আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

فصل في الإسراء برسول الله - صلى الله عليه وسلم - من مكة إلى بيت المقدس

পৃষ্ঠা - ১৯৮৫


বাছাই করার ঘটনাও কি বায়তুল ঘুকাদ্দাসে ঘটেছে, না আকাশে ঘটেছে সে বিষয়েও ভিন্ন ভিন্ন
মত রয়েছে ৷

মােদ্দাকথা, বায়তুল মুকাদ্দাসের কাজকর্ম শেষ করার পর তার জন্যে উর্ধ্বারোহণের বাহন
প্রস্তুত করা হয় ৷ এটি ছিল একটি সিড়ি বিশেষ ৷ সেটিতে চড়ে তিনি আকাশে উঠলেন ৷ এ
সময়ে তিনি বুরাকে আরোহণ করেননি ৷ অবশ্য কেউ কেউ মনে করেন যে, এ সময়ে তিনি
বুরাকে আরোহণ করেছিলেন ৷ বুরাকটি বরং তখন বায়তুল মুকাদ্দাসের দরজায় বীধা ছিল ভ্রমণ
শেষে মক্কায় ফিরে আসার জন্যে ৷ মি’রাজে রাসুলুল্পাহ্ (না) এক আকাশ ছেড়ে অপর আকাশ
এরপর পরবর্তী আকাশ অতিক্রম করে পর্যায়ক্রমে সপ্তম আকাশ অতিক্রম করলেন ৷ প্রতেক
আকাশে সেখানকার নেতৃস্থানীয় ও বড় বড় ফোরশতাপণ এবং নবী-রাসুলগণ তার সাথে
সাক্ষাত করেন এবং তাকে অভিনন্দন জানান ৷ যে সকল নবীরাসুলের সাথে তীর সাক্ষাত
ঘটেছিল ৷ তিনি তাদের নামও উল্লেখ করেছেন ৷ যেমন প্রথম আকাশে হযরত আদম (আ),
দ্বিতীয় আকাশে ইয়াহ্য়া ও ঈসা (আ) ,১ চতুর্থ আকাশে ইদরীস (আ) এবং ষষ্ঠ আকাশে মুসা
(আ)-এর সাথে তার সাক্ষাত হয়েছে বলে বিশুদ্ধ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত ৷ আরো বর্ণিত আছে যে,
সপ্তম আকাশে সাক্ষাত হয়েছে ইব্রাহীম (আ)-এর সাথে ৷ তিনি সেখানে বায়তুল মামুরের
সাথে হেলান দিয়ে বসে ছিলেন ৷ বায়তুল মড়ামুরে প্রতিদিন সত্তর হাজার ফেরেশতা প্রবেশ
করেন ৷ র্তারা সেখানে নামায আদায় ও তাওয়াফ ইত্যাদি ইবাদত করে থাকেন ৷ এরপর বেরিয়ে
যান ৷ কিয়ড়ামত পর্যন্ত ওই ফেরেশতাপণ দ্বিতীয়বার বায়তুল মামৃরে আসবেন না ৷ এরপর তিনি
নবীদের অবস্থান-স্থল অতিক্রম করেন ৷ তিনি এমন এক সমতল স্থানে গিয়ে পৌছেন, যেখান
থেকে কলমের লেখন-শব্দ শুনতে পা চ্ছিলেন ৷ এক পর্যায়ে তার নিকট সিদরাতুল মুনৃতাহা
(সীমান্তের কুলবৃক্ষ) উপস্থিত করা হয় ৷ সেটির পাতাগুলো হাতির কানের মত এবং ফলগুলো
হিজর অঞ্চলের কলসীর মত ৷ তখন একাধিক উজ্জ্বল রংয়ের বিশেষ বন্তুসমুহ ওই কুল বৃক্ষকে
আচ্ছাদিত করে ফেলে ৷ বৃক্ষে ছড়ানাে পক্ষীকুলের ন্যায় ফেরেশতাগণ ওই বৃক্ষে আরোহণ
করে ৷ স্বর্ণের পতঙ্গণ্ডালা বৃক্ষটিতে উড়াউড়ি করতে থাকে ৷ আল্লাহ তাআলার ৫জ্যাতিতে ওই
বৃক্ষ আচ্ছাদিত হয়ে পড়ে ৷ প্রিয়নবী (না) তখন হযরত জিবরাঈল (আ)-ণ্ক তার নিজস্ব
অবয়বে দেখতে পান ৷ তীর ছয়শ’ পাখা ৷ এক পাখা থেকে অপর পাখার দুরতু যমীন থেকে
আসমড়ানের দুরত্বের সমান ৷ এ প্ৰসংঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন :



নিশ্চয়ই তিনি তাকে আরেক বার দেখেছিলেন সিদরাতুল মুনতড়াহার নিকট ৷ যার নিকট
অবস্থিত বাসােদ্যান ৷ তার দৃষ্টি বিভ্রম হয়নি দৃষ্টি লক্ষ্যচ্যুতও হয়নি (৫৩ : ৫) ৷ অর্থাৎ তার দৃষ্টি
লক্ষ্যন্থলে সীমাবদ্ধ ছিল ৷ ডানেও যায়নি, বামেও যায়নি কিৎবা উপরেও উঠেনি ৷ এটি হল



১ মুল কিভাবে ৩য় ও ৫ম আকাশের উল্লেখ নেই ৷ সীরাত-ই ইবন হিশামে আছে যে, তিনি ৩য় আকাশে
ইউনুস (আ) ও ৫ম আকাশে হারুন (আ) কে দেখেছেন ৷


فَأَصْعَدَنِي فِيهِ صَاحِبِي، حَتَّى انْتَهَى بِي إِلَى بَابٍ مِنْ أَبْوَابِ السَّمَاءِ، يُقَالُ لَهُ: بَابُ الْحَفَظَةِ. عَلَيْهِ مَلَكٌ مِنَ الْمَلَائِكَةِ يُقَالُ لَهُ: إِسْمَاعِيلُ. تَحْتَ يَدِهِ اثْنَا عَشَرَ أَلْفَ مَلَكٍ، تَحْتَ يَدَيْ كُلِّ مَلَكٍ مِنْهُمُ اثْنَا عَشَرَ أَلْفَ مَلَكَ ". قَالَ: يَقُولُ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - إِذَا حَدَّثَ بِهَذَا الْحَدِيثِ: {وَمَا يَعْلَمُ جُنُودُ رَبِّكَ إِلَّا هُوَ} [المدثر: 31] » [الْمُدَّثِّرِ: 31] ثُمَّ ذَكَرَ بَقِيَّةَ الْحَدِيثِ، وَهُوَ مُطَوَّلٌ جِدًّا، وَقَدْ سُقْنَاهُ بِإِسْنَادِهِ وَلَفْظِهِ بِكَمَالِهِ فِي " التَّفْسِيرِ " وَتَكَلَّمْنَا عَلَيْهِ ; فَإِنَّهُ مِنْ غَرَائِبِ الْأَحَادِيثِ، وَفِي إِسْنَادِهِ ضَعْفٌ، وَكَذَا فِي سِيَاقِ حَدِيثِ أُمِّ هَانِئٍ ; فَإِنَّ الثَّابِتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ "، مِنْ رِوَايَةِ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ الْإِسْرَاءَ كَانَ مِنَ الْمَسْجِدِ مِنْ عِنْدِ الْحِجْرِ. وَفِي سِيَاقِهِ غَرَابَةٌ أَيْضًا مِنْ وُجُوهٍ، قَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَيْهَا هُنَاكَ، وَمِنْهَا قَوْلُهُ: وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يُوحَى إِلَيْهِ. وَالْجَوَابُ أَنَّ مَجِيئَهُمْ أَوَّلَ مَرَّةٍ كَانَ قَبْلَ أَنْ يُوحَى إِلَيْهِ، فَكَانَتْ تِلْكَ اللَّيْلَةُ وَلَمْ يَكُنْ فِيهَا شَيْءٌ، ثُمَّ جَاءَهُ الْمَلَائِكَةُ لَيْلَةً أُخْرَى وَلَمْ يَقُلْ فِي ذَلِكَ: وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يُوحَى إِلَيْهِ. بَلْ جَاءَهُ بَعْدَ مَا أُوحِيَ إِلَيْهِ، فَكَانَ الْإِسْرَاءُ قَطْعًا بَعْدَ