আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

باب أمر الله رسوله - صلى الله عليه وسلم - بإبلاغ الرسالة إلى الخاص والعام

পৃষ্ঠা - ১৮১৭



“হে লোক সকল ৷ তোমরা বল, আল্লাহ ব্যতীত কোন মা’ বুদ নেই, তাহলে তোমরা
সফলকাম হবে ৷” আমি তার পেছনে অপর এক লোককে দেখতে পেলাম যে সেত তার প্ৰতি
মাটি নিক্ষেপ করছে ৷ সে ছিল আবু জাহ্ল ৷ সে বল্ছিল, “হে লোক সকল! এ ব্যক্তি যেন
তোমাদেরকে তোমাদের ধর্মমতের ব্যাপারে প্রভাবিত করতে না পারে ৷ সে তো চায় যে,
তোমরা লাভ ও উয্য়ার উপাসনা ত্যাগ কর ৷” এ বর্ণনায় লোকটি আবু জাহ্ল বলে উল্লেখ করা
হয়েছে ৷ কিন্তু স্পষ্টতই বুঝা যায় যে, ওই লোকটি ছিল আবু লাহব ৷ আবু লাহাবের জীবনীর
অবশিষ্টাৎশ আমরা তার মৃতু ত্যুর ঘটনা বর্ণনা করার সময় উল্লেখ করব তার মৃত্যু হয়েছিল বদর
যুদ্ধের পর ৷

পক্ষ স্তরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রতি ছিল চাচা আবুত৷ তালিবের পরম স্নেহ মমতা ও মানবিক
ভালবাসা ৷ তার কাজ-কর্ম, স্বভার-চরিত্র এবং রাসুলুল্লাহ্ (না ) ৩তার সাহাৰীদেরকে রক্ষা
করার জন্যে তার মরষ্ ৷পণ ৷প্রচেষ্টা পর্যালোচনা করলে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে ৷

ইউনুস ইবন বৃক৷ য়র আর্কীল ইবন আবুত তালিব সুত্রে বলেন, কুরায়শের লোকেরা আবু
তালিবের নিকট এসে বলেছিল , আপনার এই ভাতিজাটি আমাদের সভা সমাবেশে,
মাহফিলে মজলিসে এবং উপাসনালয়ে গিয়ে আমাদেরকে খুব কষ্ট দিচ্ছে ৷ আপনি আমাদের
নিকট আসা থেকে তাকে ধারণ করে দিন! তখন আবৃত তালিব বললেন, হে আকীলা তুমি যাও
ত,৷ ঘুহাম্মড়াদকে ডেকে নিয়ে আস ৷ আমি তার কাছে গেলাম এবং ছোট্ট একটি কুটির থেকে
বের করে ভর দুপুরে তাকে নিয়ে এলাম ৷ তখন প্রচণ্ড গরম পড়ছিল ৷৩ তাদের নিকট উপস্থিত
হওয়ার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উদ্দেশ্যে আবৃত তালিব বললেন, এই যে তোমার জ্ঞাতি
ভাইয়েরা, এরা বলছে যে, তুমি ওদেরকে সভা-সমাবেশে এবং উপাসনালয়েং গিয়ে কষ্ট দিচ্ছ ৷
ওদেরকে কষ্ট দেয়৷ থেকে তুমি বিরত থেকে৷ ৷ ণ্

এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, আপনারা কি ওই সুর্যটা
দেখছেন ? ওরা বলল, হীা, দেখছিই তো ৷ তিনি বললেন, আপনারা যদি সুর্যের একটা শিথাও,
আমার হাতে তুলে দেন, তবু ওই দাওয়াতের কাজ থেকে আমি বিরত থাকতে পারব না ৷ আবু
তালিব বললেন, আল্লাহ্র কসম , আমার ভাতিজা কখনো মিথ্যা কথা বলে না, তোমরা চলে
যাও ৷ ’ এ হাদীছটি ইমাম বুখারী (র) তারীখ গ্রন্থে ইউনুস ইবন বুকায়র সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম বায়হড়াকী (র) ইউনুস মুগীর৷ ইবন আখনাস সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি
বলেছেন, কুরায়শগণ যখন আবু তালিবকে ওই কথা বলল, তখন তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে
ডেকে এনে বললেন, হে ভাতিজা ৷ তোমার সম্প্রদায়ের লোকেরা আমার নিকট এসেছিল এবং
এসব কথা জানিয়ে গেল ৷ সুতরাং তুমি নিজেও বীচ, আমাকেও র্বাচঙ্গুত দাও ! এমন কোন
সমস্যা আমার উপর চাপিয়ে দিও না যা বহন করার সামর্থ আমারও নেই, তােমারও নেই ৷
সুতরাং তোমার যে কথাটি তারা অপসন্দ করে, সে কথা তুমি বলে না ৷ এতে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ধারণা করলেন যে, তার সম্পর্কে তার চাচার মনােতারের পরিবর্তন ঘটেছে এবং তিনি তাকে


قَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَحْيَى بْنِ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ أَخْبَرَنِي عَقِيلُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: «جَاءَتْ قُرَيْشٌ إِلَى أَبِي طَالِبٍ فَقَالُوا: إِنَّ ابْنَ أَخِيكَ هَذَا قَدْ آذَانَا فِي نَادِينَا وَمَسْجِدِنَا، فَانْهَهُ عَنَّا. فَقَالَ: يَا عَقِيلُ انْطَلِقْ فَأْتِنِي بِمُحَمَّدٍ. فَانْطَلَقْتُ إِلَيْهِ، فَاسْتَخْرَجْتُهُ مِنْ كِبْسٍ أَوْ قَالَ حِفْشٍ يَقُولُ: بَيْتٍ صَغِيرٍ. فَجَاءَ بِهِ فِي الظَّهِيرَةِ فِي شِدَّةِ الْحَرِّ، فَلَمَّا أَتَاهُمْ، قَالَ: إِنْ بَنِي عَمِّكَ هَؤُلَاءِ زَعَمُوا أَنَّكَ تُؤْذِيهِمْ فِي نَادِيهِمْ وَمَسْجِدِهِمْ، فَانْتَهِ عَنْ أَذَاهُمْ، فَحَلَّقَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بِبَصَرِهِ إِلَى السَّمَاءِ، فَقَالَ: " تَرَوْنَ هَذِهِ الشَّمْسَ ". قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: " فَمَا أَنَا بِأَقْدَرَ عَلَى أَنْ أَدَعَ ذَلِكَ مِنْكُمْ عَلَى أَنْ تَسْتَشْعِلُوا مِنْهَا شُعْلَةً ". فَقَالَ أَبُو طَالِبٍ: وَاللَّهِ مَا كَذَبَ ابْنُ أَخِي قَطُّ، فَارْجِعُوا.» رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ " عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْعَلَاءِ عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ. وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ عَنِ الْأَصَمِّ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ عَنْهُ بِهِ. وَهَذَا لَفْظُهُ.