আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

قصة الإراشي

পৃষ্ঠা - ১৮২৬


আমি একজন ভিনদেশী মুসাফির ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দিকে ইঙ্গিত করে তারা বলল, ওই যে
লোকটি ৫দখছ, তুমি তার নিকট যাও ৷ তিনিই পারবেন তোমার পাওনা উসুল করে দিতে ৷
রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) ও আবু জাহ্লের মধ্যে বিরাজমান বিরোধপুর্ণ সম্পর্কের কারণে তারা এমনটি
বলেছিল ৷ ইরাশী এসে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পাশে দীড়ায় ৷ সে তাকে সকল বৃত্তান্ত অবহিত
করে ৷ তিনি তার সাথে রওনা হন ৷ লোকজন যখন (দখল, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরাশী লোকটির
সাথে যাচ্ছেন, তখন তারা একজন লোককে বলল, তৃমিও তার পেছনে পেছনে যাও এবং তিনি
কি করেন তা লক্ষ্য কর ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবু জাহ্লের বাড়ীতে উপস্থিত হন এবং দরজায়
আঘাত করেন ৷ আবু জাহ্ল বলে “কে ? “আমি মুহাম্মাদ তুমি বেরিয়ে এসো ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, যে বেরিয়ে, আসে ৷ তখন তার মুখমণ্ডল ছিল রক্তহীন ফ্যাকাশে ৷ ভয়ে তার
চােহারা বিবর্ণ হয়ে গিয়েছিল ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, এ লোকটির পাওনা চুকিয়ে দাও ৷ সে
বলল, ঠিক আছে, দীড়াও, এখনি আমি ওর পাওনা চুকিয়ে দিচ্ছি ৰু সে ঘরে যায় এবং ফিরে
এসে ইরাশী লোকটির পাওনা দিয়ে বুঝিয়ে দেয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ফিরে আসেন এবং
লোকটিকে বলেন, এবার তুমি তোমার পথে চলে যেতে পার ৷ ইরাশী পুনরায় কুরায়শীদের
মজলিসে এসে উপস্থিত হয় ৷ সে বলে, ওই লোকটিকে আল্লাহ্ তাআলা উত্তম প্ৰতিদান দিন !
আমার পাওনা আমি বুঝে নিয়েছি ৷ ওরা যে লোকটিকে পাঠিয়েছিল সে ওদের নিকট ফিরে
আসে ৷ তারা তাকে জিজ্ঞেস করে, তুমি কী দেখলে ? সে বলে, যা ঘটেছে তা তো এক অতীব
আশ্চর্য ঘটনা ৷ আল্লাহ্র কলম, মুহাম্মাদ (সা) গিয়ে তার দরজায় আঘাত করেন ৷ তাতে আবু
জাহ্ল দরজা খুলে বেরিয়ে আসে ৷ যেন তার দেহে তখন প্রাণ ছিল না ৷ মুহাম্মদ বললেন, এই
লোকের পাওনা চুকিয়ে দাও ! আবু জাহ্ল বললেন, ইদ্র৷ তাই হবে, তুমি দড়াড়াও , আমি তার
পাওনা নিয়ে আসছি ৷ এরপর সে ঘরে প্রবেশ করে এবং তার পাওনা এসে তাকে দিয়ে দেয় ৷
তাদের কথাবার্তা শেষ হওয়ার পর অবিলম্বে আবু জাহ্ল সেখানে হাযির হয় ৷ তারা বলে, হায়
হায়, তোমার কী হয়েছিল ? যে কাজ তুমি করেছ, আল্লাহ্র কসম আমরা তো ইতোপুর্বে কখনো
তা হতে দেথিনি ৷ সে বলল, হয়ে ! আল্লাহ্র কলম, প্রকৃত ঘটনা এই যে, মুহাম্মাদ আমার
দরজায় আঘাত করে এবং আমি তার কণ্ঠস্বর শুনতে পাই ৷ তাতে আমি ভীতশ্সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ি ৷
এরপর আমি তার নিকট বেরিয়ে আসি ৷ তখন আমি তার মাথার উপর দিয়ে একটি বিশালাকার
উট দেখতে পইি ৷ ওই উটের মাথা, ঘাড় ও দীতের ন্যায় ভয়ংকর ও বিরাট মাথা ঘাড় ও দীত
আমি কখনো দেখিনি ৷ আল্লাহর কলম, যদি আমি ওই পাওনা দিতে অস্বীকার করতাম, তাহলে
ওই উট নিশ্চয়ই স্লামাকে খেয়ে ফেলত ৷
পরিহেদ
ইমাম বুখারী (র) বলেন, আইয়াশ ইবন ওয়ালীদট্রু উরওয়া ইবন যুৰায়র থেকে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, আমি ইবন আসকে বলেছিলাম, মুশরিকগণ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রতি
কঠোরতম যে আচরণ করেছে, তা আমাকে একটু বলুন ৷ তিনি বললেন, একদিন কা’বাগৃহের
হাতীম অংশে রড়াসুলুল্লাহ (সা) নামায আদায় করছিলেন ৷ তখন উকবা ইবন আবু মুআয়ত


لِلْإِرَاشِيِّ: " الْحَقْ بِشَأْنِكَ ". فَأَقْبَلَ الْإِرَاشِيُّ حَتَّى وَقَفَ عَلَى ذَلِكَ الْمَجْلِسِ، فَقَالَ: جَزَاهُ اللَّهُ خَيْرًا ; فَقَدْ أَخَذْتُ الَّذِي لِي. وَجَاءَ الرَّجُلُ الَّذِي بَعَثُوا مَعَهُ، فَقَالُوا: وَيْحَكَ، مَاذَا رَأَيْتَ؟ قَالَ: عَجَبًا مِنَ الْعَجَبِ، وَاللَّهِ مَا هُوَ إِلَّا أَنْ ضَرَبَ عَلَيْهِ بَابَهُ، فَخَرَجَ وَمَا مَعَهُ رُوحُهُ، فَقَالَ: " أَعْطِ هَذَا الرَّجُلَ حَقَّهُ ". فَقَالَ: نَعَمْ، لَا تَبْرَحْ حَتَّى أُخْرِجَ إِلَيْهِ حَقَّهُ، فَدَخَلَ فَأَخْرَجَ إِلَيْهِ حَقَّهُ فَأَعْطَاهُ. ثُمَّ لَمْ يَلْبَثْ أَنْ جَاءَ أَبُو جَهْلٍ فَقَالُوا لَهُ: وَيْلَكَ مَا لَكَ؟ ! فَوَاللَّهِ مَا رَأَيْنَا مِثْلَ مَا صَنَعْتَ؟ فَقَالَ: وَيْحَكُمُ، وَاللَّهِ مَا هُوَ إِلَّا أَنْ ضَرَبَ عَلَيَّ بَابِي، وَسَمِعْتُ صَوْتَهُ، فَمُلِئْتُ رُعْبًا، ثُمَّ خَرَجْتُ إِلَيْهِ، وَإِنَّ فَوْقَ رَأْسِهِ لَفَحْلًا مِنَ الْإِبِلِ، مَا رَأَيْتُ مِثْلَ هَامَتِهِ، وَلَا قَصَرَتِهِ، وَلَا أَنْيَابِهِ لِفَحْلٍ قَطُّ، فَوَاللَّهِ لَوْ أَبَيْتُ لَأَكَلَنِي.»