আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

فصل في دخول علي بن أبي طالب رضي الله عنه على زوجته فاطمة بنت رسول الله صلى الله عليه وسلم

পৃষ্ঠা - ২৫৯৩


পারলাম না ৷ আমি নিকটস্থ সোকদেরকে জিজ্ঞেস করলাম, এ কাজ কে করেছে ? তারা জানলে,
আবদুল মুত্তালিবের পুত্র হামযা এ কাজ করেছেন ৷ এখন তিনি এ ঘরের মধ্যে আনসারদের কিছু
মদ্যপায়ীদের সাথে মদপান করছেন ৷ সেখানে তার সাথে আছে তার গায়িকা দাসী ও কতিপয়
সঙ্গী-সাথী ৷ গায়িকাটি গানের ছন্দে বলেছিল, “ ওহে হামযা ! মোটাতাজা ট্ষ্ট্রদ্বয়ের উপর ঝাপিয়ে
পড় ৷” এ কথা শুনে হামযা তলোয়ার হাতে উট দৃটোর উপর ঝাপিয়ে পড়ে ওগুলাের কুজ কেটে
নিলেন আর তাদের তখন পেট চিরে কলিজা বের করে নিয়ে আসলেন ৷ হযরত আলী বলেন
আমি তখন নবী করীম (না)-এর নিকট চলে গেলাম ৷ তখন তার কাছে যায়দ ইবন হারিছা
উপস্থিত ছিল ৷ আমাকে দেখেই তিনি বুঝতে পারলেন যে, আমি কোন সমস্যার সম্মুখীন
হয়েছি ৷ তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কী :হয়েছে ? আমি বললড়াম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ !
আজকের ন্যায় বেদনাদায়ক ঘটনার সম্মুখীন আমি কখনও হইনি ৷ হামযা আমার উট দুটোর
উপর জুলুম করেছেন ৷ তিনি উট দুটির কৃজও পেট কেটে ফেলেছেন ৷ এখন তিনি ঐ ঘরের
মধ্যে একদল মদ্যপায়ীর সাথে অবস্থান করছেন ৷ তখন নবী করীম (না) তার চড়াদরখানা চেয়ে
নিলেন এবং তা গয়ে দিয়ে সেদিকে রওনা হলেন ৷ আর আমি ও যায়দ ইবন হারিছা তাকে
অনুসরণ করে চললাম ৷ হেটে হেটে তিনি ঐ ঘরের কাছে গিয়ে পৌছলেন যে ঘরে হামযা
অবস্থান করছিলেন ৷ তিনি অনুমতি চইিলেন ৷ অনুমতি পেয়ে ভিতরে প্রবেশ করে তিনি
হামযাকে তার কৃতকর্মের জন্যে ভব্লুসনা করতে লাগলেন ৷ হামযা তখন নেশআেস্ত ৷ চোখ দুটো
লাল ৷ তিনি নবী করীমের প্রতি দৃষ্টিপাত করলেন ৷ তারপর দৃষ্টি উপরে উঠিয়ে তার হীর্টুর দিকে
তাকালেন ৷ এরপর দৃষ্টি আরও উপরে উঠিয়ে তার চেহারার দিকে তাকালেন এবং বললেন,
তোমরা তাে আমার পিতার গোলাম ৷ একথা শুনে নবী করীম (সা) বুঝবেন যে, হামযা এখন
ণ্নশাগ্রস্ত ৷ তইি তিনি পেছনের দিকে হেটে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়লেন ৷ আর আমরাও তার
সাথে বেরিয়ে আসলাম ৷

ইমাম বুখারী কিতড়াবুল মাগাযীতে ঘটনাটি এ ভাবে বর্ণনা করেছেন ৷ মাগাযী ছাড়া বুখারী
শরীফে আরও বহু স্থানে বিভিন্ন শব্দমালায় এ ঘটনার বর্ণনা আছে ৷ এ থেকে প্রমাণিত হয় যে
বদর যুদ্ধের গনীমত থেকে খুমুস বা পঞ্চমাংশ বের করা হয়েছিল ৷ কিন্তু আবু উবায়দ কাসিম
ইবন সাল্লাম কিতাবুল অড়ামওয়াল গ্রন্থে বলেছেন যে, বদর যুদ্ধের গনীমত বণ্টনের্ পর খুমুসের
বিধান অবতীর্ণ হয় ৷ তবে অনেবেইি এ মতের বিরোধিতা করেছেন ৷ যেমন ইমাম বুখারী, ইবন
জারীর প্রমুখ ৷ আমরা তাফসীর গ্রন্থে এবং এই কিতড়াবেও ইতােপুর্বে এ মতটি যে ভুল তা
বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷ এ ঘটনায় হামযা ও তার সঙ্গীদের মদ্যপান প্রশ্নে বলা হয়েছে যে,
তখনও মদ্যপান নিষিদ্ধ হয়নি ৷ তদুপরি হযরত হামযা (রা) উহুদ যুদ্ধে শাহাদতবরণ করেন ৷
আর মদ্যপান নিষিদ্ধ হয় উহদ যুদ্ধের পরে ৷ এ হাদীছ থেকে দলীল গ্রহণ করে আলিমগণ
বলেছেন যে, নেশাগ্রস্ত লোকের জ্ঞান রহিত হয়ে যায়শ্ এ কারণে তালাক১ ম্বীকারােতি ও
অন্যান্য ক্ষেত্রে তার কথা অগ্রাহ্য করা হয় ৷ ফিক্হশাত্রে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত রয়েছে ৷ ইমাম
আহমদ (র) সুফিয়ানের বরাতে আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ আলী (রা) বলেন, আমি
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কন্যাকে বিবাহ করার জন্যে তড়াকে প্রস্তাব দেয়ার সংকল্প করলাম ৷ কিন্তু
মনে মনে ভাবলাম আমার তো কোন অর্থ-সম্পদ নেই ৷ কিছু দিন পর পুনরায় সংকল্প করশাম

€০য়ো



رَوَاهُ فِي أَمَاكِنَ أُخَرَ مِنْ صَحِيحِهِ بِأَلْفَاظٍ كَثِيرَةٍ، وَفِي هَذَا دَلِيلٌ عَلَى مَا قَدَّمْنَاهُ مِنْ أَنَّ غَنَائِمَ بَدْرٍ قَدْ خُمِّسَتْ، لَا كَمَا زَعَمَهُ أَبُو عُبَيْدٍ الْقَاسِمُ بْنُ سَلَامٍ فِي كِتَابِ " الْأَمْوَالِ " مِنْ أَنَّ الْخُمْسَ إِنَّمَا نَزَلَ بَعْدَ قِسْمَتِهَا، وَقَدْ خَالَفَهُ فِي ذَلِكَ جَمَاعَةٌ ; مِنْهُمُ الْبُخَارِيُّ وَابْنُ جَرِيرٍ، وَبَيَّنَّا غَلَطَهُ فِي ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ " وَفِيمَا تَقَدَّمَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَكَانَ هَذَا الصُّنْعُ مِنْ حَمْزَةَ وَأَصْحَابِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، قَبْلَ أَنْ تُحَرَّمَ الْخَمْرُ، بَلْ قَدْ قُتِلَ حَمْزَةُ يَوْمَ أُحُدٍ كَمَا سَيَأْتِي، وَذَلِكَ قَبْلَ تَحْرِيمِ الْخَمْرِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ يُسْتَدِلُّ بِهَذَا الْحَدِيثِ مَنْ يَرَى أَنَّ عِبَارَةَ السَّكْرَانِ مَسْلُوبَةٌ لَا تَأْثِيرَ لَهَا ; لَا فِي طَلَاقٍ، وَلَا إِقْرَارٍ، وَلَا غَيْرِ ذَلِكَ كَمَا ذَهَبَ إِلَيْهِ مِنَ الْعُلَمَاءِ، كَمَا هُوَ مُقَرَّرٌ فِي كِتَابِ " الْأَحْكَامِ ". وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَجُلٍ «سَمِعَ عَلِيًّا يَقُولُ: أَرَدْتُ أَنْ أَخْطُبَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ابْنَتَهُ، فَقُلْتُ: مَا