَّهُمْ عَنَّا قَالَ: فَقَامَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ
পৃষ্ঠা - ২৭১১

বলতাম যে, আমাদের কেউই পার্থিব লাভের প্ৰত্যাশী নয় তবে আমার মনে হয় আমার শপথ
মিথ্যা হতো না ৷ য তক্ষণ না আল্লাহ তাআলা নাযিল করলেন $

মোঃ

তোমাদের কেউ ইন্থ হুকাল কামনা করা ছল আর কতক >ারকাল কামনা করাছল ৷ এরপর তিনি
পরীক্ষা করার জন্যে £৩ আমাদেরকে তাদের থেকে ফিরিয়ে দিলেন (৩ আংল ইমরানং : ১৫২) ৷

যণ্নে কতিপয় সাহাবী নির্দেশ অমান্য করে স্থান গ্যাগ করেন এখন মাএ নয়জন লোক নিয়ে

রাসুলুল্লাহ্ (সা) ময়দানে অবস্থান করছিলেন ৷ নযজনের মাধ্য ং৷ জন আনসাবী এবং ২ জন
কুরাযশী, তিনিনহ ছিলেন ১০ জন ৷ শক্রপক্ষ যখন তার খুব নিকটবর্তী হয়ে গেল তখন তিনি
বললেন, যে ব্যক্তি ওদেরকে আমাদের কাছ থেকে দুরে সবিসে দিতে পারবে আল্লাহ তাআলা তার
প্ৰতি সদর হবেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এভাবে ঘোষণা দিয়ে বা চ্ছিহ্বলন ৷আর সাথিগণ একের পর এক
প্রতিরোধ করতে করতে শহীদ হচ্ছিলেন ৷ এভাবে নয়জনের মধ্যে সা ন্জনই শহীদ হয়ে গেলেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না) তার সাথীদ্বর কে বললেন, আমাদের সাথিগণের প্রতি ইনসাফ করা হয়নি ৷
অবস্থা য় আবু সুফিয়ান এসে বলল হুবল দেবতার জয় হোক ৷ রাসুলুল্লাহ্ সাহ ৷বীদেবকে নির্দেশ
দািলন ডওর দিতে এবং বলতে ৩,যে আল্লাহ্ই সর্বোচ্চ-সুমহান ৷ যুসলমানপণ বললেন আল্লাহ্
সর্বোচ্চ সুমহান আবুসুফিয়ান বলন , আমাদের উঘৃযা আছে, তোমাদের উয্যা নেই ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা ) বললেন, তোমরা উত্তর দাও যে, আল্লাহ আমাদের প্রভু, তোমাদের কোন প্রভু নেই ৷ আবু
সুফিয়ান বলল, আজকের দিন রদরের দিনের প্ৰতিশোধ ৷ একদিন তোমাদের একদিন আমাদের
একদিন আমরা দুঃখ পইি আর একদিন খুশী হই ৷ তোমাদের হানযাল৷ আমাদের হানযালার বদলা
স্বরুপ ৷ অমুক অমুকের বদলা ৷ রাসুলুল্লাহ্ ৷ সা ) বললেন উভয় দল সমান নয ৷ আমাদের নিহত
লোকজন মুলতঃ জীবিত তারা জীবিকা পাচ্ছে ৷ আর তোমাদের নিহতরা জহোন্নামে শান্তি ভোগ
করছে ৷ আবু সুফিয়া ন বলল, নােকজনের মধ্যে কতক অঙ্গ কর্তিত আছে ৷ তবে সটা আমাদের
নেতৃস্থানীয় লোকদের কাজ নয় ৷ আমি অঙ্গ ক৩নের নির্দেশও দিইনি তা থেকে বারণও কারনি ৷
অ্যান তা পছ দও করিনি অপছৰু ও করিনি ৷ তাতে আমি দুঃখিত ওনই খুশীও নই ৷

বপ্টাদ্বকারী বলেন, লোকজন নিজেদের নিহতদের খোজে বের হল ৷ হযরত হামযা (রা)-কে
পাওয়া গেল যে, তীর পেট চিরে ফেলা হন্হুাছে ৷ হিন্দ তার কলিজ৷ বের করে চিৰিয়েছে ৷ কিন্তু
তা গিলভে পারেনি ৷ রা সুলুল্লাহ্ (সা) জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, সেকি তার কলিজার কিছুটা খেতে
পােরছে ৱ লোকজন বলল, না খেতে পারেনি ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ্ তা জানা হযরত হামযা
(রা ) এর সামান্য অংশও জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন না ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) হাময৷ (রা)-কে সামনে
রেখে জানায৷ আদায় করলেন ৷ এরপর একজন আনসারী শহীদকে উপস্থিত করা হল তার রাখা
হল হামযা (রা )-এর পা;শ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তার জানাযরে নামায আদায় করলেন ৷ ওই
আনসারীকে সরিয়ে নিয়ে অন্য এক আনসারী আনা হল ৷ হাময৷ (রা )এর লাশ ওখানেই থাকলে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওই আনসারী এবং হামযার (রা) জানাযা আদায় করলেন ৷ ওই আনসারীকে সরিয়ে
নেয়া হল ৷ হামযৰ্ (রা)-কে ওখানে রাখা হল ৷ সেদিন এভাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ৭০ বার হযরত
হাময৷ (রা১এর জানাযার নামায পড়েছেন, এটি ইমাম আহমদের একক বর্ণনা ৷ এই জনৈক

১ ১

فَقَاتَلَ سَاعَةً حَتَّى قُتِلَ، فَلَمَّا رَهِقُوهُ أَيْضًا قَالَ: رَحِمَ اللَّهُ رَجُلًا رَدَّهُمْ عَنَّا. فَلَمْ يَزَلْ يَقُولُ ذَا حَتَّى قُتِلَ السَّبْعَةُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِصَاحِبَيْهِ: مَا أَنْصَفْنَا أَصْحَابَنَا. فَجَاءَ أَبُو سُفْيَانَ فَقَالَ: اعْلُ هُبَلَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُولُوا: اللَّهُ أَعْلَى وَأَجَلُّ. فَقَالُوا: اللَّهُ أَعْلَى وَأَجَلُّ. فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: لَنَا الْعُزَّى وَلَا عُزَّى لَكُمْ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قُولُوا: اللَّهُ مَوْلَانَا وَلَا مَوْلَى لَكُمْ. ثُمَّ قَالَ أَبُو سُفْيَانَ: يَوْمٌ بِيَوْمِ بَدْرٍ يَوْمٌ لَنَا وَيَوْمٌ عَلَيْنَا، وَيَوْمٌ نُسَاءُ وَيَوْمٌ نُسَرُّ، حَنْظَلَةُ بِحَنْظَلَةَ وَفُلَانٌ بِفُلَانٍ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا سَوَاءَ، أَمَّا قَتْلَانَا فَأَحْيَاءٌ يُرْزَقُونَ، وَقَتْلَاكُمْ فِي النَّارِ يُعَذَّبُونَ. قَالَ أَبُو سُفْيَانَ: قَدْ كَانَتْ فِي الْقَوْمِ مُثْلَةٌ، وَإِنْ كَانَتْ لَعَنْ غَيْرِ مَلَأٍ مِنَّا، مَا أَمَرْتُ وَلَا نَهَيْتُ، وَلَا أَحْبَبْتُ وَلَا كَرِهْتُ، وَلَا سَاءَنِي وَلَا سَرَّنِي. قَالَ: فَنَظَرُوا، فَإِذَا حَمْزَةُ قَدْ بُقِرَ بَطْنُهُ، وَأَخَذَتْ هِنْدُ كَبِدَهُ فَلَاكَتْهَا، فَلَمْ تَسْتَطِعْ أَنْ تَأْكُلَهَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَأَكَلَتْ مِنْهُ شَيْئًا؟ قَالُوا: لَا. قَالَ: مَا كَانَ اللَّهُ لِيُدْخِلَ شَيْئًا مِنْ حَمْزَةَ فِي النَّارِ. قَالَ: فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَمْزَةَ فَصَلَّى عَلَيْهِ، وَجِيءَ بِرَجُلٍ مِنَ الْأَنْصَارِ فَوُضِعَ إِلَى جَنْبِهِ فَصَلَّى عَلَيْهِ، فَرُفِعَ الْأَنْصَارِيُّ، وَتُرِكَ حَمْزَةُ ثُمَّ جِيءَ بِآخِرَ فَوَضَعَهُ إِلَى جَنْبِ حَمْزَةَ فَصَلَّى عَلَيْهِ، ثُمَّ رُفِعَ وَتُرِكَ حَمْزَةُ حَتَّى صَلَّى عَلَيْهِ يَوْمَئِذٍ سَبْعِينَ صَلَاةً. تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَهَذَا إِسْنَادٌ فِيهِ ضَعْفٌ أَيْضًا مِنْ جِهَةِ
পৃষ্ঠা - ২৭১২
عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالَّذِي رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَثْبَتَ، حَيْثُ قَالَ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ أَخْبَرَهُ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَجْمَعُ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ مِنْ قَتْلَى أُحُدٍ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ، ثُمَّ يَقُولُ: أَيُّهُمْ أَكْثَرُ أَخْذًا لِلْقُرْآنِ؟ فَإِذَا أُشِيرَ إِلَى أَحَدٍ قَدَّمَهُ فِي اللَّحْدِ وَقَالَ: أَنَا شَهِيدٌ عَلَى هَؤُلَاءِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ. وَأَمَرَ بِدَفْنِهِمْ بِدِمَائِهِمْ، وَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِمْ، وَلَمْ يُغَسَّلُوا.» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ دُونَ مُسْلِمٍ. وَرَوَاهُ أَهْلُ السُّنَنِ مِنْ حَدِيثِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ سَمِعْتُ عَبْدَ رَبِّهِ يُحَدِّثُ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ جَابِرٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ فِي قَتْلَى أُحُدٍ: «فَإِنَّ كُلَّ جُرْحٍ أَوْ كُلَّ دَمٍ يَفُوحُ مِسْكًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ.» وَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِمْ. وَثَبَتَ أَنَّهُ صَلَّى عَلَيْهِمْ بَعْدَ ذَلِكَ بِسِنِينَ عَدِيدَةٍ قَبْلَ وَفَاتِهِ بِيَسِيرٍ، كَمَا قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ،
পৃষ্ঠা - ২৭১৩

রর্ণনাকারী আতা ইবন সাইন সনদে থাকায় বর্ণনার সনদঢি দুর্বল সাবাস্ত হয়েছে ৷ আল্লাহ ভাল
জানেন ৷ ইমাম বুখারীর বর্ণনাটি অধিকতর প্রা ৷৷ণ্য ৷ তিনি বর্ণনা করেছে ন, কুতায়বা
জাবির ইবন আবদুল্লাহ সুত্রে৩ ডি সি বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) উহুদেব শহীদগণের মধ্যে দুজন
দুজন করে এক কাপড়ের মধ্যে একত্রিত করছিলেন আর বলছিলেন দুজনের মধ্যে কুরআন
চর্চার ৫ক অ্যাপামী ছিলেন ? কোন একজন স্পষ্ট ইঙ্গিত করা হলেও তিনি তাকেই কবরে সম্মুখে
রাখাছলেনঃ ৷ তিনি বলছিলেন যে আমি কিয়ামতে র দিনে এদের পক্ষে সাক্ষ্য দেব ৷ রক্তসহ৩ তিনি
ও৫দর৫ক দাফন করার নির্দেশ দিয়েছিলন ৷ তাদের জানাযাও পড় ৷ হয়নি ৷ তাদেরকে পােসলও
দেয়া হয়নি ৷ এটি ইমাম বৃখারীৱ একক বর্ণনা ৷ সুনান সংকলনকারিপণ লাহ্াছ ইবন সাদের বরাতে
এটি বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমদ বলেছেন , মুহাম্মাদ ইবন জাফর জাৰির ইবন ন্মাবদুল্লাহ্ সুত্রে বর্ণনা
করেছেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে যে, তিনি উহুদের শহীদণ’শ্৷ স্পষ্ট বলোছন কিয়াম৫ ৫তর দিন
তাদের প্রত্যেক ক্ষতস্থান থেকে অথবা তাদের রক্ত ৫থ৫ক মিশৃক এর ঘ্রাণ বের হতে থাকবে ৷
তিনি শহীদদের জানাযার নামায পড়েননি ৷ বর্ণিত ৩আছে ৫২ , পরবর্তীতে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এ র
ওফাভের কিছু দিন পুর্বে তিনি ওই শহীদদের জনােনামায আদায় ক৫রছি৫’৫বন ; এ প্রসংগে ইমাম
বুখারী (রা) বলেছেন, মুহাম্মাদ ইবন আবদুর রহীম উকবা ইবন আমির (রা) থেকে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেছেন, আট বছর পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) উহুদেব শহীদদের জন্য নামায আদায়
করেছিলেন ৷৩ তখন তিনি ছিলেন জীবিত ও মৃত লোকদের থেকে বিদায় গ্রহণকারীর ন্যায় ৷
তারপর তিনি মিম্ব৫র আরোহণ করলেন এবং বললেন, আমি তোমাদের আগে যাত্রা করব ৷ আমি
৫তমােদের পক্ষে সাক্ষ্য দেব ৷ তোমাদের সাথে সাক্ষা৫তর প্ৰতিশ্াৰুত স্থান হল হাওয ই কাওছার ৷
আমি এখান থেকে তা দেখতে পাচ্ছি ৷ তোমরা সকলে একযোগে শির৫ক লিপ্ত হবে সে সাশংকা
আমি করি না ৷ তবে আমার আশংকা এই যে, ভোমর৷ দৃনিয়দােরীতে আকৃষ্ট হয়ে যাবে ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এই দেখা ছিল আমার রাসুলুরাহ্ (সা)৫ক শের দেখা ;

ইমাম বুখারী অন্য একন্থা৫ন ইমাম মুসলিম আবুদাউদ ও নসােঈ (রা এরন হাদীছ উদ্ধৃত
ক৫র৫ছন ইয়াযীদ ইবন আবু হাবীব থেকে ৷ উমাভী বলেন, আমার পিতা হযরত আইশা
৷ র৷ ) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন যে, রাসুগৃল্লাহ্ (সা) উহুদেব যুার যবাের পর সংবাদ
সখ্ত্থাহর উদ্দেশ্যে আমরা সাহৰীর সময় পথে বের হয়ে পাড় ৷ ৫তাম৫ধ্য ফজরের সময় হয়ে

হে হাম্ল ইবন সাদানা ! তুমি একটু অপেক্ষা কর, তারপর প্রচণ্ড যুদ্ধ ক্ষেত্রে উপস্থিত হও ৷
প৫র আমরা ভালভাবে তাকিয়ে দেখলাম যে, তিনি হলেন উসায়দ ইবন হুযায়র ৷ এরপর আমরা
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম ৷ হঠাৎ দেখলাম একটি উট এল ৷ উটের পিঠে একজন মহিলা ৷ দুপা৫া
দুটো বোঝা ৷ হযরত আইশা (রা) বলেন, আমরা মহিলাটির নিকট গেলাম ৷ তখন দেখতে পাই
, :য তিনি এামৃর ইবন জামুহ এর শ্রী ৷ আমরা ওা৫ক জিজ্ঞেস করলাম, সং বাদ কী ? ৩ তনি বললেন
আল্লাহ তা আল৷ রাসৃলুল্পাহ্ (সা) ৫ক রক্ষা করেছেন ৷ কভক মু ’নিন ব্যক্তিকে শহীদরু৫প কবুল


أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ حَيْوَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: «صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى قَتْلَى أُحُدٍ بَعْدَ ثَمَانِي سِنِينَ، كَالْمُوَدِّعِ لِلْأَحْيَاءِ وَالْأَمْوَاتِ، ثُمَّ طَلَعَ الْمِنْبَرَ فَقَالَ: إِنِّي بَيْنَ أَيْدِيكُمْ فَرَطٌ، وَأَنَا عَلَيْكُمْ شَهِيدٌ، وَإِنَّ مَوْعِدَكُمُ الْحَوْضُ، وَإِنِّي لَأَنْظُرُ إِلَيْهِ مِنْ مَقَامِي هَذَا، وَإِنِّي لَسْتُ أَخْشَى عَلَيْكُمْ أَنْ تُشْرِكُوا، وَلَكِنِّي أَخْشَى عَلَيْكُمُ الدُّنْيَا أَنْ تَنَافَسُوهَا قَالَ: فَكَانَ آخِرَ نَظْرَةٍ نَظْرَتُهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي مَوَاضِعَ أُخَرَ، وَمُسْلِمٌ، وَأَبُو دَاوُدَ، وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ بِهِ نَحْوَهُ. وَقَالَ الْأُمَوِيُّ: حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عُمَارَةَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: خَرَجْنَا مِنَ السَّحَرِ مَخْرَجَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أُحُدٍ نَسْتَطْلِعُ الْخَبَرَ، حَتَّى إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ إِذَا رَجُلٌ مُحْتَجِرٌ يَشْتَدُّ وَيَقُولُ: لَبِّثْ قَلِيلًا يَشْهَدِ الْهَيْجَا حَمَلْ قَالَتْ: فَنَظَرْنَا، فَإِذَا أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ ثُمَّ مَكَثْنَا بَعْدَ ذَلِكَ، فَإِذَا بِعِيرٌ قَدْ أَقْبَلَ، عَلَيْهِ امْرَأَةٌ بَيْنَ وَسَقَيْنِ. قَالَتْ: فَدَنَوْنَا مِنْهَا، فَإِذَا هِيَ امْرَأَةُ عَمْرِو بْنِ
পৃষ্ঠা - ২৭১৪
الْجَمُوحِ فَقُلْنَا لَهَا: مَا الْخَبَرُ؟ قَالَتْ: دَفَعَ اللَّهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاتَّخَذَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ شُهَدَاءَ {وَرَدَّ اللَّهُ الَّذِينَ كَفَرُوا بِغَيْظِهِمْ لَمْ يَنَالُوا خَيْرًا وَكَفَى اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ الْقِتَالَ وَكَانَ اللَّهُ قَوِيًّا عَزِيزًا} [الأحزاب: 25] . ثُمَّ قَالَتْ: لِبَعِيرِهَا: حُلْ. ثُمَّ نَزَلَتْ، فَقُلْنَا لَهَا: مَا هَذَا؟ قَالَتْ: أَخِي وَزَوْجِي. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ أَقْبَلَتْ صَفِيَّةُ بِنْتُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ لِتَنْظُرَ إِلَيْهِ، وَكَانَ أَخَاهَا لِأَبِيهَا وَأُمِّهَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِابْنِهَا الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ: الْقَهَا فَأَرْجِعْهَا ; لَا تَرَى مَا بِأَخِيهَا فَقَالَ لَهَا: يَا أُمَّهْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْمُرُكِ أَنْ تَرْجِعِي. قَالَتْ: وَلِمَ، وَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّهُ مُثِّلَ بِأَخِي، وَذَلِكَ فِي اللَّهِ؟ ! فَمَا أَرْضَانَا مَا كَانَ مِنْ ذَلِكَ، لَأَحْتَسِبَنَّ وَلَأَصْبِرَنَّ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. فَلَمَّا جَاءَ الزُّبَيْرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَخْبَرَهُ بِذَلِكَ، قَالَ: خَلِّ سَبِيلَهَا. فَأَتَتْهُ فَنَظَرَتْ إِلَيْهِ، وَصَلَّتْ عَلَيْهِ، وَاسْتَرْجَعَتْ وَاسْتَغْفَرَتْ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ أَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدُفِنَ، وَدُفِنَ مَعَهُ ابْنُ أُخْتِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَحْشٍ - وَأُمُّهُ أُمَيْمَةُ بِنْتُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ - وَكَانَ قَدْ مُثِّلَ بِهِ، غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يُبْقَرْ عَنْ كَبِدِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَكَانَ يُقَالُ لَهُ: الْمُجَدَّعُ فِي اللَّهِ. قَالَ: وَذَكَرَ سَعْدٌ أَنَّهُ هُوَ
পৃষ্ঠা - ২৭১৫


করেছেন ৷ এবং কাফিরদেরকে মনের জ্বালাসহ ৰিফল মনােরােথে ফিরে যেতে বাধ্য করেছেন ৷
দ্বেদ্ধ মু’মিনদের জন্যে আল্লাহ্ই যথেষ্ট ৷ আলাহ্ সর্বশক্তিমান পরাক্রমশালী ৷ মহিলাঢি তার
উটংক বসার নির্দেশ দিয়ে নিজে উট থেকে নেমে পড়লেন ৷ আমরা ন্ার বোঝা দৃটোর দিকে
ইঙ্গিত করে বললাম, এগুলো কী ? ৷ত ৩ান বললেন, একটি আমার স্বামীর লাশ আর একটি আমার
ভাইয়ের লাশ ৷
ইবন ইসহাক বলেন, সাফিয়্যা বিনৃত আবদুল মুত্তালিব হযরত হামযার (রা ) লাশ দেখতে
আসেন ৷ হযরত হামযা (রা) ছিলেন তার সহোদর ভাই ৷ রাসুলু৭দ্বুা৷হ (স ৷ ) তীর পুত্র যুবায়র ইবন
আ ওয়ামকে বললেন, তুমি তোমার মায়ের নিকট যাও ৷ র্তাকে থামাও, যেন তীর ভাইয়ের
হৃদয়বিদারক এই সাপের দৃশ্য তাকে দেখতে না হয় ৷ যুবায়র তীর মাকে বললেন আম্মা!
রত্বসুলুল্লাহ্ (সা) আপনাকে ফিরে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন ৷ তিনি বললেন কেন ? আমি £তা
(জনেছি যে, আমার ভাইয়ের অঙ্গপ্র৩ ত্যঙ্গ ফেটে ফেলা হয়েছে, তাৰু,ত কী ? তাভো হয়েছে
আল্লাহর পথে আমার জন্য আধক৩ র খুশীর ব্যাপার আর কী হতে পারে : আমি অবশ্যই
ধৈর্যধারণ করব এবং ছওরারের আশায় থাকর ইনৃশা আল্লাহ ৷ যুবায়র (বা ) রদুেলুল্লাহ্ (সা) এর
নিকট এসে এই সংবাদ জানালেন ৷ তখন তিনি তাকে রললেনপ্ল তাকে আসতে দাও সাফিয়্যা

(রা ) এলেন ৷ হ্াময৷ (রা)-(ক দেখলেন ৷ তীর জন্যে দু আ করলেন , ণ্শাক প্রকাশ করলেন এবং
ক্ষমা প্রার্থ্যা৷ করলেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত হাময৷ (রা) কে দাফানর নিন্র্দশ দিলেন ৷ তাকে
এবং তার সাথে তার ভাঘ্নে আবদুল্লাহ ইবন জাহ্শ ও ওার মা উস্যয১ ৷ ৰিনৃত আবদুল ঘুত্তালিবকে
দাফন করা হল ৷ আবদুল্লাহ ইবন জাহ্শের অঙ্গহানি করা হয়েছিল; র্টইহন্ষ্ন্তু বুক ঢিরে কলিজ৷ বের
করা হয়নি ৷ আবদুল্লাহ ইবন জাহ্শকে বলা হত আল্লাহর পথে নাক কান কর্তিত ব্যক্তি ৷

সাদ (রা) বলেছেন, তিনি এবং আবদুল্লাহ ইবন জাহশ দুজনে দৃআ করেছিলেন, তাদের
দুজনের দুআ-ই কবুল হয়েছিল ৷ সাদ (রা) দুআ করেছিলেন যে, তিনি যেন কোন মুশরিক
অশ্বারোহী ভৈননিংকর মুখোমুখি হন এবং তাকে হত্যা করে তার অস্ত্রশস্ত্র কবৃ জা করতে পারেন ৷
বন্তুত তিনি তাই করতে পেরেছিলেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন জাহ্শ (রা ৷ দৃ আ করেছিলেন যে ৰেন্ান
অশ্বারোহী মুশরিক সৈন্য যেন তার সম্মুখে এসে পড়ে এবং আল্লাহর পথে ওই সৈন্য যেন তাকে
হত্যা করে তার নাক কোট নেয় ৷ তার ক্ষেত্রে এরুপই ঘটেছিল ৷

যুবায়র ইবন বাক্কার উল্লেখ করেছেন যে, উহুদ যুদ্ধে আবদুল্লাহ ইবন জাহশের তরবারি ভেঙ্গে
যায় ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা) তীকে একটি খেজ্বরের ভাল দিয়েছিলেন ৷ আবদুল্লাহ ( বা) এর হাতে সেটি
তরবারিতে পরিণত হয়েছিল ৷ সেটি দ্বারা তিনি লড়াই করেছেন ৷ পরে ন্ ওার কোন এক ওয়ারািশর

ভাগে পড়া ওই তরবারি দু শ দিরহাম মুল্যে বিক্রি হয় ৷ বদর দিবসে আকাশ! (বা ) এর ক্ষেত্রেও
এমন একটি ঘটনা ঘটেজ্জি ৷

সহীহ্ বুখারীতে আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) দু’জন দু-’জ্যা তিনজন তিনজন শহীদকে একই
কবরে দাফন করেছেন ৷ বরং একই কাফনে একত্রিত করেছেন দৃ ডি ৩নজন শহীদকে ৷ জীবিত
মুসলিম সৈনিকগণ প্রচণ্ড আহত হওয়ার কারণে প্রত্যেকের জন্যে আলাদা আলাদা কবর খনন করা


وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَحْشٍ دَعَوَا بِدَعْوَةٍ فَاسْتُجِيبَتْ لَهُمَا ; فَدَعَا سَعْدٌ أَنْ يَلْقَى فَارِسًا مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَيَقْتُلَهُ وَيَسْتَلِبَهُ، فَكَانَ ذَلِكَ، وَدَعَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَحْشٍ أَنْ يَلْقَاهُ فَارِسٌ فَيَقْتُلَهُ وَيَجْدَعَ أَنْفَهُ فِي اللَّهِ، فَكَانَ ذَلِكَ. وَذَكَرَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ أَنَّ سَيْفَهُ يَوْمَئِذٍ انْقَطَعَ، فَأَعْطَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُرْجُونًا، فَصَارَ فِي يَدِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشٍ سَيْفًا يُقَاتِلُ بِهِ، ثُمَّ بِيعَ فِي تَرِكَةِ بَعْضِ وَلَدِهِ بِمِائَتَيْ دِينَارٍ. وَهَذَا كَمَا تَقَدَّمَ لِعُكَّاشَةَ فِي يَوْمِ بَدْرٍ. وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " أَيْضًا «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَجْمَعُ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ وَالثَّلَاثَةِ فِي الْقَبْرِ الْوَاحِدِ، بَلْ فِي الْكَفَنِ الْوَاحِدِ» وَإِنَّمَا أَرْخَصَ لَهُمْ فِي ذَلِكَ ; لِمَا بِالْمُسْلِمِينَ مِنَ الْجِرَاحِ الَّتِي يَشُقُّ مَعَهَا أَنْ يَحْفِرُوا لِكُلِّ وَاحِدٍ وَاحِدًا، وَيُقَدِّمَ فِي اللَّحْدِ أَكْثَرَهُمَا أَخْذًا لِلْقُرْآنِ، وَكَانَ يَجْمَعُ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ الْمُتَصَاحِبَيْنِ فِي اللَّحْدِ الْوَاحِدِ، كَمَا جَمَعَ بَيْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَرَامٍ، وَالِدِ جَابِرٍ وَبَيْنَ عَمْرِو بْنِ الْجَمُوحِ ; لِأَنَّهُمَا كَانَا مُتَصَاحِبَيْنِ، وَلَمْ يُغَسَّلُوا، بَلْ تَرَكَهُمْ بِجِرَاحِهِمْ وَدِمَائِهِمْ، كَمَا رَوَى ابْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا أَشْرَفَ عَلَى الْقَتْلَى يَوْمَ أُحُدٍ قَالَ: أَنَا شَهِيدٌ عَلَى هَؤُلَاءِ، إِنَّهُ مَا مِنْ جَرِيحٍ يُجْرَحُ فِي اللَّهِ، إِلَّا وَاللَّهُ يَبْعَثُهُ يَوْمَ
পৃষ্ঠা - ২৭১৬
الْقِيَامَةِ يَدْمَى جُرْحُهُ، اللَّوْنُ لَوْنُ دَمٍ، وَالرِّيحُ رِيحُ مِسْكٍ.» قَالَ: وَحَدَّثَنِي عَمِّي مُوسَى بْنُ يَسَارٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «: مَا مِنْ جَرِيحٍ يُجْرَحُ فِي اللَّهِ، إِلَّا وَاللَّهُ يَبْعَثُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَجُرْحُهُ يَدْمَى، اللَّوْنُ لَوْنُ الدَّمِ، وَالرِّيحُ رِيحُ الْمِسْكِ.» وَهَذَا الْحَدِيثُ ثَابِتٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَاصِمٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أُحُدٍ بِالشُّهَدَاءِ أَنْ يُنْزَعَ عَنْهُمُ الْحَدِيدُ وَالْجُلُودُ، وَقَالَ: ادْفِنُوهُمْ بِدِمَائِهِمْ وَثِيَابِهِمْ.» وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ عَلِيِّ بْنِ عَاصِمٍ بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَبُو دَاوُدَ فِي " سُنَنِهِ ": حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ أَنَّ سُلَيْمَانَ بْنَ الْمُغِيرَةِ حَدَّثَهُمْ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عَامِرٍ، أَنَّهُ قَالَ: «جَاءَتِ الْأَنْصَارُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أُحُدٍ فَقَالُوا: قَدْ أَصَابَنَا قُرْحٌ وَجَهْدٌ، فَكَيْفَ تَأْمُرُنَا؟ فَقَالَ: احْفِرُوا وَأَوْسِعُوا، وَاجْعَلُوا الرَّجُلَيْنِ وَالثَّلَاثَةَ فِي الْقَبْرِ الْوَاحِدِ. قِيلَ:
পৃষ্ঠা - ২৭১৭

কষ্টকর ছিল বিধায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ অনুমতি ৩দিয়েছিলেন ৷ দুজনের মধ্যে যার কুরআন জানা ছিল
বেশী তাকে সম্মুখে রেখে অন্যজনকে পেছনে রেখেছেন ৷ সাধারণতঃ পরস্পর সহচর ও সাথী
ছিলেন এমন দুজন দুজন করে এক কবরে দাফন করেছিলেন ৷ যেমন হযরত জাবিরের পিতা
আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন হারাম এবং আমর ইবন জামুহ এই দৃ’জনৰ্;ক এক কবরে রাখেন ৷
কারণ, তারা দৃজনে পরস্পর বন্ধু ছিলেন ৷ শহীদদেরকে গোসল দেয়৷ ন্ য়নিঃ ৷ বরং তাদের জখমও
রক্তসহ তাদেরকে দাফন করা হয় ৷ এ প্রসং গে ইবন ইসহাক যুহরী ন্যুত্র আবদুল্লাহ ইবন ছা লাবা
ইবন শু আয়র থেকে বর্ণনা করেছেন যে উহুদ দিবসে রাসুলুল্লাহ্ (স ) শন্ হীদদেরকে দাফন করে
ফিরে এসে বললেন, আমি ওদের পক্ষে সাক্ষী রইলাম ৷ যারাই গ্রাংণ্প্লো র প্ণ্থে আহত হয় আল্লর্বা ধ্ছু

তা আলা কিয়ামত দিবসে৩ ড়াদেরকে উপন্থি ত করবেন এ অবস্থায় যে ত্যা দর ক্ষ স্থুানন্ত্র ৷’থকে রক্ত
ঝরতে থাকবে ৷ ওই রক্তের রং হবে রক্তের ন্যায়; কিন্তু ঘ্রাণ হা ষ্ মিশ্কের ন্যায় ৷ মুসা ইবন
ইয়াসার শুনেছেন হযরত আবু হুরায়রা (রা)-কে তিনি বলছিলেন যে , আবুল কাসিম (সা ) বলেছেন,
যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে আহত হয়ে কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাআলা তাকে এমন অবস্থার
পুনরুজ্জীতি করবেন যে , তার ক্ষতন্থান থেকে রক্ত ঝরতে থাকবে ৷ রক্তের রং হবে রক্তের ন্যায়
কিন্তু তার ঘাণ হবে মিশকের ন্যায় ৷ এই হাদীছ অন্য সনদেও সহীহ্ বুখড়ারী এবং সহীহ্ মুসলিমে
উদ্ধৃত হয়েছে ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, আলী ইবন আসিম শ্ণ্ ইবন আব্বাস (রা ) থেকে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) উহুদ দিবসে নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন শহীদদের দেহ থেকে
লোহা ও চামড়া জাতীয় সব বস্তু খুলে নেয়া হয় ৷ তিনি বলেছিলেন, ওদেরকে রক্ত ও পরনের জামা
কাপড় সহ দাফন করে দাও ! আবু দাউদ ও ইবন মাজা (র) এটি আলী ইবন আসিম থেকে উদ্ধৃত
করেছেন ৷ ইমাম আবু দাউদ তার সুনান-ই-আবু দাউদ গ্রন্থে বলেছেন , কা“নবী হিশাম
ইবন আমির থেকে সুত্রে বলেন, উহুদ দিবসে আনসারগণ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট উপস্থিত
হয়ে বললেন, আমরা তাে এখন আহত এবং ক্লান্ত, এখন আমাদেরকে কী নির্দেশ দেবেন?
রাসৃল্লুল্লাহ্ (সা) বলরু ন্ষ্ , সবইি মিলে কবর খনন কর! কবর খনন করবে বড়বড় ও প্রশস্ত করে ৷
তারপর দৃ-তিনজন করে এক কবরে দাফন করে দাও ৷ তারা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! কাকে
সামনে র ৷খরৰু তিনি বললেন, যার কুরআন বেশী জানা আছে ৷ ইমাম আবু দাউদ এই হাদীছ ছাদরী
হিশাম ইবন আমির সুত্রেও উল্লেখ করেছেন ৷ সেই বর্ণনায় অতিরিক্ত আছে যে, রাসুলুল্লাহ্
( সহ ) বলেছেন তোমরা কবর খনন করবে গভীর করে ৷ ইবন ইসহাক বলেন, কতক মুসলমান
তাদের আত্মীয় শহীদদের লাশ মদীনায় নিয়ে গিয়ে ওখানে দাফন করেছিলেন ৷ পরে রাসুলুল্লাহ্
(সা) তা থেকে বারণ করেছেন এবং বলেছেন, ওরা যেখানে শহীদ হয়েছে সেখানেই তাদেরকে
দাফন কর ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন, আলী ইবন ইসহাক জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা)
সুত্রে বলেছেন, আমার আব্বা উহুদ যুদ্ধে শহীদ হন ৷ আমার বোনেরা আমাকে পাঠিয়েছিল একটি
উট সহকারে এবং বলেছিল এই উট নিয়ে পিতার লাশের নিকট যাও এবং তাকে উঠিয়ে এনে
মদীনায় বানু সালিমা গোত্রের কবরন্থানে দাফন কর ৷ হযরত জাৰির বলেন, আমার কয়েকজন
সাখী নিয়ে আমি আমার পিতার লাশেব নিকট আসি ৷ এই সংবাদ রাসুলুল্লাহ্ (সা) অবগত হলেন ৷


يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَأَيُّهُمْ يُقَدَّمُ؟ قَالَ: أَكْثَرُهُمْ قُرْآنًا.» ثُمَّ رَوَاهُ مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عَامِرٍ فَذَكَرُهُ، وَزَادَ " وَأَعْمِقُوا ". قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدِ احْتَمَلَ نَاسٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ قَتْلَاهُمُ إِلَى الْمَدِينَةِ فَدَفَنُوهُمْ بِهَا، ثُمَّ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ وَقَالَ: ادْفِنُوهُمْ حَيْثُ صُرِعُوا. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ إِسْحَاقَ، وَعَتَّابٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ سَلَمَةَ بْنِ أَبِي يَزِيدَ الْمَدِينِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: «اسْتُشْهِدَ أَبِي بِأُحُدٍ فَأَرْسَلَنِي أَخَوَاتِي إِلَيْهِ بِنَاضِحٍ لَهُنَّ، فَقُلْنَ: اذْهَبْ فَاحْتَمِلْ أَبَاكَ عَلَى هَذَا الْجَمَلِ، فَادْفِنْهُ فِي مَقْبَرَةِ بَنِي سَلَمَةَ. فَقَالَ: فَجِئْتُهُ وَأَعْوَانٌ لِي، فَبَلَغَ ذَلِكَ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ جَالِسٌ بِأُحُدٍ فَدَعَانِي فَقَالَ: " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا يُدْفَنُ إِلَّا مَعَ إِخْوَتِهِ " فَدُفِنَ مَعَ أَصْحَابِهِ بِأُحُدٍ. تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ.»
পৃষ্ঠা - ২৭১৮



তিনি তখন উহুদ প্রাম্ভয়ে বসা ছিলেন ৷ তিনি আমাকে ৬াকণেন এবং কম লে ন , আল্লাহর কসম !
তোমার পিতাকে তার ভাইদের সাথেই দাফন করা হবে ৷ এরপর তাকে তার শহীদ সাথীদের
সাথেই উহুদ প্রাম্ভরে দাফন করা হল ৷ ইমাম আহমদ একা এই হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন মুহাম্মাদ ইবন জাফর জাযির ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে
বর্ণনা করেন যে, উহুদ যুদ্ধের ক৩ক শহীদ ধ্!ক্তিশো ওখান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ৷
তখন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পক্ষ থেকে এক ঘোষক ঘোষণা দিল যে, শহীদদেরকে তাদের
শাহাদাত বরণের স্থানে ফিরিয়ে আন ৷ ইমাম আবু দাউদ এবং নাসাঈ (রা ) এই হাদীছ উদ্ধৃত
করেছেন ছাওরী সুত্রে ৷ ইমাম তিরমিযী, নাসাঈ এবং ইব ন মাজায় জাবির ইবন আবদুল্লাহ
(রা)-এর বরাতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, রড়াসৃলুল্লাহ (সা ) যুশরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার
জন্যে মদীনা থেকে বের হলেন ৷ আমার পিতা আবদুল্লাহ আমাকে বললেন, হে জাবির! তুমি
মদীনায় অবস্থানকারীদের পর্যবেক্ষক রুপে মদীনায় থেকে পােণ্৷ তোমার অপরাধ হবেনা ৷ সেখান
থেকে তুমি জানতে পারবে আমাদের যুদ্ধের ফলাফল কী হবে ৷ আমি যদি আমার মেয়েগুলােকে
রেখে না যেতাম ৷ তাহলে আমি এটাই চাইতাম যে, তুমি যুদ্ধ করে আমার সম্মুখে শহীদ হয়ে
যাও ৷ জাবির (রা ) বলেন , আমি পর্যবেক্ষকদের মধ্যে ছিলাম ৷ হঠাৎ আমার ফুফু আমার বাবা ন্ ও
মামার লাশ নিয়ে উপস্থিত হলেন ৷ তাদেরকে তিনি উটের পিঠে করে মদীনায় নিয়ে এলেন
আমাদের কবরন্থানে দাফন করার উদ্দেশ্যে ৷ এমন সময় জনৈক ঘোষক আমাদের নিকট এলেন
এই ঘোষণা নিয়ে যে নবী করীম (সা ) শহীদদেরকে উহুদ প্রাম্ভরে ফিরিয়ে নিতে এবং যেখানে
তারা শহীদ হয়েছেন সেখানে দাফন করতে নির্দেশ দিয়েছেন ৷ তাই আমরা তাদেরকে ফিরিয়ে
নিলাম এবং যেখানে শহীদ হয়েছেন সেখানেই তাদেরকে দাফন করলাম ৷ মুআবিয়া ইবন আবু
সুফিয়ানের শাসনামলে একজন লোক আমার নিকট এসে বলল, হে জাৰির ইবন আবদৃল্লাহ্া
মুআবিয়া (রা)-এর কর্মচারীরা আপনার পিতার কবরের কাছে মাটি খননের ফলে তার দেহের
কিছু অংশ বেরিয়ে পড়েছে ৷ সংবাদ পেয়ে আমি সেখানে গেলাম ৷ আমি আমার পিতাকে অবিকল



শুধুমাত্র আঘাতজনিত চিহ্ন ছাড়া ৷ এরপর জাবির (রা) তার পিতার ঋণ পরিশোধের ঘটনা বর্ণনা
করেছেন ৷ ওই ঘটনা সহীহ বুখারী ও ঘুসলিমে বর্ণিত আছে ৷

রায়হাকী জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, উহুদের
শহীদদের দাফন করার দীর্ঘ চল্লিশ বছর পর ওই কবরন্থানের পাশ দিয়ে খাল খনন শুরু করা হয় ৷
তখন আমাদেরকে ওখানে ডাকা হয় ৷ আমরা সেখানে আমি ৷ আমরা লাশগুলাে বের করে আমি ৷
ঘটনাক্রমে হযরত হামযা (রা)-এর পায়ে কােদালের আঘাত লাগে তাতে তার পা থেকে রক্ত বের
হতে থাকে ৷ ইবন ইসহাক হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন যে, আমরা
তাদেরকে কবর থেকে বের করে আমি এ অবস্থায় যে, যেন মাত্র গতকালই তাদেরকে দাফন করা
হয়েছিল ৷ ওয়াকিদী বলেন, হযরত যুআবিয়া (রা ) যখন খাল খননের সিদ্ধান্ত নিলেন ৷ তখন তিনি
একজন ঘোষক পাঠিয়ে ঘোষণা প্রচার করলেন যে, উহুদ প্রাম্ভরে যাদের শহীদ আত্মীয়-স্বজন
রয়েছে ৷ তারা যেন সেখানে হাষির থাকেন ৷ জাবির (রা) বরুলাং, আমরা ভীদের কবর খুলে


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ نُبَيْحٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ قَتْلَى أُحُدٍ حُمِلُوا مِنْ مَكَانِهِمْ، فَنَادَى مُنَادِي النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ رُدُّوا الْقَتْلَى إِلَى مَضَاجِعِهِمْ. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ، وَالتِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، وَالنَّسَائِيُّ أَيْضًا، وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ كُلُّهُمْ عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، حَدَّثَنَا نُبَيْحٌ الْعَنْزِيُّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى الْمُشْرِكِينَ لِيُقَاتِلَهُمْ، وَقَالَ لِي أَبِي عَبْدُ اللَّهِ: يَا جَابِرُ، لَا عَلَيْكَ أَنْ تَكُونَ فِي نَظَّارِي أَهْلِ الْمَدِينَةِ حَتَّى تَعْلَمَ إِلَى مَا يَصِيرُ أَمْرُنَا، فَإِنِّي وَاللَّهِ لَوْلَا أَنِّي أَتْرُكُ بَنَاتٍ لِي بَعْدِي، لَأَحْبَبْتُ أَنْ تُقْتَلَ بَيْنَ يَدِيَّ. قَالَ: فَبَيْنَا أَنَا فِي النَّظَّارِينَ، إِذْ جَاءَتْ عَمَّتِي بِأَبِي وَخَالِي، عَادَلَتْهُمَا عَلَى نَاضِحٍ، فَدَخَلَتْ بِهِمَا الْمَدِينَةَ لِتَدْفِنَهُمَا فِي مَقَابِرِنَا، إِذْ لَحِقَ رَجُلٌ يُنَادِي: أَلَا إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تَرْجِعُوا بِالْقَتْلَى، فَتَدْفِنُوهَا فِي
পৃষ্ঠা - ২৭১৯
مَصَارِعِهَا حَيْثُ قُتِلَتْ. فَرَجَعْنَا بِهِمَا، فَدَفَنَّاهُمَا حَيْثُ قُتِلَا، فَبَيْنَا أَنَا فِي خِلَافَةِ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ إِذْ جَاءَنِي رَجُلٌ فَقَالَ: يَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، وَاللَّهِ لَقَدْ أَثَارَ أَبَاكَ عُمَّالُ مُعَاوِيَةَ فَبَدَا، فَخَرَجَ طَائِفَةٌ مِنْهُ. فَأَتَيْتُهُ فَوَجَدْتُهُ عَلَى النَّحْوِ الَّذِي دَفَنْتُهُ، لَمْ يَتَغَيَّرْ إِلَّا مَا لَمْ يَدَعِ الْقَتْلُ، أَوِ الْقَتِيلُ» . ثُمَّ سَاقَ الْإِمَامُ قِصَّةَ وَفَائِهِ دَيْنَ أَبِيهِ، كَمَا هُوَ ثَابِتٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ ". وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: لَمَّا أَجْرَى مُعَاوِيَةُ الْعَيْنَ عِنْدَ قَتْلَى أُحُدٍ بَعْدَ أَرْبَعِينَ سَنَةً، اسْتَصْرَخْنَاهُمْ إِلَيْهِمْ، فَأَتَيْنَاهُمْ فَأَخْرَجْنَاهُمْ، فَأَصَابَتِ الْمِسْحَاةُ قَدَمَ حَمْزَةَ فَانْبَعَثَ دَمًا. وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: فَأَخْرَجْنَاهُمْ كَأَنَّمَا دُفِنُوا بِالْأَمْسِ. وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّ مُعَاوِيَةَ لَمَّا أَرَادَ أَنْ يُجْرِيَ الْعَيْنَ، نَادَى مُنَادِيهِ: مَنْ كَانَ لَهُ قَتِيلٌ بِأُحُدٍ فَلْيَشْهَدْ. قَالَ جَابِرٌ: فَحَفَرْنَا عَنْهُمْ، فَوَجَدْتُ أَبِي فِي قَبْرِهِ كَأَنَّمَا هُوَ نَائِمٌ عَلَى هَيْئَتِهِ، وَوَجَدْتُ جَارَهُ فِي قَبْرِهِ عَمْرَو
পৃষ্ঠা - ২৭২০


ফোণী ৷ আমি আমার পিতাকে পেলাম যেন তিনি স্বাভাবিক অবস্থায় ঘুমি(র আছেন ৷ তারই কব( র
পেলাম তা ৷র সাথী আমর ইবন জামুহ(ক ৷ তীর হাত ছিল৩ তার ক্ষতন্থানের উপর ৷ ক্ষতস্থুান থেকে
তার হাত সরি(র (দয়া হলে সেখান থেকে রক্ত (বর হতে শুরু করে ৷ কথিত আছে যে, তাদের
কবর থেকে মি শ্াকের ঘ্র৷ ণ (বর হচ্ছিল ৷ (আল্লাহ তাদের প্রতি সদ্ভুষ্ট (হন ) ৷ এ ঘটনা ঘটেছিল
তাদেরকে দাফন করার (ছচল্পিশ বছর পার ৷

ইমাম বুখাবী ( র ) বলেন মুসাদ্দাদ জাবির (রা ) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বালাছন,
উহুদের যুদ্ধ যখন অত্যাসন্ন তখন রাতের বেলা আমার পিতা ৩া৷মা(ক ডেকেছিলেন ৷ তিনি
আমাকে বলেছিলেন যে আমার মনে হচ্ছে যে সকল সাহাবী প্রথম ধা(প শহীদ হবেন আমি
তাদের অম্ভভুক্ত থাকর আমি রাসৃলুহুা৷হ্ (সা) ব্যতীত (ত ৷মার চাইতে আৰুাক ওরুতুপুর্ণ কাউ(ক
রেখে যাচ্ছি না, আমার কিছু ঋণ আছে, তুমি সেগুলো পাের করে দিও এবং তোমার রুবানদুদর
সাথে তাল ব্যবহার করবে ৷ পরদিন ভোরে তিনিই হলেন প্রথম শহীদ ৷ তার করবে তার সাথে
অন্য একজনকে দাফন করি ৷ তিনি অন্যের সাথে একই কব(র থাকবেন দু:নভে আমি স্বন্থি বোধ
করছিলাম না ৷ তা ৷ই ছয় মাস পর আমি তাকে ওই কবর থেকে (বর করে ফেলি ৷ তখনও আমি
তাকে দেখতে পাই যে, আজই যেন তাকে দাফন করেছি ৷ অবশ্য শ্গুার কানে কিছুটা ব্যতিক্রম
ছিল ৷

সহীহ্ বুথারীও সহীহ ঘুসলিমে শু বা জাবির (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে যখন তার
াপত৷ শহীদ হন তখন৷ তিনি বার বার পিতার মুখের কাপড় সার(য় কাদর্দছলেন ৷ অন্যেরা তাকে
বারণ করছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,ত , তার জন্যে কাদ আর নাইবা কাদ ফেরেশতাগণ
কিভৃ তাকে৷ ছায়া দিয়ে যাচ্ছেন ৷ তাকে তোমরা ওখান থেকে না উঠানো পর্যন্ত (ফরেশতড়াগণ ছায়া
দিয়ে যাবে ৷ অন্য বর্ণনায় আছে যে হযরতজ জাবির (বা ) এর ফুফু কান্নাকাটি করছিলেন ৷

যায় (কী (র) বলেন, আবুআবদুল্লাহ্ আল হাফিযও আবুবকর আহমদ মাইশা (বা)
সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত জা ৷বির (বা ) (ক বলেছিলেন, (হ
জাবির ! আমি কি তোমাকে একটি সৃসংবাদ (দবাে না? জাবির (বা) বললেন, জী ই৷ দিন আল্লাহ্
ও আপনার সুসংবাদ প্রদান করুন ! রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তুমি কি জান, আল্লাহ্ তাআলা
তোমার পিতাকে জীবিত করে বলেছিলেন, হে আমার বান্দা, তুমি আমার নিকট যা ইচ্ছা চাও
আমি তোমাকে তা দেব ৷ তখন তোমার পিতা বলেছিলেন, হে মালিক ! আমি আপনার পুর্ণ বন্দেগী
করেছি, এখন আমার কামনা হল আপনি আমাকে দৃনিয়াতে ফেরত পাঠিয়ে দিন যাতে করে আমি
আপনার নবীর সাথী হয়ে জিহাদ করতে পারি এবং পুনরায় আপনার পথে শহীদ হতে পারি ৷
আল্লাহ্ তাআল৷ বললেন, আগে থেকেই আমার সিদ্ধান্ত রয়েছে যে, এ অবস্থা থেকে কেউই
পুনরায় দৃনিয়াতে ফিরে যেতে পারবে না ৷

বায়হাকী বলেন, আবুল হাসান মুহাম্মাদ ইবন আবুল মারুফ জাবির (বা ) সুত্রে
বলেছেন যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদিন আমার দিকে তাকালেন এবং বললেন, ব্যাপার
কি তোমাকে যে এত (পরেশান দেখা যাচ্ছে ? আমি আরব করলাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা ) আমার
আব্ব৷ শহীদ হলেন আর রেখে গেলেন অনেক ঋণ ও বহু সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিবার ৷


بْنَ الْجَمُوحِ، وَيَدُهُ عَلَى جُرْحِهِ فَأُزِيلَتْ عَنْهُ، فَانْبَعَثَ جُرْحُهُ دَمًا. وَيُقَالُ: إِنَّهُ فَاحَ مِنْ قُبُورِهِمْ مِثْلُ رِيحِ الْمِسْكِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ، وَذَلِكَ بَعْدَ سِتٍّ وَأَرْبَعِينَ سَنَةً مِنْ يَوْمِ دُفِنُوا. وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: لَمَّا حَضَرَ أُحُدٌ دَعَانِي أَبِي مِنَ اللَّيْلِ فَقَالَ لِي: مَا أُرَانِي إِلَّا مَقْتُولًا فِي أَوَّلِ مَنْ يُقْتَلُ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِنِّي لَا أَتْرُكُ بَعْدِي أَعَزَّ عَلَيَّ مِنْكَ، غَيْرَ نَفْسِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِنَّ عَلِيَّ دَيْنًا فَاقْضِ، وَاسْتَوْصِ بِأَخَوَاتِكَ خَيْرًا. فَأَصْبَحْنَا فَكَانَ أَوَّلَ قَتِيلٍ، فَدَفَنْتُ مَعَهُ آخَرَ فِي قَبْرِهِ، ثُمَّ لَمْ تَطِبْ نَفْسِي أَنْ أَتْرُكَهُ مَعَ آخَرَ، فَاسْتَخْرَجْتُهُ بَعْدَ سِتَّةِ أَشْهُرٍ، فَإِذَا هُوَ كَيَوْمِ وَضَعْتُهُ، هُنَيَّةً غَيْرَ أُذُنِهِ. وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ «، عَنْ جَابِرٍ أَنَّهُ لَمَّا قُتِلَ أَبُوهُ، جَعَلَ يَكْشِفُ عَنِ الثَّوْبِ وَيَبْكِي، فَنَهَاهُ النَّاسُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَبْكِيهِ أَوْ لَا تَبْكِيهِ، لَمْ تَزَلِ الْمَلَائِكَةُ تُظِلُّهُ بِأَجْنِحَتِهَا حَتَّى رَفَعْتُمُوهُ. وَفِي رِوَايَةٍ، أَنَّ عَمَّتَهُ هِيَ الْبَاكِيَةُ.»