আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

غزوة بدر العظمى

مقتل النضر بن الحارث وعقبة بن أبي معيط لعنهما الله
পৃষ্ঠা - ২৪৭৭


আমি যদি নযরকে ডাকি, তবে সে কি আমার ডাক শুনবে ? যে মারা গেছে কথা বলতে
পারে না , সে কি করে ডাক শুনবে :

হে মুহাম্মদ! হে আপন জাতির সস্রান্ত মায়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান ! ঐতিহ্যগতভাবে যে সল্লাম্ভ হয়,
দ্ভুসই প্রকৃত সম্রান্ত ৷
আপনি যদি তার উপর করুণা দেখাতেন, তাতে আপনার কি এমন ক্ষতি হত : অনেক
ক্ষেত্রেই তো দেখা যায়, একজন ক্রোধা ত বিদ্বেষপরায়ণ যুবক তার প্ৰতিপক্ষের উপর করুণা
করে থাকে ৷

অথবা আপনি তার মুক্তিপণ গ্রহণ করতেন ৷ কষ্ট করে হলেও তার জন্যে সর্বোচ্চ হারে
মুক্তিপণ আদায় করে দেয়া হত ৷

আপনি যাদেরকে বন্দী করেছিলেন, তাদের মধ্যে নযর তাে ছিল আপনার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ৷
বন্দীদের মধ্যে যদি কাউকে মুক্তি দেয়া হয়, তবে নযর ছিল তাদের মধ্যে মুক্তি পাওয়ার
সৰ্বাধিক দাবীদার ৷

নিজের গোত্রীয় সন্তানদের তরবারি তাকে আঘাত হড়ানছিল এবং রক্তের সম্পর্ক সেখানে
আল্লাহ্র হুকুমে ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ছিল ৷ তাকে হাত-পা রাখা ও বেড়ি পরান অবস্থায়
টোন-হেচড়ে বধ্য-ভুমিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ৷ (হে কুতড়ায়লা তুমি ধৈর্য ধারণ কর ৷)

ইবন হিশাম বলেন : কথিত আছে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট যখন এ কবিতা পৌছে,
তখন তিনি বলেছিলেন, তাকে হত্যা করার আগে যদি আমার কাছে এ কবিতা পৌছতো, তবে
তার উপর করুণা দেখাতাম ৷

ইবন ইসহা ক বলেন : এ স্থানে (আরকুয্-যাবিয়া) ফারওয়া ইবন আমর আল-বায়াযি’র
আযাদকৃত দাস, রাসুলুল্লাহ্র ফৌরকড়ার আবু হিন্দ এসে তীর সাথে সাক্ষাত করে ৷ সে মদের
একটি মশকে হড়ায়স’ (থুরমা, ছাতু ও ঘি মিশ্রিত এক প্রকার খাবার) ভর্তি করে রাসুলুল্লাহ্র
জন্যে হাদিয়া এনেছিল ৷ রাসুলুল্পাহ্ তা গ্রহণ করলেন এবং তার সাথে উত্তম ব্যবহার করার
জন্যে আনসারদেরকে নির্দেশ দিলেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন : এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) যাত্রা শুরু
করেন এবং যুদ্ধবন্দীদের মদীনা পৌছার একদিন আগেই তিনি সেখানে পৌছেন ৷ ইবন ইসহড়াক
বলেন : আরদুদ-দার গোত্রের নড়াবীহ্ ইবন ওয়াহব আমাকে বলেছেন যে, যুদ্ধবন্দীরা মদীনা
পৌছে গেলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে সাহাবীদের মধ্যে বণ্টন করে দেন এবং বলে দেন
“ওদের সাথে তোমরা উত্তম আচরণ করবে ৷” বর্ণনাকারী বলেন, যুসআব ইবন উমায়রের
সহােদর ভইি আবু আযীয ইবন উমায়র ইবন হাশিম বন্দীদের মধ্যে ছিল ৷ আবু আযীয বলে ,
আমার ভইি ঘুসআব ইবন উমায়র আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল ৷ এ সময় একজন আনসারী
আমাকে বন্দী করে রেখেছিল ৷ তখন মুসআব তাকে বলল, একে শক্ত করে বেধে তোমার কাছে
রেখে দাও ৷ তার মা একজন সম্পদশালী মহিলা ৷ হয়ত বা মুক্তিপণ দিয়ে তোমার নিকট থেকে
ওকে ছাড়িয়ে নেবে ৷ আবু আযীয বলে, বদর থেকে প্রত্যাবর্তনকালে আমি একদল আনসারের
সাথে ছিলাম ৷ আমাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করার জন্যে রাসুলুল্লাহ্র নির্দেশ থাকায় তারা


الْأُسَارَى بِيَوْمٍ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي نُبَيْهُ بْنُ وَهْبٍ أَخُو بَنِي عَبْدِ الدَّارِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ أَقْبَلَ بِالْأُسَارَى فَرَّقَهُمْ بَيْنَ أَصْحَابِهِ، وَقَالَ: اسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا. قَالَ: وَكَانَ أَبُو عَزِيزِ بْنُ عُمَيْرِ بْنِ هَاشِمٍ أَخُو مُصْعَبِ بْنِ عُمَيْرٍ لِأَبِيهِ وَأُمِّهِ، فِي الْأُسَارَى، قَالَ أَبُو عَزِيزٍ: مَرَّ بِي أَخِي مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ وَرَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ يَأْسِرُنِي، فَقَالَ: شُدَّ يَدَيْكَ بِهِ، فَإِنَّ أُمَّهُ ذَاتُ مَتَاعٍ لَعَلَّهَا تَفْدِيهِ مِنْكَ. قَالَ أَبُو عَزِيزٍ: فَكُنْتُ فِي رَهْطٍ مِنَ الْأَنْصَارِ حِينَ أَقْبَلُوا بِي مِنْ بَدْرٍ، فَكَانُوا إِذَا قَدَّمُوا غَدَاءَهُمْ وَعَشَاءَهُمْ خَصُّونِي بِالْخُبْزِ وَأَكَلُوا التَّمْرَ، لِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهُمْ بِنَا، مَا تَقَعُ فِي يَدِ رَجُلٍ مِنْهُمْ كِسْرَةُ خُبْزٍ إِلَّا نَفَحَنِي بِهَا، فَأَسْتَحِي فَأَرُدُّهَا فَيَرُدُّهَا عَلَيَّ مَا يَمَسُّهَا. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَكَانَ أَبُو عَزِيزٍ هَذَا صَاحِبَ لِوَاءِ الْمُشْرِكِينَ بِبَدْرٍ بَعْدَ النَّضْرِ بْنِ الْحَارِثِ، وَلَمَّا قَالَ أَخُوهُ مُصْعَبٌ لِأَبِي الْيُسْرِ، وَهُوَ الَّذِي أَسَرَهُ، مَا قَالَ، قَالَ لَهُ أَبُو عَزِيزٍ: يَا أَخِي، هَذِهِ وِصَايَتُكَ بِي؟ فَقَالَ لَهُ مُصْعَبٌ: إِنَّهُ أَخِي دُونَكَ. فَسَأَلَتْ أُمُّهُ عَنْ أَغْلَى مَا فُدِيَ بِهِ قُرَشِيٌّ، فَقِيلَ لَهَا: أَرْبَعَةُ آلَافِ دِرْهَمٍ. فَبَعَثَتْ بِأَرْبَعَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ فَفَدَتْهُ بِهَا.