আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

غزوة بدر العظمى

فصل في بعث قريش إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم في فداء أسراهم
পৃষ্ঠা - ২৪৯৬


রাসুলুল্পাহ্ (সা)-এর কাছে গিয়ে বললেন, হে আল্লাহর নবী এই যে আল্লাহর দুশমন উমায়র
ইবন ওয়ড়াহব র্কাধে তরবারি ঝুলিয়ে এখানে এসেছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তাকে আমার
কাছে নিয়ে এসো ৷ বর্ণনাকারী বলেন, উমর এসে ঝুলন্ত তরবারি তার ঘাড়ের সাথে চেপে রেখে
বুকের কাপড় জড়িয়ে ধরলেন এবং সাথী আনসারদের বললেন, তোমরা রাসুলুল্লাহ্র কাছে গিয়ে
রস এবং এ দুরাচাবের ব্যাপারে সতর্ক থাক ৷ কেননা, একে বিশ্বাস করা যায় না ৷ এরপর তিনি
তাকে রাসুলুল্লাহ্র কাছে নিয়ে গেলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন তাকে এ অবস্থায় দেখলেন যে,
উমর তার ঘাড়েই তরবারি লাগিয়ে রেখেছেন, তখন তিনি বললেন “হে উমর ! তাকে ছেড়ে
দাও হে উমায়র! আমার কাছে এসো ৷ উমায়র রাসুলুল্লাহ্র কাছে গিয়ে বলল, ৷;শু£ৰু ন্;ক্ট্রা
সৃপ্রভাত৷ এটাই ছিল তাদের মধ্যে প্রচলিত জাহিলী যুগে পরস্পরের প্রতি সম্ভাষণ ৷ রাসুলুছুন্বত্ত্বহ্
(সা) বললেন, হে উমায়র তোমার সম্ভাষণ অপেক্ষা উত্তম সম্ভাষণের ব্যবস্থা দিয়ে আল্লাহ
আমাদের সম্মানিত করেছেন ৷ আর তা হলো সালাম’ (অড়াসসালামু অলায়কুম) , যা হবে
জান্নাতীদের সম্ভাষণ ৷ সে বলল, হে মুহাম্মদ ৷ আল্লাহর কসম৷ আমি এ বিষয়ে এখনই অবগত
হলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : উমায়র! তুমি কি জন্যে এসেছ ? সে বলল, আমি এসেছি
আপনাদের হাতে আটক এই বন্দীর মুক্তির জন্যে ৷ তার ব্যাপারে দয়া করুন ৷ রাসুল (সা)
বললেন, তবে তোমার কাধে তরবারি কেন ? সে বলল, আল্পাহ্ তরবারির অমঙ্গল করুন ৷ তা
কি আমাদের কোন কাজে এসেছে ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, সত্যি করে বল, কী উদ্দেশ্যে
এসেছ? সে বলল, ঐ বিষয় ছাড়া আমি আর কােন উদ্দেশ্যে আসিনি ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ বললেন
কিছুতেই তা নয়, বরং ভুমি ও সাফওয়ান ইবন উমাইয়া হাতীমে বসে বদবের কুয়াের নিক্ষিপ্ত
কুরায়শদের সম্পর্কে আলোচনা করছিলে ৷ তুমি না বলেছিলে! আমার যদি ঋণের বোঝা এবং
সন্তানদের ভরণ পোষণের দায়িতৃ না থাকতো, তবে আমি অবশ্যই বেরিয়ে গিয়ে মুহড়াম্মদকে
হত্যা করে দিতাম ৷ তখন সাফওয়ান ইবন উমাইয়া তোমার ঋণ ও সন্তানের দায়িতু এই শর্তে
গ্রহণ করে যে, তুমি আমাকে হত্যা করে দিবে ৷ অথচ আল্লাহ তোমার ও তোমার উদ্দেশ্যের
মাঝে অন্তরায় হয়ে আছেন ৷ তখন উমায়র বলল, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনি আল্লাহর রাসুল ৷
ইয়া রাসুলাল্পাহ! আপনি আকাশের যে সব সংবাদ আমাদের শুনাতেন এবং আপনার উপর যে
সকল ওহী অবতীর্ণ হতো, আমরা তা সবই অবিশ্বাস করতাম ৷ আর এ বিষয়টি আমি ও
সাফওয়ান ব্যতীত অন্য কেউ জানে না ৷ সুতরাং আল্লাহর কসম আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি,
এ সংবাদ আপনাকে আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানায়নি ৷ সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর, যিনি
আমাকে ইসলামের পথ দেখালেন ও এই স্থানে এনে দিলেন ৷ এরপর সে সত্যের সাক্ষ্য প্রদান
করে ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : তোমরা তোমাদের দীনী ভাইকে দীনের জ্ঞান দান কর ,
তাকে কুরআন শিক্ষা দাও এবং তার বন্দীকে ছেড়ে দাও ৷ সাহাবাগণ নির্দেশ মতে তাই করলেন ৷
একদা উমায়র বলল : ইয়া রাসুলাল্লাহ্! এতকাল ধরে আমি আল্লাহর নুর নির্বাপিত করার
কাজে ছিলাম তৎপর এবং যারা আল্লাহর দীনের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল তাদেরকে নির্যাতন করার
ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর ৷ এখন আমি চাই, আমাকে অনুমতি দিন, মক্কায় গিয়ে আমি তাদেরকে
আল্লাহর রাসুল ও ইসলামের দিকে আহবান জানাই ৷ হয়তো আল্লাহ তাদেরকে হিদায়াত দান
করবেন ৷ আর যদি তারা হিদায়াত না হয়, তবে বাতিল দীনে থাকার কারণে আমি ঐরুপ শাস্তি


يَوْمَ بَدْرٍ. ثُمَّ «دَخَلَ عُمَرُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، هَذَا عَدُوُّ اللَّهِ عُمَيْرُ بْنُ وَهْبٍ، قَدْ جَاءَ مُتَوَشِّحًا سَيْفَهُ. قَالَ: فَأَدْخِلْهُ عَلَيَّ. قَالَ: فَأَقْبَلَ عُمَرُ حَتَّى أَخَذَ بِحِمَالَةِ سَيْفِهِ فِي عُنُقِهِ فَلَبَّبَهُ بِهَا، وَقَالَ لِمَنْ كَانَ مَعَهُ مِنَ الْأَنْصَارِ: ادْخُلُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَاجْلِسُوا عِنْدَهُ، وَاحْذَرُوا عَلَيْهِ مِنْ هَذَا الْخَبِيثِ، فَإِنَّهُ غَيْرُ مَأْمُونٍ. ثُمَّ دَخَلَ بِهِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا رَآهُ رَسُولُ اللَّهِ وَعُمَرُ آخِذٌ بِحِمَالَةِ سَيْفِهِ فِي عُنُقِهِ. قَالَ: أَرْسِلْهُ يَا عُمَرُ، ادْنُ يَا عُمَيْرُ. فَدَنَا ثُمَّ قَالَ: أَنْعِمُوا صَبَاحًا. وَكَانَتْ تَحِيَّةَ أَهْلِ الْجَاهِلِيَّةِ بَيْنَهُمْ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ قَدْ أَكْرَمَنَا اللَّهُ بِتَحِيَّةٍ خَيْرٍ مِنْ تَحِيَّتِكَ يَا عُمَيْرُ، بِالسَّلَامِ تَحِيَّةِ أَهْلِ الْجَنَّةِ. قَالَ: أَمَا وَاللَّهِ يَا مُحَمَّدُ إِنْ كُنْتُ بِهَا لَحَدِيثَ عَهْدٍ. قَالَ: فَمَا جَاءَ بِكَ يَا عُمَيْرُ؟ قَالَ: جِئْتُ لِهَذَا الْأَسِيرِ الَّذِي فِي أَيْدِيكُمْ، فَأَحْسِنُوا فِيهِ. قَالَ: فَمَا بَالُ السَّيْفِ فِي عُنُقِكَ؟ قَالَ: قَبَّحَهَا اللَّهُ مِنْ سُيُوفٍ، وَهَلْ أَغْنَتْ شَيْئًا؟ " قَالَ: اصْدُقْنِي، مَا الَّذِي جِئْتَ لَهُ؟ " قَالَ: مَا جِئْتُ إِلَّا لِذَلِكَ. قَالَ: بَلْ قَعَدْتَ أَنْتَ وَصَفْوَانُ بْنُ أُمَيَّةَ فِي الْحِجْرِ، فَذَكَرْتُمَا أَصْحَابَ الْقَلِيبِ مِنْ قُرَيْشٍ، ثُمَّ قُلْتَ: لَوْلَا دَيْنٌ عَلَيَّ وَعِيَالٌ عِنْدِي لَخَرَجْتُ حَتَّى أَقْتُلَ مُحَمَّدًا. فَتَحَمَّلَ لَكَ صَفْوَانُ بْنُ أُمَيَّةَ بِدَيْنِكَ وَعِيَالِكَ، عَلَى أَنْ تَقْتُلَنِي لَهُ، وَاللَّهُ حَائِلٌ بَيْنَكَ وَبَيْنَ ذَلِكَ. فَقَالَ عُمَيْرٌ: أَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ، قَدْ كُنَّا يَا رَسُولَ اللَّهِ نُكَذِّبُكَ بِمَا كُنْتَ تَأْتِينَا بِهِ مِنْ خَبَرِ السَّمَاءِ، وَمَا يَنْزِلُ عَلَيْكَ مِنَ الْوَحْيِ، وَهَذَا