আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

باب سرية عبد الله بن جحش

পৃষ্ঠা - ২৩৩০


রাসুলুল্লাহ (সা) একটা বাহিনী প্রেরণ করেন ৷ তীরা ছিলেন ৭ জনের একটা দল ৷ তাদের
আমীর ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ (বা) আর তারা হলেন (১) আমার ইবন ইয়াসির, (২)
আবু হুযড়ায়ফা ইবন উতবা, (৩) সাআদ ইবন আবু ওয়াক্কাস, (৪) উতবা ইবন গায্ওয়ান, (৫)
সাহ্ল ইবন বায়যা; (৬) আমির ইবন ফুহড়ায়রা এবং (৭) উমর ইবন খাত্তাবের মিত্র ওয়াকিদ
ইবন আবদুল্লাহ ইয়ারবুঈ (রা) ৷ ইবন জাহাশের নিকট রাসুলুল্লাহ্ (সা) একটা চিঠি লিখে
বাত্নে মিলাল’ পৌছার আগে পত্রটা না খোলার জন্য তাকে নির্দেশ দেন ৷ বাত্নে মিলাল’
পৌছে পত্র খুলে দেখেন, তাতে লিখা আছে : বাত্নে নাখলা’ <;পীছা পর্যন্ত সফর অব্যাহত
রাখবে ৷ তখন তিনি সঙ্গীদেরকে বললেন : যে ব্যক্তি শাহাদতের প্রত্যাশী, সে যেন সফর
অব্যাহত রাখে এবং ওসীয়তে করে রাখে ৷ কারণ আমিও ওসীয়তে করছি এবং রাসুলের নির্দেশ
অনুযায়ী চলছি ৷ এই বলে তিনি চলতে থাকেন এবং সাআদ ও উতবা পেছনে রয়ে যান ৷ এরা
দুজন তাদের সওয়ারী হারিয়ে ফেলেছিলেন এবং তার খোজে সেখানে অবস্থান করেন ৷ তিনি
এবং তার অন্য সঙ্গীরা চলতে চলতে বাতৃনে নাখৃলা পৌছে অবস্থান গ্রহণ করেন ৷ সেখানে
হাকাম ইবন কায়সান, মুগীরা ইবন উছমান এবং আবদুল্লাহ ইবন মুপীরাকে দেখতে পান ৷ উক্ত
বর্ণনায় ওয়াকিদ কতুকি অড়ামর ইবন হাযরামীর হত্যা সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে ৷ তারা গনীমত আর
দু’জন বন্দী নিয়ে ফিরে আসেন ৷ এটা ছিল মুসলমানদের অর্জিত প্রথম গনীমতের মাল ৷ তখন
মুশরিকরা বলতে শুরু করে মুহাম্মদ আল্লাহর আনুগত্য দাবী করেন, অথচ তিনিই সর্বপ্রথম
হারাম মাসকে হালাল করে রজব মাসে আমাদের সঙ্গীকে হত্যা করেছেন ৷ মুসলমানরা বলে
আমরা তো তাকে হত্যা করেছি জুমাদাছ ছানী মাসে ৷ সুদ্দী বলেন: মুসলমানরা তাকে হত্যা
করে রজব মাসের প্রথম রাত্রে এবং জুমাদাছ ছানী মাসের শেষ রাত্রে ৷

আমি (প্রন্থকার আল্লামা ইবন কাহীর) বলি : হয়তো জুমদােছ ছানী মাস অসম্পুর্ণ অর্থাৎ ২৯
দিন ছিল ৷ একারণে মুসলমানরা মনে করেছিলেন ৩০ তারিখ রাত্রেও জুমড়াদাছ ছানী মাসই রয়ে
গেছে ৷ অথচ ঐ রাতেই রজবের চাদ দেখা গিয়েছিল ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ আওফী ইবন
আব্বাস সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করে বলেন যে, ঘটনাটি ঘটে জুমাদাছ ছানী মাসের শেষ তারিখ
রাত্রে ৷ আসলে তা ছিল রজব মাসের প্রথম তারিখ, কিন্তু মসলমানরা তা জানতেন না ৷ ইবন
আবী হাতিম বর্ণিত জুন্দুবের হাদীছ ইত্তোপুর্বে উল্লিখিত হয়েছে ৷ ইবন ইসহাকের বর্ণনায়
ইতেড়াপুর্বে আলোচনা করা হয়েছে যে, তা ছিল রজব মাসের শেষ রাত্রি : র্তাদের আশংকা ছিল
এই সুযোগ গ্রহণ না করলে এবং সুযোগ কাজে না লাগালে পরদিন হারাম মাস শুরু হয়ে যাবে ৷
এ বিশ্বাস থেকেই তারা এরুপ করেন ৷ যুহ্রী উরওয়া সুত্রে এরুপই বর্ণনা করেছেন, আর
বায়হাকী তা উল্লেখ করেছেন ৷ আসল ব্যাপার কি ছিল, তা আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ যুহ্রী
উরওয়া সুত্রে বলেন, আমাদের নিকট এ বর্ণনা পৌছেছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইবন হাদরামীর
রক্তপণ আদায় করেন এবং হারাম মাসকে হারাম করেন ৷ শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্ তাদেরকে নির্দোষ
ঘোষণা করে আয়াত নাযিল করেন ৷ এ বর্ণনা ইমাম বায়হাকীর ৷

ইবন ইসহাক বলেন : আবদৃল্লাহ্ ইবন জাহাশের গায্ওয়া সম্পর্কে যুশরিকদের
সমালোচনার জবাবে আবু বকর সিদ্দীক নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করেন ৷ মুশরিকরা বলেছিল যে,


قَالَ السُّدِّيُّ: وَكَانَ قَتْلُهُمْ لَهُ فِي أَوَّلِ لَيْلَةٍ مِنْ رَجَبٍ، وَآخِرِ لَيْلَةٍ مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ. قُلْتُ: لَعَلَّ جُمَادَى كَانَ نَاقِصًا فَاعْتَقَدُوا بَقَاءَ الشَّهْرِ لَيْلَةَ الثَّلَاثِينَ، وَقَدْ كَانَ الْهِلَالُ رُئِيَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهَكَذَا رَوَى الْعَوْفِيُّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ ذَلِكَ كَانَ فِي آخِرِ لَيْلَةٍ مِنْ جُمَادَى، وَكَانَتْ أَوَّلَ لَيْلَةٍ مِنْ رَجَبٍ، وَلَمْ يَشْعُرُوا. وَكَذَا تَقَدَّمَ فِي حَدِيثِ جُنْدُبٍ الَّذِي رَوَاهُ ابْنُ أَبَى حَاتِمٍ. وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي سِيَاقِ ابْنِ إِسْحَاقَ أَنَّ ذَلِكَ كَانَ فِي آخِرِ لَيْلَةٍ مِنْ رَجَبٍ، وَخَافُوا إِنْ لَمْ يَتَدَارَكُوا هَذِهِ الْغَنِيمَةَ وَيَنْتَهِزُوا هَذِهِ الْفُرْصَةَ، دَخَلَ أُولَئِكَ فِي الْحَرَمِ، فَيَتَعَذَّرُ عَلَيْهِمْ ذَلِكَ، فَأَقْدَمُوا عَلَيْهِمْ عَالِمِينِ بِذَلِكَ. وَكَذَا قَالَ الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُرْوَةَ، رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فَاللَّهُ أَعْلَمُ أَيُّ ذَلِكَ كَانَ. قَالَ الزُّهْرِيُّ عَنْ عُرْوَةَ: فَبَلَغَنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَقَلَ ابْنَ الْحَضْرَمِيِّ، وَحَرَّمَ الشَّهْرَ الْحَرَامَ كَمَا كَانَ يُحَرِّمُهُ، حَتَّى أَنْزَلَ اللَّهُ " بَرَاءَةٌ ". رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ فِي غَزْوَةِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشٍ