আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

إسلام إياس بن معاذ

পৃষ্ঠা - ২০৮০


বললেন হীা, তা বটে ৷ তিনি বললেন, তবে একটু বসবেন কি ? আমি কিছু কথা বলতে চাই ৷
তারা বললেন, ছুৰু৷ , বসতে পারি ৷ র্তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট বসলেন ৷ তিনি তাদেরকে
আল্লাহর দিকে দাওয়াত দিলেন এবং ইসলামগ্রহণের অনুরোধ জানালেন ৷ তিনি তাদেরকে
কুরআন তিলাওয়াত করে শুনালেন ৷ বর্ণনড়াকারী বলেন, তাদের ইসলামগ্রহণের পরিবেশ আল্লাহ
তাআলা এভাবে তৈরী করলেন যে, তাদের দেশে এক সাথে ইয়াহুদীরা বসবাস করত ৷
ইয়াহুদীরা আসমানী কিতাবধারী এবং জ্ঞান-সমৃদ্ধ লোক ছিল ৷ আর খাযরাজ গোত্রের লোকেরা
ছিল ঘুশব্রিক ও মৃর্তিপুজারী ৷ ইয়াহুদীদের সাথে প্রায়ই মুশরিকদেব যুদ্ধ-বিপ্রহ সংঘটিত হত ৷
দ্বন্দু-সংথ্যাতর সময় ইয়াহ্রদীরা এ বলে ওদেরকে ভয় দেখাত যে, অবিলম্বে একজন নবী প্রেরিত
হবেন ৷ আমরা তার অনুসরণ করব এবং তার সাথী হয়ে তােমাদ্যোৱক হত্যা ও ধ্বংস করব ৷
যেমন ধ্বংস হয়েছিল আদ ও ছামুদ সম্প্রদায় ৷ এ মাত্রায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন খাযরাজী
লোকদের সাথে আলাপ করলেন এবং তাদেরকে আল্লাহর দিকে আহ্বান জানালেন, তখন তারা
নিজেরা বলাবলি করলো, হে লোক সকল, তোমরা বুঝতেই পারছধ্ যে, ইনি সেই নবী-
ইয়াহ্রদীরা যার কথা বলে তােমড়াদেরকে ভয় দেখাত ৷ শুনে নাও, ওরা যেন তোমাদের আগে এই
নবীর ঘনিষ্ঠ হতে না পারে ৷ ফলে তারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আহ্বানে সাড়া দিলেন, তার প্রস্তাব
গ্রহণ করলেন, তাকে সতবােদী রুপে মেনে নিলেন এবং ইসলামে দীক্ষিত হলেন ৷ তারা
বললেন, আমরা তো আমাদের কতক লোককে দেশে রেখে এসেছি ৷ আমাদের লোকজনের
মধ্যে পরস্পর যেরুপ শত্রুতা রয়েছে সচরাচর সেরুপ শত্রুতা অন্য সম্প্রদায়ের মধ্যে দেখা যায়
না ৷ আমরা আশা করছি যে, আপনার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা আমাদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা
করে দিবেন ৷ আমরা অবিলম্বে তাদের নিকট ফিরে বার এবং আমরা যে দীন গ্রহণ করলাম ওই
দীন গ্রহণের জন্যে আমরা তাদেরকে আহ্বান জানাবাে ৷ আল্লাহ তাআলা ওদেরকেও যদি
আপনার সাথে জোটবদ্ধ করে দেন, তবে আপনার চাইতে শক্তিশালী অন্য কেউ থাকবে না ৷
বস্তুত ঈমান আনয়ন করে এবং সত্য লাভ করে তারা নিজ দেশে ফিরে পেলেন

ইবন ইসহাক বলেন, আমি যতটুকু জানতে পেয়েছি, সে অনুযায়ী ওই দলে ছিলেন ছয় জন
লোক ৷ তারা সকলে খাযরাজ গোত্রের লোক ৷ তারা হলেন( ১ ) আবু উমামা আসআদ ইবন
যুরারাহ ইবন আদ্দাস ইবন উবায়দ ইবন ছালাবা ইবন গানাম ইবন মালিক ইবন নাজ্জার ৷ আবু
নৃআয়ম বলেন, কারো কারো মতে আবু উমামা হলেন খাযরাজ গোত্রের প্রথম ইসলাম প্রহণকারী
আনসাবী ব্যক্তি ৷ আর আওস গোত্রের প্রথম ইসলাম প্রহণকারী ব্যক্তি হচ্ছেন আবুল হায়ছাম
ইবন তায়হান ৷১ মতাম্ভরে আওস গোত্রের প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী হলেন রাফি’ ইবন মালিক ও
মুআয ইবন আফরা (রা) ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷( ২) আওস ইবন হড়ারিছ ইবন রিফাআ ইবন
সাওয়াদ ইবন মালিক ইবন পানাম ইবন মালিক ইবন নাজ্জার ৷ ইনিও আফরার পুত্র ৷ দু’জনই
নাজ্জার গোত্রভুক্ত ৷ (৩) রাফি’ ইবন মালিক ইবন আজলান ইবন আমর ইবন যুরায়ক যুরাকী ৷
(৪ ) কুতরা ইবন আমির ইবন হাদীদা ইবন আমর ইবন গনোম ইবন সাওয়াদ ইবন পানাম ইবন
কাআব ইবন সালামা ইবন সাআদ ইবন আলী ইবন আসাদ ইবন সারিদা২ ইবন তাযীদ ইবন



১ মুল আরবী গ্রন্থে এখানে তাহ্য়ান মুদ্রিত রয়েছে ;
২ মুল কিভাবে রয়েছে সাওয়াহ ইবন যায়দ ৷ সেটি ভুল ৷ সীরাতে ইবন হিশামে আছে সারিদা ইবন ইয়াষীদ ৷


تَعْبُدُوهُ مِنْ شَيْءٍ عَمِلْتُمُوهُ، وَأَنَا أَدْعُو إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ، وَشَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ، وَصِلَةِ الرَّحِمِ، وَتَرْكِ الْعُدْوَانِ، وَإِنْ غَضِبَ النَّاسُ ". فَقَالَا: وَاللَّهِ لَوْ كَانَ هَذَا الَّذِي تَدْعُو إِلَيْهِ بَاطِلًا، لَكَانَ مِنْ مَعَالِي الْأُمُورِ، وَمَحَاسِنِ الْأَخْلَاقِ، فَأَمْسِكْ رَاحِلَتَيْنَا حَتَّى نَأْتِيَ الْبَيْتَ. فَجَلَسَ عِنْدَهُ مُعَاذُ ابْنُ عَفْرَاءَ. قَالَ رَافِعٌ: وَجِئْتَ الْبَيْتَ فَطُفْتُ، وَأَخْرَجْتُ سَبْعَةَ قِدَاحٍ، وَجَعَلْتُ لَهُ مِنْهَا قَدَحًا، فَاسْتَقْبَلْتُ الْبَيْتَ، فَقُلْتُ: اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ مَا يَدْعُو إِلَيْهِ مُحَمَّدٌ حَقًّا فَأَخْرِجْ قِدْحَهُ. سَبْعَ مَرَّاتٍ، فَضَرَبْتُ بِهَا سَبْعَ مَرَّاتٍ، فَصِحْتُ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ. فَاجْتَمَعَ النَّاسُ عَلَيَّ، وَقَالُوا: مَجْنُونٌ، رَجُلٌ صَبَأَ. فَقُلْتُ: بَلْ رَجُلٌ مُؤْمِنٌ. ثُمَّ جِئْتُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَعْلَى مَكَّةَ، فَلَمَّا رَآنِي مُعَاذُ ابْنُ عَفْرَاءَ، قَالَ: لَقَدْ جِئْتَ بِوَجْهٍ مَا ذَهَبْتَ بِهِ، رَافِعُ. فَجِئْتُ وَآمَنْتُ، وَعَلَّمَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُورَةَ " يُوسُفَ " وَ " {اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ} [العلق: 1] "، ثُمَّ خَرَجْنَا رَاجِعِينَ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَلَمَّا كُنَّا بِالْعَقِيقِ، قَالَ مُعَاذٌ: إِنِّي لَمْ أَطْرُقْ لَيْلًا قَطُّ، فَبِتْ بِنَا حَتَّى نُصْبِحَ. فَقُلْتُ: أَبِيتُ وَمَعِي مَا مَعِي مِنَ الْخَيْرِ؟! مَا كُنْتُ لِأَفْعَلَ. وَكَانَ رَافِعٌ إِذَا خَرَجَ سَفَرًا ثُمَّ قَدِمَ عَرَّضَ قَوْمَهُ» إِسْنَادٌ وَسِيَاقٌ حَسَنٌ.