আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

فصل شدة حرصه عليه السلام على أخذ ما يوحى إليه عن الله عز وجل

পৃষ্ঠা - ১৭৬৭


যিম্মাদারী মহান আল্লাহ নিজেই নিয়ে নিয়েছেন ৷ এ প্রেক্ষিতেই আল্লাহ্ তাআলা উপরোক্ত
আয়াত নাযিল করেন ৷ এ প্রেক্ষিতে আল্লাহ্ তাআলা আরো বলেন :


তাড়াতাড়ি ওহী আয়ত্ত করার জন্যে সেটির সাথে আপনি জিহ্বা সঞ্চালন করবেন না ৷
সেটির সংরক্ষণ করা অর্থাৎ আপনার বক্ষে স্থায়ী রাখা ¢:ং,’;’, এবং সেটি পাঠ করানো অর্থাৎ
আপনাকে তা পাঠ করানোর দায়িত্ব আমারই ৷ হুাঠুন্ৰুদ্বু ৷ ট্রা১ অতএব আমি যখন তা পাঠ করি
অর্থাৎ ফেরেশতা যখন তা আপনার নিকট পাঠ করেন, রু১াপ্রু’ও ং৫ ড্রু;া১ তখন আপনি তার পাঠের
অনুসরণ করুন ৷ অর্থাৎ আপনি তা মনোযোগ সহকারে শুনুন ও তার প্রতি মনোনিবেশ করুন ৷
রু১া ৷া; :-, ৷ ন্; এরপর সেটির বিশদ ব্যাখ্যার দায়িত্ব আমারই এটি ৷সু; ;,’;$’; ;;
এর অনুরুপ মর্ম-জ্ঞাপক ৷
সহীহ্ বুখায়ী ও সহীহ্ মুসলিমে রয়েছে যে, মুসা ইবন আবী আইশা হযরত ইবন আব্বাস
(রা) সুত্রে বর্ণনা করো ৷ তিনি বলেন, কুরআন নাযিল হওয়ার সময় রাসুলুল্পাহ্ (না) তা আয়ত্ত
করতে অত্যন্ত যত্মবান হতেন ৷ তখন তিনি তার ওষ্ঠদ্বয় সঞ্চালন করতেন ৷ তখন আল্পাহ্
তাআলা নাযিল করলেন :
ঠু১নুএটুএ
এর ব্যাখ্যার ইবন আব্বাস বলেছেন যে, ওই কুরআন আপনার বক্ষে সংরক্ষিত রাখা এবং
তারপর আপনাকে দিয়ে তা পাঠ করানোর দায়িত্ব আমারই ৷
গ্রুাট্রু’ও ছুট্রু;এে
অর্থাৎ আমি যখন পাঠ করি, তখন আপনি মনোযোগ সহকারে তা শুনবেন এবং চুপ
থাকবেন ৷
এরপর সেটির ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের দায়িত্ব আমারই ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর থেকে রাসুলুল্লাহ্ (না) জিবরাঈল (আ) ওহী নিয়ে আসলে নত

মস্তকে চুপ করে থাকতেন ৷ জিবরাঈল (আ) চলে গেলে তিনি নাযিলকৃত ওহী পাঠ করতেন ৷
যেমনটি মহান আল্লাহ র্তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৷

পবিছেদ
ইবন ইসহাক বলেন, এরপর থেকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্ৰতি নিয়মিত ওহী নাযিল হতে
থাকে ৷ আল্লাহ্র পক্ষ থেকে যা আসত তা পুরোপুরি এবং যথাযথ ভাবেই তিনি প্ৰত্যায়ন ও
সর্বন্তঃকরণে বরণ করতেন ৷ সাধারণ মানুষ তাতে সন্তুষ্ট কি অসন্তুষ্ট তিনি তার তােয়াক্কা মাত্র না
করে তা সহ্য করে পুেছেন ৷ নবুওয়াতী দায়িত্ব পালন উপলক্ষে তিনি অনেক দুঃখ-কষ্ট ভোগ
করেছেন ৷ প্রচণ্ড শক্তিমান ও সুদৃঢ় রাসুলগণ ব্যতীত অন্য কেউ তা সহ্য করতে পারে না


[فَصْلُ شِدَّةِ حِرْصِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَلَى أَخْذِ مَا يُوحَى إِلَيْهِ عَنِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ] فَصْلٌ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {لَا تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ إِنَّ عَلَيْنَا جَمْعَهُ وَقُرْآنَهُ فَإِذَا قَرَأْنَاهُ فَاتَّبِعْ قُرْآنَهُ ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا بَيَانَهُ} [القيامة: 16] [طه: 114] . وَكَانَ هَذَا فِي الِابْتِدَاءِ ; كَانَ عَلَيْهِ السَّلَامُ مِنْ شِدَّةِ حِرْصِهِ عَلَى أَخْذِهِ مِنَ الْمَلَكِ مَا يُوحَى إِلَيْهِ عَنِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ لَيُسَاوِقُهُ فِي التِّلَاوَةِ، فَأَمَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى أَنْ يُنْصِتَ لِذَلِكَ حَتَّى يَفْرُغَ مِنَ الْوَحْيِ، وَتَكَفَّلَ لَهُ أَنْ يَجْمَعَهُ فِي صَدْرِهِ، وَأَنْ يُيَسِّرَ عَلَيْهِ تِلَاوَتَهُ، وَتَبْلِيغَهُ، وَأَنْ يُبَيِّنَهُ لَهُ، وَيُفَسِّرَهُ، وَيُوَضِّحَهُ، وَيُوقِفَهُ عَلَى الْمُرَادِ مِنْهُ ; وَلِهَذَا قَالَ: {وَلَا تَعْجَلْ بِالْقُرْآنِ مِنْ قَبْلِ أَنْ يُقْضَى إِلَيْكَ وَحْيُهُ وَقُلْ رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا} [طه: 114] ، وَقَالَ: {لَا تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ إِنَّ عَلَيْنَا جَمْعَهُ} [القيامة: 16] أَيْ فِي صَدْرِكَ {وَقُرْآنَهُ} [القيامة: 17] أَيْ وَأَنْ تَقْرَأَهُ {فَإِذَا قَرَأْنَاهُ} [القيامة: 18] أَيْ تَلَاهُ عَلَيْكَ الْمَلَكُ {فَاتَّبِعْ قُرْآنَهُ} [القيامة: 18] أَيْ فَاسْتَمِعْ لَهُ وَتَدَبَّرْهُ {ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا بَيَانَهُ} [القيامة: 19] وَهُوَ نَظِيرُ قَوْلِهِ {وَقُلْ رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا} [طه: 114] وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ مُوسَى بْنِ أَبِي عَائِشَةَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ