আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

باب سرية عبد الله بن جحش

পৃষ্ঠা - ২৩২৩


ত্খ্যায় আমরা ছিলাম একশ’রও কম ৷ জুহায়নার পড়শী গোত্র বনু কিনানার উপর হামলা করার
জন্য রাসুল আমাদেরকে নির্দেশ দেন ৷ আমরা তাদের উপর হামলা চালালাম ৷ সংখ্যায় তারা
ছিল অনেক বেশী ৷ তইি আমরা জুহায়না গোত্রের নিকট আশ্রয় চাইলে তারা আশ্রয় দিতে
অস্বীকার করে ৷ তারা বলে, তোমরা কেন পবিত্র হারাম মাংস লড়াই করছ ? তখন আমরা একে
অপরকে বললাম, এখন কী করা যায় ৷ এ সময় আমাদের মধ্যে কেউ কেউ বললো আমরা
নবী (না)-এর নিকট হাযির হয়ে তাকে বিষয়টা জানাই ৷ আবার কিছু লোক বললো না, বরং
আমরা এখানেই অবস্থান করবো ৷ আমার সঙ্গের লোকজনকে আমি বললাম, না, বরং আমরা
অগ্রসর হয়ে কুরায়শ কাফেলার উপর হামলা চালাই ৷ তখন গনীমতের বিধান ছিল এই যে, যে
যা সামনে পেতো সেটা তারই হবে ৷ একথা বলে আমরা চললাম, কাফেলা অভিমুখে আর
আমাদের অন্য সঙ্গীরা নবী করীম (সা) এর কাছে গিয়ে তাকে বিষয়টা অবহিত করলে তিনি
ক্রুদ্ধ হয়ে উঠে র্দাড়ান ৷ তার চেহারা মুবারক রক্তবর্ণ ধারণ করে ৷ তিনি বললেন : তোমরা
আমার কাছ থেকে গেলে তো দলবদ্ধ ভাবে আর ফিরে এলে বিচ্ছিন্ন ভাবে ৷ এই ৰিচ্ছিন্নতা
তোমাদের পুর্ববর্তীদেরকে ধ্বংস করেছে ৷ এখন আমি তোমাদের উপর এমন ব্যক্তিকে নেতা
নিযুক্ত করবো, যে তোমাদের মধ্যকার সবেত্তিম ব্যক্তি হবে না, তবে ক্ষুত্-পিপাসায় ধৈর্য
ধারণের ক্ষেত্রে যে হবে তোমাদের মধ্যকার সর্বাধিক ধৈর্যশীল ব্যক্তি ৷

এরপর তিনি আমাদের উপর আবদুল্লাহ্ ইবন জাহাশ আল-আসাদীকে নেতা নিয়োগ
করেন ৷ তিনি ছিলেন ইসলামের ইতিহাসে প্রথম আমীর ৷ ইমাম বায়হাকী তার দালাইল’ গ্রন্থে
ইয়াহ্ইয়া ইবন আবুযায়েদা সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করে তাদের উক্তির পর যোগ করেন : তোমরা
কেন হারাম মাসে লড়াই করছ ? তারা বললাে, আমরা লড়াই করছি তাদের সঙ্গে, যারা
আমাদেরকে বালাদুল হারড়াম’ তথা পবিত্র নগরী থেকে বহিষ্কার করেছে ৷ এরপর সাআদ ইবন
আবু ওয়াক্কাস থেকেও অনুরুপ বর্ণনা রয়েছে ৷ তিনি সাআদ এবং যিয়াদের মধ্যস্থলে কুত্বা ইবন
মালিক নামে একজন রাবীর নামও উল্লেখ করেন আর এটাই অধিক সমীচীন ৷ আল্লাহ্ই ভাল
জানেন ৷

এ হাদীসের দাবী অনুযায়ী প্রথম সারিয়া হলো আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ আল-আসাদীর
মারিয়া ৷ আর এটা ইবন ইসহাকের উক্তির বিপরীত ৷ ইবন ইসহাকের মতে সর্বপ্রথম পতাকা
বাধা হয় উবায়দা ইবন হারিছ ইবন মুত্তালিবের জন্য ৷ আর ওয়াকিদীর এক বর্ণনা মতে তার
ধারণা সর্বপ্রথম পতাকা বাধা হয় হামযা ইবন আবদুল মুত্তালিবের জন্য ৷

আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ-এর মারিয়া
আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ-এর এই সারিয়া বড় বদর যুদ্ধের কারণ হয়ে দীড়িয়েছিল ৷ এই
বদরই হলো পার্থক্যের দিন, যেদিন দুই দল
পরস্পরের সম্মুখীন হয়েছিল ৷ আর আল্লাহ তো সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান ৷
ইবন ইসহাক বলেন ?, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবদুল্পাহ্ ইবন জাহাশ ইবন রিয়াব আল-
আসাদীকে বদর আল-উলা অর্থাৎ প্রথম বদর যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তনের পর রজব মাংস প্রেরণ
করেন ৷ আর তার সঙ্গে ৮ জন মুহাজিরকে প্রেরণ করেন, যাদের মধ্যে কোন আনসারী সাহাবী


[بَابُ سَرِيَّةِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشٍ] ٍ الَّتِي كَانَتْ سَبَبًا لِغَزْوَةِ بَدْرٍ الْعُظْمَى، وَذَلِكَ يَوْمَ الْفُرْقَانِ يَوْمَ الْتَقَى الْجَمْعَانِ، وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ جَحْشِ بْنِ رِئَابٍ الْأَسَدِيَّ فِي رَجَبٍ مَقْفَلَهُ مِنْ بَدْرٍ الْأُولَى، وَبَعَثَ مَعَهُ ثَمَانِيَةَ رَهْطٍ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ، لَيْسَ فِيهِمْ مِنَ الْأَنْصَارِ أَحَدٌ، وَهُمْ أَبُو حُذَيْفَةَ بْنُ عُتْبَةَ، وَعُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنِ بْنِ حُرْثَانَ، حَلِيفُ بَنِي أَسَدِ بْنِ خُزَيْمَةَ، وَعُتْبَةُ بْنُ غَزْوَانَ حَلِيفُ بَنِي نَوْفَلٍ، وَسَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ الزُّهْرِيُّ، وَعَامِرُ بْنُ رَبِيعَةَ الْوَائِلِيُّ، حَلِيفُ بَنِي عَدِيٍّ، وَوَاقَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ عَرِينِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ يَرْبُوعٍ التَّمِيمِيُّ، حَلِيفُ بَنِي عَدِيٍّ أَيْضًا، وَخَالِدُ بْنُ الْبُكَيْرِ أَحَدُ بَنِي سَعْدِ بْنِ لَيْثٍ، حَلِيفُ بَنِي عَدِيٍّ، أَيْضًا وَسُهَيْلُ ابْنُ بَيْضَاءَ الْفِهْرِيُّ، فَهَؤُلَاءِ سَبْعَةٌ ثَامِنُهُمْ أَمِيرُهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَحْشٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَالَ