আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ذكر ما وقع في السنة الأولى من الهجرة النبوية من الحوادث والوقائع العظيمة

فصل في بيان أول دار نزل بها النبي صلى الله عليه وسلم بعد الهجرة

পৃষ্ঠা - ২২২৬


রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কায় তের বছর অবস্থান করেন ৷ ইংতাপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইবন
আব্বাস (রা) সুরমা ইবন আবু আনাস এর কবিতা লিখেছেন :

ব্লেএ এেএ-ট্ট
তিনি কুরায়শের মধ্যে তেরাে বছর অবস্থান করেন ৷ এ সময় তিনি উপদেশ দান করেন,
যদি কোন সহানুভুতিশীল সঙ্গী পাওয়া যায় ! আর ওয়াকিদী ইব্রাহীম ইবন ইসমাঈল সুত্রে ইবন

আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, সুরমার উপরোক্ত কবিতা তিনি প্রমাণ হিসাবে উপস্থাপন
করেন ৷

অনুরুপভাবে ইবন জারীর হারিছ সুত্রে ওয়াকিদী থেকে পনের বছরের কথা উল্লেখ
করেছেন ৷ এ উক্তি নিতাম্ভই গরীৰ্ ৷ আর এর চেয়েও বেশী গরীশ্ব হল ইবন জারীরের উক্তি ৷
রাওহ ইবন উবাদা সুত্রে কাতড়াদা থেকে বর্ণনা করে তিনি বলেন :

রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উপর মক্কায় কুরআন নাযিল হয় আট বছর এবং মদীনায় দশ বছর ৷ এ
শ্যেষাক্ত উক্তির প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন হাসান বসরী ৷ উক্তিটি এই যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মক্কায় দশ বছর অবস্থান করেছেন ৷ আনাস ইবন মালিক, হযরত আইশা, সাঈদ ইবন
ঘুসাইয়িব, আমর ইবন দীনার এমত সমর্থন করেন ৷ এ ব্যাপারে ইবন জারীর র্তাদের নিকট
থেকে রিওয়ায়াত উল্লেখ করেন ৷ এটা ইবন আব্বাস থেকেও একটা বর্ণনা ৷ ইমাম আহমদ ইবন
হাম্বল ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ সুত্রে ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন :

তেতাল্লিশ বছর বয়সে নবী করীম (না)-এর উপর ওহী নাযিল হয় এরপর তিনি মক্কায় দশ
বছর অবস্থান করেন ৷

ইতিপুর্বে আমরা ইমাম শা’বী সুত্রে বর্ণনা করেছি :

হযরত ইসরাফীল (আ) নবী করীম (না)-এর সঙ্গে তিন বছর ছিলেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর নিকট বাণী নিয়ে আসতেন এবং আরো কিছু ৷ অন্য বর্ণনায় আছে :

তিনি ফেরেশতা ইসরাফীলের উপস্থিতি অনুভব করতেন, কিন্তু তাকে দেখতেন না ৷ এরপর
জিবরাঈল (আ) আগমন করেন ৷ ওয়াকিদী তার কোন কোন শড়ায়খ থেকে বর্ণনা করেন যে, উক্ত
শায়খ শাবীর এ উক্তি অস্বীকার করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) মক্কায় দশ বছর অবস্থান করেন বলে
যারা বলেছেন, আর তের বছর অবস্থান করেন বলে যারা বলেছেন, ইবন জারীর এ দু’ উক্তির
মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানের চেষ্টা করেন ৷ তিনি এ চেষ্টা করেন ইমাম শা’বীর ব্যাখ্যা অনুযায়ী, যা
তিনি উল্লেখ করেছেন ৷ আসল ব্যাপার আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

কুবায় অবস্থানের বিবরণ

নবী করীম (সা) সঙ্গীদের সহ মদীনায় প্রবেশ করে কইবনয় বনু আমর ইবন আওফ এর
মহল্লায় অবস্থান করেন ৷ ইতোপুর্বে সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং কথিত আছে যে, সেখানে
সর্বোচ্চ ২২ রাত্রি, মতান্তরে ১৮ রাত্রি, আবার কারো কারো মতে ১০ রাত্রির কিছু বেশী অবস্থান


يَرَى شَخْصَهُ، ثُمَّ كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ جِبْرِيلُ. وَقَدْ حَكَى الْوَاقِدِيُّ عَنْ بَعْضِ مَشَايِخِهِ أَنَّهُ أَنْكَرَ قَوْلَ الشَّعْبِيِّ هَذَا. وَحَاوَلَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنْ يَجْمَعَ بَيْنَ قَوْلِ مَنْ قَالَ: إِنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أَقَامَ بِمَكَّةَ عَشْرًا. وَقَوْلِ مَنْ قَالَ: ثَلَاثَ عَشْرَةَ. بِهَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ الشَّعْبِيُّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [فَصْلٌ فِي بَيَانِ أَوَّلِ دَارٍ نَزَلَ بِهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ الْهِجْرَةِ] فَصْلٌ وَلَمَّا حَلَّ الرِّكَابُ النَّبَوِيُّ بِالْمَدِينَةِ، كَانَ أَوَّلُ نُزُولِهِ بِهَا فِي دَارِ بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، وَهِيَ قُبَاءُ كَمَا تَقَدَّمَ فَأَقَامَ بِهَا، أَكْثَرَ مَا قِيلَ، ثِنْتَيْنِ وَعِشْرِينَ لَيْلَةً. وَقِيلَ: ثَمَانِيَ عَشْرَةَ لَيْلَةً. وَقِيلَ: بِضْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً. وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ ثَلَاثَ لَيَالٍ. وَالْأَشْهَرُ مَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ، أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أَقَامَ فِيهِمْ بِقُبَاءَ مِنْ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ إِلَى يَوْمِ الْجُمُعَةِ. وَقَدْ أَسَّسَ فِي هَذِهِ الْمُدَّةِ الْمُخْتَلَفِ فِي مِقْدَارِهَا - عَلَى مَا ذَكَرْنَاهُ - مَسْجِدَ قُبَاءَ. وَقَدِ ادَّعَى السُّهَيْلِيُّ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسَّسَهُ فِي أَوَّلِ يَوْمٍ قَدِمَ إِلَى قُبَاءَ، وَحَمَلَ عَلَى ذَلِكَ قَوْلَهُ تَعَالَى: