আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

قصة بيعة العقبة الثانية

পৃষ্ঠা - ২১১০


বের হলাম চুপি চুপি অতি সস্তর্পণে যেমন বেরিয়ে আসে বিড়াল ৷ আমরা সকলে আকাবায় গিয়ে
একত্রিত হলাম ৷ আমরা ছিলাম ৭৩ জন পুরুষ ৷ আমাদের সাথে দু’জন মহিলাও ছিল ৷ একজন
উম্মু আম্মারা নাসীবাহ্ বিনৃত কাআব ৷ সে বনু মাযিন ইবন নাজ্জার গোত্রের অন্তর্ভুক্ত ছিল ৷
দ্বিতীয়জন আমর ইবন আদী ইবন নড়াবীর কন্যা আসমা ৷ তিনি ছিলেন বনু সালামা গোত্রের
মেয়ে ৷ তার উপনাম ছিল উম্মু মানী’ ৷ ইবন ইসহাক ইউনুস ইষ্হ্ন বুকয়াবের বর্ণনার মাধ্যমে
আকাবায় উপস্থিত লোকদের নাম ও বংশ পরিচয় ম্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন ৷ যে সকল বর্ণনায়
এসেছে যে, তারা ৭০ জন ছিলেন, যে বর্ণনা সম্পর্কে বলা যায় যে, আরবগণ সংখ্যা বর্ণনায়
সাধারণত দুই দশকের মধ্যবর্তী খুচরা সংখ্যাগুলো ছেড়ে দিত ৷ সে হিসেবে আলোচ্য
বর্ণনাগুলোতে ৭০ এর অতিরিক্ত সংখ্যাগুলাে বাদ পড়েছে ৷

উরওয়া ইবন যুবায়র ও মুসা ইবন উকবা (বা) বলেছেন, আকাবায় উপ ত ছিলেন ৭০
জন পুরুষ এবং একজন মহিলা ৷ তন্মধ্যে ৪০ জন ছিলেন প্রবীণ আর ৩০ জন যুবক ৷ সবার
ছোট ছিলেন আবু মাসউদ ও জাবির ইবন আবদৃল্লাহ্ (রা) ৷

কাআব ইবন মালিক বলেন, আকাবায় গিরিসঙ্কটে উপস্থিত হয়ে আমরা রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর আগমনের অপেক্ষায় ছিলাম ৷ এক সময় তিনি এলেন ৷ তার সাথে ছিলেন আব্বাস
ইবন আবদুল মুত্তালিব ৷ আব্বাস তখনো তার পিতৃধর্মের অনুসারী ছিলেন ৷ তবে ভাতিজা
মুহাম্মদ (না)-এর সম্পর্কে গৃহীতব্য সিদ্ধান্তে উপস্থিত থাকতে তিনি আগ্রহী ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর পক্ষে সুদৃঢ় অঙ্গীকার নেয়াও তার উদ্দেশ্য ছিল ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) এসে বললেন ৷ প্রথম
কথা বললেন আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব ৷ তিনি বললেন, হে খড়াযরাজের লোকজন ৷
আরবগণ আনসারীদের আওস ও খাযরাজ উভয় গোত্রকে থায়রাজ গোত্র নামে ডাকত ৷ তাদের
উদ্দেশ্যে আব্বাস বললেন, আমাদের মধ্যে মুহাম্মদ (না)-এর অবস্থা সম্পর্কে তোমরা অবগত
অড়াছ ৷ আমাদের মতবাদে বিশ্বাসী লোকদের হাত থেকে আমরা কিন্তু তাকে নিরাপত্তা দিয়েছি ৷
ফলে আপন সম্প্রদায়ের মধ্যে যে তাদের ধরা-ছোয়ার বাইরে এবং আপন শহরে সে নিরাপদ
রয়েছে ৷ এখন যে তোমাদের সাথে মিলিত হবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ এখন তোমরা যদি মনে কর
যে, মুহাম্মদ (না)-কে দেয়া প্রতিশ্রুতিসমুহ তোমরা পুরোপুরি পালন করতে পারবে এবং
বিরোধিতাকারীদের হাত থেকে তাকে রক্ষা করতে পারবে, তবে ভাল ৷ আর যদি তোমরা মনে
কর যে, শেষ পর্যন্ত তোমরা তাকে রক্ষা করতে পারবে না বরং বিরুদ্ধবাদীদের হাতে তুলে
দেবে এবং তাকে লাঞ্ছিত করবে, তবে এখনই তাকে রেখে যাও, কারণ, নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে
আপন দেশে সে সম্মান ও নিরাপত্তার মধ্যে আছে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আমরা আব্বাসকে
বললাম, আপনার কথা আমরা শুনেছি ৷ ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (না)-এবার আপনি কথা বলুন এবং
আপনার প্রতিপালকের পক্ষে আমাদের থেকে যত অঙ্গীকার নিতে চান, নিন ৷

রাসুলুল্লাহ্ (সা) কথা বললেন ৷ তিনি কুরআন তিলাওয়াত করলেন, আল্লাহ্র প্রতি দাওয়াত
দিলেন এবং ইসলামের প্রতি উৎসাহিত করলেন ৷ তিনি বললেন, আমি তোমাদের অঙ্গীকার
নেবাে যে, তোমরা নিজেদেরকে এবং নিজেদের ত্রী-পুত্রকে যেভাবে রক্ষা কর, আমাকেও
সেভাবে রক্ষা করবে ৷ বারা ইবন মারুর রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাত ধরে ফেললেন এবং বললেন,


، قَالَ: فَنِمْنَا تِلْكَ اللَّيْلَةَ مَعَ قَوْمِنَا فِي رِحَالِنَا، حَتَّى إِذَا مَضَى ثُلْثُ اللَّيْلِ، خَرَجْنَا مِنْ رِحَالِنَا لِمِيعَادِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، نَتَسَلَّلُ تَسَلُّلَ الْقَطَا، مُسْتَخْفِينَ حَتَّى اجْتَمَعْنَا فِي الشِّعْبِ عِنْدَ الْعَقَبَةِ، وَنَحْنُ ثَلَاثَةٌ وَسَبْعُونَ رَجُلًا، وَمَعَنَا امْرَأَتَانِ مِنْ نِسَائِنَا; نَسِيبَةُ بِنْتُ كَعْبٍ أُمُّ عُمَارَةَ إِحْدَى نِسَاءِ بَنِي مَازِنِ بْنِ النَّجَّارِ، وَأَسْمَاءُ ابْنَةُ عَمْرِو بْنِ عَدِيِّ بْنِ نَابِي إِحْدَى نِسَاءِ بَنِيَ سَلِمَةَ، وَهِيَ أُمُّ مَنِيعٍ. وَقَدْ صَرَّحَ ابْنُ إِسْحَاقَ، فِي رِوَايَةِ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ عَنْهُ، بِأَسْمَائِهِمْ وَأَنْسَابِهِمْ. قُلْتُ: وَمَا وَرَدَ فِي بَعْضِ الْأَحَادِيثِ أَنَّهُمْ كَانُوا سَبْعِينَ، فَالْعَرَبُ كَثِيرًا مَا تَحْذِفُ الْكَسْرَ. وَقَالَ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، كَانُوا سَبْعِينَ رَجُلًا وَامْرَأَةً وَاحِدَةً. قَالَ: مِنْهُمْ أَرْبَعُونَ مِنْ ذَوِي أَسْنَانِهِمْ، وَثَلَاثُونَ مِنْ شَبَابِهِمْ. قَالَ: وَأَصْغَرُهُمْ أَبُو مَسْعُودٍ، وَجَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ. وَقَوْلُ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ أَنَّهُمْ خَمْسَةٌ وَسَبْعُونَ، أَثْبَتُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.