আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

باب بدء الهجرة من مكة إلى المدينة

পৃষ্ঠা - ২১৩১


আম্বার সুত্রে জারীর থেকে এককভাবে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ তার বর্ণিত হাদীছে তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : আল্লাহ তা’আলা আমার প্রতি ওহী করেন যে, এ তিন স্থানের
যেখানেই তুমি অবতরণ করবে তাহলে তোমার হিজরত-স্থল : মদীনা, বাহরাইন অথবা
কিন্নাসিরীন ৷ এরপর ইমাম তিরমিযী বলেন : হাদীছটি গরীব ৷ ফযল ইবন মুসা ব্যতীত অপর
কোন সুত্রে আমরা হাদীছটি জানি না ৷ আবু আম্মার এককভাবে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷

আমি বলি, এ পায়লান ইবন আদুল্লাহ্ আল-আমিরীকে ইবন হাব্বান নির্ভরযোগ্য
বর্ণনাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন ৷ অবশ্য তিনি একথাও বলেছেন যে, তিনি আবু যুরআ সুত্রে
হিজরত সংক্রান্ত একটা মুনকার তথা অগ্রহণযােপ্য হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল
জানেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, আল্লাহ তাআলা যখন নিম্নোক্ত আয়াত দ্বারা যুদ্ধের অনুমতি দান
করেন :

১র্পি১া
(শে
“যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হলো তাদেরকে, যারা আক্রান্ত হয়েছে ৷ কারণ তাদের প্রতি জুলুম
করা হয়েছে ৷ আর আল্লাহ্ নিশ্চয়ই তাদেরকে সাহায্য করতে সম্যক সক্ষম, তাদেরকে তাদের
বাড়ীঘর থেকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে শুধু এ কারণে যে, তারা বলে আল্লাহ
আমাদের পালনকর্তা (২২ : ৩৯) ৷

আল্লাহ্ যখন যুদ্ধের অনুমতি দান করেন, ইসলামের ব্যাপারে আনসার গোত্র রাসুলের
আনুসরণ করেন, রাসুলকে তারা সাহায্য করেন, তারা রাসুলের অনুসারীকেও সাহায্য করেন
এবং অনেক মুসলমান আনসারদের নিকট আশ্রয় গ্রহণ করেন, তখন রাসুল (সা) তার কওমের
ৰু সঙ্গী-সাথী এবং মক্কায় বসবাসরত মুসলমানদেরকে মদীনায় হিজরত করার নির্দেশ দান করে
আনসার ভাইদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য বলেন ৷ এ নির্দেশে তিনি বললেন : আল্লাহ
তাআলা তোমাদের জন্য এমন কিছু ভাই এবং এমন কিছু স্থানের ব্যবস্থা করেছেন, যেখানে
তোমরা নিরাপত্তা লাভ করবে ৷ ফলে তারা দলে দলে বের হলেন আর রাসুলুল্লাহ (সা) মক্কা
থেকে মদীনায় হিজরতের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার জন্য আপন পালনকর্তার নির্দেশের অপেক্ষায়
মক্কায় অবস্থান করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাহাবীগণের মধ্যে কুরায়শের বনু মাখযুম শাখা
থেকে যিনি সর্ব প্রথম হিজরত করেন তিনি ছিলেন আবু সালামা আবদুল্লাহ ইবন আব্দুল আসাদ
ইবন হিলাল ইবন আবদুল্লাহ ইবন উমর ইবন মখবুম ৷ আকাবার বায়আতের এক বছর পুর্বে
তিনি হিজরত করেন ৷ হাবশা থেকে মক্কায় ফিরে আসার পর কুরায়শের নির্যাতনের মুখে তিনি
হড়াবশায় ফিরে যাওয়ার সংকল্প করেন ৷ মদীনায় র্তার কিছু ভাই আছে বলে জানতে পেয়ে তিনি
মদীনায় হিজরত করতে মনস্থ করেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন : আমার পিতা সালামা ইবন আবদুল্লাহ ইবন উমর সুত্রে তদীয় দাদী
উম্মে সালামা (রা) থেকে বর্ণনা করে বলেন : আবু সালামা যখন মদীনায় হিজরত করার সিদ্ধান্ত


عَنْ أَبِي مُوسَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ الْأَشْعَرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، الْحَدِيثَ بِطُولِهِ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ إِمْلَاءً، أَخْبَرَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ الْقَاسِمُ بْنُ الْقَاسِمِ السَّيَّارِيُّ بِمَرْوَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ هِلَالٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ شَقِيقٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ عُبَيْدٍ الْكِنْدِيُّ عَنْ غَيْلَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْعَامِرِيِّ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ جَرِيرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ أَوْحَى إِلَيَّ: أَيَّ هَؤُلَاءِ الْبِلَادِ الثَّلَاثِ نَزَلْتَ فَهِيَ دَارُ هِجْرَتِكَ; الْمَدِينَةَ; أَوِ الْبَحْرَيْنِ; أَوْ قِنَّسْرِينَ ".» قَالَ أَهْلُ الْعِلْمِ: ثُمَّ عَزَمَ لَهُ عَلَى الْمَدِينَةِ، فَأَمَرَ أَصْحَابَهُ بِالْهِجْرَةِ إِلَيْهَا. هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا. وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ فِي الْمَنَاقِبِ مِنْ " جَامِعِهِ " مُنْفَرِدًا بِهِ، عَنْ أَبِي عَمَّارٍ الْحُسَيْنِ بْنِ حُرَيْثٍ، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ مُوسَى عَنْ عِيسَى بْنِ عُبَيْدٍ عَنْ غَيْلَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْعَامِرِيِّ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عُمَرَ بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ جَرِيرٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ أَوْحَى إِلَيَّ: أَيَّ هَؤُلَاءِ الثَّلَاثَةَ نَزَلْتَ فَهِيَ