আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

فصل في ذكر أول من أسلم

পৃষ্ঠা - ১৭৭১


মাটিতে আঘাত করলেন ৷ তার ফলে যমযম কুপের সাথে সংযোগ সম্পন্ন একটি ঝর্ণার সৃষ্টি
হয় ৷ হযরত জিবরাঈল (আ) ও প্রিয়নবী (সা) দু’জনে ওই পানিতে উয়ু করেন ৷ তারপর
জিবরা ঈল (আ) চার সিজদায় দু’রাকআত নামায আদায় করেন ৷ তার নয়ন জুড়ালো ও হৃদয়
প্রশান্ত হলো ৷ এমতাবস্থায় রাসুলুল্পাহ্ (সা) আপন ঘরে ফিরে এলেন ৷ আল্লাহর নিকট থেকে
তাই এলো যা তিনি পসন্দ করতেন ৷ ঘরে ফিরে গিয়ে তিনি হযরত খাদীজার হাত ধরে তাকে
নিয়ে ওই ঝর্ণাধারার নিকট আসলেন ৷ তারপর জিবরাঈল (আ) যেমনটি উয়ু করেছিলেন
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-ও তেমনটি উবু করলেন ৷ তারপর চার সিজদাসহ দু’রাকআত নামায আদায়
করলেন ৷ এরপর থেকে তারা দৃজনে গোপনে নিয়মিত নামায আদায় করতেন ৷

আমি বলি, হযরত জিবরাঈল (আ) এর এই নামায তার বায়তৃল্লাহ্ শরীফের সম্মুখে দৃ বার
আদায় করা নামায থেকে পৃথক একটি নামায ৷ বায়তৃল্লাহ্ শরীফের সম্মুখে দু বার আদায়কৃত
নামাষে তিনি পড়াচ ওয়াক্ত নামাষের প্রথম ও শেষ ওয়াক্ত সম্পর্কে শিক্ষা দিয়েছেন এবং ওই
শিক্ষামুলক নামায ছিল মিরাজ রাতে পড়াচ ওয়াক্ত নামায ফরয হওয়ার পরের ঘটনা ৷ এ
বিষয়ে আলোচনা পরবর্তীতে আসবে ইনশাআল্লাহ্ ৷

পবিস্দ
সর্বপ্রথম ঈমান আনয়নকায়ী সাহাৰায়ে কিরাম

ইবন ইসহাক বলেন, ওই ঘটনার একদিন পর হযরত আলী (বা) তাদের নিকট আসেন ৷
তখন রাসুলুল্লাহ্ ও হযরত খাদীজা নামায আদায় করছিলেন ৷ আলী (বা) বললেন : আপনারা এ
কী করছেন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এটি আল্লাহ্র দীন ৷ তার নিজের জন্য এ দীনকে তিনি
মনোনীত করেছেন এবং এ দীন সহকারে তিনি রাসুলগণকে প্রেরণ করেছেন ৷ আমি তখন
তোমাকে একক ও লা-শরীক আল্লাহর দিকে এবং তার ইবাদতের দিকে আহ্বান করছি ৷ আমি
তোমাকে আহ্বান জানাচ্ছি লাভ ও উঘৃযা প্রতিমা পরিত্যাগ করতে ৷ হযরত আলী (রা) বললেন,
এটি তো এমন একটি বিষয়, যা ইতোপুর্বে আমি কখনো শুনিনি ৷ আমার পিতা আবু তালিবের
সাথে আলোচনা না করে আমি কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না ৷ পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে ঘোষিত
হওয়ার পুর্বে আবু তালিবের নিকট এ গোপনীয় বিষয়টি প্রকাশিত হোক রাসুলুল্লাহ্ (সা) তা
সমীচীন মনে করলেন না ৷ তাই হযরত আলী (রা) কে বললেন, হে আলী ৷ তুমি যদি এখনই
ইসলাম গ্রহণ না কর, তবে আপাতত বিষয়টি গোপন রাখ, কাউকে বলো না ৷ হযরত আলী
(বা) ওই রাত অপেক্ষা করলেন ৷

এরপর আল্লাহ্ তাআলা হযরত আলী (রা)-এর অতরে ইসলাম গ্রহণের আগ্রহ সৃষ্টি করে
দিলেন ৷ ভোর বেলা তিনি রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট গেলেন এবং বললেন, আপনি আমার
নিকট কি প্রস্তাব পেশ করেছিলেন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, প্রস্তাবটি এই, তুমি সাক্ষ্য দিয়ে
যে, আল্লাহ ব্যতীত কে ন ইলাহ্ নেই, তিনি একক, তার কে ন শরীক নেই ৷ আর তুমি লাভ ও
উয্যা প্ৰতিমাকে পরিত্যাগ করবে এবং সকল প্রকার অ ৎশীবাদিতড়া থেকে নিজেকে মুক্ত রাখবে ৷
হযরত আলী তা ইি করলেন এবং ইসলাম গ্রহণ করলেন ৷ তবে পিতা আবু তালিবের ভয়ে তিনি


[فَصْلٌ فِي ذِكْرِ أَوَّلِ مَنْ أَسْلَمَ] َ مِنْ مُتَقَدِّمِي الْإِسْلَامِ مِنَ الصَّحَابَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ «إِنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ جَاءَ بَعْدَ ذَلِكَ بِيَوْمٍ، وَهُمَا يُصَلِّيَانِ، فَقَالَ عَلِيٌّ: يَا مُحَمَّدُ مَا هَذَا؟ قَالَ: " دِينُ اللَّهِ الَّذِي اصْطَفَى لِنَفْسِهِ، وَبَعَثَ بِهِ رُسُلَهُ، فَأَدْعُوكَ إِلَى اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَإِلَى عِبَادَتِهِ، وَأَنْ تَكْفُرَ بِاللَّاتِ وَالْعُزَّى ". فَقَالَ عَلِيٌّ: هَذَا أَمْرٌ لَمْ أَسْمَعْ بِهِ قَبْلَ الْيَوْمِ، فَلَسْتُ بِقَاضٍ أَمْرًا حَتَّى أُحَدِّثَ بِهِ أَبَا طَالِبٍ. فَكَرِهَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَنْ يُفْشِيَ عَلَيْهِ سَرَّهُ قَبْلَ أَنْ يَسْتَعْلِنَ أَمْرُهُ. فَقَالَ لَهُ: " يَا عَلِيُّ إِذَا لَمْ تُسْلِمْ فَاكْتُمْ ". فَمَكَثَ عَلِيٌّ تِلْكَ اللَّيْلَةَ، ثُمَّ إِنَّ اللَّهَ أَوْقَعَ فِي قَلْبِ عَلِيٍّ الْإِسْلَامَ،