আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

فصل في تحويل القبلة في سنة ثنتين من الهجرة قبل وقعة بدر

পৃষ্ঠা - ২৩৩৪


আল্লাহ এমন নন যে, তোমাদের ঈমান পণ্ড করবেন ৷ নিঃসন্দেহে আল্লাহ মানুষের প্ৰতি

অবশ্যই অতি দয়ার্দ্র, মহা দয়ালু ৷ (বলা বাহল্য, উক্ত আয়াতে ঈমান বলতে নামায বুঝানো

হয়েছে) ৷ ইমাম মুসলিম ভিন্ন সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ ইবন আবু হাতিম বারা’ (রা)

থেকে বর্ণনা করে বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে (মুখ করে) সােল বা সতের

মাস নামায আদায় করেন ৷ কাবার দিকে মুখ করা তীর পসন্দনীয় ছিল ৷ তাই আল্লাহ আয়াত
নাযিল করলেন :

ৰু <,র্তৃ১ টুপুর
রাবী বলেন, তাই তিনি কাবার দিকে মুখ ফিরান, তখন নিবেধি ইয়দ্বহ্রদীরা বললো :
াঠু ষ্প্এট্রুর্চুণ্
যে কিবলায় তারা প্রতিষ্ঠিত ছিল, তা থেকে কিসে তাদেরকে ফিরাল ? (২ : ১৪২) ৷ তখন
আল্লাহ নাযিল করলেন :
বল, পুর্ব-পশ্চিম আল্লাহর, তিনি যাকে ইচ্ছা সিরাতে মুন্তাকীমে চালিত করেন (২ : ১৪ ২)
সারকথা এই যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) মক্কায় বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে নামায আদায়
করতেন আর কাবা থাকতো তার সম্মুখে, যেমন ইমাম আহমদ (র) ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে
বর্ণনা করেছেন ৷ কিত্তু মদীনায় হিজরত করার পর এটা সম্ভব ছিল না যে, তিনি দু’ কিবলা পানে
এক সঙ্গে মুখ করবেন ৷ তাই মদীনায় আগমনের শুরু থেকে ষোল অথবা সতের মাস কাবাকে
পেছনে রেখে নামায আদায় করেন ৷ সে হিসাবে এ ঘটনা হবে হিজরী দ্বিতীয় সনের রজব
মাসে ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ আর নবী করীম (সা) ভালবাসতেন যে, হযরত ইব্রাহীম
(আ)-এর কিবলা কাবার দিকে তার কিবলা হোক ৷ এজন্য তিনি আল্লাহর নিকট অতি বিনয়
আর মিনতি সহকারে দুআ করতেন ৷ তাই তো তিনি হাত তুলে দুআ করতেন আর তার দৃষ্টি
থাকতো আসমানের দিকে ৷ তখন আল্লাহ্ নাযিল করলেন :

প্রু১১ ১১
কিবলা পরিবর্ত্যনর নির্দেশ এলো রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুসলমানদের উদ্দেশ্যে খুতবা দেন এবং
তাদেরকে এটা অবহিত করেন ৷ এ মর্মে নাসাঈতে আবু সাঈদ ইবন মুআল্লা থেকে হড়াদীছ বর্ণিত
আছে ৷ আর এটা ছিল যুহরের সময় ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, কিবলা পরিবর্তনের বিধান
আসে দু নামাযের মধ্যবর্তী সময়ে ৷ মুজাহিদ প্রমুখ একথা বলেন ৷ আর বুখারী-মুসলিমে বারা
(রা) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াত দ্বারা এ মতের সমর্থন পাওয়া যায় ৷ এতে বলা হয় যে, রাসুলুল্পাহ্
(সা) কাবায় মদীনায় দিকে প্রথম যে নামায পড়েন, তা ছিল আসরের নামায ৷ বিস্ময়ের ব্যাপার


أَهْلِ مَسْجِدٍ وَهُمْ رَاكِعُونَ فَقَالَ: أَشْهَدُ بِاللَّهِ لَقَدْ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قِبَلَ مَكَّةَ. فَدَارُوا كَمَا هُمْ قِبَلَ الْبَيْتِ، وَكَانَ الَّذِي مَاتَ عَلَى الْقِبْلَةِ قَبْلَ أَنْ تُحَوَّلَ رِجَالٌ قُتِلُوا لَمْ نَدْرِ مَا نَقُولُ فِيهِمْ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ: {وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَانَكُمْ إِنَّ اللَّهَ بِالنَّاسِ لَرَءُوفٌ رَحِيمٌ} [البقرة: 143] » [الْبَقَرَةِ: 143] رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا أَبُو زُرْعَةَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَطِيَّةَ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، «عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ صَلَّى نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ سِتَّةَ عَشَرَ أَوْ سَبْعَةَ عَشَرَ شَهْرًا، وَكَانَ يُحِبُّ أَنْ يُوَجَّهَ نَحْوَ الْكَعْبَةِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ: قَدْ {نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ فَلْنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ} [البقرة: 144] . قَالَ: فَوُجِّهَ نَحْوَ الْكَعْبَةِ. وَقَالَ السُّفَهَاءُ مِنَ النَّاسِ وَهُمُ الْيَهُودُ: مَا وَلَّاهُمْ عَنْ قِبْلَتِهِمُ الَّتِي كَانُوا عَلَيْهَا فَأَنْزَلَ اللَّهُ {قُلْ لِلَّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ} [البقرة: 142] » وَحَاصِلُ الْأَمْرِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي بِمَكَّةَ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ وَالْكَعْبَةُ بَيْنَ يَدَيْهِ، كَمَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَلَمَّا هَاجَرَ إِلَى الْمَدِينَةِ لَمْ يُمْكِنْهُ أَنْ يَجْمَعَ بَيْنَهُمَا، فَصَلَّى إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ أَوَّلَ مَقْدَمِهِ الْمَدِينَةَ، وَاسْتَدْبَرَ الْكَعْبَةَ سِتَّةَ عَشَرَ شَهْرًا، أَوْ سَبْعَةَ عَشَرَ شَهْرًا. وَهَذَا يَقْتَضِي أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ إِلَى رَجَبٍ مِنَ السَّنَةِ الثَّانِيَةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَكَانَ، عَلَيْهِ