আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

باب أمر الله رسوله - صلى الله عليه وسلم - بإبلاغ الرسالة إلى الخاص والعام

পৃষ্ঠা - ১৮২০


ইউনুস ইবন বুকায়র বলেন, মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক ইবন আব্বাস (রা) থেকে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও মক্কার মুশরিকদের মাঝে অনুষ্ঠিত বিতর্ক সভা বিষয়ক একটি দীর্ঘ হাদীছে
তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন তার দাওয়ার্তী কার্যক্রম শুরু করলেন, তখন আবু জাহ্ল
ইবন হিশাম বলল, “হে কুরায়শ সম্প্রদায় ! এই মুহাম্মাদ কি কাজ করে যাচ্ছে তা কি তোমরা
লক্ষ্য করছো ? যে আমাদের ধর্মের দােষত্রুটি বর্ণনা করছে, আমাদের পুর্বপুরুষদেরকে গালমন্দ
করছে, আমাদের বিজ্ঞ ব্যক্তিদের মুর্থতার অপবাদ দিচ্ছে এবং আমাদের উপাস্যদেরকে গালমন্দ
করছে ৷ আমি আল্লাহ্র নামে অঙ্গীকার করে বলছি যে, আগামীকাল ভোরে আমি একটি পাথর
নিয়ে বসে থাকর সে যখন সিজদায় যাবে ওই পাথর মেরে আমি তার মাথা কাটিয়ে দেব ৷
এরপর আব্দ মানাফ গোত্রের লোকেরা আমাকে যা করতে পারে করবে ৷ পরের দিন প্রত্যুষে
আবু জাহ্ল (তার প্রতি আল্লাহ্র লা’নত) সত্যি সত্যি একটি পাথর হাতে নিয়ে রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর অপেক্ষায় ওৎপেতে বসে থাকে ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) যথারীতি র্ফজরের নামাযের জন্যে
বেরিয়ে আসেন ৷ তখন তার কিবলা ছিল সিরিয়া অর্থাৎ বড়ায়তৃল মুকাদ্দাসের দিকে ৷ ফলে, তিনি
যখন হাজারে আসওয়াদ এবং রুকনে ইয়ামানীর মাঝখানে দাড়িয়ে নামায আদায় করতেন,
তখন তার মাঝে এবং তার কিবলার স্থান সিরিয়ার মাঝে থাকত কাবাগৃহ ৷ সেদিন রাসুলুল্লাহ্
(সা) নামাযের জন্যে দীড়ালেন ৷ কুরায়শের লোকেরা সেদিন সকালে কা’বাগৃহে এসে নিজ নিজ
স্থানে আসন গ্রহণ করে ৷ আবু জাহ্লের কার্যকলাপ দেখার জন্যে তারা অপেক্ষা করছিল ৷
রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) সিজদায় গেলেন ৷ আবু জাহ্ল তখনই পাথরটি তুলে নিয়ে তার প্রতি অগ্রসর
হয় ৷ সে তার খুব কাছাকাছি পৌছে যায় ৷ এরপর হঠাৎ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে এবং
চেহারার ফ্যাকাশে রং নিয়ে সে পেছনে সরে আসে ৷ পাথরের উপর তার হাত দুটো নিস্তেজ
হয়ে যায় এবং হাত থেকে পাথর পড়ে যায় ৷ তার এ শোচনীয় অবস্থা দেখে কুরায়শের লোকজন
তার নিকট ছুটে আসে ৷ তারা বললো, হে আবুল হাকাম ৷ আপনার কী হয়েছে ? সে বলল,
গতরাতে আমি তোমাদেরকে যা বলেছিলাম তা কার্যকর করার জন্যে আমি তার প্রতি অগ্রসর
হয়েছিলাম ৷ আমি তার কাছাকাছি পৌছত্তেই তার পেছনে আমার সম্মুখে দেখতে পাই এক
বিশাল উট ৷ ওই উটের মাথা, ঘাড় ও দাত এত বিশাল ও ভয়ংকর যে, কোন উটের মধ্যে আমি
তেমনটি দেখিনি ৷ ওই উট আমাকে খেয়ে ফেলতে উদ্যত হয়েছিল ৷

ইবন ইসহাক বলেন, আমার নিকট বর্ণনা করা হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন :

ওই উট মুলত জিবরাঈল (আ) ছিলেন ৷ আবু জাহ্ল যদি ওঢির কাছে যেত, তবে নিশ্চয়ই
সেটি তাকে আক্রমণ করত ৷

বড়ায় হাকী (র) বলেন, আবু আবদুল্লাহ্ হাফিয আব্বাস ইবন আবদুল ঘুত্তালিব (রা)
থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, একদিন আমি মসজিদে ছিলাম ৷ সেখানে অভিশপ্ত আবু জাহ্ল এল ৷
সে বলল, আল্লাহ্র নামে অঙ্গীকার করে বলছি, আমি যদি মুহাস্মদকে সিজদারত দেখি, তবে
আমি তার ঘাড় পদদলিত করে দিব ৷ এ কথা শুনে আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর নিকট গেলাম
এবং আবু জাহ্লের উক্তি সম্পর্কে র্তাকে অবগত করলাম ৷ এদিকে আবু জাহ্ল ক্রুদ্ধ অবস্থায়


أَبُو جَهْلٍ الْحَجَرَ، ثُمَّ أَقْبَلَ نَحْوَهُ، حَتَّى إِذَا دَنَا مِنْهُ رَجَعَ مُنْبَهِتًا مُمْتَقِعًا لَوْنُهُ مَرْعُوبًا، قَدْ يَبِسَتْ يَدَاهُ عَلَى حِجْرِهِ، حَتَّى قَذَفَ الْحَجَرَ مِنْ يَدِهِ، وَقَامَتْ إِلَيْهِ رِجَالٌ مِنْ قُرَيْشٍ، فَقَالُوا: لَهُ مَا بِكَ يَا أَبَا الْحَكَمِ؟ فَقَالَ: قُمْتُ إِلَيْهِ لِأَفْعَلَ مَا قَلْتُ لَكُمُ الْبَارِحَةَ، فَلَمَّا دَنَوْتُ مِنْهُ عَرَضَ لِي دُونَهُ فَحْلٌ مِنَ الْإِبِلِ، وَاللَّهِ مَا رَأَيْتُ مِثْلَ هَامَتِهِ، وَلَا قَصَرَتِهِ، وَلَا أَنْيَابِهِ لِفَحْلٍ قَطُّ، فَهَمَّ أَنْ يَأْكُلَنِي. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَذُكِرَ لِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: " ذَلِكَ جِبْرِيلُ، لَوْ دَنَا مِنِّي لَأَخَذَهُ ".» وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ أَخْبَرَنِي أَبُو النَّضْرِ الْفَقِيهُ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ الدَّارِمِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي فَرْوَةَ عَنْ أَبَانِ بْنِ صَالِحٍ عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ عَنْ أَبِيهِ، «عَنْ عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ قَالَ: كُنْتُ يَوْمًا فِي الْمَسْجِدِ، فَأَقْبَلَ أَبُو جَهْلٍ لَعَنَهُ اللَّهُ، فَقَالَ: إِنَّ لِلَّهِ عَلَيَّ إِنْ رَأَيْتُ مُحَمَّدًا سَاجِدًا أَنْ أَطَأَ عَلَى رَقَبَتِهِ. فَخَرَجْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حَتَّى دَخَلْتُ عَلَيْهِ، فَأَخْبَرْتُهُ بِقَوْلِ أَبِي جَهْلٍ فَخَرَجَ غَضْبَانَ حَتَّى جَاءَ الْمَسْجِدَ، فَعَجَّلَ أَنْ يَدْخُلَ مِنَ الْبَابِ فَاقْتَحَمَ الْحَائِطَ، فَقُلْتُ: هَذَا يَوْمُ شَرٍّ. فَاتَّزَرْتُ ثُمَّ اتَّبَعْتُهُ. فَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَرَأَ: {اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ خَلَقَ الْإِنْسَانَ مِنْ عَلَقٍ} [العلق: 1] [الْعَلَقِ: 6، 7] فَقَالَ إِنْسَانٌ لِأَبِي جَهْلٍ: يَا أَبَا الْحَكَمِ هَذَا مُحَمَّدٌ.