আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

غزوة بدر العظمى

ذكر طرح رءوس الكفر في بئر بدر
পৃষ্ঠা - ২৪৪৪

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৫১৫

এখানে আগমন করলেন, তখন এরা নিজেদের ধন সম্পদ তাদেরকে ভাগ করে দিলেন ৷ আর
অংাহ্যকারী ক ফিবদেব তাগে রয়েছে জাহান্নাম ৷ আমরা বদর প্রান্তরের দিকে এগিয়ে গেলাম,
তারাও মৃত্যুর জন্যে সেদিকে এগিয়ে আসল ৷ যদি তারা নিশ্চিততাতবে তাদের পবিণামের কথা
জানত, তবে কিছুওে ই সেদিকে অগ্রসর হত না ৷ ইবলীস তাদেরকে ঘোকাদিয়ে পথ দেখিয়ে
এগিয়ে ৩া নল ৷ তারপর তাদেরকে একাকী ছেড়ে চলে গেল ৷ শয়তান যাকে বন্ধু বানায় তার
সাথে চরম ঘোকাবাজীই করে থাকে ৷ সে বলেছিল, আমি তোমাদের পাশেই থাকর ৷ পরে
তাদেরকে এক নিকৃষ্ট হাটিতে এনে ফেলল, যাতে কেবল লাঞ্চুনা ও অপমানই ছিল ৷ এরপর
যখন আমরা পরস্পরের মুখোমুখি হলাম, তখন শয়তান ণ্াতার সাহায্যকারী দলবল নিয়ে
নেতাদের থেকে কেটে পড়ল ৷ আর একদল দিকবিদিক জ্ঞানশুন্য হয়ে ছুটে পালাল ৷

ইমাম আহমদ বলেন : ইয়াহয়া ইবন আবু বকর ও আবদুর রায্যাক ইবন আব্বাস (রা)
থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, বদর যুদ্ধ <শষ হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) (ক বলা হল, এখন
আবু সুফিয়ানের বাণিজ্য কাফেলাকে আক্রমণ করুন ৷৩ তাদেরকে সাহায্য করার মত আর কেউ
সামনে নেই ৷ তখন আব্বাস বন্দী অবস্থায় শৃগ্রলাবদ্ধ থেকে বলে উঠলেন মুহাম্মদ! এটা তুমি
করতে পড়ার না ৷ রাসুলুল্লাহ্ বললেন, কেন পারব না ? আব্বাস বললেন, আল্লাহ্ তোমাকে দৃ টি
দলের মধ্যে একটি দেয়ার ওয়াদা করেছেন এবং সে ওয়াদা তিনি পুর্ণ করেছেন ৷

বদর যুদ্ধে বড় বড় কাফির নেতাসহ মোট সত্তর জন নিহত হয় ৷ এ যুদ্ধে এক হাযার
ফেরেশতা অংশগ্রহণ করেন ৷ আল্লাহর পুর্ব সিদ্ধান্ত ছিল যে, এ যুদ্ধে যারা বেচে যাবে, তাদের
অনেকেই ইসলাম গ্রহণ করবে ৷ তাদের সকলকে হত্যা করা আল্লাহ্র আভীষ্ট হলে এ কাজের
জন্যে একজন মাত্র ফিরিশ৩া পাঠিয়েই তিনি তা করতে পারতেন ৷ কিন্তু যুদ্ধে কেবল সে
লোকগুলে ই নিহত ৩হয়েছে, যাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র কল্যাণ ছিল না ৷ এই ফেরেশতাদের মধ্যে
ছিলেন হযরত জিবরীল (আ) ৷ যিনি আল্লাহ্র নির্দোশ লুতৃ জাতির আবাসভুমি মাদাইনকে যমীন
থেকে উপরে তুলে নেন ৷ অথচ সেই ভু খণ্ডের মধ্যে ছিল সাতটি সম্প্রদায়ের লোক জীব জভু,
মাটি, বৃক্ষ-লতা, ফসলাদি এবং আরও অনেক কিছু, যায় তথ্য আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কারও জানা
নেই ৷ এসব কিছুসহ ভু-খওটি হযরত জিবরীল (আ) তার একটি পাখার কিনারায় তুলে
আকাশের সীমানা পর্যন্ত উঠিয়ে নেন ৷ এরপর তা উলঢিয়ে নীচে ফেলে দেন এবং৩ তার উপর
চিহ্নিত বিশেষ ধরনের পাথর বর্ষণ করেন ৷ লুৎ জাতির আলোচনায় আমরা এ বিষয়ে উল্লেখ
করে এসেছি ৷

আল্লাহ ঘুমিনদেরকে কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং সাথে সাথে
এর যৌক্তিকতা ও অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য বর্ণনা করে দিয়েছেন ৷ যেমন আল্লাহর বাণী :

সে :





ثُمَّ الْتَقَيْنَا فَوَلَّوْا عَنْ سَرَاتِهِمُ مِنْ مُنْجِدِينَ وَمِنْهُمْ فِرْقَةٌ غَارُوا وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ وَعَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَا: حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «لَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْقَتْلَى، قِيلَ لَهُ: عَلَيْكَ الْعِيرَ، لَيْسَ دُونَهَا شَيْءٌ. فَنَادَاهُ الْعَبَّاسُ وَهُوَ فِي الْوِثَاقِ: إِنَّهُ لَا يَصْلُحُ لَكَ. قَالَ: لِمَ، قَالَ: لِأَنَّ اللَّهَ وَعَدَكَ إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ، وَقَدْ أَنْجَزَ لَكَ مَا وَعَدَكَ.» وَقَدْ كَانَتْ جُمْلَةُ مَنْ قُتِلَ مِنْ سَرَاةِ الْكُفَّارِ يَوْمَ بَدْرٍ سَبْعِينَ، هَذَا مَعَ حُضُورِ أَلْفٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ، وَكَانَ قَدَرُ اللَّهِ السَّابِقُ فِيمَنْ بَقِيَ مِنْهُمْ، أَنْ سَيُسْلِمَ مِنْهُمْ بَشَرٌ كَثِيرٌ، وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ لَسَلَّطَ عَلَيْهِمْ مَلَكًا وَاحِدًا فَأَهْلَكَهُمْ عَنْ آخِرِهِمْ، وَلَكِنْ قَتَلُوا مَنْ لَا خَيْرَ فِيهِ بِالْكُلِّيَّةِ، وَقَدْ كَانَ فِي الْمَلَائِكَةِ جِبْرِيلُ، الَّذِي أَمَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى فَاقْتَلَعَ مَدَائِنَ قَوْمِ لُوطٍ وَكُنَّ سَبْعًا، فِيهِنَّ مِنَ الْأُمَمِ وَالدَّوَابِّ وَالْأَرَاضِي وَالْمَزْرُوعَاتِ، وَمَا لَا يَعْلَمُهُ إِلَّا اللَّهُ، فَرَفَعَهُنَّ حَتَّى بَلَغَ بِهِنَّ عَنَانَ السَّمَاءِ عَلَى طَرَفِ جَنَاحِهِ ثُمَّ قَلَبَهُنَّ مُنَكَّسَاتٍ، وَأَتْبَعَهُنَّ بِالْحِجَارَةِ الَّتِي سُوِّمَتْ لَهُمْ، كَمَا ذَكَرْنَا ذَلِكَ فِي قِصَّةِ قَوْمِ لُوطٍ فِيمَا تَقَدَّمَ.