আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثلاث من الهجرة

سرية زيد بن حارثة

পৃষ্ঠা - ২৬০৮

ছিল ৷ উবাদা (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে ওই চুক্তি প্ৰত্যাহারের ঘোষণা
দিলেন, এবং ওদের সাথে সম্পর্ক বর্জন করে আল্লাহ্ তাআলা ও রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পক্ষ
অবলম্বন করলেন ৷ তিনি বললেন, ইয়া রাসুলাল্লড়াহ্ ! আমি আল্লাহ্ তাআলা, তীর রাসুল এবং
মু’মিনদের সাথে রয়েছি ৷ সাথে সাথে এসব ইয়াহুদী কাফিরদের সম্পাদিত চুক্তি ও বন্ধুত্ব আমি
প্রত্যাহার করে নিচ্ছি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, উবাদা ইবন সামিত এবং আবদুল্লাহ ইবন উবাই দুজনকে
উপল্য করে সুরা মায়িদার এ আয়াত নাযিল হয়েছে :

হুঢুা,৷ ব্লুড়ু,ৰু’ৰু;ব্লু ;চুপ্রুঠু৷ প্রু,া গ্লুা৷, হ্রএ্;া৷ ৷, ৰু৷ ৷টু,;;ৰুন্ ;,ট্রুৰুাব্র৷ ঢুৰুদ্বুাদ্বু
;);;;;

হে মুমিনণণ ! ইয়াহ্রদী ও খৃণ্টানদেরকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করো না , তারা পরস্পর পরস্পরের
বন্ধু ৷ তোমাদের মধ্যে কেউ ওদেরকে বন্ধু রুপে গ্রহণ করলে (ন্ন্ তাদেরই একজন হবে ৷ আল্লাহ্
যালিম সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না এবং যাদের অম্ভরে ব্যাধি রয়েছে তুমি তাদের
সত্র ওদের সাথে মিলিত হতে দেখবে এই বলে “আমাদের আশংকা হয় আমাদের ভাগ্য বিপর্যয়
ঘটবে ৷ হয়ত আল্লাহ বিজয় অথবা তার নিকট হতে এমন কিছু দিবেন যাতে তারা তাদের অস্তরে
যা গোপন রেখেছিল তার জন্যে অনুতপ্ত হবে ৷ এবং মুমিনণণ বলবে, এরাই কী তারা যারা
আল্লাহর নামে দৃঢ়ভাবে শপথ করেছিল যে, তারা তোমাদের সংগেই আছে ? তাদের কর্ম নিম্ফল
হয়েছে ৷ ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ হে মুমিনণণ! তোমাদের মধ্যে কেউ দীন হতে ফিরে
গেলে আল্লাহ্ এমন এক সম্প্রদায় অড়ানবেন যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন ও যারা র্তাকে ভাল-
বাসবে, তারা মু’মিনদের প্ৰতি কোমল ও কাফিরদের প্রতি কঠোর হবে, তারা আল্লাহর পথে
জিহাদ করবে এবং কোন নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবে না, এটি আল্লাহ্র অনুগ্রহ যাকে ইচ্ছা তিনি
দান করেন এবং আল্লাহ্ প্রাচুর্যময় ও প্রজ্ঞাময় ৷ তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ্ তার রাসুল ও
মু’মিনগণ যারা বিনত হয়ে সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয় ৷ কেউ আল্লাহ্, র্তার রাসুল এবং
মু’মিনদেরকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করলে আল্লাহ্র দলই তো বিজয়ী হবে ৷ (৫-মায়িদা : ৫ ১ ৫৬) ৷
আয়াতে “যাদের মনে ব্যাধি আছে” দ্বারা আবদুল্লাহ ইবন উবাইকে এবং “যারা আল্লাহ্কে তার
রাসুলকে এবং মুমিনদেরকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করে” দ্বারা উবাদা ইবন সামিতকে বুঝানো হয়েছে ৷
আমাদের তাফসীর গ্রন্থে আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷
যায়দ ইবন হারিছার নেতৃত্বে সেনা-অভিযান (বু-কাৱদা অভিমুখে)

এই অভিযান ছিল আবু সুফিয়ানের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত কুরায়শের ব্যবসায়ী কাফেলার
উদ্দেশ্যে ৷ কেউ বলেছেন, ওই কাফেলা যাত্রা করেছিল সাফওয়ানের তত্ত্বাবধানে ৷ ইউনুস ইবন
বুকায়র (র) ইবন ইসহাক সুত্রে বলেছেন যে, এই অভিযানটি পরিচালিত হয় বদর যুদ্ধের ছয় মাস
পর ৷ ইবন ইসহাক বলেন, ঘটনাটি ছিল এই : বদর যুদ্ধের পুর্বে কুরায়শগণ যে পথে সিরিয়া যেত
বদর যুদ্ধের পর ওই পথে সিরিয়া যেতে তারা ভয় পেতে৷ ৷ তাই এবার তারা ইরাকের পথে রওনা
করে ৷ ওই কাফেলার কুরায়শের বহু ব্যবসায়ী শামিল ছিল ৷ নেতৃত্বে ছিল আবু সুফিয়ান ৷ তার
সাথে প্রচুর রৌপ্য ছিল ৷ ঐগুলোই ছিল এই কাফেলার বড় মুলধন ৷ পথ চিনিয়ে দেয়ার জন্যে


[سَرِيَّةُ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ] َ إِلَى عِيرِ قُرَيْشٍ صُحْبَةَ أَبِي سُفْيَانَ أَيْضًا، وَقِيلَ: صُحْبَةَ صَفْوَانَ قَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ: وَكَانَتْ بَعْدَ وَقْعَةِ بَدْرٍ بِسِتَّةِ أَشْهُرٍ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ مِنْ حَدِيثِهَا أَنَّ قُرَيْشًا خَافُوا طَرِيقَهُمُ الَّتِي كَانُوا يَسْلُكُونَ إِلَى الشَّامِ حِينَ كَانَ مِنْ وَقْعَةِ بَدْرٍ مَا كَانَ، فَسَلَكُوا طَرِيقَ الْعِرَاقِ فَخَرَجَ مِنْهُمْ تُجَّارٌ، فِيهِمْ أَبُو سُفْيَانَ وَمَعَهُ فِضَّةٌ كَثِيرَةٌ، وَهِيَ عُظْمُ تِجَارَتِهِمْ، وَاسْتَأْجَرُوا رَجُلًا مِنْ بَكْرِ بْنِ وَائِلٍ يُقَالُ لَهُ: فُرَاتُ بْنُ حَيَّانَ - يَعْنِي الْعِجْلِيَّ حَلِيفَ بَنِي سَهْمٍ - لِيَدُلَّهُمْ عَلَى تِلْكَ الطَّرِيقِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ فَلَقِيَهُمْ عَلَى مَاءٍ يُقَالُ لَهُ: الْقَرَدَةُ. مِنْ مِيَاهِ نَجْدٍ فَأَصَابَ تِلْكَ الْعِيرَ وَمَا فِيهَا، وَأَعْجَزَهُ الرِّجَالُ، فَقَدِمَ بِهَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ فِي ذَلِكَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ:
পৃষ্ঠা - ২৬০৯

তারা বকর ইবন ওয়ায়েল গোত্রের একজন লোক ৩ ৷ড়ায় নিযুক্ত করে ৷ত তার নাম ছিল ফুরাত ইবন
হায়্যা ন আ ৷জালী ৷ সে ছিল বানু সাহম গোত্রের মিত্র ৷

ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) যায়দ ইবন হারিছা (রা) এর নেতৃত্বে অভিযান প্রেরণ
করলেন ৷ কারাদা নামক জলাশয়ের নিকট তারা কুরায়শী কাফেলার সাক্ষাত পান ৷ কাফেলার
সকল মালামাল ও ধন-সম্পদ তারা অধিকার করেন ৷ কাফেলার লোকজন অবশ্য পালিয়ে যেতে
সক্ষম হয়েছিল ৷ যায়দ ইবন হারিছা (রা) ওই মালামাল নিয়ে এসে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট
জমা দেন ৷ এ প্ৰসংপে হযরত হাসৃসান ইবন ছাবিত (রা) নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করেন :

ার্টু;ট্র
সিরিয়া ৷র ঝর্ণাধারাগুলাে ছেড়ে৩ তারা অন্য পথে যাত্রা করেছে ৷ কারণ, ওই ঝর্ণাধারাগুলো দখল
করে রেখেছে বিশাল বিশাল উটবহ্র ৷ সেগুলোর অগ্নবর্তী দল গতৰিভী উটনীর মুখের ন্যায় ৷

ঙ্ট্রুাক্রো

ওই উটগুলে৷ রয়েছে এমন লোকদের হাতে যারা তাদের প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে হিজরত
করেছেন (মুহাজির) এবং যারা তার সত্য সাহায্যকারী (আনসার) ৷ আর এগুলো রয়েছে
ফেরেশতাদের হাতে ৷

” ৷ট্র ৷
ওগুলো আলিজ উপত্যকা থেকে যখন শুষ্ক জলাশয়ের দিকে যাত্রা করবে, তখন তোমরা
ওগুলোকে বলে দিও যে, রাস্তা সেদিকে নয় ৷

ইবন হিশাম বলেন, এ পংক্তিগুলাে হাস্সানের কবিতাসমুহের অন্তর্ভুক্ত
আবুসুফিয়ান ইবনুল হারিছ অবশ্য হাসৃসান (রা)-এর এই চরণগুলাের প্রতৃত্তের দিয়েছিল ৷

ওয়াকিদী বলেন, যায়দ ইবন হারিছা এই সেনা অভিযানে বেরিয়েছিলেন হিজরতের ২৮
মাসের মাথায় জুমাদাল উলা মাসের প্রথম দিকে ৷ কুরায়শী কাফেলা সম্পর্কে তার অভিমত হল
সাফওয়ান ইবন উমাইয়৷ তার নেতৃতৃ দিয়েছে ৷ যায়দ ইবন হারিছা (রা)-এ্যার সেনাপতিত্নে এই
অভিযান প্রেরণের পটভুমি হল নৃআয়ম ইবন মাসউদ তখন মদীনায় আগমন করেছিল ৷ সে তখন
ও তার পিতৃ ধর্মে বিশ্বাসী ৷ কুরায়শী ব্যবসায়ী কাফেলা ইরাকের পথে যাত্রা করেছে তা সে
জানত ৷ মদীনায় বানু নাযীর গোত্রে এসে সে কিনান৷ ইবন আবুল হুকায়ক এর সাথে বৈঠকে
মিলিত হয় ৷ তাদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সালীত ইবন নুমান আসলামী ৷ তারা সকলে মদপান
করল ৷ এ ঘটনা মদপান নিষিদ্ধ হওয়ার পুর্বেকার ৷ কুরায়শী কাফেলার যাত্রা, তাতে সাফওয়ান
ইবন উমাইয়ার নেতৃতৃদান এবং তাদের সাথে থাকা বিপুল মালামালের কথা নুআয়ম ইবন
মাসউদ ওই বৈঠকে আলোচনা করেছিল ৷ এসব শুনে সালীত ইবন নুমান (রা) কালবিলম্ব না করে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে উপস্থিত হলেন ৷ তিনি সব কিছু রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে জানালেন ৷
তখনই রাসুলুল্লাহ্ (সা) যায়দ ইবন হারিছা (রা)-কে প্রেরণ করলেন ৷ তারা কাফেলাকে ধরে
ফেলেন এবং মালামাল হস্তগত করেন ৷ কাফেলার লোকজন অবশ্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় ৷


دَعُوا فَلَجَاتِ الشَّامِ قَدْ حَالَ دُونَهَا ... جِلَادٌ كَأَفْوَاهِ الْمَخَاضِ الْأَوَارِكِ بِأَيْدِي رِجَالٍ هَاجَرُوا نَحْوَ رَبِّهِمْ ... وَأَنْصَارِهِ حَقًّا وَأَيِّدِي الْمَلَائِكِ إِذَا سَلَكَتْ لِلْغَوْرِ مِنْ بَطْنِ عَالِجٍ ... فَقُوْلَا لَهَا لَيْسَ الطَّرِيقُ هُنَالِكِ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَهَذِهِ الْأَبْيَاتُ فِي قَصِيدَةٍ لِحَسَّانَ، وَقَدْ أَجَابَهُ فِيهَا أَبُو سُفْيَانَ بْنُ الْحَارِثِ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: كَانَ خُرُوجُ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ فِي هَذِهِ السَّرِيَّةِ مُسْتَهَلُّ جُمَادَى الْأُولَى عَلَى رَأْسِ ثَمَانِيَةٍ وَعِشْرِينَ شَهْرًا مِنَ الْهِجْرَةِ، وَكَانَ رَئِيسَ هَذِهِ الْعِيرِ صَفْوَانُ بْنُ أُمَيَّةَ وَكَانَ سَبَبُ بَعْثِهِ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ أَنَّ نُعَيْمَ بْنَ مَسْعُودٍ قَدِمَ الْمَدِينَةَ وَمَعَهُ خَبَرُ هَذِهِ الْعِيرِ، وَهُوَ عَلَى دِينِ قَوْمِهِ، وَاجْتَمَعَ بِكِنَانَةَ بْنِ أَبِي الْحَقِيقِ فِي بَنِي النَّضِيرِ وَمَعَهُمْ سَلِيطُ بْنُ النُّعْمَانِ وَكَانَ أَسْلَمَ، فَشَرِبُوا، وَكَانَ ذَلِكَ قَبْلَ أَنْ تُحَرَّمَ الْخَمْرُ، فَتَحَدَّثَ بِقَضِيَّةِ الْعِيرِ نُعَيْمُ بْنُ مَسْعُودٍ وَخُرُوجِ صَفْوَانَ بْنِ أُمَيَّةَ فِيهَا، وَمَا مَعَهُ مِنَ الْأَمْوَالِ، فَخَرَجَ سَلِيطٌ مِنْ سَاعَتِهِ فَأَعْلَمَ
পৃষ্ঠা - ২৬১০
رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَبَعَثَ مِنْ وَقْتِهِ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ فَلَقُوهُمْ، فَأَخَذُوا الْأَمْوَالَ، وَأَعْجَزَهُمُ الرِّجَالُ، وَإِنَّمَا أَسَرُوا رَجُلًا أَوْ رَجُلَيْنِ وَقَدِمُوا بِالْعِيرِ، فَخَمَّسَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَبَلَغَ خُمْسُهَا عِشْرِينَ أَلْفًا، وَقَسَّمَ أَرْبَعَةَ أَخْمَاسِهَا عَلَى السَّرِيَّةِ، وَكَانَ فِيمَنْ أُسِرَ الدَّلِيلُ فُرَاتُ بْنُ حَيَّانَ فَأَسْلَمَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَزَعْمَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّ فِي رَبِيعٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ تَزَوَّجَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ أُمَّ كُلْثُومٍ بِنْتَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأُدْخِلَتْ عَلَيْهِ فِي جُمَادَى الْآخِرَةِ مِنْهَا.