আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

عداوة اليهود للنبي صلى الله عليه وسلم وما وقع منهم

পৃষ্ঠা - ২২৯২

হিজরী দ্বিতীয় সনে যেসব ঘটনা ঘটেছে; তার আলোচনা

এ সময় অনেক গাযওয়া ও মারিয়া সংঘটিত হয় ৷ এ সাবর মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং
সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ হল বদর যুদ্ধ, যা এ বছর রমড়াযান সালে সংঘটিত হয় ৷ আর এ যুদ্ধের
মাধ্যমে আল্লাহ্ সত্য-মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য সুচিত করেন ৷ পার্থক্য করেন হিদায়াত আর
গোমরাহীর মধ্যে ৷ আর এ হল মাগাযী আর মারিয়া সম্পর্কে আলোচনা করার সময় ৷ তাই
আল্লাহ্র নিকট সাহায্য ভিক্ষা করে আমরা বলছি ৷

কিতাবুল মাগাযী

ইমাম মুহাম্মদ ইবন ইসহাক তার সীরাত গ্রন্থে ইয়াহ্রদী ধর্মযাজক, ইসলাম এবং ইসলামের
অনুসারীদের প্ৰতি তাদের দৃশমনী তথা হিংসা-বিদ্বেষ এবং যাদের সম্পর্কে কুরআন মজীদের
আয়াত নাযিল হয়েছে, তাদের কথা আলোচনা করার পর বলেন : তাদের মধ্যে রয়েছে হুয়াই
ইবন আখতার এবং তার দুই ভাই আবু ইয়াসির ও জুদী, সাল্লাম ইবন মিশকাম, কিনানা ইবন
রাৰী ইবন আরিল হুকায়ক ৷ সাল্লাম ইবন আবুল হুকায়ক এই ছিল সেই কুখ্যাত আবু রাফি
হিজাযের বাসিন্দাদের সাথে যার বাণিজ্য ছিল খায়বর ভুমিতে সাহাবীরা এ ব্যক্তিকে হত্যা
করেন, যার আলোচনা পরে করা হবে ৷ রড়াবী ইবন রাবী ইবন আবুল হুকায়ক, আমর ইবন
জাহ্হড়াশ, কাআব ইবন আশরাফ যে ছিল বনু তাঈ গোত্রের বৃহত্তর বনু নাবহান গোষ্ঠীর
অন্যতম সর্দার এবং তার যা ছিল বনু নাযীর গোত্রের ৷ সাহাবীরা আবৃ রাফি হত্যার পুর্বে একে
হত্যা করেন, যে সম্পর্কে পরে আলোচনা আসছে ৷ আর হুলায়ফা আল-হাজ্জাজ ইবন আমর
এবং কারদাম ইবন কায়স ৷ এদের প্রতি আল্লাহর লা“নত-এরা সকলেই ছিল বনুনাযীর গোত্রের
লোক ৷ আর বনী ছালাবা ইবন ফাত্য়ুনের অন্তর্ভুক্ত ছিল আবদুল্লাহ্ ইবন সুরিয়৷ ৷ পরবর্তীকালে
হিজাযে তার চাইতে বড় তাওরাতের জ্ঞানী আর কেউ ছিল না ৷

আমি বলি, কথিত আছে যে, ইনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন ৷ আর ইবন সালুবা এবং
মুখায়রীক উহুদ যুদ্ধের দিন ইসলাম গ্রহণ করেন এ সম্পর্কে বর্ণনা আসছে ৷ ইনি ছিলেন তার
জাতির ধ্র্মযাজক ৷ আর বনু কায়নুকার মধ্যে যায়দ ইবন লিসীত, সাআদ ইবন হানীফ, মাহমুদ
ইবন শায়খান (মতাম্ভরে সুবহান) , উযায়য় ইবন আবু উযায়য, আবদুল্লাহ ইবন যাইফ, সুয়ায়দ
ইবন হারিছ, রিফাআ ইবন কায়স, ফিনহাস, আশৃয়া ও নুমান ইবন আযা বাহ্বী ইবন আমর ,
শাশৃ ইবন আদী, শাশ ইবন কায়স, যায়দ ইবন হারিছ, নুমান ইবন উমায়র (মতাম্ভরে আমর) ,
সিকীন ইবন আবী সিকীন, আদী ইবন যায়দ, নুমড়ান ইবন আবু আওফা আবু উনৃস , মড়াহ্মুদ
ইবন দিহ্য়া, মালিক ইবন লাইফ, কাআব ইবন রাশিদ, আযির ও রাফি“ ইবন আবু রাফি“ (দুই


[السَّنَةُ الثَّانِيَةُ مِنَ الْهِجْرَةِ] [مَا وَقَعَ فِيهَا مِنَ الْأَحْدَاثِ] ذِكْرُ مَا وَقَعَ فِي السَّنَةِ الثَّانِيَةِ مِنَ الْهِجْرَةِ، مِنَ الْحَوَادِثِ وَقَعَ فِيهَا كَثِيرٌ مِنَ الْمَغَازِي وَالسَّرَايَا، وَمِنْ أَعْظَمِهَا وَأَجَلِّهَا بَدْرٌ الْكُبْرَى، الَّتِي كَانَتْ فِي رَمَضَانَ مِنْهَا، وَقَدْ فَرَّقَ اللَّهُ بِهَا بَيْنَ الْحَقِّ وَالْبَاطِلِ، وَالْهُدَى وَالْغَيِّ. وَهَذَا أَوَانُ ذِكْرِ الْمَغَازِي وَالْبُعُوثِ، فَنَقُولُ وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ. [كِتَابُ الْمَغَازِي] [عَدَاوَةُ الْيَهُودِ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا وَقَعَ مِنْهُمْ] كِتَابُ الْمَغَازِي قَالَ الْإِمَامُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ فِي كِتَابِ " السِّيرَةِ "، بَعْدَ ذِكْرِهِ أَحْبَارَ الْيَهُودِ، وَنَصْبِهِمُ الْعَدَاوَةَ لِلْإِسْلَامِ وَأَهْلِهِ، وَمَا نَزَلَ فِيهِمْ مِنَ الْآيَاتِ: فَمِنْهُمْ، حُيَيُّ بْنُ أَخْطَبَ، وَأَخَوَاهُ أَبُو يَاسِرٍ، وَجُدَيٌّ، وَسَلَّامُ بْنُ مِشْكَمٍ، وَكِنَانَةُ بْنُ الرَّبِيعِ بْنِ أَبِي الْحُقَيْقِ، وَسَلَّامُ بْنُ أَبِي الْحُقَيْقِ، وَهُوَ أَبُو رَافِعٍ الْأَعْوَرُ،