আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

باب بدء إسلام الأنصار رضي الله عنهم

পৃষ্ঠা - ২০৮৪


সাথে কাউকে শরীক করবো না,চুরি করবো না, যেনা করবো না সন্তান হত্যা করবো না
অপবাদ রটাবাে না এবং সৎকর্মে তার অবাধ্য হবো না ৷ তিনি বলেছেন, তোমরা যদি এগুলো
পরিপুর্ণভাবে পালন কর, তবে তোমাদের জন্যে রয়েছে জ ন্নাত ৷ আর এর কে নটি অমান্য
করলে যদি দুনিয়াতে তার শাস্তি ভোগ করে থাক, তবে তা হবে তার কাফ্ফারা স্বরুপ ৷ আর
যদি কিয়ামত দিবস পর্যন্ত তা গোপন রয়ে যায়, তবে তার ফায়সালা আল্লাহ্র হাতে, তিনি
চাইলে শান্তি দেবেন চাইলে ক্ষমা করবেন ৷ সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ মুসলিমসহ অন্যান্য হাদীছ
গ্রন্থে এহাদীছ যুহরী থেকে এরুপ বর্ণিত হয়েছে ৷

হাদীছে ৷৷ ৷ া; (মহিলাদের বায়আত প্রসঙ্গে) দ্বারা এ কথা বুঝানো হয়েছে
যে, আকড়াবার শপথের পরে হুদায়বিয়ার বছরে মহিলাদের বায়আত নেয়ার যে বিধান আল্লাহ
তা আলা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রতি নাযিল করেছেন আকাবার শপথ সে অনুযায়ী অনুষ্ঠিত
হয়েছিল ৷ ৰন্তুত আকাবার শপথের নিয়ম ও বিষয় অনুযায়ী পরে মহিলাদের বায়আতের নিয়ম
বিষয়ক বিধান নাযিল হয়েছে ৷ পুর্বে অনুষ্ঠিত বায়আতের বিষয় অনুযায়ী পরে কুরআনের আয়াত
নাযিল হওয়া আশ্চর্যের কিছু নয় ৷ কা ৷রণ, একাধিকবার হযরত ৩উমর (বা ) এর আগ্রহের সপক্ষে
কুরআন নাযিল হয়েছে ৷ হযরত উমর (রা) এর জীবনী গ্রন্থ এবং কুরআনের৩ তাফসীর গ্রন্থে
আমরা তা আলোচনা করেছি ৷ বন্তুত ৩আকাবার আলোচ্য বায়অড়াত ওহী পাইর মাত তলু (অপঠিত
ওহী) এর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৷ আ ৷ল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে সাক্ষাত শেষে লোকজন যখন মদীনায় ফিরে
যায়, তখন তিনি তাদের সাথে মুসআব ইবন উমায়র ইবন হাশিম ইবন আবদ মানাফ ইবন

আবদুদ্দার ইবন কুস ই কে পাঠান ৷ ওদেরকে কুরআন পড়ানো, ইসলাম শিক্ষা দেয়৷ এবং
দীনের জ্ঞান শিক্ষা দেয়ার জন্যে তিনি তাকে নির্দেশ দেন ৷ বায়হাকী (র) ইবন ইসহাক থেকে
বর্ণনা করেছেন তিনি বলেছেন যে, আসিম ইবন উমর ইবন কাতাদ৷ ৷আমার নিকট বর্ণনা
করেছেন যে, মদীনাবাসিগণ একজন প্রশিক্ষক পাঠানোর জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট চিঠি
দেয়ার পর তিনি মুসআব ইবন উমায়র (রা)-কে,পাঠান ৷ মুসা ইবন উকবাও সেরুপ বর্ণনা
করেছেন, যেমনটি ইতোপুর্বে আলোচিত হয়েছে ৷ অবশ্য তিনি দ্বিতীয় বার প্রেরণকে প্রথম বার
প্রেরণ বলে উল্লেখ করেছেন ৷ বায়হাকী বলেন, ইবন ইসহাকের সনদ পুর্ণাঙ্গ ৷ ইবন ইসহাক
বলেন, আবদুল্লাহ ইবন অড়াবুবকর (রা ) বলতে ন, আকাবার প্রথম শপথ কি, তা আ ৷মি জানি না ৷
এরপর ইবন ইসহাক বলেন, হ্যা, আমি শপথ করে বলতে পারি, আকাবার শপথ একাধিকবার
অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৷ সকল বর্ণনাকারী বলেন, এরপর মুসআর ইবন উমায়র গিয়ে উঠেন আসআদ
ইবন যুরড়ারাহ-এর নিকট ৷ মদীনায় তিনি মুক্রী (প্রশিক্ষক) নামে পরিচিত ছিলেন ৷ ইবন
ইসহাক বলেন, আসিম ইবন উমর ইবন কাতাদ৷ আমাকে জানিয়েছেন যে, মুসআব ইবন
উমায়র নামাযে তাদের ইমামতি করতেন ৷ কারণ, আসে এবং খাযরড়াজ গোত্র চাইভাে না যে,
তাদের এক গোত্রের লোক অন্য গোত্রের ইমামতি করুক ৷ মহান আল্লাহ্ তাদের সকলের প্রতি
সন্তুষ্ট হোন ৷


وَفِيهَا ذِكْرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى إِذَا كَانَ الْعَامُ الْمُقْبِلُ، وَافَى الْمَوْسِمَ مِنَ الْأَنْصَارِ اثْنَا عَشَرَ رَجُلًا، وَهُمْ أَبُو أُمَامَةَ أَسْعَدُ بْنُ زُرَارَةَ، الْمُتَقَدِّمُ ذِكْرُهُ، وَعَوْفُ بْنُ الْحَارِثِ الْمُتَقَدِّمُ، وَأَخُوهُ مُعَاذٌ، وَهْمَا ابْنَا عَفْرَاءَ، وَرَافِعُ بْنُ مَالِكٍ الْمُتَقَدِّمُ أَيْضًا، وَذَكْوَانُ بْنُ عَبْدِ قَيْسِ بْنِ خَلْدَةَ بْنِ مُخَلَّدِ بْنِ عَامِرِ بْنِ زُرَيْقٍ الزُّرَقِيُّ، - قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَهُوَ أَنْصَارِيٌّ مُهَاجِرِيٌّ - وَعُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ بْنِ قَيْسِ بْنِ أَصْرَمَ بْنِ فِهْرِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ غَنْمِ بْنِ عَوْفِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفِ بْنِ الْخَزْرَجِ، وَحَلِيفُهُمْ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ يَزِيدُ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ خَزْمَةَ بْنِ أَصْرَمَ الْبَلَوِيُّ، وَالْعَبَّاسُ بْنُ عُبَادَةَ بْنِ نَضْلَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ الْعَجْلَانِ بْنِ زَيْدِ بْنِ غَنْمِ بْنِ سَالِمِ بْنِ عَوْفِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفِ بْنِ الْخَزْرَجِ الْعَجْلَانِيُّ، وَعُقْبَةُ بْنُ عَامِرِ بْنِ نَابِي الْمُتَقَدِّمُ ذِكْرُهُ، وَقُطْبَةُ بْنُ عَامِرِ بْنِ حَدِيدَةَ الْمُتَقَدِّمُ، فَهَؤُلَاءِ عَشَرَةٌ مِنَ الْخَزْرَجِ، وَمِنَ الْأَوْسِ اثْنَانِ وَهُمَا; عُوَيْمُ بْنُ سَاعِدَةَ، وَأَبُو الْهَيْثَمِ مَالِكُ بْنُ التَّيِّهَانِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: التَّيِّهَانُ يُخَفَّفُ وَيُثَقَّلُ كَمَيْتٍ وَمَيِّتٍ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: أَبُو الْهَيْثَمِ بْنُ التَّيِّهَانِ اسْمُهُ مَالِكُ بْنُ مَالِكِ بْنِ عَتِيكِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ الْأَعْلَمِ بْنِ عَامِرِ بْنِ زَعْوَرِ بْنِ جُشَمَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ بْنِ عَمْرِو بْنِ مَالِكِ بْنِ الْأَوْسِ. قَالَ: وَقِيلَ: إِنَّهُ إِرَاشِيٌّ. وَقِيلَ: بَلَوِيٌّ. وَلِهَذَا لَمْ يَنْسِبْهُ