আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

غزوة بدر العظمى

فصل في بعث قريش إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم في فداء أسراهم
পৃষ্ঠা - ২৪৮৭


আমিও আবু হাকীমা অর্থাৎ যামআর জন্যে ৰিলাপ করবো ৷ কেননা, আমার কলিজা জ্বলে
গেছে ৷ রাবী বলেন, ভৃত্য ফিরে এসে তাকে জামাল : এক মহিলা তার উট হারিয়ে যাওয়ায় এ
ভাবে ৰিলাপ করছে ৷ এ কথা শুনে আসওয়াদ একটি কবিতা আবৃত্তি করলো :

এফ্তে
ঐ মহিলা কি এ জন্যে ৰিলাপ করছে যে, তার একটা উট হারিয়ে গিয়েছে এবং এ ভাবে
বিনিদ্র রজনী কাটিয়ে দিচ্ছে ? একটা জওয়ান উট হারানাের জন্যে এরুপ ৰিলাপ কর না ৷ বরং
বদরের ঘটনার জন্যে ৰিলাপ কর ৷ সেখানে আমাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে ৷

তুমি ৰিলাপ কর বদরে নিহত নেতাদের জন্যে; অর্থাৎ বনু হাসীস, বনু মাখবুম ও আবুল
ওয়ালীদের সন্তানদের জন্যে ৷

যদি তুমি ৰিলাপ করতে চাও, তবে আবু আকীল ও বীরা:শৃষ্ঠ হারিছের জন্যে ৰিলাপ কর ৷

এদের সকলের জন্যে তুমি ৰিলাপ করতে থাক, বিলড়াপে বিরতি দিও না ৷ আর আবু
হাকীমার (যামআ) সাথে তো কারও তুলনাই হয় না ৷

জেনে রাখ, ওদের মৃত্যুর পর এমন সব লোক নেতা হয়েছে, যদি বদরের যুদ্ধ সংঘটিত না
হত, তবে এরা কখনও নেতা হতে পারত না ৷
অনুহেদ
কুরায়শ যুদ্ধবন্দীদের মুতিপণ আদায়

ইবন ইসহাক বলেন £ বদর যুদ্ধের বন্দীদের মধ্যে একজন ছিল আবু ওয়াদ্দাআ ইবন
যাবীরাতুস সাহ্মী ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, মক্কায় তার এক ছেলে আছে ৷ যে খুব চতুর,
ব্যবসায়ী ও সম্পদশালী ৷ মনে হয় সে তার পিতাকে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্যে
তোমাদের কাছে আসবে ৷ কুরায়শরা যখন বলাবলি করছিল যে, তোমরা বন্দীদের ছাড়াবার
জন্যে খুব তাড়াহুড়া করবা না ৷ তা হলে মুহাম্মদ ও তার সংগীরা যুক্তিপণের পরিমাণ বৃদ্ধি করে
দেবে, তখন মুত্তালিব ইবন ওয়াদাআ (রড়াসুলুল্লাহ্ (না)-এর পুর্বকথিত সেই ছেলেটি) বলল,
তোমরা ঠিকই বলেছ, তাড়াহুড়া করা যাবে না ৷ কিত্তু এ কথা বলে সে নিজেই রাতের আধাবে
মক্কা থেকে বেরিয়ে মদীনায় এসে চার হাযার দিরহামের বিনিময়ে তার পিতাকে ছাড়িয়ে নিয়ে
চলে যায় ৷

এই ওদড়াআ হচ্ছে প্রথম বন্দী যাকে মুক্তিপণের বিনিময়ে ছাড়ান হয় ৷ এরপর কুরায়শরা
তাদের বন্দীদের মুক্ত করাবার জন্যে পর্যায়ক্রমে মুক্তিপণ পাঠাতে থাকে ৷ তখন মিকরায ইবন
হাফ্স ইবন আখয়াফ সুহায়ল ইবন আমরের যুক্তির ব্যাপারে আসলো ৷ তাকে বনু সালিম ইবন
আওফ গোত্রের মালিক ইবন দাখশাম বন্দী করেছিল ৷ এ প্রসঙ্গে সে নিম্নের স্বরচিত কবিতা
আবৃত্তি করল চ্


[فَصْلٌ فِي بَعْثِ قُرَيْشٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي فِدَاءِ أَسْرَاهُمْ] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ فِي الْأُسَارَى أَبُو وَدَاعَةَ بْنُ ضُبَيْرَةَ السَّهْمِيُّ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ لَهُ بِمَكَّةَ ابْنًا كَيِّسًا تَاجِرًا ذَا مَالٍ، وَكَأَنَّكُمْ بِهِ قَدْ جَاءَ فِي طَلَبِ فِدَاءِ أَبِيهِ. فَلَمَّا قَالَتْ قُرَيْشٌ: لَا تَعْجَلُوا بِفِدَاءِ أَسْرَاكُمْ، لَا يَأْرَبُ عَلَيْكُمْ مُحَمَّدٌ وَأَصْحَابُهُ. قَالَ الْمُطَّلِبُ بْنُ أَبِي وَدَاعَةَ - وَهُوَ الَّذِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنَى -: صَدَقْتُمْ، لَا تَعْجَلُوا وَانْسَلَّ مِنَ اللَّيْلِ، وَقَدِمَ الْمَدِينَةَ، فَأَخَذَ أَبَاهُ بِأَرْبَعَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ فَانْطَلَقَ بِهِ.» قُلْتُ: وَكَانَ هَذَا أَوَّلَ أَسِيرٍ فُدِيَ، ثُمَّ بَعَثَتْ قُرَيْشٌ فِي فِدَاءِ أَسْرَاهُمْ، فَقَدِمَ مِكْرَزُ بْنُ حَفْصِ بْنِ الْأَخْيَفِ فِي فِدَاءِ سُهَيْلِ بْنِ عَمْرٍو، وَكَانَ الَّذِي أَسَرَهُ مَالِكُ بْنُ الدُّخْشُمِ، أَخُو بَنِي سَالِمِ بْنِ عَوْفٍ، فَقَالَ فِي ذَلِكَ: أَسَرْتُ سُهَيْلًا فَلَا أَبْتَغِي ... أَسِيرًا بِهِ مِنْ جَمِيعِ الْأُمَمْ وَخِنْدِفُ تَعْلَمُ أَنَّ الْفَتَى ... فَتَاهَا سُهَيْلٌ إِذَا يُظَّلَمْ