আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

فصل في عرض رسول الله صلى الله عليه وسلم نفسه الكريمة على أحياء العرب في مواسم الحج

পৃষ্ঠা - ২০৬৮


আবু বকর (রা)-এর নিকটে ৷ আবু বকর (রা) বললেন, তোমাদের সংখ্যা কত ? সে বলল,
আমাদের লোকসংখ্যা এক হাজারের উপরে ৷ এ সংখ্যাকে কম মনে করো না ৷ আমাদের হাজার
লোকের এই দল কখনো পরাজিত হয় না ৷ আবু বকর (বা) বললেন, (তামাদের নিরাপত্তা
পদ্ধতি কেমন ? সে বলল, আমরা অভাব-অনটনে আছি ৷ তবে আমাদের প্ৰতেব্রুকেই কঠোর
পরিশ্রমী এবং নিজ নিজ নিরাপত্তা রক্ষায় সচেষ্ট ৷ আবু বকর (বা) বললেন, তোমাদের মাঝে
এবং তোমাদের শত্রুদের মাঝে যুদ্ধ বিগ্রহের ফলাফল কেমন ? মাফরুক বলল, আমরা যখন
ক্রদ্ধ হই, তখন আমরা প্রচণ্ডভাবে শত্রুর যুকাবিলা করি ৷ আমরা ছেলে ণ্মযেদের চাইতে বলিষ্ঠ
অশ্বদলকে প্রাধান্য দেই ৷ দুগ্ধবতী উদ্রীর চাইতে যুদ্ধাস্ত্রকে সাহায্য তো আসে আল্লাহর পক্ষ
থেকে ৷ কখনো আমরা বিজয়ী হই, কখনো হই পরাজিত ৷ আমার মনে হয় আপনি কুরায়শ
গোত্রের লোক ৷ হযরত আবু বকর (বা) বললেন, তোমরা শুনে থাকতে পাব যে, আল্লাহর রাসুল
এস্যেছন ৷ এই যে, ইনি সেই রাসুল ৷ মাফরুক বলল, আমরা অবশ্য শুনেছি যে তিনি তা বলে
থাকেন ৷ এবার সে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দিকে তাকাল ৷ রাসুলুল্লাহ (না) বলে পড়লেন ৷ আবু
বকর (রা) নিজ কাপড় দ্বারা ৩ারে১ ছায়া দিওে লাগণেন ৷ রাসুপুল্লাহ ৷ সা) বললেন, “আমি
তোমাদেরকে আহ্বান করছি যাতে তোমরা সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই ৷
তিনি একক-লা শরীক ৷ আর একথা সাক্ষ্য দাও যে, আমি আল্লাহর রাসুল ৷ তোমরা আমাকে
যেন আশ্রয় দাও এবং সাহায্য কর যাতে আল্লাহ আমাকে যে নির্দেশ দিয়েছেন আমি তা
সোকজনের নিকট প্রচার করতে পারি ৷ কুরায়শরা আল্লাহর নির্দেশের বিরুদ্ধে র্দড়াড়িয়েছে ৷ তারা
আল্লাহর রাসুলকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং সত্য বাদ দিয়ে মিথ্যার মধ্যে ডুবে আছে ৷ আল্লাহ
কারো মুখাপেক্ষী নন ৷ তিনি প্রশংসাহ ৷

মাফরুক বলল, হে কুরায়শী ভাই ! আপনি আর কোন বিষয়ে দাওয়াত দেন ? উত্তরে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তিলাওয়াত করলেন :



৫াৰু৷ ব্লু,পু ১৷ ৷, ড্রু;, ৷ ধ্ন্ ৷,হ্রর্স্ট,পু;’; ৰুা৷ ”,হ্রট্রুাহ্র ,ট্ট’ঝু , ন্,;ঢু, ং,দ্বু;৷ ৷ট্রু,া;; পুা’;

বল, এসো, তোমাদের প্ৰতিপালক তোমাদের জন্যে যা নিষিদ্ধ করেছেন তোমাদেরকে তা
পাঠ করে শুনাই ৷ তা এই?, তোমরা তার কোন শরীক নির্ধারণ করবে না ৷ পিতামাতার প্রতি
সদ্ব্যবহার করবে ৷ দারিদ্রোর আশংকায় তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না ৷
আমিই তোমাদেরকে এবং তাদেরকে রিযিক দিয়ে থাকি ৷ প্রকাশ্য হোক কিৎবা গোপন হোক
অশ্লীল আচরণের নিকটেও যাবে না, আল্লাহ যা হত্যা করা নিষিদ্ধ করেছেন যথার্থ কারণ
ব্যতিরেকে তাকে হত্যা করবে না ৷ তোমাদেরকে তিনি এই নির্দেশ দিলেন যাতে তোমরা
অনুধাবন কর ৷ ইয়াতীম বয়প্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সুদুদ্দেশ্য ছাড়া তার সম্পত্তির নিকটবর্তী হবে
না এবং পরিমাণ ও ওজন ন্যায্যতাবে পুরোপুরি দেবে ৷ আমি কাউকে তার সাধ্যাভীত তার
অর্পণ করি না ৷ যখন তোমরা কথা বলবে, তখন ন্যায় কথা বলবে স্বজনের সম্পর্কে হলেও
এবং আল্লাহ প্রদত্ত অংগীকার পুর্ণ করবে ৷ এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন


أُفِكَ قَوْمٌ كَذَّبُوكَ، وَظَاهَرُوا عَلَيْكَ - وَكَأَنَّهُ أَحَبَّ أَنْ يَشْرَكَهُ فِي الْكَلَامِ هَانِئُ بْنُ قَبِيصَةَ - فَقَالَ: وَهَذَا هَانِئُ بْنُ قَبِيصَةَ شَيْخُنَا وَصَاحِبُ دِينِنَا. فَقَالَ لَهُ هَانِئٌ: قَدْ سَمِعْتُ مَقَالَتَكَ يَا أَخَا قُرَيْشٍ، وَصَدَّقْتُ قَوْلَكَ، وَإِنِّي أَرَى أَنَّ تَرْكَنَا دِينَنَا وَاتِّبَاعَنَا إِيَّاكَ عَلَى دِينِكَ - لِمَجْلِسٍ جَلَسْتَهُ إِلَيْنَا لَيْسَ لَهُ أَوَّلُ وَلَا آخِرٌ، لَمْ نَتَفَكَّرْ فِي أَمْرِكَ وَنَنْظُرْ فِي عَاقِبَةِ مَا تَدْعُو إِلَيْهِ - زَلَّةٌ فِي الرَّأْيِ وَطَيْشَةٌ فِي الْعَقْلِ وَقِلَّةُ نَظَرٍ فِي الْعَاقِبَةِ، وَإِنَّمَا تَكُونُ الزَّلَّةُ مَعَ الْعَجَلَةِ، وَإِنَّ مِنْ وَرَائِنَا قَوْمًا نَكْرَهُ أَنْ نَعْقِدَ عَلَيْهِمْ عَقْدًا، وَلَكِنْ تَرْجِعُ وَنَرْجِعُ وَتَنْظُرُ وَنَنْظُرُ - وَكَأَنَّهُ أَحَبَّ أَنْ يَشْرَكَهُ فِي الْكَلَامِ الْمُثَنَّى بْنُ حَارِثَةَ - فَقَالَ: وَهَذَا الْمُثَنَّى شَيْخُنَا وَصَاحِبُ حَرْبِنَا. فَقَالَ الْمُثَنَّى: قَدْ سَمِعْتُ مَقَالَتَكَ، وَاسْتَحْسَنْتُ قَوْلَكَ يَا أَخَا قُرَيْشٍ، وَأَعْجَبَنِي مَا تَكَلَّمْتَ بِهِ، وَالْجَوَابُ هُوَ جَوَابُ هَانِئِ بْنِ قَبِيصَةَ، وَتَرْكُنَا دِينَنَا وَاتِّبَاعُنَا إِيَّاكَ لِمَجْلِسٍ جَلَسْتَهُ إِلَيْنَا، وَإِنَّا إِنَّمَا نَزَلْنَا بَيْنَ صِيرَيْنِ; أَحَدُهُمَا الْيَمَامَةُ، وَالْآخَرُ السَّمَامَةُ.، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَمَا هَذَانَ الصِّيرَانِ؟ " فَقَالَ لَهُ: أَمَّا أَحَدُهُمَا فَطُفُوفُ الْبَرِّ وَأَرْضُ الْعَرَبِ، وَأَمَّا الْآخَرُ فَأَرْضُ فَارِسَ وَأَنْهَارُ كِسْرَى، وَإِنَّمَا نَزَلْنَا عَلَى عَهْدٍ أَخَذَهُ عَلَيْنَا كِسْرَى أَنْ لَا نُحْدِثَ حَدَثًا وَلَا نُؤْوِيَ مُحْدِثًا، وَلَعَلَّ هَذَا الْأَمْرَ الَّذِي تَدْعُونَا إِلَيْهِ مِمَّا تَكْرَهُهُ