আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

غزوة بدر العظمى

فصل: اختلاف الصحابة في شأن الأسارى
পৃষ্ঠা - ২৪৫০




পরামর্শ করেন ৷ হয়র৩ আবু বকর বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! এরা তো আমাদের ভাই-যেরাদর
ও আত্মীয় স্বজন, আমার মতে, এদের থেকে মুক্তিপ ণ গ্রহণ করুন ৷ এতে যে অর্থ আসার৩
দ্বারা শ ৷ত্রুদের বিরুদ্ধে আমাদের শক্তি বৃদ্ধি পাবে ৷ ভবিষ্যতে হয়ত আল্লাহ্ত তাদেরকে হিদায়াত
দান করবেন এবং তখন তারা আমাদের সাহায্যক৷ ৷রী হবে ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে
খাত্তাবের পুত্র (উমর) ! তোমার মত কি? আমি বললাম, আল্লাহর কসম, আবু বকর যে মত
ব্যক্ত করেছেন আমার মত সে রকম নয় ৷ আমার মত হচ্ছে এদের মধ্যে আমার
নিকট-আত্মীয়কে ধরে আমিই হত্যা করব ৷ আকীলকে আলীর হুাস্বাৰু:ছ দেয়া হবে, সে তাকে হত্যা
করবে এবং হামযা তার ভাইকে ধরে হত্যা করবেন ৷ এতে আল্লাহ দেখবেন ”যে, আমাদের
অম্ভরে মুশরিকদের প্রতি কোনই দুর্বল৩ তা নেই ৷ আর এই বন্দীরা হচ্ছে কাফিরদের সর্দার
তাদের নেতা ও পরিচালক ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) আমার মত গ্রহণ কংালেন না,৩ তিনি আবু বকরের
মত গ্রহণ করলেন ও মুক্তিপণ আদায় করলেন ৷

উমর বলেন : পরের দিন রাসুলুল্লাহ্ (মা) ও আবু বকরের নিকট গিয়ে দেখতে পেলাম
তারা উভয়ে র্কাদছেন ৷ আমি বললাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ৰু আপনারা র্কাদছেন কেন ? কারণটা
জানতে পারলে যদি আমারও কান্না আসে, তবে আমিও র্কাদব ৷ আর যদি কান্ন৷ না আসে, তবে
আপনাদের দেখাদেখি ক ন্নাব ডান করব ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ঘুক্তিপ্ ণ গ্রহণের কারণে
তোমাদের সাথীকে১ এক ভয়াবহ দৃশ্য দেখান হয়েছে ৷ দেখান হয়েছে যে ওে ৷মাদের উপর
আবার আসছে এবং তা একেবারে নিকটস্থ এই বৃক্ষের চেয়েও নিকটে এসে গেছে ৷ আর আল্লাহ
এ আয়াত নাযিল করেছেন ও





,

দেশে ব্যাপকভাবে শত্রুকে পরাভুত না করা পর্যন্ত বন্দী রাখা কোন নবীর জন্যে সংগত

নয় ৷ তোমরা কামনা কর পার্থিব সম্পদ এবং আল্লাহ চান পরলোকের কল্যাণ ৷ আল্লাহ

পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় ৷ আল্লাহর পুর্ববিধান না থাকলে তে ৷মরা যা গ্রহণ করেছ (৩ার্থ ৎ ৰু

মুক্তিপ্ ণ) সেজন্যে তোমাদের উপর আপতিত হত মহাশাস্তি (৮ং ৬৭ ৬৮) ৷ এরপর ৰু

মু’মিনদের জন্যে গনীমতে র মাল হালাল করে দেয়৷ হল ৷ হযরত উমর হড়াদীছের শেষ পর্যন্ত
বর্ণনা করেন ৷

ইমাম আহমদ আবু মুআবিয়া আবদুল্লাহ সুত্রে অনুরুপ হাদীছ বর্ণনা করেছেন যাতে
অতিরিক্ত আছে উমর বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! এরা আপনাকে মিথ্যাবাদী বলে আখ্যায়িত করে
দেশ থেকে বের করে দিয়েছে ৷ তাদেরকে আমার হাতে সোপর্দ করুন, আমি ওদের গর্দান
উড়িয়ে দেই ৷ আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহ৷ বললেন, ইয়৷ রাসুলুল্লাহ্ ৷ এদেরকে একটা প্রান্তরে রেখে



১ ইঙ্গিত তার নিজের দিকে ছিল ৷


عَلَيْهِمْ نَارًا. فَقَالَ الْعَبَّاسُ: قَطَعْتَ رَحِمَكَ. قَالَ: فَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِمْ شَيْئًا، فَقَالَ نَاسٌ: يَأْخُذُ بِقَوْلِ أَبِي بَكْرٍ. وَقَالَ نَاسٌ: يَأْخُذُ بِقَوْلِ عُمَرَ. وَقَالَ نَاسٌ: يَأْخُذُ بِقَوْلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَوَاحَةَ. فَخَرَجَ عَلَيْهِمْ فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ لَيُلِينُ قُلُوبَ رِجَالٍ فِيهِ حَتَّى تَكُونَ أَلْيَنَ مِنَ اللَّبَنِ، وَإِنَّ اللَّهَ لَيَشُدُّ قُلُوبَ رِجَالٍ فِيهِ حَتَّى تَكُونَ أَشَدَّ مِنَ الْحِجَارَةِ، وَإِنَّ مَثَلَكَ يَا أَبَا بَكْرٍ، كَمَثَلِ إِبْرَاهِيمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، قَالَ: {فَمَنْ تَبِعَنِي فَإِنَّهُ مِنِّي وَمَنْ عَصَانِي فَإِنَّكَ غَفُورٌ رَحِيمٌ} [إبراهيم: 36] وَمَثَلَكَ يَا أَبَا بَكْرٍ كَمَثَلِ عِيسَى، قَالَ: {إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ.} [المائدة: 118] وَإِنَّ مَثَلَكَ يَا عُمَرُ كَمَثَلِ نُوحٍ، قَالَ: {رَبِّ لَا تَذَرْ عَلَى الْأَرْضِ مِنَ الْكَافِرِينَ دَيَّارًا} [نوح: 26] وَإِنَّ مَثَلَكَ يَا عُمَرُ كَمَثَلِ مُوسَى، قَالَ: {رَبَّنَا اطْمِسْ عَلَى أَمْوَالِهِمْ وَاشْدُدْ عَلَى قُلُوبِهِمْ فَلَا يُؤْمِنُوا حَتَّى يَرَوُا الْعَذَابَ الْأَلِيمَ} [يونس: 88] أَنْتُمْ عَالَةٌ، فَلَا يَنْفَلِتَنَّ مِنْهُمْ أَحَدٌ إِلَّا بِفِدَاءٍ أَوْ ضَرْبَةِ عُنُقٍ. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِلَّا سُهَيْلَ بْنَ بَيْضَاءَ، فَإِنِّي قَدْ سَمِعْتُهُ يَذْكُرُ