আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ذكر ما وقع في السنة الأولى من الهجرة النبوية من الحوادث والوقائع العظيمة

فصل في بناء مسجده الشريف

পৃষ্ঠা - ২২৪৪


ইয়া রাসুলাল্পাহ্! তারা আমাকে মেরে ফেললো ৷ তারা নিজেরা যে বোঝা বহন করে না,
তেমন বোঝা আমার ঘাড়ে চাপায় ৷ উম্মু সালামা (বা) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্কে দেখেছি তার
ঘাড় পর্যন্ত প্রলন্বিত চুল থেকে বুলাবালি ঝাড়তে আর তার চুল ছিল কোকড়ানাে ৷ এসময় তিনি
বলছিলেন :

ইবন সুমাইয়ার জন্য আফসেড়াস৷ তারা তোমাকে হতার করছে (বলছ), তারা তোমাকে
হত্যা করবে না, বরং তোমাকে হত্যা করবে এক বিদ্রোহী দল ৷” এ সনদে হাদীছটি মুনকড়াতি ,
এমনকি তা বিচ্ছিন্ন সনদ অর্থাৎ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক এবং উম্মু সালামার মধ্যস্থলে সম্পর্ক
বিচ্ছিন্ন ৷ অবশ্য ইমাম মুসলিম (র) তার সহীহ্ গ্রন্থে উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের কথা ভিন্ন
সুত্রে উল্লেখ করেছেন ৷ উম্মু সালামা সুত্রে তার বর্ণিত হাদীছে তিনি বলেন :

রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : একটা বিদ্রোহী দল আম্মারকে হরুন্ব্রুা করবে ৷ ইমাম মুসলিম অপর
এক সুত্রে উম্মু সালামা (বা) থেকে বর্ণিত হাদীছে বলেন :

রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : হে ইবন সুমাইয়া৷ তোমার জন্য আফস্যেস ! একটা বিদ্রোহী দল
তোমাকে হত্যা করবে ৷ আবদুর রায্যাক মামার সুত্রে উম্মু সালামা থেকে বর্ণনা করেন :

উম্মু সালামা (রা) বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (না) এবং তীর সাহাবীগণ যখন মসজিদ নির্মাণ
করছিলেন, তখন প্রত্যেকে একটা ইট বহন করছিলেন; কিন্তু আমার বহন করছিলেন দুটি করে
ইট ৷ একটা তার নিজের, অপরটা নবী (না)-এর পক্ষ থেকে ৷ তখন নবী করীম (না) আম্মারের
পৃষ্ঠদেশে হাত বুলিয়ে বলেন :


ঞে গ্র
হে ইবন সৃমাইয়৷ ! লোকদের জন্য রয়েছে একটি প্ৰতিদান আর তোমার জন্য রয়েছে দু’টি ৷

আর তোমার শেষ খাবার হবে দুধ; একটা বিদ্রোহী দল তোমাকে হত্যা করবে ৷” এ বর্ণনার
সনদ বুখারী-মুসলিমের শর্তানুযায়ী বিশুদ্ধ ৷

বায়হাকী প্রমুখ একদল রাবী থেকে খালিদ হামযা সুত্রে আবু সাঈদ খুদ্রীর বরাতে বলেন :

আবু সাঈদ থুদরী (রা) বলেছেন : মসজিদে নববীর নির্মাণ কার্যে আমরা একটি একটি করে
ইট বহন করছিলাম আর আমার বহন করছিল দু’টি দুটি করে ৷ নবী করীম (বা) এটা দেখে
তার দেহ থেকে মাটি ঝাড়তে ঝাড়তে বলছিলেন :

দুঃখ আম্মারের জন্য, একটা বিদ্রোহী দল তাকে হত্যা করবে ৷ সে ওদেরকে জান্নাতের
দিকে ডাকবে আর তারা আম্মারকে ডাকবে জাহান্নামের দিকে ৷ রাবী বলেন, আমার বলছিলেন :
আমি ফিতনা থেকে আল্লাহর নিকট পানড়াহ্ চাই ৷ মুসাদ্দাদ সুত্রে খালিদ আল-হামযার বরাতে


وَزَادَ فِيهِ زِيَادَةً كَثِيرَةً، وَبَنَى جِدَارَهُ بِالْحِجَارَةِ الْمَنْقُوشَةِ وَالْقَصَّةِ، وَجَعَلَ عُمُدَهُ مِنْ حِجَارَةٍ مَنْقُوشَةٍ، وَسَقْفَهُ بِالسَّاجِ.» وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بِهِ. قُلْتُ: زَادَهُ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ مُتَأَوِّلًا قَوْلَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ بَنَى لِلَّهِ مَسْجِدًا وَلَوْ كَمَفْحَصِ قَطَاةٍ بَنَى اللَّهُ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ ".» وَوَافَقَهُ الصَّحَابَةُ الْمَوْجُودُونَ عَلَى ذَلِكَ، وَلَمْ يُغَيِّرُوهُ بَعْدَهُ، فَيُسْتَدَلُّ بِذَلِكَ عَلَى الرَّاجِحِ مِنْ قَوْلَيِ الْعُلَمَاءِ أَنَّ حُكْمَ الزِّيَادَةِ حُكْمُ الْمَزِيدِ، فَتَدْخُلُ الزِّيَادَةُ فِي حُكْمِ سَائِرِ الْمَسْجِدِ مِنْ تَضْعِيفِ الصَّلَاةِ فِيهِ، وَشَدِّ الرِّحَالِ إِلَيْهِ، وَقَدْ زِيدَ فِي زَمَانِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بَانِي جَامِعِ دِمَشْقَ، زَادَهُ لَهُ بِأَمْرِهِ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ حِينَ كَانَ نَائِبَهُ عَلَى الْمَدِينَةِ، وَأَدْخَلَ الْحُجْرَةَ النَّبَوِيَّةَ فِيهِ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ فِي وَقْتِهِ، ثُمَّ زِيدَ زِيَادَةً كَثِيرَةً فِيمَا بَعْدُ، وَزِيدَ مِنْ جِهَةِ الْقِبْلَةِ، حَتَّى صَارَتِ الرَّوْضَةُ وَالْمِنْبَرُ بَعْدَ الصُّفُوفِ الْمُقَدَّمَةِ، كَمَا هُوَ الْمُشَاهِدُ الْيَوْمَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ عَلَى أَبِي أَيُّوبَ، حَتَّى بَنَى مَسْجِدَهُ وَمَسَاكِنَهُ، وَعَمِلَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ; لِيُرَغِّبَ الْمُسْلِمِينَ فِي الْعَمَلِ فِيهِ، فَعَمِلَ فِيهِ الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ، وَدَأَبُوا فِيهِ، فَقَالَ قَائِلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ: