আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

فصل في ذكر مخالفة قبائل قريش بني هاشم وبني عبد المطلب في نصر رسول الله صلى الله عليه وسلم

পৃষ্ঠা - ১৯১৯


কাবাগৃহের ছাদের সাথে ঝুলানাে ছিল ৷ অ ৷ল্লাহ্ তাআলার নামের ন্থানগুলোও পােকায় খেয়ে
ফেলে ৷ ফলে শিরক, জুলুম-অত্যাচার এবং আত্মীয়ত ৷ ছিন্নকাবী বিষয় সম্বলিত বিবরণগুলো
অবশিষ্ট থাকে ৷ চুক্তিনামার এ অবস্থা সম্পর্কে আল্লাহ্ত তা আল৷ প্রিয়নবী (সা) ৫ক অবহিত
করেন ৷ তিনি চাচা আবু তালিবকে এটা জানান ৷ আবৃত তালিব বললেন উজ্জ্বল নক্ষত্ররাজির
কলম, সে নিশ্চয়ই আমার সাথে মিথ্যা কথা বলেনি ৷ বনু আবদিল মুত্তালিব গোত্রের কতক
সঙ্গীৰুসাথী নিয়ে তিনি মাসজিদুল হারামে উপস্থিত হন ৷ সেখানে কুরায়শগণ উপ ত ছিল ৷
তাদেরকে এদিকে আসতে দেখে কুরায়শগণ মনে করেছিল যে, সুকঠিন দুঃখদুর্দশায় অতিষ্ঠ
এরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে হস্তান্তর করার উদ্দেশ্যে গিবিসংকট থেকে বেরিয়ে এসেছে ৷ সেখানে
উপস্থিত হয়ে আবুত তালিব বললেন, ৫তামাদের এখানে একটা ঘটনা ঘটেছে তা আমরা এখন
তোমাদেরকে বলবো না ৷ তোমরা যে চুক্তিনাম৷ তৈরী করেছ আগে সেটি নিয়ে আস ৷ তারপর
৫তামাদের আর আমাদের মাঝে কোন আপোস রফা হলেও হতে পারে ৷ চুক্তিনাম৷ উপ
করার পুর্বে তারা সেটি দেখে ফেলে কিনা এ আশং কায তিনি এ কথা বললেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) ৫ক তাদের হাতে সমর্পণ ৷করা হবে এ ব্যাপারে সন্দেহ সং শ৫য়র উ৫র্ধ্ব উঠে এবং নিশ্চিত
হয়ে তারা চুক্তিনামাটি হাযির করে ৷ সেটি সকলের সম্মুখে রাখা হয় ৷ তারা বলল, এখন সে
সময় এসেছে যে, তোমরা আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করবে এবং এমন এক বিষয়ের প্রতি তোমরা
ফিরে আসবে যা ৫ত ৷মাদের সম্প্রদায়কে পুনরায় ঐক্যবদ্ধ করবে ৷ ওই একটি মাত্র ব্যক্তি
আমাদের ও ৫তামাদের মধ্যকার সম্পর্ক ছিন্নতিন্ন করে দিয়েছে ৷ তোমরা নিজেদের সম্প্রদায় ও
গােত্রকে ধ্বংস ও বিপর্যস্ত করে দেয়ার জন্যে ওই বিপজ্জনক লোকটিকে আস্কারা দিয়েছ

আবু তালিব বললেন, আমি তোমাদের নিকট এসেছি তোমাদেরকে একটি ন্যায়ানুগ প্রস্তাব
দেয়ার জন্যে ৷ আমার ভাতিজ৷ কখনো মিথ্যা বলে না ৷ সে আমাকে জ৷ ৷নিয়েছে যে, তোমাদের
নিকট যে চুক্তিনাম৷ রয়েছে তার সাথে আল্লাহ তা আলার কোন সম্পর্ক নেই ৷ ৫সটি৫তঅ আল্লাহ
তা আলার যত নাম ছিল তার সবগুলো তিনি মিটিয়ে ৫ফলেছেন ৷ তোমাদের অকৃতজ্ঞতা,
আমাদের সাথে আত্মীয়ত৷ ছিন্ন করা এবং আমাদের প্রতি তোমাদের জুলুম নির্যাতনের
বিষয়গুলো তাতে অবশিষ্ট রেখেছেন ৷ সুতরাং ভাতিজ৷ যা বলেছে ঘটনা যদি তা ই হয়ে থাকে,
তাহলে তোমরা হুশিয়ার হও ! আল্লাহর কলম, আমাদের শেষ ব্যক্তিটির মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত
আমরা কখনো তাকে তোমাদের হাতে সমর্পণ করব না ৷ আর সে যা বলেছে তা যদি অসত্য
হয়, তবে আমরা নিশ্চয় ত ৷কে তোমাদের হাতে তুলে দিব ৷ এরপর তোমরা তাকে হত্যা করবে,
নাকি জীবিত রাখবে সেটা৫ তামাদের ইচ্ছা ৷৩ তারা বলল, ঠিক আছে, আপনার প্রস্তাবে আমরা
রাযী ৷ এরপর তারা চুক্তিনামা খুলল এবং সতবােদী সতাযিত ৩রাসুল যেমন বলেছেন ঘটনা হুবহু

৫তমনি দেখতে পেল ৷

কুরায়শরা যখন ৫দখল ৫য, ঘটনা আবৃত তালিবের বংনাি মুতাবিকই ঘটেছে তখন তারা
বলল, আল্লাহর কলম, এটি নিশ্চয়ই ৫তামাদের ওই লোকের জাদু৷ এ কথা বলে তারা

তোপুর্বেকার সম্মতি প্রত্যাহার করে এবং পুর্বের চাইতে ৩ও জঘন্য কুফরী৫ত প্রত্যাবর্তন করে
এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তার স্বগাে ত্রীয়দের প্রতি কঠোর জুলুম-নির্যাতনের অঙ্গীকারে অবিচল

থাকে ৷


الْغَدْرِ وَالْبَرَاءَةِ مِنْهُ، وَبَعَثَ اللَّهُ عَلَى صَحِيفَتِهِمُ الْأَرَضَةَ، فَلَحَسَتْ كُلَّ مَا كَانَ فِيهَا مِنْ عَهْدٍ وَمِيثَاقٍ، وَيُقَالُ: كَانَتْ مُعَلَّقَةً فِي سَقْفِ الْبَيْتِ فَلَمْ تَتْرُكِ اسْمًا لِلَّهِ فِيهَا إِلَّا لَحَسَتْهُ، وَبَقِيَ مَا كَانَ فِيهَا مِنْ شِرْكٍ وَظُلْمٍ وَقَطِيعَةِ رَحِمٍ، وَأَطْلَعَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ رَسُولَهُ عَلَى الَّذِي صَنَعَ بِصَحِيفَتِهِمْ، فَذَكَرَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - لِأَبِي طَالِبٍ فَقَالَ أَبُو طَالِبٍ: لَا وَالثَّوَاقِبِ، مَا كَذَبَنِي. فَانْطَلَقَ يَمْشِي بِعِصَابَتِهِ مِنْ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، حَتَّى أَتَى الْمَسْجِدَ وَهُوَ حَافِلٌ مِنْ قُرَيْشٍ، فَلَمَّا رَأَوْهُمْ عَامِدِينَ لِجَمَاعَتِهِمْ، أَنْكَرُوا ذَلِكَ، وَظَنُّوا أَنَّهُمْ خَرَجُوا مِنْ شِدَّةِ الْبَلَاءِ فَأَتَوْهُمْ لِيُعْطُوهُمْ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَتَكَلَّمَ أَبُو طَالِبٍ فَقَالَ: قَدْ حَدَثَتْ أُمُورٌ بَيْنَكُمْ لَمْ نَذْكُرْهَا لَكُمْ، فَأْتُوا بِصَحِيفَتِكُمُ الَّتِي تَعَاهَدْتُمْ عَلَيْهَا، فَلَعَلَّهُ أَنْ يَكُونَ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ صُلْحٌ. وَإِنَّمَا قَالَ ذَلِكَ، خَشْيَةَ أَنْ يَنْظُرُوا فِي الصَّحِيفَةِ قَبْلَ أَنْ يَأْتُوا بِهَا، فَأَتَوْا بِصَحِيفَتِهِمْ مُعْجَبِينَ بِهَا، لَا يَشُكُّونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - مَدْفُوعٌ إِلَيْهِمْ، فَوَضَعُوهَا بَيْنَهُمْ، وَقَالُوا: قَدْ آنَ لَكُمْ أَنْ تَقْبَلُوا، وَتَرْجِعُوا إِلَى أَمْرٍ يَجْمَعُ قَوْمَكُمْ، فَإِنَّمَا قَطَعَ بَيْنِنَا وَبَيْنَكُمْ رَجُلٌ وَاحِدٌ، جَعَلْتُمُوهُ خَطَرًا لِهَلَكَةِ قَوْمِكُمْ وَعَشِيرَتِكُمْ وَفَسَادِهُمْ. فَقَالَ أَبُو طَالِبٍ: إِنَّمَا أَتَيْتُكُمْ لِأُعْطِيَكُمْ أَمْرًا لَكُمْ فِيهِ نَصَفٌ ; إِنَّ ابْنَ أَخِي قَدْ أَخْبَرَنِي وَلَمْ يَكَذِبْنِي، أَنَّ اللَّهَ بَرِيءٌ مِنْ هَذِهِ الصَّحِيفَةِ الَّتِي فِي أَيْدِيكُمْ، وَمَحَا كُلَّ اسْمٍ هُوَ لَهُ فِيهَا، وَتَرَكَ فِيهَا غَدْرَكُمْ وَقَطِيعَتَكُمْ إِيَّانَا، وَتَظَاهُرَكُمْ عَلَيْنَا بِالظُّلْمِ، فَإِنْ كَانَ الْحَدِيثُ الَّذِي قَالَ ابْنُ أَخِي