আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

فصل في وفاة خديجة بنت خويلد وذكر شيء من فضائلها ومناقبها

পৃষ্ঠা - ২০২৮


খাদীজা (রা)-এর প্রতি যত ঈর্ষাকাতর ছিলাম রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর অন্য কোন সহধর্মিণীর প্ৰতি
তেমনটা ছিলাম না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে আমার বিবাহের পুবেই খাদীজা (রা) এর
ওফাত হয় ৷ ঈর্ষা৩ক৷ র ছিলাম এ জন্যে যে আমি তাকে বারবার খাদীজা (রা) এর কথা
আলোচনা করতে শুনতাম ৷ উপরন্তু আল্লাহ্৩ ত৷ আল৷ রাসুল (না)-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন তাকে
জান্নাতে ঘুক্তার তৈরী একটি বাসগৃহের সংবাদ দিতে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) কখনো বকরীয

করলে খাদীজা (রা) এর বান্ধবীদের নিকট যথাসাধ্য অধিক পরিমাণে ৷গোশত পাঠাবু৩ ন ৷ এটি
ইমাম বৃখারীর ভাষ্য ৷

অন্য এক বংনািয় আছে, হযরত আইশ৷ (বা) বলেন, খাদীজা (রা)-এর প্ৰতি আমি যত

৩ছিলাম রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর অন্য কোন সহধর্মিণীর প্ৰতি আমি ড্ড ঈর্ষাম্বিত ছিলাম
না ৷ যারাসুলুল্লাহ্ (সা ) অধিক পরিমাণে তার কথা আলোচনা করচে ন বলে আমিত ৷করতাম ৷
তার ইনতিকালের তিন বছর পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে বিয়ে করেন ৷ আল্লাহ তা আলা

জিবরাঈল (আ )এর মাধ্যমে বাসুলুল্লাহ্ (না)-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন খাদীজা (রা ) £ক জান্নাতে
মুক্তার তৈরী একটি বাসগৃহের সংবাদ দেয়ার জন্যে ৷ ইমাম বুখারী (র) এর অন্য এক বর্ণনায়
আছে হযরত আইশা (রা) বলেন, আমি খাদীজা ৷(রা) এর প্রতি যত ঈর্ষাকাত র ছিলাম অন্য
কারো প্রতি ততট৷ ছিলাম না ৷ আমি তাকে দেখিনি কিন্তু রাসুলুল্লাহ (সা ) অনেক বেশী বেশী
তার আলোচনা করতেন ৷ কোন কোন সময় বকরী যবাহ্ করলে তার কতক অঙ্গ প্ৰত্যঙ্গ তিনি
খাদীজার (রা) বান্ধবীদের জন্যে পাঠিয়ে দিতেন ৷ মাঝে মাঝে আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে
বলতাম, দুনিয়াতে যেন খাদীজাছ ছাড়া আর কোন মহিলাই ছিল না ৷ তখন তিনি বলতেন, সে
তো শ্রীর ন্যায় শ্রী ছিল বটে ৷ তার ঘরেই আমার ছেলেমেয়ে জন্ম নিয়েছিল ৷

এরপর ইমাম বুখারী (র) বলেছেন, ইসমাঈল আইশা (বা ) সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেছেন, খুওয়াইলিদের কন্যা এবং খাদীজার (রা) বোন হালাহ একদিন রাসুলুল্লাহ (সা) এর
নিকট প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করলেন ৷৩ তার কণ্ঠস্বর শুনে খাদীজা (রা) এর অনুমতি প্রা৭নাি
করার কথা রাসুল (সা )-এর মনে পড়ল ৷ তাতে তিনি ব্যাকুল হয়ে উঠলেন এবং বললেন, হায়
আল্লাহ্ ৷ এ যে হালাহ্ এসেছে ৷ এ ঘটনায় আমি ঈর্ষাম্বিত হলাম এবং বাংলায় আপনার কী হল
যে, রক্তিম দু চোয়াল বিশিষ্ট কুরায়শী এক বুড়ীর কথা আপনি বারবার স্মরণ করছেন ৷ সে তো ,
করেই কালের আবর্তে হারিয়ে গেছে ৷ তার উত্তম বিকল্প আল্লাহ তাআল৷ আপনাকে দান
করেছেন ৷ ইমাম মুসলিম (ব) সুওয়াইদ আলী ইবন মৃসহির থেকে অনুরুপ বর্ণনা
করেছেন ৷ এতে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, হযরত আইশা (রা) হযরত খাদীজা (রা)-এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ
ছিলেন সম্মানের দিক থেকে হোক কিত্বা দাম্পত্য জীবনের দিক থেকে হোক ৷ কারণ, রাসুলুল্লাহ্
(সা) হযরত আইশা (রা)-এর উপরোক্ত মন্তব্য প্ৰত্যাথ্যান করেননি এবং এর কোন উত্তরও
দেননি ৷ ইমাম বুখারী (র) এর বর্ণনা থেকে তা প্রতীয়মান হয় ৷

পক্ষাম্ভরে ইমাম আহমদ হযরত আইশা (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, একদিন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত খাদীজা (বা) সম্পর্কে আলোচনা করলেন ৷ তার প্রশংসা তিনি আনেক


عَلَيْهِ يَوْمًا، وَلَا آذَتْهُ أَبَدًا. وَأَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّهَا قَالَتْ: «مَا غِرْتُ عَلَى امْرَأَةٍ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا غِرْتُ عَلَى خَدِيجَةَ - وَهَلَكَتْ قَبْلَ أَنْ يَتَزَوَّجَنِي - لِمَا كُنْتُ أَسْمَعُهُ يَذْكُرُهَا، وَأَمَرَهُ اللَّهُ أَنْ يُبَشِّرَهَا بِبَيْتٍ مِنْ قَصَبٍ، وَإِنْ كَانَ لَيَذْبَحُ الشَّاةَ فَيُهْدِي فِي خَلَائِلِهَا مِنْهَا مَا يَسَعُهُنَّ.» لَفْظُ الْبُخَارِيِّ. وَفِي لَفْظٍ لَهُ عَنْ عَائِشَةَ: «مَا غِرْتُ عَلَى امْرَأَةٍ مَا غِرْتُ عَلَى خَدِيجَةَ، مِنْ كَثْرَةِ ذِكْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهَا، قَالَتْ: وَتُزَوَّجَنِي بَعْدَهَا بِثَلَاثِ سِنِينَ، وَأَمَرَهُ رَبُّهُ عَزَّ وَجَلَّ - أَوْ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ - أَنْ يُبَشِّرَهَا بِبَيْتٍ فِي الْجَنَّةِ مِنْ قَصَبٍ.» وَفِي لَفْظٍ لَهُ، قَالَتْ: «مَا غِرْتُ عَلَى أَحَدٍ مِنْ نِسَاءِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا غِرْتُ عَلَى خَدِيجَةَ، وَمَا رَأَيْتُهَا، وَلَكِنْ كَانَ يُكْثِرُ ذِكْرَهَا، وَرُبَّمَا ذَبَحَ الشَّاةَ، ثُمَّ يُقَطِّعُهَا أَعْضَاءً، ثُمَّ يَبْعَثُهَا فِي صَدَائِقِ خَدِيجَةَ، فَرُبَّمَا قُلْتُ لَهُ: كَأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ فِي الدُّنْيَا امْرَأَةٌ إِلَّا خَدِيجَةَ. فَيَقُولُ: " إِنَّهَا كَانَتْ وَكَانَتْ، وَكَانَ لِي مِنْهَا وَلَدٌ» ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ خَلِيلٍ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «اسْتَأْذَنَتْ