আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

غزوة بدر العظمى

فصل في قدوم زينب بنت الرسول صلى الله عليه وسلم مهاجرة بعد وقعة بدر
পৃষ্ঠা - ২৫৫৭


আগেরামীর কাছে ফিরিয়ে দেয়া হল ? একদল আলিম এ প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, “হতে
পারে যয়নবের ইদ্দত তখনও পুর্ণ হয়নি ৷” কিন্তু এই সম্ভাবনা গ্রহণ করলে বিষয়টি যয়নবের
উপরে পড়ায় ৷ তারাীকৃতির উপর নিভরি করবে, ইদ্দত তখন শেষ হয়েছিল কি না ? অন্য এক
দল আলিম এই হড়াদীছের মুকাবিলায় প্রথমে উল্লিখিত হাদীছটি পেশ করেছেন যে হাদীছ ইমাম
আহমদ, তিরমিযী ও ইবন মাজা হাজ্জাজ ইবন আরতাত থেকে, তিনি আমর ইবন ওআয়ব
থেকে, তিনি তার পিতা থেকে, তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রড়াসুলুল্লাহ্ (না) তার
কন্যা (যয়নব)-কে নতুন ভাবে মহর নির্ধারণ করে ও নতুন করে বিবাহ পড়ায়ে আবুল আস
ইবন রবী’র নিকট ফিরিয়ে দেন ৷ ইমাম আহমদ এ হাদীছকে দুর্বল ও অমুলক বলে আখ্যায়িত
করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, হাজ্জাজ এ হাদীছ আমর ইবন শুআয়ব থেকে শ্রবণ করেননি, বরং
মুহাম্মদ ইবন উবায়দুল্লাহ্ আরযড়ামীর কাছ থেকে শুনেছেন ৷ আর আরযামীর বর্ণিত হাদীছ
মোটেই নির্ভরযোগ্য নয় ৷ সহীহ্ হাদীছ ঐটাই যা বর্ণনা করা হয়েছে যে, নবী করীম (সা)
যয়নবের প্রথম বিবাহ ঠিক রাখেন ৷ অনুরুপতাবে দাবাকুতনী বলেছেন, এ বর্ণনাটি প্রামাণ্য নয় ৷
ইবন আব্বাস প্রামাণ্য হাদীছে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যয়নবকে প্রথম বিবাহের
উপরই আবুল অড়াসের নিকট ফিরিয়ে দেন ৷ তিরমিযী বলেন, এ হাদীছের সনদ সমালোচনার
উরুর্ধ্ব নয় ৷ বিজ্ঞ অড়ালিমদের মতে কার্যকর পন্থা হচ্ছে ;; কাফিরামী-শ্ৰীর মধ্যে যদি শ্রী প্রথমে
ইসলাম গ্রহণ করে এবং ইদ্দত পালনকালোমীও মুসলমান হয়ে যায়, তবে ঐামীই এই শ্ৰীর
অধিক দাবীদার ৷ ইমাম মালিক, আওযাঈ, শাফিঈ , আহমদ ও ইসহাক এই মত পোষণ করেন ৷
অন্যরা বলেন : যয়নবের ইদ্দত শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল ৷ যিনি বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (না) যয়নবের বিবাহ নতুন ভাবে পড়িয়েছিলেন , তাদের বর্ণনা খুবই দুর্বল ৷ যয়নবের
এ ঘটনা থেকে দলীল গ্রহণ করে বলা হয়েছে যে, শ্রী যদি ইসলাম গ্রহণ করে আরামীর
ইসলাম গ্রহণ করতে বিলম্ব হয় এবং এতে ইদ্দতের সময় পার হয়ে যায় তবে শুধু এ কারণেই
বিবাহ ভেৎগে যাবে না; বরং ত্রীব ইখতিয়ার থাকবে ইচ্ছা করলে যে অন্য কাউকে বিবাহ
করতে পারবে এবং ইচ্ছা করলে যতদিন পারে বিবাহ হতে বিরত থেকোমীর ইসলাম গ্রহণের
অপেক্ষায় থাকবে ৷ যতদিন অন্য কাউকে বিবাহ না করবে, ততদিন যে ঐামীর-ই শ্রী হিসেবে
গণ্য হবে ৷ এ মতটি নিঃসন্দেহে যুক্তিসংগত, শক্তিশালী এবং ফিকহী দৃষ্টিতে মুল্যবান ৷ উক্ত
মতের দলীল হিসেবে বুখারী শরীফে “মুশরিক নারী মুসলমান হলে তার বিবাহ ও ইদ্দত”
শিরোনামে উল্লিখিত একটি হাদীছ গ্রহণ করা যায় ৷ ইমাম বুথারী বর্ণনা করেন, ইবরাহীম ইবন
মুসা ইবন আব্বাস থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) ও মু’মিনদের বিষয়ে মুশরিকদের
দৃ’ধ্রনের অবস্থান ছিল ৷ একদল ছিল হারবী মুশরিক ৷ তিনি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেন এবং
তারাও তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করত ৷ আর একদল ছিল চুক্তিবদ্ধ ঘুশরিক ৷ তিনি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করতেন না এবং তারাও তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করত না ৷ হারবী মুশরিকদের কোন মহিলা যদি
(ঈমান এনে) হিজরত করে মদীনায় চলে আসত , তা হলে সে ঋতুমতী হয়ে পুনরায় পবিত্র না
হওয়া পর্যন্ত তার কাছে বিবাহের প্রস্তাব দেয়া হত না ৷ পবিত্র হওয়ার পর তার সাথে বিবাহ বৈধ
হত ৷ তবে যদি অন্যের সাথে বিবাহের পুর্বেই তারামী হিজরত করে চলে আসত , তা হবে ঐ
মহিলাকে তার কাছেই ফিরিয়ে দেয়া হত ৷ আর যদি তাদের কোন দাস বা দাসী হিজরত করে


وَتَأَخَّرَ إِسْلَامُ زَوْجِهَا حَتَّى انْقَضَتْ عِدَّتُهَا فَنِكَاحُهَا لَا يَنْفَسِخُ بِمُجَرَّدِ ذَلِكَ، بَلْ تَبْقَى بِالْخِيَارِ، إِنْ شَاءَتْ تَزَوَّجَتْ غَيْرَهُ، وَإِنْ شَاءَتْ تَرَبَّصَتْ وَانْتَظَرَتْ إِسْلَامَ زَوْجِهَا أَيَّ وَقْتٍ كَانَ، وَهِيَ امْرَأَتُهُ مَا لَمْ تَتَزَوَّجْ، وَهَذَا الْقَوْلُ فِيهِ قُوَّةٌ، وَلَهُ حَظٌّ مِنْ جِهَةِ الْفِقْهِ. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ. وَيُسْتَشْهَدُ لِذَلِكَ بِمَا ذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ حَيْثُ قَالَ: نِكَاحُ مَنْ أَسْلَمَ مِنَ الْمُشْرِكَاتِ وَعِدَّتُهُنَّ. حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، ثَنَا هِشَامٌ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: كَانَ الْمُشْرِكُونَ عَلَى مَنْزِلَتَيْنِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْمُؤْمِنِينَ، كَانُوا مُشْرِكِي أَهْلِ حَرْبٍ يُقَاتِلُونَهُمْ وَيُقَاتِلُونَهُ، وَمُشْرِكِي أَهْلِ عَهْدٍ لَا يُقَاتِلُهُمْ وَلَا يُقَاتِلُونَهُ، وَكَانَ إِذَا هَاجَرَتِ امْرَأَةٌ مِنْ أَهْلِ الْحَرْبِ لَمْ تُخْطَبْ حَتَّى تَحِيضَ وَتَطْهُرَ، فَإِذَا طَهُرَتْ حَلَّ لَهَا النِّكَاحُ، فَإِنَّ هَاجَرَ زَوْجُهَا قَبْلَ أَنْ تَنْكِحَ رُدَّتْ إِلَيْهِ، وَإِنْ هَاجَرَ عَبْدٌ مِنْهُمْ أَوْ أَمَةٌ فَهُمَا حُرَّانِ وَلَهُمَا مَا لِلْمُهَاجِرِينَ، ثُمَّ ذَكَرَ مِنْ أَهْلِ الْعَهْدِ مِثْلَ حَدِيثِ مُجَاهِدٍ. هَذَا لَفَظُهُ بِحُرُوفِهِ، فَقَوْلُهُ: فَكَانَ إِذَا هَاجَرَتِ امْرَأَةٌ مِنْ أَهْلِ الْحَرْبِ لَمْ تُخْطَبْ حَتَّى تَحِيضَ وَتَطْهُرَ. يَقْتَضِي أَنَّهَا كَانَتْ تَسْتَبْرِئُ بِحَيْضَةٍ، لَا تَعْتَدُّ بِثَلَاثَةِ قُرُوءٍ، وَقَدْ ذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا. وَقَوْلُهُ: فَإِنْ هَاجَرَ زَوْجُهَا قَبْلَ أَنْ تَنْكِحَ رُدَّتْ إِلَيْهِ. يَقْتَضِي أَنَّهُ، وَإِنْ هَاجَرَ بَعْدَ انْقِضَاءِ مُدَّةِ الِاسْتِبْرَاءِ وَالْعِدَّةِ، أَنَّهَا تُرَدُّ إِلَى زَوْجِهَا الْأَوَّلِ مَا لَمْ تَنْكِحْ زَوْجًا غَيْرَهُ، كَمَا هُوَ الظَّاهِرُ مِنْ قِصَّةِ زَيْنَبَ بِنْتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،