আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

فصل في الإسراء برسول الله - صلى الله عليه وسلم - من مكة إلى بيت المقدس

পৃষ্ঠা - ১৯৮৮


জারীর এ অভিমত গ্রহণ করেছেন এবং পরবর্তী যুগের একদল উলামায়ে কিরাম তাকে অনুসরণ
করেছেন ৷ স্বচক্ষে দেখেছেন বলে যারা মত প্রকাশ করেছেন তাদের অন্যতম হলেন শায়খ
আবুল হাসান আশআরী ৷ সুহালী তাই বর্ণনা করেছেন ৷ শায়খ আবু যাকারিয়া নবভীও এমত
গ্রহণ করেছেন বলে তার ফ ৷তাওয়া গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে ৷

একদল বিশ্নেষক বলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কর্তৃক আল্লাহর দীদার লাভ সম্পর্কিত কোন
ঘটনা-ই ঘটেনি ৷ সহীহ্ মুসলিমে উল্লিখিত হযরত আবু যর (রা)--এর বর্ণিত একটি হাদীছের
সুত্র ধরে তারা এ কথা বলেন ৷ হযরত আবু বর (বা) বলেন, আমি বললাম ইয়া রাসুলাল্পাহ!
আপনি কি আপনার প্রতিপালককে দেখেছেন ? উত্তরে রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, :,:; ;;’;
০ ৷ ৷ বরং নুরই আমি প্র৩ ত্যক্ষ করেছি ৷ অপর বর্ণনায় আছে, তি ৷ন বলেছেন ৷ ধো ৷
আমি নুর দেখেছি ৷ এ প্রেক্ষিতে তারা বলেন যে, ধ্বংসশীল চক্ষুদ্বারা চিরন্তন সত্তাকে দেখার
ঘটনা ঘটেনি ৷ কোন কোন আসমানী কি৩ ৷বে বর্ণিত আছে যে আল্লাহ্ তা জানা হযরত মুসা
(আ)-কে বলেছিলেন, হে মুসা! কোন ভুচীবিত মানুষ আমাকে দেখলে তার নিশ্চিত মৃত্যু হবে
এবং কোন শুষ্ক বন্তু আমাকে দেখলে ভেঙ্গে চুর্ণ-বিচুর্ণ হয়ে যাবে ৷ অবশ্য এ বিষয়ে পুর্ববর্তী ও
পরবর্তী উলামায়ে কিরামের মধ্যকার মতভেদ সর্বজন বিদিত ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বায়তৃল মুকাদ্দাসে নেমে এলেন ৷ বাহ্যিকভাবে মনে হয় যে, মহান
আল্লাহর সান্নিধ্য থেকে ফিরোসার সময় অন্যান্য নবীগণও তার সম্মানড়ার্থে তার সাথে পৃথিবীতে
অবতরণ করেন ৷ সম্মানিত প্রতিনিধিগণের আগমনের ক্ষেত্রে যা ঘটে থাকে ৷ আগন্তুকের
আগমনের পুর্বে তার৷ কারো নিকট সমবেত হন না ৷ এজন্যেই উভ্রুর্ধ্ব আরোহণের সময় যখনই
যে নবীর পাশ দিয়ে অতিক্রম করেছেন, যে নবীর পরিচয় জানিয়ে এবং সে নবীকে সালামের
আহ্বান জানিয়ে হযরত জিবরাঈল (আ) রাসুলুল্লাহ্ (সা)-ণ্ক বলেছেন, ইনি অমুক, তাকে
সালাম দিন ৷ বন্তুত উর্ধ্বারোহণের পুর্বে যদি সবাই বাযতৃল মুকাদ্দাসে সমবেত হতেন, তাহলে
পুনরায় পরিচয় করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন হতো না ৷ এর পক্ষে একটি দলীল এই যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছেন, ংণ্ট্রুপ্,:র্দুর্দুণ্৷ হুপ্রুা;এ ৷ ;£এা’ এে যখন নামাযের সময় হলো, তখন আমি
তাদের ইমামতি করলাম ৷ ওই ওয়ার্কত নিশ্চয়ই ফজরের নামায়ের ওয়াক্ত ৷ আল্লাহর নির্দেশে
জিবরাঈল (আ) এর ইঙ্গিতে তিনি তাদের ইমড়ামতি করলেন ৷ এ ঘটনা থেকে জানা যায় যে,
কোন স্থানে অধিকতর মর্যাদাবান ইমাম উপস্থিত থাকলে সেখানে বাড়ীর মালিক নয় বরং উক্ত
ইমাম-ই ইমামতি করবেন ৷ কারণ, বাযতৃল মুকাদ্দাস অন্যান্য নবীদের মহল্লা ও বাসস্থান হওয়া
সত্বেও রাসুলুল্লাহ্ (সা) সেখানে ইমড়ামতি করেছেন ৷

এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) সেখান থেকে বের হয়ে বুরাঃক আরোহণ করলেন এবং মক্কায় ফিরে
এলেন ৷ তখন তিনি ছিলেন পরিপুর্ণ শান্ত সমাহিত ৷ ওই রাতে তিনি এমন সব ঘটনা ও নিদর্শন
দেখেছেন অন্য কোন লোক তার কিছুটা দেখলেও হতবিহ্বল ও অজ্ঞান হয়ে যেত ৷ কিন্তু
রাসুলুল্লাহ (মা) ছিলেন পরিপুর্ণভাবে স্থির ও শান্ত ৷ তবে তিনি আশংকা করছিলেন যে, এ
সংবাদ প্ৰকাশ্ ৷ করলে ত ৷র সম্প্রদায়ের লোকজন তাকে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করতে পারে ৷ তাই
তিনি প্রথমে নম্র ও হাল্কা ভাবে তাদেরকে ওই রাতে তার বাযতৃল মুকাদ্দাসে যাওয়ার ঘটনা


ذَرٍّ وَعَائِشَةُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ. وَالْأُولَى هِيَ قَوْلُهُ تَعَالَى: {عَلَّمَهُ شَدِيدُ الْقُوَى ذُو مِرَّةٍ فَاسْتَوَى وَهُوَ بِالْأُفُقِ الْأَعْلَى ثُمَّ دَنَا فَتَدَلَّى فَكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى فَأَوْحَى إِلَى عَبْدِهِ مَا أَوْحَى} [النجم: 5] [النَّجْمِ: 5 - 10] وَكَانَ ذَلِكَ بِالْأَبْطَحِ تَدَلَّى جِبْرِيلُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - سَادًّا عِظَمُ خَلْقِهِ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، حَتَّى كَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى، هَذَا هُوَ الصَّحِيحُ فِي " التَّفْسِيرِ " كَمَا دَلَّ عَلَيْهِ كَلَامُ أَكَابِرِ الصَّحَابَةِ الْمُتَقَدِّمِ ذِكْرُهُمْ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. فَأَمَّا قَوْلُ شَرِيكٍ عَنْ أَنَسٍ فِي حَدِيثِ الْإِسْرَاءِ: ثُمَّ دَنَا الْجَبَّارُ رَبُّ الْعِزَّةِ فَتَدَلَّى فَكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى. فَقَدْ يَكُونُ مِنْ فَهْمِ الرَّاوِي فَأَقْحَمَهُ فِي الْحَدِيثِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَإِنْ كَانَ مَحْفُوظًا، فَلَيْسَ بِتَفْسِيرٍ لِلْآيَةِ الْكَرِيمَةِ، بَلْ هُوَ شَيْءٌ آخَرُ غَيْرُ مَا دَلَّتْ عَلَيْهِ الْآيَةُ الْكَرِيمَةُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَفَرَضَ اللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى، عَلَى عَبْدِهِ مُحَمَّدٍ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَعَلَى أُمَّتِهِ الصَّلَوَاتِ لَيْلَتَئِذٍ، خَمْسِينَ صَلَاةً فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ، ثُمَّ لَمْ يَزَلْ يَخْتَلِفُ بَيْنَ مُوسَى وَبَيْنَ رَبِّهِ عَزَّ وَجَلَّ. حَتَّى وَضَعَهَا الرَّبُّ جَلَّ جَلَالُهُ، وَلَهُ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، إِلَى خَمْسٍ. وَقَالَ: «هِيَ خَمْسٌ وَهِيَ خَمْسُونَ: الْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا ".» فَحَصَلَ لَهُ التَّكْلِيمُ مِنَ الرَّبِّ عَزَّ وَجَلَّ لَيْلَتَئِذٍ، وَأَئِمَّةُ السُّنَّةِ كَالْمُطْبِقِينَ عَلَى هَذَا، وَاخْتَلَفُوا فِي الرُّؤْيَةِ ; فَقَالَ بَعْضُهُمْ: رَآهُ بِفُؤَادِهِ مَرَّتَيْنِ. قَالَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ