আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ذكر ما وقع في السنة الأولى من الهجرة النبوية من الحوادث والوقائع العظيمة

فصل فيما أصاب المهاجرين من حمى المدينة

পৃষ্ঠা - ২২৫৭


থেকে তার নবীকে হিফাযত করেন ৷ বুখারী ও মুসলিমে ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত আছে
যে, তিনি বলেন : রাসুলুল্লাহ (সা) এবং তার সাহাবীগণ উমরাতৃল কাযার বছরে মক্কায় পৌছলে
মুশরিকরা বলে৪ তোমাদের নিকট এক প্রতিনিধি দল আগমন করছে ইয়াছরিরের জ্বর-ব্যাধি
যাদেরকে দুর্বল করে তুলেছে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) সাহাবীগণ রমল করার নির্দেশ দেন অর্থাৎ
তারা যেন (প্রথম তিন চক্করে) বীরদর্পে চলেন এবং দুই রুকন অর্থাৎ রুক্ন ইয়ামড়ানী ও হাজারে
আসওয়াদের মধ্যস্থলে যেন ধীরে-সুন্থে ইড়াটেন ৷ এবং অন্যান্য চক্করে তিনি তাদেরকে রমল
করতে বারণ করেছেন কেবল তাদের প্রতি করুণা বশে ৷

আমি (গ্রন্থকার) বলি উমরাতুল কায়া সংঘটিত হয় সপ্তম ইইজরীর যিলকড়াদ মাসে আর
মদীনায় মহামারী স্থানান্তরের জন্য রাসুলুল্লাহ (সা) দু’আ হয়তো পরে করেছেন, অথবা মহামারী
হলেও তার লক্ষণ আর প্রতিক্রিয়া তখনো সামান্য হলেও অবশিষ্ট ছিল ৷ অথবা তারা যে জ্বরে
ভুগেছেন , তার লক্ষণ তখনো পরিস্ফুট ছিল ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইবন শিহাব ষুহরী আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন আস সুত্রে রাসুলুল্লাহ (সা) থেকে বর্ণনা
করেছেন ঘ্র

রাসুলুল্লাহ (না) এবং তার সাহাবীগণ মদীনা আগমন করে জ্বরে আক্রান্ত হন ৷ মদীনায় এই
জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রোগ-ব্যাধিতে তারা দুর্বল হয়ে পড়েন ৷ অবশ্য আল্লাহ এ থেকে তার নবীকে
হিফাযত করেন ৷ তারা এতই দুর্বল ও ক্ষীণ হয়ে পড়েন যে, না বসে তারা নামায আদায় করতে
পারতেন না ৷ রাবী বলেন, একদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বের হলেন আর সাহাবীগণ এ ভাবে (বসে
বসে) নামায আদায় করছিলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : জেনে রাখবে, বসে বসে
নামায আদায়ে দাড়িয়ে নামায আদায়ের তুলনায় অর্ধেক সওয়াব পাওয়া যায় ৷ এরপর
মুসলমানরা রোগ-ব্যাধি আর দুর্বলতা সত্বেও জোর করে দাড়িয়ে নামায আদায়ের চেষ্টা করেন
কেবল সওয়াব লাভের আশায় ৷

অনুচ্ছেদ
মুহাজ্যি-আনসারগণের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন এবং ইয়াহ্রদীদের সাথে চুক্তি

ইবন জারীর তাবারীর বর্ণনা মতে মদীনায় ইয়াহ্রদীদের তিনটি গোত্র বসবাস করতো বনু
কায়নুক , বনু নাযীর এবং বনু কুরায়য়া ৷ আনসারগণের পুর্বে বুখতে নসর-এর শাসনামলে
ইয়াহুদীরা হিজায়ে আগমন করে ৷ বুখতেনসর পবিত্র নগরীর ধ্বংস সাধন করে ৷ সায়লুল
আরিম তথা সর্বগ্ৰাসী প্লাবনে লোকেরা এদিক-সেদিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গেলে আওস এবং
খাযরাজ গোত্রের লোকেরা মদীনায় আগমন করে ইয়াহুদীদের সঙ্গে বসবাস করতে থাকে ৷
এসব নবাগতরা ইয়াহ্রদীদের সঙ্গে মৈত্রী ও সখ্যতা গড়ে তোলে এবং তাদের মতো মাজার চেষ্টা
চালায় ৷ কারণ, এ নবাগতদের দৃষ্টিতে ইয়াহুদীরা নবীদের থেকে প্রাপ্ত জ্ঞানের বদৌলতে
গ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী ছিল ৷ কিন্তু এসব ঘুশরিককে হিদায়াত আর ইসলাম দ্বারা ধন্য করে আল্লাহ
তাদের প্রতি অনুগ্নহ করেছেন ৷ হিংসা-বিদ্বেষ , বিদ্রোহ এবং সত্যকে গ্রহণ করে নিতে অনীহড়ার
কারণে আল্লাহ এসব দাম্ভিক ইয়াহুদীকে লাঞ্ছিত করেন ৷


[فَصْلٌ فِيمَا أَصَابَ الْمُهَاجِرِينَ مِنْ حُمَّى الْمَدِينَةِ] ِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ وَقَدْ سَلِمَ الرَّسُولُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحَوَلِ اللَّهِ وَقُوَّتِهِ، وَدَعَا اللَّهَ فَأَزَاحَهَا عَنِ الْمَدِينَةِ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، ثَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ: «لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ وُعِكَ أَبُو بَكْرٍ وَبِلَالٌ. قَالَتْ: فَدَخَلْتُ عَلَيْهِمَا فَقُلْتُ: يَا أَبَهْ كَيْفَ تَجِدُكَ؟ وَيَا بِلَالُ كَيْفَ تَجِدُكَ؟ قَالَتْ: وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ إِذَا أَخَذَتْهُ الْحُمَّى يَقُولُ: كُلُّ امْرِئٍ مُصَبِّحٌ فِي أَهْلِهِ ... وَالْمَوْتُ أَدْنَى مِنْ شِرَاكِ نَعْلِهِ وَكَانَ بِلَالٌ إِذَا أَقْلَعَ عَنْهُ الْحُمَّى يَرْفَعُ عَقِيرَتَهُ، وَيَقُولُ: أَلَا لَيْتَ شِعْرِي هَلْ أَبِيتَنَّ لَيْلَةً ... بِوَادٍ وَحَوْلِي إِذْخِرٌ وَجَلِيلُ