كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب بدء الهجرة من مكة إلى المدينة
পৃষ্ঠা - ২১৩৬
বসত বাড়ির দরজা রুদ্ধ ৷ তাতে কেউ বসবাস করে না ৷ এ অবস্থা দেখে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে
আরোহণকারী বলে উঠে :
এহ্র স্
যে কোন গৃহ যত দীর্ঘ দিন তা নিরাপদে থাকুক না কেন, একদিন বায়ুপ্রবাহ তা গ্রাস
করবে, আচ্ছন্ন করবে তাকে ধ্বংসলীলা ৷
ইবন হিশাম বলেন, এই কবিতাটি আবু দাউদ আয়াদীর কাসীদা থেকে নেয়া হয়েছে ৷
সুহায়লী বলেন, আবু দাউদের নাম হল হানযালা ইবন শারকী ৷ কারো কারো মতে তীর নাম
হারিছা ৷ এরপর উতবা বললো, বনু জাহশের গৃহ জনশুন্য পড়ে আছে বসবাস করার কেউ
নেই ৷ তখন আবু জাহ্ল বললাে : তবে এ ফাল ইবন ফাল-এর জন্য কেন তুমি বোদন করছ ?
এরপর আব্বড়াসকে উদ্দেশ করে বলে এতেড়া তোমার ভাতিজার কাণ্ড ৷ সেই তো আমাদের দলে
র্ভাঙ্গন ধরিয়েছে, আমাদের ঐক্য বিনষ্ট করেছে এবং আমাদের ম হত্ব;াকার আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন
করেছে ৷
ইবন ইসহাক বলেন : এরপর আবু সালামা আমির ইবন রাবীআ এবং বনু জাহাশ কুবায়
মুবাশৃশির ইবন আবদে মুনযির-এর নিকট অবস্থান করতে থাকেন ৷ এরপর মুহড়াজিরগণ দলে
দলে আগমন করতে থাকেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন : বনু গানাম ইবন দুদান ইসলাম গ্রহণ করে
এবং তাদের নারী-পুরুষরা হিজরত করে মদীনায় আগমন করেন ৷ আর তারা ছিলেন আবদুল্লাহ্
ইবন জাহাশ, তার ভাই আবু আহমদ উক্কশা ইবন মিহসান, ওয়াহ্বের পুত্র শুজা ও উকবা
আরবাদ ইবন জামীরার মুনকিয ইবন নাবাতা, সাঈদ ইবন রড়াকীশ মিহরায ইবন নাযলা, যায়দ
ইবন ফাকীশ, কায়স ইবন জাবির , আমৃর ইবন মিহসান, মালিক ইবন আমর, সাফওয়ড়ান ইবন
আমর, সাকাফ ইবন আমৃর ও রাবীআ ইবন আকছুম যুবড়ায়র ইবন উবায়দা তামাম ইবন
উবায়দা, সাখবারা ইবন উবায়দা, মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ এবং তাদের নারীদের
মধ্যে যয়নব বিনৃত জাহাশ, বিনৃত জাহাশ উম্মে হাবীব বিনৃত জাহাশ জুদামা বিনৃত জন্দল, উম্মু
কায়স বিনৃত মিহসান, উম্মু হাবীব বিনৃত সুমামা, আমিনা বিনৃত রড়াকীশ এবং সাখবারা বিনৃত
তামীম ৷ মদীনায় তাদের হিজরত প্রসঙ্গে আবু আহমদ ইবন জাহাশ নিম্নোক্ত কবিতা রচনা
করেন :
যে সত্তাকে আমি না দেখে ভয় করি ভোরে তার পানে রওনা হওয়ার সময় উম্মে আহমদ
যখন আমাকে দেখে ফেলে ৷
তখন সে বলে : তোমাকে যদি হিজরত করতেই হয়, তবে ইয়াছরিব থেকে দুরে সরে
অপর কোন নগরে আমাদেরকে নিয়ে চল ৷
وَالْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَأَبُو جَهْلِ بْنُ هِشَامٍ، وَهُمْ مُصْعِدُونَ إِلَى أَعْلَى مَكَّةَ، فَنَظَرَ إِلَيْهَا عُتْبَةُ تَخْفِقُ أَبْوَابُهَا يَبَابًا لَيْسَ بِهَا سَاكِنٌ، فَلَمَّا رَآهَا كَذَلِكَ تَنَفَّسَ الصُّعَدَاءَ وَقَالَ:
وَكُلُّ دَارٍ وَإِنْ طَالَتْ سَلَامَتُهَا ... يَوْمًا سَتُدْرِكُهَا النَّكْبَاءُ وَالْحُوبُ
قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَهَذَا الْبَيْتُ لِأَبِي دَاوُدَ الْإِيَادِيِّ فِي قَصِيدَةٍ لَهُ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَاسْمُ أَبِي دَاوُدَ حَنْظَلَةُ بْنُ شَرْقِيٍّ. وَقِيلَ: جَارِيَةُ. ثُمَّ قَالَ عُتْبَةُ: أَصْبَحَتْ دَارُ بَنِي جَحْشٍ خَلَاءً مِنْ أَهْلِهَا. فَقَالَ أَبُو جَهْلٍ: وَمَا تَبْكِي عَلَيْهِ مِنْ قُلِّ بْنِ قُلٍّ. ثُمَّ قَالَ - يَعْنِي لِلْعَبَّاسِ -: هَذَا مِنْ عَمَلِ ابْنِ أَخِيكَ هَذَا، فَرَّقَ جَمَاعَتَنَا، وَشَتَّتَ أَمْرَنَا، وَقَطَّعَ بَيْنَنَا.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَنَزَلَ أَبُو سَلَمَةَ، وَعَامِرُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَبَنُو جَحْشٍ بِقُبَاءَ عَلَى مُبَشِّرِ بْنِ عَبْدِ الْمُنْذِرِ، ثُمَّ قَدِمَ الْمُهَاجِرُونَ أَرْسَالًا. قَالَ: وَكَانَ بَنُو غَنْمِ بْنِ دُودَانَ أَهْلَ إِسْلَامٍ قَدْ أَوْعَبُوا إِلَى الْمَدِينَةِ هِجْرَةً رِجَالُهُمْ وَنِسَاؤُهُمْ; عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَحْشٍ، وَأَخُوهُ أَبُو أَحْمَدَ، وَعُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنٍ، وَشُجَاعٌ وَعُقْبَةُ ابْنَا