আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ذكر ما وقع في السنة الأولى من الهجرة النبوية من الحوادث والوقائع العظيمة

فصل في إسلام عبد الله بن سلام

পৃষ্ঠা - ২২৩০


আর র্যারা বলেন যে, এই মসজিদ হল যে মসজিদ, যার ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে তাক্ওয়ার
উপর ৷ তাদের মধ্যে আছে আবদুর রাযযাক উরওয়া ইবন যুবায়র থেকে যা বর্ণিত হয়েছে ৷
আলী ইবন আবু তালহা ইবন আব্বাস সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ এছাড়া শাবী, হাসান
বসরী, কাতাদা, সাঈদ ইবন জুবায়র, আতিয়া আল-আওফী এবং আবদুর রহমান ইবন যায়দ
ইবন আসলাম প্রমুখ সুত্রেও হাদীছটি বর্ণিত হয়েছে ৷ নবী করীম (সা) পরবভীকািলে মসজিদটি
দেখতে পেতেন এবং সেখানে নামায আদায় করতেন এবং প্রত্যেক শনিবার সেখানে যেতেন ৷
কখনো পায়ে হেটে , আবার কখনো সওয়ার হয়ে ৷ হাদীছ শরীফে আছে :

“বইিবৃনর মসজিদে সালাত আদায় করা উমরার সমতুল্য ৷ হাদীছ শরীফে আরো বর্ণিত
হয়েছে :




জিবরাঈল (আ) মসজিদে কইবনর কিবলার দিক নির্ণয়ের জন্য নবী (না)-কে ইঙ্গিত
করেন ৷ আর এটা ছিল ইসলামের ইতিহাসে মদীনায় নির্মিত প্রথম মসজিদ ৷ বরং ইসলামী
মিল্লাতে সাধারণ মানুষের জন্য নির্মিত প্রথম মসজিদ ছিল এটি ৷ আবু বকর (রা ) তার বাড়ীর
দরজায় যে মসজিদ নির্মাণ করান, সেখানে তিনি ইবাদত করতেন এবং নামায আদায় করতেন,
তা ছিল একান্তই তার নিজের, তা সাধারণের জন্য ছিল না ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷


রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আগমনের সুসংবাদ পর্যায়ে হযরত সালমান ফারসীর ইসলামগ্রহণ
সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে ৷ তা এই যে, সালমান ফারসী যখন রাসুলের আগমন সম্পর্কে
শুনতে পেলেন মদীনায়, তখন তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর নিকট গমনকালে তার সঙ্গে কিছু
জিনিস হাতে নিয়ে যান এবং তা রাসুলের সম্মুখে রাখলেন ৷ আর রাসুলুল্লাহ্ (না) তখন কুবড়ায়
অবস্থান করছিলেন ৷ হযরত সালমান ফারসী এটা সাদাকা বললে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) হাত গুটিয়ে
নেন ৷ তিনি নিজে খেলেন না, কিন্তু তার নির্দেশে তার সাহাবীরা তা থেকে কিছু আহার
করলেন ৷ পুনরায় তিনি এলেন এবং তার সঙ্গে কিছু একটা জিনিস ছিল ৷ এবার তিনি বললেন,
এটা হাদিয়া ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তা থেকে কিছু আহার করলেন এবং সাহাবীগণকে নির্দেশ
দিলে তারাও তা থেকে আহার করলেন ৷ দীর্ঘ হাদীছটি ইতিপুর্বে উল্লিখিত হয়েছে ৷

আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রা)-এর ইসলামগ্রহণ
ইমাম আহমদ (র) মুহাম্মদ ইবন জাফর সুত্রে আবদুল্লাহ্ ইবন সালাম থেকে বর্ণনা করেন :
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় আগমন করলে লোকেরা দ্রুত তার দিকে ছুটে আসে ৷ যারা তার দিকে
ছুটে আসে, তাদের মধ্যে আমিও ছিলাম ৷ আমি তার চেহারা দেখেই চিনতে পারি যে, এটা
কোন মিথ্যাবাদীর চেহারা নয় ৷ আমি সর্বপ্রথম তাকে যে কথাটি বলতে শুনি , তা এই :


[فَصْلٌ فِي إِسْلَامِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا عَوْفٌ، عَنْ زُرَارَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ، قَالَ: «لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ، انْجَفَلَ النَّاسُ إِلَيْهِ، فَكُنْتُ فِيمَنِ انْجَفَلَ، فَلَمَّا تَبَيَّنْتُ وَجْهَهُ عَرَفْتُ أَنَّهُ لَيْسَ بِوَجْهِ كَذَّابٍ، فَكَانَ أَوَّلَ شَيْءٍ سَمِعْتُهُ يَقُولُ: " أَفْشُوا السَّلَامَ، وَأَطْعِمُوا الطَّعَامَ، وَصِلُوا الْأَرْحَامَ، وَصَلُّوا بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٍ، تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ بِسَلَامٍ ".» وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ، مِنْ طُرُقٍ عَنْ عَوْفٍ الْأَعْرَابِيِّ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَبِي أَوْفَى بِهِ عَنْهُ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: صَحِيحٌ. وَمُقْتَضَى هَذَا السِّيَاقِ يَقْتَضِي أَنَّهُ سَمِعَ بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَآهُ أَوَّلَ قُدُومِهِ حِينَ أَنَاخَ بِقُبَاءَ فِي بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، وَتَقَدَّمَ فِي رِوَايَةِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ عَنْ أَنَسٍ أَنَّهُ اجْتَمَعَ بِهِ حِينَ أَنَاخَ عِنْدَ دَارِ أَبِي أَيُّوبَ، بَعْدَ ارْتِحَالِهِ مَنْ قُبَاءَ إِلَى دَارِ بَنِي النَّجَّارِ. كَمَا تَقَدَّمَ، فَلَعَلَّهُ رَآهُ أَوَّلَ مَا رَآهُ بِقُبَاءَ، وَاجْتَمَعَ بِهِ بَعْدَمَا صَارَ إِلَى دَارِ بَنِي النَّجَّارِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.