আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

غزوة بدر العظمى

فصل في مقتل أمية بن خلف
পৃষ্ঠা - ২৪১৯

(আলীর) হাত ধরলাম ৷ সে বলল, আজকের ন্যায় আর কোন (খৃশীর) দিন কখনও দেখিনি ৷ সে
বলল, তোমাদের কি দুধের প্রয়োজন আছে ? এরপর আমি তাদের দু’জনকে নিয়ে চললাম ৷

ইবন ইসহাক সাঅড়াদ ইবন ইব্রাহীম সুত্রে আবদুর রহমান ইবন আওফ থেকে ব০নাি
করেন, আমি যখন উমাইয়া ও তার পুত্রের হাত ধরে র্দাড়িয়েছিলাম তখন সে আমাকে জিজ্ঞেস
করল, ওহে আবদে ইলাহ্ষ্ তোমাদের মধ্যে এ লোকটি কে, যে তার বুকে উটপাখীর পড়ালক
লাগিয়ে রেখেছে ? আমি বললড়াম, হামযা ৷ সে বলল, এ লোকটি তো আমাদের বিরুদ্ধে অনেক
কিছুই করেছে ৷ আবদুর রহমান বলেন, আমি যখন তাদের দু’জনকে সাথে নিয়ে চলছিলাম,
তখন বিলাল উমাইয়াকে দেখতে পান ৷ এই উমাইয়া বিলালকে ইসলাম গ্রহণের দায়ে মক্কায়
নির্মমভাবে শাস্তি প্রদান করত ৷ বিলাল তাকে দেখেই বললেন, এই তো কাফির নেতা উমাইয়া
ইবন খালুফ ৷ সে যদি আজ রক্ষা পেয়ে যায়, তবে তো আমার রক্ষা নেই ৷ আমি বললাম,
বিলাল! এতো এখন আমার বন্দী ৷ বিলাল বললেন, যে যদি বেচে যায়, তবে তো আমার রক্ষা
নেই ৷ এরপর বিলাল উইচ্চ৪স্বরে ডেকে বললেন, হে আল্লাহর সাহায্যকারিগণৰু কাফির সর্দার
উমাইয়া ইবন খালফ এখানে আছে ৷ সে যদি বেচে যায়, তবে আমার আর রক্ষা নেই ৷ বিলালের
আহ্বানে আনসারগণ ছুটে এসে আমাদেরকে চারিদিক থেকে র্কাকনের মত বেষ্টন করে ফেলল ৷
আমি তাদের আক্রমণ থােক উমাইয়াকে বীচড়াবার চেষ্টা করতে লাগলাম ৷ এর মধ্যে একজন
পেছন থেকে উমাইয়ার ছেলের পায়ে আঘাত করলে সে মাটিতে পড়ে যায় ৷ এ দেশে উমাইয়া
এমন জোরে চিৎকার করল যে, ঐরুপ চিৎকার আমি কখনও শুনিনি ৷ আমি বললড়াম, উমাইয়া!
তুমি নিজের চিন্তা কর, আজ আর রক্ষা নেই ৷ আল্লাহ্র কসম, আমি তোমাকে কিছুতেই বাচাতে
পারব না ৷ শেষ পর্যন্ত মুসলমানগণ উমাইয়া ও তার পুত্রকে তরবারি দ্বারা ক্ষত-বিক্ষত করে
হত্যা করল ৷ পরবর্তীতে আবদুর রহমান প্রায়ই বলতেন , বিলড়াল আমাকে বর্য ও বব্দীর ব্যাপারে
কষ্ট দিয়েছে, আল্লাহ্ তাকে রহম করুন ৷

ইমাম বুখারী তার সহীহ্ গ্রন্থে প্রায় অনুরুপ হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷ ওয়ড়াকালাত অধ্যায়ে
আবদুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ্ আবদুর রহমান ইবন আওফ থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন,
উমাইয়া ইবন খাল্ফের সাথে আমি এই মর্মে একটা চুক্তিপত্র সম্পাদন করেছিলাম যে, সে
মক্কায় আমার ধন-সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ করবে এবং আমি মদীনায় তার ধন-সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ
করব ৷ চুক্তিপত্রে আমার নামের অংশ রাহমড়ান’ শব্দটি যখন লিখলাম, তখন সে আপত্তি জানিয়ে
বলল, রাহমানকে তো আমি চিনি না; বরং জাহিলী যুগে তোমার যে নাম ছিল সে নামই লিখ ৷
তখন আমি তাতে অফুবদে আমব লিখে দিলাম ৷ বদর যুদ্ধের দিন লোকজন ঘুমিয়ে পড়লে
উমাইয়াকে বীচাবার জন্যে তাকে নিয়ে একটি পাহাড়ের দিকে গেলাম ৷ এ সময় বিলাল তাকে
দেখে ফেলে এবং দ্রুত আনসারদের এক সমাবেশে গিয়ে জানায় এই তো উমাইয়া ইবন
খালুফ ৷ যদি উমাইয়া বেচে যায়, তবে আমার রক্ষা নেই ৷ তখন আনসারদের একটি দল তাকে
সাথে নিয়ে আমাদের দিকে ছুটল ৷ যখন আমার আশঙ্কা হল যে, তারা আমাদের নিকটে এসে
পড়বে, তখন আমি উমাইয়ার পুত্রকে তাদের জন্যে পিছনে ছেড়ে এলাম, যাতে তারা ওকে নিয়ে
ব্যস্ত থাকে ৷ কিন্তু তারা তৎক্ষণাৎ তাকে হত্যা করে ফেলল ৷ এরপর তারা আমাদের দিকে যেয়ে


وَهُوَ يَقُولُ: مَا رَأَيْتُ كَالْيَوْمِ قَطُّ، أَمَا لَكُمْ حَاجَةٌ فِي اللَّبَنِ؟ ثُمَّ خَرَجْتُ أَمْشِي بِهِمَا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ أَبِي عَوْنٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ قَالَ: قَالَ لِي أُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ وَأَنَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ ابْنِهِ آخُذُ بِأَيْدِيهِمَا: يَا عَبْدَ الْإِلَهِ، مَنِ الرَّجُلُ مِنْكُمُ، الْمُعْلَمُ بِرِيشَةِ نَعَامَةٍ فِي صَدْرِهِ؟ قَالَ: قُلْتُ: ذَاكَ حَمْزَةُ. قَالَ: ذَاكَ الَّذِي فَعَلَ بِنَا الْأَفَاعِيلَ. قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ: فَوَاللَّهِ إِنِّي لَأَقُودُهُمَا إِذْ رَآهُ بِلَالٌ مَعِي، وَكَانَ هُوَ الَّذِي يُعَذِّبُ بِلَالًا بِمَكَّةَ عَلَى الْإِسْلَامِ، فَلَمَّا رَآهُ قَالَ: رَأَسُ الْكُفْرِ أُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ، لَا نَجَوْتُ إِنْ نَجَا. قَالَ: قُلْتُ: أَيْ بِلَالُ، أَبِأَسِيرِي؟ قَالَ: لَا نَجَوْتُ إِنْ نَجَا. قَالَ: ثُمَّ صَرَخَ بِأَعْلَى صَوْتِهِ: يَا أَنْصَارَ اللَّهِ، رَأْسُ الْكُفْرِ أُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ، لَا نَجَوْتُ إِنْ نَجَا. فَأَحَاطُوا بِنَا حَتَّى جَعَلُونَا فِي مِثْلِ الْمَسَكَةِ، فَأَنَا أَذُبُّ عَنْهُ. قَالَ: فَأَخْلَفَ رَجُلٌ السَّيْفَ، فَضَرَبَ رِجْلَ ابْنِهِ فَوَقَعَ، وَصَاحَ أُمَيَّةُ صَيْحَةً مَا سَمِعْتُ بِمِثْلِهَا قَطُّ. قَالَ: قُلْتُ: انْجُ بِنَفْسِكَ وَلَا نَجَاءَ، فَوَاللَّهِ مَا أُغْنِي عَنْكَ شَيْئًا. قَالَ: فَهَبَرُوهُمَا بِأَسْيَافِهِمْ حَتَّى فَرَغُوا مِنْهُمَا. قَالَ: فَكَانَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ يَقُولُ: يَرْحَمُ اللَّهُ بِلَالًا، فَجَعَنِي بِأَدْرَاعِي وَبِأَسِيرَيَّ.