আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

باب أمر الله رسوله - صلى الله عليه وسلم - بإبلاغ الرسالة إلى الخاص والعام

পৃষ্ঠা - ১৮১৩


হাদীছের ভাষ্য আপনাদের মধ্যে কে আছে যে আমার ঋণগুলে৷ পরিশোধ করবে এবং
আমার পরিবারে আমার প্রতিনিধিত্ব করবে” দ্বারা তিনি একথা বুঝিয়েছেন যে, আমার যদি মৃত্যু
হয় তখন এ দায়িতু পালন করবে এমন কে আছে ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) যেন এ আশংক
করেছিলেন যে, আ বরের মুশরিদের নিকট রিস৷ লাতে ৩র বাণী পৌছাতে গেলে তারা তাকে হত্যা
করতে পারে ৷ তাই তার অবর্তমানে তার পরিবারের দেখাশোনা করার জন্যে এবং তার ঋণ
পরিশোধ করার জন্যে আন্থাভাজন লোকের খোজ করেছিলেন ৷ অবশ্য ওই ধরনের অঘটন
থেকে আল্লাহ্ তাআলা তাকে রক্ষা করেছেন ৷ আল্লাহ্ তাআলা র্তাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন-

ণ্ডছুাচুা


হে রাসুল ৷ আপনার প্রতিপালকের নিকট থেকে আপনার প্ৰতি যা অবতীর্ণ হয়েছে,
প্রচার করুন ৷ যদি তা না করেন,৩ তবে তাে আপনি তার বার্তা প্রচার করলেন না ৷ আল্লাহ্
আপনাকে লোকজন থেকে রক্ষা করবেন (৫ : ৬৭) ৷

মােদ্দাকথা, রাসুলুল্লাহ্ (সা) রাতে দিনে এবং প্রকাশ্যে ও গোপনে সর্বদা সর্বপ্রকারে
মানুষকে আল্লাহ্র প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ৷ কোন বাধা প্রদানকারী তাকে তা থেকে বিরত
রাখতে পারেনি তিনি মাহফিলে, মজলিসে, সমাবেশে মেলার মওসুমে এবং হভৈজ্জর ক র্যাদি
সম্পাদনের স্থানসমুহে সমবেত লোকদের নিকট গিয়েছেন আল্লাহ্র পথে দাওয়াত দেয়ার
জন্যে ৷ ধনী-নিধন, স্বাধীন-অধীন, এবং সরল-দুর্বল যার সাথেই তার সাক্ষাত হয়েছে, তাকেই
তিনি দাওয়াত দিয়েছেন ৷ দাওয়াতের ব্যাপারে তিনি কে ৷নরুপ ভেদাভেদ করেননি ৷ কুরায়শের
সরল ও শক্তিমান লোকেরা নানা প্রকারের অত্যাচার ও নির্যা৩ ন সহকারে তার উপর ও তার
অনুসারী দুর্বল ব্যক্তিদের উপর বাপিয়ে পড়েছে ৷ তার প্রতি সর্বাধিক কঠিন ও কঠোর
আচরণকারী ছিল তার চাচা আবু লাহার ও তার ত্রী উম্মু জামীল আরওয়া বিনৃত হাবৃব ইবন
উমাইয়া ৷ আবু লাহাবের মুল নাম আবদুল উঘৃয৷ ইবন আবদুল ঘুত্তা ৷লিব ৷৩ তার ত্রী উম্মু জামীল
ছিল আবু সুফিয়ানের বোন ৷ চাচা আবু৩ ৩ালিব ইবন আবদুল মুত্তালিব কিন্তু এ ব্যাপারে তার
বিরো ধী ছিলেন ৷ বন্তুত রাসুলুল্পাহ্ (না) তার চাচা আবু তা ৷লিরের প্রিয়৩ ম মানুষ ছিলেন ৷ তার
ভরণ পােষণে তিনি অকা৩ তার অর্থ ব্যয় করতেন এবং তিনি তার প্রতি অত্যন্ত সদয় আচরণ
করতেন ৷ অন্যদের জুলুম-নির্যা৩ তন ও কটাক্ষ থেকে তিনি তাকে রক্ষা করতেন ৷ তিনি নিজে
কুরায়শী ধর্মমতের অনুসরণক৷ ৷রী হওয়া সত্বেও রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে কষ্ট দেয়ার ব্যাপারে তিনি
ওদের বিরোধিতা করতেন ৷ কিন্তু আল্লাহ্ তা আলা তার অম্ভরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রতি
সহজাত ভালবাসা দিয়েছিলেন, শরীআতভিত্তিক ভালবাসা নয় ৷

আবু তালিব একদিকে তার পুর্বপুরুষের ধর্মমতে অবিচল থেকেছিল, আর অন্যদিকে
রাসুলুল্পাহ্ (না)-কে জান-প্রাণ দিয়ে রক্ষা করেছিল ৷ এ দ্বিমুখী কর্মকাণ্ডের মধ্যে নিশ্চয়ই আল্লাহ্
তাআলার হিকমত রয়েছে ৷ কারণ, আবু তালিব যদি ইসলাম গ্রহণ করতেন, তার কুরায়শ
বংশীয় মুশরিকদের নিকট তার কোন প্রভাব ও গুরুতু থাকত না ৷ তাদের উপর বড় কথা বলার


فَقَالَ: " أَيُّكُمْ يَقْضِي عَنِّي دَيْنِي، وَيَكُونُ خَلِيفَتِي فِي أَهْلِي؟ ". قَالَ: فَسَكَتُوا وَسَكَتَ الْعَبَّاسُ خَشْيَةَ أَنْ يُحِيطَ ذَلِكَ بِمَالِهِ، قَالَ: وَسَكَتُّ أَنَا لِسِنِّ الْعَبَّاسِ ثُمَّ قَالَهَا مَرَّةً أُخْرَى، فَسَكَتَ الْعَبَّاسُ فَلَمَّا رَأَيْتُ ذَلِكَ، قُلْتُ: أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " أَنْتَ ". قَالَ وَإِنِّي يَوْمَئِذٍ لَأَسْوَأُهُمْ هَيْئَةً، وَإِنِّي لَأَعْمَشُ الْعَيْنَيْنِ، ضَخْمُ الْبَطْنِ، حَمْشُ السَّاقَيْنِ.» وَهَذِهِ الطَّرِيقُ فِيهَا شَاهِدٌ لِمَا تَقَدَّمَ، إِلَّا أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرِ ابْنَ عَبَّاسٍ فِيهَا، فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ فِي " مُسْنَدِهِ " مِنْ حَدِيثِ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْأَسَدِيِّ وَرَبِيعَةَ بْنِ نَاجِذٍ عَنْ عَلِيٍّ نَحْوَ مَا تَقَدَّمَ، أَوْ كَالشَّاهِدِ لَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمَعْنَى قَوْلِهِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ: «مَنْ يَقْضِي عَنِّي دَيْنِي وَيَكُونُ خَلِيفَتِي فِي أَهْلِي» يَعْنِي: إِذَا مُتُّ، وَكَأَنَّهُ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - خَشِيَ إِذَا قَامَ بِإِبْلَاغِ الرِّسَالَةِ إِلَى مُشْرِكِي الْعَرَبِ أَنْ يَقْتُلُوهُ، فَاسْتَوْثَقَ مَنْ يَقُومُ بَعْدَهُ بِمَا يُصْلِحُ أَهْلَهُ، وَيَقْضِي عَنْهُ، وَقَدْ أَمَّنَهُ اللَّهُ مِنْ ذَلِكَ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ وَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ وَاللَّهُ يَعْصِمُكَ مِنَ النَّاسِ} [المائدة: 67] الْآيَةَ. [الْمَائِدَةِ: 67] وَالْمَقْصُودُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - اسْتَمَرَّ يَدْعُو إِلَى اللَّهِ تَعَالَى لَيْلًا وَنَهَارًا، وَسِرًّا