আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

غزوة بدر العظمى

مقدماتها وأحداثها
পৃষ্ঠা - ২৩৪৮


ইবন ইসহাক বলেন, আমার নিকট ইবন আবু নাজীহ্ বর্ণনা করেছেন যে, উমাইয়া ইবন
খালট্রুফও যুদ্ধে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ৷ সে ছিল অতিশয় বৃদ্ধ, মােটাসোট৷ ভারী দেহের
অধিকারী ৷ এ সষ্ বাদ শুনে উক্বা ইবন আবু মুআয়ত৩ তার কাছে আসে ৷ তখন উমাইয়া
মসজিদে হারামে নিজের লোকজনসহ বসা ছিল ৷ উকবার হাতে ছিল আগুন ও অঙ্গারভর্তি
একটা পাত্র ৷ সে পা ৷ত্রটি উমাইয়ার সম্মুখে রেখে দিয়ে বললাে, হে আবু আলী লও তুমি আগুন
পোহাও ৷ কেননা তুমি৫ তা একজন নারী ৷ উমাইয়া বললাে, আল্লাহ তোমাকে ও যা তুমি নিয়ে
এসেছ তাকে অমৎগল করুন ৷ রাবী বলেন, উম৷ ইয়া তখন প্রস্তুতি নিল ও অন্যদের সাথে যুদ্ধে
গমন করল ৷ ১

ইবন ইসহাক এ ঘটনা এ ভাবেই বর্ণনা করেছেন ৷ কিন্তু ইমাম বুথারী ঘটনাটির বর্ণনা অন্য
ভাবে দিয়েছেন ৷ তিনি বলেছেন, আমার কাছে আহমদ ইবন উছমান সাআদ ইবন মুআয
থেকে বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন, তীর ও উমাইয়া ইবন খালা,ফর মধে গভীর বন্ধুতু ছিল
উমা ইয়৷ মদীনায় এলে স ৷আদ ইবন মুআযের অতিথি হত এবং সাআদ মক্কায় গেলে উমাইয়ার
বাড়িতে মেহমান হতে তন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় হিজরত করলে একদা সাআদ ইবন মুআয
উমরা করার উদ্দেশ্যে মক্কায় যান ও উম ইয়ার বাড়িতে অবস্থান করেন ৷ সাআদ উমাইয়াকে
বললেন, আমার জন্যে একটা নিরিবিলি সময় বের কর , যে সময়ে আমি নির্বিঘ্নে বায়তুল্লাহ
তাওয়াফ করতে পারি ৷ সে মতে একদা দুপুর বেলা উমাইয়া সাআদকে সাথে নিয়ে বের হল ৷
তাদের সাথে আবু জাহ্লের সাক্ষাত হয় ৷ আবু জাহ্ল উমাইয়াকে জিজ্ঞেস করলো, হে আবু
সাফওয়া ন! তোমার সাথে এ ব্যক্তিটি কে ? সে উত্তরে বললো, এ হচ্ছে সাআদ ৷ তখন আবু
জাহ্ল সাআদকে লক্ষ্য করে বললো : মক্কায় তোমাকে যে নিরাপদে-নির্বিঘ্নে তাওয়াফ করতে
দেথ্ছি ৷ অথচ তোমরা ধর্মত্যাগীদের আশ্রয় দান করেছ এবং তাদেরকে সাহায্য ও সহযোগিতা
করার ঘোষণা দিয়েছ ? শুনে রেখো, আল্লাহর কসম, তুমি যদি এ সময় আবু সাফওয়ানের সাথে
না হতে, তবে কিছুতেই তুমিশু তামার পরিবারের কাছে অক্ষত ভাবে ফিরে যেতে পারতে না ৷
স আদ ততোধিক উচ্চকণ্ঠে বললেন, সাবধান তুাম যদি আমাকে এ কাজ থেকে বাধ৷ দাও
তবে আ ৷মি তোমাকে এমন এক বিষয়ে বাধা দোবা, যা তোমার জন্যে এর চা ৷ইতে গুরুতর হবে
আর তা হচ্ছে, মদীনায় উপর দিয়ে সিরিয়ার বাণিজ্য-পথ ৷ তখন উমাইয়া তাকে বললাে, হে
সাআদ! আবুল হাকামের সাথে এতে৷ উচ্চকষ্ঠে কথা বলো না ৷ কেননা, তিনি হলেন এই
তল্লাটের অধিবাসীদের নে৩ তা ৷ তখন সাআদ বললেন, উমইিয়া! তুমি চুপ থাক ৷ কেননা, আমি
রাসৃলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে শুনেছি, তারাই তোমার হত্যাকারী ৷ উমাইয়া জিজ্ঞেস করলো,
কোথায় মক্কায় ? সাআদ বললেন, তা আমি জানি না ৷ এ কথা শুনে উমাইয়া অত্যন্ত
ভীত ৩-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়লে৷ ৷ এরপর বাড়ি ফিরে যেয়ে উমাইয়া তার ত্রীকে ডেকে বললো হে উম্মে
সাফ্ওয়ান৷ শুনেছ, সাআদ আমাকে কী বলেছে ?ত্০ তার শ্রী বললো সে৫ তামাকে কী বলেছে ?
উমাইয়া বললো, মুহাম্মদ নাকি তাদেরকে বলেছে যে, তারা আমাকে হত্যা করবে ৷ আমি



১ ওয়াকিদীর বর্ণনা মতে, উকব৷ ও আবু জাহ্ল দুজনেই উমাইয়ার কাছে যায় ৷ উকবার কাছে ছিল আগুন ও
আগরবাতি, আর আবু জাহ্লের হাতে ছিল সুরমাদানী ৷ উকবা বললো, আগর বাতির ঘ্রাণ লও ৷ কেননা
তুমি হলে নারী ৷ আবু জাহ্ল বললো, সুরম৷ লাগাও ৷ কেননা তুমি তো নারী ৷


الصُّبَاةَ، وَزَعَمْتُمْ أَنَّكُمْ تَنْصُرُونَهُمْ وَتُعِينُونَهُمْ، أَمَا وَاللَّهِ، لَوْلَا أَنَّكَ مَعَ أَبِي صَفْوَانَ، مَا رَجَعْتَ إِلَى أَهْلِكَ سَالِمًا. فَقَالَ لَهُ سَعْدٌ، وَرَفَعَ صَوْتَهُ عَلَيْهِ: أَمَا وَاللَّهِ، لَئِنْ مَنَعْتَنِي هَذَا، لَأَمْنَعَنَّكَ مَا هُوَ أَشَدُّ عَلَيْكَ مِنْهُ، طَرِيقَكَ عَلَى الْمَدِينَةِ. فَقَالَ لَهُ أُمَيَّةُ: لَا تَرْفَعْ صَوْتَكَ يَا سَعْدُ عَلَى أَبِي الْحَكَمِ، فَإِنَّهُ سَيِّدُ أَهْلِ الْوَادِي، قَالَ سَعْدٌ دَعْنَا عَنْكَ يَا أُمَيَّةَ، فَوَاللَّهِ لَقَدْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " إِنَّهُمْ قَاتِلُوكَ ". قَالَ: بِمَكَّةَ؟ قَالَ: لَا أَدْرِي. فَفَزِعَ لِذَلِكَ أُمَيَّةُ فَزَعًا شَدِيدًا، فَلَمَّا رَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ قَالَ: يَا أُمَّ صَفْوَانَ، أَلَمْ تَرَيْ مَا قَالَ لِي سَعْدٌ؟ قَالَتْ: وَمَا قَالُ لَكَ؟ قَالَ: زَعَمَ أَنَّ مُحَمَّدًا أَخْبَرَهُمْ أَنَّهُمْ قَاتِلِيَّ، فَقُلْتُ لَهُ: بِمَكَّةَ؟ قَالَ لَا أَدْرِي. فَقَالَ أُمَيَّةُ: وَاللَّهِ لَا أَخْرُجُ مِنْ مَكَّةَ. فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ بَدْرٍ، اسْتَنْفَرَ أَبُو جَهْلٍ النَّاسَ فَقَالَ: أَدْرِكُوا عِيرَكُمْ. فَكَرِهَ أُمَيَّةُ أَنْ يَخْرُجَ، فَأَتَاهُ أَبُو جَهْلٍ فَقَالَ: يَا أَبَا صَفْوَانَ، إِنَّكَ مَتَى يَرَاكَ النَّاسُ قَدْ تَخَلَّفْتَ وَأَنْتَ سَيِّدُ أَهْلِ الْوَادِي، تَخَلَّفُوا مَعَكَ. فَلَمْ يَزَلْ بِهِ أَبُو جَهْلٍ حَتَّى قَالَ: أَمَّا إِذْ غَلَبْتَنِي، فَوَاللَّهِ لَأَشْتَرِيَنَّ أَجْوَدَ بِعِيرٍ بِمَكَّةَ. ثُمَّ قَالَ أُمَيَّةُ: يَا أُمَّ صَفْوَانَ، جَهِّزِينِي. فَقَالَتْ لَهُ: يَا أَبَا صَفْوَانَ، وَقَدْ نَسِيتَ مَا قَالَ لَكَ أَخُوكَ الْيَثْرِبِيُّ؟ قَالَ: لَا، وَمَا أُرِيدُ أَنْ أَجُوزَ مَعَهُمْ إِلَّا قَرِيبًا. فَلَمَّا خَرَجَ أُمَيَّةُ، أَخَذَ لَا يَنْزِلُ مَنْزِلًا إِلَّا عَقَلَ بَعِيرَهُ فَلَمْ يَزَلْ كَذَلِكَ حَتَّى قَتَلَهُ اللَّهُ بِبَدْرٍ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ