আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

إسلام إياس بن معاذ

পৃষ্ঠা - ২০৭৮


আমি তাদেরকে আহ্বান জানাই তারা যেন আল্লাহর ইবাদত করে, তার সাথে কাউকে শরীক না
করে ৷ আল্লাহ তাআলা আমার প্ৰতি কিতাব নাযিল করেছেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা ) তাদের
নিকট ইসলামের পরিচয় তুলে ধরেন এবং তাদের নিকট কুরআন তিলাওয়াত করেন ৷ তখন
ইয়াস ইবন মুআয বললেন, তিনি তখন একজন নবীন যুবক) হে আমার সম্প্রদায়, আপনারা যে
উদ্দেশ্যে এসেছেন তার চাইতে এটি অধিকতর উত্তম ও কল্যাণকর ৷ একথা শুনে দলনেতা
আবুল হায়সার আনাস ইবন রাফি’ এক মুঠো র্কাকরযুক্ত মাটি নিয়ে ইয়াস ইবন মুআয-এর মুখে
নিক্ষেপ করে ৷ রাসুলুল্লাহ (না)-এর উদ্দেশ্যে সে বলে, আপনি চলে মনে আপনার সাথে
আমাদের কোন সম্পর্ক নেই ৷ আমরা অন্য কাজে এসেছি ৷ ইয়ান চুপ হয়ে গেল ৷ রাসুল (সা)
উঠে এলেন ৷ ওরা মদীনায় ফিরে গেল ৷ ইতোমধ্যে আওস ও খাযরাজ <:গড়াত্রের মধ্যে বুআছ যুদ্ধ
সংঘটিত হল ৷ অল্প কিছু দিনের মধ্যে ইয়াস-এর মৃত্যু হয় ৷ মাহমুস ইবন লাবীদ বলেন
ইয়াসের সম্প্রদায়ের লোকজন আমাকে বলেছে যে, ওরা তাকে দেখেছে যে , সে সব সময়
সুবহড়ানাল্লাহ্, আলহামদৃ লিল্লাহ্, আল্লাহ আকবর ও লা-ইলাহা ইল্লল্লাহ্ পাঠ করতো ৷ আমৃত্যু
সে নিয়মিত এগুলো পাঠ করেছে ৷ সে যে মুসলমান রুপে মৃত্যুবরণ করোচ্চু তাতে কারো সন্দেহ
নেই ৷ ওই মজলিসে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মুখে সে যা শুনেছে তার্তেহ সে ইসলামের মর্ম
উপলব্ধি করে এবং ইসলামের প্ৰতি আকৃষ্ট হয় ৷

বুআছ যুদ্ধের ব্যাখ্যায় আমি বলি যে, মদীনায় একটি স্থানের নাম বুআছ ! সেখানে একটি
প্রচণ্ড ও ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয় আওস ও খাযরাজ গোত্রের মধ্যে ৷ উভয় গোত্রের বহু সড্রান্ত
ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ওই যুদ্ধে নিহত হয় ৷ মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন নেতা জীবিত ছিল ৷
ইমাম বুখড়ারী (র) তার সহীহ্ গ্রন্থে উবায়দ ইবন ইসমাঈল আইশা (রা) থেকে বর্ণনা
করেছেন যে , তিনি বলেছেন, বুআছ যুদ্ধের দিনটি একটি উল্লেখষেগ্যে দিন ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা)এর মিশনের সাফল্যের পটভুমিরুপে আল্লাহ তাআল ওই দিনটি দান করেছেন ৷ এই
যুদ্ধের পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় আগমন করেন ৷ যুদ্ধের ফলে তখন মদীনায় নেতারা১
পরস্পর বিচ্ছিন্ন ও সম্পর্কহীন ছিল ৷ ইতোমধ্যে ওদের বড় বড় নেতারা নিহত হয়েছিল ৷

পরিচ্ছেদ
আনসারগণের ইসলামগ্রহণের সুচনা

ইবন ইসহড়াক বলেন , যখন আল্লাহ তাআলা তার দীনকে বিজয়ী করার , নবীকে সম্মানিত
করার এবং নবীকে দেয়া তীর প্রতিশ্রুতি পুরণ করার ইচ্ছা করলেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
হহুজ্জর মওসুমে কতক আনসড়ারী লোকের সঙ্গে সাক্ষাত করলেন ৷ তখনও তিনি অন্যান্য বারের
ন্যায় নিজেকে আরব পােত্রগুলোর নিকট পেশ করলেন ৷ এক সময় তিনি আকারায় এসে
উপস্থিত হলেন ৷ সেখানে খাযরাজ গোত্রের কিছু লোকের সাথে তার সাক্ষাত হয় ৷ আল্লাহ
তাআলা ওই লোকগুলোর কল্যাণ চেয়েছিলেন ৷ নিজ সম্প্রদায়ের বয়োবৃদ্ধ লোকদের সুত্রে
আসিম ইবন উমর ইবন কাতাদা আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে তাদের সাথে যখন
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাক্ষাত হয়, তখন তিনি বলেছিলেন, আপনারা কোন গোত্রের লোক ?
তারা বললেন, আমরা খাযরাজ গোত্রের লোক ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন ইয়াহুদীদের মিত্র ? র্তারা


بْنُ لَبِيدٍ: فَأَخْبَرَنِي مَنْ حَضَرَنِي مِنْ قَوُمِهِ أَنَّهُمْ لَمْ يَزَالُوا يَسْمَعُونَهُ يُهَلِّلُ اللَّهَ، وَيُكَبِّرُهُ، وَيُحَمِّدُهُ، وَيُسَبِّحُهُ حَتَّى مَاتَ، فَمَا كَانُوا يَشُكُّونَ أَنَّهُ قَدْ مَاتَ مُسْلِمًا، لَقَدْ كَانَ اسْتَشْعَرَ الْإِسْلَامَ فِي ذَلِكَ الْمَجْلِسِ حِينَ سَمِعَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا سَمِعَ» . قُلْتُ: كَانَ يَوْمُ بُعَاثَ، وَبُعَاثُ مَوْضِعٌ بِالْمَدِينَةِ، كَانَتْ فِيهِ وَقْعَةٌ عَظِيمَةٌ قُتِلَ فِيهَا خَلْقٌ مِنْ أَشْرَافِ الْأَوْسِ وَالْخَزْرَجِ وَكُبَرَائِهِمْ، وَلَمْ يَبْقَ مِنْ شُيُوخِهِمْ إِلَّا الْقَلِيلُ. وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ " عَنْ عُبَيْدِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «كَانَ يَوْمُ بُعَاثَ يَوْمًا قَدَّمَهُ اللَّهُ لِرَسُولِهِ، قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ وَقَدِ افْتَرَقَ مَلَؤُهُمْ وَقُتِلَتْ سَرَاتُهُمْ» . وَقَالَ أَبُو زَرْعَةَ الرَّازِيُّ فِي كِتَابِهِ " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ ": بَابُ إِسْلَامِ رَافِعِ بْنِ مَالِكٍ، وَمُعَاذِ بْنِ عَفْرَاءَ، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَحْيَى بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبَّادِ