আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

غزوة بدر العظمى

رده عليه السلام عين قتادة
পৃষ্ঠা - ২৪৩৩


ইবন ইসহাক বলেন, আমি জানতে পেয়েছি, রাসৃলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেনাঃ আরবের শ্রেষ্ঠ

অশ্বারোহী যোদ্ধা আমাদের মধ্যে রয়েছে ৷ সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসুলাল্লাহ্৷ সে
লোকঢি কে ? তিনি বললেন : উক্কাশা ইবন মিহ্সান ৷ তখন যিরর ইবন আয়ওয়ার বললেন,
ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! সে তো আমাদের গোত্রের লোক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : সে তোমাদের
লোক নয় বরং মৈত্রী সুত্রে যে আমাদের লোক ৷ বায়হাকী হাকিম থেকে ওয়াকিদী সুত্রে
উছমান খাশানীর ফুফু থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন উক্কাশা ইবন মিহ্সান বলেছেনং বদর
যুদ্ধে আমার নিজের তরবাবিটি৫ ভেঙ্গে যায় ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) আমাকে একখানা কাঠ
দিলেন ৷ আমার হাতে এলে তা একটি ঝকঝকে লম্বা তরবারিতে রুপান্তরিত হয়ে যায় ৷ আমি এ

তরবারি দ্বারা মুশরিকদের পরাজিত হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ করি ৷ মৃত্যু পর্যন্ত এ তরবাবির্তার কাছেই
ছিল ৷ ওয়াকিদী উসামা ইবন যায়দ সুত্রে দ উদ থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বনু আবদিল
আশহাল গোত্রের কয়েক ব্যক্তি থেকে বারবার শুনেছেন যে বনের যুদ্ধে সালামা ইবন হুরায়শের

তরবারিৰু তঙ্গে যায় ৷ তিনি নিরস্ত্র হয়ে পড়েন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ স ) তবে একটা ভাল দেন
ইবন তাবের থেজুরবীথি থেকে তিনি এটা ৷সং গ্রহ করেছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেনং : তুমি
এটা দিয়ে শ্াত্রুকে আঘাত ৩কর ৷ ডালটি অমনি একটি উত্তম তরবারিতে পরিণত হয়ে যায় ৷ এ

রম্পোবিখানাত তার কাছে আবু উবায়দা ৷র নেতত্বে পরিচালিত জাসার’ যুদ্ধ পর্যন্ত অক্ষুগ্ন ছিল ৷

কাতাদার চক্ষু ফিরিয়ে দেয়ার ঘটনা

ইমাম বায়হাকী দালাইল’ গ্রন্থে আবু সাআদ আল-মালিনী সুত্রে কাতাদা ইবন নু’মান
(রা) থেকে বর্ণনা করেন, বদর যুদ্ধে তার চোখে দারুণভাবে আঘাত লাগে ৷ এতে চোখের
পুতুলি বের হয়ে গণ্ডদেশে ঝুলতে থাকে ৷ সাহাবাগণ ঝুলে থাকা চোখ কেটে ফেলার জন্যে
রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর নিকট অনুমতি চান ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সে অনুমতি না দিয়ে কাতদােকে
ডেকে কাছে এনে পুতুলিটি ধরে যথাস্থানে বসিয়ে দেন ৷ এতে তার চোখ এমন ভাল হয়ে যায়
যে, তিনি বুঝতে তই পারতেন না কোন চোখে আঘাত লেগেছিল ৷ অন্য এক বর্ণনায় আছে, তার
এ চােখটি অপর চোখের চেয়েও উত্তম দেখাভাে ৷

এ প্রসঙ্গে আযীরুল ঘু’মিনীন উমর ইবন আবদুল আযীয় থেকে একটি ঘটনা বর্ণিত
হয়েছে ৷ হযরত কাতাদার পৌত্র আসিম ইবন উমর উমর ইবন আবদুল আযীয়ের নিকট উক্ত
ঘটনা ব্যক্ত করে নিজ পরিচয় দিয়ে বলেন :

আমি সেই মহান ব্যক্তির সন্তান যার চোখ গালের উপর ঝুলে পড়েছিল ৷ তারপর মুহাম্মদ
মুস্তাফার পবিত্র হাতে তা উত্তমভা ৷রে পুনঃস্থাপিত হয়েছিল ৷” এ কথা শুনে জবাবে উমর ইবন

আবদুল আযীয় উমাইয়৷ ইবন আবিসৃ সালকৃ তর সেই কবিতাটি আবৃত্তি করেন যা তিনি সায়ফ
ইবন যী-ইয়াযানের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন ও



[رَدُّهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَيْنَ قَتَادَةَ] قَالَ الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ ": أَخْبَرَنَا أَبُو سَعْدٍ الْمَالِينِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو أَحْمَدَ بْنُ عَدِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو يَعْلَى، حَدَّثَنَا يَحْيَى الْحِمَّانِيُّ، ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سُلَيْمَانَ، ابْنُ الْغَسِيلِ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ قَتَادَةَ بْنِ النُّعْمَانِ، أَنَّهُ «أُصِيبَتْ عَيْنُهُ يَوْمَ بَدْرٍ، فَسَالَتْ حَدَقَتُهُ عَلَى وَجْنَتِهِ، فَأَرَادُوا أَنْ يَقْطَعُوهَا، فَسَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: لَا. فَدَعَا بِهِ فَغَمَزَ حَدَقَتَهُ بِرَاحَتِهِ، فَكَانَ لَا يَدْرِي أَيَّ عَيْنَيْهِ أُصِيبَتْ. وَفِي رِوَايَةٍ: فَكَانَتْ أَحْسَنَ عَيْنَيْهِ.» وَقَدْ رَوَيْنَا عَنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، أَنَّهُ لَمَّا أَخْبَرَهُ بِهَذَا الْحَدِيثِ عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، وَأَنْشَدَ مَعَ ذَلِكَ: أَنَا ابْنُ الَّذِي سَالَتْ عَلَى الْخَدِّ عَيْنُهُ ... فَرُدَّتْ بِكَفِّ الْمُصْطَفَى أَيَّمَا رَدِّ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، رَحِمَهُ اللَّهُ، عِنْدَ ذَلِكَ مُنْشِدًا قَوْلَ أُمَيَّةَ بْنِ أَبِي الصَّلْتِ فِي سَيْفِ بْنِ ذِي يَزَنَ، فَأَنْشَدَهُ عُمَرُ فِي مَوْضِعِهِ: حَقًّا تِلْكَ الْمَكَارِمُ لَا قَعْبَانِ مِنْ لَبَنٍ ... شِيبَا بِمَاءٍ فَعَادَا بَعْدُ أَبْوَالًا