আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

قصة مصارعة ركانة

পৃষ্ঠা - ১৯৭৪

অংশ দ্বারা আঘাত না করে ধারবিহীন পাশ দিয়ে পুণ্ডো দিতে থাকে এবং বলতে থাকে, হে
খাত্তাব তনয়! সরে যান, সরে যান ৷ আমি আপনাকে হত্যা করব না ৷ পরবর্তীতে যিরার ইবন
খাত্তাব ইসলাম গ্রহণ করার পর হযরত উমর (রা) যিরার (রা)-এর ঐ সহানুভুতির কথা স্মরণ
করতেন ৷

পরিচ্ছেদ

বায়হাকী (র) এ পর্যায়ে কুরায়শদের বিরুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বদ দুআর ঘটনাউল্লেখ
করেছেন ৷ কুরায়শগণ যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নাফরমানীও অবদ্যোতায় সীমা ছাড়িয়ে যায়
তখন তাদের উপর ইউসুফ (আ)-এর সম্প্রদা য়ের ভোগকৃত সাত বছর ব্যাপী দৃর্তিক্ষের মত টানা
সাত বছরের দৃর্ভিক্ষ নাযিল করার জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আল্লাহর নিকট দুআ করেনা এ
প্রসঙ্গে তিনি সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ ঘুসলিমে উল্লিখিত আমাশ ইবন মাসউদ সুত্রে বর্ণিত
হাদীছটি উদ্ধৃত করেছেনা ইবন মাসউদ (রা) বলেছেন, পাচটি বিষয় বাস্তবাযিত হয়ে গিয়েছো
কাফিরদের জন্যে প্রতিশ্রুত ধ্বংস১ , রোম বিজয়, ধুম্র আগমন, চরম পাকড়াশ্ও এবং চদ্রের
দ্বিখণ্ডিত হওয়া অন্য বর্ণনায় ইবন মাসউদ (রা) বলেছেন, কুরাহ্ন্শগণ যখন রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর অবাধ্যতায় অটল রইল এবং ইসলাম গ্রহণ থেকে বিরত থাকল , তখন রাসুলুল্লাহ (সা)
দৃআ করলেন হে আল্লাহ! ইউসুফ (আ) এর সম্প্রদায়ের উপর নাযিলকৃত সাত বছরব্যাপী
দৃব্ধিক্ষর মত দুর্ভিক্ষ কুরায়শদের উপর নাযিল করে তাদের বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করুন ৷
ইবন মাসউদ (রা) বলেন এরপর তাদের উপর দুর্ভিক্ষ নেমে আসে ৷৩ তাদের সব কিছু নিঃশেষ
হয়ে যায় ৷ এমনকি ক্ষুধার তাড়নায় তারা মরা জীবজন্তু যেতে থাকে এমন হল যে, উপোস
করার কারণে তারা আকাশে বোয়া দেখতে পেতো ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ ( সা ) তাদের বিপদ
মুক্তির জন্যে দুআ করলেন ৷ আল্লাহ্ তাআলা তাদেরকে এ দুরবস্থা থেকে মুক্তি দিলেন ৷ এ
প্রসঙ্গে আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (বা) এ আয়াত তিলাওয়াত করলেন :

টুাএ£; ণ্হুট্রুা ১া ারা এো ৷টু;;;াদ্বুান্া

আমি ওে তামাদের শাস্তি কিছু কা লের জন্যে রহিত করছি ভৌমরা তো তোমাদের পুর্বাবস্থায়
ফিরে যাবে (৪৪ : ১৫) ৷

তিনি বলেন, তারা পুনরায় তাদের কুফরীতে ফিরে যায় এবং কিয়ামত পর্যন্ত তাদের শাস্তি
বিলম্বিত করা হয় ৷ তিনি একথা বলেছেন যে, বদর দিবস পর্যন্ত তাদের শাস্তি বিলম্বিত করা
হয় ৷ ইবন মাসউদ (রা) বলেন আলোচ্য শাস্তি দ্বারা যদি কিয়ামত দিবসের শাস্তি বুঝানো হয় ,
তবে ওই শাস্তি৩ ওো রহিত করা হবে না ৷

যেদিন আমি তােমাদেরকে প্রচন্ড ভাবে পাকড়াও করব সে দিন আমি ৫তামাদেরকে শাস্তি

দেবই (৪ : : ১৬) ৷ এ আয়াত সম্পর্কে ইবন মাসউদ (রা ) বলেন যে, এখানে বদর দিবসের
শাস্তির কথা বুঝানো হয়েছে ৷ ইবন মাসউদ (রা ) থেকে আরো বর্ণিত আছে যে তিনি বলেছেন,



১ এতদ্বারা বদর দিবসকে বুঝানো হয়েছো


بَيْنَ النَّاسِ، إِلَّا أَنَّ ضِرَارَ بْنَ الْخَطَّابِ بْنِ مِرْدَاسٍ الْفِهْرَيَّ خَرَجَ فِي نَفَرٍ مِنْ قُرَيْشٍ إِلَى أَرْضِ دَوْسٍ، فَنَزَلُوا عَلَى امْرَأَةٍ يُقَالُ لَهَا: أُمُّ غَيْلَانَ مَوْلَاةٌ لِدَوْسٍ، وَكَانَتْ تَمْشُطُ النِّسَاءَ وَتُجَهِّزُ الْعَرَائِسَ، فَأَرَادَتْ دَوْسٌ قَتْلَهُمْ بِأَبِي أُزَيْهِرٍ فَقَامَتْ دُونَهُ أُمُّ غَيْلَانَ، وَنِسْوَةٌ كُنَّ مَعَهَا حَتَّى مَنَعَتْهُمْ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: يُقَالُ: إِنَّهَا أَدْخَلَتْهُ بَيْنَ دِرْعِهَا وَبَدَنِهَا. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: فَلَمَّا كَانَتْ أَيَّامُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَتَتْهُ أُمُّ غَيْلَانَ، وَهِيَ تَرَى أَنَّ ضِرَارًا أَخُوهُ، فَقَالَ لَهَا عُمَرُ: لَسْتُ بِأَخِيهِ إِلَّا فِي الْإِسْلَامِ، وَقَدْ عَرَفْتُ مِنَّتَكِ عَلَيْهِ. فَأَعْطَاهَا عَلَى أَنَّهَا بَنْتُ سَبِيلٍ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَكَانَ ضِرَارُ بْنُ الْخَطَّابِ لَحِقَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَوْمَ أُحُدٍ، فَجَعَلَ يَضْرِبُهُ بِعَرْضِ الرُّمْحِ، وَيَقُولُ: انْجُ يَا بْنَ الْخَطَّابِ لَا أَقْتُلُكَ. فَكَانَ عُمَرُ يَعْرِفُهَا لَهُ بَعْدَ الْإِسْلَامِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا.