আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

فصل في وفاة أبي طالب عم رسول الله صلى الله عليه وسلم

পৃষ্ঠা - ২০১৬


বুঝি ঈমান আনয়ন করবেন ৷ তাই তিনি বলতে লাগলেন, চাচা তবে আপনি ওই কালেমাটি
বলুন, তাহলে কিয়ামতের দিনে আপনার জন্যে সুপারিশ করা আমার জন্যে বৈধ হবে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আগ্রহ দেখে আবু তালিব বললেন, ভাতিজা! যদি আমার মৃত্যুর পর
তোমাকে ও তোমার নিজ গোষ্ঠীর প্রতি পাল-মন্দের আশংকা না থাকত এবং আমি মৃত্যু ভয়ে

কালেমা পাঠ করতাম ৷ শুধুতে তোমাকে খুশী করার জন্যে আ ৷মি ওই কথাটি বলেছি ৷

অবশেষে আবু তালিবের মৃত্যুর মুহুর্তটি যখন খুবই নিকটবর্তী ৷ক্ষ্ল৷ , তখন আব্বাস তার
দিকে তাকিয়ে দেখলেন যে তার (ঠ ট দুটো নড়ছে ৷ আব্বাস ৩ ৷ব ৫ঠাটে নিজের কান লাগালেন
এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে ডেকে বললেন ভাতিজা ৷? আল্লাহর কসম আমার ভাইকে তুমি যা
বলতে অনুরোধ করেছিলে তিনি এখন তাই বলছেন৷ ৷রাসুলুল্লাহ্ (সা)াললেন আমি তো তা
শুনিনি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আগত কুরায়শ প্রতিনিধিদল সম্পর্কে আল্লাহ্ত তা জানা নাযিল
করলেন :

১ ১০

“ সােয়াদ, শপথ উপদেশপুর্ণ কুরআনের, তুমি অবশ্যই সত্যবাদী ৷ কিন্তু কাফিরর৷ ঔদ্ধত তা
ও বিরোধিতায় ডুবে আছে (৩৮ : ১ ২) ৷

তড়াফসীর গ্রন্থে আমি এ আয়াতের ব্যাখ্যা দিয়েছি ৷ উপরোক্ত হাদীছে উল্লিখিত হযরত
, আব্বাস (রা) এর বক্তব্য “ নিজ ! আমার ভাইকে ৩মি যা বলতে অনুরোধ করেছিলে অর্থাৎ
“লা ইলাহ৷ ইল্লাল্লাহ্” আমার তা ৷ই তো এখন তাই বললেন” দ্বারা প্রমাণ উপস্থাপন করে শিয়া
সম্প্রদায়ের কতক গৌড়া ব্যক্তি এই অভিমত পোষণ করে যে, আবৃত তালিব মুসলিম রুপে
ইনতিকাল করেছেন ৷৩ তাদের এই অভিমতে তর বিরুদ্ধে একাধিক যুক্তি পেশ করা যায় ৷ প্রথমত

এই হাদীছের সনদে অজ্ঞাত ব্যক্তি রয়েছে যার পরিচয় অস্পষ্ট ৷ যেমন বলা হয়েছে আবদুল্লাহ
ইবন মা বাদ তার পরিবারের জনৈক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ এতে সং শ্রিষ্ট ব্যক্তির নাম
এবং অবস্থা দুটে ই অজ্ঞাত ৩রয়েছে ৷ এ প্রকারের অস্পষ্টতাসম্পন্ন একক বর্ণনা অপ্রহণযোগ্য
বটে ৷ এ সম্পর্কে ইমাম আহমদ, নাসাঈ ও ইবন জারীর প্রমুখ আবু উসামা সাঈদ ইবন
জুবায়র থেকে বর্ণনা করেছেন কিন্তু ওই বর্ণনায় হযরত আব্বাস (রা)-এর বক্তব্য নেই ৷
সুফিয়ান ছাওরী সাঈদ ইবন জুবায়র (রা ) সুত্রে ইবন আব্বাস (বা) থেকে এই হাদীছথানা
বর্ণনা করেছেন কিন্তু তাতে হযরত আব্বাসের (বা) বক্তব্য নেই ৷ তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন
জারীর (র) এই বর্ণনা উল্লেখ করেছেন এবং ইমাম তিরমিযী এটি হাসান পর্যায়ের হাদীছ বলে
মন্তব্য করেছেন ৷ আল্লাম৷ বায়হাকী (র) ছাওরী ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন
যে তিনি বলেছেন, আবু৩ তালিব যখন মৃ৩ ভ্যু শয্যায, তখন কুরায়শের লোকজন তার নিকট
উপস্থিত ৩হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (মা) ছিলেন আবৃত তালিবের মাথার নিকট ৷ অন্য এক লোক এসে
সেখানে বসে পড়ে ৷ তাকে বাধা দেয়ার জন্যে আবু জাহ্ল উদ্যত হয় ৷ তারা সকলে আবু
তালিবের নিকট রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ করল ৷ এরপর তাকে উদ্দেশ্য
করে আবু তালিব বললেন, ভাতিজা! তে ৷মার সম্প্রদায়ের নিকট তুমি কি ঢাও ন্ উত্তরে


قَوْمِهِ; عُتْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَشَيْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَأَبُو جَهْلِ بْنُ هِشَامٍ، وَأُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ، وَأَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ، فِي رِجَالٍ مِنْ أَشْرَافِهِمْ، فَقَالُوا: يَا أَبَا طَالِبٍ، إِنَّكَ مِنَّا حَيْثُ قَدْ عَلِمْتَ، وَقَدْ حَضَرَكَ مَا تَرَى وَتَخَوَّفْنَا عَلَيْكَ، وَقَدْ عَلِمْتَ الَّذِي بَيْنَنَا وَبَيْنَ ابْنِ أَخِيكَ، فَادْعُهُ فَخُذْ لَنَا مِنْهُ وَخُذْ لَهُ مِنَّا; لِيَكُفَّ عَنَّا، وَلِنَكُفَّ عَنْهُ، وَلِيَدَعَنَا وَدِينَنَا، وَلِنَدَعَهُ وَدِينَهُ. فَبَعَثَ إِلَيْهِ أَبُو طَالِبٍ، فَجَاءَهُ، فَقَالَ: يَا ابْنَ أَخِي، هَؤُلَاءِ أَشْرَافُ قَوْمِكَ قَدِ اجْتَمَعُوا لَكَ، لِيُعْطُوكَ وَلِيَأْخُذُوا مِنْكَ. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " نَعَمْ، كَلِمَةٌ وَاحِدَةٌ تُعْطُونِيهَا، تَمْلِكُونَ بِهَا الْعَرَبَ، وَتَدِينُ لَكُمْ بِهَا الْعَجَمُ ". فَقَالَ أَبُو جَهْلٍ: نَعَمْ وَأَبِيكَ، وَعَشْرَ كَلَمَّاتٍ. قَالَ: " تَقُولُونَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَتَخْلَعُونَ مَا تَعْبُدُونَ مِنْ دُونِهِ ". قَالَ: فَصَفَّقُوا بِأَيْدِيهِمْ، ثُمَّ قَالُوا: يَا مُحَمَّدُ، أَتُرِيدُ أَنْ تَجْعَلَ الْآلِهَةَ إِلَهًا وَاحِدًا، إِنَّ أَمْرَكَ لَعَجَبٌ! قَالَ: ثُمَّ قَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: إِنَّهُ وَاللَّهِ مَا هَذَا الرَّجُلُ بِمُعْطِيكُمْ شَيْئًا مِمَّا تُرِيدُونَ، فَانْطَلِقُوا وَامْضُوا عَلَى دِينِ آبَائِكُمْ، حَتَّى يَحْكُمَ اللَّهُ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُ، ثُمَّ تَفَرَّقُوا. قَالَ: فَقَالَ أَبُو طَالِبٍ: وَاللَّهِ يَا ابْنَ أَخِي، مَا رَأَيْتُكَ سَأَلْتَهُمْ شَطَطًا. قَالَ: فَطَمِعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ، فَجَعَلَ يَقُولُ لَهُ: أَيْ عَمِّ، فَأَنْتَ فَقُلْهَا، أَسْتَحِلُّ لَكَ بِهَا الشَّفَاعَةَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، قَالَ: فَلَمَّا رَأَى حِرْصَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: يَا ابْنَ أَخِي، وَاللَّهِ لَوْلَا مَخَافَةُ السُّبَّةِ عَلَيْكَ، وَعَلَى بَنِي أَبِيكَ مِنْ بَعْدِي، وَأَنْ تَظُنَّ قُرَيْشٌ أَنِّي إِنَّمَا قُلْتُهَا جَزَعًا مِنَ الْمَوْتِ، لَقُلْتُهَا، لَا