আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

فصل في تحويل القبلة في سنة ثنتين من الهجرة قبل وقعة بدر

পৃষ্ঠা - ২৩৩৩


জমহুরের মতে হিজরতের ১৮ মাসের মাথায় শাবান মাসের মধ্য ভাগে কিবলা পরিবর্তন হয় ৷
মুহাম্মদ ইবন সাআদ এবং ওয়াকিদী সুত্রে বর্ণিত আছে যে, মধ্য শাবানে মঙ্গলবার কিবলা
পরিবর্ভা হয় ৷ এভাবে সময় নির্দিষ্টকরণ সন্দেহাডীত নয় ৷


ৰু১ঞে

আকাশের দিকে তোমার বারবার তাকানাে আমি অবশ্যই লক্ষ্য করি ৷ সুতরাং তোমাকে

অবশ্যই এমন কিবলাব দিকে ফিরিয়ে দেবাে, যা তুমি পসন্দ করবে ৷ অতএব তুমি মড়াসজিদুল

হারামেব দিকে মুখ ফিরাও ৷৫ তোমরা যেখানেই থাকে৷ না কেন , সেদিকেই মুখ ফিরাও ৷ আর

যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে, তারা নিশ্চিতভাবে জানে যে, তা তাদের পালনকর্তার পক্ষ
থেকে সত্য ৷ তারা যা করে, সে বিষয়ে অ ৷ল্লাহ্ গাফিল নন (২ : ১৪৪) ৷

উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে আমি তাফসীর গ্রন্থে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷ এর
আগে পরে নিবেধি ইয়াহ্রদী এবং মুনাফিক ও বড় বড় জা ৷হিলদের আপত্তি-অভিযােগেরও আমরা
জবাব দিয়েছি ৷ কারণ এটা ছিল ইসলামে সংঘটিত প্রথম নাসৃখ বা রহিতকরণ এর ঘটনা ৷ আর
এটা এজন্য যে, আল্লাহ্ তাআলা ইতোপুর্বে-


১শ্ ন্ প্ ,

আমি কোন আয়াত রহিত করলে কিৎবা বিস্মৃত হতে দিলে তার চ ই উত্তম না তার
সমতুল্য কোন আয়াত আনয়ন করি ৷ তুমি কি জা ন না যে, আল্লাহ্ই সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান ? (২
৪ ১০৬) ৷ এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইঙ্গিত করেন যে, এক আয়াত দ্বারা অপর আয়াতকে
রহিত করা জাইয আছে ৷ ইমাম বুখারী আবু নুআয়ম ধারা থেকে বর্ণনা করে বলেন, নবী
করীম (সা) বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে ১৬ বা ১৭ মাস নামায আদায় করেন; কিতু
তিনি পসন্দ করতেন যে, বায়তুল্লাহ্ তার কিবলা হোক ৷ বায়তৃল্লাহ্র দিকে মুখ করে তিনি প্রথম
নামায আদায় করেন আসরের ৷ আরো অনেকেই তার সঙ্গে নামায আদায় করেন ৷ তাদের সঙ্গে
নামায আদায় করেছেন এমন এক ব্যক্তি বেরিয়ে যান এবং দেখেন যে, মসজিদে লোকজন
নামায আদায় করছেন ৷ তখন তিনি বললেন : আমি আল্লাহ্কে সাক্ষী রেখে বলছি যে, আমি
নবী (না)-এর সঙ্গে মক্কার দিকে মুখ করে নামায আদায় করে এসেছি ৷ তারা তখন রুকুতে
ছিলেন ৷ সে অবন্থায়ই তারা বায়তুল্লাহ্র দিকে ঘুরে যান ৷ কিবলা পরিবর্তনের আগে যাদের
মৃত্যু হয়েছে, তাদের কি অবস্থা হয়ে ? এর জবাবে আল্লাহ তাআলা আয়াত না ৷যিল করেন :

fl : ;

৷ স্পো এ্যা ৷ ৷দ্বু ৮০;


" التَّفْسِيرِ " عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى: {قَدْ نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَحَيْثُمَا كُنْتُمْ فَوَلُّوا وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ وَإِنَّ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ لَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِنْ رَبِّهِمْ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا يَعْمَلُونَ} [البقرة: 144] وَمَا قَبْلَهَا وَمَا بَعْدَهَا مِنِ اعْتِرَاضِ سُفَهَاءِ الْيَهُودِ وَالْمُنَافِقِينَ وَالْجَهَلَةِ الطَّغَامِ عَلَى ذَلِكَ، لِأَنَّهُ أَوَّلُ نَسْخٍ وَقَعَ فِي الْإِسْلَامِ. هَذَا وَقَدْ أَحَالَ اللَّهُ قَبْلَ ذَلِكَ فِي سِيَاقِ الْقُرْآنِ تَقْرِيرَ جَوَازِ النَّسْخِ عِنْدَ قَوْلِهِ: {مَا نَنْسَخْ مِنْ آيَةٍ أَوْ نُنْسِهَا نَأْتِ بِخَيْرٍ مِنْهَا أَوْ مِثْلِهَا أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ} [البقرة: 106] وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ سَمِعَ زُهَيْرًا، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ «عَنِ الْبَرَاءِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ سِتَّةَ عَشَرَ شَهْرًا أَوْ سَبْعَةَ عَشَرَ شَهْرًا وَكَانَ يُعْجِبُهُ أَنْ تَكُونَ قِبْلَتُهُ إِلَى الْبَيْتِ، وَأَنَّهُ صَلَّى، أَوْ صَلَّاهَا، صَلَاةَ الْعَصْرِ، وَصَلَّى مَعَهُ قَوْمٌ فَخَرَجَ رَجُلٌ مِمَّنْ كَانَ مَعَهُ، فَمَرَّ عَلَى