আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

فصل في تحويل القبلة في سنة ثنتين من الهجرة قبل وقعة بدر

পৃষ্ঠা - ২৩৩৬


এই যে, পরদিন ফজর পর্যন্ত কুবাবাসীদের নিকট এখবর পৌছেনি ৷ বুখারী-ঘুসলিমে ইবন উমর
(রা) সুত্রে একথাও প্রমাণিত ৷ তিনি বলেন, ফজরে কুবার লোকেরা নামাযে ছিলেন ৷ এসময়
জনৈক আগন্তুক এসে বললেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রতি আজ রাত্রে কুরআনের আয়াত নাযিল
হয়েছে, যাতে কাবার দিকে মুখ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে ৷ তখন তারা কিবলামুখী হলেন
এবং তাদের চেহারা ছিল সিরিয়া তথা বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে, তখন তারা কাবার দিকে
ঘুরে গেলেন ৷ সহীহ্ মুসলিমে আনাস ইবন মালিক (যা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা রয়েছে ৷

আসল কথা এই যে, কাবার দিকে কিবলা পরিবর্ত্যনর আয়াত দ্বারা আল্লাহ তাআলা
বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে নামায পড়ার বিধান রহিত করে দেন ৷ তখন নির্বোধ্,
অজ্ঞ-মুর্থ আর গব্যেটর দল টিপ্পনি কেটে বলতে শুরু করলো--- তারা যে কিবলার অনুসারী
ছিল, তাদেরকে তা থেকে ফিরালাে কিসে : অথচ আহলে কিতড়াবের কাফিররা জানভাে যে, এই
কিবলা পরিবর্তনটা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়েছে ৷ কারণ, তাদের কিতাবেই তারা মুহাম্মদ
(না)-এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানভাে যে, মদীনা হয়ে তার হিজরত স্থল ৷ তারা একথাও জানভাে
যে, কাবার দিকে মুখ করার জন্য অনতিবিলন্বে তাকে নির্দেশ দেয়া হবে ৷ যেমন আল্লাহ বলেন :

-ন্ৰু,হ্রট্রু ট্রু,ন্ষ্ ৰু;ন্টু৷ ৷ ব্লুৰু৷ ;,ং,’’’ াহ্র৷ ৷ ৷দ্বু;ঠু’৷ হু;,ছু;াক্ট্র ৷ ছু,শ্া,
আর যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে, তারা নিশ্চিত আসে যে, তা তাদের পালনকর্তার পক্ষ
থেকে আগত সত্য ৷
এসব সত্বেও আল্লাহ তাআলা তাদের প্রশ্নের জবাব দিয়ে বলেন :
ৰুদু৷ ৷ ট্রুা,ছু ,স্পে,
’ ৷ ৷ , ধ্ব্লুট্রু,ং’ধ্ং৷ ৷
অর্থাৎ, আল্লাহ্ এমন মালিক, কর্তৃত্ব প্রয়ােগকারী এবং হুকুমদাতা, যার হুকুম কেউ রদ
করতে পারে না ৷ আপন সৃষ্টির ব্যাপারে তিনি যা ইচ্ছা তাই করেন এবং শরীআতের ব্যাপারেও
তিনি যেমনটা ইচ্ছে হুকুম করেন ৷ আর তিনিই যাকে ইচ্ছা সরল পথে চালিত করেন ৷ আর

যাকে ইচ্ছা সুষ্ঠু পথ থেকে বিচ্যুত করেন ৷ এতে রয়েছে তার হিকমত ও রহস্য, সে জন্য সন্তুষ্ট
থাকা এবং তা মেনে নেয়া কর্তব্য ৷

তারপর আল্লাহ তাআলা বলেন :
শ্ং’ন্ শ্০এশ্ ন্ ’শ্শ্ :এ০এশ্ণ্ দ্বশ্;দু;স্ধ্!শ্ষ্শ্শ্ হুশ্ণ্
এভাবে আমি তােমাদেরকে এক মধ্যপন্থী (শ্রেষ্ঠ) উম্মতরুপে প্রতিষ্ঠিত করেছি, যাতে

তোমরা মানব জাতির জন্য সাক্ষী স্বরুপ হও এবং রাসুল তোমাদের জন্য সাক্ষী স্বরুপ হন ৷
(২ : ১৪৩)


وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ لَمَّا نَزَلَ تَحْوِيلُ الْقِبْلَةِ إِلَى الْكَعْبَةِ وَنَسَخَ بِهِ اللَّهُ تَعَالَى حُكْمَ الصَّلَاةِ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ، طَعَنَ طَاعِنُونَ مِنَ السُّفَهَاءِ وَالْجَهَلَةِ وَالْأَغْبِيَاءِ، وَقَالُوا: {مَا وَلَّاهُمْ عَنْ قِبْلَتِهِمُ الَّتِي كَانُوا عَلَيْهَا} [البقرة: 142] . هَذَا وَالْكَفَرَةُ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ يَعْلَمُونَ أَنَّ ذَلِكَ مِنَ اللَّهِ، لِمَا يَجِدُونَهُ مِنْ صِفَةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي كُتُبِهِمْ، مِنْ أَنَّ الْمَدِينَةَ مُهَاجَرُهُ، وَأَنَّهُ سَيُؤْمَرُ بِالِاسْتِقْبَالِ إِلَى الْكَعْبَةِ كَمَا قَالَ: {وَإِنَّ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ لَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِنْ رَبِّهِمْ} [البقرة: 144] الْآيَةَ [الْبَقَرَةِ: 144] وَقَدْ أَجَابَهُمُ اللَّهُ تَعَالَى مَعَ هَذَا كُلِّهِ عَنْ سُؤَالِهِمْ وَتَعَنُّتِهِمْ، فَقَالَ: {سَيَقُولُ السُّفَهَاءُ مِنَ النَّاسِ مَا وَلَّاهُمْ عَنْ قِبْلَتِهِمُ الَّتِي كَانُوا عَلَيْهَا قُلْ لِلَّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ} [البقرة: 142] . أَيْ هُوَ الْمَالِكُ الْمُتَصَرِّفُ الْحَاكِمُ الَّذِي لَا مُعَقِّبَ لِحُكْمِهِ، الَّذِي يَفْعَلُ مَا يَشَاءُ فِي خَلْقِهِ، وَيَحْكُمُ مَا يُرِيدُ فِي شَرْعِهِ، وَهُوَ الَّذِي يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ وَيُضِلُّ مَنْ يَشَاءُ عَنِ الطَّرِيقِ الْقَوِيمِ، وَلَهُ فِي ذَلِكَ الْحِكْمَةُ الَّتِي يَجِبُ لَهَا الرِّضَا وَالتَّسْلِيمُ. ثُمَّ قَالَ تَعَالَى: {وَكَذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا} [البقرة: 143] أَيْ خِيَارًا {لِتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ وَيَكُونَ الرَّسُولُ عَلَيْكُمْ شَهِيدًا} [البقرة: 143] أَيْ وَكَمَا اخْتَرْنَا لَكُمْ أَفْضَلَ الْجِهَاتِ فِي صَلَاتِكُمْ، وَهَدَيْنَاكُمْ إِلَى قِبْلَةِ أَبِيكُمْ إِبْرَاهِيمَ وَالِدِ الْأَنْبِيَاءِ بَعْدَ الَّتِي كَانَ يُصَلِّي بِهَا مُوسَى فَمَنْ قَبْلَهُ مِنَ الْمُرْسَلِينَ، كَذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ خِيَارَ الْأُمَمِ، وَخُلَاصَةَ الْعَالَمِ، وَأَشْرَفَ الطَّوَائِفِ،