আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

فصل: في تأليب الملأ من قريش على رسول الله - صلى الله عليه وسلم - وأصحابه

পৃষ্ঠা - ১৮২৯


ব্যক্তিটি সে বক্তব্যটি গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে বলে-হে আবুল কাসিম ! তালোয় ভালােয় এখান
থেকে চলে যাও তুমি তো মুর্থ নও ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) চলে গেলেন ৷ পরের দিন তারা সকলে
পুনরায় হাভীম অংশে সমবেত হয় ৷ আমিওত ৷দের সাথে ছিলাম ৷ তারা একে অন্যকে বলে,

তোমরা যা কিছু করো ন আর সে যা কিছু করেছে তা তো তোমাদের সবারই আছে ৷ এমনকি
যখন সে তোমাদের অপসন্দের কথা বলেছে তোমরা তাকে ছেড়ে দিয়েছ ৷

ইতোমধ্যে রাসুলুল্পাহ (সা) এসে সেখানে উপস্থিত হন ৷ তারা সব ই একযােপে তার উপর
আক্রমণ চালায় ৷ সকলে তাকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে তিনি তাদের দীন ধর্ম ও
উপাস্যদের যে দােষত্রুটি বর্ণনা ও সমালোচনা করেন, সেগুলো উল্লেখ করে তারা বলে, তুমিই
কি এরুপ বলে থাক ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, ছুা, আমিই এরুপ বলে থাকি ৷ তাদের
একজনকে আমি দেখলাম যে, সে তার চাদরের উভয় প্রান্ত কষে ধরে তার গলায় পেচিয়ে
সজােরে টানছে ৷ এদিকে তার পেছনে দাড়িয়ে হযরত আবু বকর (রা)ত তার প্রতিবাদ করে
বলছিলেন, তোমাদের সর্বনাম হোক ৷ তোমরা একজন মানুষকে কি কেবল এ জন্যেই হত্যা
করবে যে, সে বলে আমার প্রতিপালক আল্লাহ ন্ তখন তারা তাকে ছেড়ে চলে যায় ৷
কুরায়শদের নিষ্ঠুর আচরণসমুহের মধ্যে এটিই আমার দেখা নিষ্ঠুরতম আচরণ ৷

পবিচ্ছেদ

রাসুলুল্লাহ্ (না) ও তার সাহাবীগণের প্ৰতি কুরায়শ নেতৃবর্গের আক্রোশ , তার
সাহায্য-সহযোগ্ পিতা ও তাকে রক্ষা করার সর্বদা ৷প্রস্তুত তার চাচা আবু তালিবের নিকট তাদের
সমবেত উপস্থিতি এবংত ত ৷কে তাদের হাতে সােপর্দ করার দুরাশা ৷ শেষ পর্যন্ত আল্লাহর ইচ্ছার
চাচা আবুতালিব তাকে তাদের হাতে সােপর্দ করতে অস্বীকৃতি জানালেন ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, ওয়ার্কী’ আনাস (যা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, আল্লাহর পথে আমি এমন নির্যাতন ভোগ করেছি যা অন্য
কাউকে ভোগ করতে হয়নি ৷ আল্লাহ্র পথে আমি এমন ভয়-ভীতির মুখোমুখি হয়েছি অন্য কেউ
তেমনটি হয়নি ৷ রাতে-দিনে ত্রিশ দিন আমার এমন কেটেছে যে , আমার নিকট এবং বিলালের
নিকট কে ন জীবের আহারযোগ্য কিছুই ছিল না ৷ বিলাল তার বগলের নীচে যেটুকু খাদ্য
রেখেছিলত ৷ব্যভীত ৩৷ তিরমিযী ও ইবন মজােহ্ হাম্মাদ ইবন সালামাহ্ থেকে এ হাদীছটি উদ্ধৃত
করেছেন ৷ তিরমিযী একে সহীহ্ ও হাসান বলে অভিহিত করেছেন ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন, চাচা আবু তালিব রাসুলুল্লাহ (সা) এর প্রতি অপার দয়া
দেখিয়েছেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ (না)-কে রক্ষা করেছেন এবংত তার পাশে দাড়িয়েছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) অব্যাহত গতিতে দীন প্রচারে আল্লাহ নির্দেশ পালন করে গিয়েছেন ৷ কো ন কিছুই৩ ৷ ৩াকে
দীন প্রচার থেকে বিরত রাখতে পারেনি ৷ কুরায়শরা যখন দেখতে পেল যে, তাদেরকে পরিত্যাগ
করা এবং তাদের উপাস্যদের সমালোচনা করা ইত্যাকার তাদের অপসন্দনীয় কাজগুলো থেকে
রাসুলুল্লাহ (না) বিরত থাকছেন না এবং তারা এও দেখল যে, চাচা আবু তালিব তার প্রতি
সহানুভুতি দেখিয়ে যাচ্ছেন, তার পাশে দাড়িয়ে এবং তাকে ওদের হাতে সােপর্দ করতে
অস্বীক৷ ৷র করছেন, তখন তাদের নেতস্থানীয় একটি প্রতিনিধি দল আবু তালিবের নিকট উপস্থিত


إِلَّا وَكَأَنَّمَا عَلَى رَأْسِهِ طَائِرٌ وَاقِعٌ، حَتَّى إِنَّ أَشَدَّهُمْ فِيهِ وَصَاةً قَبْلَ ذَلِكَ لَيَرْفَؤُهُ حَتَّى إِنَّهُ لَيَقُولُ: انْصَرِفْ أَبَا الْقَاسِمِ رَاشِدًا، فَمَا كُنْتَ بِجَهُولٍ. فَانْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حَتَّى إِذَا كَانَ الْغَدُ اجْتَمَعُوا فِي الْحِجْرِ وَأَنَا مَعَهُمْ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: ذَكَرْتُمْ مَا بَلَغَ مِنْكُمْ وَمَا بَلَغَكُمْ عَنْهُ حَتَّى إِذَا بَادَأَكُمْ بِمَا تَكْرَهُونَ تَرَكْتُمُوهُ! فَبَيْنَمَا هُمْ عَلَى ذَلِكَ طَلَعَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَوَثَبُوا إِلَيْهِ وَثْبَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ، فَأَحَاطُوا بِهِ يَقُولُونَ: أَنْتَ الَّذِي تَقُولُ كَذَا وَكَذَا؟ لِمَا كَانَ يَبْلُغُهُمْ مِنْ عَيْبِ آلِهَتِهِمْ وَدِينِهِمْ، فَيَقُولُ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " نَعَمْ، أَنَا الَّذِي أَقُولُ ذَلِكَ ". وَلَقَدْ رَأَيْتُ رَجُلًا مِنْهُمْ أَخَذَ بِمَجَامِعِ رِدَائِهِ، وَقَامَ أَبُو بَكْرٍ يَبْكِي دُونَهُ، وَيَقُولُ: وَيْلَكُمْ أَتَقْتُلُونَ رَجُلًا أَنْ يَقُولَ رَبِّي اللَّهُ ثُمَّ انْصَرَفُوا عَنْهُ، فَإِنَّ ذَلِكَ لَأَكْثَرُ مَا رَأَيْتُ قُرَيْشًا بَلَغَتْ مِنْهُ قَطُّ [فَصْلٌ: فِي تَأْلِيبِ الْمَلَأِ مِنْ قُرَيْشٍ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَصْحَابِهِ] فَصْلٌ (فِي تَأْلِيبِ الْمَلَأِ مِنْ قُرَيْشٍ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَصْحَابِهِ، وَاجْتِمَاعِهِمْ بِعَمِّهِ أَبِي طَالِبٍ الْقَائِمِ فِي مَنْعِهِ وَنُصْرَتِهِ، وَحِرْصِهِمْ عَلَيْهِ أَنْ يُسْلِمَهُ إِلَيْهِمْ، فَأَبَى عَلَيْهِمْ ذَلِكَ بِحَوَلِ اللَّهِ وَقُوَّتِهِ) قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: «لَقَدْ أُوذِيتُ فِي اللَّهِ وَمَا يُؤْذَى أَحَدٌ