আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

باب أمر الله رسوله - صلى الله عليه وسلم - بإبلاغ الرسالة إلى الخاص والعام

পৃষ্ঠা - ১৮১৮


ওদের হাতে সােপর্দ করতে যাচ্ছেন এবং তাকে রক্ষায় তিনি অক্ষম হয়ে পড়েছেন, তখন তিনি
বললেন, চাচা ৷ যদি আমার ডান হাতে সুর্য আর বাম হাতে চন্দ্র দেয়৷ হয় তবু এ কাজ আমি
ত্যাগ করতে পারব না ৷ এ কাজ আমি অবিরাম চালিয়ে যাব যতক্ষণ না আল্লাহ্ এ দীনকে
বিজয়ী করেন কিৎব৷ এই দীন প্রতিষ্ঠায় আমার মৃত্যু হয় ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দু’চােখ
দিয়ে অশ্রু গডি য়ে পড়ে এরৎ তিনি কেদে ফেলেন ৷ এ অবস্থা দেখে আবু তালিব বললেন,

ভাতিজা ! তোমার কাজে তুমি এগিয়ে যাও! তোমার কর্মতৎপরতা ভুমি চালিয়ে যাও এবং তুমি
যা ভাল মনে কর তা করতে থাক ৷ আল্লাহ্র কসম, কোন কিছুর বিনিময়েই আমি তোমাকে
ওদের হাতে তুলে দেবাে না ৷

ইবন ইসহাক বলেন এরপর আবু তালিব নিম্নের কবিতাটি পাঠ করেন০ :

ৰুা৷ ৷ ,

আল্লাহর কসম, অমি কবরন্থিত হয়ে মাটিকে বালিশ বানানোর পুর্ব পর্যন্ত তারা সবাই
মিলেও তোমার নিকটে আসতে পারবে না ৷




তুমি তোমার কাজ চালিয়ে যা ও, কোন অপমান-লাঞ্চুনা তোমার প্রতি আসবে না ৷ তুমি
সুসংবাদ গ্রহণ কর এবং এতদ্বারা তোমার চোখ জুড়াও ৷


তুমি আমাকে সত্যের দাওয়াত দিয়েছ আমি নিশ্চিত জা ৷নি যে, তুমি আমার কল্যাণকামী ,
তুমি সত্য বলেছ, তুমি তো পুর্ব থেকেই আল-আমীন ও বিশ্বাসী বলে খ্যাত
তুমি আমার নিকট একটি দীন পেশ করেছ, আমি নিশ্চিত জানি যে, ওই দীন হল সৃষ্টি
জগতের জন্যে শ্রেষ্ঠ দীন ৷
অে এ

যদি সমালোচনার আশংকা এবং আমার যুগ-সচেতনতা না থাকত, তবে তুমি আমাকে ওই
দীনের সুস্পষ্ট অনুসরণকারী ও অনুগামী দেখতে পেতে ৷

এরপর বায়হাকী (র) বলেছেন যে, ইবন ইসহাক এ প্রসৎ পে আবুতালিবের আরো কতক
ৎক্তি উল্লেখ করেছেন ৷ উপরোক্ত ঘটনাবলী প্রমাণ করে যে, চাচা আবু৩ তালিব দীন ও
ধর্ম-মতের ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বিপরীত অবস্থানে থাকা সত্বেওত তারই মাধ্যমে আল্লাহ
তা আলা তাকে হিফা ৷যত করেছেন, নিরাপদ রেখেছেন ৷ অবশ্য যেখানে তার চাচার উপস্থিতি
ছিল৷ না ৷ সেখানে অ ৷ল্লাহ্ তা আলা তার ইচ্ছা অনুযায়ী অন্যান্য উপায়ে তাকে রক্ষা করেছেন ৷
আল্লাহ্ তাআলার বিধান পরিবর্ত্যনর ক্ষমতা কারো নেই ৷


ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ يُونُسَ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ عُتْبَةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ الْأَخْنَسِ أَنَّهُ حُدِّثَ «أَنَّ قُرَيْشًا حِينَ قَالَتْ لِأَبِي طَالِبٍ هَذِهِ الْمَقَالَةَ بَعَثَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَالَ لَهُ: يَا ابْنَ أَخِي، إِنْ قَوَّمَكَ قَدْ جَاءُونِي، وَقَالُوا كَذَا وَكَذَا، فَأَبْقِ عَلَيَّ وَعَلَى نَفْسِكَ، وَلَا تُحَمِّلْنِي مِنَ الْأَمْرِ مَا لَا أُطِيقُ أَنَا وَلَا أَنْتَ، فَاكْفُفْ عَنْ قَوْمِكَ مَا يَكْرَهُونَ مِنْ قَوْلِكَ، فَظَنَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَنْ قَدْ بَدَا لِعَمِّهِ فِيهِ، وَأَنَّهُ خَاذِلُهُ وَمُسْلِمُهُ، وَضَعُفَ عَنِ الْقِيَامِ مَعَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " يَا عَمِّ، لَوْ وُضِعَتِ الشَّمْسُ فِي يَمِينِي، وَالْقَمَرُ فِي يَسَارِي، مَا تَرَكْتُ هَذَا الْأَمْرَ حَتَّى يُظْهِرَهُ اللَّهُ أَوْ أَهْلِكَ فِي طَلَبِهِ " ثُمَّ اسْتَعْبَرَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَبَكَى، فَلَمَّا وَلَّى قَالَ لَهُ حِينَ رَأَى مَا بَلَغَ الْأَمْرُ بِرَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: يَا بْنَ أَخِي. فَأَقْبَلَ عَلَيْهِ، فَقَالَ: امْضِ عَلَى أَمْرِكَ، وَافْعَلْ مَا أَحْبَبْتَ، فَوَاللَّهِ لَا أُسْلِمُكَ لِشَيْءٍ أَبَدًا.» قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ قَالَ أَبُو طَالِبٍ فِي ذَلِكَ وَاللَّهِ لَنْ يَصِلُوا إِلَيْكَ بِجَمْعِهِمْ ... حَتَّى أُوَسَّدَ فِي التُّرَابِ دَفِينَا فَامْضِي لِأَمْرِكَ مَا عَلَيْكَ غَضَاضَةٌ ... أَبْشِرْ وَقَرَّ بِذَاكَ مِنْكَ عُيُونَا وَدَعَوْتَنِي وَعَلِمْتُ أَنَّكَ نَاصِحِي ... فَلَقَدْ صَدَقْتَ وَكُنْتَ قِدْمُ أَمِينَا وَعَرَضْتَ دِينًا قَدْ عَرَفْتُ بِأَنَّهُ ... مِنْ خَيْرِ أَدْيَانِ الْبَرِيَّةِ دِينَا