আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

باب سرية عبد الله بن جحش

পৃষ্ঠা - ২৩২৪

ছিলেন না ৷ আর যে আটজন হলেন আবু হুযায়ফা ইবন উত্বা বনু আসাদ ইবন খুযায়মার
মিত্র উক্কাশা ইবন মিহসান ইবন হারছান, বনী নাওফিলের মিত্র উভ্বা ইবন পাযওয়ান, সাআদ
ইবন আবু ওযাক্কাস আয-যুহরী, বনী আদীর মিত্র আমির ইবন রাবীআ আল-ওয়াইলী, বনী
আদীর অপর এক মিত্র ওয়াকিদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্দ মানাফ, বনী আদীর অপর মিত্র
বনী সাআদ ইবন লায়ছের অন্যতম সদস্য খালিদ ইবন বুকায়র এবং সাহল ইবন বায়যা
আল-ফিহয়ী এরা ৭ জন ৷ আর ৮ম জন হলেন তাদের আমীর আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ
রাযিয়াল্লাহু আনহুম ৷ ইবন ইসহাক সুত্রে ইউনুস বলেন, তারা ছিলেন ৮জন, আর তাদের আমীর
হলেন নবম ব্যক্তি ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্পাহ্ (না) তার হাতে একখানা লিপি দিয়ে বলেন, দৃ’দিন সফর
করার আগে লিপিটি খুলবে না ৷ দু’দিন পর তা খুলে তাতে লিখিত নির্দেশ দেখবে এবং তা
অনুসরণ করবে ৷ তবে সঙ্গীদের কাউকে যেন বাধ্য না করা হয় ৷ দুদিন সফর শেষে লিপি খুলে
দেখেন, তাতে লেখা আছে-

আমার এই লিপি পাঠ করে সফর অব্যাহত রাখবে, শেষপর্যস্ত মক্কা এবং তাইফ-এর মধ্য-
ন্থলে নাখৃলায়’ অবতরণ করবে আর সেখানে কুরায়শের গতিবিধি লক্ষ্য করবে এবং তাদের
অবস্থা সম্পর্কে আমাদেরকে অবহিত করবে ৷ লিপি খুলে তিনি বললেন : এ নির্দেশ আমার
শিরােধার্য ৷ তারপর লিপির মর্ম সম্পর্কে সঙ্গীদেরকে জানালেন ৷ তিনি একথাও বললেন যে,
কাউকে বাধ্য করতে আমাকে নিষেধ করা হয়েছে ৷ তোমাদের মধ্যে কেউ শাহাদত কামনা
করলে এবং সে জন্য আগ্রহী হলে সে যেন আমার সঙ্গে চলে ৷ আর কারো তা পসন্দ না হলে সে
যেন ফিরে যায় ৷ আমি অবশ্যই রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর নির্দেশ মতো চলতে থাকবাে ৷ এই বলে
তিনি চলতে শুরু করেন এবং তার সঙ্গীরাও তার সঙ্গে চলতে থাকে ৷ কেউই পেছনে থেকে
যায়নি ৷ হিজায ভুমি দিয়ে তারা চলতে থাকেন ৷ ফারাএর উচু ভুমি মাদান যাকে বাহরান বলা
হয়, সেখানে পৌছে সাআদ ইবন আবু ওয়াক্কাস এবং উতবা ইবন পাযওয়ান তাদের উট হারিয়ে
ফেললেন ৷ এই উটের উপর র্তারা পালাক্রমে আরোহণ করতেন ৷ তারা ২জন উটের সন্ধানে
পেছনে রয়ে গেলেন এবং আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ এবং তার অন্য সঙ্গীরা চলতে চলতে নাখলায়
গিয়ে অবতরণ করলেন ৷ কুরায়শের কাফেলা যে পথ দিয়ে যাচ্ছিল, তাতে আমর ইবন
হায্রামীও ছিল ৷ ইবন হিশাম বলেন, হাযরামীর নাম ছিল আবদুল্লাহ ইবন আব্বাদ আস-সদফ,
উছমান ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন মুগীরা আল মাখবুমী এবং তার ভাই নাওফিল এবং হিশাম ইবন
ঘুগীরার আযাদকৃত গোলাম হাকাম ইবন কায়সান ৷ মুসলিম বাহিনী তাদেরকে দেখে ভীত হয়ে
পড়ে আর ওরা তাদের একেবারে নিকটেই অবস্থান নিয়েছিল ৷ উক্কড়াশা ইবন মিহসান, হার মস্তক
মুণ্ডিত ছিল, প্রতিপহ্মের লোকেরা তাকে দেখে নিরাপদ বোধ করল ৷ এরা উমরাকারী দল ৷
তাদের পক্ষ থেকে তোমাদের কোন ক্ষতির আশঙ্কা নেই ৷ এদিকে তাদের ব্যাপার নিয়ে
সাহাবাগণ পরামর্শ করলেন, আর এ ঘটনাটি ছিল রজব মাসের শেষ দিনের ৷ তারা বলাবলি
করছিলেন, আল্লাহর কলম, আজ রাতে তোমরা যদি তাদেরকে ছেড়ে দাও, তবে তারা হেরেমে
প্রবেশ করবে এবং তারা নিজেদেরকে তোমাদের থেকে রক্ষা করবে ৷ আর তোমরা যদি


يُونُسُ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ: كَانُوا ثَمَانِيَةً، وَأَمِيرُهُمُ التَّاسِعُ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَسَتَأْتِي تَسْمِيَتُهُمْ عَلَى خِلَافِ مَا قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَكَتَبَ لَهُ كِتَابًا، وَأَمَرَهُ أَنْ لَا يَنْظُرَ فِيهِ حَتَّى يَسِيرَ يَوْمَيْنِ ثُمَّ يَنْظُرَ فِيهِ، فَيَمْضِيَ لِمَا أَمَرَهُ بِهِ، وَلَا يَسْتَكْرِهَ مِنْ أَصْحَابِهِ أَحَدًا، فَلَمَّا سَارَ بِهِمْ يَوْمَيْنِ فَتَحَ الْكِتَابَ، فَإِذَا فِيهِ " «إِذَا نَظَرْتَ فِي كِتَابِي فَامْضِ حَتَّى تَنْزِلَ نَخْلَةَ، بَيْنَ مَكَّةَ وَالطَّائِفِ، فَتَرْصُدَ بِهَا قُرَيْشًا وَتَعْلَمَ لَنَا مِنْ أَخْبَارِهِمْ» ". فَلَمَّا نَظَرَ فِي الْكِتَابِ قَالَ: سَمْعًا وَطَاعَةً. وَأَخْبَرَ أَصْحَابَهُ بِمَا فِي الْكِتَابِ، وَقَالَ: قَدْ نَهَانِي أَنْ أَسْتَكْرِهَ أَحَدًا مِنْكُمْ، فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ يُرِيدُ الشَّهَادَةَ وَيَرْغَبُ فِيهَا فَلْيَنْطَلِقْ، وَمَنْ كَرِهَ ذَلِكَ فَلْيَرْجِعْ، فَأَمَّا أَنَا فَمَاضٍ لِأَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَمَضَى وَمَضَى مَعَهُ أَصْحَابُهُ لَمْ يَتَخَلَّفْ مِنْهُمْ أَحَدٌ، وَسَلَكَ عَلَى الْحِجَازِ، حَتَّى إِذَا كَانَ بِمَعْدِنٍ فَوْقَ الْفُرُعِ يُقَالُ لَهُ: بُحْرَانُ. أَضَلَّ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ وَعُتْبَةُ بْنُ غَزْوَانَ بَعِيرًا لَهُمَا كَانَا يَعْتَقِبَانِهِ فَتَخَلَّفَا فِي طَلَبِهِ وَمَضَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَحْشٍ وَبَقِيَّةُ أَصْحَابِهِ، حَتَّى نَزَلَ نَخْلَةَ فَمَرَّتْ بِهِ عِيرٌ، لِقُرَيْشٍ تَحْمِلُ زَبِيبًا وَأَدَمًا وَتِجَارَةً مِنْ تِجَارَةِ قُرَيْشٍ، فِيهَا عَمْرُو بْنُ الْحَضْرَمِيِّ - قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَاسْمُ الْحَضْرَمِيِّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّادٍ الصَّدِفِيُّ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَقِيلَ غَيْرُ ذَلِكَ فِي نَسَبِهِ