আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

غزوة بدر العظمى

فصل في بعث قريش إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم في فداء أسراهم
পৃষ্ঠা - ২৪৯৩


আবুল আসের নিকট থেকে এই ওয়াদ৷ নিয়েছিলেন যে, তিনি মক্কায় ফিরে গিয়ে যয়নবকে
মদীনায় আসার সুযোগ করে দিবেন ৷ আবুল আস তার এ ওয়াদ৷ পুরণ করেছিলেন ৷ সামনে এ
বিষয়ে আলোচনা আসছে ৷ পুর্বেই আলোচনা করা হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্র চাচা আব্বাস এবং
তার দুই ভাতিজা আকীল ও নাওফিলকে একশ’ উকিয়া স্বর্ণের বিনিময়ে মুক্তি দেয়৷ হয় ৷ ইবন
হিশাম বলেন : আবুল আসকে যিনি বন্দী করেছিলেন তার নাম আবু আইয়ুব খালিদ ইবন
যায়দ ৷ ইবন ইসহাক বলেন : সায়ফী ইবন আবু রিফড়াআ ইবন আইয ইবন আবদুল্লাহ ইবন
উমর ইবন মাখয়ুমকে তার গ্রেফতারকারীদের হাতেই ছেড়ে দেয়া হয় ৷ তারা তাকে এই শর্ভে
যুক্তি দেন যে, সে ফিরে গিয়ে নিজেই মুক্তিপণ পাঠিয়ে দিবে ৷ কিংস্তু ফিরে গিয়ে সে আর
ঘুক্তিপণ পাঠায়নি ৷ এ প্রসঙ্গে হাস্সান ইবন ছাবিতের কবিতা :


“ওয়াদা রক্ষা করার লোক সায়ফী নয় ৷ সে হয়তো ক্লান্ত শৃগালের ন্যায় কো ন পানির ঘাটে
পড়ে রয়েছে ৷ ”

ইবন ইসহাক বলেনঃ আবু ইয়য৷ আমর ইবন আবদুল্লাহ ইবন উছমান ইবন উহায়ব ইবন
হুযাফা ইবন জুমাহ ছিল অভাবী লোক, অনেক কন্যা সন্তানের পিতা ৷ সে আবেদন করল, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ ! আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, আমার কোন সহায়-সম্পদ নেই, আমি অভাবী
ও অনেকগুলো সন্তানের পিতা ৷ তাই আমার উপর অনুগ্রহ করুন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তার প্রতি
অনুগ্নহ দেখালেন ও এই মর্মে প্রতিশ্রুতি নিলেন যে, সে তার বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্য করবে
না ৷ আবু ইয্য৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর এ অনুগ্রহের কথা স্মরণ করে তার প্রশংসায় বলেন :
(কবিতা)


“এমন ব্যক্তি কে আছে, যে আমার পক্ষ থেকে আল্লাহর রাসুল মুহাম্মদকে এ বা৩ ৷ঢি পৌছে
দািব যে, আপনি সত্য এবং আল্লাহ প্রশং সা র অধিকারী ৷”

আপনি সত্য ও হিদায়াতের দিকে আহ্বান করে থাকেন ৷ আপনার সভ্যতার উপর মহান
আল্লাহর পক্ষ থেকে সাক্ষী বিদ্যমান ৷

আপনি আমার্দের মধ্যে এমন উচ্চ মর্যাদা লাভ করেছেন, যার স্তরসমুহ অতিক্রম করা
যেমন সহজ, তেমন কঠিন ৷

আপনার সাথে যায়৷ যুদ্ধ করে, তারা দৃর্ভাগা আর যাদের সাথে আপনার সন্ধি হয়, তারা
সৌভাগ্যবান ৷

কিন্তু আমি যখন বদর যুদ্ধ ও তাতে অংশগ্রহণকারীদের কথা স্মরণ করি , তখন হতাশা ও
অন্যুশাচনায় আমি মুহ্যমানঃ হয়ে পড়ি ৷ ”

ইবন কাহীর বলেন০ ং এই আবু ইয্য৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে কৃত ওয়ড়াদা ভত্প করে ৷
মুশরিকরা তার জ্ঞান বুদ্ধি নিয়ে উপহ স করতো ৷ ফলে সে পুনরায় তাদের সাথে যোগ দেয় ৷


بْنُ حَنْطَبِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَرَ بْنِ مَخْزُومٍ، أَسَرَهُ بَعْضُ بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ فَتُرِكَ فِي أَيْدِيهِمْ حَتَّى خَلَّوْا سَبِيلَهُ، فَلَحِقَ بِقَوْمِهِ. وَقَالَ ابْنُ هِشَامٍ: كَانَ الَّذِي أَسَرَهُ أَبُو أَيُّوبَ خَالِدُ بْنُ زَيْدٍ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَصَيْفِيُّ بْنُ أَبِي رِفَاعَةَ بْنِ عَائِذِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ مَخْزُومٍ، تُرِكَ فِي أَيْدِي أَصْحَابِهِ، فَأَخَذُوا عَلَيْهِ لَيَبْعَثَنَّ لَهُمْ بِفِدَائِهِ، فَخَلَّوْا سَبِيلَهُ، وَلَمْ يَفِ لَهُمْ، فَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ فِي ذَلِكَ: وَمَا كَانَ صَيْفِيٌّ لِيُوفِيَ أَمَانَةً ... قَفَا ثَعْلَبٍ أَعْيَا بِبَعْضِ الْمَوَارِدِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَأَبُو عَزَّةَ عَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ أُهَيْبِ بْنِ حُذَافَةَ بْنِ جُمَحَ، كَانَ مُحْتَاجًا ذَا بَنَاتٍ، قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَقَدْ عَرَفْتَ مَا لِيَ مِنْ مَالٍ، وَإِنِّي لَذُو حَاجَةٍ وَذُو عِيَالٍ، فَامْنُنْ عَلَيَّ. فَمَنَّ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَخَذَ عَلَيْهِ أَنْ لَا يُظَاهِرَ عَلَيْهِ أَحَدًا، فَقَالَ أَبُو عَزَّةَ يَمْدَحُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى ذَلِكَ