আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

غزوة بدر العظمى

مقتل النضر بن الحارث وعقبة بن أبي معيط لعنهما الله
পৃষ্ঠা - ২৪৭৫


ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন সাফরা নামক স্থানে পৌছেন, তখন নযর ইবন
হারিছকে হত্যা করা হয় ৷ মক্কার কয়েকজন আলিমের ভাষ্য অনুযায়ী হযরত আলী ইবন আবু
তালিব৩ তাকে হত্যা করেছিলেন ৷ এরপর সেখান থেকে অগ্রসর হয়ে আরকুব যাবিয়াং৩ ’ পৌছে
উক্বা ইবন আবু মুআয়তকে হত্যা করা হয় ৷ ইবন ইসহাক বলেন০ ,উক্বাকে হত্যা করার
নির্দেশ দিলে সে রাসুলুল্পাহ্কে বলেছিল, হে মুহাম্মদ ! আমার ছোট ছেলেমেয়েদের দেখার জন্যে
কে রইল ? তিনি বললেন, আগুন’ ৷ আবু উবায়দা ইবন মুহাম্মদ ইবন আম্মার ইবন ইয়াসিরের
বর্ণনা মতে বনী আমব ইবন আওফ গোত্রের আসিম ইবন ছাবিত ইবন আবুল আফলাহ্
উক্বাকে হত্যা করেন ৷ মুসা ইবন উক্বা তার মাগাযী গ্রন্থে এ কথাই বলেছেন ৷ তিনি আরও
বলেছেন যে, উক্বা ব্যতীত অন্য কোন বন্দীকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) হত্যা করেননি ৷ বর্ণনাকাবী
বলেন, আসিম ইবন ছাবিত উক্বাকে হত্যা করার জন্যে যখন অগ্রসর হলেন, তখন সে
বলেছিল, হে কুরায়শ জনগণ ! এখানে যতগুলাে লোক আছে, তাদের মধ্য হতে আমাকে কেন
হত্যা করা হচ্ছে ? আসিম বললেন, আল্লাহ্ ও তীর রাসুলের ন্০ান্খ শত্রুত৷ করার কারণে ৷
হাম্ম৷ দ ইবন সালামা আ৩ ৷ ইবন সারির, শা বী থেকে বর্ণনা কা;রন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন
উক্বাকে হত্যা করার নির্দেশ দেন, তখন সে বলেছিল , মুহাম্মদ ! আ ৷মি একজন কৃরায়শী হওয়া
সত্বেও আমাকে হত্যা করছ ? তিনি বললেন, হী৷ ৷ এরপর সাহাবীদেরকে লক্ষ্য করে বললেন ?;
তোমরা কি জান, এ লোক আমার সাথে কী আচরণ করেছে ? এক দিনের ঘটনা, আমি মাকামে
ইবরাহীমের পাশে সালাতে সিজদারত ছিলাম ৷ এ অবস্থায় সে আমার ঘাড়ে পা রেখে সজােরে
চাপ দিতে থাকে ৷ অব্যাহত চাপে মনে হচ্ছিল এখনই আমার চোখ দু’টি ফেটে বেরিয়ে যাবে ৷
আর একদিন সিজদারত অবস্থায় সে ছাগলের নাড়িভুড়ি এনে আমার মাথার উপর রেখে দেয় ৷
পরে আমার মেয়ে ফাতিম৷ এসে সেগুলো ফেলে দিয়ে আমার মাথা ধুয়ে দেয়৷ ইবন হিশাম
বলেন, যুহরী প্রমুখ আলিমপণের বর্ণনা মতে, হযরত আলী ইবন আবু৩ তালিব উক্বাকে হত্যা
করেছিলেন ৷

বন্তুত এই দুই ব্যক্তি ছিল অ৩ ত্যম্ভ জঘন্য প্রকৃতির ৷ অন্যদের তুলনায় কুফরী কাজে
হিংসাবি দ্বেষ, শত্রুতা, বাড়াবাড়ি এবং ইসলাম ও মুসলমানদের কুৎস৷ রটনায় সব চ ইতে
অগ্রগামী ৷ ইবন হিশাম বলেনষ্ক নযর ইবন হারিছের মৃত্যুতে তার বোন কুতায়ল৷ বিনত হারিছ
কবিতার মাধ্যমে বিলাপ করে রলেছিল :
-এষ্টুব্লুটুন্
হে আরোহী! আহীল উপত্যকা সম্পর্কে আমি পাচ দিন ধরে দুশ্চিন্তায় ভুগছি ৷ আর তোমার
আগমন আমার যে দৃশ্চিন্তাকে নিশ্চিত করে দিল ৷

তথায় মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তিকে আমার আশীর্বাদ পৌছিয়ে দাও, যাতে তথাকার শরীফ
লোকেরা বঞ্চিত না হয় ৷

(হে ভ্রাতা !) আমার পক্ষ থেকে তোমার প্রতি আশীর্বাদ রইল ৷ তোমার জন্যে অশ্রু
প্রবাহিত হচ্ছে ৷ একবার অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে, আর একবার বন্ধ হচ্ছে ৷


النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَتْلِ عُقْبَةَ، قَالَ: أَتَقْتُلُنِي يَا مُحَمَّدُ مِنْ بَيْنِ قُرَيْشٍ؟ قَالَ: نَعَمْ! أَتَدْرُونَ مَا صَنَعَ هَذَا بِي؟ جَاءَ وَأَنَا سَاجِدٌ خَلْفَ الْمَقَامِ فَوَضَعَ رَجْلَهُ عَلَى عُنُقِي وَغَمَزَهَا، فَمَا رَفَعَهَا حَتَّى ظَنَنْتُ أَنَّ عَيْنَيَّ سَتَنْدُرَانِ، وَجَاءَ مَرَّةً أُخْرَى بِسَلَى شَاةٍ فَأَلْقَاهُ عَلَى رَأْسِي وَأَنَا سَاجِدٌ، فَجَاءَتْ فَاطِمَةُ فَغَسَلَتْهُ عَنْ رَأْسِي.» قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَيُقَالُ: بَلْ قَتَلَ عُقْبَةَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، فِيمَا ذَكَرَهُ الزُّهْرِيُّ وَغَيْرُهُ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ. قُلْتُ: كَانَ هَذَانِ الرَّجُلَانِ مِنْ شَرِّ عِبَادِ اللَّهِ، وَأَكْثَرِهِمْ كُفْرًا، وَعِنَادًا، وَبَغْيًا، وَحَسَدًا، وَهِجَاءً لِلْإِسْلَامِ وَأَهْلِهِ، لَعَنَهُمَا اللَّهُ، وَقَدْ فَعَلَ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: فَقَالَتْ قُتَيْلَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ، أُخْتُ النَّضْرِ بْنِ الْحَارِثِ فِي مَقْتَلِ أَخِيهَا: يَا رَاكِبًا إِنَّ الْأُثَيْلَ مَظِنَّةٌ ... مِنْ صُبْحِ خَامِسَةٍ وَأَنْتَ مُوَفَّقُ أَبْلِغْ بِهَا مَيْتًا بِأَنَّ تَحِيَّةً ... مَا إِنْ تَزَالُ بِهَا النَّجَائِبُ تَخْفِقُ مِنِّي إِلَيْكَ وَعَبْرَةً مَسْفُوحَةً ... جَادَتْ بِوَاكِفِهَا وَأُخْرَى تَخْنُقُ