আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

باب أمر الله رسوله - صلى الله عليه وسلم - بإبلاغ الرسالة إلى الخاص والعام

পৃষ্ঠা - ১৮১২


বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এ বর্ণনায় “আমি আপনাদের নিকট দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ নিয়ে
এসেছি ৷” এরপর এতটুক অতিরিক্ত রয়েছে ৷ “আল্লাহ আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন , যেন আপনা-
দেরকে তার প্রতি আহবান করি ৷ ”

সুতরাং এ বিষয়ে আপনাদের মধ্যকার কে আমাকে সাহায্য করবেন ? তাহলে ঐ ব্যক্তি
আমার ভাই হিসেবে গণ্য হবে ৷ তিনি এ ভাবে আরও কিছু কথা বললেন ৷ তার বক্তব্য শুনে
কেউই কোন উত্তর দিল না ৷ আমি সেখানে সবার চাইতে বয়ঃকনিষ্ঠ ছিলাম ৷ চোখ দিয়ে পানি
পড়তো পেট ছিল বড় এবং পায়ের গোছা দুটো চিকন ৷ আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী !
আমি হব আপনার সাহায্যকারী ! তখন তিনি আমার ঘাড়ে হাত রেখে বললেন, এই আমার
ভাই, আপনারা তার কথা শুনবেন, তার নির্দেশ মানবেন ৷ ’ এরপর লোকজন হাসতে হাসতে
বেরিয়ে গেল ৷ আর আবু তালিবকে বলতে লাগল, “সে তো আপনাকে নির্দেশ দিল আপনার
পুত্রের কথা শুনতে আর তার নির্দেশ পালন করতে ৷ ’ অবশ্য এ অতিরিক্ত বর্ণনাটুকু এককতাবে
আবদুল গাফ্ফার ইবন কাসিম আবু মারয়ামের ৷ এ ব্যক্তি মিথ্যাচারী এবং শিয়াপান্থী লোক ৷
আলী ইবন মাদীনী প্রমুখ তাকে জাল হাদীছ রটনার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন ৷ অবশিষ্ট
হাদীছ পরীক্ষকগণ তাকে দুর্বল বর্ণনাকারীরুপে আখ্যায়িত করেছেন ৷

ইবন আবী হাতিম তার তাফসীর গ্রন্থে আবদুল্লাহ ইবন হারিছ থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি

বলেছেন যে, হযরত আলী (বা) বলেছেন :
-ড্রুর্দু ৰুঠুট্টব্ররু৷ ;া১’,এ ;ৰু ষ্টুপুাপ্লু
আয়াত যখন নাযিল হল, তখন রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে বললেন, এক সা’ খাদ্যের মধ্যে
একটি বকরীর পা রান্না কর ৷ আর এক পাত্র দুধের ব্যবস্থা কর এবং হড়াশিম গোত্রের লোকজন
সবাইকে আমার নিকট ডেকে নিয়ে আস ৷ আমি তাদের সবাইকে ডেকে আনলাম ৷ তাদের
ৎথ্যা ছিল ৩৯ কিৎবা ৪১ জন ৷ এরপর পুর্বোক্ত হড়াদীছে বর্ণিত ঘটনার ন্যায় বর্ণনা করলেন ৷

তবে শেষে এতটুকু অতিরিক্ত যোগ করলেন যে, এরপর রড়াসুলুল্লাহ্ (না)-এর তাদের সাথে
আলাপের সুচনা করলেন এবং বললেন, আপনাদের মধ্যে কে আছেন যে আমার ঝণগুলো
পরিশোধ করে দিবেন এবং আমার পরিবারে আমার প্রতিনিধি হবেন ৷ উপস্থিত কেউই কোন
কথা বললেন না ৷ ঋণ পরিশোধে নিজের সব সম্পদ শেষ হয়ে যাবে এ আশংকায় হযরত
অ ড়াব্বাসও কিছু বললেন না ৷ হযরত আলী (বা) বলেন, হযরত আব্বাস (বা) বয়সে প্রবীণ
হওয়ার কারণে তার সম্মানার্থে আমিও চুপ থাকলাম ৷

রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার যে আহ্বানের পুনরাবৃত্তি করলেন ৷ এবারও হযরত আব্বাস নীরব
রইলেন ৷ এ অবস্থা দেখে আমি বললাম, “আমি আপনার এ দায়িতৃ নেবাে ইয়া রাসুলাল্লড়াহ্ ৷
তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তুমিই, হযরত আলী বলেন , তখন আমার অবস্থা সবার চেয়ে
গােচনীয় ছিল ৷ আমার দু-চক্ষু বেয়ে পানি পড়ত, পেট ছিল ফোলা, পায়ের গোছা দুটো চিকন ৷

এ হাদীছটি পুর্ববর্তী হাদীছের সমর্থক ৷ তবে ওই হাদীছের সনদে ইবন আব্বাসের উল্লেখ
নেই ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইমাম আহমদ (র) তার ঘুসনাদ গ্রন্থে আব্বাস ইবন আবদুল্লাহ আসাদী ও রাবীআ ইবন
নাজিয সুত্রে হযরত আলী (বা) থেকে উপরোক্ত হাদীছের সমর্থক হাদীছ উল্লেখ করেছেন ৷


أَمَرَنِي اللَّهُ أَنْ أَدْعُوَكُمْ إِلَيْهِ، فَأَيُّكُمْ يُؤَازِرُنِي عَلَى هَذَا الْأَمْرِ عَلَى أَنْ يَكُونَ أَخِي ". وَكَذَا وَكَذَا. قَالَ: فَأَحْجَمَ الْقَوْمُ عَنْهَا جَمِيعًا، وَقُلْتُ وَلَإِنِّي لَأَحْدَثُهُمْ سِنًّا، وَأَرْمَصُهُمْ عَيْنًا، وَأَعْظَمُهُمْ بَطْنًا، وَأَحْمَشُهُمْ سَاقًا: أَنَا يَا نَبِيَّ اللَّهِ، أَكُونُ وَزِيرَكَ عَلَيْهِ. فَأَخَذَ بِرَقَبَتِي، فَقَالَ: " إِنَّ هَذَا أَخِي، وَكَذَا وَكَذَا، فَاسْمَعُوا لَهُ وَأَطِيعُوا ". قَالَ: فَقَامَ الْقَوْمُ يَضْحَكُونَ وَيَقُولُونَ لِأَبِي طَالِبٍ: قَدْ أَمَرَكَ أَنْ تَسْمَعَ لِابْنِكَ وَتُطِيعَ!» تَفَرَّدَ بِهِ عَبْدُ الْغَفَّارِ بْنُ الْقَاسِمِ أَبُو مَرْيَمَ وَهُوَ كَذَّابٌ شِيعِيٌّ، اتَّهَمَهُ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ وَغَيْرُهُ بِوَضْعِ الْحَدِيثِ، وَضَعَّفَهُ الْبَاقُونَ. وَلَكِنْ رَوَى ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ فِي " تَفْسِيرِهِ " عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عِيسَى بْنِ مَيْسَرَةَ الْحَارِثِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْقُدُّوسِ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ: «لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ " {وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ} [الشعراء: 214] " قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " اصْنَعْ لِي رِجْلَ شَاةٍ بِصَاعٍ مِنْ طَعَامٍ، وَإِنَاءٍ لَبَنًا، وَادْعُ لِي بَنِي هَاشِمٍ، فَدَعَوْتُهُمْ، وَإِنَّهُمْ يَوْمَئِذٍ لَأَرْبَعُونَ غَيْرَ رَجُلٍ أَوْ أَرْبَعُونَ وَرَجُلٌ.» فَذَكَرَ الْقِصَّةَ كَنَحْوِ مَا تَقَدَّمَ إِلَى أَنْ قَالَ: «وَبَدَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - الْكَلَامَ