আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

فصل في ذكر مخالفة قبائل قريش بني هاشم وبني عبد المطلب في نصر رسول الله صلى الله عليه وسلم

পৃষ্ঠা - ১৯২২


বনু হাশিম এবং বনু আবদুল মুত্তালিব গোত্রীয়র৷ যখন ঐরুপ অবস্থান গ্রহণ করলেন এবং
কুরায়শরাও বুঝে নিল যে, মুহাম্মাদ (সা) কে হাতে পাওয়ার আর কোন উপায় নেই, তখন তারা
বনু হাশিম ও বনু আবদুল মুত্তালিব গোত্রের বিরুদ্ধে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার জন্যে একমত হয় ৷ তারা
এ বিষয়ে একমত ৩হয় যে হাশিমী ও মুত্তা ৷লিবীদের কা ৷উকে তারা বিয়ে করবে না এবং নিজেদের
কাউকে ওদের নিকট বিয়ে দািব না ৷৩ তাদের নিকট কিছু বিক্রি করবে না এবং তাদের থেকে
কিছু ক্রয় করবে না ৷ এমর্মে তারা একটি চুক্তিপত্র সম্পাদন করে এবং সেটি কা বাগৃহে ঝুলিয়ে
রাখে ৷ এরপর তারা মুসলমানদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে ৷ তারা তাদেরকে বন্দী করে এবং নানা
রকম নির্যাতনউৎপীড়ন করতে থাকে ৷ কঠিন থেকে কঠিনতর বিপদ নেমে আসে মুসলমানদের
উপর এবং এটা তাদেরকে প্রচণ্ডতাবে নাড়৷ দেয় ৷ এরপর ঘৃহাম্মদ ইবন ইসহাক রাসুলুল্লাহ্
(না) স-হ হাশিমী ও মুত্তালিবীদের আবু৩ তালিব পিরিসঙ্কটে মবন্থান গ্রহণ এবং সেখানে যে
দুঃখ-কষ্ট ভোগ করেন তার দীর্ঘ বর্ণনা দেন ৷ ওই বর্ণনায় আছে যে খাদ্যের অভাবে ক্ষুধার্ত ও
ষ্ণ৩ার্ততৃ শিশুদের আহাজারী পিরিসঙ্কটের বাইর থেকেও পৃশান৷ যেত ৷ অবশেষে সাধারণভাবে
কুরায়শের লোকজন অম্ভরীণ লোকদের ওপর পরিচালিত অত্যাচার-নির্যাতনকে ঘৃণার চোখে
দেখতে থাকে এবং নির্যাতনমুলক চুক্তিপত্রের প্রতি নিজেদের নারাযী প্রকাশ করে ৷

বর্ণনাকারিগণ একথাও উল্লেখ করেন যে, আপন দয়ায় মহান আল্লাহ ওই চুক্তিনামার প্রতি
উইপোকা প্রেরণ করেন এবং চুক্তিনামায় আল্লাহর নাম উল্লিখিত সকল স্থান পোকাতে থেয়ে
ফেলে ৷ অবশিষ্ট থাকে শুধু জুলুম-নির্যা৩ ৩ন, আত্মীয়৩ ৷ ছিন্ন করা এবং মিথ্যাচারগুলাের বিবরণ ৷
এরপর মহান আল্পাহ্ এ বিষয়ে রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) কে অবহিত করেন এবং তিনি চাচা আবু
তালিবকে তা জানান ৷ বর্ণনাকারিগণ এরপর মুসা ইবন উকবার বর্ণনার ন্যায় অবশিষ্ট ঘটনা
সবিস্তারে বর্ণনা করেন ৷

যিয়াদ সুত্রে মুহাম্মদ ইবন ইসহাক থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে ইবন হিশাম বলেন, কুরায়শরা যখন
দেখল যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাহাবীগণ এমন এক স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন, যেখানে
তারা শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ করেছেন, তাদের মধ্যে যারা নাজাশীর নিকট গিয়েছেন তিনি
তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছেন ৷ এ ছাড়া ইতোমধ্যে হযরত উমর (রা) ইসলাম গ্রহণ
করেছেন, এখন উমর (রা) ও হড়াময৷ (রা) দৃ’জনেই রাসুলুল্লাহ্ (না) ও তার সাহাবীদের সাথে
রয়েছেন ৷ বিভিন্ন গোত্রে উপগােত্রে-ইসলামের দাওয়াত ছড়িয়ে পড়ছে ৷ এ পরিস্থিতিতে
কুরায়শগণ এক সমাবেশে মিলিত হয় এবং তারা বনু হাশিম ও বনু আবদুল মুত্তালিব গোত্রের
বিরুদ্ধে এমন একটি চুক্তিনড়াম৷ সম্পাদনের বিষয়ে পরামর্শ করে যার বিষয়বস্তু এ হবে যে, তারা
ওদের নিকট নিজেদের পুত্রকন্যা বিয়ে দিবে না, ওদের নিকট কিছু বিক্রি করবে না এবং ওদের
থেকে কিছু ক্রয়ও করবে না ৷ আলোচনা শেষে তারা এ বিষয়ে একমত হয় এবং একটি
চুক্তিনামা তৈরী করে সকলে তা মেনে চলতে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয় ৷ গুরুত্ব বৃদ্ধির জন্যে তারা
সেটিকে কা বাগৃহের অভ্যন্তরে ঝুলিয়ে রাখে ৷ চুক্তিনামাঢির লেখক ছিল মানসুর ইবন ইকরিমা
(ইবন আমির ইবন হাশিম ইবন আবৃদ মানাফ ইবন আবদিদ্দার ইবন কুসাই) ৷ ইবন হিশাম
বলেন, কারো কারো মতে সেটি লিখেছিল নাযর ইবন হারিছ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওই লেখকের


وَعَلَّقُوهَا بِالْكَعْبَةِ، ثُمَّ عَدَوْا عَلَى مَنْ أَسْلَمَ فَأَوْثَقُوهُمْ وَآذَوْهُمْ، وَاشْتَدَّ الْبَلَاءُ عَلَيْهِمْ، وَعَظُمَتِ الْفِتْنَةُ، وَزُلْزِلُوا زِلْزَالًا شَدِيدًا. ثُمَّ ذَكَرَ الْقِصَّةَ بِطُولِهَا فِي دُخُولِهِمْ شِعْبَ أَبِي طَالِبٍ وَمَا بَلَغُوا فِيهِ مِنْ فِتْنَةِ الْجَهْدِ الشَّدِيدِ، حَتَّى كَانَ يُسْمَعُ أَصْوَاتُ صِبْيَانِهِمْ يَتَضَاغَوْنَ مِنْ وَرَاءِ الشِّعْبِ ; مِنَ الْجُوعِ، حَتَّى كَرِهَ عَامَّةُ قُرَيْشٍ مَا أَصَابَهُمْ، وَأَظْهَرُوا كَرَاهِيَتَهُمْ لِصَحِيفَتِهِمُ الظَّالِمَةِ، وَذَكَرُوا أَنَّ اللَّهَ بِرَحْمَتِهِ أَرْسَلَ عَلَى صَحِيفَةِ قُرَيْشٍ الْأَرَضَةَ، فَلَمْ تَدَعْ فِيهَا اسْمًا هُوَ لِلَّهِ إِلَّا أَكَلَتْهُ، وَبَقِيَ فِيهَا الظُّلْمُ وَالْقَطِيعَةُ وَالْبُهْتَانُ، فَأَخْبَرَ اللَّهُ تَعَالَى بِذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَأَخْبَرَ بِذَلِكَ عَمَّهُ أَبَا طَالِبٍ ثُمَّ ذَكَرَ بَقِيَّةَ الْقِصَّةِ كَرِوَايَةِ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ وَأَتَمَّ. وَقَالَ ابْنُ هِشَامٍ عَنْ زِيَادٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا رَأَتْ قُرَيْشٌ أَنَّ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَدْ نَزَلُوا بَلَدًا أَصَابُوا مِنْهُ أَمْنًا وَقَرَارًا، وَأَنَّ النَّجَاشِيَّ قَدْ مَنَعَ مَنْ لَجَأَ إِلَيْهِ مِنْهُمْ، وَأَنَّ عُمَرَ قَدْ أَسْلَمَ، فَكَانَ هُوَ وَحَمْزَةُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَصْحَابِهِ، وَجَعَلَ الْإِسْلَامُ يَفْشُو فِي الْقَبَائِلِ، فَاجْتَمَعُوا وَأْتَمَرُوا أَنْ يَكْتُبُوا كِتَابًا يَتَعَاقَدُونَ فِيهِ عَلَى بَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، عَلَى أَنْ لَا يَنْكِحُوا إِلَيْهِمْ وَلَا يُنْكِحُوهُمْ، وَلَا يَبِيعُوهُمْ شَيْئًا وَلَا يَبْتَاعُوا مِنْهُمْ، فَلَمَّا اجْتَمَعُوا لِذَلِكَ كَتَبُوا فِي صَحِيفَةٍ، ثُمَّ تَعَاهَدُوا وَتَوَاثَقُوا عَلَى ذَلِكَ، ثُمَّ عَلَّقُوا الصَّحِيفَةَ فِي جَوْفِ الْكَعْبَةِ ; تَوْكِيدًا عَلَى أَنْفُسِهِمْ، وَكَانَ كَاتِبُ الصَّحِيفَةِ مَنْصُورَ بْنَ عِكْرِمَةَ بْنِ عَامِرِ بْنِ هَاشِمِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ عَبْدِ الدَّارِ بْنِ قُصَيٍّ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: